/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png StreetBuzz *ফের বোমাবাজি ও গুলি চলল জগদ্দলে* West Bengal Bangla
*ফের বোমাবাজি ও গুলি চলল জগদ্দলে*

প্রবীর রায় : পুজোর মধ্যেই মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ফের গুলি ও বোমাবাজির ঘটনাটি ঘটেছে ব্যারাকপুর জগদ্দলে। পরপর বোমাবাজির জেরে ধোঁয়ায় সাদা হয়ে যায় জগদ্দলের মেঘনা মোড়। যেখান থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বেই ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের বাড়ি। আর শুধুই বোমাবাজি করেই যারা তাঁরা ক্ষান্ত হয়েছিল এমনটা নয়। অর্জুন সিংয়ের অভিযোগ, বোমাবাজির পর গুলি ছুড়তে শুরু করে ওই দুষ্কৃতীরা। বিজেপি নেতা বললেন, ‘তখন ওই সাড়ে ১২টা বাজে। আমি বাড়িতে টিভি দেখছিলাম। হঠাৎ শুনতে পাই বাইরে তুমুল চিৎকার চলছে। পুজো মণ্ডপে দুই দলের মধ্যে গালিগালাজ করা নিয়ে বচসা বেঁধে যায়। ওই সময় মণ্ডপেই বেশ কিছু পুলিশ মোতায়েন ছিল। ওরা একটা গোষ্ঠীকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। তারপরই শুরু হয় বোমাবাজি।’ তিনি আরও বলেন,‘পাশে একটি নির্মীয়মান মন্দির রয়েছে, সেটির দেওয়ালের ওপার থেকে দেখি বোমা ছুড়ছে, গুলি করছে। আমার কাছে ভিডিয়ো রয়েছে। পুলিশ দেখে পালাচ্ছে। তখনই আমি তেড়ে গিয়েছি, সব পালিয়ে যায়। এই বেচারা পুলিশদের খুব বাজে অবস্থা। যে ভাবে বোমা-গুলি চালিয়েছে, পাল্টা গুলি চললে কারো মারা যাওয়ার সম্ভবনা থাকত। সবটাই পূর্বপরিকল্পিত ছিল।’ বোমাবাজির মাঝে পড়ে ক্ষতি হয়েছে অর্জুন সিংয়ের ভাইপো সঞ্জয় সিংয়ের গাড়ি। যে এলাকায় বোমা পড়েছে, গুলি চলেছে, সেখানেই খোলা আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে ছিল নেতার ভাইপোর গাড়ি। অভিযোগ, ওই গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।ইট-পাটকেল ছুড়ে কাচ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

অনাথ শিশুদের নিয়ে ঠাকুর দেখল বসিরহাটের তৃণমূল ছাত্র যুব সংগঠন

নিজস্ব প্রতিনিধি: তাদের পরিচয় অনাথ। কোন এক অজ্ঞাত কারণে তারা বাবা-মায়ের থেকে দূরে চলে যেতে হয়েছিল। তাই তারা অনাথ। তাদের নেই বাবা-মা, নেই কোনো পরিজন। তাই মন্ডপে মন্ডপে গিয়ে ঠাকুর দেখানোর লোক তাদের কেউ নেই। তাদের সেই আক্ষেপ মেটাতে উদ্যোগী হল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। শহর বসিরহাটের দুটি অনাথ আশ্রমের প্রায় ৫০ জন কচিকাঁচাদের সঙ্গে নিয়ে তাদের হাত ধরে সপ্তমীর সকালে বসিরহাটের বড় বড় পুজো প্রদক্ষিণ করালো ওই ছাত্র-ছাত্রীরা। রীতিমতো দুটি বাস ভাড়া করে বসিরহাটের বিভিন্ন প্যান্ডেলে ঘোরানো হল। সঙ্গে ছিল ফ্রাইড রাইস ও চিলি চিকেন দিয়ে দেদার খাওয়া দাওয়া। উদ্দেশ্য অনাথ ওই কচিকাচাদের মুখে হাসি ফোটানো। ঠাকুর দেখতে বেরোনো এক শিশুর কথায়, "আমাদের বাবা-মা বা পরিজন তো কেউ নেই। তাই এই দাদা দিদিরা প্রতিবছরই আমাদেরকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে নিয়ে যায় এবং রকমারি খাবার খাওয়ায়। আমরা যা পেয়ে খুবই উচ্ছসিত।" এই কর্মকান্ডের মূল উদ‍্যোক্তা তৃণমূলের বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার ছাত্র পরিষদের সভাপতি অভিষেক মজুমদার রিকি বলেন, "আমাদের মূল লক্ষ্য এই বাচ্চাদের মুখে হাসি ফোটানো। প্রতি বছরই আমরা এই শিশুদের নিয়ে ঠাকুর দেখতে বের হই। সারা বছর ধরে আমরা ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের পয়সা জমিয়ে তাদের আনন্দের ব্যবস্থা করি।"

সম্প্রীতির অনন্য নজির সীমান্তের নাকুয়াদহে,সব সম্প্রদায়ের মানুষ মাতলো দুর্গোৎসবে

বসিরহাট: সম্প্রীতির রঙে রঙিন নাকুয়াদহ দুর্গোৎসব।ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ইটিন্ডা-পানিতর পঞ্চায়েতের নাকুয়াদহ গ্রাম। সীমান্তের জিরো এরিয়া। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ভারী বুটের আওয়াজ, অন্যদিকে দুই দেশের নিরাপত্তারক্ষীদের সতর্ক প্রহরা। বিনোদনের লেশ মাত্র নেই। নাকোয়াদহের ওয়েসিস ক্লাবের ৯০ শতাংশ সদস্য মুসলিম, আর বাকি ১০ শতাংশ হিন্দু সম্প্রদায়ের। এই ভৌগোলিক ও জনসংখ্যাগত বৈশিষ্ট্যের মধ্যেও ধর্মের ভেদাভেদকে দূরে সরিয়ে রেখে এ বছর থেকে শুরু হল সম্প্রীতির দুর্গোৎসব। দুই সম্প্রদায়ের মিলিত এই প্রচেষ্টা সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত। রবিবার বিকালে উৎসবের শুভ সূচনা করেন বিশিষ্ট সমাজসেবী ও পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ সরিফুল মন্ডল। উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের অন্যান্য সদস্যরা।

*ईछापुर आनंदमठ हरिसभा सर्वजनिक दुर्गोत्सव समिति की पूजा का थीम, 'प्रवाहिनी'*

बाराकपुर: ईछापुर हरिसभा प्रांगण में ईछापुर आनंदमठ हरिसभा सार्वजनिक दुर्गोत्सव समिति की पूजा इस बार 77वें वर्ष में है। इस बार का थीम 'प्रवाहिनी' है। जहां दुर्गा को प्रवाहिनी के रूप में चित्रित किया गया है। नाव पर देवी एक पैर पर खड़ी हैं। गोद में महिषासुर है। देवी महिषासुर का वध नहीं कर रही हैं। समिति के सदस्य राणा दत्त बताते हैं, प्रवाहिनी के मन में वह शक्ति है, वह नारी है, जो एक ऐसा प्रवाह है जिसकी गति कभी नहीं रुकती। वह धारा के माध्यम से चलती है, बाधाओं को पार कर आगे बढ़ने वाली एक चेतना है। समाज में मौजूद कुसंस्कृति, अहंकार, भेदभाव, गलत प्रौद्योगिकी निर्भरता और आत्मकेंद्रितता को ध्वस्त कर एक उदार और स्वस्थ समाज व्यवस्था का निर्माण करती है। माँ यहाँ सिर्फ दैवी शक्ति नहीं है, बल्कि एक सतत समाज के क्रांति का प्रतीक है। जो जड़ता को तोड़कर परिवर्तन की लाई हुई झरने की आवाज है।

फोटो: प्रवीर रॉय।

*মিউনিখের দুর্গোৎসব – যেন মহামিলনের মহোৎসব*

ডেস্ক : পর পর ৬ বছর তারা অসাধারণভাবে পুজো করে আসছেন। পুজোর সমস্ত রীতি মেনেই আয়োজন করা হয় পুজোর। গত ছয় বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে ‘শারদ সম্প্রীতি’ নামক এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুর্গোৎসব হিসেবে, যা আজ প্রবাসী বাঙালিদের পাশাপাশি স্থানীয় জার্মান সমাজেও একটি বহুল প্রতীক্ষিত উৎসবে পরিণত হয়েছে। সংগঠনের সদস্যেরা প্রত্যেকেই কোনও না কোনও ভাবে বাঙালি ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত। পুজোর প্রতিটি খুঁটিনাটি— মণ্ডপ সাজানো, ফল কাটা থেকে দেবীর ভোগ রান্না করা—সবই সদস্যদের নিজস্ব উদ্যোগে সম্পন্ন হয়। কলকাতা থেকে বিশেষ ভাবে আগত পুরোহিত মহাশয় প্রথম দিন থেকেই আচার-অনুষ্ঠান সম্পূর্ণরূপে শাস্ত্রবিধি মেনে করে আসছেন। আর, বিদেশের কোনও উইকএন্ড পুজো নয়, নির্ঘণ্ট মেনে পঞ্জিকা মতে ‘শারদ সম্প্রীতি’র পুজো হয় ষষ্ঠী থেকে দশমী।

দিনের বেলায় পুজোপাঠ আর অঞ্জলি, সন্ধ্যায় আনন্দোৎসব— এ ভাবেই জমে ওঠে উৎসবের আবহ। নাচ, গান, নাটক আর সঙ্গীতানুষ্ঠানে রঙিন হয়ে ওঠে প্রতিটি সন্ধ্যা। এর জন্য প্রবাসী শিশুরা থেকে শুরু করে বড়রা মাসের পর মাস ধরে রিহার্সাল করেন। সত্যিই, এই মঞ্চ হয়ে উঠেছে প্রতিভা প্রকাশের এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম। এ খানে ছোট ছোট বাচ্চারা, যারা সারা বছর জার্মান ভাষা ও সংস্কৃতির মধ্যে বড় হয়, এই পাঁচ দিনেই যেন বাঙালিয়ানার প্রতি টান পায়। মাতৃভাষার গান, ঢাকের আওয়াজ আর পুজোর আবহ তাদের অজান্তেই ফিরিয়ে নিয়ে যায় শিকড়ের কাছে। সম্প্রীতির দুর্গোৎসব কেবল বাঙালি প্রবাসীদের নয়, মিউনিখের স্থানীয় জার্মান সম্প্রদায়কেও যুক্ত করেছে এই মিলনমেলায়। তারা এসে ভোগ খেয়ে, আনন্দে মেতে, বাঙালিয়ানার উষ্ণতাকে কাছ থেকে অনুভব করেন।

সৌজন্যে: www.machinnamasta.in

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার এবারের দুর্গা পূজার বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান এর ফলাফল

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার এবারের দুর্গা পূজার বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান এর ফলাফল

বসিরহাটের টাকীতে মায়াপুরের ইস্কন আদলে তৈরি মণ্ডপ

বসিরহাট : বসিরহাটের টাকীর বুকে ফুটে উঠলো মায়াপুরের এক টুকরো ইস্কন। মায়াপুরের ইসকন মন্দির সারা পৃথিবীর মধ্যে খ‍্যাতি লাভ করেছে। দেশ-বিদেশের বহু পর্যটক ও পূর্ণ্যার্থী এই মন্দিরে প্রতিনিয়ত ভিড় জমান। সেখানকার ভোগ ও কীর্তন উপভোগ করেন আগত পূর্ণ্যার্থীরা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে নতুন প্রজন্ম শ্রীলা প্রভুপাদের আদর্শ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। তাই তারা মানব সেবার কাজে লিপ্ত হতে পারছে না। তাই তাদের অনেকেই ইসকনের মাহাত্ম্য সম্পর্কে জ্ঞানত অক্ষম। পাশাপাশি শহর টাকির অনেক বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে মায়াপুর যেতে সক্ষম হয় না। তাই আক্ষেপ থেকে যায় অনেকের। তাই এই দুই সমস্যার সমাধানে উদ্যোগই হল টাকি টাউন কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন। টাকি পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রদ‍্যুৎ দাশের সম্পাদনায় টাকি এরিয়ান ক্লাব ময়দানে দুর্গাপুজোর মন্ডপ সেজে উঠলো মায়াপুরের ইসকন মন্দিরের আদলে। মণ্ডপ প্রাঙ্গনে প্রবেশ করলে দেখা মিলবে একেবারে ইসকনের পরিবেশ। সেখানে এক দিকে যেমন সারাক্ষণ চলছে হরিনাম। আবার মণ্ডপের দেওয়ালে শ্রীকৃষ্ণের মহিমা ব্যক্ত করতে একাধিক ছবিরও দেখা মিলছে। যা দেখতে পর্যটকের ঢল নেমেছে টাকী শহরের প্রাণের পুজোয়। পুজো কমিটির সম্পাদক প্রদ্যুৎ দাশ বলেন, "বয়সের ভারে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে অনেকেই মায়াপুরের ইসকন মন্দিরে যেতে পারেন না। সেই আক্ষেপ পূরণ করতেই আমাদের এই চিন্তা ভাবনা। পুজোর দিনগুলিতে মায়াপুরের প্রভুদের নিয়ে সংকির্তনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি মায়াপুর ইসকন মন্দিরের ভোগের অনুকরণে প্রসাদেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।"

*দেবীপক্ষের সূচনা থেকেই কয়েকটি রাশির জীবনে প্রেমের জোয়ার আসবে*

ডেস্ক : বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। সেই পুজোর যেমন আছে ধৰ্মীয় অনুষঙ্গ তেমনই আছে মানব জীবনের নানা বিশ্বাস। আর তার মধ্যে অন্যতম প্রেম। অষ্টমীর অঞ্জলিতে আড়চোখের চাহনি। ব্যাপারটা আরেকটু এগোলে কাছের মানুষের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া। বন্ধুদের ভিড়কে ফাঁকি দিয়ে চট করে একটু একা হয়ে শহরের অলিগলি ঘুরে বেড়ানো। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, পুজোয় চার রাশির জীবনে আসতে চলেছে প্রেম। যাঁরা প্রেমে রয়েছেন তাঁদের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। পুরনো সম্পর্ক জোড়া লাগতে পারে রয়েছে রয়েছে এমন সম্ভাবনাও! দেখে নিন তালিকায় কোন কোন রাশি।

মকর রাশি: জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, এই শুভক্ষণে প্রেম আসতে পারে মকর রাশির জাতক-জাতিকার জীবনে। যাঁরা আগের থেকে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন তাঁদের প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হবে। দেবী দুর্গার আশীর্বাদে মিটে যাবে সব বিবাদ।

ধনু রাশি: পুজোর সময় ধনু রাশির পুরনো প্রেম ফিরে আসার যোগ রয়েছে। আবার মণ্ডপে কাউকে দেখে প্রেমের পড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। অনেকদিন ধরে কাউকে প্রেম প্রস্তাব দেওয়ার কথা ভাবলে এই সময় মনের কথা বলে ফেলুন। তবে বিবাহিতরা স্ত্রীর সঙ্গে একটু মানিয়ে চলুন তা না হলে ছোটখাটো ঝামেলার সৃষ্টি হতে পারে।

সিংহ রাশি: এই রাশির জাতক-জাতিকারা এমনিতেই মনের রাজা। পুজোয় এরা নতুন জীবন সঙ্গী পেতে পারেন। যাঁরা ইতিমধ্যেই প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন তাঁরা সঙ্গীর সঙ্গে দারুণ সময় কাটাবেন। পুরনো প্রেমের ফিরে আসারও হাতছানি রয়েছে।

বৃষ রাশি: সম্পর্কে কোনও টানাপোড়েন থাকলে তা এই সময়ে মিটে যেতে পারে। স্বামী-স্ত্রীর কলহ দূর হবে। দেবীর আগমনের পর দারুণ সময় পেতে চলেছেন বিবাহিতরা। পুজোয় নতুন সঙ্গী খুঁজে পাওয়ারও যোগ রয়েছে।

সৌজন্যে:www.machinnamasta.in

*দুর্গাপুরের গড়জঙ্গলে রহস্যময় এক দুর্গাপুজো*

ডেস্ক : দুর্গাপুরের গড়জঙ্গলের ইতিহাস কম-বেশি সকলেই আমরা জানি। লক্ষ্মণ সেন প্রথম এখানে গভীর জঙ্গলের মধ্যে মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রায় হাজার বছর ধরে সেখানে দেবী দুর্গারুপে পুজিত হয়ে আসছেন মা শ্যামরুপা। ঘিঞ্জি শহরের বেড়াজাল ডিঙিয়ে গভীর শাল পিয়ালের জঙ্গলে সবুজ প্রকৃতির কোলে দুর্গাপুজোর আনন্দ উপভোগ করতে পুজো চারদিন বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হয় এখানে। রাজা লক্ষণ সেন গৌর সাম্রাজ্য থেকে পালিয়ে এসে আত্মগোপন করেছিলেন এই জঙ্গলে। তিনিই প্রথম দুর্গাপুজো শুরু করেন এই গভীর জঙ্গলে। জঙ্গলের ভেতরে গড়ে তোলেন শ্যামারূপা দেবীর মন্দির। এই মন্দিরে সিদ্ধিলাভের আশায় কাপালিকের আনাগোনা শুরু হয়। লক্ষ্মণ সেনের সভাকবি ছিলেন কবি জয়দেব। তিনি দেবীকে শ্যাম রূপে দর্শন করেন। তারপর থেকেই দেবী দুর্গার নামকরণ হয় শ্যামারূপা।

লক্ষ্মণ সেন জঙ্গল ছেড়ে গৌরে ফিরে যাওয়ার সময় মন্দিরের দায়িত্ব দেন সেনাপতি ঢেকুরের সামন্ত রাজা ইছাই ঘোষকে। ইছাই ঘোষ এই মন্দিরে সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেন। উনিই প্রথম ষোড়শ উপাচারে দুর্গাপুজো করেন। কথিত আছে, বাংলায় প্রথম দুর্গাপুজোর সূচনা হয় এভাবেই। কথিত আছ, একবার দেবীর আদেশ লঙ্ঘন করে ইছাই ঘোষ অষ্টমীর সন্ধিক্ষণে যুদ্ধে যান এবং পরাজিত ও নিহত হন। এরপর ইছাই ঘোষের সহচররা দেবী মূর্তি বিসর্জন দিয়ে দেন। পরে স্থানীয়রা শ্বেত পাথরের মূর্তি স্থাপন করে দেবীর পুজো শুরু করেন।

সৌজন্যে: www.machinnamasta.in

ইছাপুর আনন্দমঠ হরিসভা সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজোর থিম, ‘প্রবাহিনী

বারাকপুর: ইছাপুর হরিসভা প্রাঙ্গণে ইছাপুর আনন্দমঠ হরিসভা সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজো এবার ৭৭তম বর্ষ পড়ল। এবারের থিম, ‘প্রবাহিনী’। যেখানে দুর্গাকে প্রবাহিনী রূপে চিত্রিত করা হয়েছে। নৌকার উপর দেবী এক পায়ে দাঁড়িয়ে। কোলের উপর মহিষাসুর। দেবী মহিষাসুরকে বধ করছেন না। কমিটির সদস্য রাণা দত্ত জানান, প্রবাহিনীর মনে সেই শক্তি-সেই নারী, যিনি তেমনই এক প্রবাহ যার গতি কখনও থেমে থাকে না। তিনি স্রোতের মধ্য দিয়ে চলমান, বাধা পেরিয়ে এগিয়ে চলা এক চেতনা। সমাজে থাকা অপসংস্কৃতি, অহংকার, ভেদাভেদ, ভ্রান্ত প্রযুক্তি নির্ভরতা এবং আত্মকেন্দ্রিকতাকে ধুয়েমুছে দিয়ে গড়ে তোলেন এক উদার ও সুস্থ সমাজব্যবস্থা। মা এখানে দৈবী শক্তি শুধু নন, তিনি এক ধারাবাহিক সমাজের বিপ্লবের প্রতীক। যিনি জড়তা ভেঙে পরিবর্তনের বয়ে আনা ঝরনার শব্দ।

ছবি: প্রবীর রায়।