ভাটপাড়ার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে লক্ষ্মী ভান্ডার ফর্ম পূরণের মাধ্যমে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ
প্রবীর রায়: ভাটপাড়া পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের দলীয় কার্যালয়ে বুধবার সকাল থেকেই ফর্ম ফিলাপ লক্ষ্মী ভান্ডার, বার্ধক্য ও বিধবা ভাতার। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা তৃণমূলের কার্যালয়ে ভিড়ও জমান। অভিযোগ, নির্বাচনবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছে রাজ্যের শাসকদল। অথচ নির্বিকার নির্বাচন কমিশন।

এদিন নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন করে লক্ষ্মী ভান্ডার-সহ অন্যান্য প্রকল্পের সুবিধা নিতে ফর্ম ফিলাপ নিয়ে টুইটও করেন বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। তাঁর দাবি, দিদিমণি ১৩ বছর কিছুই করেনি। ভোটের ৪ দিন বাকি এখন নির্বাচন বিধি অমান্য করে লক্ষ্মী ভাণ্ডারের ফর্ম ফিলাপ করানো হচ্ছে। পরিষেবা দেবার নাম করে মানুষকে ভাওতা দেওয়া হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের পরিকাঠমো পুরো ব্যর্থ। শাসকদলের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।


যদিও এপ্রসঙ্গে ভাটপাড়ার উপ-পুরপ্রধান দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, ফর্ম ফিলাপ করা যেতে পারে। ওটা তো প্রসেস। কার্যকর তো নয়। ভোটের পর আবার প্রকল্পের সুবিধাগুলো কার্যকর হবে।

দমদমে টোটোতে চেপে প্রচার সাড়লেন তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায় সঙ্গে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু

নিজস্ব প্রতিনিধি: দক্ষিণ দমদম পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে টোটোতে করে প্রচার সাড়লেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়। টোটোতে প্রার্থীর সঙ্গেই ভোট প্রার্থনায় রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বুধবার প্রায় দেড়শটি টোটো নিয়ে প্রচার সাড়েন তৃনমূল প্রার্থী। এদিন তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়কে কেন্দ্র করে তৃনমূল কর্মী সমর্থকদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষজন ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানায় তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়কে।

নির্বাচনী প্রচারে যোগ দিতে কলকাতা বিমানবন্দর বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "পুলিশ সন্দেশখালি বিভিন্ন জায়গায় যারা প্রতিবাদী মহিলা ত

এসবি নিউজ ব্যুরো: সন্দেশখালিতে মহিলাদের পাহাড়া দেওয়া প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, "পুলিশ সন্দেশখালি বিভিন্ন জায়গায় যারা প্রতিবাদী মহিলা তাদের ভয় দেখিয়ে হোক প্রয়োজনে পয়সা দিয়েই হোক তাদের বক্তব্যকে পরিবর্তন করার জন্য প্রলোভন দেখাচ্ছে। সেই জন্য মহিলারা এইভাবে পাহাড়া দিতে বাধ্য হচ্ছে। কোর্ট তো রায় দিয়েছিল মহিলাদের মধ্যে যেন কনফিডেন্সের অভাব না হয়। তাদের যেন প্রশাসনের উপর আস্থা ফেরে কিন্তু পুলিশ তো উল্টো করছে। আমরা দেখেছি পুলিশ সিভিক ভলেন্টিয়ার পাঠিয়ে বিভিন্ন মহিলাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে যাতে তারা এখন উল্টো বয়ান দেয় এবং পুরোটাই পুলিশের হাত ধরে চিত্রনাট্য রচিত হচ্ছে।"

সন্দেশখালির প্রতিবাদী মহিলা মাম্পি দাসের গ্রেফতারি নিয়ে বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেসের চক্রান্ত এবং তৃণমূল কংগ্রেসের চক্রান্তের ফলেই এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে। এরকম অডিও আসছে বারে বারে আপনারা দেখেছেন, আমাদের মন্ডল সভাপতি পরিষ্কার বলে দিয়েছে আমাদের এই ধরনের কোন বক্তব্য নেই এবং বারবার চেষ্টা করা হচ্ছে সন্দেশখালীর ঘটনা থেকে চোখ ঘোরানোর জন্য সন্দেশখালীর ঘটনা মানুষকে ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য। প্রশ্ন হচ্ছে ৫০০-৬০০ জন এফিডেফিট করছে তাহলে কি এফিডেভিট গুলো ফলস হচ্ছে। পুলিশ একজন মহিলাকে দিয়ে ১৬৪ করিয়েছে তাহলে পুলিশ কেন করালো"।

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য বিজেপি এলে লক্ষী ভান্ডার বন্ধ করে দেবে সেই প্রসঙ্গে বলেন, "বিজেপি এলে লক্ষী ভান্ডার এর জায়গা অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার চালু হবে মাসে ৩ হাজার টাকা করে দেওয়ার ব্যবস্থা হবে। তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী ভোট এলেই মিথ্যাশ্রী প্রকল্প চলে অন্য সব প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়। মিথ্যাশ্রী প্রকল্পে তিনি তখন এক নম্বর। আরো এরকম অনেক কিছু বলছে মাছ খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে অতএব ভয়। ভয় দেখিয়ে ভোট নিতে হচ্ছে। তার মানে কি আপনার পজিটিভ কিছু বলার থাকে না। আপনার কাছে বলার মত কাজই নেই। সেই জন্য আপনাকে ভয় দেখাতে হচ্ছে"।

যাদবপুরে বিজেপি দলীয় নেতৃত্বের নির্দলে মনোনয়ন দাখিল করার প্রসঙ্গে বলেন, এই ধরনের কোন তথ্য আমার কাছে নেই। যদি সেটা হয়ে থাকে সেটা পরিকল্পনা মত হয়েছে। ড্যামি প্রার্থী রাখতে হয়, একজনের মনোনয়ন যদি বাতিল হয়ে যায় তখন অন্যজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

তৃণমূলের শিক্ষা ছেলের রাজভবন ঘেরা অভিযান প্রসঙ্গে বলেন, নোংরা রাজনীতি এবং এই ধরনের রাজনীতি একমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই সম্ভব। এবং মুখ্যমন্ত্রী সেটা রাস্তায় নিয়ে আসছেন এবং যেভাবে বলছেন আমি রাজভবনে যাব না। আমি তোমাকে একটি সাধারণ প্রশ্ন করেছিলাম নারায়ণ দত্ত তিওয়ারি কার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতি করেছেন। ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে এখনো পর্যন্ত একজন অবৈধ সন্তান নারায়ণ দত্ত তিওয়ারির। রাজ্যপাল থাকা অবস্থায় রাজভবনে স্কট সার্ভিস ঢুকেছিল সেটা খবর হয়েছিল মিডিয়াতে। আমি প্রশ্ন করছি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাহলে নারায়ন দত্ত তিওয়ারির পাশে কিভাবে বসতেন তিনি।

নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে নাইসা ও এসএসসির কথোপকথন নিয়ে বলেন, সব জানত এসএসসি তো আলাদা কোন অস্তিত্ব নেই, এসএসসি রাজ্য সরকারের সংস্থা রাজ্য সরকারের পরিচালনায় মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে অনুপ্রেরণা সমস্ত কিছু হয়েছে। এর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলে যাওয়া উচিত, এবং ওম প্রকাশ চৌটালা যদি জ্বলে যেতে পারেনতাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জেলে যাবেন।

গতকাল ভাঙরে বোমাবাজি প্রসঙ্গে বলেন, ভাঙ্গরে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থা খারাপ হবে, জামানাত বাজেয়াপ্ত হওয়ার মতো অবস্থা হবে। ভাঙ্গড়কে তৃণমূল কংগ্রেস ভাগাড়ে পরিণত করে দিয়েছে।

মিঠুন চক্রবর্তীর বাংলাকে কাঙাল বলা মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাকে তো কাঙাল বানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী। আগে এক সময় জিডিপিতে ২৬ শতাংশ অংশ ছিল, এখন কত শতাংশ করি তার মানে কি মানুষের অবস্থা খারাপ হয়েছে এখন কাজের জন্য মানুষকে অন্য রাজ্যে যেতে হচ্ছে। আপনার রাজ্যের লোক অন্য রাজ্যে যখন কাজের জন্য যাচ্ছে তার মানে কি কাজ নেই।

বামেদের সঙ্গে আইএসএফের মহম্মদ সেলিমের আইএসএফের দিকে আঙ্গুল তোলা নিয়ে বলেন, বামেদের সঙ্গে আইএসএফের জোট হবে কি হবে না তাদের ব্যাপার। বিষয় হচ্ছে এরা হলো চিয়ার লিডার। খেলছি তো আমরা তৃণমূল। চিয়ার লিডাররা কি পড়ে খেলবে মিনি স্কার্ট পরে নাচবে নাকি শাড়ি পরে নাচবে তাদের ব্যাপার।

আমডাঙ্গার আইএসএফ নেতা সদলবলে বিজেপিতে যোগ দিলেন

প্রবীর রায়:ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত আমডাঙ্গা বিধানসভার এক আইএসএফ নেতা সদলবলে বিজেপিতে যোগ দিলেন। বুধবার বেলায় জগদ্দলের মজদুর ভবনে ব্যারাকপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের হাত ধরে মোস্তা ফিজুর রহমান বিজেপিতে যোগ দিলেন। তিনি ২০২২ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমডাঙ্গা বিধানসভা কেন্দ্রের আদহাটা পঞ্চায়েতের আই এস এফের জেলা পরিষদের প্রার্থী হয়েছিলেন।বিজেপিতে যোগ দিয়ে মোস্তা ফিজুর রহমান বলেন, "এবার নির্বাচনে আমডাঙ্গায় বিজেপি ভালো ফল করবে। সংখ্যালঘুরা এখন মোদিজীকে দু'হাত ভরে আশীর্বাদ করছেন"।


অন্যদিকে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে রোড শোতে আসার জন্য ব্যারাকপুরের প্রার্থী অর্জুন সিং এর সমস্ত প্রোগ্রামের পারমিশন বন্ধ করে দিল প্রশাসন।এই নিয়ে আজ একটি সাংবাদিকদ সম্মেলনে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

ব্যারাকপুরের লোকসভা নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এক্স বার্তা
এসবি নিউজ ব্যুরো: আগামী ২০ মে অর্থাৎ দেশের পঞ্চম দফায় ভোট হবে উত্তর ২৪ পরগনার অন্যতম লোকসভা কেন্দ্র ব্যারাকপুরে। এবার এখানে তৃণমূল ও বিজেপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। লড়াই ময়দানে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। অন্যদিকে, বিজেপির প্রার্থী বিদায়ী সাংসদ অর্জুন সিং। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন এবারে এই কেন্দ্রে জয় পরাজয় নির্নয় করবে বাম ভোট। একদা এই কেন্দ্রটি সিআইএমের দূর্গ বলা হতো। এবার এই কেন্দ্রে তাদের জোট প্রার্থী দেবদূত ঘোষ।
সম্প্রতি ভাটপাড়া একটি জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গতকাল এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং এর সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী তার এক্স হ্যাণ্ডলে একটি পোস্ট করেছেন। সৌজন্যে: X
দিদিমণিকে পদত্যাগ করা উচিত খুনি পোস্টার নিয়ে প্রতিক্রিয়া অর্জুন সিংয়ের
প্রবীর রায়: ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং-কে খুনি দাবি করে ব্যারাকপুর সংসদীয় ক্ষেত্রের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। পোস্টারের নীচে লেখা আছে- "নো ভোট টু মাডারার।" এই পোস্টার নিয়ে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের প্রতিক্রিয়া, "দিদিমণিকে পদত্যাগ করা উচিত। দিদিমণি খুনিকে ২০ বছর বিধায়ক ও ১০ বছর পুরপ্রধান কেন করলো, তা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন বিজেপি প্রার্থী। তাঁর দাবি, এই ধরনের পোস্টার ভোটে কোনও প্রভাব পড়বে না। ভোট আসলেই তাঁকে খুনি আখ্যা দেওয়া হয়।"

টিটাগড় থেকে উদ্ধার হল ৪ টি পিস্তল ও ১৮ রাউন্ড গুলি
এসবি নিউজ ব্যুরো: চলতি বছরের ৭ ই মে খড়দহ থানার অন্তর্গত টিটাগড় পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকনগরে পাপ্পু রাইস মিলের গেটে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে খড়দহ থানার পুলিশ টিটাগড়ের বাসিন্দা ওয়াসিম আক্রম ওরফে আফ্রোজকে গ্রেফতার করেছে। তার কাছ থেকে পুলিশ ৪টি ৭ এম এম পিস্তল এবং ১৮ রাউন্ড গুলিও বাজেয়াপ্ত করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঘোলার ডিসিপি সেন্ট্রালের অফিসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ডিসিপি সেন্ট্রাল শানোয়ানে কুলদীপ সুরেশ জানান,ঘটনার দিন রাত ১১ টা নাগাদ টিটাগড়ের বাসিন্দা ওয়াসিম আক্রম ওরফে আফ্রোজ বিহারের দুই জন দুষ্কৃতীকে নিয়ে একটি বাইকে চেপে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। এরপর তারা পাপ্পু রাইস মিলের গেটে পাঁচ রাউন্ড গুলিও চালিয়েছিল। ডিসিপি সেন্ট্রালের দাবি,আইপিএল বেটিং সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযুক্ত তিনজন বেশ কিছু টাকা খুইয়েছিল। তারা জানতে পারে ওই রাইস মিলের মালিকের টাকা দেবার মতো সামর্থ আছে। তারপরই তারা মিল মালিকের কাছে ২০ লক্ষ্য টাকা দাবি করে। সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় আফ্রোজ বিহারের দুই দুষ্কৃতীকে সঙ্গে নিয়ে টিটাগড়ের বিবেকনগরে ওই মিলের গেটে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল। দুষ্কৃতীদের উদ্যেশ্যে ছিল চমকে ধমকে রাইস মিলের মালিকের কাছ টাকা আদায় করা। ডিসিপি সেন্ট্রাল আরও জানান,আফ্রোজকে পাকড়াও করা গেলেও এখনও অধরা বিহারের দুই দুষ্কৃতী। তাদের খোঁজে জোরদার তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তবে পুলিশের খাতায় এর আগে ধৃত আফ্রোজের কোনরকম অপরাধমুলক কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ নেই। ধৃতকে দশ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকি দুই দুষ্কৃতীর খোঁজ চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি এতগুলো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পিস্তল এবং কার্তুজ আফ্রোজের কাছে কোথা এলো তাও গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কবিতা

"আধুনিকতা"

গোপাল মাঝি

যুগ যতো এগিয়ে ছুটছে

বেড়েছে আধুনিকতা,

পিছন দিকে হাঁটছে কি,

নীতি - নৈতিকতা!

পোশাকে সব রং - বাহারী

দেহ অর্ধেক ঢাকা,

ছেলেদের প্যান্ট যাচ্ছে খুলে

যায়না কোমরে রাখা |

নাভির উপর জামা পরে

হাঁটছে পথে নারী,

লজ্জা পেয়ে মুখ ঢেকে

হারিয়ে যাচ্ছে শাড়ি!

চুলের ছাঁট দেখলে যেন

হাসি চাপা দায়,

যার উপর নানান কালার

সারা মাথা ময় |

ছিলাম যা' আমরা সবাই

বিশটা বছর আগে,

মন্দটা কি ছিল তখন

যদি তুলনা করে?

*প্রধানমন্ত্রী মোদি আজ মনোনয়ন জমা দেবেন, তার আগে এক্স-এ আবেগঘন পোস্ট, বললেন- "আমার কাশীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক আশ্চর্যজনক"*

#pmnarendramodinominationfrom_varanasi

এ এন আই: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ বারাণসী লোকসভা আসনের জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন।তার আগে গঙ্গা স্নান করে, দশাশ্বমেধ ঘাটে প্রার্থনার পর কাল ভৈরবের আশীর্বাদ নেন তিনি। সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে মনোনয়ন জমা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সহ কেন্দ্রীয় ও উত্তরপ্রদেশ সরকারের ২০ জন মন্ত্রী। এছাড়াও 12টি বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও প্রধানমন্ত্রীর মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সময় উপস্থিত থাকবেন।

কাশীর সঙ্গে আমার চমৎকার সম্পর্ক- প্রধানমন্ত্রী মোদি

বারাণসী লোকসভা আসন থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে সোশ্যাল মিডিয়া সাইট এক্স-এ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লিখেছেন যে 'আমার কাশীর সাথে আমার সম্পর্ক আশ্চর্যজনক, অবিচ্ছেদ্য এবং এটা আশ্চর্যজনক… আমি শুধু বলতে পারি এটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না! মনোনয়নের আগে প্রধানমন্ত্রী মোদির রোড শো একই সময়ে, মনোনয়নের আগে, সোমবার (13 মে) প্রধানমন্ত্রী মোদী একটি চমকপ্রদ পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ রোড শো করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদির পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি চৌধুরী ভূপেন্দ্র সিংও। রোড শো চলাকালীন পুরো এলাকা 'হর হর মহাদেব' ও 'জয় শ্রী রাম' স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে।এটা অনুরণিত ছিল. প্রধানমন্ত্রীকে উল্লাস করতে রাস্তার দুপাশে সমর্থক ও লোকজনের বিপুল ভিড় জমে যায়। কাশী বিশ্বনাথ ধামে রোড শো শেষ হয়।

প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়ছেন কংগ্রেসের অজয় রাই

বারাণসী ভারতীয় জনতা পার্টি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শক্ত ঘাঁটি। তিনি 2014 এবং 2019 সালে দুবার এখান থেকে লোকসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন। বারাণসীতে পিএম মোদির বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অজয় রাই মনোনয়ন পেয়েছেন। এই নিয়ে তৃতীয়বার লোকসভা নির্বাচনে অজয় রাই মোদির মুখোমুখি হবেন। লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম ও শেষ ধাপে ১ জুন বারাণসীতে ভোট হবে। 2019 সালে, PM মোদি 6,74,664 এরও বেশি ভোট নিয়ে আসনটি জিতেছিলেন।

বিচারপতি সঞ্জীব খান্না হতে পারেন সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি

এ এন আই: ডিওয়াই চন্দ্রচূড় আগামী 10 নভেম্বর অবসর নেবেন। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় 10 নভেম্বর 2024-এ তার পদ থেকে অবসর নেবেন। তিনি 09 নভেম্বর 2022-এ ভারতের 50 তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং দুই বছরের জন্য এই পদে থাকবেন। আমরা যদি সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের জ্যেষ্ঠতা তালিকা দেখি, তাহলে আগামী আট বছরে বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াবেচন্দ্রচূড়ের পর বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালাই হবেন একমাত্র বিচারপতি যিনি দুই বছরেরও বেশি সময় প্রধান বিচারপতির পদে থাকবেন। এ ছাড়া এমন কোনো CJI থাকবেন না যিনি এক বছরের বেশি সময় চেয়ারে থাকতে পারবেন। CJI চন্দ্রচূড়ের পরে, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না জ্যেষ্ঠতার তালিকায় দ্বিতীয় এবং পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হওয়ার সারিতে আছেন। জ্যেষ্ঠতার নীতি অনুসরণ করা হলে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না 11 নভেম্বর 2024দেশের ৫১তম প্রধান বিচারপতি হবেন। তার মেয়াদ ছয় মাসের জন্য হবে এবং তিনি 13 মে, 2025 এ অবসর নেবেন। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না 2019 সালের জানুয়ারিতে দিল্লি হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে আসেন। প্রায় সাড়ে চার বছরের শাসনামলে এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। তিনি 358টি বেঞ্চের অংশ ছিলেন এবং 90টি রায় দিয়েছেন। বিচারপতি খান্নার পর পরের বিচারপতি বি.আর. গাভাই যিনি 14 মে 2025-এ CJI হতে পারেনহয়। তার মেয়াদ ছয় মাসেরও কম হবে এবং তিনি 23 নভেম্বর, 2025-এ অবসর নেবেন। অর্থাৎ 2025 সালে দেশ দুটি CJI পাবে। এর পরে, বিচারপতি সূর্য কান্তের পালা আসতে পারে যদি জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়, তবে 24 নভেম্বর 2025 তারিখে বিচারপতি সূর্য কান্ত 14 মাসের জন্য ভারতের প্রধান বিচারপতি হবেন। বিচারপতি সূর্য কান্তের পরে, বিচারপতি বিক্রম নাথ 07 ফেব্রুয়ারী 2027 থেকে 23 সেপ্টেম্বর 2027 পর্যন্ত সিজেআই হওয়ার লাইনে রয়েছেন।চেয়ারে থাকবে। এর পরে আসবেন বিচারপতি বিভি নাগারথনা (৩৬ দিন), বিচারপতি পিএস নরসিমা (প্রায় ৬ মাস), বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা (দুই বছরের বেশি) এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন (মেয়াদকাল প্রায় ১০ মাস)।