বাংলাদেশ পাচারের আগে হাবড়া পুলিশের উদ্ধার নিষিদ্ধ কাপসিরাপ(ফেনসিডিল),আটক দুই পাচারকারী

উত্তর ২৪ পরগনা: গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাবড়া থানার পুলিশ হাবরা গৌড়বঙ্গ রোডের জমিদার বাড়ি গেট এলাকায় হাবড়া থানার পুলিশ হানা দেয়।সেখানেই একটি ছোট হাতি গাড়িতে করে নিষিদ্ধ কাপ সিরাপ বাংলাদেশ পাচার হচ্ছিল।সেই সময় গাড়িটি দাঁড় করিয়ে পুলিশ তল্লাশি চালাতেই গাড়ি থেকে মেলে নিষিদ্ধ কাপ সিরাপ।

হাবড়া থানার পুলিশের পক্ষ থেকে কাপসিরাপ গুলোকে উদ্ধার করা হয়।গাড়ির চালক এবং খালাসিকে আটক করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। উদ্ধার হাওয়া কাপসিরাপ গুলো ৯৬০ পিস এমনটাই জানা গিয়েছে হাবড়া পুলিশ সূত্রে।

ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সেলিং এর বৈঠকে রাজ্যের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিতে পাটনার গেলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য

কলকাতা: ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সেলিং এর বৈঠকে রাজ্যের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিতে পাটনার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন "এই বৈঠকে রাজ্যের কোন প্রাপ্তি থাকবে কিনা প্রসঙ্গে বলেন, ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলিং এর মধ্যে যে রাজ্যগুলো রয়েছে সকলের সঙ্গে একটা কোঅর্ডিনেসন করে যার যেটা সুবিধা অসুবিধা সেগুলো বলা হয় আলোচনা করা হয়।

সুতরাং এখানে আমাদের যা যা করার সেটা সেচ থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। সেগুলোতে আলোচ্য বিষয় যেগুলো আছে সেটা সবাই মিলে বসে যে অসুবিধা গুলো আছে সেগুলোর একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার উদ্দেশ্যে এই মিটিং।

বিএসপি সাংসদকে দল থেকে বহিষ্কার করা প্রসঙ্গে বলেন, "এটা আমি জানি না। কারণ ওই দলের নেত্রী যিনি কি কারণে সাসপেন্ড করেছেন জানি না। এটা ওদের দলের ব্যাপার। আমি দেখেছি যে সাংসদ নিজেই তার উত্তর দিয়েছে।"

সাইবেরিয়া থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছলো একজোড়া বাঘ, এখন থেকে সড়কপথে নিয়ে হবে দার্জিলিং চিড়িয়াখানাতে

কলকাতা: রবিবার ভোররাতে এমিরেটসের বিমানে কলকাতা এলো একজোড়া সাইবেরিয়ান বাঘ। এর মধ্যে একটি পুরুষ ও একটি মহিলা বাঘ রয়েছে। মূলত এক্সচেঞ্জ পদ্ধতিতেই এই বাঘ দুটিকে নিয়ে আসা হল এখানে। পরিবর্তে ভারত থেকে দুটি রেড পান্ডা পাঠানো হয়েছে সাইবেরিয়াত।

কাঠের বাক্সের মধ্যে করে নিয়ে আসা হয় এই দুটি বাঘকে। কলকাতা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিল বন্যপ্রাণী নিয়ে যাওয়ার অ্যাম্বুলেন্স।ওই অ্যাম্বুলেন্স করেই বাঘ দুটি কে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কলকাতা থেকে দার্জিলিং চিড়িয়াখানায়।

আমরা বিজেপি নই, প্রতিশ্রুতি দিয়ে সব পূরণ করছি: মমতা

আজ রবিবার আলিপুরদুয়ারে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি বলেন, 'আমরা বিজেপি নই, প্রতিশ্রুতি দিয়ে সব পূরণ করছি। কেন্দ্র বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে না কিন্তু আমরা দিচ্ছি। অবিসিদের জন্য টাকা বন্ধ করে দিয়েছিল মোদী সরকার। আমি যা কথা দিই তা রাখি, কিন্তু বিজেপি কথা দিয়ে কথা রাখে না। আমরা বিনামূল্যে রেশন পরিষেবা চালিয়ে যাবো।'

আদিবাসী পরিবারের শংসাপত্র নিয়েও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, 'আদিবাসী পরিবারগুলিকে শংসাপত্র দেওয়া হবে। ভুয়ো শংসাপত্র বাতিল করবে সরকার। অনেকেই আছেন যারা আদিবাসীদের নামে ভুয়ো সার্টিফিকেট করিয়েছেন।'

প্রসঙ্গত লোকসভা ভোটের আগে গেরুয়া ঘাঁটি উত্তরবঙ্গে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আজ তিনি আলিপুরদুয়ারে গিয়ে বড় মন্তব্য করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ’আলিপুরদুয়ারে ২৬ হাজার মানুষকে সরকারী পরিষেবা দেওয়া হবে। চা বাগানের শ্রমিকদের পাট্টা দেবো। পাট্টার সঙ্গে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে চা বাগানের শ্রমিকদের দেওয়া হবে। পাট্টার জমিতে যাতে শ্রমিকরা বাড়ি করতে পারেন তারই ব্যবস্থা করা হল। ৪৬৪২ শ্রমিকের মধ্যে এই পাট্টা বিলি করা হল।' একথায় পাহাড় দখল করতে কোমর বেঁধে পথে নেমেছে শাসক দল।

মহুয়া মৈত্র ইস্যুতে বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ

বাঁকুড়াঃ 'সংসদীয় রাজনীতিতে দেশ বিরোধী কার্যকলাপেও তৃণমূল যুক্ত'। 'দূর্ণীতি আর অন্যায়ের সঙ্গে তৃণমূলের মাথায় নতুন আরো একটি পালক যুক্ত হলো', সংসদে 'প্রশ্ন-ঘুষ’কাণ্ডে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাংসদপদ খারিজ প্রসঙ্গে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার।

বাঁকুড়ায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এবিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি আরো দাবি করেন, 'মহুয়া মিত্র নিজে এথিক্স কমিটির কাছে স্বীকার করেছেন, তাঁর ইউজার আই.ডি ও পাসওয়ার্ড তিনি শেয়ার করেছেন। উনি সংসদে ৬১ টি প্রশ্ন করেছেন, তার মধ্যে ৫০ টি প্রশ্ন একজন বিশিষ্ট শিল্পপতির পক্ষে যায়।

আর একদিনে ওনার সংসদীয় পোর্টাল দিল্লী, ব্যাঙ্গালোর, দুবাই, ইউ.এস.এ এই চার জায়গা থেকে লগ.ইন করা হয়েছিল। অর্থ বা ঘুষ নিয়ে যার হয়ে প্রশ্ন করছেন তার হাতেই উনি ইউজার আই.ডি পাসওয়ার্ড তুলে দিচ্ছেন! এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সারা বিশ্ব ছিঃ ছিঃ করছে বলে ডাঃ সরকার দাবি করেন।

*মানুষের সবচেয়ে পবিত্র অধিকার হ'ল "মানবাধিকার": শুভেন্দু*

আজ রবিবার সাত সকালে টুইট করে সকলকে চমকে দিলেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী । তিনি আজ এক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘একজন মানুষের জন্য উপলব্ধ সবচেয়ে পবিত্র অধিকার হ'ল "মানবাধিকার"।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের এই শুভ উপলক্ষে আসুন আমরা প্রতিটি মানব জীবনকে উদযাপন করার এবং এই বিশ্বকে একটি বৈশ্বিক গ্রামে পরিণত করার অঙ্গীকার করি যেখানে প্রতিটি জীবন প্রিয় এবং আমাদের সম্মিলিত মানব চেতনার আকাঙ্ক্ষা উদযাপন করা হয়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই পৃথিবীর প্রত্যেক নাগরিককে।‘

*এসএলএসটি চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে টুইট কুণালের*

গতকাল শনিবার এসএলএসটি চাকরি প্রার্থীদের ধর্নাস্থলে হাজির হন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ । আর এই নিয়ে আজ বড় তথ্য দিলেন তিনি।

আজ রবিবার এক লম্বা চওড়া টুইট বার্তায় কুণাল ঘোষ লেখেন, শনিবার গান্ধীমূর্তির সামনে নবম-দ্বাদশ শিক্ষক কর্মপ্রার্থীদের ধরণামঞ্চে কিছুক্ষণ।

1) তাঁরা আমাকে আমন্ত্রণ করেছিলেন। তাঁরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। সরকার জট খোলার চেষ্টা করছে। জটিল আইনি জট রয়েছে। সমাধানের প্রক্রিয়া চলছে।

2) রাসমণি মেয়েটি ও কয়েকজন আমার কাছে প্রায়ই আসেন। টিভিতে রাসমণিকে মস্তকমুণ্ডন করতে দেখে আমার খারাপ লাগে। মানবিকতার কারণে আমি তাঁর কাছে যাই।

3) শিক্ষামন্ত্রী জানতেন আমি যাচ্ছি। জট খোলায় তিনিও আগ্রহী। তিনি ওঁদের সঙ্গে কথা বলেন ফোনে। সোমবার বৈঠক ঠিক হয়েছে।

4) আমি নিজে গিয়ে দেখেছি আন্দোলনকারীরা কোনো অশোভন আচরণ করেননি। বাম, বিজেপি, কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে আসা বহিরাগতরা শ্লোগান দিয়েছিল সামান্য। মিডিয়া তাদের দেখিয়েছে। আন্দোলনকারীরা আমাকে যথাযথ সম্মান ও সৌজন্য দেখান। দীর্ঘক্ষণ কথা হয়। বিরোধীরা ওখানে আমার যাওয়া সহ্য করতে পারেনি বলে লাফাচ্ছিল। তারা সমাধান চায় না, রাজনীতি চায়। আন্দোলনকারীরাই তাদের রাজনৈতিক শ্লোগানে আপত্তি করেন। তাঁরা নিজেদের দাবিতে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমাকে কোনো অপ্রীতিকর অবস্থায় পড়তে হয়নি। কেউ আমার মুখের সামনে শ্লোগান দেননি। হ্যাঁ, মিডিয়া কিছু হইচই করেছে, সেটা তাদের কাজের অঙ্গ।

5) মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ চান। অভিষেক নিয়োগ চান। তিনি তো এদের সঙ্গে বসেছিলেন। প্রক্রিয়া এগিয়েছিল। ব্রাত্য নিয়োগ চান। কারুর বা কিছু লোকের জন্য জটিলতা হয়েছে। এই জটিলতা কাটাতে সর্বশক্তিতে চেষ্টা চলছে। সরকার আন্তরিক। আইনি জট কাটাতে কী করা যায়, ভাবছেন তাঁরা, দেখা যাক। আমি এবং আমরা সবাই চাই, জট খুলুক। আইনি সমস্যা কাটুক। নিয়োগ হোক।'

দিকভ্রষ্ট শেয়াল ঢুকলো বাইকের গ্যারেজে

এসবি নিউজ ব্যুরো: লোকালয়ে এসে দিকভ্রষ্ট হয়ে পড়লো একটি শেয়াল।বাইকের গ্যারেজে ঢুকে আচমকাই আলমারিতে ঢুকে গেল। শনিবার সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি শহরের লিচুতলা মোড়ের ঘটনা।মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় প্রচুর মানুষের ভিড় জমে যায়।ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বনদপ্তরের কর্মীরা উদ্ধার করে শেয়ালটিকে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পরিবেশ কর্মীরা।তারা খবর দেয় বিনাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডকে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আলমারির ভিতর থেকে শেয়ালটি বের করে খাঁচা বন্দি করে বিনাগুড়ি বন্যপ্রাণ বিভাগের কর্মীরা।

দোকানের এক কর্মচারী জানান ,"দোকানে কাজ করছিলাম।আচমকাই রাস্তার ওই পাশ থেকে একটি জন্তু এসে দোকানে ঢুকে পড়ে।আশেপাশের সকলে এসে দেখে বলে এটি শেয়াল।এরপর বিনাগুড়ি বন্যপ্রাণ বিভাগের কর্মীরা এসে শেয়ালটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।"

ভাটপাড়া জগদ্দল এরিয়া সিপিএম কমিটির ডাকে ভাটপাড়ায় অধিকার যাত্রা

উত্তর ২৪ পরগনা: ভাটপাড়া জগদ্দল এরিয়া সিপিএম কমিটির ডাকে অধিকার যাত্রা।ভাটপাড়া পৌরসভার অচলাবস্থা,স্মার্ট মিটার বাতিল সহ একগুচ্ছ দাবিতে কুলিডিপো থেকে শুরু করে ভাটপাড়া সমস্ত পৌরসভার ওয়ার্ড গুলোতে এই অধিকার যাত্রা পরিক্রমা করে। অধিকার যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম নেত্রী গার্গী চ্যাটার্জি, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সিটুর সাধারণ সম্পাদক নেপালদেব ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য সিপিআইএম নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সিটুর সাধারণ সম্পাদক নেপাল দেব ভট্টাচার্য জানান, আগামী দিনে ভাটপাড়া পৌরসভার বিভিন্ন দুর্নীতি সহ স্মার্ট মিটার বাতিলের দাবিতে তাদের আন্দোলন আরো জোরালো হবে।"

রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি উপর দুষ্কৃতী হামলা

উত্তর ২৪ পরগনা: বসিরহাটের হাড়োয়া থানার শালিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শালিপুর বাজারের ঘটনা। শালিপুর অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম কয়েকজন তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের নিয়ে চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন। সেই সময় কিছু দুষ্কৃতী গিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে দোকান থেকে বের করে তাকে বুকে পেটে লাথির পর এলোপাতাড়ি মারতে শুরু করে ।বাকি তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা পালিয়ে যায়।

তারপর তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে হাড়োয়া ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা অবনতি হলে কলকাতা একটি বেসরকারী হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাতিক চিহ্ন রয়েছে। বুকে পেটে গুরুতর আঘাত পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল‍্য ছড়িয়েছে। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটালো তদন্ত শুরু করেছে হাড়োয়া থানার পুলিশ। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের, না এলাকা দখল করাকে কেন্দ্র করে এই নিয়ে রীতিমতো রাজনৈতিক মহলে চর্চা চলছে। হাড়োয়ার থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। গোটা এলাকা থমথমে।