*নতুন বছরে এম এল এ কাপ*


মহিষাদল: খেলাধুলার মানোন্নয়ন ঘটাতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এমপি,এম এল এ, দিদি কাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মহিষাদল এম এল এ ফ্যান ক্লাবের উদ্যোগে তৃতীয় বর্ষের এম এল এ কাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইংরেজির নতুন বছরের ১৯ ও ২০ জানুয়ারি। দুদিন ধরে অনুষ্ঠিত হবে মহিষাদল এম এল এ কাপ -২০২৪। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের নামকরা ৮ টি ফুটবল ও ৮টি ক্রিকেট দল নিয়ে দুদিন ধরে দিবারাত্রি ফুটবল ও ক্রিকেট প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে।সোমবার বিকেলে মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সভাকক্ষে এক বৈঠকে দিনক্ষণ ঘোষনা করা হয়। ঘোষনা করেন মহিষাদলের বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিউলি দাস, সহ সভাপতি শম্ভুনাথ সাহু, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মানসকুমার পন্ডা, মহিষাদল এম এল এ ফ্যান ক্লাবের সভাপতি ছবিলাল মাইতি সহ অন্যান্যরা। 

বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তী জানান, মহিষাদল শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলার শহর। সেই শহরে খেলার মানোন্নয়ন ঘটানোর লক্ষ্যে এলাকার ক্রিড়া উদ্যোগতাদের নিয়ে আমন্ত্রণ মুলক ফুটবল ও ক্রিকেট খেলার আয়োজন।

*শহরের ট্রাম চালু রাখা নিয়ে রাজ্যের ভূমিকায় বিরক্ত কলকাতা হাইকোর্ট*


কলকাতা: কলকাতা শহরের ট্রাম চালু রাখা নিয়ে রাজ্যের ভূমিকায় বিরক্ত কলকাতা হাইকোর্ট। প্রয়োজনে রাজ্যের এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে ট্রাম চালাতে আগ্রহী সংস্থাদের সাথে যোগাযোগ করতে ট্রাম কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতি টি এস শিবাগননম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।

ট্রাম চালু রাখা নিয়ে ট্রাম কর্তৃপক্ষর অনিচ্ছার কথা শুনে ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ট্রাম কর্তৃপক্ষ কী খালি ট্রাম বিক্রি করতে বসে রয়েছে। কর্মচারীদের বেতন দেওয়া বা কি করে পুনরায় পরিষেবা দেওয়া যায় সে ব্যাপারে তাঁদের কোনো চিন্তাভাবনাই নেই। শহরে ট্রাম চালানো নিয়ে কলকাতা পুলিশ বিরোধিতা করেছে। কারণ গতি ধীর।

ট্রাফিক ব্যাবস্থা সমস্যা হচ্ছে। তা শুনে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের মত, পুলিশ একা এর বিরোধিতা কর‍তে পারে না। ট্রাম রাজ্যের ঐতিহ্য। তাকে রক্ষা করতে হবে অহেতুক তর্কবিতর্ক না করে। আদালতের মতে গঠনমূলক আলোচনা দরকার যাতে ট্রাম চালানো যায়। এই নিয়ে গঠিত কমিটি দেখবে যাতে ট্রাম পরিষেবা পুনরায় চালু করা যায়। কমিটি দেখবে কলকাতা পুলিশের অভিযোগ খতিয়ে।

ডিভিশন বেঞ্চ বলে, সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে যে কমিটি হয়েছে সেখানে বেসরকারি কর্তৃপক্ষকে আমন্ত্রণ জানানো দরকার। পিপিপি মডেলে কিছু করার জন্য। না হলে পুরো উদ্যোগ নষ্ট হবে। কমিটি প্রথমে ভাববে কিভাবে ট্রামকে আধুনিক করা যায়। সিট থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু অত্যাধুনিক করতে হবে যাতে সাধারণ যাত্রী নয়, যুবক যুবতীদেরকে ও আকর্ষীয় করা যাবে। আদালত আশা করছে রাজ্য আগামী দিন আদালতকে ফলপ্রসূ কিছু জানাবে। এই নিয়ে শীতকালীন অবকাশের পর রিপোর্ট দিতে হবে রাজ্যকে বলে নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী অনিন্দ্য লাহিড়ী বলেন, দুটো মিটিং হয়েছে। কিছু লাইনে ট্রাম চালানোর বিরোধিতা করেছে পুলিশ ও ট্রাম কতৃপক্ষ। কিন্তু পরে আবার রিপোর্ট দিয়ে জানানো হয়েছে ভালো করে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে খতিয়ে না দেখেই এটা করা হয়েছে। পুলিশ ট্রাম চালানোর বিরোধিতা করছে। অথচ পুলিশ এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী নয় মোটেই। এরপরই প্রধান বিচারপতি বলেন, ট্রাম কোম্পানি কি করছে। আইনজীবী জানান, একটা মাত্র রুটে ট্রাম চালানোর কথা বলেছে।

তা শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন, ওরা শুধু বিক্রি করার জন্য রয়েছে। কর্মচারীদের বেতন ওরা দিতে পারবে না। প্রধান বিচারপতি বলেন, যারা ট্রাম অপারেট করতে পারবে এই ধরনের কোনো সংস্থার সঙ্গে কথা বলুন। তারা পুরো বিষয় দেখুক। তারা কি করতে পারে দেখা যাক।

*SLST চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে মন্তব্য করলেন ব্রাত্য*


বিকাশ ভবনে SLST চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।সূত্রের খবর, সরকারের তরফে ইতিবাচক পদক্ষেপ করার প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

বৈঠকে চাকরিপ্রার্থীদের ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, সরকারও চাইছে যোগ্যরা চাকরি পাক। কেউ বঞ্চিত হোক তা চান না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কীভাবে যোগ্যদের চাকরি দেওয়া যায় তা খতিয়ে দেখেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই নিয়োগের ব্যাপারে যে আইনি জটিলতা আছে, তা কাটাতে হবে আগে। সেটাই করবে সরকার।ফের ২২ ডিসেম্বরে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ব্রাত্য।

শুশুনিয়া পাহাড়ের পরিবেশ রক্ষায় প্রচার ও মিছিল করলো ছাতনা বনদপ্তর ও মাঙ্গলিক সংঘ

এসবি নিউজ ব্যুরো: পর্যটনের মরসুম শুরু হতেই বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়ের পরিবেশ রক্ষায় মানুষকে সচেতন করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়ল বন দপ্তর। বন দপ্তরের ছাতনা ফরেস্ট রেঞ্জ ও শুশুনিয়া বীটের বনকর্মী এবং আধিকারিকরা এদিন একগুচ্ছ নির্দেশিকা ছাপিয়ে লিফলেট বিলি করলো।

পাশাপাশি আজ শুশুনিয়া মাঙ্গলিক সংঘ ও ছাতনা বনদপ্তর যৌথ উদ্যোগে একটি সচেতনতা গড়ার প্রচার মিছিলেরও আয়োজন করা হয়। এই মিছিল থেকে শুশুনিয়া পাহাড়ের সবুজ রক্ষা এবং পাহাড়ের ইকো সিস্টেম বজায় রাখার আবেদন জানানো হয়।পাশাপাশি, পরিবেশ রক্ষায় একগুচ্ছ সতর্কতাবিধি বেঁধে দিয়েছে বন দপ্তর। যেমন শুশুনিয়া পাহাড় এবং সংলগ্ন এলাকায় প্লাস্টিক ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ।

পাহাড়ে খালি জলের বোতল,চিপসের প্যাকেট, এবং যে কোন প্রকারের বর্জ্য পদার্থ ফেলা চলবেনা। জঙ্গলের গাছে পেরেক পোঁতা,গাছের গুড়িতে খোদাই করে নাম লেখা,গাছের ছালের মধ্যে কয়েন সাঁটিয়ে দেওয়া এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে সকলকে। পাশাপাশি, পাহাড়ের ওপরে শুকনো পাতা বা গাছে আগুন লাগানো, সিগারেট বা বিড়ির অবশিষ্ট অংশ ফেলা, কোন দাহ্য পদার্থ নিয়ে পাহাড়ে চড়া নিষিদ্ধ।

এছাড়া বিনা অনুমতিতে রক ক্লাইম্বিং অর্থাৎ পাহাড়ের শীর্ষে চড়া, পাহাড়ের পাদদেশে তাবু খাটানো চলবে না। শব্দ দূষণ বিধি লঙ্ঘন করে জোরে মাইক বাজালেও এখানকার বাস্তুতন্ত্রে তা প্রভাব ফেলবে। তাই মাইক বাজাতে হবে সীমিত শব্দের মধ্যে। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পর্যটক, এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী, দোকানদার এবং ট্রেকিং এর জন্য আসা পাহাড় প্রেমী সকলকেই এই বন দপ্তরের জারি করা সতর্কতা বিধি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছে বন দপ্তর। সেই জন্য এই সচেতনতা গড়তে এই কর্মসুচি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ছাতনার বন দপ্তরের রেঞ্জার। তা না হলে বন দপ্তরকে বিকল্প পথ হিসেবে বিধি অমান্যকারীদের জরিমানা করার ভাবনা চিন্তা রয়েছে।

সাঁকরাইল ব্লকের ভাঙ্গাগড় গ্রামীণ হাসপাতাল পরিদর্শনে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা

এসবি নিউজ ব্যুরো: সোমবার ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের ভাঙ্গাগড় গ্রামীণ হাসপাতাল পরিদর্শন করলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য, ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল সদস্য তথা গোপীবল্লভপুর বিধানসভার বিধায়ক ডাঃ খগেন্দ্রনাথ মাহাতো। হাসপাতালে চিকিৎসক, রোগী, নার্স সহ রোগীর আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে সুবিধা অসুবিধার বিষয়ে খোঁজখবর নেন বিধায়ক ডাঃ খগেন্দ্রনাথ মাহাতো।

একই সঙ্গে পুরো হাসপাতাল চত্বর ঘুরে দেখেন বিধায়ক। হঠাৎ করে বিধায়কের হাসপাতাল পরিদর্শন আসাতে রোগীর বাড়ির লোকজন খুশি। তাদের সুবিধা ও অসুবিধার কথা বিধায়ককে জানাতে পেয়ে খুবই খুশি তাঁরা। বিধায়ক ডাঃ খগেন্দ্রনাথ মাহাতো জানান, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সরকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন। যাতে আগামী দিনে গ্রাম বাংলার প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের কোনো অসুবিধা না হয়।" বিধায়ক হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে ভাঙ্গাগড় গ্রামীণ হাসপাতালে সমস্ত ডাক্তার ও নার্সদের নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। উপস্থিত ছিলেন গোপীবল্লভপুর বিধানসভার বিধায়ক ডাঃ খগেন্দ্রনাথ মাহাতো, সাঁকরাইল ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক রোহন ঘোষ, সাঁকরাইল ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ বাসব বিজয়ী শীট সহ অন্যান্য বিশিষ্ট সমাজসেবীরা।

এছাড়াও গোপীবল্লভপুর বিধানসভার সাঁকরাইল ব্লকের কুলটিকরী উচ্চতর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন গোপীবল্লভপুর বিধানসভার বিধায়ক ডাঃ খগেন্দ্রনাথ মাহাতো। বিধায়ককে কাছে পেয়ে খুশি এলাকার মানুষজন। জানা গেছে এদিন সাঁকরাইল ব্লকে থাকা বিভিন্ন হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা খতিয়ে দেখতে বিধায়ক ডাঃ খগেন্দ্রনাথ মাহাতো প্রতিটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। সেইসঙ্গে হাসপাতালে থাকা রোগীর আত্মীয় পরিজনদের সাথে কথা বলে তাদের অভাব অভিযোগের কথা জানার চেষ্টা করেন। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে বিধায়ক সমস্ত ডাক্তার নার্সদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন।

টালি নালার দুপাশে ড্রেজিং এবং অন্যান্য সংস্কারের পুরনিগমের প্রোজেক্ট এর অগ্রগতি জলপথে সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন মেয়র

কলকাতা: কলকাতার খিদিরপুর দই ঘাট থেকে সোনারপুর পর্যন্ত সাড়ে ১৫ কিলোমিটার টালি নালার দুপাশে ড্রেজিং এবং অন্যান্য সংস্কারের ৩২ কোটি টাকার কলকাতা পুরনিগমের প্রোজেক্ট এর অগ্রগতি জলপথে সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন মেয়র।

মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানালেন, আক্ষেপ, মানুষ সচেতন নন। তাই আগের বার ফাঁকা দেখে আসা অনেক নতুন এলাকা জবরদখল হয়ে গিয়েছে। মানুষের টালি নালা কে ভ্যাট হিসেবে ব্যবহার করার খারাপ অভ্যাস তৈরি হচ্ছে। সিঙ্গাপুরে এরকম একটা পরিত্যক্ত নোংরা খাল ছিল। এখন তার চেহারা দেখে অবাক হতে হয়। টালি নালাকেও একদিন এরকম চেহারায় দেখতে চান মেয়র।

২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে চেতলা থেকে কুদঘাট পর্যন্ত সংস্কারের কাজ শেষ হবে। তারপর সেখান থেকে সোনারপুর পর্যন্ত পলি তোলা এবং অন্যান্য সংস্কারের কাজ শুরু হবে। পুরো কাজ শেষ হলে এই গোটা ১৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার এলাকায় দুদিকেই ফেন্সিং দেবে পুরসভা।

অভিনব বিক্ষোভ মিছিল

কলকাতা : আজ ওয়েলফেয়ার পার্টি অফ ইন্ডিয়া পশ্চিমবঙ্গ শাখার পক্ষ থেকে একটি অভিনব বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। যেটি মুলা আলী রামলীলা পার্ক থেকে শুরু হয় এবং ধর্মতলার গান্ধী মূর্তি পাদদেশে এসে শেষ হয় এই অভিনব বিক্ষোভ মিছিলে মহিলারা অংশগ্রহণ করেন হাতেঝাঁটা নিয়ে এবং এই মিছিলের মূল দাবি হয় মদ ঘুষ সুদ লটারি মুক্ত করতে হবে বাংলাকে।

আমাদের বাংলাকে পরিষ্কার করতে হবে। স্বচ্ছ করতে হবে সমাজকে পরিষ্কার করতে হবে সমাজ দূষিত করছে মদ ঘুষ সুদ লটারি ব্যবসায়ীরা।

আমডাঙ্গার জমি ব্যবসায়ীর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি

উত্তর ২৪ পরগনা: বসিরহাটের পর উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা। জমি ব্যবসায়ীর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চলল। তার আগেই তিনি বাড়ির ভিতর ঢুকে যাওয়ায় অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন । আমডাঙা থানার সিকিরা গ্রামের জমি ব্যবসায়ী শেখ ফরিদ হাসানের দাবি, "তিনি তৃণমূল করতেন। এখন জমি কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত।

ব্যবসায়ীর অভিযোগ, গতকাল রাত পৌনে ১২টা বাড়ি ফেরার পর, তিনি গুলির আওয়াজ পান। তাঁর দাবি, সকালে দেখা যায়, গাড়ির পিছনে গুলির দাগ। গুলির একটি খোলও উদ্ধার হয়েছে বলে ব্যবসায়ীর দাবি"। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, গুলি চলার দাবি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিশেষ সক্ষম ব্যক্তিদের রাজ্যের পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে হয়রানি নিয়ে বিরক্ত কলকাতা হাইকোর্ট

কলকাতা: বিশেষ সক্ষম ব্যক্তিদের রাজ্যের পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে হয়রানি নিয়ে বিরক্ত কলকাতা হাইকোর্ট। এই নিয়ে খুব প্রকাশ করলেন প্রধান বিহারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। তাঁর মন্তব্য, রাজ্যের সব ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক কর্মী থাকায় কাজে দায়সারা মনোভাব দেখা দিচ্ছে। এতেই ভোগান্তি বাড়ছে বলে মত প্রধান বিচারপতির। তিনি বলেন, এরাজ্যে কেন আলাদা পোর্টাল চলছে। যদি সেটা হয়েও থাকে তবে কেন কেন্দ্রীয় পোর্টাল থেকে তথ্য নেওয়া হচ্ছে না। এই ধরনের মানুষের জন্য এটা হয়রানি বলেই মনে করছে আদালত বলে জানান প্রধান বিচারপতি। বিশেষ সক্ষম মানুষদের সুবিধার্থে ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ইউডিআইডি (ইউনিক ডিসএবলিটি কার্ড) কার্ডের ব্যবস্থা করে।

অভিযোগ, রাজ্য এই পোর্টাল থাকার পরেও আলাদা করে এই ধরেন মানুষদের জন্যে নির্দিষ্ট পোর্টাল খোলে। এই পোর্টাল থেকে কার্ড দেওয়ার কথা বলা হয়। অভিযোগ যখনই সেখানে নাম নথিবদ্ধ করতে চাইছেন প্রার্থীরা তাদের নাম নথিবদ্ধ বলে দেখানো হচ্ছে। ফলে কেউ কার্ড পাচ্ছেন না। এই অভিযোগ তুলে বিশেষ ভাবে চাহিদা সম্পন্নদের পরিবার আদালতে মামলা করে। প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, কেউ কাজ করতে চায় না। এ ওকে দেখাচ্ছে ও তাকে দেখাচ্ছে। একজন চিকিৎসক সব কাজ করবেন এটা আশা করা যায় না। হাসপাতালের ৮০ % কর্মী চুক্তিভিত্তিক। তারা ১২-১৩ হাজার টাকা করে পায়। কি কাজের আশা করবেন তাদের কাছ থেকে। এর পরই তিনি বলেন, রাজ্য আরেকবার আদালতে বলুক ই-পোর্টাল এ রাজ্য শীর্ষে। আমি বুঝিয়ে দেব। এদিন রাজ্যকে তিনি প্রশ্ন করেন আপনাদের কতজন কর্মী চুক্তিভিত্তিক।

রাজ্যের আইনজীবী বলেন, জানি না। বিরক্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনার জানা উচিৎ। মানুষ দূর থেকে আসেন। কত কত টাকা খরচ করে তারা কলকাতায় থাকেন। সব জায়গায় চুক্তি ভিত্তিক কর্মী বেশি। এসএসকেএম হাসপাতালে কতজন চুক্তি ভিত্তিক। তিনি বলেন, খুব খারাপ লাগে ই-পোর্টাল না খুললে। জয়েন্ট ডাইরেক্টর আবার বলছেন ৪৭০ কার্ড পোর্টালে হয়েছে। এই সমস্যা সাধারণ। এটা ঠিক করে নেওয়া সম্ভব। কিন্তু তা না করে এভাবে মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।

যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের অধ্যক্ষ পদে মানিক ভট্টাচার্যের নিয়োগ বেআইনি ছিল, ইউজিসি হলফনামা দিয়ে জানালো কলকাতা হাইকোর্টে

কলকাতা: ১৯৯৮সালে যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের অধ্যক্ষ পদে মানিক ভট্টাচার্য্য ও লেকচারার পদে সুনন্দা গোয়েঙ্কা ও অচিন্ত কুন্ডুর নিয়োগ বেআইনি ছিল। ১৯৯৮ সালে ওই পদে বসার মতো তার কোনো যোগ্যতা ছিল না বলে ইউজিসি হলফনামা দিয়ে জানালো কলকাতা হাইকোর্টে। তাঁদের মতে সুনন্দাকেও যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ করা হয়। এমনটি যোগ্যতা ছাড়াই তাঁদের নিয়োগকে স্থায়ীপদে রূপান্তর করা হয়।

বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলীর এজলাসে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মামলা করেন দানিশ ফারুকি। ওই মামলায় হলফনামা দিয়ে এই বক্তব্য জানালো ইউজিসি। ওই কলেজের অধ্যক্ষদের বেআইনি নিয়োগ সহ নানা অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল। ওই মামলায় হলফনামা দিয়ে বক্তব্য পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।

ইউজিসির মতে, অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের জন্যে স্নাতকোত্তরে ৫৫ শতাংশ নম্বর, ডক্টরেট ডিগ্রী ও নূন্যতম ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা এবং নেট উত্তীর্ণ হতে হয়। কিন্তু এই প্রার্থীরা সেই মাপকাঠি মেনে নিযুক্ত বা স্থায়ী হননি। শীতের ছুটির পরে এই মামলা ফের শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।