*সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে পণ্ডিচেরীর কাছে হার বাংলার*

খেলা

Khabar kolkata sports Desk : সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির নক আউট পর্বে যাওয়া কঠিন হয়ে গেল বাংলার কাছে। ব্যাটিং বিপর্যয়ে আজ হায়দরাবাদের জিমখানা মাঠে পণ্ডিচেরীর কাছে ৮১ রানে হার অভিমন্যু ঈশ্বরনের নেতৃত্বাধীন দলের। বাংলার শেষ ৮ উইকেট পড়ল ৬.২ ওভারে ২৬ রানের ব্যবধানে। শেষ ৬ উইকেট পড়ে ১৬ রানে! ফলে জয়ের জন্য ১৭৮ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৩.৫ ওভারে ৯৬ রানেই গুটিয়ে গেল বাংলা।ওপেনিং জুটি ভেঙেছিল ৪ ওভারে ৪৪ রানে। ৫.২ ওভারে ৫৮ রানে দ্বিতীয় এবং ৭.৩ ওভারে ৭০ রানে পড়ে তৃতীয় উইকেট। করণ লাল ২৩ বলে ৪০, অভিমন্যু ৬ বলে ১২ ও অভিষেক পোড়েল ৯ বলে ১১ রান করেন। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের ঘরে নিজেদের রান নিয়ে যেতে পারেননি। জয়ন্ত যাদব চারটি ও সিদাক সিং তিন উইকেট নেন।যুবরাজ কেসোয়ানি ১১ বলে ৭, সুদীপ কুমার ঘরামি ৬ বলে ৫, শাকির হাবিব গান্ধী ৫ বলে ৩, ঋত্ত্বিক চট্টোপাধ্যায় ৯ বলে ৮, প্রদীপ্ত প্রামাণিক ৫ বলে ২, আকাশ দীপ ১ বলে ০, মহম্মদ শামি ৬ বলে ৫ রানে আউট হন। মুকেশ কুমার অপরাজিত থাকেন ২ বলে ০ রানে‌।

টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল বাংলা। পণ্ডিচেরী নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান তোলে। অধিনায়ক আমন খান পাঁচটি চার ও সাতটি ছয়ের সাহায্যে করেন ৪০ বলে সর্বাধিক ৭৪। যশবন্ত শ্রীরাম আউট হন ৩৪ বলে ৪৫ রান করে।

মহম্মদ শামি ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন। বাংলার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩টি ডট বল তিনিই করেন। ঋত্ত্বিক চট্টোপাধ্যায় ২টি উইকেট পান ৪ ওভারে ৫৩ রান খরচ করে। মুকেশ কুমার ৪ ওভারে ৩৯, আকাশ দীপ ৪ ওভারে ২০ ও প্রদীপ্ত প্রামাণিক ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়েছেন, তবে উইকেট পাননি। প্রদীপ্ত ১২টি, মুকেশ ও আকাশ ৯টি করে এবং ঋত্ত্বিক সাতটি ডট বল করেছেন।

*খেলা* *সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে সার্ভিসেসকে হারিয়ে জয় পেল বাংলা*

Khabar kolkata sports Desk : সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে জয় বাংলা। বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদের জিমখানা মাঠে গ্রুপ সি-র গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অভিমন্যু ঈশ্বরনের নেতৃত্বাধীন দল জিতল ৭ উইকেটে, ২৯ বল বাকি থাকতেই। এদিন টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে ১৮.২ ওভারে ১৬৫ রানেই সার্ভিসেসের ইনিংস শেষ হয়ে যায় । সার্ভিসেস অধিনায়ক মোহিত আহলাওয়াত ২২ বলে সর্বাধিক ৩৮ রান করেন। মহম্মদ শামি ৩.২ ওভারে ১৩ রানের বিনিময়ে নেন চার উইকেট। আকাশ দীপ ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন। ঋত্ত্বিক চট্টোপাধ্যায় ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ২টি উইকেট। প্রদীপ্ত প্রামাণিক ৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। মুকেশ কুমার ৩ ওভারে ৫৩ রান দেন, উইকেট পাননি।জবাবে ১৫.১ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলা। ৩ উইকেট খুইয়ে। অভিষেক পোড়েল ৮টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে ২৯ বলে ৫৬ রান করেন। অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরনের ৩৭ বলে ৫৮ রানের ইনিংসে রয়েছে ৭ টি চার ও একটি ছয়। তাঁরা দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৯৩ রান যোগ করেন মাত্র ৫০ বলে।বাংলার ওপেনিং জুটি ভেঙেছিল ১.১ ওভারে ১৪ রানের মাথায়। করণলাল ১ বলে শূন্য রানে আউট হন। যুবরাজ কেসোয়ানি ১৯ বলে ৩৬ ও আকাশ দীপ ৫ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন। মোহিত রাঠী ২টি ও বিশাল গৌড় ১টি উইকেট পেয়েছেন। এদিনের জয়ের ফলে ৫ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট হল বাংলার।

ছবি সৌজন্যে:সিএবি

*সেনাবাহিনীর কর্তাদের সঙ্গে দেখা করলেন সিএবি সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়*

Khabar kolkata sports Desk: ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সম্পর্ক আরও নিবিড় ও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সেনা-কর্তাদের সঙ্গে দেখা করলেন সিএবি সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও সিএবির কোষাধ্যক্ষ সঞ্জয় দাস। বেঙ্গল সাব এরিয়ার হেড কোয়ার্টার্সের ভিএসএম জিওসি মেজর জেনারেল রাজেশ অরুণ মোঘের হাতে ফ্রিডম ট্রফির রেপ্লিকা তুলে দেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল সাব এরিয়া হেড কোয়ার্টার্সের সেনা আধিকারিক কর্নেল তরুণ ত্যাগী, লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রশান্ত সিনহা,সিএবির সিইও চিন্ময় নায়েক। সিএবি সভাপতি হিসেবে প্রত্যাবর্তনের পর সেনাবাহিনীর বেঙ্গল সাব এরিয়ার জিওসি দফতরে এই প্রথম কোনও অফিসিয়াল বৈঠক করলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইডেন গার্ডেন্সে সংস্কারের কাজের বিষয়ে সেনা-কর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন সিএবি সভাপতি। আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজন যাতে আরও বড় আকারে ও আগের চেয়েও ভালোভাবে করা যায় তা নিয়ে বৈঠকে কথাবার্তা হয়েছে। সিএবির সঙ্গে সেনাবাহিনীর পারস্পরিক সম্পর্ক আরও উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে কী কী করণীয় তা নিয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়।

ছবি সৌজন্যে:সিএবি।

*খেলা* *হিমাচল প্রদেশকে হারিয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে তৃতীয় জয় পেল বাংলা*

Khabar kolkata sports Desk: সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে তৃতীয় জয় পেল বাংলা। মঙ্গলবার হায়দরাবাদের জিমখানা মাঠে হিমাচল প্রদেশকে ৮ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে হারাল অভিমন্যু ঈশ্বরনের দল। এদিন বাংলা দলে অভিষেক হল যুবরাজ কেসোয়ানির, তাঁর হাতে দলের ক্যাপ তুলে দেন মহম্মদ শামি।টস জিতে ব্যাট করতে নেমে হিমাচল প্রদেশ ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান তুলেছিল। একান্ত সেন ৫০ বলে ৮৯ ও পুখরাজ মান ৩৬ বলে ৭৯ রান করেন। শাহবাজ আহমেদ ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। মহম্মদ শামি ৪ ওভারে ৩১ ও মুকেশ কুমার ৪ ওভারে ৪১ রান দিয়ে একটি করে উইকেট নেন। আকাশ দীপ ২ ওভারে ৩৫, ঋত্ত্বিক চট্টোপাধ্যায় ৪ ওভারে ৪০ ও প্রদীপ্ত প্রামাণিক ২ ওভারে ২৪ রান দেন, কোনও উইকেট পাননি।জয়ের জন্য ২০৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শতরানের পার্টনারশিপ গড়েন বাংলার দুই ওপেনার অভিষেক পোড়েল ও করণ লাল। ৭.৪ ওভারে দলের ১০৫ রানের মাথায় আউট হন অভিষেক। ৭টি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে তিনি করেন ২৬ বলে ৪১।

করণ টি২০-তে কেরিয়ারের প্রথম শতরান হাঁকালেন এদিন। তিনি ৮টি চার ও ১০টি ছয়ের সাহায্যে ৫০ বলে সর্বাধিক ১১৩ রান করে দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন। তিনিই ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেলেন।অধিনায়ক অভিমন্যু ৮ বলে ৫, যুবরাজ কেসোয়ানি ১৪ বলে ১০, শাহবাজ ১ বলে ০ রানে আউট হন। সুদীপ কুমার ঘরামি ৮ বলে ১৮ ও আকাশ দীপ ৫ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন। মৃদুল সারোচ ২টি উইকেট পান। অর্পিত গুলেরিয়া ও আকাশ বশিষ্ঠ ১টি করে উইকেট নেন। ৪ ম্যাচে বাংলার পয়েন্ট হলো ১২। বৃহস্পতিবার বাংলার পরবর্তী ম্যাচ সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে।

ছবি সৌজন্যে: সিএবি

*খেলা* মেয়েদের অনূর্ধ্ব ২৩ টি২০ ট্রফি এলিটের কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলা

Khabar kolkata sports Desk: গ্রুপ পর্বের পাঁচটি ম্যাচ জিতেই মেয়েদের অনূর্ধ্ব ২৩ টি২০ ট্রফি এলিটের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল বাংলা। নাগপুরের ভিসিএ স্টেডিয়ামে সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরকে ৬৬ রানে হারিয়ে।টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলা ১৮.৫ ওভারে ১৩৯ রান তোলে। প্রতিভা মাণ্ডি ৪২ বলে ৪৫, সুস্মিতা গঙ্গোপাধ্যায় ১৬ বলে ২৫, সুজাতা দে ১৭ বলে ২৪ ও রূপাল তিওয়ারি ১৩ বলে ১৪ রান করেন। বাংলার শেষ ৬টি উইকেট পড়ে ৩.১ ওভারের মধ্যে ৮ রানের ব্যবধানে। রুদ্রাক্ষী চিব ও খুশবু আফতাব তিনটি করে উইকেট দখল করেন।

জবাবে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৭৩ রান তোলে জম্মু ও কাশ্মীর। ২৯ বলে সর্বাধিক অপরাজিত ২৩ রান মারিয়া নুরেইনের। অধিনায়ক তিতাস সাধু ৪ ওভারে ১২, পায়েল ভাখারিয়া ১টি মেডেন-সহ ৪ ওভারে ১০ ও পিয়ালি ঘোষ ৩ ওভারে ৭ রানের বিনিময়ে ২টি করে উইকেট নেন। এই জয়ের ফলে ৫ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট (নেট রান রেট ২.৬৪৭) নিয়ে গ্রুপ ডি-র শীর্ষে থেকেই নক-আউট পর্ব নিশ্চিত করল বাংলা।

ছবি সৌজন্যে: সিএবি

সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল বাংলা, গুজরাতকে হারাল ৩ উইকেটে

খেলা

Khabar kolkata sports Desk: চলতি সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে টানা দ্বিতীয় জয় ছিনিয়ে নিল বাংলা। শনিবার হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ৭ বল বাকি থাকতে গুজরাতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে।

১২৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে বাংলা জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গেল ১৮.৫ ওভারে, ৭ উইকেট খুইয়ে। শাহবাজ আহমেদ ১৭ বলে ১৯ ও সক্ষম চৌধুরী ৬ বলে ৮ রানে অপরাজিত থাকেন। অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন ৩৪ বলে ৩৪, শাকির হাবিব গান্ধী ১২ বলে ১৮, করণ লাল ১০ বলে ১৭, অভিষেক পোড়েল ১২ বলে ১৪, সুদীপ কুমার ঘরামি ৭ বলে ৪, ঋত্ত্বিক চট্টোপাধ্যায় ৮ বলে ২ ও প্রদীপ্ত প্রামাণিক ৭ বলে ৫ রান করে আউট হন। হেমাঙ্গ প্যাটেল ৪ ওভারে ২৪, হর্ষল প্যাটেল ৪ ওভারে ২৫ ও রবি বিষ্ণোই ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ২টি করে উইকেট নেন।এর আগে, টস জিতে গুজরাতকে ব্যাট করতে পাঠান বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন। চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে দলগত ২৯ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। আগের ম্যাচে শতরানকারী গুজরাত অধিনায়ক উর্বিল প্যাটেলকে সাজঘরে ফেরান সক্ষম চৌধুরী। উর্বিল করেন ১০ বলে ২০। এই ওভারেই উমঙ্গ কুমার (২ বলে ০) সক্ষমের দ্বিতীয় শিকার হন।১০ ওভারের শেষে গুজরাতের স্কোরে ছিল ৫ উইকেটে ৬৫। সেখান থেকে ১৮.৩ ওভারে গুজরাত ১২৭ রানে গুটিয়ে যায়। শেষ পাঁচ উইকেট পড়ে ২৪ রানের ব্যবধানে। ৩০ বলে সর্বাধিক ৩৬ রান করেন বিশাল জয়সওয়াল। সক্ষম চৌধুরী ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে তিন উইকেট পান।মহম্মদ শামি ৩.৩ ওভারে ৩১ রান খরচ করে পেয়েছেন ২টি উইকেট। সায়ন ঘোষ ৩ ওভারে ২৬ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট দখল করেন। ঋত্ত্বিক চট্টোপাধ্যায় ২ ওভারে ১৫ ও করণ লাল ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে একটি করে উইকেট পেয়েছেন।

ছবি সৌজন্যে: সিএবি

কলকাতায় মেয়র’স কাপ ২০২৫-২০২৬ সিজন শুরু

Khabar kolkata sports Desk: ২২ ইয়ার্ডস স্পোর্টস স্কুল গ্রাউন্ডে শুক্রবার শুরু হল মেয়র’স কাপ। ইন্টার স্কুল আন্ডার-১৫ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৫-২০২৬। উদ্বোধনী ম্যাচে, কামরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় টস জিতে ক্যাথিড্রাল মিশন হাই স্কুলের বিরুদ্ধে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই মরসুমে, মোট ৬৪টি স্কুল, ১৬টি গ্রুপে বিভক্ত, টুর্নামেন্টে অংশ নেবে। প্রথম রাউন্ডের পর, প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুই দল পরবর্তী পর্যায়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। উদ্বোধনী খেলার আগে, সিএবি-র শীর্ষ কর্মকর্তা এবং সদস্যদের উপস্থিতিতে একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিএবি ভাইস প্রেসিডেন্ট মিঃ নীতীশ রঞ্জন দত্ত, সিএবি যুগ্ম সম্পাদক মিঃ মদন মোহন ঘোষ, সিএবি কোশাধ্যক্ষ মিঃ সঞ্জয় দাস, বাংলার রঞ্জি ট্রফি জয়ী অধিনায়ক মিঃ সম্ভরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সিএবি স্কুল কমিটি চেয়ারম্যান মিঃ সুব্রদীপ গাঙ্গুলি, সিএবি সিনিয়র টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মিঃ প্রদীপ কৃ দে, সিএবি ওবসার্ভার্স কমিটির চেয়ারম্যান মিঃ শ্রিমন্ত কুমার মল্লিক, সিএবি গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মিঃ অমিতাভ আঢ্য, সিএবি আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান মিঃ প্রসেনজিৎ ব্যানার্জি, সিএবি অ্যেক্স কমিটির সদস্য মিঃ জয়দীপ মুখার্জি এবং বিভিন্ন সিএবি কমিটির সদস্য এবং জুনিয়র সিলেকশন কমিটির সদস্যরা।

ছবি সৌজন্যে: সিএবি ও সঞ্জয় হাজরা।

*Sports* *আন্তর্জাতিক টি২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের প্রথম সেমিফাইনাল-সহ ৭টি ম্যাচ পেল কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স*

Sports Desk : টি২০ বিশ্বকাপে প্রথম সেমিফাইনাল-সহ ৭টি ম্যাচ পেল কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স। গ্রুপ সি-তে রয়েছে টি-২০ বিশ্বকাপের দুই প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড। এই গ্রুপের ৫টি ম্যাচ হবে ইডেনে। ভারত ও পাকিস্তান এক গ্রুপে। বাকি যে দলগুলি রয়েছে তাতে ভারত ও পাকিস্তান সুপার এইটে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ভারতের একটি সুপার এইটের ম্যাচ হবে ইডেনে ১ মার্চ।‌ পাকিস্তান সেমিফাইনালে না উঠলে প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচটিও হবে ইডেনে। পাকিস্তান শেষ চারে গেলে এই সেমিফাইনালটি হবে কলম্বোয়। একনজরে দেখে নেওয়া যাক ইডেনে টি২০ বিশ্বকাপের কোন ম্যাচগুলি হবে:

৭ ফেব্রুয়ারি: ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম বাংলাদেশ (বিকেল ৩টে)

৯ ফেব্রুয়ারি: বাংলাদেশ বনাম ইতালি (সকাল ১১টা)

১৪ ফেব্রুয়ারি: ইংল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ (বিকেল ৩টে)

১৬ ফেব্রুয়ারি: ইংল্যান্ড বনাম ইতালি (বিকেল ৩টে)

১৯ ফেব্রুয়ারি: ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম ইতালি (সকাল ১১টা)

১ মার্চ: সুপার এইটে ভারতের ম্যাচ (সন্ধ্যা ৭টা)

৪ মার্চ: প্রথম সেমিফাইনাল কলকাতা/কলম্বো (সন্ধ্যা ৭টা)

Pic Courtesy by: ICC

*Sports* *বাংলার অনূর্ধ্ব ২৩ দল সুপার ওভারে নাটকীয় জয় পেল মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে*

Sports Desk: সুপার ওভারে মধ্যপ্রদেশের জয় ছিনিয়ে নিয়ে পুরুষদের অনূর্ধ্ব ২৩ স্টেট এ ট্রফি এলিটের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল বাংলা। ফলে চলতি টুর্নামেন্টে বাংলা টানা অষ্টম জয় ছিনিয়ে নিল।

মুম্বইয়ের বিকেসি গ্রাউন্ডে টস জিতে বাংলাকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল মধ্যপ্রদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলা তোলে ১৯০ রান।উইকেটকিপার তথা ওপেনার সুমিত নাগ ৪৯ বলে ৫০ রান করেন। রবি কুমার ১০৪ বলে ৪৪ রান করে আউট হন। অধিনায়ক শশাঙ্ক সিংয়ের অবদান ৩৭ বলে ২৭। ২টি করে উইকেট নেন মাধব তিওয়ারি, অন্বেশ চাওলা ও সৌমী কুমার পাণ্ডে। রান তাড়া করতে নেমে মধ্যপ্রদেশ ২২.৩ ওভারে ৮৩ রানে সাত উইকেট হারায়। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন মাধব তিওয়ারি ও অন্বেশ চাওলা। মাধব ফেরার পর মধ্যপ্রদেশের জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন অন্বেশ। যদিও জয়ের লক্ষ্যে দলকে পৌঁছে দিতে পারেননি তিনি। ৪১ ওভারে মধ্যপ্রদেশ ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলার স্কোর ছুঁয়ে ফেলে। আর তারপরই নাটক।৪২তম ওভারের প্রথম বলে ১৯০ রানে নবম উইকেট হারায় মধ্যপ্রদেশকে। অন্বেশকে ফেরান আনাস। এরপর জয়ের জন্য আর ১ রান তুলতে পারেনি মধ্যপ্রদেশ। আনাস নিজের বাকি পাঁচটি বলে কোনও রান দেননি। এর পরের ওভার করতে এসেই প্রথম বলে ইরশাদ আলম আউট করে দেন পাণ্ডেকে (১৮ বলে ১০)।

ফলে ৪২.১ ওভারে ১৯০ রানেই গুটিয়ে যায় মধ্যপ্রদেশ। মাধব ৫৫ বলে ৫০ ও অন্বেশ ৪৮ বলে ৩৬ রান করেন। সুখমীত সিং ১টি মেডেন-সহ ১০ ওভারে ৪০ রান দিয়ে চারটি উইকেট নেন। ইরশাদ আলম ৬.১ ওভারে ২৩ রান খরচ করে দুটি উইকেট পেয়েছেন। রবি কুমার, সৈয়দ ইরফান আফতাব ও আনাস একটি করে উইকেট নেন। মূলত স্নায়ুর চাপ সামলে আনাস আর ইরশাদের দুরন্ত বোলিংয়েই অক্সিজেন পেয়ে যায় বাংলা। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সুপার ওভারে মধ্যপ্রদেশ কোনও উইকেট না হারিয়ে পাঁচ রান তোলে। মাধব তিওয়ারি ও অক্ষত রঘুবংশীর বিরুদ্ধে সুপার ওভারে বোলিং করেন রবি কুমার। তিনি মাত্র ৩ রান দেন। এরপর চার বলেই জয়ের কোনও উইকেট না হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলা। মধ্যপ্রদেশের রান ধরে ফেলার পর ছয় মেরে ম্যাচ জেতান অধিনায়ক শশাঙ্ক সিং। সুমিত ১ বলে ১ ও শশাঙ্ক ৩ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচের সেরা রবি কুমার।

ছবি সৌজন্যে: সিএবি

*খেলা* ৩০০ রানের ইতিহাস কোহলি-ভক্ত চন্দ্রহাসের, উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় সৌরাশিস


Sports Desk: যেভাবে কোচবিহার ট্রফিতে বাংলার অনূর্ধ্ব ১৯ অধিনায়ক উপর্যুপরি শতরান হাঁকালেন তাতে চন্দ্রহাস দাস কে 'Centuryhas'-ও তো বলা যেতেই পারে।মাঠে নামলেই যে সেঞ্চুরি হাঁকাচ্ছেন। আজ কল্যাণীতে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন চন্দ্রহাস। কোচবিহার ট্রফিতে বাংলার ব্যাটারদের মধ্যে ব্যক্তিগত সর্বাধিক রানের ইনিংস খেলে।

অসমের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে তিনে নেমে ১৭২ বলে ১২৪ রান করেছিলেন নিউ টাউনের বাসিন্দা চন্দ্রহাস। সেই ইনিংসে ছিল ১৭টি চার ও তিনটি ছয়। আর চণ্ডীগড়়ের বিরুদ্ধে গতকাল দ্বিশতরান হাঁকানোর পর চন্দ্রহাস আজ থামলেন ৩১৯ বলে ৩৩২ রানের ইনিংস খেলে। মেরেছেন ৫৩টি চার ও ১০টি ছয়।

ঐতিহাসিক ইনিংস খেলার পর সিএবি মিডিয়াকে চন্দ্রহাস বললেন, "সুযোগ কাজে লাগাতে পেরে খুব ভালো লাগছে। কোনও টার্গেট ছিল না। বল অনুযায়ী খেলে গিয়েছি। লুজ বল পেতেই শট খেলেছি। তাতেই মাইলস্টোন এলো। তবে আগামী ইনিংসেও নতুনভাবে শুরু করে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই।"

৮ বছর বয়সে খেলা শুরু চন্দ্রহাসের। বাবা সৌমেন্দ্র প্রসাদ দাশের হাত ধরে ভর্তি হন করুণাময়ীর ২২ ইয়ার্ডস স্পোর্টস স্কুলে। ৩০০ রান করে সেই আকাদেমির কাঞ্চন স্যর থেকে শুরু করে রাজীব গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা মনে পড়ছে চন্দ্রহাসের। নিজেকে সমৃদ্ধ করেছেন সৌরাশিস লাহিড়ী, সঞ্জীব সান্যালদের পরামর্শ মেনে চলে।

৯ বছর বয়সেই সিএবি পরিচালিত টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ মেলে। অনূর্ধ্ব ১৩ বিভাগে অধিনায়কত্ব করার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন হওয়ারও স্বাদ পেয়েছেন। কোভিডকাল পার করার পর সিএবির অনূর্ধ্ব ১৬ শিবিরও তাঁর কেরিয়ারে ইতিবাচক হয়েছে বলে জানালেন চন্দ্রহাস। ২ বছর দ্বিতীয় ডিভিশনে ইন্টারন্যাশনাল ক্লাবের হয়ে খেলার পর প্রথম ডিভিশনে খেলেছেন বালিগঞ্জ ইউনাইটেডের হয়ে। এখন খেলছেন বড়িশায়। বিরাট কোহলির ভক্ত চন্দ্রহাস সুযোগ পেতে চান ভারতীয় দলে। সিএবি যেভাবে তাঁকে কেরিয়ার এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করছে, তাতে কৃতজ্ঞ চন্দ্রহাস।

বাংলার অনূর্ধ্ব ১৯ দলের হেড কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী জানিয়ে দিলেন, "চন্দ্রহাসের ঐতিহাসিক ইনিংসের সাক্ষী থাকতে পেরে খুব ভালো লাগছে। সৌরাশিসের কথায়, "আমি ২ বছর ধরে চন্দ্রহাসকে দেখছি। অধিনায়ক হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। খুব পরিশ্রমী, ফিট। কঠোর পরিশ্রমেরই সুফল পাচ্ছে। অনূর্ধ্ব ১৯ ব্যাটার ৩০০রান করেছে এটা সচরাচর দেখা যায় না। আরও ম্যাচ আছে। আরও রান করবে। চন্দ্রহাসের সামনে গ্রেট কেরিয়ার অপেক্ষা করছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার যোগ্যতা আছে। বাংলার হয়েও দীর্ঘদিন খেলতে পারবে চন্দ্রহাস।" সৌরাশিস জানালেন, গত বছরের তুলনায় খেলা অনেক বদলেছে চন্দ্রহাসের। সৌরাশিস বলেন, "টেকনিক্যাল কিছু পরিবর্তন এনেছে ব্যাটিংয়ে। মানসিকভাবে অনেক বেশি রিল্যাক্সড থাকছে । উপভোগ করছে। আগে ও নিজেকে চাপে ফেলে দিতো। কিন্তু এবার প্রসেসে জোর দিচ্ছে, ফল নিয়ে ভাবছে না। তাতেই ব্যাটিং উপভোগ করছে। ফুটওয়ার্ক ভালো হয়েছে। পায়ের নড়াচড়া খুব ভালো। শট খেলতেও দ্বিধায় থাকছে না। বোলারদের উপর দাপট দেখাচ্ছে।"

অসমের পর চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধেও ইনিংস জয়ের অপেক্ষায় বাংলা। দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী চন্দ্রহাস। বললেন, "সবাই পারফর্ম করছে। বন্ডিং খুব ভালো। দলগতভাবে আমরা খেলছি। ভালো জায়গায় আছি। কাল সরাসরি জয়ের লক্ষ্যেই যাব। আগেরবার আমরা ভালো খেললেও ট্রফি জিততে পারিনি। এবার কোচবিহার ট্রফি জেতাই লক্ষ্য।"

ছবি সৌজন্যে: সিএবি

*সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে পণ্ডিচেরীর কাছে হার বাংলার*

খেলা

Khabar kolkata sports Desk : সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির নক আউট পর্বে যাওয়া কঠিন হয়ে গেল বাংলার কাছে। ব্যাটিং বিপর্যয়ে আজ হায়দরাবাদের জিমখানা মাঠে পণ্ডিচেরীর কাছে ৮১ রানে হার অভিমন্যু ঈশ্বরনের নেতৃত্বাধীন দলের। বাংলার শেষ ৮ উইকেট পড়ল ৬.২ ওভারে ২৬ রানের ব্যবধানে। শেষ ৬ উইকেট পড়ে ১৬ রানে! ফলে জয়ের জন্য ১৭৮ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৩.৫ ওভারে ৯৬ রানেই গুটিয়ে গেল বাংলা।ওপেনিং জুটি ভেঙেছিল ৪ ওভারে ৪৪ রানে। ৫.২ ওভারে ৫৮ রানে দ্বিতীয় এবং ৭.৩ ওভারে ৭০ রানে পড়ে তৃতীয় উইকেট। করণ লাল ২৩ বলে ৪০, অভিমন্যু ৬ বলে ১২ ও অভিষেক পোড়েল ৯ বলে ১১ রান করেন। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের ঘরে নিজেদের রান নিয়ে যেতে পারেননি। জয়ন্ত যাদব চারটি ও সিদাক সিং তিন উইকেট নেন।যুবরাজ কেসোয়ানি ১১ বলে ৭, সুদীপ কুমার ঘরামি ৬ বলে ৫, শাকির হাবিব গান্ধী ৫ বলে ৩, ঋত্ত্বিক চট্টোপাধ্যায় ৯ বলে ৮, প্রদীপ্ত প্রামাণিক ৫ বলে ২, আকাশ দীপ ১ বলে ০, মহম্মদ শামি ৬ বলে ৫ রানে আউট হন। মুকেশ কুমার অপরাজিত থাকেন ২ বলে ০ রানে‌।

টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল বাংলা। পণ্ডিচেরী নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান তোলে। অধিনায়ক আমন খান পাঁচটি চার ও সাতটি ছয়ের সাহায্যে করেন ৪০ বলে সর্বাধিক ৭৪। যশবন্ত শ্রীরাম আউট হন ৩৪ বলে ৪৫ রান করে।

মহম্মদ শামি ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন। বাংলার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩টি ডট বল তিনিই করেন। ঋত্ত্বিক চট্টোপাধ্যায় ২টি উইকেট পান ৪ ওভারে ৫৩ রান খরচ করে। মুকেশ কুমার ৪ ওভারে ৩৯, আকাশ দীপ ৪ ওভারে ২০ ও প্রদীপ্ত প্রামাণিক ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়েছেন, তবে উইকেট পাননি। প্রদীপ্ত ১২টি, মুকেশ ও আকাশ ৯টি করে এবং ঋত্ত্বিক সাতটি ডট বল করেছেন।

*খেলা* *সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে সার্ভিসেসকে হারিয়ে জয় পেল বাংলা*

Khabar kolkata sports Desk : সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে জয় বাংলা। বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদের জিমখানা মাঠে গ্রুপ সি-র গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অভিমন্যু ঈশ্বরনের নেতৃত্বাধীন দল জিতল ৭ উইকেটে, ২৯ বল বাকি থাকতেই। এদিন টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে ১৮.২ ওভারে ১৬৫ রানেই সার্ভিসেসের ইনিংস শেষ হয়ে যায় । সার্ভিসেস অধিনায়ক মোহিত আহলাওয়াত ২২ বলে সর্বাধিক ৩৮ রান করেন। মহম্মদ শামি ৩.২ ওভারে ১৩ রানের বিনিময়ে নেন চার উইকেট। আকাশ দীপ ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন। ঋত্ত্বিক চট্টোপাধ্যায় ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ২টি উইকেট। প্রদীপ্ত প্রামাণিক ৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। মুকেশ কুমার ৩ ওভারে ৫৩ রান দেন, উইকেট পাননি।জবাবে ১৫.১ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলা। ৩ উইকেট খুইয়ে। অভিষেক পোড়েল ৮টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে ২৯ বলে ৫৬ রান করেন। অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরনের ৩৭ বলে ৫৮ রানের ইনিংসে রয়েছে ৭ টি চার ও একটি ছয়। তাঁরা দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৯৩ রান যোগ করেন মাত্র ৫০ বলে।বাংলার ওপেনিং জুটি ভেঙেছিল ১.১ ওভারে ১৪ রানের মাথায়। করণলাল ১ বলে শূন্য রানে আউট হন। যুবরাজ কেসোয়ানি ১৯ বলে ৩৬ ও আকাশ দীপ ৫ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন। মোহিত রাঠী ২টি ও বিশাল গৌড় ১টি উইকেট পেয়েছেন। এদিনের জয়ের ফলে ৫ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট হল বাংলার।

ছবি সৌজন্যে:সিএবি

*সেনাবাহিনীর কর্তাদের সঙ্গে দেখা করলেন সিএবি সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়*

Khabar kolkata sports Desk: ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সম্পর্ক আরও নিবিড় ও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সেনা-কর্তাদের সঙ্গে দেখা করলেন সিএবি সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও সিএবির কোষাধ্যক্ষ সঞ্জয় দাস। বেঙ্গল সাব এরিয়ার হেড কোয়ার্টার্সের ভিএসএম জিওসি মেজর জেনারেল রাজেশ অরুণ মোঘের হাতে ফ্রিডম ট্রফির রেপ্লিকা তুলে দেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল সাব এরিয়া হেড কোয়ার্টার্সের সেনা আধিকারিক কর্নেল তরুণ ত্যাগী, লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রশান্ত সিনহা,সিএবির সিইও চিন্ময় নায়েক। সিএবি সভাপতি হিসেবে প্রত্যাবর্তনের পর সেনাবাহিনীর বেঙ্গল সাব এরিয়ার জিওসি দফতরে এই প্রথম কোনও অফিসিয়াল বৈঠক করলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইডেন গার্ডেন্সে সংস্কারের কাজের বিষয়ে সেনা-কর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন সিএবি সভাপতি। আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজন যাতে আরও বড় আকারে ও আগের চেয়েও ভালোভাবে করা যায় তা নিয়ে বৈঠকে কথাবার্তা হয়েছে। সিএবির সঙ্গে সেনাবাহিনীর পারস্পরিক সম্পর্ক আরও উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে কী কী করণীয় তা নিয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়।

ছবি সৌজন্যে:সিএবি।

*খেলা* *হিমাচল প্রদেশকে হারিয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে তৃতীয় জয় পেল বাংলা*

Khabar kolkata sports Desk: সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে তৃতীয় জয় পেল বাংলা। মঙ্গলবার হায়দরাবাদের জিমখানা মাঠে হিমাচল প্রদেশকে ৮ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে হারাল অভিমন্যু ঈশ্বরনের দল। এদিন বাংলা দলে অভিষেক হল যুবরাজ কেসোয়ানির, তাঁর হাতে দলের ক্যাপ তুলে দেন মহম্মদ শামি।টস জিতে ব্যাট করতে নেমে হিমাচল প্রদেশ ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান তুলেছিল। একান্ত সেন ৫০ বলে ৮৯ ও পুখরাজ মান ৩৬ বলে ৭৯ রান করেন। শাহবাজ আহমেদ ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। মহম্মদ শামি ৪ ওভারে ৩১ ও মুকেশ কুমার ৪ ওভারে ৪১ রান দিয়ে একটি করে উইকেট নেন। আকাশ দীপ ২ ওভারে ৩৫, ঋত্ত্বিক চট্টোপাধ্যায় ৪ ওভারে ৪০ ও প্রদীপ্ত প্রামাণিক ২ ওভারে ২৪ রান দেন, কোনও উইকেট পাননি।জয়ের জন্য ২০৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শতরানের পার্টনারশিপ গড়েন বাংলার দুই ওপেনার অভিষেক পোড়েল ও করণ লাল। ৭.৪ ওভারে দলের ১০৫ রানের মাথায় আউট হন অভিষেক। ৭টি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে তিনি করেন ২৬ বলে ৪১।

করণ টি২০-তে কেরিয়ারের প্রথম শতরান হাঁকালেন এদিন। তিনি ৮টি চার ও ১০টি ছয়ের সাহায্যে ৫০ বলে সর্বাধিক ১১৩ রান করে দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন। তিনিই ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেলেন।অধিনায়ক অভিমন্যু ৮ বলে ৫, যুবরাজ কেসোয়ানি ১৪ বলে ১০, শাহবাজ ১ বলে ০ রানে আউট হন। সুদীপ কুমার ঘরামি ৮ বলে ১৮ ও আকাশ দীপ ৫ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন। মৃদুল সারোচ ২টি উইকেট পান। অর্পিত গুলেরিয়া ও আকাশ বশিষ্ঠ ১টি করে উইকেট নেন। ৪ ম্যাচে বাংলার পয়েন্ট হলো ১২। বৃহস্পতিবার বাংলার পরবর্তী ম্যাচ সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে।

ছবি সৌজন্যে: সিএবি

*খেলা* মেয়েদের অনূর্ধ্ব ২৩ টি২০ ট্রফি এলিটের কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলা

Khabar kolkata sports Desk: গ্রুপ পর্বের পাঁচটি ম্যাচ জিতেই মেয়েদের অনূর্ধ্ব ২৩ টি২০ ট্রফি এলিটের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল বাংলা। নাগপুরের ভিসিএ স্টেডিয়ামে সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরকে ৬৬ রানে হারিয়ে।টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলা ১৮.৫ ওভারে ১৩৯ রান তোলে। প্রতিভা মাণ্ডি ৪২ বলে ৪৫, সুস্মিতা গঙ্গোপাধ্যায় ১৬ বলে ২৫, সুজাতা দে ১৭ বলে ২৪ ও রূপাল তিওয়ারি ১৩ বলে ১৪ রান করেন। বাংলার শেষ ৬টি উইকেট পড়ে ৩.১ ওভারের মধ্যে ৮ রানের ব্যবধানে। রুদ্রাক্ষী চিব ও খুশবু আফতাব তিনটি করে উইকেট দখল করেন।

জবাবে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৭৩ রান তোলে জম্মু ও কাশ্মীর। ২৯ বলে সর্বাধিক অপরাজিত ২৩ রান মারিয়া নুরেইনের। অধিনায়ক তিতাস সাধু ৪ ওভারে ১২, পায়েল ভাখারিয়া ১টি মেডেন-সহ ৪ ওভারে ১০ ও পিয়ালি ঘোষ ৩ ওভারে ৭ রানের বিনিময়ে ২টি করে উইকেট নেন। এই জয়ের ফলে ৫ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট (নেট রান রেট ২.৬৪৭) নিয়ে গ্রুপ ডি-র শীর্ষে থেকেই নক-আউট পর্ব নিশ্চিত করল বাংলা।

ছবি সৌজন্যে: সিএবি

সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল বাংলা, গুজরাতকে হারাল ৩ উইকেটে

খেলা

Khabar kolkata sports Desk: চলতি সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে টানা দ্বিতীয় জয় ছিনিয়ে নিল বাংলা। শনিবার হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ৭ বল বাকি থাকতে গুজরাতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে।

১২৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে বাংলা জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গেল ১৮.৫ ওভারে, ৭ উইকেট খুইয়ে। শাহবাজ আহমেদ ১৭ বলে ১৯ ও সক্ষম চৌধুরী ৬ বলে ৮ রানে অপরাজিত থাকেন। অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন ৩৪ বলে ৩৪, শাকির হাবিব গান্ধী ১২ বলে ১৮, করণ লাল ১০ বলে ১৭, অভিষেক পোড়েল ১২ বলে ১৪, সুদীপ কুমার ঘরামি ৭ বলে ৪, ঋত্ত্বিক চট্টোপাধ্যায় ৮ বলে ২ ও প্রদীপ্ত প্রামাণিক ৭ বলে ৫ রান করে আউট হন। হেমাঙ্গ প্যাটেল ৪ ওভারে ২৪, হর্ষল প্যাটেল ৪ ওভারে ২৫ ও রবি বিষ্ণোই ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ২টি করে উইকেট নেন।এর আগে, টস জিতে গুজরাতকে ব্যাট করতে পাঠান বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন। চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে দলগত ২৯ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। আগের ম্যাচে শতরানকারী গুজরাত অধিনায়ক উর্বিল প্যাটেলকে সাজঘরে ফেরান সক্ষম চৌধুরী। উর্বিল করেন ১০ বলে ২০। এই ওভারেই উমঙ্গ কুমার (২ বলে ০) সক্ষমের দ্বিতীয় শিকার হন।১০ ওভারের শেষে গুজরাতের স্কোরে ছিল ৫ উইকেটে ৬৫। সেখান থেকে ১৮.৩ ওভারে গুজরাত ১২৭ রানে গুটিয়ে যায়। শেষ পাঁচ উইকেট পড়ে ২৪ রানের ব্যবধানে। ৩০ বলে সর্বাধিক ৩৬ রান করেন বিশাল জয়সওয়াল। সক্ষম চৌধুরী ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে তিন উইকেট পান।মহম্মদ শামি ৩.৩ ওভারে ৩১ রান খরচ করে পেয়েছেন ২টি উইকেট। সায়ন ঘোষ ৩ ওভারে ২৬ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট দখল করেন। ঋত্ত্বিক চট্টোপাধ্যায় ২ ওভারে ১৫ ও করণ লাল ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে একটি করে উইকেট পেয়েছেন।

ছবি সৌজন্যে: সিএবি

কলকাতায় মেয়র’স কাপ ২০২৫-২০২৬ সিজন শুরু

Khabar kolkata sports Desk: ২২ ইয়ার্ডস স্পোর্টস স্কুল গ্রাউন্ডে শুক্রবার শুরু হল মেয়র’স কাপ। ইন্টার স্কুল আন্ডার-১৫ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৫-২০২৬। উদ্বোধনী ম্যাচে, কামরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় টস জিতে ক্যাথিড্রাল মিশন হাই স্কুলের বিরুদ্ধে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই মরসুমে, মোট ৬৪টি স্কুল, ১৬টি গ্রুপে বিভক্ত, টুর্নামেন্টে অংশ নেবে। প্রথম রাউন্ডের পর, প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুই দল পরবর্তী পর্যায়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। উদ্বোধনী খেলার আগে, সিএবি-র শীর্ষ কর্মকর্তা এবং সদস্যদের উপস্থিতিতে একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিএবি ভাইস প্রেসিডেন্ট মিঃ নীতীশ রঞ্জন দত্ত, সিএবি যুগ্ম সম্পাদক মিঃ মদন মোহন ঘোষ, সিএবি কোশাধ্যক্ষ মিঃ সঞ্জয় দাস, বাংলার রঞ্জি ট্রফি জয়ী অধিনায়ক মিঃ সম্ভরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সিএবি স্কুল কমিটি চেয়ারম্যান মিঃ সুব্রদীপ গাঙ্গুলি, সিএবি সিনিয়র টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মিঃ প্রদীপ কৃ দে, সিএবি ওবসার্ভার্স কমিটির চেয়ারম্যান মিঃ শ্রিমন্ত কুমার মল্লিক, সিএবি গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মিঃ অমিতাভ আঢ্য, সিএবি আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান মিঃ প্রসেনজিৎ ব্যানার্জি, সিএবি অ্যেক্স কমিটির সদস্য মিঃ জয়দীপ মুখার্জি এবং বিভিন্ন সিএবি কমিটির সদস্য এবং জুনিয়র সিলেকশন কমিটির সদস্যরা।

ছবি সৌজন্যে: সিএবি ও সঞ্জয় হাজরা।

*Sports* *আন্তর্জাতিক টি২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের প্রথম সেমিফাইনাল-সহ ৭টি ম্যাচ পেল কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স*

Sports Desk : টি২০ বিশ্বকাপে প্রথম সেমিফাইনাল-সহ ৭টি ম্যাচ পেল কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স। গ্রুপ সি-তে রয়েছে টি-২০ বিশ্বকাপের দুই প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড। এই গ্রুপের ৫টি ম্যাচ হবে ইডেনে। ভারত ও পাকিস্তান এক গ্রুপে। বাকি যে দলগুলি রয়েছে তাতে ভারত ও পাকিস্তান সুপার এইটে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ভারতের একটি সুপার এইটের ম্যাচ হবে ইডেনে ১ মার্চ।‌ পাকিস্তান সেমিফাইনালে না উঠলে প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচটিও হবে ইডেনে। পাকিস্তান শেষ চারে গেলে এই সেমিফাইনালটি হবে কলম্বোয়। একনজরে দেখে নেওয়া যাক ইডেনে টি২০ বিশ্বকাপের কোন ম্যাচগুলি হবে:

৭ ফেব্রুয়ারি: ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম বাংলাদেশ (বিকেল ৩টে)

৯ ফেব্রুয়ারি: বাংলাদেশ বনাম ইতালি (সকাল ১১টা)

১৪ ফেব্রুয়ারি: ইংল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ (বিকেল ৩টে)

১৬ ফেব্রুয়ারি: ইংল্যান্ড বনাম ইতালি (বিকেল ৩টে)

১৯ ফেব্রুয়ারি: ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম ইতালি (সকাল ১১টা)

১ মার্চ: সুপার এইটে ভারতের ম্যাচ (সন্ধ্যা ৭টা)

৪ মার্চ: প্রথম সেমিফাইনাল কলকাতা/কলম্বো (সন্ধ্যা ৭টা)

Pic Courtesy by: ICC

*Sports* *বাংলার অনূর্ধ্ব ২৩ দল সুপার ওভারে নাটকীয় জয় পেল মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে*

Sports Desk: সুপার ওভারে মধ্যপ্রদেশের জয় ছিনিয়ে নিয়ে পুরুষদের অনূর্ধ্ব ২৩ স্টেট এ ট্রফি এলিটের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল বাংলা। ফলে চলতি টুর্নামেন্টে বাংলা টানা অষ্টম জয় ছিনিয়ে নিল।

মুম্বইয়ের বিকেসি গ্রাউন্ডে টস জিতে বাংলাকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল মধ্যপ্রদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলা তোলে ১৯০ রান।উইকেটকিপার তথা ওপেনার সুমিত নাগ ৪৯ বলে ৫০ রান করেন। রবি কুমার ১০৪ বলে ৪৪ রান করে আউট হন। অধিনায়ক শশাঙ্ক সিংয়ের অবদান ৩৭ বলে ২৭। ২টি করে উইকেট নেন মাধব তিওয়ারি, অন্বেশ চাওলা ও সৌমী কুমার পাণ্ডে। রান তাড়া করতে নেমে মধ্যপ্রদেশ ২২.৩ ওভারে ৮৩ রানে সাত উইকেট হারায়। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন মাধব তিওয়ারি ও অন্বেশ চাওলা। মাধব ফেরার পর মধ্যপ্রদেশের জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন অন্বেশ। যদিও জয়ের লক্ষ্যে দলকে পৌঁছে দিতে পারেননি তিনি। ৪১ ওভারে মধ্যপ্রদেশ ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলার স্কোর ছুঁয়ে ফেলে। আর তারপরই নাটক।৪২তম ওভারের প্রথম বলে ১৯০ রানে নবম উইকেট হারায় মধ্যপ্রদেশকে। অন্বেশকে ফেরান আনাস। এরপর জয়ের জন্য আর ১ রান তুলতে পারেনি মধ্যপ্রদেশ। আনাস নিজের বাকি পাঁচটি বলে কোনও রান দেননি। এর পরের ওভার করতে এসেই প্রথম বলে ইরশাদ আলম আউট করে দেন পাণ্ডেকে (১৮ বলে ১০)।

ফলে ৪২.১ ওভারে ১৯০ রানেই গুটিয়ে যায় মধ্যপ্রদেশ। মাধব ৫৫ বলে ৫০ ও অন্বেশ ৪৮ বলে ৩৬ রান করেন। সুখমীত সিং ১টি মেডেন-সহ ১০ ওভারে ৪০ রান দিয়ে চারটি উইকেট নেন। ইরশাদ আলম ৬.১ ওভারে ২৩ রান খরচ করে দুটি উইকেট পেয়েছেন। রবি কুমার, সৈয়দ ইরফান আফতাব ও আনাস একটি করে উইকেট নেন। মূলত স্নায়ুর চাপ সামলে আনাস আর ইরশাদের দুরন্ত বোলিংয়েই অক্সিজেন পেয়ে যায় বাংলা। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সুপার ওভারে মধ্যপ্রদেশ কোনও উইকেট না হারিয়ে পাঁচ রান তোলে। মাধব তিওয়ারি ও অক্ষত রঘুবংশীর বিরুদ্ধে সুপার ওভারে বোলিং করেন রবি কুমার। তিনি মাত্র ৩ রান দেন। এরপর চার বলেই জয়ের কোনও উইকেট না হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলা। মধ্যপ্রদেশের রান ধরে ফেলার পর ছয় মেরে ম্যাচ জেতান অধিনায়ক শশাঙ্ক সিং। সুমিত ১ বলে ১ ও শশাঙ্ক ৩ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচের সেরা রবি কুমার।

ছবি সৌজন্যে: সিএবি

*খেলা* ৩০০ রানের ইতিহাস কোহলি-ভক্ত চন্দ্রহাসের, উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় সৌরাশিস


Sports Desk: যেভাবে কোচবিহার ট্রফিতে বাংলার অনূর্ধ্ব ১৯ অধিনায়ক উপর্যুপরি শতরান হাঁকালেন তাতে চন্দ্রহাস দাস কে 'Centuryhas'-ও তো বলা যেতেই পারে।মাঠে নামলেই যে সেঞ্চুরি হাঁকাচ্ছেন। আজ কল্যাণীতে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন চন্দ্রহাস। কোচবিহার ট্রফিতে বাংলার ব্যাটারদের মধ্যে ব্যক্তিগত সর্বাধিক রানের ইনিংস খেলে।

অসমের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে তিনে নেমে ১৭২ বলে ১২৪ রান করেছিলেন নিউ টাউনের বাসিন্দা চন্দ্রহাস। সেই ইনিংসে ছিল ১৭টি চার ও তিনটি ছয়। আর চণ্ডীগড়়ের বিরুদ্ধে গতকাল দ্বিশতরান হাঁকানোর পর চন্দ্রহাস আজ থামলেন ৩১৯ বলে ৩৩২ রানের ইনিংস খেলে। মেরেছেন ৫৩টি চার ও ১০টি ছয়।

ঐতিহাসিক ইনিংস খেলার পর সিএবি মিডিয়াকে চন্দ্রহাস বললেন, "সুযোগ কাজে লাগাতে পেরে খুব ভালো লাগছে। কোনও টার্গেট ছিল না। বল অনুযায়ী খেলে গিয়েছি। লুজ বল পেতেই শট খেলেছি। তাতেই মাইলস্টোন এলো। তবে আগামী ইনিংসেও নতুনভাবে শুরু করে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই।"

৮ বছর বয়সে খেলা শুরু চন্দ্রহাসের। বাবা সৌমেন্দ্র প্রসাদ দাশের হাত ধরে ভর্তি হন করুণাময়ীর ২২ ইয়ার্ডস স্পোর্টস স্কুলে। ৩০০ রান করে সেই আকাদেমির কাঞ্চন স্যর থেকে শুরু করে রাজীব গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা মনে পড়ছে চন্দ্রহাসের। নিজেকে সমৃদ্ধ করেছেন সৌরাশিস লাহিড়ী, সঞ্জীব সান্যালদের পরামর্শ মেনে চলে।

৯ বছর বয়সেই সিএবি পরিচালিত টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ মেলে। অনূর্ধ্ব ১৩ বিভাগে অধিনায়কত্ব করার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন হওয়ারও স্বাদ পেয়েছেন। কোভিডকাল পার করার পর সিএবির অনূর্ধ্ব ১৬ শিবিরও তাঁর কেরিয়ারে ইতিবাচক হয়েছে বলে জানালেন চন্দ্রহাস। ২ বছর দ্বিতীয় ডিভিশনে ইন্টারন্যাশনাল ক্লাবের হয়ে খেলার পর প্রথম ডিভিশনে খেলেছেন বালিগঞ্জ ইউনাইটেডের হয়ে। এখন খেলছেন বড়িশায়। বিরাট কোহলির ভক্ত চন্দ্রহাস সুযোগ পেতে চান ভারতীয় দলে। সিএবি যেভাবে তাঁকে কেরিয়ার এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করছে, তাতে কৃতজ্ঞ চন্দ্রহাস।

বাংলার অনূর্ধ্ব ১৯ দলের হেড কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী জানিয়ে দিলেন, "চন্দ্রহাসের ঐতিহাসিক ইনিংসের সাক্ষী থাকতে পেরে খুব ভালো লাগছে। সৌরাশিসের কথায়, "আমি ২ বছর ধরে চন্দ্রহাসকে দেখছি। অধিনায়ক হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। খুব পরিশ্রমী, ফিট। কঠোর পরিশ্রমেরই সুফল পাচ্ছে। অনূর্ধ্ব ১৯ ব্যাটার ৩০০রান করেছে এটা সচরাচর দেখা যায় না। আরও ম্যাচ আছে। আরও রান করবে। চন্দ্রহাসের সামনে গ্রেট কেরিয়ার অপেক্ষা করছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার যোগ্যতা আছে। বাংলার হয়েও দীর্ঘদিন খেলতে পারবে চন্দ্রহাস।" সৌরাশিস জানালেন, গত বছরের তুলনায় খেলা অনেক বদলেছে চন্দ্রহাসের। সৌরাশিস বলেন, "টেকনিক্যাল কিছু পরিবর্তন এনেছে ব্যাটিংয়ে। মানসিকভাবে অনেক বেশি রিল্যাক্সড থাকছে । উপভোগ করছে। আগে ও নিজেকে চাপে ফেলে দিতো। কিন্তু এবার প্রসেসে জোর দিচ্ছে, ফল নিয়ে ভাবছে না। তাতেই ব্যাটিং উপভোগ করছে। ফুটওয়ার্ক ভালো হয়েছে। পায়ের নড়াচড়া খুব ভালো। শট খেলতেও দ্বিধায় থাকছে না। বোলারদের উপর দাপট দেখাচ্ছে।"

অসমের পর চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধেও ইনিংস জয়ের অপেক্ষায় বাংলা। দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী চন্দ্রহাস। বললেন, "সবাই পারফর্ম করছে। বন্ডিং খুব ভালো। দলগতভাবে আমরা খেলছি। ভালো জায়গায় আছি। কাল সরাসরি জয়ের লক্ষ্যেই যাব। আগেরবার আমরা ভালো খেললেও ট্রফি জিততে পারিনি। এবার কোচবিহার ট্রফি জেতাই লক্ষ্য।"

ছবি সৌজন্যে: সিএবি