গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৪ এর জোড় কদমে চলছে প্রস্তুতি ,ঘুরে দেখলেন বিভিন্ন আধিকারিকরা
এসবি নিউজ ব্যুরো: আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৪ এর প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই অনেকটাই সম্পূর্ণ। জোড় কদমে চলছে প্রস্তুতির কাজ। গঙ্গাসাগর মেলা কে জাতীয় মেলা ঘোষণা করার নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রের দড়ি টানাটানির মধ্যেও ২০২৪ এর গঙ্গাসাগর মেলা কে অন্যতম রূপদান করতে চান রাজ্য সরকার। যে কারণে ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক বৈঠক থেকে শুরু করে মেলার কাজ অনেকটাই সম্পূর্ণ করে ফেলেছে জেলা প্রশাসন।
একদিকে যেমন গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণে চলছে হোগলা পাতার ঘরের তৈরির কাজ চলছে ।ঠিক তেমনি গঙ্গাসাগর মেলা কে কেন্দ্র করে যে লাখ লাখ পুর্নার্থীর ভিড় জমে তাদের পূর্ণ স্নানের যে স্নান ঘাট তারও কাজ চলছে জোর কদমে। তবে বিগত কয়েক বছরে রাজ্য সরকারের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় গঙ্গাসাগর মেলা বিশ্বের দরবারে এক অন্যতম জায়গা করে নিলেও বারে বারে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নদী বাঁধের ভাঙ্গন। কারণ এর আগে একবার দুবার নয় তিন তিনবার ভেঙেছে গঙ্গাসাগরের কপিল মুনির মন্দির।
বর্তমানে যে জায়গায় মন্দির রয়েছে সেখান থেকে বঙ্গোপসাগরের দূরত্ব ছিল প্রায় ১২০০ মিটার ।কিন্তু বারে বারে নদীমাদের ভাঙ্গন সেই দূরত্ব কমিয়ে বর্তমান জায়গায় দাঁড়িয়েছে ৫০০ মিটারে। এভাবেই যদি প্রত্যেক বছর একটু একটু করে নদী বাঁধ ভেঙে এগিয়ে আসতে থাকে তাহলে আগামী দিনে কপিলমুনির মন্দির অস্তিত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে অনেকটাই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে রাজ্য সরকার সহ জেলা প্রশাসনের কাছে।
তবে তার মধ্যেও প্রশাসনিক আধিকারিকদের সাথে প্রশাসনিক বৈঠক ছাড়ার পরই জেলাশাসকের নির্দেশে জোড় কদমে চলছে। গঙ্গাসাগর মেলার কাজ লাখো লাখো পুরনার্থীদের থাকার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে ওয়াচ টাওয়ার প্রশাসনিক আধিকারিকদের হোগলার ঘর ইতিমধ্যেই অনেকটাই কাজ সম্পূর্ণ। পাশাপাশি গঙ্গাসাগর মেলার পুনারর্থীরা মূলত যে ঘাটে স্নান করেন সেই ঘাট নদী বাঁধের ভাঙ্গনে প্রায় নিশ্চিহ্ন বলা যায়। তবে বর্তমানে এক কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যায়ে একদিকে যেমন নদী বাঁধের ভাঙ্গন রোধে অস্থায়ীভাবে নদী বাঁধ তৈরি করা হচ্ছে। ঠিক তেমনি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয় তৈরি করা হচ্ছে অস্থায়ীভাবে স্নানের ঘাট। যাতে গঙ্গাসাগর মেলা আগত কোন পুর্নার্থী কে অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয়।
সেই কারণেই জোর কদমে চলছে প্রস্তুতির কাজ। তবে পাকাপাকিভাবে নদী বাঁধ না করা গেলে আগামী দিনে কপিল মুনির মন্দিরের অস্তিত্ব রক্ষা কতটা ধরে রাখতে পারবে রাজ্য সরকার তা নিয়েই রয়েছে সন্দেহ। ইতিমধ্যে এডিএম (সাধারণ) অনীশ দাশগুপ্ত, এডিএম (ভূমি) হরসিমরন সিং, এডিএম (জেডপি) সৌমন পাল, এসডিও (আলিপুর) মেলার প্রস্তুতি ঘুরে দেখেছেন।
Dec 07 2023, 18:07