/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png StreetBuzz বিশেষ সক্ষম ব্যক্তিদের রাজ্যের পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে হয়রানি নিয়ে বিরক্ত কলকাতা হাইকোর্ট West Bengal Bangla
বিশেষ সক্ষম ব্যক্তিদের রাজ্যের পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে হয়রানি নিয়ে বিরক্ত কলকাতা হাইকোর্ট

কলকাতা: বিশেষ সক্ষম ব্যক্তিদের রাজ্যের পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে হয়রানি নিয়ে বিরক্ত কলকাতা হাইকোর্ট। এই নিয়ে খুব প্রকাশ করলেন প্রধান বিহারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। তাঁর মন্তব্য, রাজ্যের সব ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক কর্মী থাকায় কাজে দায়সারা মনোভাব দেখা দিচ্ছে। এতেই ভোগান্তি বাড়ছে বলে মত প্রধান বিচারপতির। তিনি বলেন, এরাজ্যে কেন আলাদা পোর্টাল চলছে। যদি সেটা হয়েও থাকে তবে কেন কেন্দ্রীয় পোর্টাল থেকে তথ্য নেওয়া হচ্ছে না। এই ধরনের মানুষের জন্য এটা হয়রানি বলেই মনে করছে আদালত বলে জানান প্রধান বিচারপতি। বিশেষ সক্ষম মানুষদের সুবিধার্থে ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ইউডিআইডি (ইউনিক ডিসএবলিটি কার্ড) কার্ডের ব্যবস্থা করে।

অভিযোগ, রাজ্য এই পোর্টাল থাকার পরেও আলাদা করে এই ধরেন মানুষদের জন্যে নির্দিষ্ট পোর্টাল খোলে। এই পোর্টাল থেকে কার্ড দেওয়ার কথা বলা হয়। অভিযোগ যখনই সেখানে নাম নথিবদ্ধ করতে চাইছেন প্রার্থীরা তাদের নাম নথিবদ্ধ বলে দেখানো হচ্ছে। ফলে কেউ কার্ড পাচ্ছেন না। এই অভিযোগ তুলে বিশেষ ভাবে চাহিদা সম্পন্নদের পরিবার আদালতে মামলা করে। প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, কেউ কাজ করতে চায় না। এ ওকে দেখাচ্ছে ও তাকে দেখাচ্ছে। একজন চিকিৎসক সব কাজ করবেন এটা আশা করা যায় না। হাসপাতালের ৮০ % কর্মী চুক্তিভিত্তিক। তারা ১২-১৩ হাজার টাকা করে পায়। কি কাজের আশা করবেন তাদের কাছ থেকে। এর পরই তিনি বলেন, রাজ্য আরেকবার আদালতে বলুক ই-পোর্টাল এ রাজ্য শীর্ষে। আমি বুঝিয়ে দেব। এদিন রাজ্যকে তিনি প্রশ্ন করেন আপনাদের কতজন কর্মী চুক্তিভিত্তিক।

রাজ্যের আইনজীবী বলেন, জানি না। বিরক্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনার জানা উচিৎ। মানুষ দূর থেকে আসেন। কত কত টাকা খরচ করে তারা কলকাতায় থাকেন। সব জায়গায় চুক্তি ভিত্তিক কর্মী বেশি। এসএসকেএম হাসপাতালে কতজন চুক্তি ভিত্তিক। তিনি বলেন, খুব খারাপ লাগে ই-পোর্টাল না খুললে। জয়েন্ট ডাইরেক্টর আবার বলছেন ৪৭০ কার্ড পোর্টালে হয়েছে। এই সমস্যা সাধারণ। এটা ঠিক করে নেওয়া সম্ভব। কিন্তু তা না করে এভাবে মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।

যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের অধ্যক্ষ পদে মানিক ভট্টাচার্যের নিয়োগ বেআইনি ছিল, ইউজিসি হলফনামা দিয়ে জানালো কলকাতা হাইকোর্টে

কলকাতা: ১৯৯৮সালে যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের অধ্যক্ষ পদে মানিক ভট্টাচার্য্য ও লেকচারার পদে সুনন্দা গোয়েঙ্কা ও অচিন্ত কুন্ডুর নিয়োগ বেআইনি ছিল। ১৯৯৮ সালে ওই পদে বসার মতো তার কোনো যোগ্যতা ছিল না বলে ইউজিসি হলফনামা দিয়ে জানালো কলকাতা হাইকোর্টে। তাঁদের মতে সুনন্দাকেও যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ করা হয়। এমনটি যোগ্যতা ছাড়াই তাঁদের নিয়োগকে স্থায়ীপদে রূপান্তর করা হয়।

বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলীর এজলাসে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মামলা করেন দানিশ ফারুকি। ওই মামলায় হলফনামা দিয়ে এই বক্তব্য জানালো ইউজিসি। ওই কলেজের অধ্যক্ষদের বেআইনি নিয়োগ সহ নানা অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল। ওই মামলায় হলফনামা দিয়ে বক্তব্য পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।

ইউজিসির মতে, অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের জন্যে স্নাতকোত্তরে ৫৫ শতাংশ নম্বর, ডক্টরেট ডিগ্রী ও নূন্যতম ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা এবং নেট উত্তীর্ণ হতে হয়। কিন্তু এই প্রার্থীরা সেই মাপকাঠি মেনে নিযুক্ত বা স্থায়ী হননি। শীতের ছুটির পরে এই মামলা ফের শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

জলাশয় ভরাট নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ায় কলকাতা পুরসভাকে জরিমানা করল কলকাতা হাইকোর্ট

কলকাতা: জলাশয় ভরাট নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ায় কলকাতা পুরসভাকে জরিমানা করল কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁদের এক লক্ষ টাকা জরিমানা বাবদ জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। অভিযোগ, শহর জুড়ে কতগুলি জলাশয় ভরাট হয়েছে, কোথায় কোথায় চলছে বেআইনি নির্মাণ, তার কোনও হিসেব দিতে পারছিল না কলকাতা পুরনিগম। নানা সময় এই সব প্রশ্নই চলছিল হাইকোর্ট। মাস কয়েক ধরে চলছিল এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি।

সোমবার সেই মামলায় কলকাতা পুরনিগমকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। বেআইনি নির্মাণ নিয়ে আাইন মানা হয় কি না, সেই প্রশ্নেরও সঠিক উত্তর দিতে পারেনি কলকাতা পুরনিগমকে। কলকাতায় একটি পুকুর বেআইনিভাবে ভরাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই মাস কয়েক আগে একটি মামলা হয় হাইকোর্টে। সেই মামলায় পুরনিগমের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল হাইকোর্ট। ২০২১ সাল পর্যন্ত রিপোর্টে জানানো হয়, ৪২২২ টির মতো জলাশয় ভরাট করা হয়েছে কলকাতায়। ২০২১-এর পরের রিপোর্ট আর দেওয়া হয়নি। তা নিয়েই অসন্তুষ্ট হন প্রধান বিচারপতি।

শুনানিতে পুরনিগমের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, আপনারা জানেন না, কোথায় জলাশয় বন্ধ করে বেআইনি নির্মাণ হয়ছে। বেআইনি নির্মাণ নিয়ে যে সব নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে কটা মানা হয়েছে বলে জানতে চায় আদালত। তিনি আরও বলেন, আপনাদের তো ভোট ব্যাঙ্ক আছে। কিছু তো করা দরকার বলেন তিনি। প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেছেন, জলাশয় নিয়ে অনেক মামলা হয়েছে। সঠিকভাবে পুরনিগম চাইলে তবেই সমস্যার সমাধান সম্ভব, নাহলে নয়।

*কয়েক হাজার টাকা সহ চার ছিনতাইবাজকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ, ধৃতদের তোলা হলো আদালতে*

সুতাহাটা: ছিনতাই হওয়া টাকা সহ চার ছিনতাইবাজকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ।তোলা হলো আদালতে।

ব্যাগে করে টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় সুতাহাটা থানার কলাতলা এলাকায় চার যুবক হলদিয়ার দূর্গাচক থানার জয়নগর এলাকার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ ভূঁইয়ার পথ আটকায়। বাইক থেকে নামিয়ে তার কাছে থাকা ব্যাগ ছিন্তাই করে পালিয়ে যায় চার ছিনতাইবাজ। যাওয়ার সময় তাদের গাড়ির নম্বর দেখে ফেলে প্রসেনজিৎবাবু।

খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ তদন্তে নেমে ঘটনার সাথে যুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারপতি তাদের পাঁচদিনের পুলিশি রিমান্ডে দেন। ধৃত চার ছিনতাইবাজ হলেন, সেখ সাখিল আনসারি খান,১৯ বছর বয়স, বাড়ি সুতাহাটা থানার ফতেপুর। তাহের আলি, ২৬ বছর বয়স, বাড়ি দূর্গাচক থানার পাথর বেড়িয়া এলাকায়। সেখ সামিরুল, ৩৫ বছর বয়স, বাড়ি দূর্গাচক থানার জয়নগর এলাকায়। আমজেদ আলি খান, ২৮ বছর বয়স, বাড়ি সুতাহাটা থানার ফতেপুর।

জানাগিয়েছে, প্রসেনজিৎবাবু শাখা ব্যাঙ্ক এর পরিষেবা প্রদান করেন। সেই পরিষেবার জন্য ব্যাগে করে ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে যাচ্ছিলো। যাওয়ার পথে আটকে ছিনতাই করে নিয়ে পালিয়ে যায়।

সুতাহাটা থানার এসআই বিভাস দোলাই জানান, আদালতের নির্দেশে আমরা চার অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে পাই। তাদের নিয়ে তদন্তে নেমে আমরা ৭৪ হাজার টাকা উদ্ধার করেছি।

সম্প্রতি কয়েক মাস আগে সুতাহাটা থানা এলাকার একটি সমবায় সমিতিতে দিনের বেলায় বন্দুক দেখিয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার পর আবার এইভাবে ছিনতাইয়ের ঘটনায় রীতিমতো চিন্তায় পড়েছে এলাকার মানুষ। এলাকায় দিনে দিনে এই ধরনের ঘটনায় পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে এলাকার মানুষ।

ক্ষতিগ্রস্ত বাঁকুড়ার কৃষি ও কৃষক

বাঁকুড়াঃ ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে মাথায় হাত বাঁকুড়ার কৃষিজীবি মানুষের। ধান চাষের জমিতে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় বিপুল ক্ষতির মুখে একটা বড় অংশের কৃষক। এই অবস্থায় কীভাবে সারা বছর সংসার চালাবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা।

ইন্দাসের ঠাকুরাণী পূস্করিণী, সিমুলিয়া, গোবিন্দপুর, পাহাড়পুর এলাকায় গিয়ে দেখা গেল ধানের জমিতে জল থৈ থৈ অবস্থা। জলের মধ্যেই ভাসছে পাকা সোনালী ধান। তার মধ্যেই সব শেষ হয়ে যাওয়ার আগে ধানের শিষ কেটে কোন রকমে কিছু হলেও ঘরে তোলার চেষ্টায় ওই এলাকার মানুষ।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক লক্ষীনারায়ণ দে, মহানন্দ নন্দীরা বলেন, এবার ধানের বেশ ভালো ফলন হয়েছিল। কিন্তু অকাল বৃষ্টিতে সব শেষ করে দিল। চার দিন হয়ে গেল, এখনো এই এলাকার প্রায় দু'শো বিঘা জমির ধান জলে ভাসছে। এই অবস্থায় সরকারী সহায়তা ছাড়া ঘুরে দাঁড়ানো অসম্ভব বলেই তাঁরা জানিয়েছেন।

কৃষকদের জন্য ১২০০ কোটি টাকার ঘোষণা মমতার

আগামীকাল কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা পাঠিয়ে দেবে মমতা সরকার, আজ বানারহাট থেকে এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ঘোষণা করলেন যে, আগামীকাল চেকের মাধ্যমে ১২০০ কোটি টাকা কৃষকদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

জলপাইগুড়িতে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সেখান থেকে তিনি কৃষক, বন্ধ হয়ে যাওয়া চা শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ান। চা বাগানের শ্রমিকদের পাট্টা বিলি হবে এখানেও। মমতা বলেন, 'রাজবংশীদের পড়াশোনার জন্য একাধিক স্কুল , কলেজ , বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে। চতুর্থ মহানন্দা সেতু হয়েছে। দেবী চৌধুরানি মন্দির, জটিলেশ্বর, জল্পেস মন্দিরে অনুদান দেওয়া হয়েছে।' এদিন ১১০ কোটি ৫০ লক্ষের মূল্যের প্রকল্প উদ্ধোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

আগামী ২৪ ডিসেম্বরের টেট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি নিয়ে বিজেপির মামলা দায়ের হাইকোর্টে

কলকাতা: রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ২৪ ডিসেম্বর তাঁর শহরে আসার কথা। আবার পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনে ওইদিন রয়েছে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষা। অনুমান করা হচ্ছে প্রায় আড়াই লক্ষ্যর বেশি প্রার্থী ওই পরীক্ষায় অংশ নেবেন। এবার ওই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি নিয়ে কলকাতা

হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। এই নিয়ে এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। আদালত তাঁকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে। দিলীপের মতে, প্রধানমন্ত্রীর সফরের জন্যে যান নিয়ন্ত্রিত হবে, পুলিশ তাঁর কর্মসূচীর সুরক্ষাতে ব্যস্ত থাকবে। এতে সমস্যায় পর্বে পরীক্ষার্থীরা। এই অবস্থায় পরীক্ষার দিন পিছিয়ে দিতে আবেদন করেছেন তিনি।

পুলিশ প্রশাসনের ঢিলে নিরাপত্তার কারণে রানাঘাট হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেলো নাবালিকা খুনের বিচারাধীন বন্দি

নদীয়া:রানাঘাট হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেলো রানাঘাট সংশোধনাগারের বিচারাধীন বন্দি। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো রানাঘাটে। সূত্রের খবর, আব্দুল গফ্ফার শেখ নামে 19 বছর বয়সী রানাঘাট উপ সংশোধনাগারের এক বিচারাধীন বন্দীকে অসুস্থ অবস্থায় রবিবার সন্ধ্যায় রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ, সোমবার আনুমানিক সকাল 11 15 নাগাদ হঠাৎই হাসপাতাল কতৃপক্ষ খেয়াল করেন সেই বেডে নেই সেই বিচারাধীন বন্দি।

আর এর পরই নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। প্রসঙ্গত গত বছর ডিসেম্বর মাসের 22 তারিখ শান্তিপুর থানার হিজুলিতে মাঠের মধ্যে থেকে এক নাবালিকার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই নাবালিকা খুনে মূল অভিযুক্ত ছিল এই আব্দুল গফ্ফর শেখ। হাসপাতালে নিরাপত্তা থাকা সত্বেও কি ভাবে ওই বিচারাধীন বন্দি পালিয়ে গেলো তা জানতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন। পলাতক বন্দিকে খুঁজে পেতে তল্লাশি শুরু করেছে রানাঘাট জেলা পুলিশ প্রশাসন।

হাসপাতালের কর্মী পরিচয় দিয়ে রোগীর আত্মীয়দের কাছে থেকে টাকা হাতানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার

নদীয়া:হাসপাতালের কর্মী পরিচয় দিয়ে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়দের কাছে থেকে টাকা হাতানোর অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল তেহট্ট থানার পুলিস। ধৃতের নাম তাপস অড্ড, তার বাড়ি মুরুটিয়া থানার রসিকপুরে।

জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই ব্যক্তি হাসপাতালে আগত বিভিন্ন রোগী ও তার পরিজনদের হাসপাতাল কর্মী পরিচয় দিত এবং বিভিন্ন অজুহাতে তাদের সঙ্গে টাকা নিত। এই নিয়ে বেশ কয়েকজন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ করলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ওই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়। আজ পুনরায় ওই ব্যক্তি হাসপাতালে এলে তাকে চিনে ফেলে ধরে ফেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এরপরই টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন ওই ব্যক্তি। এরপর তেহট্ট থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে। এই ঘটনায় তেহট্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

শীত পড়তেই আবারো গণচুরি শুরু হলো নদীয়ার শান্তিপুরে, খোয়া গেল একরাত্রে দুটি মন্দিরে দেব দেবীর সোনার উপর অলংকার এবং গৃহস্থ বাড়ির দুটি মোবাইল

নদীয়া:সম্প্রতি বেশ কয়েক মাস বন্ধ থাকলেও শীত পড়তেই আবারো গণচুরি হলো নদীয়া শান্তিপুরে। গতকাল সারারাত ধরে নদীয়ার শান্তিপুর ঢাকা পাড়া এলাকায় দুষ্কৃতীরা তান্ডব চালালো । সেখানে কৃষ্ণ সাহার কৃষ্ণ মন্দির নির্মিত হয়েছে এক বছর আগে, মোটা লোহার দরজায় লাগানো তালা ভেঙে মূল মন্দিরে প্রবেশ করে মহাদেব রাধা কৃষ্ণ গোপাল সকলের সোনা এবং রুপার গহনা নিয়ে, ক্যাশ বাক্স পাশের একটি জঙ্গলে ভেঙে সেখান থেকে থাকা ৫-৭ হাজার টাকা নিয়ে মন্দিরে মলত্যাগ করে। মন্দিরের প্রাক্তন সেবাইত নান্টু চক্রবর্তী বলেন এ ধরনের ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি যেহেতু বাড়ির মধ্যে মন্দির তাই সিসি ক্যামেরায় লাগানোর প্রয়োজন হয়নি কিন্তু এই ভাবনাই ভুল ছিলো। বর্তমান সেবাইট শ্যামল চক্রবর্তী জানান তিনি ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দরজা খুলতে এসে দেখেন তালা উধাও। শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে প্রশাসন থেকে কিছুক্ষণ বাদেই আসবেন বলেছেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসেবে জানিয়েছেন আনুমানিক ২৫-৩০ হাজার টাকা নগদ অর্থ এবং সোনা রুপোর অলংকার মিলিয়ে হতে পারে।

ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে শ্যামল চৌধুরীর বাড়ির মনসা মন্দিরেও একইভাবে ঘটে রাখা টাকা এবং মনসা মায়ের সোনা এবং রুপোর অলংকার চুরি যায় । তারা অবশ্য এখনো লিখিত অভিযোগ জানাননি তবে ছেলে বাড়ি ফেরার পরে জানাবেন Asks আমাদের জানিয়েছেন। তাদের চুড়ি যাওয়া সামগ্রী এবং নগদ অর্থ মিলিয়ে আনুমানিক ১০-১৫ হাজার টাকা কাছাকাছি বলেই জানিয়েছেন পরিবার।

তার কিছুটা দূরে আরেকটি রাধাগোবিন্দ মন্দির রয়েছে সেখানে অবশ্য মন্দিরে দরজা ভাঙার চেষ্টা করলেও হয়তো পারিনি। তাই গৃহস্থ্য পরিবার থেকে মিলন দাস ও মিঠুন দাস দুই ভাইয়ের দুটি এন্ড্রয়েড মোবাইল মাথার পাশে জানলা খুলে লাঠি দিয়ে লগা বানিয়ে চুরি করে নিয়ে গেছে বলেই জানান গৃহবধূ অঙ্কিতা দাস। তিনি বলেন মধ্য রাতে প্রচন্ড পরিমাণে কুকুরের ডাক থেকে তিনি একটা সন্দেহ করেছিলেন তবে ভোর চারটে নাগাদ জানলা খোলা দেখে প্রথম সন্দেহ হয় তারপর দুই ঘরে দুই ভাইয়ের মাথার কাছে রাখা দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল পাওয়া যায়নি যার মধ্যে একটি সম্পূর্ণ নতুন অন্যটি মাস চার হবে। এক্ষেত্র তাদের বাড়ির পেছনে মলত্যাগ করে গেছে ওই দুষ্কৃতীরা । দুটি মোবাইলের আনুমানিক মূল্য ৪০ হাজার টাকার কাছাকাছি। তারাও লিখিত অভিযোগ জানাবেন বলেই জানিয়েছেন আমাদের।

যদিও বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে শান্তিপুর থানার পুলিশ অতি তৎপরতার সাথে বিষয়টি তদন্ত নেমেছে বলেই জানা গেছে থানা সূত্রে । তবে মন্দিরের ক্ষেত্রে সিসি ক্যামেরা লাগানো অত্যন্ত জরুরী হয়ে উঠেছে বিগত দিনে এইরকম একের পর বিভিন্ন মন্দিরে চুরির পরিপ্রেক্ষিতে। তবে গৃহস্থ পরিবারের ক্ষেত্রেও সজাগ থাকতে হবে।