ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে রাজ্যের সব জেলাকে সতর্ক করতে নির্দেশ হাইকোর্টের
কলকাতা: ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে রাজ্যের সব জেলাকে সতর্ক করতে অনগ্রসর শ্রেণী উন্নয়ন দফতরকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি টি এস শিভাগ্নানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে সতর্ক করে বলে, একটা পচা আপেল থাকলেও তাকে খুঁজে বের করা রাজ্যের দায়িত্ব। একটা ভুয়ো শংসাপত্র অনেক ক্ষতি করতে পারে।
এই নিয়ে দায়ের হওয়া একটি মামলায় আদালত নির্দেশ দিয়েছে, একটিও জাল জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হলে তার দায় সংশ্লিষ্ট মহকুমাশাসকের ওপর বর্তাবে। তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং ফৌজদারি অপরাধের ধারা প্রয়োগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর এই মর্মে রাজ্যকে এই হুঁশিয়ারি দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ, কোথাও কোন জাল জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে কিনা তার ওপর কড়া নজর রাখবেন জেলাশাসক। উপযুক্ত তদন্ত করতে হবে। আদলোট জানিয়েছে জাতিগত শংসাপত্র দেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় গাইডলাইন সমেত সার্কুলার জারি করবেন অনগ্রসর শ্রেণীর উন্নয়ন দপ্তরের সচিব। প্রধান বিচারপতি মন্তব্য, একটা ভুল জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হলেও তার প্রভাব গোটা সমাজব্যবস্থার ওপর পরে। যারা বিভিন্ন চাকরির জন্য অপেক্ষা করে রয়েছেন তাদের ওপর এর প্রভাব পড়ে। অভিযোগ, পশ্চিম বর্ধমানের অন্তর্গত আসানসোল সদরের সাম্প্রতিক কালে মহকুমাশাসকের বিরুদ্ধের ১৭ টি জাল জাতিগত শংসাপত্র দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, জেলা শাসকের নির্দেশের পরে মহকুমা শাসক দুটি জাতিগত শংসাপত্র বাতিল বলে ঘোষণা করেছেন। বাকিগুলো কেন করলেন না, বোঝা যাচ্ছে না। আদালতের মতে, রাজ্যকে আরো তৎপর হওয়া উচিত, কারণ এই মামলা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হলে তার মাধ্যমে আরো একাধিক সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। যেটা রাজ্যকে দিতে হয়। এটা মাথায় রাখা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতির। তিনি বলেন, গোটা প্রশাসনিক ব্যবস্থার মধ্যে একটি পচা আপেল থাকলেও রাজ্য তদন্ত করতে বাধ্য। এই আবেদনের ফের শুনানি হবে জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে।
Dec 12 2023, 13:59