রাম মন্দির নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ সুকান্তর

চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশ জুড়ে ভগবান শ্রীরামের ভক্তদের রাম মন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। সেই প্রসঙ্গেই এবার মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষয় নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেছেন, “রাম মন্দিরের উদ্বোধন বহু বছর ধরে ভারতীয়দের আবেগ ছিল। রাম মন্দির তৈরি হচ্ছে এবং এটি একটি সত্য যে তাঁর অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেনে নেওয়া উচিত। তিনি এই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছেন। রামের নামে তার অ্যালার্জি রয়েছে। তিনি হিন্দু বিরোধী এবং সেই কারণেই তিনি উদ্বোধনে যাচ্ছেন না।"

সবই স্বার্থের ঝগড়া, তৃণমূলের আদি-নব্য দ্বন্দ্ব নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলীপ ঘোষের

উত্তর ২৪ পরগনা: শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের আদি-নব্য দ্বন্দ্ব নিয়ে শাসকদল তৃণমূলে কোন্দল চরমে। বুধবার সন্ধ্যায় কাঁচড়াপাড়ার সিটি বাজারে বিজেপির শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সংঘের এক অনুষ্ঠানে এসে তৃণমূলের অন্ত:কলহ নিয়ে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, সবই স্বার্থের ঝগড়া। ক্ষমতার লড়াই চলবে। আর এভাবেই পার্টিটা একদিন শেষ হয়ে যাবে। বঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে দিলীপ ঘোষের দাবি, গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের এক ডজন সিট কমেছিল।

এবার দু'ডজন সিট কমবে। দিলীপ ঘোষের আরও দাবি, যেই পার্টিগুলো দেশে লুঠপাট করেছে। এতদিন দুর্নীতি করেছে। গরিব মানুষের সম্পত্তি লুঠ করেছে। তাদের এবার বিসর্জনের সময় এসে গেছে।এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিজেপির ব্যারাকপুর সংগঠনিক জেলার সভাপতি মনোজ ব্যানার্জি, জেলার সাধারণ সম্পাদক রূপক মিত্র, ব্যারাকপুর যুব মোর্চার সভাপতি বিমলেশ তেওয়ারি-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

দিল্লি হাইকোর্টে খারিজ মহুয়া মৈত্রের বাংলো উচ্ছেদের বিরুদ্ধে আবেদন

ফের চাপে পড়লেন তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র। লোকসভা থেকে বহিষ্কারের পর সরকার কর্তৃক বরাদ্দ করা বাড়ি খালি করার নোটিসের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রের আবেদন খারিজ করল দিল্লির হাইকোর্ট। পাশাপাশি হাইকোর্ট মহুয়াকে এস্টেট ডিরেক্টরেটের দ্বারস্থ হতে বলেন।

গত ৭ জানুয়ারির মধ্যে বাড়ি খালি করার নোটিশ বাতিলের নির্দেশ চেয়ে মহুয়া মৈত্র হাইকোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করেছিলেন। আদালত তাঁকে আবেদন প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর এখনও পর্যন্ত মহুয়ার তরফে কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

আরএমও হিসেবে যোগদান করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল এক জাল ডাক্তার

এসবি নিউজ ব্যুরো : কলকাতার এক বিখ্যাত ইএনটি স্পেশালিস্টের ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং আধার কার্ড জাল করে মুর্শিদাবাদের একটি নার্সিংহোমে আরএমও হিসেবে যোগদান করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল এক জাল ডাক্তার।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত ওই জাল ডাক্তারের নাম অরবিন্দ কুমার গুপ্ত। তার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার জানান, "ইতিমধ্যে আমরা ওই ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। "

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অরবিন্দ কুমার গুপ্ত নামে জগদ্দলের ওই ব্যক্তি কলকাতার এক বিখ্যাত ইএনটি স্পেশালিস্টের রেজিস্ট্রেশন নম্বর জাল করে মুর্শিদাবাদের ফারাক্কার একটি নার্সিংহোমে বেশ কয়েক বছর ধরে জেনারেল মেডিসিন এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিসেবে রোগী দেখছিলেন। অরবিন্দ নিজেকে ইএনটি-তে এমএস ডিগ্রিধারী হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। কলকাতার ওই বিখ্যাত ডাক্তারেরও একই ডিগ্রি রয়েছে।

সম্প্রতি ফারাক্কার হাসপাতাল ছেড়ে অরবিন্দ কুমার গুপ্ত সামশেরগঞ্জ থানার ধুলিয়ান নার্সিংহোমে আরএমও হিসেবে যোগদান করার জন্য আবেদন করে।

ধুলিয়ান নার্সিংহোমের মালিক ডাক্তার রফিক উল ইসলাম বলেন,"গত ১ তারিখে অরবিন্দ কুমার গুপ্ত আমার হাসপাতালে আরএমও হিসেবে যোগদান করার ইচ্ছে নিয়ে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তখন তাঁর কাছে আমি রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি দেখতে চাই। কিন্তু উনি রেজিস্ট্রেশন নম্বরের যে কাগজটি আমাকে দিয়েছিলেন সেটি দেখে সন্দেহ হওয়াতে আমি কয়েকজন চিকিৎসককে দিয়ে ওই রেজিস্ট্রেশন নম্বরের সত্যতা সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু করি।"

তিনি বলেন,"এরপর আমি জানতে পারি আমার হাসপাতালে যিনি যোগদান করতে চাইছেন তিনি আসলে কলকাতার একজন বিখ্যাত ইএনটি স্পেশালিস্টের রেজিস্ট্রেশন নম্বর জাল করে প্র্যাকটিস করছিলেন। ইতিমধ্যে আমার সঙ্গে কলকাতার ওই চিকিৎসকের কথা হয়েছে। তিনি নিশ্চিত করেছেন আমার হাসপাতালে যে অরবিন্দ কুমার গুপ্ত যোগদান করতে এসেছিলেন সেই রেজিস্ট্রেশন নাম্বারটি আসলে তাঁর ।

এই ঘটনা জানার পর আজ আমি "জাল" অরবিন্দ কুমার গুপ্তকে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। বৃহস্পতিবার সকালে তিন দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ।

স্বামীকে গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে খুন করার অপরাধে স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত

উত্তর ২৪ পরগনা: স্বামীকে গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে খুন করার অপরাধে স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমান ঘোষণা করল বসিরহাট আদালত।

উল্লেখ্য,১৪/১১/২০১৬ তারিখে বসিরহাটের হাড়োয়া থানার কালিকাপুর এলাকায় স্বামী হাজরা পারুই(২৮) কে গায়ে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ হয় স্ত্রী চিন্তা পারুই এর বিরুদ্ধে । কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় হাজরা পারুইয়ের । মৃত্যুকালীন অবস্থায় কর্তব্যরত ডাক্তারের কাছে জবানবন্দি দেয় হাজরা পারুই ।

এরপর পুলিশি তদন্তে চিন্তা পারুইকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু কিছুদিন পরে সে জামিনও পেয়ে যায় অভিযুক্ত। আদালতে বিচার চলতে থাকে । বুধবার বসিরহাট ফাস্ট ট্রাক ওয়ান আদালতের বিচারক চিন্তা পাড়ুইকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং আজ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন ।

হাইকোর্টের ভর্ৎসনার পরে সক্রিয় ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ

কলকাতা: গতকাল হাইকোর্টের ভর্ৎসনার পরে সক্রিয় ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা তড়িঘড়ি যুক্ত করা হল খুনের ধারা। গ্রেফতার করা হল সব অভিযুক্তকেই। বৃহস্পতিবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে রিপোর্ট দিয়ে জানাল ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট।

উল্লেখ্য,গত বছরের জুন মাসের বাড়ি ভাড়া চাওয়াকে কেন্দ্র করে খুন হন টিটাগড়ের বাসিন্দা গোবিন্দ যাদব। ভাড়াটে সহ অন্যদের বিরুদ্ধে ছাদ থেকে ফেলে পিটিয়ে মারার অভিযোগ। অভিযোগ, পুলিশ সরাসরি খুনের ধারা যুক্ত না করে অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারায় মামলা রুজু করে। জামিন চাইতে আদালতে আসে এক অভিযুক্ত।

গতকালই আদালতে সশরীরে হাজিরা দেন ব্যারাকপুর কমিশনারেটের কমিশনার অলোক রাজোরিয়া এবং তদন্তকারী আধিকারিক।কমিশনার এবং তদন্তকারী আধিকারিকের নাম পুলিশ মেডেলের জন্য সুপারিশ করা উচিত বলে গতকাল বিদ্রুপের সুরে এই মন্তব্য করেন বিচারপতি। ডিজি কে ডেকে পাঠানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক।

লরির ধাক্কায় প্রাণ হারালেন ২ পুলিশ কর্মী

ভোররাতে ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। হাওড়ার বাগনানে পুলিশের পেট্রোলিং ভ্যানের পিছনে লরির ধাক্কা। ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের কলকাতামুখী লেনে দুর্ঘটনায় একজন সাব-ইন্সপেক্টর ও একজন হোমগার্ড প্রাণ হারিয়েছেন। দুর্ঘটনায় আরও ৩ পুলিশ কর্মী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।

এদিন ভোররাতে বাগনানের বরুন্দায় ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে কলকাতামুখী লেনে দাঁড়িয়েছিল পুলিশের পেট্রোলিং ভ্যান। চালক সহ ৫ জন ছিলেন তাতে। সেই সময় কোলাঘাটের দিক থেকে বাগনানের দিকে যাওয়ার পথে, বেপরোয়া লরি পুলিশের গাড়িতে ধাক্কা মারে। তীব্র গতির কারণে পুলিশের পেট্রোলিং ভ্যান দূরে গিয়ে উলটে পড়ে। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান বাগনান থানার সাব ইন্সপেক্টর সুজয় দাস এবং হোম গার্ড পলাশ সামন্তর। বাকি ৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লরি সমেত চালক পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

বৃদ্ধাশ্রমে দুয়ারে সরকার প্রকল্প নিয়ে হাজির স্বয়ং মহকুমা শাসক, হাতে হাতে শংসাপত্র প্রদান

উত্তর ২৪ পরগনা: ৮ম দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প চলছে সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে। এই পরিকল্পনার বাস্তবিক রূপায়নে রুপ দিলেন বসিরহাট মহকুমা শাসক আশিষ কুমার। গতকাল তিনি বসিরহাটের “ আপন আলয় “ বৃদ্ধাশ্রমের ৮,জন বিধবা মহিলাদের সরাসরি স্বাস্থ্যসাথী, বিধবাভাতা, খাদ্যসাথী ও অন্যান্য দুয়ারে সরকারের পরিষেবা প্রদান করলেন ৷ তাদের হাতে সরাসরি তুলে দেওয়া হয় এই প্রকল্পের কার্ড গুলি।যা পেয়ে খুশি বৃদ্ধাশ্রমের মানুষ গুলো ৷

এর সাথে ব্যক্তিগতভাবে মহকুমা শাসক শীতের কম্বল, ফল, মিষ্টি এমনকি টয়লেট করার জন্য পেমপাসও প্রদান করেন। বসিরহাট মহকুমা শাসকের দুয়ারে সরকারের এই ভাবনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বৃদ্ধাশ্রমের পরিচারিকা সহ চেয়ারপার্সন অদিতি মিত্র। এছাড়া বৃদ্ধাশ্রমে উপস্থিত পুষ্পরানী ঘোষ যিনি খাদ্যসাথী কার্ডের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন, সরাসরি মহকুমা শাসকের উপস্থিতিতে তৎক্ষণাৎ রেশন ডিলারের পরিবর্তন করে খাদ্যসাথী প্রকল্পটি চালু করা হয় ৷

বৃদ্ধা মা দেবলা দাস, মীরা মিত্র সহ অন্যান্যদেরকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ও বার্ধক্যভাতা পরিষেবা দেবার জন্য সমস্ত কাগজ গুলি মহকুমা শাসকের করনে দ্রুত জমা করার আবেদন করেন এবং পরিষেবা দেওয়া প্রতিশ্রুতির প্রদান করেন ৷ হাতে হাতে সরকারি প্রকল্পের সংশয় পত্র পেয়ে রীতিমতো খুশি বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকরা।

রেস্তোরাঁ থেকে বাদ্যযন্ত্র চুরি সংগীত প্রেমী চোরের, সিসিটিভি দেখে চিহ্নিত করে চোরকে জেলে পাঠালো পুলিশ

উত্তর ২৪ পরগনা: রেস্তোরাঁয় চুরি করতে ঢুকে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে পালালো চোর। সংগীতপ্রেমী চোরের এই কান্ড দেখে হতবাক বসিরহাটের টাকি শহরের মানুষ। বসিরহাটের হাসনাবাদ থানার টাকি পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের টাকি কেন্দ্রীয় পাঠাগারের বিপরীতে এক নামী রেস্তোরাঁয় চোরের এই অভিনব কান্ডে শোরগোল ফেলেছে স্থানীয় মানুষের মধ্যে।

দোকানের মালিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগে দোকানের জানলার কাঁচ ভেঙে এক চোর দোকানে প্রবেশ করে। সেখান থেকে চুরি করে নিয়ে যায় বেশ কয়েকটি গিটার, সাউন্ড সিস্টেম, হোম থিয়েটার ও একটি টিভি। যেগুলি মূলত রেস্তোরাঁয় আগতদের মনোরঞ্জনের জন্য ব্যবহার করা হতো। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি গিটার ঐ চোর পুকুরে ফেলে যায়। তার সঙ্গেই নগদ ২০ হাজার টাকা ও একটি টিভি ক্ষতিগ্রস্ত করে। সকালে এসে হতবাক হয়ে যান রেস্তোরাঁর মালিক সহ অন্যান্য কর্মীরা।

সিসিটিভি ফুটেজ ঘেটে দেখা যায় এক চোর মাঝরাতে এই কান্ড ঘটিয়েছে। দোকান থেকে একে একে বাদ্যযন্ত্রগুলি চুরি করে চম্পট দেয় সে। দোকানের মালিক সঞ্জীব দাস এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাসনাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়। তারপর তাকে গ্রেফতার করা হয় ওই রেস্তোরাঁর সামনে থেকেই। জানা গিয়েছে, চোরের নাম হোসেন গাজী। বাড়ি বসিরহাটের সংগ্রামপুরে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হোসেন গাজী বেশ কিছু বছর আগে ওই রেস্তোরাঁয় কাজ করত। কিন্তু তার অভব‍্য আচরণের জন্য তাকে কাজ থেকে সরিয়ে দেয় মালিক। সেই আক্রোশের জেরেই সে রেস্তোরাঁয় গিয়ে এই কান্ড ঘটিয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। যদিও এই ঘটনার জেরে রেস্তোরাঁর নগদ ২০,০০০ টাকা সহ মোট প্রায় ১ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য সামগ্রী থাকা সত্ত্বেও কেন এই চোর বাদ্যযন্ত্রের দিকেই তার আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ করলো? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তাহলে কি সংগীত প্রেমেই তাকে এই রেস্তোরাঁয় চুরি করতে বাধ্য করালো।

*নামছে পারদ, বঙ্গে শীতের আমেজ, জেনে নিন আজকের আবহাওয়া*


নতুন বছরের শুরুতে সামান্য পারদ নেমেছে দক্ষিণবঙ্গে। যদিও জাঁকিয়ে শীতের কোনও দেখাই নেই। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ৫-৭ তারিখ একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঝাড়খন্ড এবং দক্ষিণবঙ্গে প্রভাব ফেলবে। এর জেরে চলতি সপ্তাহে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিঙে বৃষ্টি এবং তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, ১০ জানুয়ারি থেকে আবারও বাংলায় জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়তে পারে। অন্যদিকে এরই মাঝে আবার রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশ সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের উত্তর পূর্ব অংশে রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। এর জেরে পুবালী হাওয়ার দাপটে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। যার কারণে মেঘলা আবহাওয়া রয়েছে।বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমানে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ রাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২২ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস।