/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs1/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs4/1632639995521680.png/home/streetbuzz1/public_html/ajaydev/system/../storage/avatars/thumbs5/1632639995521680.png StreetBuzz এসএসকেএমে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কেবিনের ভেতর থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা সরানো নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের West Bengal Bangla
এসএসকেএমে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কেবিনের ভেতর থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা সরানো নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

কলকাতা: এসএসকেএম হাসপাতালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কেবিনের ভেতর থেকে সিসিটিভি সরাতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।এর পরিবর্তে কেবিনের বাইরে মন্ত্রীর নিরাপত্তা ও নজর রাখতে মোতায়েন করতে হবে সিআরপিএফ জওয়ান বলে নির্দেশ দিলেন বিচাপটি তীর্থঙ্কর ঘোষ। আদালত জানিয়েছে যদি কেবিনের বাইরে কোন সিসিটিভি থেকে থাকে তাহলে তার ফুটেজ পাবে ইডি। এই নির্দেশ কার্যকর হবে ১৬ ডিসেম্বর থেকে। আদালতের নির্দেশ, কেবিনের বাইরে থাকা সিআরপিএফ নিয়ন্ত্রণ করবেন কেবিনে যাতায়াত। আর সেটা দেখার জন্য সেখানে রেজিষ্টার থাকবে বলে নির্দেশ দিল আদালত।

ইডির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সিআরপিএফ এই নজরদারি চালাবে। ইডির আবেদন মঞ্জুর করে নিম্ন আদালতের নির্দেশ মোতাবেক হাসপাতালের কেবিনের ভিতরে এবং বাইরে বসানো হয় সিসিটিভি। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেই মামলাতেই এই নির্দেশ বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের। আদালতের পর্যবেক্ষণ, কারা কেবিনে ঢুকতে পারবেন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন এসএসকেএম-এর সুপার। যদিও এই নির্দেশের বিরোধিতা করে ইডি।

তাঁদের দাবি, এসএসকেএম এর ভূমিকাও সন্দেহের উর্ধ্বে নয়। ওই হাসপাতাল এই ধরনের অভিযুক্তদের আস্থানা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসএসকেএম এর হাতে এই সিদ্ধান্ত ছাড়া হলে তারা সবাইকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে দেখা করতে দেবে। তদন্তের ক্ষতি হয়ে যাবে বলে সওয়াল করে ইডি। দুজন তদন্তকারী আধিকারিকের অনুমতি সাপেক্ষে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন সাক্ষাৎকারীরা বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

বিপদজনক অবস্থায় স্কুল ঘর, যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা

উত্তর ২৪ পরগনা: বিপদজনক অবস্থায় স্কুল ঘর যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা।আতঙ্কে রয়েছেন স্কুল শিক্ষক থেকে অভিভাবকরা।এমনটাই ছবি ধরা পরেছে আমাদের ক্যামেরায়।হাবড়া বানীপুর চক্রের অন্তগত কুমড়া বিজয়নগর জিএফএফপি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবেদন স্কুল সংস্কারের জন্য।

পাশাপাশি, অভিভাবকরাও প্রশ্ন তুলেছেন স্কুল বিল্ডিং তৈরি করার সময় সরকারের ভূমিকা নিয়ে।কারন যখন স্কুলের ঘর তৈরি হয়েছিল তখন কাটমানি খেয়ে কম সামগ্রী দিয়ে তৈরি এই স্কুলের বিল্ডিং।

এক গুচ্ছ নতুন পরিষেবা শুরু মুকুটমনিপুরে

বাঁকুড়াঃ চলতি পর্যটন মরশুমে এক ছাতার তলায় মিলবে মুকুটমনিপুর সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য। শুক্রবার এই খবর জানিয়ে খাতড়ার মহকুমাশাসক তথা মুকুটমনিপুর উন্নয়ন পর্ষদের নির্বাহী আধিকারিক নেহা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মুকুটমনিপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফে এবারই প্রথমবার ট্যুরিষ্ট ইনফর্মেশান সেন্টার খোলা হয়েছে। এখানে থেকেই মুকুটমনিপুর সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পাওয়া যাবে। এছাড়াও এখানে আগত পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য প্রতি ঘন্টায় মাত্র ৫০ টাকার বিনিময়ে ই.সাইকেল পরিষেবা, প্রি ওয়েডিং ফটোশ্যুট, দু'ঘন্টার বিশেষ নৌ ভ্রমণ পরিষেবা চালু হয়েছে। এই সমস্ত পরিষেবা অনলাইনের মাধ্যমে বুকিং করা যাবে বলে তিনি জানান। এছাড়াও মুকুটমনিপুরে আসা সমস্ত পর্যটকরা জিম সেন্টারে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে জিম পরিষৃবা গ্রহণের সুযোগ পাবেন বলে তিনি জানান।

প্রসঙ্গত, জল, জঙ্গল আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে বছযভর অসংখ্য পর্যটক 'বাঁকুড়ার রাণী' মুকুটমনিপুরে আসেন। বিশেষ করে পর্যটন মরশুমে সেই সংখ্যা আরো কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তাই প্রতিটি পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্য ও মনোরঞ্জনের কথা ভেবে খাতড়া মহকুমা প্রশাসন ও মুকুটমনিপুর উন্নয়ন পর্ষদ সর্বদা সচেষ্ট বলেই জানানো হয়েছে।

*তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের রূপকার সতীশচন্দ্র সামন্তের জন্মদিনে পরিবার ও স্থানীয় বিধায়কের আক্ষেপের সুর।*

মহিষাদল: তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের রূপকার সতীশচন্দ্র সামন্তের ১২৪ তম জন্মদিন। তার জন্ম ভিটাতেই মহাসমারোহে পালিত হলো জন্মজয়ন্তী।

তাম্রলিপ্ত বা বর্তমান তমলুকের মাটিতে দেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার গড়ে তুললেন বিপ্লবী সতীশচন্দ্র সামন্ত। ১৯৪২ সালের ১৭ই ডিসেম্বর গঠিত হয় এই সরকার। ‘তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার' নামে আত্মপ্রকাশ করেছিল তাঁর গঠিত নিজস্ব সরকার। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম পথিকৃৎ এর পরিবার এখনো অবহেলায়, সাহায্য এখনো পাননি কিছুই। শুধুই জুটেছে আশ্বাস।

গোটা ভারতবর্ষের কেউ যেখানে কোনো অস্থায়ী সরকার গড়তে পারেন নি সেখানে তিনি অখণ্ড মেদিনীপুর জেলা থেকেই গঠন করেছিলেন একটি অস্থায়ী সরকার। এই সরকারের অস্তিত্ব ছিল ১৯৪৪ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

সবার উপরে ছিলেন সর্বাধিনায়ক বিপ্লবী সতীশচন্দ্র সামন্ত। আজকে সতীশচন্দ্র সামন্তের জন্ম দ্বিতীয় প্রস্তুত ছিলেন এলাকার বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী।

তিনি বলেন মহামানব সতীশ চন্দ্র সামন্তের পরিবারের পাশে আরো বেশি করে থাকা উচিত। অন্যদিকে সৌমেন মহাপাত্র বলেন আমরা সব সময়ই সতীশ চন্দ্র সামন্তের পরিবারের পাশে রয়েছি। হলদিয়া বন্দর এর নাম সতীশ চন্দ্র সামন্তের নামেই হওয়া উচিত এই দাবি বারে বারে করা হলেও সেই সমাধান এখনো হয়নি। পরিবার-পরিজন দাবি জানাচ্ছেন দিন আসে দিন যায় শুধুই আশ্বাস পাওয়া যায় কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না।

১৯৪৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সফলভাবে কাজ করেছিল তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার। ‘৪২-এর ২৯শে ও ৩০শে সেপ্টেম্বর অজয় মুখোপাধ্যায়, সতীশচন্দ্র সামন্ত ও সুশীল ধাড়া— এই তিন বিপ্লবীর নেতৃত্বে মেদিনীপুরের চারটি থানা দখলের অভিযান শুরু হলো। বিনা রক্তপাতে সুতাহাটা থানার পুলিশ আত্মসমর্পণ করলে এই থানাটি বিপ্লবীদের দখলে এলো। রক্ত ঝরিয়ে তমলুক, মহিষাদল ও নন্দীগ্রাম—অন্য তিনটি থানাও কব্জায় চলে এলো।

১৯৪৭ খ্রীস্টাব্দের জুলাই মাসে দিল্লিতে গণ-পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হলেন সতীশচন্দ্র‌। ১৯৪৭-১৯৪৯ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি এই পরিষদের সদস্য ছিলেন। পরে ১৯৫০-১৯৫২ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত ছিলেন সামরিক পার্লামেন্টের সদস্য। তারপর ভারতবর্ষের প্রথম লোকসভা থেকে পঞ্চম লোকসভা (১৯৫২-১৯৭৬) ছিলেন লোকসভার সদস্য। এই সময়কালে তাঁর উত্থাপিত প্রশ্ন সংখ্যা ২৫ হাজার, প্রবর্তিত বিলের সংখ্যা তিনশো। এরপর ষাটের দশকের শেষদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর সময়ে সতীশচন্দ্র সামন্ত, অজয় মুখোপাধ্যায়, সুশীল ধাড়া কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে গঠন করেন বাংলা কংগ্রেস। তৈরি হলো যুক্তফ্রন্ট। কিন্তু সতীশচন্দ্র সে সরকারে যোগ দিলেন না।

সতীশচন্দ্রের অন্যতম কীর্তি ১৯৫৯ খ্রীস্টাব্দের ৮ই জুন হলদিয়া বন্দরের সূচনা। সে সময়ের কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রী রাজবাহাদুর হলদিয়া বন্দরের নাম রাখতে চেয়েছিলেন “সতীশচন্দ্র বন্দর।” কিন্তু তা হয়নি। তবে একটি জেটি ও একটি রাস্তার নাম সতীশচন্দ্রের নামে হয়েছে। এছাড়া মহিষাদলে একটি রেলস্টেশনের নাম রাখা হয়েছে “সতীশ সামন্ত হল্ট।” আর গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাম পাল্টে হয়েছে “সতীশচন্দ্র সামন্ত গ্রাম পঞ্চায়েত।”

বর্ধমান লোকালে চলল গুলি

লোকাল ট্রেনের মধ্যে চললো গুলি। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়াগামী বর্ধমান লোকাল ট্রেনে। জানা যাচ্ছে গুলি চলার সময় ট্রেনে বেশ ভালই ভিড় ছিল। ভিড়ের মধ্যে হঠাত্‍ গুলির আওয়াজে শোরগোল পড়ে যায়। যাত্রীরা হতচকিত হন এবং হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। কেউই বুঝে উঠতে পারছিলেন না চলন্ত ট্রেনে গুলি চালাল কে।

যাত্রীরা এরপর দেখতে পান এক যুবক সিটের কোণে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। হাতের মুঠোয় তখনও রয়েছে বন্দুক। মাথা-কপাল থেকে চুইয়ে পড়ছে রক্ত।এমন ঘটনায় সকলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

জানা যাচ্ছে হাওড়া বর্ধমান লোকাল ট্রেনে নিজের সার্ভিস রিভলবার দিয়ে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন পুলিশ কনস্টেবল। তাঁর পরিচয় জানা গিয়েছে। আত্মঘাতী কনস্টেবলের নাম শুভঙ্কর সাধুখাঁ(৪৪)। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।

মদনের শারীরিক অবস্থার অবনতি

ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি তৃণমূল বিধায়ক মদল মিত্রের। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কাঁধের যেখানে মদন মিত্রের অস্ত্রোপচার হয়েছিল, সেখানে ব্যথা রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ফের আরও একবার খিঁচুনি হয় তৃণমূল বিধায়কের। বর্তমানে তাঁকে চিকিত্‍সকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। গত বুধবার কাঁধে অস্ত্রোপচার হয় মদন মিত্রের।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, অস্ত্রোপচারের পর মদনবাবু জানান, যেখানে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে, সেখানে তাঁর ব্যথা করছে। এরপর রাতের দিকে খিঁচুনি হতে শুরু করে মদনবাবুর। সঙ্গে সঙ্গে চিকিত্‍সকরা তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন ও প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেন।এসএসকেএমের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত স্থিতিশীল রয়েছেন মদন মিত্র। তবে এখনই তিনি যে বিপদমুক্ত, তা বলা যাচ্ছে না।

গত কয়েকদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন মদন মিত্র। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে মদনকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় কাঁধে চোট পান তৃণমূল বিধায়ক। গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার রাতে খিঁচুনি হওয়ায় পড়ে যায় বিধায়ক। পড়ে গিয়ে তাঁর বাঁ কাঁধের হাড় ভেঙে যায়। পরিস্থিতি দেখে চিকিত্‍সকেরা অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছিলেন।সেই মতোই বুধবার তৃণমূল বিধায়কের অস্ত্রোপচার হয়।

সাংসদপদ খারিজ নিয়ে সুপ্রিমে পিছিল মহুয়ার মামলা

তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মহুয়া মৈত্রকে সংসদ থেকে বহিষ্কারের আবেদনের শুনানি ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, মহুয়ার মামলাটি অধ্যয়ন করার জন্য তাদের সময় প্রয়োজন। তাই পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে এই মামলার শুনানির তারিখ।

৩ রা জানুয়ারি মহুয়ার মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে মহুয়ার মামলা নিয়ে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বলেন,’ আমি একেবারেই ফাইলটা একেবারে দেখিনি। আমি এই ফাইলটা খতিয়ে দেখতে চাই। আগামী ৩ জানুয়ারি মামলার শুনানি হতে পারে।‘

বিদ্যালয় নেই বসার জায়গা নেই মিড ডে মিল খাওয়ানোর উপযুক্ত জায়গা তবুও ভোররাত্রি থেকে ভর্তির লাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

নদীয়া:বিদ্যালয়ে নেই বসার জায়গা, নেই মিড ডে মিল খাওয়ানোর জায়গা, কিন্তু তবুও বিদ্যালয়ের ভর্তির জন্য অন্ধকার রাত থেকে লম্বা লাইন । কোনো ঝাঁ চকচকে বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম অথবা কিন্ডারগার্ডেন স্কুল নয়, অতি সাধারণ সরকারি প্রাথমিক বাংলা মাধ্যমে বিদ্যালয়। যেখানে মাঝে মধ্যেই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর ঘাটতি, নানান অভাব অভিযোগ নিয়ে স্কুল ছুট দের বিদ্যালয় ফেরানোর সরকারি উদ্যোগও।

নদীয়ার শান্তিপুর শহরের বাইগাছিপাড়া কৃত্তিবাস প্রাইমারি বিদ্যালয়ে, পাড়ার ছেলেরাই আশঙ্কা প্রকাশ করছে বহিরাগতদের চাপে তাদের ছেলেমেয়েদেরই ভর্তি করার সমস্যা না হয়ে যায় । প্রশান্ত বিশ্বাস জানাচ্ছেন তার বাচ্চা পলাশকে ভর্তি করার জন্য আজ থেকে ছয় দিন আগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অগ্নিশ্বর বসাককে জানতে চেয়েছিলেন তিনি বলেছিলেন আজ সকাল দশটা থেকে ফরম দেয়া হবে। কিন্তু ভোর তিনটা থেকে আশেপাশের পাড়া মানুষজন ভিড় করবেন তা তিনি বুঝতে পারেননি, তাই তিনি প্রধান শিক্ষকের কাছে দাবী করেছেন যাতে পাড়ার ছেলেদের অন্তত ভর্তি করে তারপর বহিরাগতদের ফরম দেওয়া হয়।

সকাল সাড়ে সাতটা র সময় কিছুটা দূর ঢাকা পড়ার থেকে এসে প্রমিলা বিশ্বাস লাইনের ৩৫ তম জায়গা দখল করতে পেরেছেন। ভর্তি নিশ্চিত জেনেও তিনি আগে ভাগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন, কিছুটা দুশ্চিন্তা নিয়ে। তিনি বলেন এই বিদ্যালয়ে নিয়মিত হোম টাস্ক দেওয়া পড়াশোনার খোঁজখবর রাখা বাচ্চাদের জন্মদিন পালন থেকে শুরু করে বিদ্যালয় থেকে পাশ করে অন্য বিদ্যালয় ভর্তি হওয়ার সময় ফেয়ারওয়েল পর্যন্ত দেওয়া হয়। যা অন্য কোন জায়গায় পাওয়া যায় না।আরো বেশ কিছুটা দূরে বাগানিপাড়া থেকে ভোর সাড়ে চারটের সময় এসেছেন আনোয়ার শেখ তিনি বলেন তাদের এলাকাতে প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও সেখানে বাচ্চাদের যথেষ্ট খেয়াল রাখা হয় না। অথচ একটু কষ্ট করে দূরে এখানে আসলে মিড ডে মিলসহ পড়াশোনা এবং শিশুর মানসিক বিকাশ অনেকটাই বৃদ্ধি পায় কারণ তার অপর একটি সন্তান এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছে।

মুক্তার শেখ অবশ্য সকলের মুখে এই বিদ্যালয়ের প্রশংসার কথা শুনে বাড়ির পাশে বাইগাছি সেনপাড়া বিদ্যালয়ের ভর্তির সিদ্ধান্ত বাতিল করে এখানে এসেছেন। রাজিয়া বিবি অন্ধকার থাকতে সাড়ে তিনটের সময় এসে ছিলেন স্কুলের বারান্দাতে সেই কারণেই তিনি প্রথম ফর্ম পেয়ে বাচ্চার ভর্তি সুনির্দিষ্ট করেন।

এরকমই নানান অভিমতের মধ্যে দিয়ে বেনজির দৃষ্টান্ত লক্ষ্য করা যায়। বাইগাছি পাড়া কৃত্তিবাস প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

তবে এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক অগ্নিশ্বর বসাক জানান, যেখানে সরকারি বিদ্যালয় স্কুল ছুটদের ফেরাতে নানান উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে সরকারিভাবে সেখানে , এত মানুষ বিভিন্ন পাড়া থেকে বিদ্যালয়ের উপর ভরসা রেখেছে এটা গর্বের বিষয় তবে। তাদেরকে বিগত দিনেও বারংবার জানিয়েছি, নিজ নিজ এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় ভর্তি হয়ে ছাত্র ছাত্রীর সমতা বজায় রাখা দরকার। কারন আমার বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত ১০ জন শিক্ষক শিক্ষিকা থাকলেও উপযুক্ত বসার ঘর নেই এমনকি মিড ডে মিল খাওয়ানো হয় ক্লাস শেষ হবার পর শ্রেণিকক্ষে। তবে অন্য বিদ্যালয়ে তারা কেন যাচ্ছে না সেটা আমার জানা নেই কিন্তু পরিকাঠামগত ভাবে উন্নয়ন না হয়ে এভাবে ক্রমাগত ছাত্র-ছাত্রীদের কতদিন ভালো পরিষেবা দেওয়া যাবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে স্থানীয়দের দুশ্চিন্তা মুক্ত করে তিনি বলেন ভর্তির ক্ষেত্রে সরকারি বিদ্যালয়ে সীমা না থাকলেও ৭৫ টি ফরম দিতে আমি বাধ্য হয়েছি তবে আশা করি এরই মধ্যে হয়ে যাবে। যদি একান্তই না হয় সে ক্ষেত্রে স্থানীয় দুই কাউন্সিলরের সহযোগিতা নিয়ে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক কে বিষয়টি জানিয়ে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা হয়ে যাবে। তবে পাড়ার ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হবে আগেই।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন দুটি মাত্র ক্লাস ঘরকে মাঝখানে পার্টিশন দিয়ে চারটে ক্লাসরুম বানানো হয়েছে। কিন্তু শিক্ষক শিক্ষিকাদের আন্তরিকতায় মুগ্ধ সকলে তাই এই ভিড়।

শীতের সকালে উৎসবের মেজাজে শুরু হলো অষ্টম দুয়ারে সরকার

নদীয়া:রাজ্য ব্যাপী আবারো আজ থেকে শুরু হল দুয়ারে সরকার। এই নিয়ে অষ্টম দফায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। চলতি বছরের ৩০ ডিসেম্বর কর্মসূচির প্রথমার্ধ হবে। ২-রা জানুয়ারি থেকে দ্বিতীয়ভাগে কাজ শুরু হবে। যা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এবারের কর্মসূচিতে মোট ৩৬ টি পরিষেবা পাওয়া যাবে। কন্যাশ্রী, লক্ষ্মী ভাণ্ডার, বার্ধক্যভাতা, স্বাস্থ্যসাথীর মতো একগুচ্ছ প্রকল্পে সহায়তা পাওয়া যাবে।সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে কেন্দ্র সরকারের নিয়ম মেনে হবে।

দুয়ারে সরকারে যোগ্যরা যাতে সংশাপত্র থেকে বঞ্চিত না হন তা নিশ্চিত করা হবে এবার আরো বেশি করে।প্রসঙ্গত, রবিবার এবং ছুটির দিনে শিবির বন্ধ থাকবে। 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার', 'স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড'-সহ একাধিক প্রকল্পের সুবিধা পেতে এখানে আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে। নতুন করে কোনও প্রকল্প শুরু করতে চাইলে করা যাবে। সমস্ত জেলায় জেলায় বিডিওদের সঙ্গে সমন্বয় রেখএ কাজ করা যাবে। দুর্গম এলাকায় ভ্রাম্যমান শিবিরের সংখ্যা বাড়বে।

গোটা বিষয়টি তদারকি করবেন ৪০ জন আইএএস আধিকারিক। রাজ্য, জেলা ও ব্লক স্তরে মোট ৪৭৩টি কন্ট্রোল রুম খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একটি টোল ফ্রি হেল্প লাইন নম্বর ১৮০০ ৩৪৫ ০১১৭ চালু হয়েছে।

আজ শীতের সকালে উৎসবের মেজাজে নদীয়ার শান্তিপুর রবীন্দ্র বিদ্যাপীঠ বিদ্যালয় সকাল থেকেই ভিড় লক্ষ্য করা যায় বিভিন্ন পরিষেবা গ্রহণ করার জন্য। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন পৌর আধিকারিক কর্মচারীবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগণ। চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ বলেন, এর আগে সাতবার অনুষ্ঠিত দুয়ারে সরকার এবং পুরসভার নিয়মিত পরিষেবায় বেশিরভাগ সমস্যার সমাধান হয়েছে তাই। নতুন বিভাগ গুলি তুলনামূলকভাবে ভিড় থাকলেও অন্যান্য কাউন্টারে খুব একটা ভিড় লক্ষ্য করা যায় না। তবে সরকারি নিয়ম মতনই সকাল দশটা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত প্রত্যেক কাউন্টার খোলা থাকবে। বিগত দুয়ারে সরকারের পর যাদের বয়স ২৫ প্লাস হয়েছে তারাও এবার আবেদন করতে পারবেন একইভাবে বার্ধক্য ভাতার ক্ষেত্রেও ৬০ বছর।

কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও চলছে নাড়া পোড়ানোর কাজ, ধোঁয়ার অস্বস্তিতে নাজেহাল গ্রামবাসী

এসবি নিউজ ব্যুরো: পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশবপুরে বিঘার পর বিঘা জমির নাড়া পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। আর সেই ধোঁয়া থেকেই বাতাসে বাড়ছে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ। একেবারে জনবহুল এলাকার পাশেই চাষের জমিতে চলছে নাড়া পোড়ানোর কাজ। ধোঁয়ার অস্বস্তিতে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে গ্রামের মানুষদের।

কিন্তু কাউকে কিছু বলার নেই। কেউ কিছু বলতে গেলেই জুটবে শাসানি।এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর। তবে প্রশাসনের কোন ভূমিকায় চোখে পড়লো না পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত কেশপুর ব্লকের ৬ নম্বর অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে।

যিনি নাড়া পোড়াচ্ছিলেন প্রথমে তো বুঝে উঠতে পারেননি, তবে ক্যামেরা দেখে দৌড়ে পালিয়ে যান। স্থানীয় সূত্রে খবর উনি খুব বড় মাপের চাষী।তার বাড়ির কাজের লোকের অভিযোগ করেন, প্রায় ২০ থেকে ২৫ বিঘা জমির নাড়া এভাবেই পুড়িয়ে ফেলেছেন মালিক। নাড়া পড়ালে নাকি জমির উর্বরতা বাড়ে।

উনার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ গ্রামের গরিব মানুষেরা যদি ওই খড়কুটো চান, তাও তিনি দিতে চান না অথচ পুড়িয়ে ফেলেন। সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে, প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে কেশপুরে এভাবেই চলছে দিনে দুপুরে দেদার নাড়া পোড়ানোর কাজ।