*দিল্লিতে কি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে চলেছে? দাবি আপ নেত্রী অতীশীর*
এসবি নিউজ ব্যুরো: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এখন জেলে। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারের পর আম আদমি পার্টি কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে ক্রমাগত আক্রমণ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ করলেন দিল্লি সরকারের মন্ত্রী অতীশি। অতীশি বলেন, দিল্লির নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বড় ষড়যন্ত্র চলছে। দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

শুক্রবার আম আদমি পার্টির নেতা অতীশি একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারের বিরুদ্ধে বিশাল রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বিজেপি জানে তারা যতই চেষ্টা করুক না কেন তারা দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে হারাতে পারবে না।

দিল্লির মানুষ অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ভালোবাসেন।দিল্লির মানুষ এবং বিজেপির সম্ভাব্য সব প্রচেষ্টা সত্ত্বেও দিল্লির মানুষ তাকে ভোট দেয়। তারা (বিজেপি) দিল্লির নির্বাচনে জিততে পারচ্ছে না, তাই তারা দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নির্বাচিত সরকারকে পতনের ষড়যন্ত্র করছে। এএপি নেতা বলেন, দিল্লি সরকারের আধিকারিকরা মিটিংয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে দিল্লির কোনো কর্মকর্তার পোস্টিং হচ্ছে না।

দিল্লিতে অনেক ডিপার্টমেন্ট খালি। কোন কারণ ছাড়াই গত এক সপ্তাহ ধরে দিল্লি সরকারের বিরুদ্ধে এমএইচএ-কে চিঠি লিখছেন এলজি সাহেব। 20 বছরের পুরনো একটি মামলা নিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সচিবকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। এই সব কিছু দেখায় যে দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকারকে পতন করে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার ষড়যন্ত্র চলছে। অতীশি বলেন, আমি বিজেপিকে সতর্ক করছি আমি ঘোষণা করছি যে দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হবে বেআইনি, অসাংবিধানিক এবং দিল্লির জনগণের আদেশের বিরুদ্ধে। দিল্লির মানুষ অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং আম আদমি পার্টিকে স্পষ্ট ম্যান্ডেট দিয়েছে।
অজয় দেবগনের 'ময়দান', নিষিদ্ধ করল আদালত

এসবি নিউজ ব্যুরো: এবার বিতর্কে আটকে অজয় দেবগনের 'ময়দান'।এই ছবিটি দেখানো নিষিদ্ধ করল আদালত। অভিযোগ, ছবির বিষয় বস্তু লেখককে না জানিয়ে গল্প চুরি করা হয়েছে।তাই মুক্তির আগে বিতর্কে জড়িয়েছে।মূল গল্পের বিষয় বস্তু হল,এক প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবল কোচ সৈয়দ আবদুল রহিমের জীবনের উপর ভিত্তি করা হয়েছে। কর্ণাটকের লেখক অনিল কুমার চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বিরুদ্ধে গল্প চুরির অভিযোগ এনেছেন। অনিল কুমার দাবি, তিনি 2010 সালে 'ময়দান' হিসাবে একই কাজ করেছিলেন।গল্পটি লিখেছিলেন এবং 2018 সালে নিবন্ধিতও করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, তিনি 2019 সালে লিঙ্কডইন-এ তার গল্প শেয়ার করেছিলেন।তারপরে চলচ্চিত্র নির্মাতারা তার সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। অনিল কুমার অভিযোগ করেছেন যে চলচ্চিত্র নির্মাতারা তার গল্প চুরি করেছে এবং কোনও কৃতিত্ব ছাড়াই এটি ছবিতে ব্যবহার করেছে। অনিল কুমার মহীশূর আদালতে ছবিটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।গত 10 এপ্রিল, 2024-এ শুনানি এরপর ছবিটির মুক্তিতে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। চলচ্চিত্র প্রযোজকদের নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, মহীশূর ভিত্তিক লেখক অনিল কুমার প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবল কোচ সৈয়দ আবদুল রহিমের বিরুদ্ধে ভিত্তিক ছবির গল্প চুরি করার অভিযোগ করেছেন। অনিল কুমার বলেছেন- '2010 সালে, আমি গল্প লিখতে শুরু করি এবং 2018 সালে এবং আমার লিঙ্কডইন পোস্টে এটির একটি পোস্টও পোস্ট করেছিলাম।এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন পরিচালক সুখদাস সূর্যবংশীর সংস্পর্শে আসি। তিনি আমাকে বোম্বে (মুম্বাই) ডেকেছিলেন এবং আমাকে স্ক্রিপ্টটি আমার সাথে আনতে বলেছিলেন। তার সম্পূর্ণ চ্যাট তথ্য আমার কাছে আছে।তিনি আমাকে বলেছিলেন, তিনি আমাকে আমির খানের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবেন। কিন্তু কিছু কারণে আমি তার সাথে দেখা করতে পারিনি। আমি তাকে গল্পটি দিয়েছিলাম এবং স্ক্রিন রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনে নিবন্ধিকরণের জন্য।
চৈত্র সংক্রান্তি,গ্রাম বাংলার চরক উৎসব
#Chaitra_ Sankranti, _the charak _festival of _village Bengal

এসবি নিউজ ব্যুরো: আজ বাংলা বছরের শেষ দিন অর্থাৎ চৈত্র মাসের শেষ দিনকে বলা হয় চৈত্র সংক্রান্তি। হিন্দুশাস্ত্র ও লোকাচার অনুসারে এই দিনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস প্রভৃতি ক্রিয়াকর্মকে পুণ্যময় বলে মনে করা হয়। এক সময় এঅঞ্চলে সবচেয়ে বেশি উৎসব হতো চৈত্র সংক্রান্তিতে। সংক্রান্তির দিন শিবের গাজন বা চড়ক পূজা, আর তার আগের দিন নীল পূজা। সেও শিবেরই পূজা। সমুদ্রমন্থনকালে উত্থিত বিষ কণ্ঠে ধারণ করে শিব নীলকণ্ঠ, তাই নীল পূজা। মায়েরা নীলের উপোস করে সন্তানের মঙ্গল কামনায়—আমার বাছার কল্যাণ করো হে নীলকণ্ঠ, সব বিষ কণ্ঠে নিয়ে তাকে অমৃত দাও! শিব নীলকণ্ঠ—জগতের সব বিষ পান করেও সত্য সুন্দর মঙ্গলময়। সেই কোন কাল থেকে বাংলা জুড়ে চলে প্রবহমান লোক উৎসব। বাংলার গ্রামে গ্রামে এই উৎসব নিয়ে আসে নতুন বছরের আগমন বার্তা।

চৈত্র সংক্রান্তির প্রধান উৎসব চড়ক। চড়ক গাজন উৎসবের একটি প্রধান অঙ্গ। চড়কের পেছনে একটি জোরালো কারণের কথা বলেন কোনো লেখক। বৌদ্ধধর্মের প্রভাব যখন ম্লান হয়ে এসেছে তখন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েন। তেমনই কয়েক জন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী আশ্রয় নিয়েছিলেন বাংলায় এবং পরে তাঁরা হিন্দুত্ব গ্রহণ করেন। ফলে হিন্দু ধর্মে মিশে যায় কিছু বৌদ্ধ তন্ত্রমন্ত্রের সাধন। এই তান্ত্রিক ক্রিয়া থেকেই পরবর্তী কালে উদ্ভব চড়ক পূজার। চড়ক পূজায় যোগদানকারী সন্ন্যাসীরা তান্ত্রিক সাধনা অভ্যাসের ফলে নিজেদের শারীরিক কষ্টবোধের ঊর্ধ্বে যান, তার ফলে চড়কের মেলায় নানা রকম শারীরিক কষ্ট স্বীকারে তারাই অগ্রণী হয়ে ওঠেন। যেমন—তিরিশ চল্লিশ ফুট উঁচু চড়ক গাছ থেকে পিঠে বঁড়শি গেঁথে দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া, জিভে বা শরীরের কোনো জায়গায় লোহার শিক গেঁথে দেওয়া বা ভাঙা কাচের টুকরোর ওপর দিয়ে হেঁটে যাওয়া, আগুনের খেলা দেখানো ইত্যাদি। তবে বর্তমানে এই সব বিপজ্জনক কসরত অনেক ক্ষেত্রেই নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
চড়ক পূজা মূলত ধর্মের গাজন বা ধর্মঠাকুরের পূজা, পরবর্তীকালে যা রূপান্তরিত হয় শিবের গাজনে। এই ধর্মঠাকুরের উদ্ভব বৌদ্ধ দেবতা ধর্মরাজ থেকে। বাউরি, বাগদি, হাঁড়ি, ডোম প্রভৃতি গ্রামীণ মানুষেরা এই ধর্মঠাকুরের পূজা করেন। যদিও ধর্মঠাকুরের সেই অর্থে মূর্তি দেখা যায় না, পাথরের খণ্ডকেই পূজা করা হয়, কিছু গ্রামে বুদ্ধমূর্তিকেই পূজা করা হয়। কোনো কোনো গ্রামে ধর্মঠাকুর আর শিব দুজনেই গাজনে পূজিত হন। শিবের পূজা হয় বলে চড়ক পূজাকে শিবের গাজনও বলা হয়ে থাকে।

‘আমরা দুটি ভাই/ শিবের গাজন গাই’ ছড়াটির কথা আমরা অনেকেই জানি। ছড়াটির মধ্যে দেশ গাঁয়ের অভাবের রূপটিই ফুটে ওঠে। শিবের গাজন-গ্রাম থেকে ‘গা’ আর ‘জন’ মানে জনগণ দেশ গাঁয়ের আপামর খেটে খাওয়া মানুষ। গাজন বা চড়কপূজা সাধারণ মানুষের চাওয়া পাওয়ারই এক প্রতিফলন বলে কেউ কেউ অনুমান করেন।

ইতিহাসবিদের মতে, চৈত্র সংক্রান্তি মানুষের শরীর ও প্রকৃতির মধ্যে একটি যোগসূত্র ঘটাবার জন্য জন্য পালন করা হয়। প্রকৃতি থেকে কুড়িয়ে আনা শাক, চৈতালি মৌসুমের সবজি, পাতা, মুড়া ইত্যাদি খেয়ে চৈত্র সংক্রান্তি পালন করার রীতি এখনো কোন কোন এলাকায় লক্ষ করা যায়। লোকপ্রথা অনুযায়ী, চৈত্র সংক্রান্তিতে বিশেষ খাবার ছাতু, চিড়া, দই, মুড়ি, খই, তিল ও নারিকেলের নাড়ু ইত্যাদি খেতে হবে। তার সঙ্গে দুপুর বেলার খাবারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ‘চৌদ্দ’ রকমের শাক খাওয়া। এর মধ্যে অন্তত একটি তিতা স্বাদের হতে হবে। যেমন গিমা শাক। চৈত্র মাসে গিমা শাক খেতেই হবে। গিমা শাক পাওয়া না গেলে বুঝতে হবে এখানে প্রকৃতি থেকে জরুরি কিছু হারিয়ে গেছে। একটু টক কিছু থাকাও দরকার। কাঁচা আম তো আছে। অসুবিধা নেই। মাছ–মাংস খাওয়া চলবে না।
বর্ষশেষের চৈত্র সংক্রান্তির উৎসব পালনেই বাঙালি অভ্যস্ত ছিল দীর্ঘ কাল। গ্রন্থকার দীনেন্দ্রকুমার রায় সংগত কারণেই বলেছেন যে, বসন্ত আর গ্রীষ্মের সন্ধিস্থলে চৈত্র মাসে পল্লিজীবনে ‘নব আনন্দের হিল্লোল বহে’। গম, ছোলা, যব, অড়হর প্রভৃতি রবিশস্য পেকে উঠেছে, সুতরাং দীর্ঘ কালের ‘অনাহারে শীর্ণদেহ, ক্ষুধাতুর কৃষক পরিবারে যে হর্ষের উচ্ছ্বাস দেখিতে পাওয়া যায়, তাহা সুদীর্ঘ হিমযামিনীর অবসানে বসন্তের মলয়ানিলের মতই সুখাবহ।’

দক্ষিণারঞ্জন বসুর ‘ছেড়ে আসা গ্রাম’-এ বিশ শতকের শুরু থেকে চল্লিশ-পঞ্চাশের দশক পর্যন্ত পূর্ববঙ্গে পল্লি সংস্কৃতির বহু নমুনা রয়েছে। বরিশালের নল চিড়াতে চৈত্র সংক্রান্তির দিন থেকে সপ্তাহখানেক ধরে বিভিন্ন জায়গায় মেলা বসার কথা পাই। বছরের পয়লা সেখানে নাকি এক ‘বার্ষিক কর্ম’ ছিল। বছরের মসলাপাতি কেনা হতো ও দিন। গানের বৈঠকও বসত। চট্টগ্রামের সারোয়াতলিতেও চৈত্র সংক্রান্তির দিন ‘লাওন’ (এক ধরনের নাড়ু) খাওয়ার উৎসবের মধ্য দিয়েই হতো বর্ষবিদায় এবং হিন্দু-মুসলমানের নববর্ষ বরণের আন্তরিক শুভ কামনার বিনিময়।
এখানে যে বর্ষবরণের আভাস আছে, তার বয়স খুব বেশি নয়। চৈত্র সংক্রান্তিই ছিল প্রধান। সেই সময় চৈত্র সংক্রান্তিতে মেলা বসত। মেলায় বাঁশ, বেত, প্লাস্টিক, মাটি ও ধাতুর তৈরি বিভিন্ন ধরনের তৈজসপত্র ও খেলনা, ফল-ফলাদি ও মিষ্টি কেনা-বেচা হতো। অঞ্চলভেদে তিন থেকে চার দিনব্যাপী চলা এই মেলায় গম্ভীরা, বায়োস্কোপ, সার্কাস, পুতুলনাচ, ঘুড়ি ওড়ানো ইত্যাদি চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থাও থাকত। কালের বিবর্তনে চৈত্রসংক্রান্তির এই উৎসব হারিয়ে গিয়ে বর্ষবরণ উৎসব ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

এক সময় কেবল সনাতন ধর্মাবলম্বীরা চৈত্র সংক্রান্তিতে বিভিন্ন আচার পালন করত। কালক্রমে তা বিভিন্ন ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়। চৈত্র থেকে বর্ষার আরম্ভ পর্যন্ত সূর্যের যখন প্রচণ্ড উত্তাপ থাকে তখন সূর্যের তেজ প্রশমন ও বৃষ্টি লাভের আশায় কৃষিজীবী সমাজ বহু অতীতে চৈত্র সংক্রান্তির উদ্ভাবন করেছিলেন বলে জানা যায়। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে উদ্বিগ্ন কৃষককুল নিজেদের বাঁচার তাগিদে বর্ষার আগমন দ্রুত হোক, এই প্রণতি জানাতেই পুরো চৈত্র মাসজুড়ে উৎসবের মধ্যে সূর্যের কৃপা প্রার্থনা করে।

একটু ভালো থাকার জন্য কত আরাধনা, কত কামনা মানুষের! চৈত্র ফুরিয়ে আসছে, বৈশাখ শুরু হলো বলে। হে ঠাকুর, হে ঈশ্বর, এই তপ্ত দিনগুলো ভালোয় ভালোয় পার করে আষাঢ়ে আকাশ ভরা মেঘ দিও আর দিও জল যাতে ঘরে সোনার বরণ ধান ওঠে। ছেলেমেয়ের মুখে দুটো নতুন চালের ভাত দিতে পারি আর ঘরখানার চালে কয়েক আঁটি খড়!
*রামেশ্বরম বিস্ফোরণে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর বিজেপি নেতা অমিত মালব্য বলেন," বাংলা সন্ত্রাসীদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে*

এসবি নিউজ ব্যুরো: কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণের ঘটনায় শুক্রবার কাঁথি থেকে দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে NIA।বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অভিযোগ করেছেন,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে বাংলা সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। যদিও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তার দাবিকে মিথ্যা বলে আখ্যায়িত করেছে। একই সময়ে, পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি)ও বিজেপিকে পাল্টা আঘাত করেছে। বিজেপি নেতা এবং পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সহ-ইনচার্জ অমিত মালব্য বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণের অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্টটি করেছেন। সেই পোস্টে বিজেপি নেতা লিখেছেন, 'NIA কলকাতা থেকে রামেশ্বরম ক্যাফের দুই প্রধান সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে। যার মধ্যে রয়েছেন মুসাভির হোসেন সজিব ও আবদুল মতিন আহমেদ ত্বহা। উভয়ই শিবমোগা বা আইএসআইএসের পশ্চিমবঙ্গ সেলের সাথে যুক্ত হতে পারে। দুর্ভাগ্যবশত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে বাংলা সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে।

মালব্যর দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলার পুলিশ

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ মালব্যর দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। বিজেপি নেতার পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ বলেছে, “তাদের সবচেয়ে খারাপ মিথ্যা! "অমিত মালব্যর দাবির বিপরীতে, সত্য হল যে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির যৌথ অভিযানে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ মামলায় দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।" পুলিশ তাদের পরবর্তী পোস্টে বলেছে, “এই ঘটনায় ওয়েস্টবেঙ্গল পুলিশের সক্রিয় ভূমিকা কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিও আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ কখনই সন্ত্রাসীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল ছিল না এবং রাজ্য পুলিশ সর্বদা সতর্ক থাকবে তার জনগণকে নৃশংস কার্যকলাপ থেকে সুরক্ষিত রাখতে।

টিএমসির পাল্টা আক্রমণ

একই সঙ্গে বিজেপি নেতার অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছে টিএমসি। অমিত মালব্যর টুইটের পরেই এমনটাই দাবি করলেন টিএমসি নেতা কুণাল ঘোষ।বেঙ্গল পুলিশের সহায়তায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। টিএমসি নেতা একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন যে বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণ মামলায় বেঙ্গল পুলিশ ভাল কাজ করেছে। এনআইএ বেঙ্গল পুলিশের সাহায্যও গ্রহণ করেছে। যে কোনও দেশবিরোধী শক্তিকে কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে, তবে আমি বিজেপিকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, এই গ্রেপ্তারগুলি কোথা থেকে এল? কাঁথি থেকে। আমরা সবাই জানি কোন বিজেপি নেতা ও তার পরিবার সেখানে আছে।সেখানে আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হয় কাঁথি থেকে। কাঁথি বা কন্টাইকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর এলাকা বলে মনে করা হয়। ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা।

बैरकपुर में तृणमूल नेता प्रियंका पांडे समेत 200 कार्यकर्ता भाजपा में शामिल हुए
खबर कोलकाता: बैरकपुर के भाजपा कार्यालय के सिंह भवन में पूर्व आरटीओ सदस्य और तृणमूल नेता प्रियंका पांडे के साथ पूर्व आरटीओ सदस्य और तृणमूल नेता प्रियंका पांडे ने तृणमूल कांग्रेस छोड़ दी और भाजपा में शामिल हो गईं। इसी दिन वह बीजेपी में शामिल हुए थे. शामिल होने के समारोह में बैरकपुर लोकसभा क्षेत्र के भाजपा उम्मीदवार अर्जुन सिंह, उपस्थित थे राज्य भाजपा महासचिव जगन्नाथ चट्टोपाध्याय, बैरकपुर संगठनात्मक जिला अध्यक्ष मनोज बनर्जी और अन्य.शामिल होने की प्रक्रिया के अंत में, प्रियंकु पांडे ने कहा, "वह तृणमूल से काम नहीं कर सकते थे। अगर वह समाज की सेवा करते हैं, तो ऐसा नहीं किया जा सकता है। वह तृणमूल के भ्रष्टाचार के साथ हाथ मिलाना स्वीकार नहीं कर सकते थे। इसलिए वह और अधिक के साथ भाजपा में शामिल हो गए।" 200 से अधिक समर्थक. फोटो: प्रवीर रॉय.
রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণের সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার  এনআইএ এর
এসবি নিউজ ব্যুরো: পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে ব্যাঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণের ২ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। বেঙ্গালুরুতে রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণের মূল ষড়যন্ত্রকারী দুজনকেই গ্রেপ্তার করেছিল। মূল ষড়যন্ত্রকারী আব্দুল মতিন আহমেদ ত্বহা (৩০) এবং কথিত হামলাকারী মুসাভির হোসেন শাজিব (৩০)।
উল্লেখ্য , চলতি বছরের ১মার্চে বেঙ্গালুরুর ব্রুকফিল্ডের রেস্তোরাঁটিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। এতে আহত হয়েছেন ৯জন। এনআইএ সম্প্রতি তাকে গ্রেফতার করার জন্য তথ্যের জন্য ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে। তারা দুজনেই 'তীর্থহল্লি মডিউল' নামে একটি সন্ত্রাসী মডিউল তৈরি করেছিল, যা তারা 2020 সাল থেকে চালাচ্ছিল। মুসাভির হুসেন সজিব ক্যাফেতে আইইডি লাগানোর সন্দেহ রয়েছে। আব্দুল মতিন আহমেদ তার উপর বিস্ফোরণ অপরাধ সংঘটনের পরিকল্পনা এবং তারপর আইনের হাত থেকে পালানোর সন্দেহ। এনআইএ জানিয়েছে, যে দুজনকে এদিন সকালে কাঁথিতে তাদের গোপন আস্তানায় সনাক্ত করা হয়েছিল।যেখানে তারা মিথ্যা পরিচয়ে হোটেলে আশ্রয় নিয়েছিল।এনআইএ, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং কেরালার রাজ্য পুলিশের মধ্যে একটি যৌথ অভিযান  চালায়। এনআইএ সমর্থন ও সহযোগিতায় এই লক্ষ্যটি সফলভাবে অর্জন করেছে। অভিযোগ তাদের দ্বারা তীর্থহল্লির মৌলবাদী যুবকরা ৩ টি সন্ত্রাসের ঘটনায় জড়িত ছিল , অক্টোবর 2020 সালে ম্যাঙ্গালুরুতে সন্ত্রাসবাদী গ্রাফিতি, 2022 সালের সেপ্টেম্বরে শিবমোগায় তুঙ্গা নদীর তীরে পরীক্ষা বিস্ফোরণ (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) এবং 2022 সালের নভেম্বরে ম্যাঙ্গালুরুতে কুকার বোমা বিস্ফোরণ। এসব মামলায় তীর্থহল্লির চার যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনটি মামলায় তাহা ও হোসেনকে আসামি করা হয়।ওই কর্মকর্তা বলেন, আব্দুল মতিন ত্বহা এবং মুসাভির হুসেন সজিব এর আগেও সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটাতে তাদের রিক্রুটদের ব্যবহার করেছিলেন। হোসেন ১মার্চ বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে একটি আইইডি লাগিয়েছিলেন, যা ইঙ্গিত করে যে তার ব্যয়যোগ্য নিয়োগ শেষ হয়ে গেছে। এটি আশার দিকে নিয়ে যায় যে মডিউলটিতে কেউ অবশিষ্ট নেই এবং দুজনকে গ্রেপ্তার করার সাথে সাথে মডিউলটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।এই দুই কিংপিনকে গ্রেপ্তার করার সাথে সাথে এই মডিউলের সদস্য তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
अर्जुन सिंह ने मांग की कि तृणमूल उम्मीदवार के नाम पर भी प्राथमिकी दर्ज की जाये
खबर कोलकाता: पहाड़ भर्ती भ्रष्टाचार मामले में कल तृणमूल छात्र परिषद के प्रदेश अध्यक्ष त्रिनानकुर भट्टाचार्य के नाम पर पुलिस ने एफआईआर दर्ज की है. भर्ती भ्रष्टाचार में पार्थ भौमिक का भी नाम शामिल है. बैरकपुर के भाजपा उम्मीदवार अर्जुन सिंह ने दावा किया कि त्रिनानकुर के गुरु पार्थ भौमिक के खिलाफ भी प्राथमिकी दर्ज की जाएगी, जो शुक्रवार सुबह नैहाटी में घर-घर मतदान के लिए निकले थे।

उनका दावा है कि अभी सिर्फ ट्रेलर शुरू हुआ है. तस्वीर अभी भी वहीं है.उन्होंने कहा, इस दिन तृणमूल के अच्छे लोग घर चले गये. वे बंगाल से भ्रष्ट सरकार की विदाई भी चाहते हैं. इस दिन उन्होंने नैहाटी के 6 नंबर विजयनगर जंक्शन से अपना अभियान शुरू किया और नैहाटी के विशाल क्षेत्र की परिक्रमा करते हुए नैहाटी रेलवे ग्राउंड के सामने अपना अभियान पूरा किया. फोटो: प्रवीर रॉय.
জরুরি অবস্থার সময়ের স্মৃতি চারণায় রাজনাথ সি,"আমাকে আমার মায়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যেতে দেওয়া হয়নি"

এসবি নিউজ ব্যুরো: কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং কংগ্রেস এবং বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করলেন। জরুরি অবস্থার দিনগুলির কথা স্মরণ করে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, আজকে যারা আমাদের স্বৈরশাসক বলছে, তারাই আমাকে আমার মায়ের শেষকৃত্যে যোগ দিতে দেয়নি। আমি তখন জেলে ছিলাম, কিন্তু প্যারোলে মুক্তি পাওয়া যায়নি। এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এ কথা জানিয়েছেন। এএনআই সম্পাদক স্মিতা মিশ্রের পডকাস্টে রাজনাথ সিং অনেক বিষয়ে কথা বলেছেন। সংবাদ সংস্থা পডকাস্টের কিছু অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছে। এতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পাকিস্তানি সন্ত্রাস, চীন থেকে শুরু করে জরুরি অবস্থার সময় পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন। এই সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং যে আমি জরুরী অবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অভিযোগে জেলে ছিলাম। অন্যদিকে আমার মা অসুস্থ। তার ব্রেন হেমারেজ হয়েছিল। তিনি একুশ দিন হাসপাতালে ছিলেন। আমি তাদের দেখতে যেতে পারিনি। আমি প্যারোল পাইনি। তিনি মারা গেলেও মুক্তি পেলাম না। জানাজায় অংশ নিতে পারেননি। রাজনাথ সিং বলেন, এটা আশ্চর্যজনক যে আজ তারা আমাদের ওপর স্বৈরাচারের অভিযোগ করছে। চীন ইস্যুতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন দেশের এক ইঞ্চি জমিও কেউ দখল করতে পারবে না। তিনি PoK সম্পর্কে বলেছেন, PoK আমাদের ছিল, আমাদের আছে এবং আমাদেরই থাকবে। পাকিস্তান যদি সন্ত্রাসবাদের আশ্রয় নিয়ে ভারতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে, তার পরিণতি খারাপ হবে। যদি তারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে না পারে তাহলে ভারত তাদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

সৌজন্যে:-ANI

বিপদে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাহিনী, ইডি আরও ১০ নেতার উপর তার দখল শক্ত করতে পারে

এসবি নিউজ ব্যুরো: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে মদ নীতি সংক্রান্ত একটি মানি লন্ডারিং মামলায় ইডি গ্রেপ্তার করেছে। কেজরিওয়ালের আগে আম আদমি পার্টির অনেক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই নামগুলো দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের সময় AAP প্রচুর সমালোচনা ও সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। যদিও সাধারণ আদমি পার্টির ঝামেলা এখনও শেষ হয়নি। দলের অনেক বড় মুখ, যাঁরা ইডি-র রাডারে রয়েছেন। আগামী দিনে আপনার আরও নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। ইডির এই নামগুলির মধ্যে রয়েছে বিভাব কুমার, রাজকুমার আনন্দ, আমানতুল্লাহ খান, দুর্গেশ পাঠক, গুলাব সিং যাদব, দীপক সিংলা এনডি গুপ্ত, কৈলাশ গেহলট এবং আরও কয়েকজন। এসব নাম যদি বিবেচনায় নেওয়া হয় তাদের ইডি-র সামনে হাজির করা হবে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তবে কাউকে ক্লিন চিট দেওয়া হয়নি এবং তাই আটক হওয়ার আশঙ্কা রয়ে গেছে। তবে (AAP) ক্রমাগত শাসক দলকে দোষারোপ করে আসছে, এবং দাবি করেছে যে বিজেপির এমন একটি গোলযোগ তৈরি করা একটি অত্যন্ত বুদ্ধিমান রাজনৈতিক পদক্ষেপ যাতে এটি ভোটব্যাঙ্ক এবং পরবর্তীতে লোকসভার ফলাফলকে প্রভাবিত করে! দিল্লি হাইকোর্টের (AAP) সমস্ত যুক্তিক্রমাগত ক্রয় এই সবের মধ্যে, সোমবার দিল্লির একটি আদালত মদ নীতি সংক্রান্ত মামলাটি 15 এপ্রিল পর্যন্ত রাজধানী দিল্লির আদালতে ফেরত পাঠায়। তবে এটি (এএপি) রাজনীতিবিদদের অভিযোগ এবং মামলার ক্রমাগত ভয়ে ফেলেছে। এবং জনসাধারণের ব্যর্থতা এড়াতে তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।

*কেজরিওয়াল সহ অনেক আপ নেতা জেলে, এখন আরও দলের ৭ নেতার বড়ি "তল্লাশি" করা হচ্ছে*

এসবি নিউজ ব্যুরো: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তারের পর দলটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের জন্য বড় সমস্যা হল দলের আহ্বায়ক ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল জেলে। একটি বড় সমস্যা হচ্ছে অনেক বড় মুখ দল ছাড়ছেন। পাঞ্জাব থেকে একক লোকসভা সাংসদ সুশীল কুমার টিংকু দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। একই সময়ে, কেজরিওয়ালের সহযোগী এবং দিল্লি সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী রাজ কুমার আনন্দ আম আদমি পার্টির সদস্যপদ এবং তার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এই সবের মধ্যে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা হল আম আদমি পার্টির অনেক সাংসদ নিখোঁজ। আম আদমি পার্টির মোট ১০ জন সাংসদ রয়েছে। ১০ জন এমপির মধ্যে ৩ জনই সক্রিয়। জামিনে বাইরে আছেন সঞ্জয় সিং, সন্দীপ পাঠক এবং এনডি গুপ্ত ছাড়াও দলের তিনজন রাজ্যসভার সাংসদ, যাদের অতীতে সক্রিয় দেখা গেছে। বাকি ৭ জন সাংসদ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারের বিষয়ে বা কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার ছিলেন না। ২১শে মার্চ তার জাতীয় আহ্বায়ক এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তারের পর থেকে, আম আদমি পার্টি দিল্লির পাশাপাশি দেশের অন্যান্য অংশে বিক্ষোভের সাক্ষী হয়েছে।প্রতিবাদ করছে। কিন্তু রাজ্যসভার ১০ জন সদস্যের অধিকাংশই এই বিক্ষোভ থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। শুধুমাত্র সঞ্জয় সিং, সন্দীপ পাঠক এবং এনডি গুপ্তাকে এই অনুষ্ঠানে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। আম আদমি পার্টির সাংসদদের যারা সক্রিয় দেখা যাচ্ছে না তাদের মধ্যে রয়েছে রাঘব চাড্ডা, স্বাতি মালিওয়াল, হরভজন সিং, অশোক কুমার মিত্তাল, সঞ্জীব অরোরা, বলবীর সিং এবং বিক্রমজিৎ সিং-এর নাম। আমগুলো কোথায়?আদমি পার্টির সাতজন রাজ্যসভার সাংসদ? রাঘব চাড্ডা- চোখের অপারেশন করতে লন্ডন গিয়েছিলেন। মার্চের শেষে ফেরার কথা থাকলেও ফেরেননি। তবে রাঘবকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় দেখা গেছে।

স্বাতি মালিওয়াল- তিনি আমেরিকায় আছেন এবং চিকিৎসাধীন তার বোনের সাথে আছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও সক্রিয় দেখা যায় স্বাতীকে। হরভজন সিং- হরভজন সিংকে আম আদমি পার্টির প্রোগ্রামে খুব কমই দেখা যায়। কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারে হরভজন সিংকে শান্ত দেখাচ্ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় হরভজন সিংয়ের পোস্টগুলি আইপিএল সম্পর্কে দৃশ্যমান, তবে AAP সম্পর্কে নয়।

অশোক কুমার মিত্তল- লাভলী প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা, অশোক মিত্তাল দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে অনুপস্থিত বলে মনে হচ্ছে।

সঞ্জীব অরোরা- সঞ্জীব বলেছিলেন যে তিনি 24 মার্চ কেজরিওয়ালের স্ত্রীর সাথে দেখা করেছিলেন। তবে তিনি ভারত জোটের বিক্ষোভে অংশ না নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। সঞ্জীব বলল-পার্টি আমাকে লুধিয়ানায় কিছু দায়িত্ব দিয়েছে।

বলবীর সিং- বলবীর সিং পরিবেশগত সমস্যা নিয়েও কাজ করেন। কিন্তু সম্প্রতি যে বিক্ষোভ হয়েছে তাতে তাকে দেখা যায়নি। বিক্রমজিৎ সিং- কেজরিওয়ালের গ্রেফতার হওয়া সত্ত্বেও বিক্রমজিৎ সিংকে পার্টির বিক্ষোভে কোথাও দেখা যায়নি।