মাঠের ফসল নষ্ট, গোয়াল ঘর ভাঙচুর গরুসহ মানুষেরও ক্ষয়ক্ষতি ষাঁড়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ কৃষকরা, শরণাপন্ন হলেন পৌরসভার

নদীয়া:ষাঁড়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ শান্তিপুর শহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের রামনগরচর, পুরাতন পাড়া রামনগর চর এলাকার কৃষকরা। প্রতিবছর এই সময়ে ষাঁড়ের উপদ্রব বাড়লেও এ বছর সহ্যের মাত্রা ছাড়িয়েছে চরম অত্যাচারের কারণে। রতন মাহাতো মদন মাহাতো সুকান্ত মাহাতো শচীন মাহাতো তেতুল মাহাতো যাদব মাহাতো এইরকমই শতাধিক কৃষকরা জানাচ্ছেন কারোর আঁখ, কারোর কলা বাগান , কিংবা রবিশস্য অথবা শীতকালীন আনাজ রাতের অন্ধকারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। বেগুন ধান এ ধরনের নানান ফসল একদিকে যেমন খেয়ে নষ্ট করছে অন্যদিকে জমির মধ্যে পাড়িয়ে মটর শুঁটি গাজর সরষে ধনেপাতা এ ধরনের ছোট ছোট চারা গাছ বিঘার পর বিঘা পা দিয়ে চটকে নষ্ট করছে। তারা জানান সম্প্রতি বৃষ্টির জন্য এমনিতেই ফসলের ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক তার উপর সার এবং কীটনাশকের অগ্নি মূল্য। এমতাবস্থায় তারা বিভ্রান্ত। জনপ্রতিনিধি থেকে বিভিন্ন দপ্তর কোথাও মিলছে না কোনোসদুত্তর দেখতে দেখতে প্রায় এক মাস কেটে গেছে।

ষাঁড়ের অত্যাচারের কথা স্থানীয় কাউন্সিলর পুরসভার চেয়ারম্যান সহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিকে নিয়মিত লাগাতার জানিয়েও মিলছে না কোন ফল। বনদপ্তরে ফোন করলে তারা জানাচ্ছেন জনপ্রতিনিধিরা জানাবেন তাহলেই নেওয়া হবে ব্যবস্থা। অন্যদিকে জনপ্রতিনিধিরা বলছেন বনদপ্তর কিংবা শান্তিপুর থানায় জানাতে। আর এভাবেই বিভ্রান্তের মতন ছুটে বেড়াচ্ছেন তারা। বিশেষ করে রাত্রে ঘুম উড়েছে তাদের, সন্তান সম ফসল ঠেকাতে গিয়ে ষাঁড়ের আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন এলাকার বেশ কয়েকজন কৃষক। যার মধ্যে কমল মাহাতো এখনো শয্যাশায়ী, এলাকার তাপস ঘোষ এবং কুচে ঘোষ, কাশি সাহা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বেশ কয়েকদিনের জন্য। এত কিছু হয়ে যাওয়ার পরেও বন্যপ্রাণীদের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচানোর তাদেরই ট্যাক্সের টাকায় গড়া সরকারি দপ্তরে শুধুমাত্র যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার হয়তো ফুরসত মিলছে না, এমনই অভিযোগ নিয়ে আজ শান্তিপুর পৌরসভা তারা লিখিত অভিযোগ জমা দিতে যান দলবদ্ধ ভাবে।

এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর বিকাশ চন্দ্র সাহাজানান,

শান্তিপুর পৌরসভার সভাপতি মাননীয় শ্রী সুব্রত ঘোষের উদ্যোগে শান্তিপুর পৌরসভার সকল জনপ্রতিনিধিদেরকে নিয়ে "এম ভি মোহনচূড়া" লঞ্চে গঙ্গাবক্ষে আজ শান্তিপুর থেকে নবদ্বীপ-মায়াপুর আনন্দ ভ্রমনের কারণে শান্তিপুরে নেই৷ তবে বিষয়টি নিয়ে মানুষের সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে পুরো প্রধান কে জানিয়েছেন বলেই ফোনে জানান আমাদের।

চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ কে ফোনে পাওয়া যায়নি।

তবে ভাইস চেয়ারম্যান কৌশিক প্রামানিক জানান, এর আগেও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে এরকমই এক সমস্যার সমাধান করা হয়েছিল পৌরসভার পক্ষ থেকে তবে বিষয়টি সরাসরি পৌরসভার পরিকাঠামগত ব্যবস্থা না থাকার কারণে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না। তিনি বলেন আজ কৃষকদের লিখিত আবেদনে প্রথম জানলেন বিষয়টি তবে এ বিষয়ে মহকুমা এবং জেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করবেন।

তবে কৃষকরা আতঙ্কিত, একটি দিন কিংবা রাত তাদের কাছে অবশ্যম্ভাবী ক্ষতি। তাই শীঘ্র পরিত্রান পেতে তারা এখন পুরসভার মুখের দিকে তাকিয়ে।

নদিয়ার মাজদিয়াতে পালিত হচ্ছে লালন উৎসব

নদীয়া :মাজদিয়া ও পার্শ্ববর্তী গ্রামবাসীদের সম্মিলিত প্রয়াসে নদিয়ার মাজদিয়াতে পালিত হচ্ছে লালন উৎসব। এবার এই মেলা ২৮ তম বর্ষে পদার্পণ করল। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোক আসে এই উৎসবে শামিল হওয়ার জন্য। প্রধানত লালন ফকিরের বিভিন্ন গানও লালনের বাণী ছড়িয়ে দেওয়াই এই মেলার প্রধান উদ্দেশ্য। বিভিন্ন টিভি অনুষ্ঠানের গায়ক গায়িকারা এই মেলায় এসে গান গাইবেন বলে জানালেন মেলার কর্মকর্তারা।

এই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণগঞ্জ এর বিডিও সৌগত সাহা, এবং কৃষ্ণগঞ্জ এর পুলিশ আধিকারিক বাবিন মুখার্জি, কৃষ্ণগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কাকলি দাস এদিন প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে মেলার শুভ উদ্বোধন করেন তারা। এছাড়াও মেলায় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দরা।

এছাড়াও এই মেলায় বাউল গানের পাশাপাশি লালন গীতি, পল্লীগীতি, ভাওয়াইয়া এবং পালা গানের আয়োজন করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই মেলায় মেতে উঠেছে আপামর জেলাবাসী। মেলায় বাউল গানের পাশাপাশি বসেছে একাধিক খাবারের দোকান। গ্রাম বাংলার এই সমস্ত খাবার সাধারণত পাওয়া যায় মেলার সময়ই। জিলিপি, পাপড় ভাজা, বাদাম ভাজা, নিমকি ইত্যাদি মুখরোচক খাবার খেতে ভিড় জমিয়েছেন সাধারণ মানুষেরা।

এছাড়াও বাচ্চাদের বিশেষ আকর্ষণের জন্য রয়েছে নাগরদোলার ব্যবস্থা। স্বাভাবিকভাবেই বলা যেতে পারে যে আট থেকে ৮০ সকলেরই এই মেলায় এসে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। বিগত এক বছর আগে করোনা মহামারির জন্য জাঁকজমকপূর্ণভাবে মেলার আয়োজন করা হয়নি বলে জানা যায়। তবে গত বছর থেকে আবারও পুরনো ছন্দে ফিরে এসেছে মাজদিয়ার লালন উৎসব।

নবদ্বীপে হনুমানের ধাক্কায় মৃত্যু গৃহবধূর

নদিয়া:ক্ষিপ্ত হনুমানের ধাক্কায় বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল এক গৃহবধূর। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে নদিয়ার নবদ্বীপ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাচীন মায়াপুর প্রথম লেন এলাকায়। মৃত ওই গৃহবধুর নাম নীলিমা বসাক। বয়স আনুমানিক ৫২।

পরিবারের লোকেরাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যায় নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে হাসপাতাল থেকে দেহটি উদ্ধার করে প্রথমে থানায় এরপর ময়না তদন্তের জন্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল পাঠায় নবদ্বীপ থানার পুলিশ। মৃত ওই গৃহবধূ শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের সহায়িকা হিসাবে কাজ করতেন।

এদিন সকালে স্নান সেরে কাপড় শুকাতে বাড়ির দোতলার ছাদে ওঠেন। সেই সময় ছাদের ওপরে বেশ কিছু হনুমান দাপাদাপি শুরু হয়। এরপরই একটি হনুমান ধাক্কা দিলে, ভারসাম্য হারিয়ে বাড়ির দোতলার ছাদ থেকে নিচে পড়ে যান। তার আর্তচিৎকারে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ছুটে আসেন।

এরপর তাকে দ্রুত উদ্ধার করে নবদ্বীপ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি তীর্থভূমি নবদ্বীপ শহর জুড়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যে ভাবে হনুমানের তাণ্ডব চলে তাতে আতঙ্কিত শহরবাসী। বনদপ্তরের তরপে কোনও রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আমিনপুর সিনিয়ার মাদ্রাসায় বিশেষ পর্যালোচনা ও কর্মশালা

উত্তর ২৪ পরগনা: পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাদ্রাসা টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা শাখার উদ্যোগে আমিনপুর সিনিয়ার মাদ্রাসায় একটি বিশেষ পর্যালোচনা ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। মাদ্রাসার শিক্ষা বিষয়ক কর্মশালায় প্রায় ৪০০ শিক্ষক শিক্ষিকারা উপস্থিত ছিলেন।আজকের এই কর্মশালায় বিশেষভাবে মাদ্রাসার পঠন পাঠন নিয়ে আলোচনা হয়।

বিশেষভাবে এখানে আলোচনা হয় মাদ্রাসাগুলিতে বিজ্ঞান ও ইংরেজি বিষয়ের সাথে সাথে আরবি বিষয়ের সাজুজ্য রেখে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা করার। কর্মশালার মূলত রাজ্য শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের জন্য উন্নয়নমূলক কাজ এদিন এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, হাড়োয়া বিধানসভার বিধায়ক তথা বসিরহাট জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হাজী নুরুল ইসলাম,উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বন ও ভূমির কর্মদক্ষ এ কে এম ফারহাদ, ছিলেন মাদ্রাসা বোর্ডের ডেপুটি সেক্রেটারি ডক্টর আজিজুর রহমান।

আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টার আব্দুস সালাম, বারাসাত ব্লক ২ এর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি শম্ভুনাথ ঘোষ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোয়ারা বিবি, বারাসাত ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্যের কর্মাধ্যক্ষ মান্নান আলী ,বারাসাত ২নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্যের কর্মদক্ষ মানস ঘোষ স্থানীয় প্রধান। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকা, ও সহকারী শিক্ষক শিক্ষিকা।

বেসরকারী কারখানায় আয়কর হানা

বাঁকুড়াঃ এবার আয়কর দপ্তরের নজরে গঙ্গাজলঘাটির একটি বেসরকারী কারখানা। বুধবার স্থানীয় নিধিরামপুরের ওই বেসরকারী কারখানায় আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা তল্লাশী করেছেন বলে জানা গেছে।

এদিন একেবারে শুরু থেকে ওই কারখানা চত্ত্বরে মোতায়েন রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। কিন্তু ঠিক কি কারণে ওই কারখানায় আয়কর হানা তা স্পষ্ট নয় কারো কাছেই। এবিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ কারখানা কর্তৃপক্ষও। সর্বশেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত কারখানার ভীতরেই রয়েছেন আয়কর আধিকারিকরা।

রানাঘাট কুপার্স ক্যাম্প পৌরসভার অস্থায়ী কর্মচারীরা দীর্ঘদিন বেতন না পেয়ে বিক্ষোভ

এসবি নিউজ ব্যুরো: নদিয়ার রানাঘাট কুপার্স ক্যাম্প পৌরসভার অস্থায়ী কর্মচারীরা দীর্ঘদিন বেতন পাচ্ছেন না। বেতন না পেয়ে আজ তারা বিক্ষোভ শুরু করলেন পৌরসভার গেটের সামনে। তাদের দাবি,গত ১৮ মাস ধরে তারা বেতন পাচ্ছেন না। বেতন না পেয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার কারণে এই মুহূর্তে রানাঘাট কুপার্স ক্যাম্পে বিভিন্ন জায়গায় আবর্জনা জমে রয়েছে।

এই বিষয়ে এলাকার সাধারণ বাসিন্দারা পৌরসভা কে জানিয়েও কোন সুরাহা মেলেনি। কেননা প্রায় ২১২ জন কর্মচারী তারা বেতন পাচ্ছেন না। সেজন্য তারা কাজ বন্ধ রেখেছেন। পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরেও পৌরসভায় নির্বাচন না হওয়ার কারণে বর্তমানে রানাঘাট কুপার্স ক্যাম্প পৌরসভায় প্রশাসকের দায়িত্বে রয়েছেন রানাঘাটের এসডিও।

*মহুয়া মৈত্র বহিষ্কার হলে বিজেপি সাংসদ কেন বহিষ্কার হবে না ? প্রশ্ন তুলল তৃণমূল*

শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন আচমকাই সেখানে ঢুকে পড়ে দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। নিরাপত্তার গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী শিবিরের একাংশ। এই নিয়ে তৃণমূলের তরফে প্রশ্ন করা হয়েছে,’সাংসদের লগ ইন আইডি এবং পাসওয়ার্ড শেয়ার করার অভিযোগে যদি তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে সংসদ থেকে বরখাস্ত করা হতে পারে তবে বুধবার লোকসভার ভেতরে এই ঘটনার জন্য কেন মহীশূরের বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহাকে বরখাস্ত করা হবে না।‘

শুধু তাই নয় তৃণমূলের তরফে আরও জানানো হয়েছে,’নিরাপত্তা ভঙ্গ করে কি করে লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন সময় অজ্ঞাত পরিচয় দুই জন ঢুকে পড়ল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন দিল্লি পুলিশের নজরদারিতে কি করে এমন ঘটনা ঘটলো। দিল্লির পুলিশ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ । সংসদের পবিত্রতা নিয়ে আপোষ করা যায় না! কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত এই নিয়ে তদন্ত করার।‘

লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন অধিবেশন কক্ষে দুই ব্যক্তির অনুপ্রবেশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি বলেন,’ সংসদের জঙ্গি হামালর বর্ষপূর্তির দিন ছিল আজ। তাছাড়া এমনিতে কয়েকদিন আগে সংসদে হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সংসদে আরও কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকার প্রয়োজন ছিল। যে ভাবে লোকসভা ভিজিটার্স গ্যালারি থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ল তাতে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় নিরাপত্তায় কত মারাত্মক খামতি রয়েছে।‘

প্রসঙ্গত ২২ বছর আগে সংসদে হামলার স্মৃতি ফিরিয়ে দিয়েছে বুধবারের ঘটনা। এর আগে ২০০১ সালে সংসদে জঙ্গি হামলা হয়েছিল।দীর্ঘ ২২ বছর পর, একই দিনে, ফের আতঙ্ক ছড়াল সংসদের অন্দরে। প্রাণে বাঁচতে সাংসদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তবে এদিন কী করে লোকসভায় এমন ঘটতে পারে, সেই প্রশ্ন তুলে নিরাপত্তার গাফিলতির অভিযোগ উঠছে ।

জেলবন্দী তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে তারই বাবা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ

কলকাতা : জেলবন্দী তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাঢহার বিরুদ্ধে তারই বাবা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন। অভিযোগ, নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের হাতে ধৃত এই বিধায়ক বাবাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। বাবা বিশ্বনাথ সাহা একজন রেশন ডিলার। তার অভিযোগ, পারিবারিক এই গোলমালের সূত্রপাত এ বছরের শুরুতে।

তাকে মারধর করে বিধায়ক ছেলে মুর্শিদাবাদের বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। ওই বাড়িতে বিধায়কের বাবার নিজস্ব রেশন ডিলারশিপ ও অফিস ছিল। এখন সেটাও খুলতে পারছেন না। তিনি থানায় অভিযোগ জানালেও পুলিশ কোনো পদক্ষেপ করেনি। যদিও পুলিশের দাবি, ওটা ভাড়া বাড়ি।

বাড়ির মালিকানা নিয়ে বিতর্ক আছে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত অবশ্য মামলায় কোনো হস্তক্ষেপ করেননি। তিনি বিধায়কের বাবাকে নিম্ন আদালতে আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছেন। এই মামলার অবশ্য নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন।

দুয়ার সরকারের প্রচারে ভ্রাম্যমান ট্যাবলোর সূচনা করা হল মালদহের চাঁচল ১ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে

এসবি নিউজ ব্যুরো: মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফরে ঘোষণা করে ছিলেন রাজ্যের ফের শুরু হবে দুয়ার সরকার ক্যাম্প। এবার অষ্টমবারের ক্যাম্পে ৩৬ টি জনমুখী প্রকল্পের সুবিধা পাবেন আপামর জনসাধারণ।নতুন প্রকল্প যোগ হয়েছে হর্টিকালচার প্রকল্প।

সারা রাজ্যে জুড়ে ১৫ ডিসেম্বরে শুরু হবে এই ক্যাম্প। মালদহের চাঁচলেও শুরু হবে এই ক্যাম্প।তার আগেই বুধবার একটি ভ্রাম্যমান ট্যাবলোর সূচনা করা হল চাঁচল ১ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে।সবুজ পতাকা উড়িয়ে সেটির সূচনা হয় ব্লক চত্বরে।উপস্থিত ছিলেন চাঁচল থানার আইসি পুর্ণেন্দু কুণ্ডু, চাঁচলের বিডিও থিনলে ফুন্টসক ভুটিয়া,ট্রাফিক ইউনিটের ইনচার্জ মাসিদুর রহমান,পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অঞ্জনা সাহা ও সহকারী সভাপতি জাকির হোসেন সহ অন্যান্যরা।

ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৮টি মেইন ক্যাম্প করা হবে।এছাড়াও একাধিক সাব ক্যাম্প থেকে পরিসেবা পাবেন এলাকাবাসী। পরিসেবা প্রদানের জন্য অটো মোবাইল ভ্যানও চালানো হবে।

ব্যাঙ্কে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা

কলকাতা : ব্যাঙ্কে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা। ভুয়ো এপয়েন্টমেন্ট লেটার দিয়ে ৩২ হাজার ৬৩৯ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার এক,নাম বিতন বিশ্বাস।সে উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরের বাসিন্দা। তাকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর শুকদেব সি নামে এক যুবক বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেন যে ১৭/০৩/২০২৩ তারিখে একটি ফোন আসে। সেই ব্যক্তি তাকে একটি ব্যাঙ্কে চাকরি দেওয়ার অফার করে। এর পর ওই ব্যক্তি তার বিশ্বাস অর্জন করে সৌভিক দাস ও সায়ন গাঙ্গুলি নামে দুজনের সাথে যোগাযোগ করতে বলে। এরা দুজনে অফার লেটার দেয়। তার পরিবর্তে ৩২৬৩৯ টাকা হাতিয়ে নেয়।

সেই অফার লেটারটি যখন তাদের দেওয়া ঠিকানায় জমা করেন তখন জানতে পারে এই তিন ব্যক্তি ফেক এবং অফার লেটারটিও ফেক। তখন তিনি বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। এর পরই তিনি বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে হালিশহরে তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্ত যুবক বিতন বিশ্বাস কে গ্রেফতার করে। আজ বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এই চক্রে আর কারা জড়িত আছে তা জানার চেষ্টা করবে বিধাননগর সাইবার ক্রাই থানার পুলিশ।