/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/testnewsapp/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png StreetBuzz *পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের* West Bengal Bangla
*পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের*

পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ নিয়ে শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। পঞ্চায়েত মামলা এবার পৌঁছল সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার সেই মামলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে রাজ্য সরকারকে প্রশ্ন করলো সুপ্রিম কোর্ট । মঙ্গলবার বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শুরু হয় ।

মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে অবাধ ও স্বচ্ছ ভোটের জন্য হাই কোর্টের নির্দেশই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ, সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেই ভোট করতে হবে। খারিজ হয়ে গেল রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আর্জি। বিচারপতি বিভি নাগরত্ন মঙ্গলবার রাজ্য সরকারকে প্রশ্ন করেন ,'আপনারা ৫ রাজ্য থেকে পুলিশ চেয়েছেন । তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ।

এই বাহিনীর খরচ বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার । তাহলে রাজ্য সরকারের অসুবিধা কোথায় ?' এই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য সরকারের আইনজীবী জানান, 'রাজ্যের পুলিশ দিয়েই নির্বাচন সম্পন্ন করা যাবে । কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই । সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গিয়েছে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হলে পরিকল্পনা বদল করতে হবে। ' তবে এদিন সর্বোচ্চ আদালতে সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে আইনজীবী ছিলেন মীনাক্ষী অরোরা। বিচারপতি নাগরত্ন এদিন তাঁর উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, আপনাদের কাজ তো সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট করানো। কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়ার পর আপনারা তা পালন করলেন না কেন? বাহিনী কোথা থেকে আসবে সেটা তো আপনাদের দেখার কথা নয়।’ প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে শুনানি চলার পর বিচারপতি নাগরত্ন বলেন, কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছে, তার কোনও যৌক্তিকতা রয়েছে বলে আদালত মনে করছে না। তাই তা খারিজ করে দেওয়া হল। কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে সেটাই বহাল থাকবে। অন্যদিকে রাজ্যে আগামী ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন । এই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই ভোট গ্রহণ হোক সেই দাবিতে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি সরব হয়েছিল । ইতিমধ্যেই , পঞ্চায়েত মামলা নিয়ে হাই কোর্টের বৃস্পতিবারের রায়ের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে ‘ক্যাভিয়েট’ দাখিল করেন শুভেন্দু এবং দক্ষিণ মালদহের কংগ্রেস সাংসদ ডালু। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে বিজেপির হয়ে সওয়াল করছেন আইনজীবী হরিশ সালভে।

শ্রীরামপুরের মাহেশের রথে প্রচুর মানুষের সমাগম

আজ রথ যাত্রা উৎসব।পুরীর পাশাপাশি সারা দেশেই পালিত হচ্ছে এই রথ উৎসব।সকাল থেকে হাজার হাজার ভক্তদের উপস্থিতিতে শুরু হয়েছে রাজ্যের শ্রীরামপুরের ঐতিহাসিক মাহেশের রথে। উদ্যোক্তা রা দাবি করেন এই রথ ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম রথযাত্রা। ৬২৭ বছরের পুরোনো। এদিন সকালে প্রভুকে ভোগ অন্ন নিবেদন করে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা মাকে মূল মন্দিরের গর্ভ গৃহ থেকে মন্দির চাতালে নিয়ে আসা হয়েছে ।আর এখানেই তিনি ভক্তদের দর্শন দিচ্ছেন। চলছে প্রভুর বিশেষ পূজা অর্চনা।

দূর দূরান্তের মানুষ মাহেশে এসে উপস্থিত হয়েছেন। মন্দিরে প্রভু জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার পুজো পর্ব চলবে বেলা ২পর্যন্ত। বিকেল ৪টে নাগাদ প্রভু জগন্নাথ বলরাম এবং সুভদ্রা কে নিয়ে মাহেশের সুবিশাল রথ জিটি রোড ধরে দেড় কিলোমিটার দূরবর্তী মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। প্রতিবছরের মতো এবারও রথ যাত্রা উৎসব কে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে প্রায় ১২০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকবেন শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য।

*তৃণমূলের বাইক মিছিল*

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ ও ট্রাফিক আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তৃণমূলের বাইক মিছিল।

নির্বাচনী প্রচারে বাইক মিছিল নিষিদ্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নাকাশিপাড়া ব্লকের বিলকুমারী অঞ্চলে বাইক মিছিল করল তৃণমূল। দলীয় পতাকা নিয়ে প্রায় শতাধিক বাইক এই মিছিলে অংশগ্রহণ করে। ট্রাফিক আইন অমান্য করে অধিকাংশ বাইকে ছিল তিন জন আরোহী, কারোর মাথাতে ছিল না হেলমেট। বাইক মিছিলের কথা স্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল প্রার্থী মুসারুদ্দিন সেখ।

*প্রবল ঝড়ের আশঙ্কা দক্ষিণবঙ্গে! জেনে নিন আজকের আবহাওয়া*

তীব্র গরমে নাজেহাল হচ্ছিল বঙ্গবাসী। বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকেছে বর্ষা। উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে তুমুল বৃষ্টি। আবহাওয়া অফিস সতর্ক করে বলেছে এই বৃষ্টি এখনই থামবে না। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে আজ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই থাকবে মেঘলা আকাশ। এই আবহেই আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর বৃষ্টি নিয়ে বেশ কিছু জেলার জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করেছে।

হাওয়া অফিস জানিয়েছে আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান, হুগলী, নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগণায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে। এরই সাথে ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে। একই সাথে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে কলকাতা ও হাওড়ায়। আজ শহরের সবোর্চ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

*আজকের রাশিফল ২০শে জুন ( মঙ্গলবার)*


মেষ: জমি বাড়িতে সমস্যা মিটে যাবে। আপনার আত্মবিশ্বাস ধীর হতে পারে, যা আপনার দৈনন্দিন কাজকর্মকে প্রভাবিত করতে পারে। আপনি আপনার প্রকল্পের দিকে কম মনোনিবেশ করতে সক্ষম হবেন, আপনাকে কোন প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া এড়াতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।  

                    

বৃষ: গার্হস্থ্য জীবন নিয়ে সমস্যায় থাকবেন। আপনি আপনার চারপাশে কিছু রহস্যময় ভয় অনুভব করতে পারেন। এই বিশ্রী পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আপনাকে কিছু আধ্যাত্মিক জায়গায় যেতে বা কিছু প্রার্থনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

মিথুন: রোম্যান্টিক মেজাজে থাকবেন। দ্রুত ড্রাইভিং এবং দীর্ঘ দূরত্বের ভ্রমণ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। আপনি সম্ভবত কিছু ষড়যন্ত্রের শিকারও হতে পারেন, তাই আপনাকে প্রতিপক্ষ এবং ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বীদের উপর নজর রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

কর্কট: চাপ ও উত্তেজনা বাড়তে পারে। প্রেমময় দম্পতিদের অপ্রয়োজনীয় তর্ক এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়, অন্যথায় সম্পর্কের ফাটল হতে পারে। আপনি আপনার কাজের প্রতি একাগ্রতার সাথে কাজ করতে সক্ষম হবেন।

সিংহ: শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাফল্য পাবেন। আপনি আপনার বিষয় এবং কাজের প্রতি আস্থা অর্জনের জন্য বিষয়ের গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। আপনি নিজেকে শান্ত এবং শীতল অনুভব করতে পারেন, আপনি নিজেকে বিশ্লেষণ এবং অন্বেষণ করতে পারেন।

কন্যা: পারিবারিক বিবাদ মিটে যেতে পারে। স্ব-বিশ্লেষণ আপনার জীবনে ত্রুটিহীনতা আনতে পারে। জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে আপনি খুব বুদ্ধিমান হবেন। আপনার অভ্যন্তরীণ প্রজ্ঞা আপনাকে ব্যবসায় সঠিক পছন্দ করতে সাহায্য করবে।

তুলা: আর্থিক সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আপনার ব্যবসায় কিছুটা উন্নতি হতে পারে। আপনি আপনার অহংকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবেন, যার মাধ্যমে আপনি স্বামী/স্ত্রীর সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভুলগুলো শুধরে নিতে পারবেন।

বৃশ্চিক: প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারেন। বিবাহিত দম্পতিদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধার জন্ম হবে যা আপনার পারিবারিক জীবনের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করতে পারে। ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বে বিবাদের সমাধান হবে।

ধনু: বাবা-মায়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। আপনি আপনার কাজে একধরনের অতৃপ্তি বোধ করবেন। আপনার ধৈর্যের বারবার পরীক্ষা হবে, আপনি তাড়াহুড়ো করে কাজটি শেষ করার চেষ্টা করবেন। আপনার কাজের ক্ষমতা মন্থর হবে।

মকর: শান্তি বজায় রাখতে রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। আপনার রাগ রুটিন কাজকে প্রভাবিত করতে পারে। আপনার প্রকল্পে বিলম্বের সম্ভাবনা থাকবে। আপনার পেশাগত পথে বাধার সম্মুখীন হতে পারেন। আপনি আপনার দায়িত্বকে বোঝা মনে করবেন।

কুম্ভ: আবেগজনিত ঝামেলা বিপদে ফেলবে। আপনাকে আপনার পিতামাতার যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সন্তানদের লেখাপড়ায় ব্যস্ত থাকবেন। সন্তানদের লেখাপড়ার ক্ষেত্রেও কিছু সুখবর পেতে পারেন।

মীন: আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকবে। আপনি আপনার পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে উচ্চ শিক্ষায় ভর্তির পরিকল্পনাও করতে পারেন। আপনি আপনার সৃজনশীল দক্ষতা পেশাদার ফ্রন্টে ব্যবহার করতে পারেন।

*বিক্ষুব্ধ তৃণমূল প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের আহ্বান তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের*


আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের যারা প্রার্থীদের জন্য মনোনয়ন দিয়েছেন তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সনির্বন্ধ অনুরোধ করল দলীয় নেতৃবৃন্দ। সোমবার হুগলী শ্রীরামপুর সংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক অরিন্দম গুইন ও চেয়ারপার্সন অসীমা পাত্র তৃণমূল কর্মীদের কাছে এই অনুরোধ রাখলেন। এদিন শেওড়াফুলির তেঁতুল তলায় তৃণমূল কংগ্রেস অফিসে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলন করে অরিন্দম গুইন বলেন," আমাদের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রথম থেকেই বলে আসছেন স্বচ্ছ পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে হবে।যার জন্য তিনি ৫১ দিন ধরে পশ্চিমবাংলার পাহাড় থেকে সমুদ্র প্রতিটি জেলায় গিয়ে মানুষের মতামত নিয়েছেন। এবং সেই মতামতের ভিত্তিতে দল যে সমস্ত প্রার্থী নির্বাচিত করেছেন আমাদের তাদের পাশে থাকতে হবে। কারণ আমরা সবাই তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিক।

আমাদের প্রধান কাজ হবে নির্বাচনে দিকে দিকে তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ী করা। তার জন্য সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে হবে। আমাদের বিশ্বাস বাংলার মানুষ বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমের, আইএসএফের যে অশুভ আঁতাত হয়েছে তাকে বর্জন করবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে স্বপ্নের উন্নয়ন প্রকল্প গুলো সারা বাংলা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, তার প্রতি মান্যতা দিয়ে গ্রাম বাংলার মানুষ ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ‌ তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ী করবেন।"

বিক্ষুব্ধ তৃণমূল প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের আহ্বান তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের


আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের যারা প্রার্থীদের জন্য মনোনয়ন দিয়েছেন তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সনির্বন্ধ অনুরোধ করল দলীয় নেতৃবৃন্দ। সোমবার হুগলী শ্রীরামপুর সংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক অরিন্দম গুইন ও চেয়ারপার্সন অসীমা পাত্র তৃণমূল কর্মীদের কাছে এই অনুরোধ রাখলেন।

এদিন শেওড়াফুলির তেঁতুল তলায় তৃণমূল কংগ্রেস অফিসে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলন করে অরিন্দম গুইন বলেন," আমাদের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রথম থেকেই বলে আসছেন স্বচ্ছ পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে হবে।যার জন্য তিনি ৫১ দিন ধরে পশ্চিমবাংলার পাহাড় থেকে সমুদ্র প্রতিটি জেলায় গিয়ে মানুষের মতামত নিয়েছেন। এবং সেই মতামতের ভিত্তিতে দল যে সমস্ত প্রার্থী নির্বাচিত করেছেন আমাদের তাদের পাশে থাকতে হবে। কারণ আমরা সবাই তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিক। আমাদের প্রধান কাজ হবে নির্বাচনে দিকে দিকে তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ী করা। তার জন্য সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে হবে।

আমাদের বিশ্বাস বাংলার মানুষ বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমের, আইএসএফের যে অশুভ আঁতাত হয়েছে তাকে বর্জন করবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে স্বপ্নের উন্নয়ন প্রকল্প গুলো সারা বাংলা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, তার প্রতি মান্যতা দিয়ে গ্রাম বাংলার মানুষ ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ‌ তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ী করবেন।"

*৫০টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান*

বাঁকুড়াঃ আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে শাসক শিবিরে ভাঙ্গন অব্যাহত বাঁকুড়ায়। এবার সোনামুখীর পিয়ারবেড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের আশুদি গ্রামের তৃণমূল কর্মী, সমর্থক ৫০ টি পরিবার তাদের দলে যোগ দিলেন বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। ঐ গ্রামে দলত্যাগী তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন সোনামুখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামী।

প্রসঙ্গত, বিষ্ণুপুর মহকুমা এলাকার জয়পুর, কোতুলপুর, পাত্রসায়র ও ইন্দাস ব্লকের সিংহভাগ আসনে তৃণমূল বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় জয়ী হলেও সোনামুখীতে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। এই অবস্থায় শাসক দলে ভাঙ্গন ধরিয়ে নিজেদের পায়ের তলার মাটি আরো বেশী শক্ত করলো বিজেপি, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।

সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দীবাকর ঘরামি বলেন, আশুদি গ্রামে আমাদের এক সভায় ৫০ টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে আমাদের দলে যোগ দিলেন। শাসক দলের লাগামহীন সন্ত্রাস, বিরোধীদের মনোনয়নপত্র জমা না দিতে দেওয়া সহ বেশ কিছু কারণে বীতশ্রদ্ধ হয়ে মানুষ ঐ দল ছাড়ছেন বলে তিনি দাবি করেন।

অন্যদিকে তৃণমূল নেতা শুভাশীষ বটব্যালের দাবি বিজেপি অধিকাংশ জায়গায় প্রার্থীই দিতে পারছেনা। সেখানে মানুষ এতো বোকা নয় যে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাবে। পুরো বিষয়টি সাজানো। আর এভাবেই মানুষকে ওঁরা বিভ্রান্ত করতে চাইছেন বলে তিনি দাবি করেন।

মঙ্গলবার সুপ্রিমে রাজ্য-কমিশনের বাহিনী আবেদনের শুনানি

পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় অশান্তির চিত্র ফুটে উঠেছে । এই অবস্থায় রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট । তবে , হাইকোর্টের এই নির্দেশকে মান্যতা না দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের মামলা দায় করেছে রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশন । রাজ্য সরকার ও কমিশনের সেই আবেদন শুনতে রাজি হল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার সেই আবেদন শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, এর আগে হাই কোর্টের তরফে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে রাজ্যের সর্বত্র জওয়ানদের মোতায়েন করতে হবে।

তবে সেই সময়সীমা পার করে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী চায়নি কমিশন। এই আবহে শীর্ষ আদালতে কমিশনের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়ার কাজ রাজ্য সরকারের। সেই দায়িত্ব আমাদের নয়। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি এম এম সুন্দরেশের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলাটি ওঠে বলে জানা গেছে । অন্যদিকে সোমবার সকালে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে সুপ্রিম কোর্টে এ সংক্রান্ত শুনানির আবেদন পেশ করা হয়।

তবে কমিশনের আবেদন শুনে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করে, ‘‘৪৮ ঘণ্টার পরিবর্তে বেশি সময় লাগলে হাই কোর্টে গিয়ে বলুন। সেখানে সময় চান।’’ উল্লেখ্য , এই পরিস্থিতিতে অন্য রাজ্য থেকে পুলিশ এনে ভোট করাতে রাজি নির্বাচন কমিশন ।তাদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও প্রয়োজন নেই। এই নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেয়, সেদিকেই নজর সবার।

নওসাদ সিদ্দিকিকে 'Z' ক্যাটাগরির নিরাপত্তা কেন্দ্রের

ভাঙড়ের আইএসএফ নেতা ও বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকিকে জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে লিখিত আবেদন করেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের সুপারিশেই তড়িঘড়ি নৌশাদকে নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সিদ্ধান্ত নেয় বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।

কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলেই বিজেপি বিধায়কদের মতোই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে থাকবেন রাজ্যের একমাত্র বাম সমর্থিত আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ। অন্যদিকে ভাঙড়ে অশান্তির পর রাজ্যের পক্ষ থেকে জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা পেতে পারেন বিধায়ক শওকত মোল্লাও। গত শনিবারই নওসাদ বলেছেন, “পঞ্চায়েত ভোট চলছে। তৃণমূল এই সময়ে আমার মন অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আমি এখন এসবের দিকে তাকাচ্ছি না। ভোটের পর আইনজীবীদের পরামর্শ নিয়ে যা করার তা করব।”এই ঘটনার পরই বাম, কংগ্রেস, বিজেপি ও আইএসএফ জোট আরও স্পষ্ট হচ্ছে বলেও দাবি জোড়াফুল শিবিরের। তবে , নৌশাদ সিদ্দিকি যদি কেন্দ্রের জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান তাহলে বাংলায় বিজেপি বিধায়কদের মতোই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে থাকবেন রাজ্যের একমাত্র বাম সমর্থিত আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ। এই নিরাপত্তার পর এখন প্রশ্ন তাহলে কি বাংলায় প্রকাশ্যেই দু’দলের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে ?