*লা লিগায় গোল করে এমবাপ্পে, ‘সারা জীবনই গোল করেছি, ভবিষ্যতেও করব’*

খেলা

 

 

এসবি নিউজ ব্যুরো: লা লিগায় টানা ৩ ম্যাচ গোলহীন থাকার পর চতুর্থ ম্যাচে এসে গোলের দেখা পেয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। আলোড়ন তুলে রিয়ালে যোগ দেওয়া এই ফরোয়ার্ড কাল রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে দুটি গোল করেছেন। বেতিসের বিপক্ষে রিয়ালের জয়ের ব্যবধানও ২-০।

ম্যাচের পর এমবাপ্পে বলেছেন, ‘আমার মধ্যে যে চাপ ছিল, সেটা ছিল দলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার। আমি সারা জীবনই গোল করেছি, ভবিষ্যতেও করব। গোল আসবেই। টানা তিন ম্যাচে গোল না পাওয়াটা আমার জন্য বড় ব্যাপারই ছিল। কিন্তু এমনটা হতেই পারে। আমার ওপর সতীর্থদের আত্মবিশ্বাস আছে।’

রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর এমবাপ্পের প্রথম ম্যাচ ছিল উয়েফা সুপার কাপে। গত মাসে আতালান্তার বিপক্ষে ম্যাচটিতে গোল করেছিলেন তিনি। কিন্তু লা লিগায় মায়োর্কা, রিয়াল ভায়াদোলিদ ও লাস পালমাসের বিপক্ষে গোলহীন ছিলেন এমবাপ্পে। চাপের কারণেই এমন হচ্ছে কি না প্রশ্নও শুনতে হয়েছিল এমবাপ্পেকে।

সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে বেতিসের বিপক্ষে সেই চাপই উড়িয়ে দিয়েছেন ২৫ বছর বয়সী ফরাসি ফরোয়ার্ড। ম্যাচের ৬৭ মিনিটে গোল করেছেন ফেদেরিকো ভালভের্দের পাস থেকে। ৮ মিনিট পর নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন পেনাল্টি থেকে। ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে চাপ বিষয়ক প্রশ্নের জবাবে এমবাপ্পে বলেন, ‘কোনো চাপ নেই। এটাই ফুটবল। আমার সামর্থ্য আছে। আমি এখানে কিলিয়ান হতে এসেছি। কোনো চাপ নেই। আমি আনন্দিত। আমি কাজ করতে চাই।’

ছবি সৌজন্যে:রয়টার্স।

"চিকিৎসা জগতের কারও বিরুদ্ধে কুমন্তব্য নয়,নাগরিক সমাজের বিরুদ্ধে কোনও খারাপ কথা নয়"-অভিষেক


এসবি নিউজ ব্যুরো: রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক পড়ুয়ারা শাসকদলের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ করছিলেন। তার মধ্যে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ অন্যতম।

এবার গোটা তৃণমূল দলকে বার্তা দিলেন ‘সেনাপতি’ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চিকিৎসা জগতের কারও বিরুদ্ধে কুমন্তব্য নয়। নাগরিক সমাজের বিরুদ্ধে কোনও খারাপ কথা নয়। দলের সকলকে পরিষ্কার জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি গতকাল একটি এক্স বার্তায় সকলকে সর্তক করেছেন দলের নেতাকর্মীদের।

*মৌসুম শেষে লিভারপুল ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন সালাহ*

খেলা 

 

এসবি নিউজ ব্যুরো: ওল্ড ট্রাফোর্ডে ১০ম গোল করেছেন মোহাম্মদ সালাহ। রোববার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে তাঁর দল লিভারপুল। ১টি গোল করে ও লুইস দিয়াজকে দিয়ে ২টি গোল করিয়ে ম্যাচসেরা হওয়া মিসরীয় তারকা ম্যাচ শেষে মন খারাপ হওয়ার মতোই খবর দিলেন লিভারপুল ভক্তদের। সালাহ জানালেন এ মৌসুম শেষেই বিদায় নেবেন অ্যানফিল্ডের ক্লাবটি থেকে।

২০১৭ সালে লিভারপুলে যোগ দেওয়ার পর ২১৪ গোল করা সালাহ স্কাই স্পোর্টসকে বলেছেন নিজের ভাবনার কথা, ‘গ্রীষ্মটা ভালোই কেটেছে, যেহেতু ক্লাবে আমার এটাই শেষ বছর তাই চেষ্টা করব বাকিটা সময়ও ইতিবাচক থাকার’।

৩২ বছর বয়সী সালাহর সঙ্গে লিভারপুলের চুক্তির মেয়াদ ফুরাবে এ মৌসুম শেষেই। সেই মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে কোনো আলোচনা এখনো হয়নি সালাহ ও লিভারপুল কর্তৃপক্ষের। কোথায় যাবেন তা অবশ্য এখনো জানাননি সালাহ, ‘আমি সময়টা উপভোগ করতে চাইছি। এ (লিভারপুল ছাড়া) নিয়ে ভাবতে চাচ্ছি না। দেখি আগামী বছর কী হয়।’

ওল্ড ট্রাফোর্ডে টানা ৭ ম্যাচে গোল করা সালাহ জানালেন ক্লাবের কেউ এখনো চুক্তি নিয়ে তাঁর সঙ্গে আলাপ করেনি, ‘সত্যি বলছি এটাই হয়তো ওল্ড ট্রাফোর্ডে আমার শেষ ম্যাচ হতে যাচ্ছে ধরেই খেলতে নেমেছি। ক্লাবের কেউ চুক্তি নিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেনি। এটা তো আমার বিষয় নয়, ক্লাবের বিষয় এটি।’

২০২২ সালে বার্ষিক প্রায় ২.৪ কোটি ডলারে লিভারপুলের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি করেন সালাহ। ২০২০ সালে প্রিমিয়ার লিগ যুগে লিভারপুলকে প্রথম লিগ শিরোপা এনে দিতে বড় ভূমিকাই রেখেছিলেন সালাহ।

ছবি সৌজন্যে:রয়টার্স।

*রাশিফল*


সপ্তাহের প্রথমদিন।আজ রয়েছে কৌশিকী অমাবস্যা ৷জ্যোতিষ গণনা অনুযায়ী রাশির

জাতক-জাতিকাদের রয়েছে একাধিক চমক ৷ জেনে আপনার রাশির আজকের ফলাফল 

মেষ: যারা প্রশাসকের কাজে যুক্ত তাদের জন্য একটি অসাধারণ দিন । যদি আপনি তা হন, তাহলে আপনি যা চেষ্টা করবেন দিনের শেষে তার থেকে অনেক বেশি ফল পাবেন । এটির প্রধান কারণ, আপনার অধীনস্থ কর্মচারীরা উৎসাহী হবে, সহযোগিতা করবে এবং আপনার কথা শুনবে । আপনি নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যাপারে বেশি মনোযোগ দেবেন ।

বৃষ: আপনার আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব সবসময় অন্যদের সহায়তার জন্য আছে এবং আজ আপনি এটা থেকে প্রচুর সুবিধা পেতে পারেন । যদিও, উন্নতির জায়গা আছে এবং আপনি হয়তো দাতব্য কাজের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করবেন ৷ গরিব মানুষকে সাহায্য করে আপনি সন্তুষ্ট বোধ করবেন ।

মিথুন: আপনি নিজের রোজের রুটিনে কিছু পরিবর্তন আনতে চাইবেন । রোজের জীবনের একঘেঁয়েমি থেকে বিরক্ত হয়ে যাবেন এবং কিছু পরিবর্তন চাইবেন। আপনার সহজাত সৃজনশীলতাকে কাজে লাগান রোজের সময়সূচির একঘেঁয়েমি কম করতে ।

কর্কট: অন্যদের ব্যাপারে আজ নাক গলাবেন না। কারণ তারা এটিকে ভালোভাবে নেবে না । মাঝের রাস্তা আপন করে নিন । আপনার অবশ্যই নিজের সাহসিকতা এবং বাহাদুরি সামলে রাখা উচিত । যাই কিছু করবেন তাতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ।

সিংহ: সৃজনশীলতার অস্বাভাবিক মাত্রা আপনাকে নতুন মানুষদের সঙ্গে মেলামেশা করতে উদ্বুদ্ধ করবে। আপনার কিছু অভিজ্ঞতা থাকবে যা আপনাকে আবেগপ্রবণ করে তুলবে। যদিও, এতেই শেষ না ৷ আরও অনেক রোমাঞ্চ থাকতে পারে।

কন্যা: যদি আপনি নতুন করে কিছু শুরু করতে চান তাহলে এই দিনটি আপনার জন্য শুভ ৷ যদি আপনি ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে আজ হয়তো তার মধ্যে কিছু বাস্তবায়িত করতে পারেন । মনে রাখবেন চোখ বন্ধ করে কোনও কাজ করা কোনও কিছুর সমাধান নয়। ধীর এবং শান্ত থাকুন সবসময় ৷ ধাপে ধাপে নিজের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার কথা বিবেচনা করুন ।

তুলা: আজ আপনার খাদ্যরসিক দিকটা জেগে উঠবে । আপনার সামনে থাকা প্রতিটি খাদ্য উপভোগ করুন । কর্মক্ষেত্রে আপনি এমন জায়গায় আসতে পারেন যেখানে আপনাকে বিভিন্ন বিকল্প থেকে চয়ন করতে হবে । কিন্তু চিন্তা করার কিছু নেই । শুধু ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানান এবং তাহলেই আপনার সিদ্ধান্ত নিতে কোনও অসুবিধা হবে না ।

বৃশ্চিক: আজ আপনার থেকে অনেক কিছু চাহিদা থাকবে, কারণ আপনি কোনও একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং এর দায়িত্বে থাকবেন । স্টক এবং শেয়ার মার্কেটের সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা আজকে বিকেলের দিকে লাভ করবেন । যদিও, আগে থেকে সাফল্য ধরে নেবেন না। নোটের বান্ডিল গোনার জন্য সন্ধে অবধি অপেক্ষা করুন ।

ধনু: আজ আপনি ইতিবাচক থাকবেন ৷ গুজব থেকে দূরে থাকবেন । অনেককেই আকৃষ্ট করবেন ৷ মানুষ আপনাকে অনুকরণ করতে চাইবে । হাসুন এবং দুনিয়া আপনার সঙ্গে হাসবে। আনন্দ ছড়িয়ে দিন এবং আপনি দশগুণ ফেরত পাবেন ।

মকর: আজ আপনি একটি সুযোগ পাওয়ার জন্য দৌড়াবেন ৷ এই পদক্ষেপ তাৎক্ষণিক ফলাফল দেবে এবং প্রতিযোগীদের তুলনায় অনেক ভালো জায়গায় পৌঁছাবেন । প্রতিযোগীরা আপনাকে এক হাত নিতে চাইবে। কিন্তু তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।

কুম্ভ: আপনি নিজের নিয়তি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য খুবই কঠোর প্রচেষ্টা করছেন । আপনি প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করে হার মানবেন না। ক্রমাগত প্রচেষ্টায় আপনি নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সফল হবেন । জিত যদিও পাকা, তবে পরিশ্রম প্রয়োজন । এককথায়, আজকের দিনটি বেশ চ্যালেঞ্জিং।

মীন: আপনি এমন মানুষদের বিপরীতে আছেন, যারা আপনার উপর রাগ পুষে রেখেছে ৷ আপনাকে টেনে নামানোর একটা সুযোগের অপেক্ষায় আছে । কিন্তু, আপনি আত্মবিশ্বাসী, দক্ষ এবং নিজের শক্তি খুব ভালোভাবে জানেন । প্রতিযোগীরা যতই চেষ্টা করুক না কেন, তারা কখনই আপনার সমান শক্তিশালী হতে পারবে না।

ভারতে যে ধর্ষণের ঘটনায় বিচার পেতে অপেক্ষায় কাটল ৩২ বছর


এসবি নিউজ ব্যুরো: ‘আমার হৃদয়টা বেদনায় ভরা। এমনকি আজও। আমি কাঁদি, যখন ভাবি, হামলাকারীরা (ধর্ষকেরা) কীভাবে আমার জীবনটা শেষ করে দিল।’

১৯৯২ সালের ঘটনা। সুষমা (পরিবর্তীত নাম) বলেছিলেন, তখন ১৮ বছরের তরুণী তিনি। পরিচিত এক ব্যক্তি ভিডিও টেপ দেখানোর কথা বলে তাঁকে পরিত্যক্ত একটি গুদামঘরে নিয়ে যান। সেখানে থাকা ছয় থেকে ৭জন তাঁকে বেঁধে ফেলেন। পরে ধর্ষণ।

ওই দুর্বৃত্তরা ছিল ধনী ঘরের সন্তান, আজমিরের প্রভাবশালী কয়েকটি পরিবারের সদস্য। আজমির ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজস্থান রাজ্যের একটি শহর।

সুষমা বলেন, ‘ধর্ষণ করার পর তাঁদের একজন আমাকে লিপস্টিক কিনতে ২০০ টাকা দেন। আমি ওই টাকা নিইনি।’

সুষমার মামলায় গত সপ্তাহে আদালত অভিযুক্ত ১৮ জনের মধ্যে ৬ জনের যাবজ্জীবন সাজা দেন। তবে তাঁরা দোষ স্বীকার করেননি। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবীরা।

ওই ঘটনার ৩২ বছর পর গত সপ্তাহে সুষমা আদালতের কাছ থেকে বিচার পেয়েছেন। ধর্ষকদের দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এমন দীর্ঘ অপেক্ষার পরও ধর্ষণের ওই ঘটনায় বিচার পাওয়ায় সুষমার যেমন আছে আত্মতৃপ্তি, তেমন আছে ক্ষোভও। বলছিলেন সে কথাই, ‘আমার বয়স আজ ৫০ বছর। অবশেষে মনে করি, আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। কিন্তু যা কিছু হারিয়েছি, সেসব আর ফেরত আনা সম্ভব নয়।’

ধর্ষণের মতো তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হওয়ার পরও তাঁকে সমাজের কাছ থেকে এতটা বছর নানা অপবাদ ও কটূক্তি সইতে হয়েছে বলে জানান সুষমা। এমনকি অতীতের ওই ঘটনা স্বামী জানার পর তাঁদের বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়িয়েছে।

১৯৯২ সালে আজমিরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে একদল প্রভাবশালী দুষ্কৃতকারীর ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেলের শিকার হয় ১৬ জন স্কুলশিক্ষার্থী। সুষমা ওই কিশোরীদের একজন। সুষমার ঘটনায় মামলা হলে সেটি একটি বড় কেলেঙ্কারিতে গড়ায় ও সূচনা হয় ব্যাপক বিক্ষোভের।

আমার বয়স আজ ৫০ বছর। অবশেষে মনে করি, আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। কিন্তু যা কিছু আমি হারিয়েছি, সেসব আর ফেরত আনা সম্ভব নয়।

অবশিষ্ট ১২ আসামির মধ্যে ৮ জনেরও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় ১৯৯৮ সালে। পরে তাঁদের মধ্যে ৪ জন উচ্চ আদালত থেকে খালাস পান। অন্যদিকে আসামিদের সাজা কমে হয় ১০ বছর।

এই ৮ জনের বাইরে যে ৪ আসামি ছিল, তাঁদের একজন আত্মহত্যা করে। ২০০৭ সালে একজনের যাবজ্জীবন হয়। ৬ বছর পর সে খালাস পায়। আরেকজন সংশ্লিষ্ট ছোট একটি ঘটনায় অভিযুক্ত হলেও পরে খালাস পায়। এ ছাড়া অপরজন এখনও পর্যন্ত পলাতক।

এ মামলা নিয়ে প্রতিবেদন করা ও বিচারকার্যে উপস্থিত থাকা সাংবাদিকদের একজন সন্তোষ গুপ্ত প্রশ্ন তোলেন, ‘আপনি কি এ রায়কে (২০ আগস্টের রায়) ন্যায়বিচার বলবেন? রায় হলেই তা ন্যায়বিচার নয়।’

একই রকম প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রেবেকা জন। তিনি বলেন, ‘বিচার বিলম্বিত করা, ন্যায়বিচার বঞ্চিত করার নামান্তর’—এ প্রবাদেরই আরেক উদাহরণ ওই মামলার রায়।

রেবেকা জন বলেন, ‘ওই রায় এদিকেই ইঙ্গিত করে যে আইনি ব্যবস্থার বাইরেও সমস্যা অন্তর্নিহিত রয়েছে। আমাদের পিতৃতান্ত্রিক সমাজ ভঙ্গুর ধরনের। আমাদের যা প্রয়োজন, তা হলো, মানসিকতার পরিবর্তন। কিন্তু এর জন্য কত দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে?’

এ প্রসঙ্গে বাদীপক্ষের আইনজীবী বীরেন্দ্র সিং রাঠোর বলেন, ভুক্তভোগীদের প্রতারিত করতে, হুমকি দিতে ও প্রলুব্ধ করতে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাঁদের ক্ষমতা ও প্রভাব খাটিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, তাঁরা ভুক্তভোগীদের ছবি তুলেছেন, ধর্ষণের ভিডিও করেছেন। ভুক্তভোগীদের মুখ বন্ধ রাখতে বা অন্যদের শিকার বানাতে এগুলো ব্যবহার করেছেন।

বীরেন্দ্র সিং বলেন, ‘উদাহরণ হিসেবে, এক ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পরিচিত একজনকে একটি পার্টিতে আসার আমন্ত্রণ জানান। পরে তাঁকে নেশাগ্রস্ত করেন। এরপর তাঁর ছবি তোলেন এবং তাঁর বান্ধবীকে তাঁদের কাছে না নিয়ে এলে ওই ছবি প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দেন। এভাবেই লোকজনকে ভুক্তভোগী করেন তাঁরা।’

আর এমন ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শক্ত রাজনৈতিক ও সামাজিক যোগাযোগ থাকে বলে মন্তব্য করেন সাংবাদিক সন্তোষ গুপ্ত।

সুষমার ঘটনা নিয়ে আইনজীবী বীরেন্দ্র সিং রাঠোর বলেন, ঘটনাটিতে বিক্ষোভ শুরু হলে সরকার অবশেষে কিছু জোরাল পদক্ষেপ নেয়। পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেলের মামলা নথিভুক্ত করে। এটির তদন্তভার দেওয়া হয় রাজ্যের অপরাধ তদন্ত বিভাগের হাতে।

বীরেন্দ্র সিং আরও বলেন, এ মামলায় রায় পেতে ৩২ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। এর পেছনে রয়েছে বেশকিছু কারণ, যেমন অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে গড়িমসি, বিবাদীপক্ষ থেকে বিচার বিলম্বিত করার কৌশল, মামলা পরিচালনায় তহবিলের ঘাটতি ও বিচারব্যবস্থার অভ্যন্তরীণ বিষয়।

পরিশেষে ভুক্তভোগী সুষমা বলেন, ‘আমার সঙ্গে ঘটে যাওয়া বিষয় নিয়ে আমি কখনো ছলনা করিনি। আমার সঙ্গে যখন ওই অন্যায় করা হয়েছে, তখন আমি কিশোরী ও নিরপরাধ ছিলাম। এ ঘটনা আমার সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। এখন আমার হারানোর কিছু নেই।’

বিবিসি

ছবি প্রতীকী

*গ্রামের পুরুষদের বিয়ে করলে নারীদের জন্য বিশেষ অনুদান, সমালোচনার মুখে সরকার*

এশিয়া 

 

এসবি নিউজ ব্যুরো: গ্রামের পুরুষদের বিয়ে করলে নারীদের জন্য বিশেষ অনুদান, সমালোচনার মুখে জাপান সরকার।জাপানের গ্রামীণ এলাকায় বসবাসরত পুরুষদের বিয়ে করার ব্যাপারে নারীরা কম আগ্রহী। তাই গ্রামের পুরুষদের বিয়ে করতে উৎসাহী করে তুলতে নারীদের নগদ বিশেষ অনুদান দেওয়ার একটি পরিকল্পনা হাতে নেয় দেশটির সরকার। এমনকি দাম্পত্য সঙ্গী খোঁজার জন্য নারীদের বিনা মূল্যে ট্রেনের টিকিট দেওয়ার পরিকল্পনাও ছিল সরকারের। তবে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে সরকার। তাই সেই পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন দেশটির এক মন্ত্রী।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাপানে গ্রামীণ এলাকায় জনসংখ্যা প্রতিনিয়ত কমছে। বিশেষ করে নারীর সংখ্যা কমছে আশঙ্কাজনকহারে। গ্রামে জনসংখ্যা বাড়াতে বিশেষ করে নারী–পুরুষের সমতা আনতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যে রাজধানী টোকিওর বাইরের পুরুষদের বিয়ে করলে নারীদের সর্বোচ্চ ৬ লাখ ইয়েন বিশেষ অনুদান দেওয়ার পরিকল্পনা তুলে ধরেছিলেন আমলারা।

গ্রামীণ এলাকায় জনসংখ্যা ও জন্মহার কমসহ এসব বিষয় নিয়ে কাজ করার জন্য জাপান সরকারের বিশেষ একটি মন্ত্রণালয় আছে। সেই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হানাকো জিমি শুক্রবার জানিয়েছেন, গ্রামীণ পুরুষদের বিয়ে করলে নারীদের নগদ বিশেষ অনুদান দেওয়ার যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, তা ‘পুনরায় বিবেচনা’ করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিশেষ অনুদান পরিমাণ নিয়ে যেসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তা সত্য নয় বলেও তিনি দাবি করেছেন।

গ্রামীণ পুরুষদের বিয়ে করলে কী পরিমাণ বিশেষ অনুদান দেওয়া হবে, সরকার তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়ার আগেই এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে হাস্যরস ও ব্যাপক সমালোচনাও হয়।

সরকারের এই পরিকল্পনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একজন যেমন লিখেছেন, ‘তারা (সরকার) কি ভেবেছে যে একজন শহুরে, স্বনির্ভর ও শিক্ষিত নারী ৬ লাখ টাকার কথা শুনে গ্রামে চলে যাবে এবং একজন গ্রামীণ পুরুষকে বিয়ে করবে। এটা হয় নাকি?’ আরেকজন লিখেছেন, ‘যারা নারীকে শুধু সন্তান জন্মদানের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ মনে করে, তাদের মাথা থেকেই এমন চিন্তা আসতে পারে।’

বিশ্বের চতুর্থ বৃহৎ অর্থনীতির দেশ জাপানের অনেক গ্রামীণ এলাকায় জনসংখ্যা সংকট তৈরি হয়েছে। এর পেছনে অন্যতম একটি কারণ হলো উচ্চশিক্ষা ও ভালো চাকরি পাওয়ার আশায় গ্রাম ও ছোট ছোট শহরগুলো থেকে তরুণদের তুলনায় তরুণীরা বেশি বড় বড় শহরগুলোয় পাড়ি জমাচ্ছেন, বিশেষ করে টোকিওতে। ছোট ছোট শহরগুলোয় শিশুদের দেখা পাওয়া দুষ্কর। ছোট এমন অনেক শহর আছে, যেখানে কোনো শিশুই নেই।

গত এপ্রিলে জাপানের গ্রামীণ এলাকার জনসংখ্যা নিয়ে একটি গবেষণা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, দেশটির মোট পৌর এলাকার ৪০ কি শতাংশের বেশি ‘জনশূন্য’ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে আছে। কারণ, এসব এলাকায় বয়স ২০ ও ৩০ এর কোটায়—এমন নারীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত কমছে।

ছবি সৌজন্যে:এএফপি,টোকিও।

রোনালদোই কি ইউরোপে সর্বকালের সেরা

খেলা 

এসবি নিউজ ব্যুরো: এ বছরের মে মাসেই ইউরোপের সর্বকালের ১০০ ফুটবলারের তালিকা প্রকাশ করে বিখ্যাত ফুটবল সাময়িকী ফোরফোরটু। তাদের তালিকাতেও সবার ওপরে জায়গা পেয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এই তালিকায় রোনালদোর পরের নামগুলো ইয়োহান ক্রুইফ, ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, জিনেদিন জিদান, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, ববি চার্লটন, গার্ড মুলার, পাওলো মালদিনি, জাভি ও মিশেল প্লাতিনি।

বিশ্ব ফুটবলে ক্রুইফ অবিসংবাদিত এক নাম। সম্ভবত ফুটবল মাঠে শীর্ষ তারকাদের সামগ্রিক প্রভাবকে বিবেচনায় নিলে, ক্রুইফ বাকিদের চেয়ে যোজন দূরত্বে এগিয়ে থাকবেন। কোচ রাইনাস মিশেলের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘টোটাল ফুটবল’ নামের যুগান্তকারী এক তত্ত্ব নিয়ে হাজির হয়েছিলেন ক্রুইফ। শুরুতে ডাচ ক্লাব আয়াক্সে এই কৌশলের প্রবর্তন করেন তাঁরা। পরে ১৯৭৪ বিশ্বকাপে মিশেল-ক্রুইফ যুগলবন্দীতে এই কৌশলে খেলে সবাইকে চমকে দিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। এমনকি পরবর্তী সময়ে আধুনিক ফুটবলের অনেক কিছুই এই টোটাল ফুটবল থেকেই ধার করা।

ছবি সৌজন্যে: X

*গোলাম মুরশিদ স্মরণসভা*

 

'কলমের শক্তিকে প্রমাণ করেছেন গোলাম মুরশিদ'

এসবি নিউজ ব্যুরো:নিষ্ঠাবান গবেষকের সঙ্গে গোলাম মুরশিদের ছিল এক সত্য জীবনযাপন। কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নোয়াননি তিনি। নিজের মৌলিক রচনা দিয়ে গোলাম মুরশিদ বাংলা ভাষার গবেষণাকে নিয়ে গিয়েছেন অনেক দূরে। তাই তাঁর কাজ নিয়ে চর্চাই হবে এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

গতকাল শনিবার প্রয়াত গবেষক গোলাম মুরশিদ স্মরণসভায় উঠে আসে এসব কথা। ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে শুরু হয় এ স্মরণ আয়োজন। বাংলাদেশ, ভারত, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এতে অংশ নিয়েছেন শিক্ষক, গবেষক, শিল্পী, সাংবাদিক ও গোলাম মুরশিদের পরিবারের সদস্যরা।

অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহা বলেন, গোলাম মুরশিদ শুধু সহকর্মী নন, ছিলেন সহমর্মীও। গোলাম মুরশিদের আশার ছলনে ভুলি, বিদ্রোহী রণক্লান্ত বই দুটির প্রসঙ্গ টেনে সনৎ কুমার সাহা বলেন, অক্লান্ত পরিশ্রমী গোলাম মুরশিদের কাজ সাহিত্যে আগ্রহীদের কাছে শ্রদ্ধার সঙ্গে থাকবে। তাঁর স্মৃতিচারণায় উঠে আসে মুক্তিযুদ্ধের সময় একসঙ্গে নৌকায় করে পদ্মা নদী অতিক্রমের কথা।

ব্যারাকপুর আনন্দপুরীতে ডাকাতিতে এসে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর পুত্রকে খুনে ধৃতদের দোষী সব্যস্ত করলো আদালত


প্রবীর রায়: ২০২৩ সালের ২৪ মে ভরসন্ধ্যায় ব্যারাকপুর আনন্দপুরীতে সোনার দোকানে ডাকাতিতে বাধা পেয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর পুত্রকে গুলি করে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা। ঘটনার তদন্তে নেমে তদন্তকারীরা পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।শনিবার ধৃতদের দোষী সব্যস্ত করলো ব্যারাকপুর আদালত। আগামী ২ সেপ্টেম্বর আদালত সাজা ঘোষণা করবে।

এদিন বিকেলে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া সাংবাদিক বৈঠক করে জানান," ১৫ মাসের মধ্যে ডাকাতির ঘটনার কিনারা করা সম্ভব হয়েছে। ঘটনায় কোনও প্রত্যক্ষদর্শী ছিল না। ফেলে যাওয়া ব্লুটুথ ডিভাইসের সূত্র ধরে ঘটনায় জড়িতদের পাকড়াও করা হয়েছে"।

পুলিশ কমিশনার জানান, আদালত ২ সেপ্টেম্বর সাজা ঘোষণা করবে। এদিকে ঘটনার কিনারা হওয়ায় খুশিতে মৃতের বাবা স্বর্ণ ব্যবসায়ী নীল রতন সিংহ পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়াকে এদিন সাংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন। নীল রতন বাবু অপরাধীদের ফাঁসি চাইলেন।

*কবিতা*


"আলগা বাঁধন"

 গোপাল মাঝি* 

সম্পর্ক কোন ছিল নাতো 

    তোমার সঙ্গে মোর,

প্রথম দেখায় যেন হোল 

     রাত পেরিয়ে ভোর ।

দেওয়া -নেওয়া হোল মন 

     ভরা যৌবন কালে,

কাটতো সময় দুই জনারই 

    সুর - ছন্দ তালে ।

বয়সে বার্ধক্য আসতেই কেমন 

    আলগা হোল টান,

বাক্যবানে জর্জরিত এ' মন 

     যেন ওষ্ঠাগত প্রাণ ।

আঘাত যদি পায় কেহ 

    আপন জনের কাছে,

সে' আঘাত বিধবে বুকে 

    যেন পাশুপাত বানে!

কোন ওষুধে কমবে নাতো 

    বুকের এ' ব্যথা,

বুঝবে কেউ সারবে কেমনে 

    এমন রোগের কথা?

কাটছে সময় এখন আমার 

    নিশি জাগরণে,

সময় হাতে নেই বেশী 

    ফিরবো ভাঁটার টানে!