*মতুয়াগড়ে ঠাকুরবাড়িতে না পেরে শান্তনুকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের*
তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের পীঠস্থান ঠাকুরনগর ঠাকুর বাড়িতে আসার পথে বাধার মুখে পড়লেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায় । পুজো দেওয়ার পাশাপাশি বীণাপাণি দেবী অর্থাৎ বড়মার ঘর সহ গোটা মন্দির এলাকা ঘুরে দেখার কথা রয়েছে তার। আর তার আসার আগেই এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পোস্টার লক্ষ্য করা গিয়েছিল মন্দির চত্বর এলাকায়। এবার রীতিমতো ঠাকুর বাড়িতে নব জোয়ার যাত্রা আটকাতে ময়দানে নামল মতুয়ার সম্প্রদায়ের এক অংশের মানুষ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাওয়ার পরেই দেখা যায় নাক মন্দিরে বসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে মতুয়াদের।
ঘনঘন স্লোগান তোলা হয়, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। আর তা নিয়েই উত্তপ্ত হয়ে উঠল ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ি। উল্লখ্য , সেই সময় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের পাশে ছিলেন প্রয়াত কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের পত্নী তথা প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। অন্যদিকে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের আসার কথা শুনেই পথে নামেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে বাদানুবাদের মধ্যেই মূল মন্দিরে ঢুকে পড়েন শান্তনু। ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। ফলে অভিষেকের আর মন্দিরে প্রবেশ করা হয়নি । অবশেষে , বাধ্য হয়েই মন্দিরের বাইরেই পুজো দেন অভিষেক ।
এই ঘটনা নিয়ে অভিষেক বলেন 'প্রতিবার কর্মসূচি শুরু করার আগে বা কর্মসূচির শেষে ঠাকুরবাড়িতে এসে পুজো দিই। আমার রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে হাবড়ার। এখান থেকে প্রায় কুড়ি কিমি দূরে। আমরা এখানে আসার কথা ছিল, পুজো দেওয়ার জন্য। আমি কী করে ঢুকতে না পারি, জোরজবরদস্তি মন্দিরটাকে ঘিরে রেখে দিয়েছে বিজেপির লোক দিয়ে। এই মন্দির কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। যে কোন ধর্মের মানুষ এখানে আসতে পারে। গুরুচাঁদ বা হরিচাঁদ ঠাকুরের যে লড়াই, সেটাকে পুরোপুরি কলুষিত করল শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর গুন্ডাবাহিনী'।তবে অভিষেক চলে যেতেই মন্দিরের বাইরে আসেননি শান্তনু। বেশ কিছু ক্ষণ ভিতরেই ছিলেন। উল্লেখ্য , বিজেপির বিক্ষোভ ঘিরে সংঘাতের আশঙ্কায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
Jun 12 2023, 07:04