খেলার মাঠ দখল করতে এসে শ্যামনগরে ক্ষিপ্ত জনতার হাতে আটক ব্যক্তি

উত্তর ২৪ পরগনা: শ্যামনগর পন্ডিত পুকুরে বুড়ির মাঠ মাপজোক করতে এসে আটক এক ব্যক্তি। স্থানীয়রা জানান, বহু বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ছয়-সাত বিঘে আয়তনের ওই জমি নিরঞ্জন সেন পল্লী নেতাজী সংঘ দেখভাল করছে। অভিযোগ, বেলঘড়িয়ার বাসিন্দা শঙ্কর রায় নামে এক ব্যক্তি দু'জন সাফাই কর্মীকে নিয়ে বুড়ির বাগানে আসন।

মাপজোক করার সময় এলাকার লোকজন এসে শঙ্কর বাবুকে পাড়ার ক্লাবে আটকে রাখেন। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনার খবর পেয়ে জগদ্দল থানার পুলিশ এসে শঙ্কর রায় নামে ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। ভাটপাড়া পুরসভার সিআইসি তথা ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিমাংশু সরকার বলেন, পুরসভার ২৮ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বুড়ির মাঠ নামক খেলার মাঠটিকে বহু বছর ধরে আগলে রেখেছেন।

কিন্তু মাঠটি ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। এদিন এক ব্যক্তি এসে দাবি করেন জমির মালিক রতন রায়। তিনি মালিকের কথা মতো জমিটা দেখভাল করতে এসেছিলেন। কিন্তু জমির সঠিক নথিপত্র দেখাতে না পারায় পুলিশ ওই ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে গেছে।

রাম মন্দির নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য অধীরের

রাম মন্দির নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। রাম জন্মভূমি অভিষেক অনুষ্ঠান নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী বিজেপিকে নিশানা করে জানিয়েছেন, চতুরভাবে ভগবান রামকে ধর্মের সীমানা থেকে রাজনীতিতে আনার চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেছেন, "সুপ্রিম কোর্ট রাম মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার পরে, এটি ধীরে ধীরে একটি রাজনৈতিক স্টান্ট এবং একটি নির্বাচনী ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি যে তারা চতুরভাবে ভগবান রামকে ধর্মের সীমানা থেকে রাজনীতিতে আনার চেষ্টা করছে।"

*ফটো গ্যালারী* *নবনির্মিত অযোধ্যা রেল স্টেশন উদ্ভোধনের পাশাপাশি নতুন অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী*
রাম মন্দির উদ্বোধনে মাতোয়ারা সারা দেশের হিন্দু সনাতনীরা, ধর্মপ্রাণ নদীয়ায় তার চূড়ান্ত প্রস্তুতি, ফুলিয়া কৃত্তিবাস মন্দিরে বাধ ভাঙ্গা উচ্ছ্

নদীয়া:আগামী ২২ শে জানুয়ারি অযোধ্যায় উদ্বোধন হতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত রাম মন্দির। সারা পৃথিবীতে বসবাসকারী সনাতন হিন্দু ধর্মীয় মন্দির সংস্থা এবং সংগঠন গুলির কাছে ইতিমধ্যেই আমন্ত্রণ পৌঁছে গেছে । তবে সনাতনীর মূল পিঠস্থান এ বাংলা বিশেষ করে ধর্মপ্রাণ নদিয়ার ব্যস্ততা আরো একটু বেশি। কৃষ্ণনগর থেকে টেরাকোটা শিল্পীর কাজ পৌঁছাচ্ছে সেখানে, নবদ্বীপ থেকে কীর্তন দল, বিভিন্ন গৌড়ীয় মঠের সদস্যরা, সারা ভারত শিল্পী সংসদ এর সদস্যরা বেশিরভাগ এ বাংলারই, তাই অযোধ্যায় উদ্বোধন হলেও বাংলার ধর্মপ্রাণ মানুষজন নাওয়া খাওয়া ভুলেছেন।

তবে যে রাম মন্দির নিয়ে এত মাতামাতি সেই রামায়ণ সংস্কৃত ভাষায় রচনা করেছিলেন বাল্মিকী কিন্তু বাংলা ভাষায় তা প্রথম অনুবাদ করেন, এবং বাঙালির কাছে তা স্বরলীকরণ করার ব্যবস্থা করেন নদীয়ার ফুলিয়া বয়রা অঞ্চলের কবি কৃত্তিবাস ওঝা। বিভিন্ন ভাষায় রামায়ণের অনুবাদ হলেও বাংলায় অনুবাদ সর্বশ্রেষ্ঠ বলে মানেন পৃথিবীর সকল কবি সাহিত্যিকরা শুধু তাই নয় মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা কবি কৃত্তিবাস শ্রী রাম পাঁচালীর রচয়িতা, এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি ধর্মগ্রন্থ তিনি রচনা করেন কিন্তু দুঃখের বিষয়, বর্তমানে ন্যাশনাল লাইব্রেরীতে তার কোনো অস্তিত্ব নেই, অনুমান করা হয় চন্দননগরে ফরাসি উপনিবেশ স্থাপিত ছিল এবং সে সময়ে জল পথে যাতায়াত চলতো। ময়ূর সিংহাসন কোহিনুর হীরের মতন হয়তো মূল্যবান সেই পান্ডুলিপিও সেই সময় উধাও হয়। তবে বর্তমান সরকার তা অনুলিপি হিসাবে সংগ্রহ করে রেখেছে ন্যাশনাল লাইব্রেরির সংগ্রহশালায়।

ফুলিয়ার কৃত্তিবাস লাইব্রেরী এবং কৃত্তিবাস সংগ্রহশালায় রামায়ণ এবং কবি কৃত্তিবাস কে নিয়ে লেখা বিভিন্ন কবি সাহিত্যিকদের গ্রন্থ সুরক্ষিত রয়েছে। তবে সেই সকল বিষয়ে পড়াশোনা করা ছাত্র-ছাত্রীদের কিংবা পর্যটকদের দেখার জন্য ব্যবস্থা থাকলেও তা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে বিস্তর। অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে চলা কৃত্তিবাস মেলা নিয়েও চলে রাজনৈতিক চাপানোতর। তবে ধর্মপ্রাণ মানুষজন এত বড় মাপের মহান এক কবি কে নিয়ে সরকারি উদাসীনতায় অসন্তুষ্ট। তারা জামাচ্ছেন সেই বট বৃক্ষ আজও রয়েছে যার তলায় বসে তিনি রামায়ণের অনুবাদ করেছিলেন, রয়েছে তাঁর সমাধিস্থলও। তাই তাই পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র বিন্দু হওয়া দরকার এই স্থান যা একমাত্র সরকারি উদ্যোগেই সম্ভব।

তবে আসন্ন রাম মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে তারাও পেয়েছেন ডাক। তাই উচ্ছ্বাসের সাথে খোল কীর্তন সহযোগে তারাও পৌঁছবেন। তাই চূড়ান্ত প্রস্তুতি হিসেবে মন্দির প্রাঙ্গণে সবসময় সবসময় ধর্মপ্রাণ ভক্তদের আনাগোনা। সর্বক্ষণ চলছে রাম নাম সংকীর্তন, কবি কৃত্তিবাস নামাঙ্কিত উচ্চ বিদ্যালয় ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ছাত্রছাত্রীদের সাজানো হয়েছে রাম সীতা সহ নানান অধ্যায়ের চরিত্র। নাচ গান নাটক আবৃত্তির মধ্যে দিয়ে প্রচারিত হচ্ছে সেই রামেরই বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী।

হাতির হানায় ভাঙ্গলো মাটির বাড়ির একাংশ

বাঁকুড়াঃ হাতির হানা অব্যাহত বড়জোড়ার গ্রামে। খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে ঢুকে পড়া দুই জংলি হাতির আক্রমণে জনৈকা মানা বাউরী নামে এক মহিলার মাটির বাড়ি ভেঙ্গে পড়লো। শুক্রবার রাতে বড়জোড়ার সঁয়েরগ্রামের ঘটনা।

বনদপ্তর সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে বড়জোড়া রেঞ্জের বড়জোড়ায় ২২ টি, উত্তর সরাগড়ায় ৩ টি, দক্ষিণ সরাগড়ায় ১ টি, মাঝমুড়ায় ১ টি, সাহারজোড়ায় ৪০ টি, ও বেলিয়াতোড় রেঞ্জের রশিকনগরে ১ টি হাতি রয়েছে।

ওই রাতের ঘটনার বর্ণণা দিয়ে মানা বাউরী বলেন, আমরা সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম, তখনই দু'টি হাতি আক্রমণ করে। মাটির বাড়ির দেওয়াল ভেঙ্গে পড়লেও অল্পের জন্য তাঁরা প্রত্যেকেই প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন বলে তিনি জানান।

বনদপ্তরের পক্ষ থেকে ওই এলাকার মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি নিয়ম মেনে আবেদন করলে সরকারী নিয়মানুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাবেন বলেও জানানো হয়েছে।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তিন বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করলো গাংনাপুর থানার পুলিশ

নদীয়া:গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে রাখালগাছি এলাকা থেকে তিন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করলো গাংনাপুর থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় গাংনাপুর থানার গোপন সূত্রে খবর পায় রাখাল গাছি এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে সদ্য বাংলাদেশ থেকে আসা তিন বাংলাদেশি। আর এর পরই গাংনাপুর পুলিশ এর বিশেষ দল রাখাল গাছি এলাকায় অভিযান চালিয়ে রথী মন্ডল নামে এক ব্যক্তির বাড়ী থেকে তিন বাংলাদেশি যুবককে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে ধৃত মোঃ বাবলু মন্ডল, সুমন মন্ডল ও ঊষা বিশ্বাস নামের তিন বাংলাদেশি যুবক বাংলাদেশের ঝিনাইদহ এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাতে দত্তপুলিয়া সীমান্ত দিয়ে বেআইনি ভাবে ভারতে প্রবেশ করে রাখালগাছি গ্রামে এসে রথী মন্ডল নামে ওই ব্যক্তির বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছিল ওই তিন বাংলাদেশী যুবক।

ঘটনার পর থেকেই পলাতক আশ্রয়দাতা রথী মন্ডল। তার খোঁজে সন্ধান শুরু করেছে গাংনাপুর পুলিশ। অন্যদিকে ওই তিন বাংলাদেশী কি উদ্যেশে ভারতে বেআইনি ভাবে প্রবেশ করেছিল তা জানতে তদন্ত চালাচ্ছে গাংনাপুর থানা। শনিবার ধৃত তিন বাংলাদেশীকে রানাঘাট আদালতে তুলছে গাংনাপুর পুলিশ।

উদ্বোধন হল অযোধ্যা ধাম জংশন রেলওয়ে স্টেশন

উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় ১৪ কিলোমিটারের রোড শো শেষ করে অযোধ্যা ধাম জংশন রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী। আর তারপরই অযোধ্যা ধাম জংশনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

২৪০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে বিকশিত, তিনতলা আধুনিক রেলওয়ে স্টেশন বিল্ডিংটি সমস্ত আধুনিক বৈশিষ্ট্য দিয়ে সজ্জিত। যেখানে রয়েছে লিফট, এসকেলেটর, ফুড প্লাজা, পুজোর প্রয়োজনীয় দোকান, ক্লোক রুম, চাইল্ড কেয়ার রুম, ওয়েটিং হল সহ বিশিষ্ট সব ক্ষেত্র। এই স্টেশন 'সকলের জন্য অ্যাক্সেসযোগ্য' এবং 'IGBC সার্টিফাইড গ্রিন স্টেশন বিল্ডিং' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রক সূত্রে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে এই সকল তথ্য।

*ফটো গ্যালারী* *অযোধ্যা সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী* *নিজস্ব ছবি*
অযোধ্যায় চারিদিকে মোদী মোদী রব

অপেক্ষার অবসান, ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে আজ অযোধ্যায় পৌঁছেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । আজ বিমানবন্দরে মোদীকে পুষ্পস্তবক দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়।

এদিন বিমানবন্দর থেকে বেরিয়েই ধর্ম রোডে মেগা রোড শো করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাঁকে দেখে সর্বত্র উঠেছে মোদী মোদী রব। মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে রীতিমতো স্বাগত জানালো অযোধ্যা।

কলকাতা পুলিশের "সেফ ড্রাইভ,সেফ লাইফ হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হবে ২১ জানুয়ারি

কলকাতা: কলকাতা পুলিশের 'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ" হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হবে ২১ জানুয়ারি। তার আগে ভিক্টোরিয়ার সামনে থেকে প্রোমো রানে যোগ দিলেন কলকাতা পুলিশের কর্তারা। উপস্থিত ছিলেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।

তিনি জানান,' এ বছর সব থেকে বড় ম্যারাথন আয়োজিত হবে এটি। এছাড়া ৩১শে ডিসেম্বর এবং ১লা জানুয়ারি নিরাপত্তা উপলক্ষ্যে পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স রয়েছে বলে জানান কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত কুমার গোয়েল।"