*বাংলায় ফের পরিবর্তনের ডাক দিলেন অর্জুন সিং*

নিজস্ব প্রতিনিধি: এসআইআর প্রক্রিয়ার কারণে বিহারে এনডিএ-র বিপুল জয় হয়েছে। সেই

এসআইআরের সমর্থনে এবং বিহার জয়ে আজ বিকেলে বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার তরফে মিছিলে ডাক দেওয়া হয়েছিল। জগদ্দলের অকল্যান্ড মিলের মাঠ থেকে শুরু হয়ে ঘোষপাড়া রোড ধরে ভাটপাড়া মোড়ে শেষ হয়। বর্ণাঢ্য মিছিলে পা মিলিয়ে বাংলায় আরেকটা পরিবর্তনের ডাক দিলেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং। এদিন তিনি বলেন, "তৃণমূলের অত্যাচার ও পুলিশি রাজের প্রতিবাদে এই মিছিল। তাঁর দাবি, এসআইআর প্রক্রিয়া সুরু হতেই মমতা ব্যানার্জি ভয় পেয়েছেন। উনি বুঝতে পেরেছেন তিনি আর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।" তিনি আশাবাদী, বিহার জয়ের প্রতিফলন বাংলায় ঘটবে ২০২৬ সালের নির্বাচনে।এই মিছিলে হাজির ছিলেন দলের ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও সহ-সভাপতি যথাক্রমে তাপস ঘোষ,প্রিয়াঙ্গু পান্ডে, বিজেপির জেলার সম্পাদক সোহন প্রসাদ চৌধুরী ,কুন্দন সিং, জেলার এক্সিকিউটিভ সদস্য সঞ্জয় সিং , সন্তোষ রায়, বীজপুরের যুব নেতা সুদীপ্ত দাস, ভাটপাড়া-১ ও ২ মন্ডল সভাপতি যথাক্রমে সুমিত চক্রবর্তী ও সুরজ কুমার সিং, ব্যারাকপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সুমিত ঘোষ, গুড্ডু সিং প্রমুখ।

 ছবি: প্রবীর রায়

*পূর্ব বর্ধমানের একটি বেসরকারি স্কুলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘পেরেন্টস্ নাইট'*

নিজস্ব প্রতিনিধি: পূর্ব বর্ধমানের প্রথম সারির ইংরাজি মাধ্যম স্কুল সেন্ট ভিনসেন্টস্ অ্যাকাডেমিতে শনিবার অনুষ্ঠিত হল বর্ণাঢ্য বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘পেরেন্টস্ নাইট’। যেখানে ৩ বছরের কচিকাঁচা থেকে শুরু করে কৈশোরে পদার্পিত ছাত্র -ছাত্রীরা তাদের প্রতিভা প্রদর্শনে মুগ্ধ করল সমস্ত দর্শকদের। আলোকজ্জ্বল এক সন্ধ্যার সাক্ষী র‌ইল শহর বর্ধমান। স্কুল বোর্ডে চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার গুপ্তার উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস, বিশিষ্ট আইনজীবী কমল দত্ত প্রমুখ। জেলায় ইতিমধ্যেই আইসিএসসিই স্কুল হিসাবে সাড়া ফেলেছে এই বেসরকারি স্কুলটি। সকলের আবেদনে এই স্কুলের দ্বিতীয় ভাগ অর্থাৎ সেন্ট ভিনসেন্টস্ অ্যাকাডেমির পৃথক একটি সি.বি.এস.ই খুলতে চলছে বলে জানালেন স্কুলের চেয়ারম্যান। এই সংবাদ নিঃসন্দেহে বর্ধমানবাসীর মধ্যে আনন্দের বাতাবরণ তৈরি করবে।

"অল ইন্ডিয়া এক্স সার্ভিস ম্যান ব্যাঙ্ক এমপ্লয়ীজ"ফেডারেশনের বার্ষিক আলোচনা সভা

নিজস্ব সংবাদদাতা: আজ উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে "অল ইন্ডিয়া এক্স সার্ভিস ম্যান ব্যাঙ্ক এমপ্লয়ীজ" ফেডারেশনের বার্ষিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হল। ব্যারাকপুরের এক অনুষ্ঠান বাড়িতে, ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠন মূলত অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মী যারা বিভিন্ন ব্যাংকে কর্মরত তাদের সুবিধার্থে বিভিন্ন কাজ করে থাকে। বর্তমানে এই সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গের সদস্য সংখ্যা ৮৫০। যাদের বিভিন্ন সুবিধা ও অসুবিধার কথা এই দিনের আলোচনা সভায় তুলে ধরা হয়। উপস্থিত ছিলেন সসংগঠনের পশ্চিমবঙ্গ শাখার রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক ইমন বিশ্বাস এবং

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য কনভেনার যুগল পাল।

 ছবি: প্রবীর রায়

ভাটপাড়ার বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্গু পান্ডের ওপর হামলার ঘটনায় ধৃত ফিরদৌস

 প্রবীর রায়: ভাটপাড়ার বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্গু পান্ডের ওপর হামলার ঘটনায় এনআইএ-র জালে আরও এক অপরাধী। শুক্রবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র আধিকারিকরা মূল অভিযুক্ত মহম্মদ ইকবাল ফিরদৌস ওরফে গুড্ডুকে গ্রেপ্তার করেছে। আজকের এই নিয়ে ধৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯। গুড্ডুর গ্রেপ্তারি নিয়ে বিজেপির ব্যারাকপুর জেলার সহ-সভাপতি প্রিয়াঙ্গু পান্ডে বলেন," ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট দেখা গেছে, তাঁর গাড়ির চালক রবি বর্মাকে গুলি চালিয়েছিল ফিরদৌস ইকবাল। তদন্তকারীরা ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে অবশেষে ফিরদৌস ইকবালকে গ্রেপ্তার করেছে। এই নিয়ে মোট ১৯ জন অভিযুক্ত ধরা পড়েছে। তাঁর দাবি, ঘটনার মূল অভিযুক্ত এখনও ধরা পড়েনি। নিরপেক্ষ তদন্ত করে মূল অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হোক'। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট সকালে ভাটপাড়া থানার কলাবাগান মোড়ের কাছে ঘোষপাড়া রোডে প্রিয়াঙ্গু পান্ডের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি-বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার তদন্তভার নেয় এনআইএ।

*চণ্ডীগড়কে হাড়িয়ে ২৩ স্টেট এ ট্রফি এলিটের কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলা*

Sports 

Sports Desk: পুরুষদের অনূর্ধ্ব ২৩ স্টেটে ট্রফি এলিটে গ্রুপ পর্যায়ে অপ্রতিরোধ্য বাংলা। আজ রাঁচির জেএসসিএ ওভাল মাঠে টানা সপ্তম জয়টি ছিনিয়ে নিল শশাঙ্ক সিংয়ের নেতৃত্বাধীন দল। চণ্ডীগড়কে হারাল ১৫৩ রানে।টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৬ রান তুলেছিল বাংলা। শুভম সিং ৮৫ বলে ৬১, শশাঙ্ক সিং ৬২ বলে ৫৮ রান করেন। উইকেটকিপার সৌম্যদীপ মান্না ৪২ বলে ৪৮, আনাস ৫৮ বলে ৪১, আয়ুষ কুমার সিং ১৮ বলে ২৩, সুমিত নাগ ৯ বলে ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। প্রয়াস রায় বর্মণ ১৬ বলে ৩১ ও ইরশাদ আলম ১১ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন। হরিশ নেন তিন উইকেট।জবাবে খেলতে নেমে ৩৪.২ ওভারে ১৪৩ রানেই গুটিয়ে যায় চণ্ডীগড়। ১১২ বলে সর্বাধিক ৮৫ রান করেন দীপেন্দর কুশ। সুখমীত সিং ৭ ওভারে ৩৯, শিবম রায় ৭.২ ওভারে ৩৪, ইরশাদ আলম ৫ ওভারে ১৮ ও প্রয়াস রায় বর্মণ ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে ২টি করে উইকেট দখল করেন। ৭ ওভারে ২২ রান খরচ করে একটি উইকেট পান দিলশাদ খান।

ছবি সৌজন্যে: সিএবি

*খড়দহের শুরু হল সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্মেলন*

 নিজস্ব সংবাদদাতা : উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ রবীন্দ্র ভবনের শুরু হল সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার ১৮ তম সম্মেলন। ২১নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে এই সম্মেলন চলবে ২৩ শে নভেম্বর পর্যন্ত।যেখানে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ৫০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছেন। 

এই দিনের সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির দলীয় পতাকা উত্তোলন ও শহীদ বেদীতে মাল্যদানের মাধ্যমে।এদিনের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদিকা কনীনিকা ঘোষ বোস, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভানেত্রী যশোদা বাগচী, সম্পাদিকা রুনু বন্দ্যোপাধ্যায়, মহিলা নেত্রী রমলা চক্রবর্তী,ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ তড়িৎ বরন তোপদার, চিকিৎসক গৌতম মুখোপাধ্যায় সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

ছবি: প্রবীর রায়

*টাটা স্টিল ওয়ার্ল্ড ২৫কে কলকাতা ২০২৫-এর আন্তর্জাতিক ইভেন্ট অ্যাম্বাসাডর হচ্ছেন অলিম্পক ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের স্প্রিন্টার কেনি বেডনারেক*

 নিউজ ডেস্ক : টাটা স্টিল ওয়ার্ল্ড ২৫কে কলকাতা (TSW 25K)-এর আয়োজক প্রোক্যাম ইন্টারন্যাশনাল ঘোষণা করেছে , টোকিও ২০২০ ও প্যারিস ২০২৪ অলিম্পিকে ডাবল সিলভার মেডেলজয়ী এবং ২০২৫ টোকিও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে গোল্ড ও সিলভার মেডেল বিজয়ী কেনি বেডনারেক এই মাইলফলক ১০ম সংস্করণের আন্তর্জাতিক ইভেন্ট অ্যাম্বাসাডর হবেন। রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে নির্ধারিত এই প্রতিযোগিতা বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স বিশ্বের প্রথম ২৫কে রেস হিসেবে খেলাধুলার মাধ্যমে সম্প্রদায়কে একত্রিত করতে থাকে, উদযাপন করে দৃঢ়তা, অন্তর্ভুক্তি এবং মানবিক অধ্যবসায়ের স্পৃহা।

মাত্র ২৭ বছর বয়সেই ‘কুং ফু কেনি’ নামে পরিচিত বেডনারেক ট্র্যাক ও ফিল্ড দুনিয়ার অন্যতম শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন। টোকিও ২০২০ ও প্যারিস ২০২৪ অলিম্পিকে ২০০ মিটারে দুটি সিলভার জয়ের পাশাপাশি সদ্যসমাপ্ত ২০২৫ টোকিও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে গোল্ড ও সিলভার পদক জিতে তিনি নিজেকে বিশ্বের অন্যতম ধারাবাহিক স্প্রিন্টার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। গতি ও প্রদর্শনীর যে বিভাগ উদযাপন করা হয়, সেখানে বেডনারেকের যাত্রা মনে করিয়ে দেয়—সত্যিকারের মহত্ব নির্ভর করে অধ্যবসায়ের উপর, নিখুঁততার উপর নয়। বিশ্বের সেরাদের মধ্যে তাঁর ধারাবাহিক উপস্থিতি প্রতিভা ও তেজের সংযোগসূত্রকে প্রতিফলিত করে।

উইসকনসিনে জন্ম নেওয়া বেডনারেকের শৈশব সহজ ছিল না। জন্মের পরই পরিত্যক্ত হওয়া এবং কঠিন শৈশব কাটিয়ে দত্তক গ্রহণ—এ সবকিছুই তিনি অদম্য দৃঢ়তার সঙ্গে অতিক্রম করেছেন। কমিউনিটি কলেজের ট্র্যাক থেকে বিশ্বমঞ্চে তাঁর উত্তরণ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সাফল্য নির্ধারিত হয় না কোথা থেকে শুরু করা হয়েছে তা দ্বারা, বরং নির্ধারিত হয় অবিরত এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় সংকল্পে।

জীবন আমাকে শিখিয়েছে যে গন্তব্যের চেয়ে যাত্রাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি রেস, প্রতিটি পদক্ষেপ তোমাকে গড়ে তোলে ,” কলকাতায় আসার আগে বললেন কেনি বেডনারেক। “ টাটা স্টিল ওয়ার্ল্ড ২৫কে কলকাতার ১০ম বর্ষপূর্তির অংশ হতে পেরে আমি আনন্দিত। এই শহরের খেলাধুলার প্রতি আবেগ এবং এই রেসের কমিউনিটি ও স্বাস্থ্যের উপর গুরুত্ব আমার নিজের গল্পের সঙ্গেও মিলে যায়। আমি কলকাতার উদ্দীপিত অংশগ্রহণকারীদের উৎসাহিত করার অপেক্ষায় আছি এবং তাদের উদ্যমকে উদযাপন করতে চাই।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করে বেডনারেক আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছেন। তাঁর ব্যক্তিগত সেরা সময়গুলো স্প্রিন্টিং ইতিহাসের সেরা পারফরম্যান্সগুলোর মধ্যে পড়ে: ১০০ মিটারে ৯.৭৯ সেকেন্ড (২০২৫), ২০০ মিটারে ১৯.৫৭ সেকেন্ড (২০২৪), এবং ৪০০ মিটারে ৪৪.৭৩ সেকেন্ড (২০১৯)।

টাটা স্টিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট কর্পোরেট সার্ভিসেস, ডি. বি. সুন্দর রমম বলেন, “টাটা স্টিল ওয়ার্ল্ড ২৫কে কলকাতার ১০ম সংস্করণ উদযাপনের সময় কেনি বেডনারেককে আমাদের অ্যাম্বাসাডর হিসেবে স্বাগত জানানো আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। তাঁর জীবনযাত্রা দৃঢ়তা, উদ্দেশ্য এবং ধারাবাহিক প্রচেষ্টা যে নিজের ভাগ্যকে গড়তে পারে—এমন বিশ্বাসকে ধারণ করে, যা টাটা স্টিল ও এই ইভেন্ট—উভয়ের মর্মবাণীর সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ। ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিক্স গোল্ড লেবেল স্বীকৃতি কলকাতাকে বিশ্ব দৌড়মানচিত্রে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে এবং কেনির উপস্থিতি মানুষের মধ্যে আরও বেশি করে ফিটনেস, কমিউনিটি এবং দৌড়ের আনন্দ গ্রহণের অনুপ্রেরণা যোগাবে বলে আমরা আশা করি।”

নিজের বক্তব্যে প্রোক্যাম ইন্টারন্যাশনালের যৌথ ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিবেক সিং বলেছেন, “এটি এবং এই ঐতিহাসিক ১০ম সংস্করণের জন্য কেনি বেডনারেককে আন্তর্জাতিক ইভেন্ট অ্যাম্বাসাডর হিসেবে পেয়ে আমরা আনন্দিত। তাঁর জীবন ও কর্মজীবন আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, দৃঢ়তা ও উৎকর্ষের সন্ধানে সৌজন্য—এই মূল্যবোধগুলোই একজন প্রকৃত চ্যাম্পিয়নকে সংজ্ঞায়িত করে। কেনির উপস্থিতি আমাদের রানিং কমিউনিটিকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করবে। আমরা তাঁকে কলকাতায় স্বাগত জানানোর জন্য অপেক্ষায় আছি এবং এই ১০ম বর্ষপূর্তি একসঙ্গে স্মরণীয় করে তুলতে চাই।”

ছবি সৌজন্যে:আয়োজক সংস্থা।

*মিরাকেল আজও ঘটে*

 ডেস্ক : এ যেন মিরাকেল। সৌদি আরবের মদিনার কাছে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে ৪২ জন ভারতীয়। অভিশপ্ত সেই বাসেই ছিলেন হায়দরাবাদের বাসিন্দা ২৪ বছরের মহম্মদ আবদুল শোয়েব। বাসের যাত্রীর মধ্যে একমাত্র জীবিত ভারতীয় তিনিই। প্রাণে বাঁচলেও অবশ্য অক্ষত নন শোয়েব, গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। তাঁর বেঁচে যাওয়াকে কার্যত ‘ম্যাজিক’ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা যাচ্ছে, সৌদি আরবে উমরাহ করতে গিয়েছিলেন হায়দরাবাদের একদল যাত্রী। রবিবার রাতে বাসে মক্কা থেকে মদিনা যাচ্ছিল তীর্থযাত্রীদের ওই দলটি। প্রায় দেড়টা নাগাদ মুফরিহাটের কাছে একটি ডিজেল ট্যাঙ্কারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বাসটির। দুর্ঘটনার তীব্রতা এতটাই ছিল যে সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় বাসে।

ঘুমের মধ্যেই আগুনে ঝলসে যান ৪২ জন। যাঁদের বেশিরভাগই মহিলা ও শিশু। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার পরও কার্যত কপালজোরে বেঁচে যান শোয়েব। জানা যাচ্ছে, দুর্ঘটনার সময় বাসের সামনে চালকের ঠিক পাশের আসনে বসেছিলেন হায়দরাবাদের ওই যুবক। মনে করা হচ্ছে, দুর্ঘটনার পর কোনওভাবে বাসের বাইরে ছিটকে পড়েছিলেন তিনি। যার জেরেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড থেকে রক্ষা পেয়ে যান। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই যুবক। তবে বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

সৌজন্যে: www.machinnamasta.in

*জ্যোতিষ মেনে সপ্তাহের এক একদিন এক এক রংয়ের পোশাক পরুন*

 ডেস্ক : ভারতীয় জ্যোতিষের একটা বিশেষ অঙ্গ ‘রঙতত্ত্ব’। জীবনকে সুখী ও শান্তিময় করার জন্য জ্যোতিষ এক একদিন এক এক রঙের পোশাক পরার নির্দেশ দিয়েছে। প্রতিটি দিনের যেমন নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে, ঠিক তেমনই সব রঙেরও আলাদা আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে। বৈদিক জ্যোতিষে প্রতিটি দিনের নিজস্ব রঙের কথা উল্লেখ করা আছে। আপনি যদি দিন অনুসারে সেই রঙের পোশাক বেছে নেন এবং সেগুলিই সপ্তাহের সাত দিনে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পরেন, তাহলে তার শুভ প্রভাব আপনার উপর পড়তে বাধ্য।

 সোমবার 

সপ্তাহের প্রথম দিন মহাদেবের উদ্দেশ্যে নিবেদিত। সোমবারের গ্রহ অধিপতি হল চাঁদ, যা শীতলতার প্রতীক। তাই সোমবারে হালকা রঙের পোশাক পরলে তা আপনার চোখকে আরাম দেবে ও মনকে শান্ত করবে। সোমবারে পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই সাদা, ক্রিম, হালকা গোলাপী, আকাশী নীল বা হালকা হলুদ রঙের পোশাক পরা উচিত।

 মঙ্গলবার 

মঙ্গলবার হল বজরংবলী হনুমানের দিন। মঙ্গলবারের অধিপতি গ্রহ হল মঙ্গল। এদিন উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরুন। যেমন গেরুয়া, কমলা, গাঢ় হলুদ, লাল রঙের পোশাক মঙ্গলবারের জন্য অত্যন্ত শুভ। এই সব রং মঙ্গলবারে আপনার জীবনে পজিটিভ এনার্জি নিয়ে আসবে।

 বুধবার 

হিন্দুধর্ম অনুসারে বুধবার দিনটি হল গণেশের দিন। পার্বতী-নন্দন গণেশের প্রিয় রং সবুজ। এই দিনে সবুজের যে কোনও শেডের পোশাক আপনি পরতে পারেন। এই রঙের পোশাক বুধবার পরলে কোষ্ঠীতে বুধের দোষ কেটে যায় এবং জীবনের সব সমস্যা দূর হ

 বৃহস্পতিবার 

বৃহস্পতিবার দিনটি হল শ্রীবিষ্ণুর দিন। হলুদ বা সবুজ রঙের পোশাক এদিন পরতে পারেন। যদি আপনার হলুদ রঙের পোশাক না থাকে, তাহলে বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বেরনোর আগে কপালে হলুদের টীকা লাগিয়ে নিন। এর ফলে আপনার কাজের পথে আসা সব বাধা কেটে যাবে। তারপর সুবিধে অনুসারে আপনি হলুদ পোশাক কিনে নেবেন।

 শুক্রবার 

শুক্রবার দিনটি মা লক্ষ্মীর উদ্দেশ্যে নিবেদিত। মা লক্ষ্মীর লাল রং খুবই প্রিয়। সেই কারণে শুক্রবার লাল রঙের পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ফুল ফুল ছাপের পোশাক এদিন পরতে পারেন। মেরুন বা ঘন নীল রঙের পোশাকও এদিন বেছে নিতে পারেন।

 শনিবার 

শনিবার দিনটি কর্মফবের দেবতা শনির উদ্দেশ্যে নিবেদিত। শনি মহারাজের পছন্দ কালো ও ঘন নীল রং। সেই কারণে শনিবারে কালো, গাঢ় বাদামী, ঘন নীল, পার্পল বা কফি রঙের পোশাক পরতে বলেন জ্যোতিষবিদরা।

 রবিবার 

রবিবার হল সূর্য দেবতার দিন। সূর্যেরও প্রিয় রং লাল। রবিবারে সব কাজে সাফল্য পেতে লাল, কমলা, হলুদ অথবা সোনালী রঙের পোশাক পরতে বলা হচ্ছে। এর ফলে কোনও কাজে আপনি বাধার মুখে পড়বেন না।

ছবি সৌজন্যে: www.machinnamasta.in

*কলকাতা পুলিশ "সেফ ড্রাইভ -সেভ লাইফ' হাফ ম্যারাথন ২০২৬*

 নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা পুলিশ বুধবার ঘোষণা করল যে কলকাতা পুলিশ সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ হাফ ম্যারাথন (KPSDSL)-এর ষষ্ঠ সংস্করণে হাফ ম্যারাথন ও ১০ কিমি — উভয় দূরত্বেই বিশ্ব মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৬-এর জন্য কোয়ালিফায়ার বিভাগ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে দেগু, দক্ষিণ কোরিয়ায়, ২২ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত।

এটি শুধু যে কলকাতা পুলিশ হাফ ম্যারাথনকে একটি সুস্থ দৌড়সংস্কৃতির উদযাপনে পরিণত করেছে তা নয়, বরং ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে অ্যাথলেটদের জন্য প্রতিযোগিতামূলক উচ্চাকাঙ্ক্ষার নতুন মাত্রাও যোগ করেছে, যা একে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় দৌড় প্রতিযোগিতায় রূপ দিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিবহন দফতরের সহযোগিতায় এবং গেমচেঞ্জার্‌জ-এর প্রচারে কলকাতা পুলিশ এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করছে। দৌড়টি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৮ জানুয়ারি ২০২৬- তে, যা কলকাতায় লং-ডিস্ট্যান্স রানিং-এর সংস্কৃতিকে রূপান্তরিত করবে।

এই উদ্যোগ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে কলকাতা পুলিশ কমিশনার, মনোজ কুমার বর্মা, আইপিএস বলেন,“প্রতিটি ভোর আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে একটি মেগাসিটি দুইটি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে — শৃঙ্খলা ও সহমর্মিতা। সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ এই দুইয়েরই প্রতীক। এটি কেবল একটি বার্তা থেকে নাগরিক অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, এবং এই হাফ ম্যারাথন তারই জীবন্ত প্রমাণ। যখন দৌড়বিদরা নিয়ম মেনে চলে এবং একে অপরকে এগিয়ে নিয়ে যায়, তারা কলকাতাকে দেখায় — যৌথ দায়িত্ব কীভাবে পালন করতে হয়।”

পাণ্ডে সন্তোষ, আইপিএস, অ্যাডিশনাল কমিশনার অফ পুলিশ (IV), বলেন,“একজন রানার হিসেবে আমার লক্ষ্য খুবই সহজ: বিশ্বমানের নিখুঁততা, আর তার সঙ্গে থাকবে কলকাতার হৃদয়ের ছাপ। ইউনিফর্মড পেসার থেকে নিখুঁত পরিমাপের কোর্স, মেডিক্যাল রেডিনেস— প্রতিটি বিষয় এমনভাবে তৈরি যে অ্যাথলেটরা যেন পথচলায় নির্দেশনা, নিরাপত্তা এবং সম্মান অনুভব করেন। MAFI-এর স্বীকৃতি এবং ওয়ার্ল্ড মাস্টার্সকোয়ালিফায়ার স্ট্যাটাস পাওয়ায় এই দৌড় কেবল একটি ইভেন্ট নয়; এটি ভারতীয় অ্যাথলেটদের বিশ্বমঞ্চে পৌঁছানোর সোপান।”

তার বক্তব্যকে এগিয়ে নিয়ে কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের ডেপুটি কমিশনার, ইয়েলওয়াড় শ্রীকান্ত জগন্নাথরাও, আইপিএস বলেন,“অনেকেই বলেন ভোর ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত রাস্তাগুলো দৌড়বিদদের। কিন্তু আমাদের কাছে রাস্তা হলো শহরের লাইফলাইন— দিনের প্রতিটি মিনিটে। তাই এই মাপের একটি দৌড় আয়োজন করতে হয় কয়েক মাস ধরে, রুট অডিট, অ্যাডাপটিভ সিগন্যাল, গার্ড রেল, প্রায়োরিটি ক্রসিং এবং হাজারো সূক্ষ্ম প্রস্তুতির মাধ্যমে, যাতে অ্যাথলেটরা উড়ে যেতে পারেন, আর তবুও কলকাতা তার তাল বজায় রাখে।”

মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (MAFI)-এর সেক্রেটারি জেনারেল, মি. ডি. ডেভিড প্রেমনাথ বলেন,“এটি ভারতে MAFI দ্বারা স্বীকৃত প্রথম ইভেন্ট যেখানে অংশগ্রহণকারীরা তাদের পারফরম্যান্স ও দেগু ২০২৬-এর কোয়ালিফায়িং নর্ম অনুযায়ী ১০ কিমি এবং ২১ কিমি বিভাগে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবেন। নির্বাচিত সকল অ্যাথলেটকে অবশ্যই MAFI-এর নিয়মকানুন মানতে হবে।”

গেমচেঞ্জার্‌জ-এর ফাউন্ডার ডিরেক্টর, দিলীপ জয়ারাম বলেন,

“কলকাতা পুলিশ নেতৃত্ব দিচ্ছে বলেই সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ হাফ ম্যারাথন একসঙ্গে পারফরম্যান্স, উদ্দেশ্য, বিশ্বমানের রোড রানিং, মাস্টার্স অ্যাথলেটদের পথ, ইন্ডিয়া কেয়ার্স-এর সঙ্গে কারণ-নিরপেক্ষ দান, এবং শূন্য-আবর্জনা ব্যবস্থাপনাকে একত্রে বুনে তুলছে। রেজিস্টার করুন, নিরাপদে প্রশিক্ষণ নিন, আপনার কারণ বেছে নিন, আর আমাদের রাস্তাকে এমন এক স্টেডিয়ামে পরিণত করুন যেখানে শৃঙ্খলাই সবচেয়ে জোরালো উল্লাস, আর প্রতিটি ফিনিশ শহরকে আরও নিরাপদ করে তোলে।”

ওয়ার্ল্ড মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্স হল ৩৫ বছরের বেশি বয়সী অ্যাথলেটদের জন্য, যারা ৫ বছরের বয়সভিত্তিক গ্রুপে (৩৫–৩৯, ৪০–৪৪, ৪৫–৪৯ …) প্রতিযোগিতা করেন। পুরুষ ও মহিলা একই বয়স বিভাগে আলাদা জেন্ডার ক্যাটেগরিতে প্রতিযোগিতা করেন। বয়সের মানদণ্ড পূরণ করলে যে কোনো অ্যাথলেট যোগ্য হতে পারেন, MAFI-তে নিবন্ধন ও অনুমোদনের শর্তসাপেক্ষে।

প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হলে অ্যাথলেটকে জাতীয় মাস্টার্স সংস্থায় (ভারতে সেটি হলো MAFI) নিবন্ধিত হতে হবে এবং সেই সংস্থার মাধ্যমে বা তাদের নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় এন্ট্রি করতে হবে। MAFI হল ওয়ার্ল্ড মাস্টার্স ও এশিয়ান মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্স-এর অ্যাফিলিয়েট সংস্থা, যারা ভারতীয় অ্যাথলেটদের নির্বাচন ও এন্ট্রির দায়িত্বে থাকে।

অ্যাথলেটদের এন্ট্রি অফিসিয়াল টাইমিং-এর ভিত্তিতে MAFI প্রক্রিয়া করে—এই ক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশ সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ হাফ ম্যারাথনই সেই প্ল্যাটফর্ম। অ্যাথলেটরা দুইটি বিভাগে কোয়ালিফাই করতে পারেন: হাফ ম্যারাথন ও ১০ কিমি।

ছবি সৌজন্যে: আয়োজক সংস্থা।