*কেজরিওয়ালকে নিয়ে আপে বড় দাবি, জেলে তার স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে, গ্রেফতারের পর ওজন কমেছে ৪.৫ কেজি*
*এসবি নিউজ ব্যুরো:* দিল্লির মদ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বর্তমানে তিনি তিহার জেলে রয়েছেন।জেলে তার স্বাস্থ্য ভালো নেই। আম আদমি পার্টির দাবি, গ্রেফতারের পর অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে। ২১শে মার্চ গ্রেফতারের পর থেকে কেজরিওয়ালের ওজন ৪.৫ কেজি কমেছে।মুখ্যমন্ত্রীর কমে যাওয়া ওজন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকেরা। তবে তিহার জেল প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল একেবারেই ভালো আছেন। জেলের চিকিৎসকরা এ ধরনের কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেননি। দিল্লি সরকারের মন্ত্রী অতীশি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন যে অরবিন্দ কেজরিওয়াল ডায়াবেটিস রোগী। স্বাস্থ্য সমস্যা সত্ত্বেও তিনি ২৪ ঘণ্টা দেশের সেবায় নিয়োজিত থাকেন। গ্রেফতার তারপর থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ওজন ৪.৫ কেজি কমেছে। এটা খুবই উদ্বেগজনক।আজ বিজেপি তাকে জেলে রেখে তার স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কিছু হলে, গোটা দেশের কথা না বললেই নয়, ভগবানও তাকে ক্ষমা করবেন না।

*কেজরিওয়ালের জেলে প্রথম রাত কাটল অস্থিরতায়*
ইডি হেফাজতের পরে, কেজরিওয়ালকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল তিহার জেলে আছেন। জেলে গেলে কেজরিওয়ালের প্রথম রাত কেটেছে অস্থিরতায়। সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত তিনি কক্ষ পরিবর্তন করতে থাকেন।জেল সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যায় কারাগারে আসার পর তার রাত খুবই অস্বস্তিকর ছিল।তবে মঙ্গলবার সকালে তাকে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য দেখাচ্ছিল। তিনি যোগব্যায়াম করেন এবং তারপর জেলের নিয়ম অনুযায়ী তাকে সকালের নাস্তায় চিনি ছাড়া চা ও রুটি দেওয়া হয়। এরপর তিনি পত্রিকা পড়েন এবং কিছু সময় টেলিভিশনও দেখেন।
*২ নম্বর জেলে আছেন কেজরিওয়াল*
কেজরিওয়ালকে দিল্লির তিহার জেলের ২ নম্বর জেলের ১৪X৮ ফুটের একটি কক্ষে রাখা হয়েছে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কেজরিওয়ালের রক্তে শর্করার মাত্রা গত কয়েকদিন ধরে ওঠানামা করছে। এক সময় তা ৫০-এর নিচে চলে গিয়েছিল। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে তাকে ওষুধ দেওয়া হয়েছে। কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, তার রক্তে শর্করার মাত্রা পর্যবেক্ষণের জন্য তাকে একটি সুগার সেন্সর এবং অন্য কোনো ডিভাইস দেওয়া হয়েছে।আকস্মিক অবনতি রোধে টফিও দেওয়া হয়েছে।

*বাড়ির খাবার খাওয়ার অনুমতি* তিহার জেলে বাড়ির খাবার খেতে দেওয়া হল মুখ্যমন্ত্রীকে। এমন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীকে দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবারের জন্য বাড়িতে রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। পাশাপাশি, তার শারীরিক অবস্থার ওপর নজর রাখা হচ্ছে। জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে তারা তার সেলের কাছে একটি কুইক রেসপন্স টিম মোতায়েন করেছে। তিহার জেলতাঁর স্ত্রী সুনিতা কেজরিওয়াল এবং আইনজীবী সহ পাঁচজনকে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে।
*কৃষ্ণের শহর মথুরায় জাঠদের আধিপত্য ছিল, যে তাদের নিয়ন্ত্রণ করেছিল সে যুদ্ধে জিতেছিল*
#লোক_সভা_নির্বাচন_2024_মথুরা_নির্বাচন_জাত_ভূমি

*এসবি নিউজ ব্যুরো:* কৃষ্ণের শহরকে বলা হয় ‘জাঠভূমি’। মথুরায় ১৮ লাখের বেশি ভোটার রয়েছে। মথুরার রাজনীতিতে জাঠদের আধিপত্য সর্বোচ্চ। সাড়ে চার লাখ জাঠ ভোটার রয়েছে এখানে।জাঠ ভোটারদের ঘিরে রাজনৈতিক সমীকরণ বোনা হতে থাকে। জাঠ জাতি প্রার্থী ১৬ বার নির্বাচনে জিতেছে। স্থানীয় জাঠ নেতারা ভগবান কৃষ্ণের জন্মস্থান মথুরাকে রাজনৈতিকভাবেও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। ধর্মীয় শহর হওয়ায় মথুরা জেলায় সবার নজর থাকে। আজকাল, মথুরা শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমি এবং শাহী ইদগাহ মসজিদ নিয়ে বিতর্কের কারণে শিরোনামে রয়েছে। এমতাবস্থায় এই আসনেও ধর্ম ও জাতপাতের প্রভাব স্পষ্টভাবে দেখা যাবে এটাই স্বাভাবিক। এমতাবস্থায় সবার আগে আমরা জানি, মথুরা কোন জাতি রাজনীতিতে প্রাধান্য পায়? এখানকার রাজনীতিবিদদের ভাগ্য কে নির্ধারণ করে? মথুরা লোকসভা আসনটি পশ্চিম উত্তর প্রদেশে পড়ে। এই আসনটি জাঠ ও মুসলিম ভোটার অধ্যুষিত বলে মনে করা হয়। বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন, ২০১৪ সালে এই আসনের জাঠ ও মুসলিম ভোট আলাদাভাবে ভাগ হয়েছিল।যার সুফল ভারতীয় জনতা পার্টি পেয়েছিল।
*মথুরা আসনের অধীনে মোট 5টি বিধানসভা আসন* মথুরা লোকসভার অধীনে মথুরা জেলার পাঁচটি বিধানসভা।এই গুলো হল ছাতা, মন্ত, গোবর্ধন, মথুরা এবং বলদেব (সু.) আসন।

*আসন এর জাতিগত সমীকরণ* পরিসংখ্যান অনুসারে, মথুরায় ১৮ লক্ষেরও বেশি ভোটার রয়েছে। মথুরা লোকসভা কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি সাড়ে ৪ লাখ জাঠ ভোট। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের চোখ স্থির রয়েছে জাঠ ভোটব্যাঙ্কের দিকে। দুই নম্বরে ব্রাহ্মণভোটার। ব্রাহ্মণ ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ। ঠাকুর ভোটারের সংখ্যাও প্রায় ৩ লাখ। জাঠদের ভোটার প্রায় দেড় লাখ। মুসলিম ভোটারের সংখ্যাও প্রায় দেড় লাখ। বৈশ্য ভোটারদের কথা বললে, মথুরা লোকসভা আসনে প্রায় ১ লাখ ভোটার রয়েছে। যাদব ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৭০ হাজার। অন্যান্য বর্ণের প্রায় ১ লাখ ভোটার রয়েছে।

*এখন পর্যন্ত, জাঠ বর্ণের প্রার্থীরা ১৬ বার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন এবং জিতেছেন* লোকসভা নির্বাচনে, জাঠ বর্ণের একজন প্রার্থী মথুরা লোকসভা আসন থেকে ১৬ বার নির্বাচনে জিতেছেন। মানবেন্দ্র সিং ৩বার লোকসভায় পৌঁছেছিলেন এবং চকলেশ্বর সিং ১বার নির্বাচনে জিতেছিলেন। দুজনেই ঠাকুর জাতি থেকে এসেছেন। সাক্ষী মহারাজ, যিনি একজন লোধি রাজপুত, তিনিও ১৯৯২ সালে মথুরা থেকে নির্বাচনে জিতেছিলেন। কোনো ব্রাহ্মণ, বৈশ্য বা অন্য কোনো বর্ণের প্রার্থী কখনো মথুরা লোকসভা আসন থেকে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সৌভাগ্য হয়নি। এই কারণে কথিত আছে মথুরা লোকসভা আসনকে জাঠ জমি বলা হয়। এখান থেকে যে দলই নির্বাচনে জিতুক না কেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সমীকরণ সবসময় জাঠ ভোটারদের ঘিরেই বোনা হয়েছে।

*কোন স্থানীয় জাঠ নেতার আবির্ভাব ঘটেনি* এত কিছুর পরও দীর্ঘদিন ধরে এখান থেকে স্থানীয় কোনো জাঠ নেতা উঠেনি। এর একটি কারণ হল আর এল ডি জাঠ ভোটারদের উপর তার অধিকারের কথা ভাবছে। আরএলডি প্রায়ই বলছে যে এটি জাঠ।তিনি অবশ্যই ভোট পাবেন, তাই জাত সমীকরণ সমাধানের জন্য তিনি অন্য বর্ণের প্রার্থীদের সাথে বাজি ধরেছেন। আরএলডির দ্বিতীয় বিকল্প হল তাদের পরিবারের একজন সদস্যকে এই লোকসভা আসনে পাঠানো। এই কারণেই জয়ন্ত চৌধুরী ২০০৯ সালে এখান থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং জিতে লোকসভায় পৌঁছেছিলেন। এর আগে তার খালা জ্ঞানবতীও মথুরা লোকসভা আসন থেকে তার ভাগ্য পরীক্ষা করেছিলেন কিন্তু তিনি জয় পাননি। চৌধুরী পরিবারের কাটছাঁট ২০১৪ সালে, বিজেপি হেমা মালিনীকে প্রার্থী করেছিল এবং তিনি চলচ্চিত্র অভিনেতা ধর্মেন্দ্রের স্ত্রী হিসাবে একজন জাঠ বলে দাবি করেছিলেন। জয়ী হয়ে লোকসভায় পৌঁছেছিলেন।
*রাম নবমীর মিছিলের দ্বায়িত্বে প্যারামিলিটারি ফোর্সের দাবি অর্জুনের*
*খবর কলকাতা:* নৈহাটি টালি খোলায় বিজেপি নির্বাচনী কার্যালয়ের দলীয় সভায় এসে ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং বলেন," রাজ্যে রাম নবমীর মিছিল নিয়ে  হাইকোট অর্ডার দিয়েছিল এন আই এ তদন্ত ।কারণ রাজ্যের পুলিশের ভূমিকা রামনবমীর মিছিলে নিয়ে খুব খারাপ থাকে। গতবছর হাবরাতে , রিষরা ও ডালখোলাতে এরকম দেখা গেছে। গন্ডগোল হয়েছিল।এন আই এ তদন্তে নেমে অনেকেই  গ্রেফতার করেছে।

আমি বলেছিলাম ব্যারাকপুরে চার-পাঁচ জায়গাতেই রামনবমীর মিছিলটা বেরোয়। নির্বাচনের কারণে যেহেতু রাজ্যে প্যারা মিলিটারি উপস্থিত আছে, তাই বাংলায় আমাদের জেলাতেও তাহলে সেই জায়গায় প্যারা মিলিটারি কে দিয়ে এই মিছিলটা বের করা হোক। তাতে আমাদের যারাই এই মিছিলের সঙ্গে যুক্ত আছেন বা সাধারণ মানুষের প্রটেকশন থাকবে | কারণ পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের উপর আমাদের কোন বিশ্বাস নেই। ইলেকশন কমিশন এটার উপর ইনসিওর করুক। ইলেকশন কমিশন যদি ইনসিওর করেন তাহলেই সু:স্থ শান্তভাবে এ প্যারামিলিটারি কে ব্যবহার করে আমরা এই মিছিল গুলো বের করতে পারি।

রামনবমীতে তৃণমূল কেন যে কোন কংগ্রেস বের করুক তাতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। আপত্তি হল যে মিছিলটা বেরোবে সেই মিছিলের উপর পুরো ইলেকশন কমিশনারের অধীনে প্যারামিলিটারি প্রটেকশন দিয়ে এই  মিছিলটা বের করুক, যাতে কোনরকম কোন অশান্তি না ছড়ায়। পশ্চিমবাংলার পুলিশের উপর আমাদের ভরসা নেই কারণ পুলিশই ক্রিমিনালদের দিয়ে এগুলো করায় | ৮৪ টা ক্যামেরা লাগানো হয়েছে আমার বাড়ির আশেপাশ এবং এর মাধ্যমে আমার ওপর নজর রাখা হচ্ছে। তার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পার্টি কর্মীরা আমাদের সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছেন তাদেরকে পুলিশ ১০৭ কেটে দিচ্ছে , ১১০ কেটে দিচ্ছে এবং ওনাদের হ্যারাসমেন্ট করছে।

সেই নিয়ে আমি কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি।ইমিডিয়েটলি এটাকে সরানো দরকার আছে।প্রশাসন তো তৃণমূলের পার্টি করে , এখানকার প্রেসিডেন্ট কোন পুলিশ কমিশনার থানা ইন্সপেক্টর হল টাউন সভাপতি ওনারাই তো সব করছে।ওনারা তো ওনাদের হয়েই কাজ করছে ।
*আজ জলপাইগুড়িতে প্রচারে  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়*
*খবর কলকাতা:* আজ থেকে উত্তরবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম দিনেই দুটি জনসভা রয়েছে। প্রথমে সভা করবেন কোচবিহারের মাথাভাঙ্গায়। এখানে জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী।

এরপর জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অধ্যাপক নির্মল চন্দ্র রায়ের সমর্থনে মালবাজারে জনসভা করবেন তিনি।  ইতিমধ্যে দলীয় পতাকায় সাজানো হয়েছে মালবাজার শহরকে।মালে আদর্শ বিদ্যাভবন বিদ্যালয়ের মাঠে এই সভায় ভিড় উপচে পড়বে বলে মনে করছে জেলা নেতৃত্ব।

দলনেত্রী এই সভা থেকে কি বার্তা দেন সেদিকেই তাকিয়ে জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব থেকে কর্মী সমর্থকরা।
*৩ সপ্তাহ-৪২টি লোকসভা কেন্দ্র-৩০ লক্ষেরও বেশি মানুষ-যুগান্তকারী তপশিলির সংলাপ দ্বারা ইতিহাস গড়লো তৃণমূল কংগ্রেস*
*এসবি নিউজ ব্যুরো:* শুরু হওয়ার ৩ সপ্তাহের মধ্যে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তপশিলির সংলাপ রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রে ছড়িয়ে পড়েছে। রাজ্যজুড়ে ৩০ লক্ষেরও বেশি মানুষের কাছে গিয়ে পৌঁছেছে এবং ১৫,০০০-এরও বেশি সভার আয়োজন করেছে। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের তপশিলি জাতি এবং উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের চাহিদা এবং সমস্যার সমাধানই মূল লক্ষ্য এই প্রচার অভিযানের। তাঁদের কথা শুনতে এলাকায় যাচ্ছেন নেতারা। বিজেপি সরকার তাঁদের ওপর সারা ভারতবর্ষ জুড়ে কীভাবে অত্যাচার করছে, তাঁরা কীভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন, সেই বিষয়েই আলোকপাত করছে তৃণমূল কংগ্রেস।

গত ১২ মার্চ কলকাতার নজরুল মঞ্চ থেকে নতুন প্রচার অভিযানের ঘোষণা করেছিল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। যার নেতৃত্ব দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক শ্রী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রচার অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল 'তপশিলির সংলাপ'।

এই কর্মসূচি ইতিমধ্যে রাজ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। গ্রামাঞ্চলের প্রান্তিক অঞ্চলগুলিতে মানুষ এই প্রচার অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে। “গ্রামের এক বৃদ্ধের কথায় সমাজের কিছু মুষ্টিমেয় মানুষ আমাদেরকে অস্পৃশ্য রূপে দেখতো সেই জায়গায় একটি রাজনৈতিক দল আমাদের জন্য কর্মসূচি করছে এটা সম্পূর্ণ জাতির জন্য গর্বের বিষয়,” বলেছেন রাজেশ মুর্মু।

ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র তার বক্তব্যে বলেছেন, "আমাদের দলের কর্মীরা তপশিলি সম্প্রদায়ের লোকেদের বাড়িতে যাচ্ছেন, সেখানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে উন্নয়নমূলক কর্মসূচি আছে সেইগুলো ঠিক মতো পাচ্ছে কিনা দেখছেন। আমাদের রাজ্যের জনদরদি মুখ্যমন্ত্রী সর্বদাই পিছিয়ে পড়া তপশিলি সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। অন্যদিকে বিজেপি শাসিত রাজ্যে উত্তরপ্রদেশের দলিত কন্যাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে তার মৃত্যু হয়। শেষ সময়ে তার মা- বাবা একবারও তার মুখটা দেখতে পায়নি। কয়েক হাজার পুলিশের ঘেরাটোপে তার অন্তিমকার্য সম্পন্ন করা হয়। এই তো বিজেপির উন্নয়ন। অন্যদিকে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সর্বদা চেষ্টা করছেন কী ভাবে পিছিয়ে পড়া তপশিলিদের জন্য আরো প্রকল্পের সূচনা করবেন। পাশাপাশি কেন্দ্রের জমিদাররা বাংলার করের টাকা তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছেন অথচ বঞ্চনা করে ১০০ দিনের কাজের টাকা থেকে শুরু করে আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখে দিয়েছে। এর জবাব আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলার মানুষকে একত্রিত ভাবে ব্যালট বাক্সে দিতে হবে।”

তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী তপশিলির সংলাপ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে পুরুলিয়া জেলার মানবাজার বিধানসভা অন্তর্গত পুঞ্চা ব্লকের বাগদা অঞ্চলে পৌঁছে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথোপকথনের সময় বলেন, “রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার আসার পর থেকে সমগ্র জঙ্গলমহল জুড়ে আমাদের তপশিলি ভাই বোনদের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নানা উন্নয়নমুখী প্রকল্প চালু করেছে। তাই আমরা চাই আগামীদিনেও এই প্রকল্পগুলির সুবিধা মানুষ পেতে থাকুক। সেই উদ্দেশ্যেই দিদির হাত শক্ত করার জন্য পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রে শান্তিরাম মাহাতোকে জোড়াফুল চিহ্নে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন। যাতে আমাদের রাজ্যের মানুষের বঞ্চনার কথা শান্তিরাম মাহাতো দিল্লিতে গিয়ে তুলে ধরতে পারে।”

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে প্রচার অভিযান শুরু করেছে তৃণমূল, তাতে এলাকায় এলাকায় গিয়ে তপশিলি জাতি এবং উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে বিজেপি সরকারের অন্যায়ের কথা তুলে ধরছেন তাঁরা। বাংলার প্রতি, তপশিলি সমাজের প্রতি বিজেপি যে অন্যায় করছে, সেই কথা তুলে ধরছে। তপশিলি সমাজকে তৃণমূল কংগ্রেসের বার্তা, বিজেপি দেশজুড়ে তাঁদের ওপর নৃশংস অত্যাচার চালাচ্ছে। তপশিলি জাতির প্রতি বিজেপির নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে। কিন্তু বাংলায় তপশিলি জাতি-উপজাতি রক্ষা করছে শাসক শিবির এবং এটা করতে তাঁরা বদ্ধপরিকর।

*কবিতা*
*"ভোটের হাওয়া"*

*গোপাল মাঝি*

চায়ের আসরে বসেছে আড্ডা
           চর্চা কেবল ভোট,
কোন প্রার্থী জিতবে হেথা
          নেই যখন জোট |
যুক্তি খাড়া চলে হেথা
          যাকে যার পছন্দ,
ভোটে যেন গেছে জিতে
          এটাই তার আনন্দ!
সংখ্যা গুরু, সংখ্যা লঘু
          বিতর্ক যে চলে,
এই তত্ব সামনে রেখে
          অংকের হিসাব কষে |
উন্নয়ন না দুর্নীতি সব
          কোনটা হবে ইস্যু,
ভোটারাই তো করতে পারে
          ক্রুশ বিদ্ধ যীশু |
দেশ শাসন করবে যারা
           ভোট পাবে তারা,
তবেই তো বইতে পারে
           উন্নয়নের ধারা |
গণতন্ত্রের সঠিক প্রয়োগ ঘটিয়ে
            হয় যদি ভোট,
খুন -সন্ত্রাস বন্ধ হবে
           নিশ্চিত করলে কমিশন |
*Politics:লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল শুরু করল মিনি-সিরিজ: পর্ব ১ জুমলাবাবার সাম্প্রতিকতম মিথ্যে প্রচার*
#Politics,#lLoksabha election Campaign _TMC

*SB News bureau:* একটি সৃজনশীল মাধ্যমে, তরুণ ভোটার এবং ডিজিটাল শ্রোতাদের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার জন্য, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনের আগে, বিজেপির অনেক মিথ্যে প্রতিশ্রুতিকে একত্রিত করে একটি মিনি-সিরিজ চালু করেছে।

একাধিক নির্বাচনে বিজেপিকে রাজ্যের মানুষের প্রত্যাখ্যানের পর, বাংলার প্রতি বিজেপির বিমাতৃসুলভ মনোভাব নিয়েও এই সিরিজটি কথা বলে। এর প্রতিটি পর্বের মাধ্যমে, বিজেপির ক্রমাগত আক্রমণের কারণে বাংলার মানুষের মুখোমুখি হওয়া বিভিন্ন সমস্যার উপর সিরিজটি আলোকপাত করবে। এটি প্রমাণ করবে, কেন বাংলা মোদী এবং তাঁর বাংলা-বিরোধী নীতিগুলোকে প্রত্যাখ্যান করেছে।

দিল্লির প্রেক্ষাপটে, জুমলাবাবার প্রথম পর্ব দেখায় যে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ধারাবাহিক অত্যাচার ও মিথ্যাচারের কারণে মানুষ কতটা বিরক্ত। রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি এবং সিএএ-এনআরসির-এর মতো ইস্যুতে মানুষের ভোগান্তি ও প্রতিবাদ অব্যাহত থাকলেও, মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছে। যখন লোকেরা উত্তরের জানিয়ে জানিয়ে অবশেষে ক্লান্ত হয়ে পড়ে, মোদী তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে পালিয়ে যান, বাংলায় রিফিউজিদের খুঁজতে আসেন, যেখানে একজন প্রকাণ্ড বড় মাপের ব্যক্তিত্ব, আইকনিক নীল-সাদা শাড়ি পরে, তাঁদের বাংলায় প্রবেশ করে বাংলাকে ধ্বংস করা থেকে রক্ষা করে।
*কলকাতা ইডেন গার্ডেন্সে কেকেআর-রাজস্থান ম্যাচের সূচি বদল*
*খেলা*

*IPL,2024*
*খবর কলকাতা:* আগামী ১৭ এপ্রিল কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল নাইট রাইডার্স ও রাজস্থান রয়্যালসের। কিন্তু ওই ম্যাচটি সেদিন হবে না। ওই দিন রামনবমী পড়েছে। এছাড়াও ১৯ এপ্রিল লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট রাজ্যে।প্রথম দফার নির্বাচনে রয়েছে উত্তরবঙ্গের ৩  জেলায়। ভোটের ডিউটিতে যাবেন এখানকার পুলিশ অফিসাররাও।

কেকেআর ও রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচটি আয়োজনের বিকল্প তারিখ হিসেবে ১৬ এবং ১৮ এপ্রিল রাখা হয়েছিল। কলকাতা পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছিল সিএবি। অবশেষে সেই সূচি জানিয়ে দেওয়া হল হোম টিম কেকেআরের তরফে। ১৭ এপ্রিলের সেই ম্যাচ এক দিন এগিয়ে ১৬ এপ্রিল করা হয়েছে।
*ভোটের আগেই হঠাৎ অকাল ভোট দমদম লোকসভা কেন্দ্রে*

*খবর কলকাতা:* আগামী ১ জুন উত্তর ২৪ পরগনার দমদম লোকসভা কেন্দ্রের ভোট। তার ২ মাস আগেই দমদম লোকসভার দক্ষিণ দমদম পুর এলাকার ১৫নং ওয়ার্ডে চলছে ভোট গ্রহণ পর্ব। এলাকার মানুষের মতামত গ্রহণ করতেই এমন চিন্তা ভাবনা নেওয়া হয়েছে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে। ভোটে অংশ গ্রহণ করবে ওয়ার্ডের প্রায় ৫৫০০ ভোটার। ইতিমধ্যেই ব্যালট পেপার বিলি পর্ব চলছে বাড়ি বাড়ি। এরপরে আগামী ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে থাকা ব্যালট বাক্স তাদের মতামত প্রদান করতে পারবে এলাকাবাসী।

প্রসঙ্গত, এই ভোটদান পর্বের পিছনে রয়েছে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এক ঘটনা। গত ১৯ মার্চ কাউন্সিলর দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে দমদমের রবীন্দ্র ভবনে দলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তিনি মঞ্চে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দেন এলাকাবাসীর মতামত ছাড়া তিনি দলে যোগদান করতে পারবেন না। সেই মতামত গ্রহণ করতেই এই ভোটের মরসুমে ভোটগ্রহণ পর্ব চলছে ওয়ার্ডে। যারই অংশ হিসেবে ব্যালট পেপার বিলি পর্ব শুরু হয়েছে মঙ্গলবার থেকে। ব্যালট পেপারে কাউন্সিলরের কি করা উচিৎ এবং কেন তা যুক্তি সহকারে বর্ণনা করার জন্য ব্যালট পেপারে জায়গা রাখা হয়।

যেখানে কাউন্সিলরের তৃণমূল, না বিজেপি না সিপিআইএম করা উচিৎ নাকি নির্দলে থেকে যাওয়া উচিৎ তা নির্ণয় করতে অনুরোধ করা হয়। এরপরে তা ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে থাকা ব্যালট বাক্সে সেই মন্তব্য সম্বলিত ব্যালট পেপার ফেলার জন্য এলাকাবাসীকে অনুরোধ করে মাইকিং করা হচ্ছে। আগামী ১০ এপ্রিল সেই মতামত সম্বলিত ব্যালট বাক্সগুলি নির্বাচন কমিটির সামনে খুলে তা জনসমক্ষে নিয়ে আসা হবে। সেই জনমতের উপর ভিত্তি করে কাউন্সিলর তার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। এক কথায় লোকসভা ভোটের আগেই এলাকায় ভোট গ্রহণের মাধ্যমে এলাকাবাসীর মতামত নিয়ে ভোট যুদ্ধে অবতরণ করতে চলেছে কাউন্সিলর। তার কথায়, ২০১৫ সাল থেকে তিনি যখন কাউন্সিলর তার কাজ দেখে এলাকার বিধায়ক রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু থেকে সাংসদ সৌগত রায় তাকে পুরপ্রধানের দাবিদার করে তোলেন।

সেকারণে এক শ্রেণীর কুচক্রী দলের তৎকালীন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কান ভাঙ্গিয়ে তার নির্বাচনী টিকিট আটকে দেয়। এরপরে ২০২২ সালে তিনি এলাকাবাসীর মতামত নিয়ে নির্দলে দাঁড়ান এবং ৯৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন। ২ বছর বাদে তাকে দলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানোয় তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু এলাকাবাসীর মতামত ছাড়া তিনি কিছু করতে পারবেন না। তাই এই ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত।
*Bengal Pro-T20: ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল(সিএবি )আয়োজিত বেঙ্গল প্রো টি-টোয়েন্টি লিগের (বিপিএল) প্রথম সংস্করণ শুরু জুন মাসেই*
*Sports: খেলা*
*খবর কলকাতা:* আইপিএলের ধাঁচে কর্পোরেট স্পনসর শিপে এ বার বাংলাতেও শুরু হতে চলেছে টি-২০ লিগ। যার পোশাকি নাম বেঙ্গল প্রো টি-২০ লিগ। চলতি বছরের জুন মাসে ২১ দিনের টুর্নামেন্ট শুরু করবে সিএবি। প্রথম দফায় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স অনুযায়ী ক্যাটেগরি ভাগ করা হবে। থাকবে স্যালারি ক্যাপ। আগামী জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ (১০ কিংবা ১১ তারিখ) থেকে শুরু হবে ৮ দলীয় এই টুর্নামেন্ট।

গতকাল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের ডাকা এক সাংবাদিক সম্মেলনে সিএবি র সভাপতি স্নেহাশীষ গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন ,  "ফ্র্যাঞ্চাইজি-ভিত্তিক বাংলার ৮ টি দল নিয়ে আইপিএলের পরপরই এবছরের জুন মাসের প্রথমেই শুরু হবে বেঙ্গল প্রো টি-টোয়েন্টি। আমরা বেশ কিছুদিন ধরে ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক লিগ আয়োজনের পরিকল্পনা করছি, যা এখন শুরু পথে। আমাদের কাছে বিসিসিআই থেকে সমস্ত প্রয়োজনীয় অনুমতি এসে গিয়েছে। লিগের ব্লুপ্রিন্টও রয়েছে। খেলার স্থান আমরা পরে নিশ্চিত করব। আমরা আশাবাদী এই লিগটি ব্যবসার দিক থেকে যেমন সেরা হয়ে উঠবে, ঠিক তেমনি পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জায়গা থেকে উদীয়মান প্রতিভারা প্রয়োজনীয় এক্সপোজার এবং পরম পেশাদার ভাবে খেলার সুযোগ পাবে।"

স্নেহাশিষ বাবু আরও বলেন , আমাদের আমাদের ৮টি ফ্র্যাঞ্চাইজি দল থাকবে এবং প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে পুরুষ ও মহিলা উভয় দলই থাকবে। এছাড়া থাকবে সি এ বি  প্রদত্ত মানদণ্ড এবং পুল । আইপিএলের  দলগুলিতে যেমন ভারতের শহরের নাম দেওয়া হয়, তেমনি বেঙ্গল প্রো টি-টোয়েন্টি লিগের দলগুলোর নাম রাখা হবে পশ্চিমবঙ্গের শহর/জেলা গুলির নাম হিসেবে। যা এই লিগকে খুব বেশি করে আকর্ষিত করে রাজ্যের কোনায় কোনায় পৌঁছে দেবে। বেশ কয়েকটি সম্মানিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই দলের মালিক হওয়ার জন্য বোর্ডে এসেছেন।

পাশাপাশি, আরও বিশিষ্ট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির একটি অংশ দলগুলির ওনার হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। এছাড়াও তারা স্পনসর এবং অংশীদার হিসাবে যোগদান করে বেঙ্গল ক্রিকেটের সক্রিয় স্টেকহোল্ডার হয়ে ইতিহাস তৈরি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

উদ্বোধনী বছরের জন্য, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি থেকে খেলোয়াড়দের একটি শক্তিশালী খসড়া প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে। নির্দেশিকা অনুসারে বেঙ্গল সিনিয়র সহ জেলা ক্যাচমেন্ট এলাকার খেলোয়াড় সহ বিভিন্ন বিভাগ সিএবি থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। এটির ফলে আমাদের রাজ্যের ক্রিকেটাররা বাংলা ক্রিকেটে তাদের প্রতিভাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছবার সুযোগ পাবে। ১৩৬ জন পুরুষ ক্রিকেটার এবং ১২৮ জন মহিলা ক্রিকেটার এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন। প্লেইং ইলেভেনে একজন করে অনূর্ধ্ব -১৯ ক্রিকেটার বাধ্যতামূলক ভাবে রাখা হয়েছে।

এছাড়া প্রতিটি দলে পুরুষদের জন্য ১৭ জন খেলোয়াড়ের একটি স্কোয়াড নিয়ে গঠিত হবে এবং নারীদের জন্য ১৬ জন খেলোয়াড়, অর্থাৎ বাংলার ২৬৪ জন শীর্ষ ক্রিকেটার নিজেদের দেখাতে পারবেন এই প্ল্যাটফর্ম থেকে। সি এ বি আইসিসি এবং বিসিসিআই-এর মতো সমস্ত দলের জন্য আচরণবিধিও চালু করবে। আচরণবিধি এবং পুরো লীগ বিসিসিআই-এর দুর্নীতি দমন ইউনিট দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হবে। সব টুর্নামেন্টের পুরো দৈর্ঘ্যের সময় তাদের সহায়তাকারী কর্মীদের সাথে দলগুলি ৫ তারা হোটেলে থাকবে। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের বেছে নেওয়ার জন্য সিএবি বাংলা থেকে কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফদের পুলও তৈরি করবে
বিসিসিআই নির্দেশিকা অনুসারে। পুরুষ এবং মহিলা বিভাগের  চ্যাম্পিয়নদের জন্য নগদ মূল্য থাকছে। টুর্নামেন্টটি লিগ-এবং-নকআউট ফরম্যাটে খেলা হবে, যা উভয়ের জন্য মোট ৩১ টি ম্যাচ হবে। এছাড়াও শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়া চ্যানেলগুলির একটিতে লাইভ এবং মহিলাদের ম্যাচগুলি একটি শীর্ষস্থানীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মে লাইভ হবে৷বাংলায় ক্রিকেটের প্রতি প্রচন্ড উৎসাহের কথা বিবেচনা করে এবং অনুরাগী ভক্তদের আসতে উৎসাহিত করতে এবং ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যত নায়কদের প্রতি উল্লাস করতে, সি এ বি এন্ট্রি একেবারে বিনামূল্যে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উভয় ভেন্যুতে এই মরশুমের দর্শকদের জন্য। সমস্ত আইপিএল দলকে তাদের প্রতিভা স্কাউটিং দলগুলিকে সনাক্ত করার জন্য পাঠানোর জন্য আমন্ত্রণও  করা হবে এবং তাদের নিজ নিজ দলের জন্য ভবিষ্যতের সম্ভাবনা অন্বেষণ সি এ বি এটি আয়োজনের জন্য একটি একচেটিয়া ব্যবস্থাপনা অংশীদার হিসেবে আরিভা স্পোর্টস প্রাইভেট লিমিটেডকে নিযুক্ত করেছে। সি এ বি অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলির জন্য একটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.bengalprot20.com তৈরি করেছে। বেঙ্গল প্রো টি-টোয়েন্টি লিগের জন্য তৈরি করা সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলগুলির লিঙ্কগুলি এখানে রয়েছে৷ সব মিলিয়ে আই পি এলের পরে আবারও মেতে উঠবে বাংলার ক্রিকেট প্রেমী মানুষ এমনটাই আশা করা যাচ্ছে বলে সি এ বি র তরফ থেকে জানানো হয়েছে। *ছবি:সঞ্জয় হাজরা ( খবর কলকাতা)।*s