/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png StreetBuzz আবারো সাড়ে চার হাজার কেজি ভেজাল ঘি সহ উদ্ধার সরঞ্জাম, পুলিশের জালে গ্রেফতার এক অভিযুক্ত,ঘটনায় সাংবাদিক বৈঠক পুলিশের উচ্চ পদস্থদের West Bengal Bangla
আবারো সাড়ে চার হাজার কেজি ভেজাল ঘি সহ উদ্ধার সরঞ্জাম, পুলিশের জালে গ্রেফতার এক অভিযুক্ত,ঘটনায় সাংবাদিক বৈঠক পুলিশের উচ্চ পদস্থদের

নদীয়া: আবারো সাড়ে চার হাজার কেজি ভেজাল ঘি সহ উদ্ধার সরঞ্জাম, পুলিশের জালে গ্রেফতার এক অভিযুক্ত,ঘটনায় সাংবাদিক বৈঠক পুলিশের উচ্চ পদস্থদের

গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে একই এলাকা থেকে উদ্ধার প্রায় সাড়ে চার হাজার কেজি ভেজাল ঘি সহ সরঞ্জাম। পুলিশের জালে গ্রেপ্তার এক অভিযুক্ত।

ঘটনায় সাংবাদিক বৈঠক রানাঘাট পুলিশ জেলার। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে গতকাল রাতে নদীয়ার ফুলিয়া এলাকার পরিমল ঘোষ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালাই শান্তিপুর থানার পুলিশ, এরপর উদ্ধার করে ৩০৮ টি লেভেল ছাড়া ঘি,ও ঘি তৈরির সরঞ্জাম।

যদিও প্রত্যেকটি টিনে প্রায় ১৫ কেজি করে সরঞ্জাম থাকে। তবে বিপুল পরিমাণে ভেজাল ঘি সহ অভিযুক্ত পরিমল ঘোষ কে গ্রেফতার করে পুলিশ, আজ তাকে তোলা হয় রানাঘাট বিচার বিভাগীয় আদালতে। এই ঘটনায় শনিবার শান্তিপুর থানায় একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন রানাঘাট পুলিশ জেলার এসডিপিও প্রবীর মন্ডল।

তিনি জানান, এই অভিযান চলছে বেশ কিছু দিন ধরে আর এখন থেকে বিশেষভাবে চলবে এ অভিযান। যার বাড়ি থেকে এত পরিমান ভেজাল ঘি ও সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে তা সবই লেবেল ছাড়া, এর আগেও ভেজাল ঘি তৈরীর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচজনকে। গতকাল রাতে আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এখন থেকে লাগাতার এই অভিযান চলবে।

*বড়দিনে মোতায়েন থাকবে ৩ হাজার কর্মী*

আর মাত্র দুদিন পরেই গোটা দেশ বড়দিনের আনন্দে মেতে উঠবে। এদিকে আনন্দে মেতে উঠবে শহর কলকাতা -ও। যদিও বড়দিনের আগে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হচ্ছে কলকাতাকে।

বড়দিনের দিন ৩ হাজারের বেশি পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকবেন বলে খবর। বিভিন্ন পয়েন্টের দায়িত্বে থাকবেন ৯ জন ডিসি সহ আরও অনেকে। পার্কস্ট্রিট সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থাকবে কুইক রেসপনস টিম, অ্যাম্বুলেন্স।

সোদপুর স্টেশনে ভেঙে পড়ল লেভেল ক্রসিং-এর হাইট গজ গেট

বর্ধমান স্টেশনের পর এবার নয়া বিপত্তি সোদপুরে। জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার অন্যতম ব্যস্ত এই স্টেশনে ভেঙে পড়ল লেভেল ক্রসিং-এর হাইট গজ গেট। ওই ক্রসিং দিয়ে প্রতিদিন বহু মানুষ গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করেন।

শনিবার সকালে একটি লরির ধাক্কায় গেটটি ভেঙে পড়েছে বলে জানা গেচে। এর ফলে বড়সড় বিপদ ঘটতে পারত বলে মনে করছে এলাকাবাসী। তবে বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়েছে। জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল থেকে এই ঘটনার জেরে বড়সড় সমস্যার মুখে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। গেটটি ভেঙে পড়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লেভেল ক্রসিং। ইতিমধ্যে গেটটি সরানোর কাজ শুরু হয়েছে।

সাক্ষী মালিকের পর এবার পদ্মশ্রী ফেরালেন কুস্তিগীর বীরেন্দ্র সিং

দেশের কিছু মহিলা কুস্তিগীরদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠা বিজেপি সংসদ তথা ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় সিং দেশের কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান হওয়ায় এবার পদ্মশ্রী ফেরালেন কুস্তিগীর বীরেন্দ্র সিং।

এরআগে ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় সিং-কে কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান করার প্রতিবাদে অলিম্পিক পদকজয়ী সাক্ষী মালিক খেলা ছেড়েছেন। পদ্মশ্রী পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন অলিম্পিক পদকজয়ী বজরং পুনিয়া। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন বীরেন্দ্র সিং।

মুক ও বধির কুস্তিগির বীরেন্দ্র পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত। বধির কুস্তিতে বিশ্বমঞ্চে বহু খেতাব জিতেছেন বীরেন্দ্র। কিন্তু বজরং পুনিয়ার মত তিনিও পদ্মশ্রী ফেরচ্ছেন। বীরেন্দ্র জানিয়েছেন,’যখন মহিলা কুস্তিগীরদের যথাযথ সম্মান দেওয়া হয় না, তখন আমিও এই সম্মানের যোগ্য নই। আমরা ৪০ দিন ধরে রাস্তায় ছিলাম, কিন্তু সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা পূরণ হয়নি।

আমাদের লড়াই সরকারের বিরুদ্ধে নয়, একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আমি বিচার ব্যবস্থায় বিশ্বাস করি, কিন্তু যা ঘটছে তাতে আমি সরকারের ওপর আস্থা রাখতে পাচ্ছি না।‘

জঙ্গিদের খোঁজে পুঞ্চ-রাজৌরি জেলায় বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা

জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ ও রাজৌরি জেলায় বন্ধ হয়ে গেল মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। শনিবার থেকে এই পরিষেবা বন্ধ হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় সেনা কনভয়ে সন্ত্রাসবাদীরা হামলা চালায়। এই ঘটনার পরেই যুদ্ধকারীণ তৎপরতায় চলছে সন্ত্রাসবাদীদের খোঁজ। এখনও পর্যন্ত তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি । তাই সন্ত্রাসবাদীদের খুঁজতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। বর্তমানে পুঞ্চ ও রাজৌরি জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনী ।

প্রসঙ্গত গত ২১ শে ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় সেনা কনভয়ে সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় ৫ জন শহিদ হয়েছেন। গুরুত্বর জখম হয়েছেন তিন জন। আচমকা হামলায় খানিকটা হতচকিত হয়ে পড়েন সেনা জওয়ানরা। শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনী জঙ্গিদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালায়। চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসে রাজৌরি-পুঞ্চ অঞ্চলে জোড়া হামলায় ১০ জন সেনা নিহত হয়।

নিমতার বড় ফিঙ্গা অঞ্চলে ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নিমতা থানার সামনে এম বি রোড অবরোধ বিজেপির মহিলা মোর্চার

কলকাতা: চলতি মাসের ১৭তারিখ নিমতার বড় ফিঙ্গা অঞ্চলে পুকুর থেকে এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা ও নারী নিরাপত্তা নিয়ে বিজেপি মহিলা মোর্চার তরফে নিমতা থানার সামনে এম বি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। বিক্ষোভে সামিল মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র, রয়েছেন জেলা সভাপতি অরিজিৎ বক্সী সহ কয়েকশো বিজেপি কর্মী সমর্থক।

'বিতর্কিত' বাড়ি ভেঙ্গে ফেলার কাজ শুরু করলো পৌরসভা

বাঁকুড়াঃ সপুত্র শিক্ষক খুনের ঘটনার সাক্ষী ও 'বিতর্কিত' সেই বাড়ি এবার ভেঙ্গে ফেলার কাজ শুরু করলো বাঁকুড়া পৌরসভা। শনিবার সকাল থেকেই পৌরসভা নিযুক্ত শ্রমিকরা ওই বাড়ি ভেঙ্গে ফেলার কাজ শুরু করেছেন।

প্রসঙ্গত, বাঁকুড়া শহরের নতুনচটি এলাকায় 'হাউস ফর অল প্রকল্পে' তৈরী এই বাড়ির জমিকে ঘিরে বিতর্কের জেরে প্রাক্তন শিক্ষক মথুরামোহন দত্ত ও তাঁর ছেলে শ্রীধর দত্তকে খুনের অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশী পিন্টু রুইদাস ও তার পরিবারের লোকেদের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ অভিযুক্ত পিন্টু রুইদাস, তার,স্ত্রী ও দুই ছেলেকে গ্রেফতার করে। যদিও এর আগেই ১৬ অক্টোবর 'বিতর্কিত' জমিতে তৈরী ওই বাড়ি ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।

এই ঘটনার পিছনে পরোক্ষে পৌরসভা দায়ী, দাবি বিজেপির। দলের বাঁকুড়া জেলা সহ সভাপতি দেবাশীষ দত্ত বলেন, একজন শিক্ষকের জমিতে কেউ বাড়ি তৈরী করছে তা দেখার দায়িত্ব পৌরসভার। অপরাধ সংগঠিত হওয়ার আগেই তা আটকানো উচিৎ ছিল। অভিযুক্তরা শাসক দলের কাছ থেকে মদত পেয়েই ওই বাড়ি তৈরী করেছিল। ওই ঘটনার সঙ্গে আরো কে বা কারা যুক্ত খুঁজে বের করার দাবি জানান তিনি।

এদিন বাঁকুড়া পৌরসভার উপ পৌরপ্রধান হীরালাল চট্টরাজ বলেন, হাইকোর্ট এই বাড়ি ভাঙ্গার নির্দেশ দিয়েছিল ১৬ অক্টোবর, সেই নির্দেশ আমাদের হাতে এসে পৌঁছায় ২৯ অক্টোবর। পরে আমরা বাড়ি মালিককে তিন দিনের মধ্যে বাড়ি ভাঙ্গার নির্দেশ দিয়ে ১৭ নভেম্বর নোটিশ দিই। এই ঘটনার পিছনে পৌরসভার কোন দায় নেই দাবি করে তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ওই উপভোক্তাকে দ্বিতীয় দফার টাকা দেওয়া হয়নি। আর মূলতঃ পূজোর কারণেই এই 'বিতর্কিত' বাড়ি ভাঙ্গা সম্ভব হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।

*বীরভূমের আদলে তৈরি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার চকগোপাল এলাকার তারাপীঠ মন্দিরের দ্বার খুলল ভক্তদের জন্য*

পাঁশকুড়া: বীরভূমের তারাপীঠের আদলে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার চকগোপাল গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় তারাপীঠ মন্দির। যেখানে সাধক বামাক্ষ্যাপা সহ তারা মা বিরাজমান। তারাপীঠ দর্শন করতে পাড়ি দিতে হয় সুদূর বীরভূম জেলায়। তবে কাছেপিঠে যখন আবির্ভাব হয়েছে তারাপীঠের তারা মা এর তবে দূরে পাড়ি কেন তারাপীঠের আদলে তৈরি এই মন্দিরে ভিড় জমতে শুরু করেছে বিভিন্ন মানুষের।

জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ পূজো দিতে আসেন এই মন্দিরে। মাঝে হঠাৎ করে মন্দির বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মন খারাপ হয় সকলের। তবে সেই মন্দির আবার নতুন করে সেজে ওঠে, আবার নতুন করে প্রতিস্থাপিত করা হয় তারা মা এর মূর্তি।

আনুষ্ঠানিক ভাবে অভিষেক করে পালকি চেপে মন্দিরে প্রবেশ করেন তারাপীঠের তারা মা। খুশি পাঁশকুড়া সহ গোটা জেলাবাসী। ঢাকঢোল বাজিয়ে হোমযজ্ঞ পূজোপাঠের মধ্য দিয়ে নতুন করে তারাপীঠ মন্দিরের দ্বার খোলা হয় ভক্তদের জন্য। যা মানুষের কাছে দ্বিতীয় তারাপীঠ নামেই পরিচিত হয়ে উঠেছে। অভিষেকের প্রথম দিনেই মন্দিরে ঢল নামে মানুষের।

বীরভূমের তারাপীঠের তারা মা এর কাছে যে ভোগ নিবেদন করা হয়, ঠিক একই ভাবে বিভিন্ন ব্যঞ্জন সাজিয়ে এখানকার তারাপীঠের মন্দিরে ভোগ নিবেদন করা হয় মা এর কাছে।

*মেদিনীপুরের ঐতিহ্যশালী শীতের গয়না বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত মহিলারা*

তমলুক: শীতের দিনে গয়না বড়ি তমলুক মহিষাদল সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ঘরে ঘরে চলে তৈরীর কাজ। পূর্ব মেদিনীপুরের ঐতিহ্যশালী এই গহনা বড়ি খেতে ভালবাসতেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সত্যজিৎ রায় সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গেরা। আবার এই গয়না বড়ি জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে উল্লিখিত হয়েছে। বিউলির ডালকে জলে ভিজিয়ে বেটে পোস্ত বা তিলের ওপর দেওয়া হয় গয়না বড়ি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই বড়িতে মজে তমলুক ও মহিষাদলের মানুষেরা।

বঙ্গের ঋতু রঙ্গে সবচেয়ে প্রিয় ঋতু শীত।

শীতকাল মানেই চলে আসে নলেন গুড়, পিঠে পুলি পায়েস সহ বিভিন্ন খাবার দাবার। সেই খাদ্য তালিকায় বড়িরস্থান উপরের দিকেই। আর তা যদি হয় গয়না বড়ি, তাহলে তো আর কথাই নেই। এই বড়ির সঙ্গে মেদনীপুরের মানুষের ভালোবাসা ওতপ্রত ভাবে জড়িত। নবান্ন, বড়দিন বা পৌষমেলার মতোই বাংলার মেয়েদের কাছে শীত ছিল এক উৎসবের ঋতু। আর সেই উৎসবের পুরোধা হল গয়না বড়ি। সাধারনত অগ্রহায়ন মাসের শেষের দিক থেকেই বাড়িতে বাড়িতে লেগে থাকে এই উৎসব।

বিউলির ডাল, পোস্ত, সাদা তিল এবং অন্যান্য মশলার সংমিশ্রনের সঙ্গে মেয়েদের সুদক্ষ হাতের কারুকার্যের নিদর্শন হল এই গয়না বড়ি। বছর পর বছর পেরিয়েও বর্তমান প্রজন্মের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়েছে সেই কারুকার্যের ছাপ।

গয়না বড়ির ইতিহাস অনেক পুরনো ১৯৩০ সালে সেবা মাইতি নামে শান্তিনিকেতনের এক ছাত্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে তার মা হিরন্ময়ী দেবী ও ঠাকুমা শরতকুমারী দেবীর তৈরী গয়না বড়ি উপহার দেন। রবীন্দ্রনাথ গয়না বড়ির শিল্পকলা দেখে এতটাই আকৃষ্ট হন যে তিনি গয়না বড়িগুলির আলোকচিত্র শান্তিনিকতনের কলা ভবনে সংরক্ষণ করার অনুমতি চেয়ে হিরণ্ময়ী দেবী ও শরতকুমারী দেবীকে চিঠি লেখেন।এর ফলে গয়না বড়ি চারুকলার নিদর্শন হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও একদা বলেছিলেন, গয়না বড়ি শুধুমাত্র দেখার জন্য, খাওয়ার জন্য নয়। তিনি গয়না বড়ির শিল্পকর্মের সঙ্গে মধ্য এশিয়ার খোটানে আবিষ্কৃত প্রত্নতত্ত্বের শিল্পকর্মের সাদৃশ্য খুঁজে পান এবং গয়না বড়ির প্রদর্শনীর যথাযথ ব্যবস্থা করেন। নন্দলাল বসু গয়না বড়িকে বাংলা মায়ের গয়নার বাক্সের একটি রত্ন বলে বর্ণনা করেন এবং তিনি গয়না বড়ির উপর একটি বই প্রকাশ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ১৯৫৪ সালে কল্যাণীতে অনুষ্ঠিত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ৫৯ তম অধিবেশনে গয়না বড়ি প্রদর্শিত হয়। বংশপরম্পরায় আজও তমলুক মহিষাদল সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় বাড়ির মা-বোনেরা শীতের সকালে গয়না বড়ি তৈরি করে।

স্বাস্থ্য কেন্দ্র যেন মরণ ফাঁদ

উত্তর ২৪ পরগনা: বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জের " হিঙ্গলগঞ্জ স্বাস্থ্য কেন্দ্র " এর বেহাল দশা । দেখলেই আতঙ্ক তৈরি হবে মনে । স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভেতরে জরাজীর্ণ অবস্থা , পোলেস্তারা খসে লোহার রড দেখা যাচ্ছে। বিম গুলো অর্ধ ভগ্নদশা অবস্থায় রয়েছে ।আর এরই মধ্যে ডাক্তার নার্সরা রোগী দেখছেন । যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে । আহত হতে পারে ডাক্তার নার্স থেকে রোগী বা রোগীর পরিবারের লোক । এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একসময় ১০টি বেড ছিল । রোগীও ভর্তি হত । সব সময় ডাক্তার-নার্স থাকতো ।

কিন্তু এখন ডাক্তার দিনের বেলায় আসে রোগী দেখেন চলে যান।তাও আবার প্রতিদিন আসে এমনটা নয় ।এলাকার মানুষের দাবি স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ঠিক করা হোক । এবং আগের মতো চিকিৎসা পরিষেবা চালু করা হোক । তাহলে এলাকার মানুষের অনেক উপকার হবে ।

এই বিষয়ে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক-অভিষেক দা বলেন,"স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কিছু সমস্যা রয়েছে , যে বিষয়টা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরকে জানানো হয়েছে অবিলম্বে সমস্যার সমাধান হবে"।