শনিবার শনিবেরে প্রিয় দিন। জেনে নিন কর্মদেবতার পূর্ণাঙ্গ তথ্য ও মন্ত্র
*বিশেষ নিবন্ধ*



হিন্দুধর্মে সপ্তাহের এক একটি দিন এক এক জন দেবতার উদ্দেশ্যে নিবেদিত। সেই হিসেবে শনিবার হল কর্মফলের দেবতা শনির দিন। এদিন শনিদেবের পুজো করলে তাঁর সুনজর পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়। যেহেতু শনির অশুভ দৃষ্টি আমাদের জীবন ছারখার করে দিতে পারে, সেই কারণে শনির শুভ দৃষ্টি লাভ করার চেষ্টা থাকে সবার মধ্যেই।

শনিবারে শনি ঠাকুরকে সহজে প্রসন্ন করা সম্ভব। শনিবারে এই দশ কাজ করলে শনিদেবকে নিশ্চিত ভাবে তুষ্ট করতে পারবেন আপনি। শনি প্রসন্ন হলে সাড়ে সাতি ও ধাইয়ার অশুভ প্রভাব থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। এর ফলে আপনার জীবন সাফল্য ও আনন্দে ভরে ওঠে। শনি নিজেই তাঁর ভক্তদের সব বিপদ থেকে রক্ষা করেন।

শনি (Shani Dev), হিন্দুধর্মে শনি গ্রহের ঐশ্বরিক মূর্তিকে বোঝায়। হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্রে (Astrology) নয়টি স্বর্গীয় বস্তুর (নবগ্রহ) মধ্যে একটি। তাকে শিবের অবতার বলে মনে করা হয়। পুরাণে শনি পুরুষ হিন্দু দেবতা, যার মূর্তিশিল্পে তলোয়ার বা দণ্ড (রাজদণ্ড) বহনকারী ও কাকের উপর বসে থাকা কালো চিত্র রয়েছে। শনি দীর্ঘায়ু, দুঃখ, দুঃখ, বার্ধক্য, শৃঙ্খলা, সীমাবদ্ধতা, দায়িত্ব, বিলম্ব, উচ্চাকাঙ্ক্ষা, নেতৃত্ব, কর্তৃত্ব, নম্রতা, সততা ও অভিজ্ঞতার জন্মগত জ্ঞানের নিয়ামক। তিনি আধ্যাত্মিক তপস্যা, শৃঙ্খলা ও বিবেকপূর্ণ কাজকেও বোঝায়। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনিতে সবচেয়ে সুপরিচিত শনিদেব।

শনির জন্ম

কিংবদন্তী অনুসারে, শনি হিন্দুধর্মের একজন দেবতা যিনি সূর্যদেব ও তার পত্নী ছায়াদেবীর (সূর্যদেবের স্ত্রী ও দেব বিশ্বকর্মার কন্যা দেবী সংজ্ঞার ছায়া থেকে সৃষ্ট দেবী ছায়া) পুত্র, এজন্য তাকে ছায়াপুত্র-ও বলা হয়। সূর্যদেব সরন্যুর সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন, কিন্তু পরে তিনি তাকে ছেড়ে তপস্যায় চলে যান। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ মতে একদিন শনির ধ্যানের সময়, তার স্ত্রী দেবী ধামিনী সুন্দর বেশভূষা নিয়ে তার সামনে এলে ধ্যানমগ্ন শনিদেব সেদিকে খেয়াল না করাতে পত্নী ধামিনী বা মান্দা শনিদেবকে অভিশাপ দিলেন, আমার দিকে তুমি ফিরেও চাইলে না। এরপর থেকে যার দিকে চাইবে, সে-ই ভস্ম হয়ে যাবে। কোনও কোনও মতে মনে করা হয় যে এটি মঙ্গলদোষের প্রভাবে হয়েছে। মধ্যযুগীয় গ্রন্থ মতে শনি হলেন একজন দেবতা, যিনি দুর্ভাগ্যের অশুভ বাহক হিসেবে বিবেচিত হন। কিন্তু তা প্রকৃতপক্ষে সত্য নয়। শনি ভালোর জন্য ভাল আর খারাপের জন্য খারাপ। তিনি খুব ধৈর্যশীল ও বুদ্ধিমান। এথানেই শেষ নয়, মহাদেবের থেকে বক্রদৃষ্টির বর পেয়েছিলেন, যা ব্যক্তিকে সঠিক পথে নিয়ে আসে। উল্লেখ্য, কর্মফল দিতে গিয়ে তিনি অনেকের রোষানলে পড়লেও কখনওই সত্যের পথ থেকে তিনি বিচ্যুত হননি। ভগবান শিব মহান তপস্যার শক্তির বলে শনিদেবকে অন্ধকার দান করেছিলেন।

যম ও শনি ছিলেন সূর্যদেবের দুই পুত্র। তিনি ছায়াপুত্র নামেও পরিচিত কারণ তাঁর মা ছিলেন ছায়া। শনিবারের অধিপতি হিসেবে শনিদেব শনির পক্ষে অবস্থান করছেন। “মৃত্যুর ঈশ্বর” নামটি তার বড় ভাই যমের জন্যও প্রযোজ্য। যম মৃত্যুর পরে একজনের কর্মের জন্য পুরষ্কার প্রদান করলে, শনি জীবিত থাকাকালীন একজনের কর্মের জন্য পুরস্কার প্রদানের জন্য বিখ্যাত। উপরন্তু, যমুনা দেবী এবং পুত্রী ভদ্র ছিলেন তাঁর বোন। বৈবস্তব মনু ও মনু তাঁর অতিরিক্ত দুই ভাই। শনির জন্মের সময় সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। এটি হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্রে শনির প্রভাব নির্দেশ করে। বৈশাখ বদ্য চতুর্দশী অমাবস্যায়, যা শনি অমাবস্যা বা শনি জয়ন্তী নামেও পরিচিত, ভগবান শনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

জেনে নিন শনিবারে শনিকে খুশি করার সহজ ১০ উপায়

* শনিবার সকালে অশ্বত্থ গাছে জল নিবেদন করুন।

* শনিবার সন্ধেয় অশ্বত্থ গাছের গোড়ায় একটি সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালান।

* শনিবারে অশ্বত্থ গাছের পুজো করলে তুষ্ট হল শনি দেবতা।

* শনিবারে শনি দেবতার মন্ত্র জপ করলে সাড়ে সাতি দশার সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

* শনিবারে অবশ্যই শনি চালিশা পাঠ করুন। এর ফলে সহজেই কর্মফলের দেবতাকে তুষ্ট করা সম্ভব।
* শনিবারে শনি ঠাকুরের পাশাপাশি হনুমান জির পুজো করাও অত্যন্ত শুভ। বজরংবলীর ভক্তদের কখনও কষ্ট দেন না শনি। তাই শনিবারে হনুমান পুজো করলে শনির দশা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

* শনিকে তুষ্ট করতে প্রতি শনিবার সুন্দরখণ্ড পাঠ করুন।

* এই দিনে কালো ডাল, কালো ছাতা, কালো জুতো, কালো চটি, কালো কম্বল দান করুন। এর ফলে প্রসন্ন হন শনি।

* শনিবার সন্ধেয় একটি সর্ষের তেলের প্রদীপে কয়েক দানা তিল দিয়ে সেটি কোনও অশ্বত্থ গাছের নীচে জ্বালিয়ে আসুন।

* শনিবারে কালো কুকুরকে রুটি খাওয়ান। এর ফলে অবশ্যই তুষ্ট হবেন শনি দেব।

ভগবান শনির বিশ্বস্ততা

হিন্দু মূর্তিতত্ত্ব অনুসারে, ভগবান শনি লম্পট এবং খোঁড়া। কারণ তিনি তার ভাই যমের সঙ্গে বাল্যকালের লড়াইয়ে আহত হয়েছিলেন। একটি কাক, একটি শকুন, বা আটটি ঘোড়া-সহ একটি লোহার রথে চড়ার সময় শনিকে একটি ধনুক এবং তীর দিয়ে চিত্রিত করা হয়েছে। তিনি সাধারণত গাঢ় বর্ণের ও সমস্ত কালো পরিধান করেন। তাকে মাঝে মাঝে ভগবান বিষ্ণুর অবতার বলে মনে করা হয়। যিনি জীবনে একজনের কর্মের ফলাফল প্রদানের দায়িত্ব পালন করেন।

হনুমান ও শনিদেব

সূর্য সংহিতা অনুসারে হনুমান শনিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তিনি শিবের রুদ্র রূপ হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত। প্রাচীন হিন্দু শাস্ত্রে হনুমানের (Hanuman) ত্বকের রঙ প্রায়শই ভগবান শনিদেবের (Shani Dev) সঙ্গে তুলনা করা হয়৷ কিংবদন্তি অনুসারে, ভগবান হনুমান শনিদেবকে রাবনের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন এবং তার বিনিময়ে, শনি তাঁর কাছে একটি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, যে কেউ শনিবারে হনুমানের পূজা করবে তাকে সব কিছুতেই অব্যাহতি দেওয়া হবে।

কালো কুকুর আর শনিদেব

অনেকেই মনে করেন যে কালো কুকুরকে খাওয়ানো শনির নেতিবাচক প্রভাবকে প্রতিরোধ করে। অনেকে সেইজন্য কালো কুকুরকে খাওয়ান। বাড়িতেও কালো কুকুর পোষার প্রবণতা তৈরি হয়।

শনিবারে শনিদেবের পুজোপাঠ (Spirituality) করলে বেশ কিছু বিপদ কেটে যায় বলেই মত শাস্ত্রবিশেষজ্ঞদের। এই দিনে শনিদেবের পুজো করলে তাঁর কৃপা পাওয়া যায়। কথিত আছে যে, মানুষের ভালো-মন্দ কর্ম অনুযায়ী ফল দেন শনিদেব। যখন কোনো ব্যক্তি শনি দশায় ভোগেন, তখন সেই ব্যক্তি মানসিক, শারীরিক ও আর্থিকভাবে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকেন। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে শনিবার যে সমস্ত ভক্তরা শনিদেবকে সত্যিকারের ভক্তিভরে পুজো করেন তাদের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়।                                                                                                                                                                        

শাস্ত্র অনুসারে, শনিদেব ভগবান শ্রী কৃষ্ণের পরম ভক্ত। তাই যারা শ্রী কৃষ্ণের উপাসনা করেন তাদের প্রতি শনিদেব তার খারাপ দৃষ্টি রাখেন না।  এই দিনে অনেক জিনিস কেনা নিষিদ্ধ। শনিবার ভগবান শিবের আশীর্বাদ পেতে যদি পূজার পাশাপাশি তাঁর মন্ত্রগুলি জপ করা হয়, তাহলে জীবনের সমস্ত দুঃখ দূর হয় এবং ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। এছাড়াও, কথিত আছে এই মন্ত্র পাঠ করলে কেউ শনির অশুভ দৃষ্টি থেকে মুক্তি পায়।                                                

শনির মহামন্ত্রগুলো কী কী? ওম নীলাঞ্জন সমভাষম রবিপুত্রম যমগরাজম্। ছায়ামর্তান্ড সম্ভূতম্ তম নমামি শনাইশ্চরম্।                           

শনি দোষ নিবারণ মন্ত্র- ওম ত্র্যম্বকম যজামহে সুগন্ধিম্ পুষ্টিবর্ধনম্। উর্ভারুক মিভ বন্দনান মৃত্যুমুখীয়া মা মৃত্যুঃ।

শনির বৈদিক মন্ত্র- ওঁ শন্নোদেবীর-ভিষ্টয়, আপো ভবন্তু পিত্তেয় শ্যায়োর্বিস্ত্রবন্তুঃ।

শনি গায়ত্রী মন্ত্র- উম ভগবভায়া বিদমহেন মৃত্যুরূপায় ধীমহি তন্নো শনিঃ প্রচোদ্যত। শন্নোদেবীরভিষ্টায় ভবন্তু।

স্বাস্থ্যের জন্য শনি মন্ত্র- ধ্বজহিনী ধামিনী চৈব কঙ্কলি কলহপ্রিহা। কাঙ্কতি কালহি চৌথ তুরঙ্গি মহিষি আজা৷ শনৈর্নামণি পত্নীনামেতানি সঞ্জপন পুমান।

Courtesy- articles published from different sources
হাসান–অশ্বিনের হাত ধরে চেন্নাই টেস্টের প্রথম ২ দিনে যত রেকর্ড
*খেলা*

*# Sports News*

*চেন্নাই টেষ্ট*



*ডেস্ক* : চেন্নাই এর এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের শুরুটা ছিল বাংলাদেশের। বিশেষ করে হাসান মাহমুদের বোলিংয়ের সামনে অসহায় দেখাচ্ছিল ভারতের ব্যাটসম্যান অর্ডারকে। বাংলাদেশের বোলারদের দাপটে একসময় ১৪৪ রানে ৬ উইকেট হারায় ভারত।

সেখান থেকে রবীন্দ্র জাদেজা এবং রবীচন্দন অশ্বিনের ১৯৯ রানের জুটিতে অলআউট হওয়ার আগে ৩৭৬ রান করে ভারত। এই টেস্টে দুই দিনেই দেখা মিলেছে অনেক রেকর্ড ও মাইলফলকের।

*এক*

হাসানের পাঁচ, বাংলাদেশের প্রথম

*দুই*

৪ টেস্টে ৮ নম্বরে ব্যাট করে ৪টি সেঞ্চুরি করেছেন অশ্বিন। এই পজিশন বা তার চেয়ে নিচে ব্যাট করে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করার দিক থেকে এখন ২ নম্বরে আছেন এ স্পিনিং অলরাউন্ডার। এ তালিকায় ৫ সেঞ্চুরি নিয়ে শীর্ষে আছেন নিউজিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেট্টোরি।

*তিন*

৫ টেস্টে রান ১৫০–এর নিচে ৬ উইকেট হারানোর পর সপ্তম উইকেটে জাদেজা–অশ্বিনের ১৯৯ রানের চেয়ে বেশি জুটি আছে ৫টি। তবে এ দুজনের জুটিটি ভারতের সর্বোচ্চ। এর আগে এই উইকেটে সর্বোচ্চ জুটিটি ছিল দিলীপ সারদেশাই ও একনাথ সোলকারের। ১৯৭১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ভারত ৭০ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ১৮৬ রানের জুটি গড়েছিরেন তাঁরা।

*চার*

একটি নির্দিষ্ট ভেন্যুতে একাধিকবার সেঞ্চুরি এবং ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন পাঁচজন। চিপকের অশ্বিনের পাশাপাশি একই ধরনের কীর্তি গড়েছেন কপিল দেবও। এই ভেন্যুতে দুটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি দুইবার ৫ উইকেট নিয়েছেন কপিল। হেডিংলিতে একই কীর্তি গড়েছেন গ্যারি সোবার্স ও ইয়ান বোথাম। ক্রিস কেয়ার্নস করেছেন ইডেন পার্কে।

*পাঁচ*

টেস্টে ম্যাচের প্রথম দিনে ৮ বা তার নিচের পজিশনে ব্যাট করে সেঞ্চুরি করেছেন অশ্বিনসহ ১০ জন।

*ছয়*

১৯৮৬ সালের পর হাসান মাহমুদসহ তিনজন ফাস্ট বোলার চিপকে ৫ বা তার বেশি উইকেট পেয়েছেন। ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেট পেয়েছিলেন ভারতের সাবেক পেসার ভেঙ্কটেশ প্রসাদ। এরপর ভারতের বিপক্ষে ২০১৩ সালে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার জেমস প্যাটিনসন।

*সাত*

চিপকে প্রথম ইনিংসের ভারতের ৯ ব্যাটসম্যানকে আউট করেছেন বাংলাদেশের পেসাররা। যা কি না ২০১২ সালের পর থেকে ভারতের বিপক্ষে কোনো অতিথি দলের পেসারদের সর্বোচ্চ উইকেট প্রাপ্তি। ২০১২ সালে বেঙ্গালুরুতে প্রথম ইনিংসে ভারতের সব উইকেট নেন নিউজিল্যান্ডের ফাস্ট বোলাররা।

*আট*

বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের সব ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন ক্যাচে।ঘরের মাঠে টেস্টে এক ইনিংসে ভারতের সব ব্যাটসম্যানের ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার এটি চতুর্থ ঘটনা। এই চার ঘটনার দুটিই আবার ঘটেছে চিপকে। আগেরটি ছিল ২০২১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।

ছবি সৌজন্যে:এএফপি।
বিশ্বের এই মন্দিরে ‘বিড়াল’ দেবতা রূপে পূজিত হয়
*বিশ্ব সংবাদ*



‘দেবতা’ শব্দটার বৈচিত্র অসাধারণ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বহু পশু ও পাখি দেবতা রূপে পূজিত হয়। কিন্তু এমন এক মন্দির আসছে জাপানে যেখানে শুধুই বিড়ালকে পুজো করা হয়। শুধু তাই নয়, এখানে বিড়ালই পুরোহিত। বিড়ালদের সম্মান জানাতে তৈরি এই মন্দির রয়েছে উদীয়মান সূর্যের দেশে। জাপানের কিয়োটোতে মন্দিরটি রয়েছে। জাপানি ভাষায় এই মন্দিরের নাম ‘ন্যান ন্যান জি’। ইংরেজিতে একে ‘মিউ মিউ’ মন্দিরও বলা হয়। এই মন্দিরে গেলেই আপনি দেখতে পাবেন শুধুই বিড়াল আর বিড়াল। সর্বত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে বিড়াল।

আরো আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই মন্দিরে এক জন পুরোহিতও আছেন। সেই পুরোহিতও এক বিড়াল। প্রধান পুরোহিতের আবার রয়েছে একাধিক সহকারী। তারাও সবাই বিড়াল। আসল কথা এখানে ‘চন্ডী পাঠ থেকে জুতো সেলাই’ – সবই করে বিড়াল। মিউ মিউ’ মন্দিরের প্রধান বিড়াল সন্ন্যাসীর নাম ‘কোয়ুকি’। কিয়োটোর এই বিড়াল মন্দিরে প্রবেশ করলে দেখা মেলে কোয়ুকির। দু’পায়ে দাঁড়িয়ে এবং ল্যাজ নেড়ে অতিথিদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতেও দেখা যায় তাকে।

ছবি ও লেখা সৌজন্যে: www.machinnamasta.in
খেলা ফটো ফিচার
খেলা ফটো ফিচার
১৪৯ রানে অলআউট বাংলাদেশ, ভারতের চেয়ে পিছিয়ে ২২৭ রান
*খেলা*

# Sports News

*চেন্নাই টেষ্ট*


*ডেস্ক* : মধ্যাহ্ন বিরতির পর বাংলাদেশ দ্বিতীয় সেশন শুরু করেছিল ৩ উইকেটে ২৬ রান নিয়ে। ২ ঘণ্টা পর দুই দলের খেলোয়াড়রা যখন চা বিরতির জন্য মাঠ ছাড়লেন, বাংলাদেশ তখন ৮ উইকেটে ১১২।দিনের দ্বিতীয় সেশনে ২৭.৫ ওভারে ৮৬ রান তুলতে ৫ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ২টি উইকেটের পতন ঘটে সেশনের প্রথম ৪ ওভারের মধ্যেই। নাজমুল আউট হন সিরাজের বলে, মুশফিক বুমরার বলে। দুজনই ক্যাচ দেন স্লিপে। ৪০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলকে এরপর কিছুটা টেনে তোলার চেষ্টা করেন সাকিব ও লিটন। দুজনের জুটিতে ওঠে ৫০ ও। কিন্তু জাদেজাকে সুইপ করতে গিয়ে লিটন নিজের ও দলের বিপদ ডেকে আনেন। পরের ওভারে একই বোলারকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ফেরেন সাকিবও। চা বিরতির দুই বল আগে বুমরার বলে দলের অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন হাসান। শেষ পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রানে অলআউট বাংলাদেশ। ভারতের চেয়ে পিছিয়ে ২২৭ রান।

ছবি সৌজন্যে: এক্স।
শনিবার ঘরের মাঠে মহামেডানের প্রতিপক্ষ এফসি গোয়া
*খেলা*

*আইএসএল*




Khabar kolkata: এবছর আইএসএল আত্মপ্রকাশ হয়েছে মহমেডানের । তবে আত্মপ্রকাশের প্রথম ম্যাচে তাঁদের হারতে হয়েছে নর্থইস্টের কাছে । এবার আইএসএলে’র দ্বিতীয় ম্যাচে নামছে ‘ব্ল্যাক প্যান্থার্স’ ৷১৩ নম্বর দল হিসেবে মহমেডান স্পোর্টিং দেশীয় ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে বড় মঞ্চে খেলছে ৷ শনিবার ঘরের মাঠে তাদের প্রতিপক্ষ এফসি গোয়া। এবার আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে আইএসএলে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে মহমেডান স্পোর্টিং।গত মরশুমে দলের বেশিরভাগ ফুটবলারকে ধরে রেখেছে সাদা-কালো ব্রিগেড ৷ পাশাপাশি, বেশ কয়েকজন প্রতিশ্রুতিমান ভারতীয় ফুটবলারকেও নিয়েছে তারা । দলে যোগ দিয়েছেন একাধিক বিদেশি ফুটবলারও।প্রধান কোচ আন্দ্রে চেরিনেশভের ছকে দেওয়া ব্লু-প্রিন্ট সামনে রেখে অভিষেক আইএসএলেই দাগ কাটতে বদ্ধপরিকর দেশের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাব।
ছবি সৌজন্যে:মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
ভারত ৩৭৬ রানে অলআউট
খেলা

# Sports

*চেন্নাই টেষ্ট*

ভারত--বাংলাদেশ
ডেস্ক: চেন্নাই টেষ্টে ভারত ৩৭৬ রানে অলআউট হয়ে গেল। বাংলাদেশের  হাসান পেল ৫ উইকেট। ভারত অলআউট হওয়ার মধ্য দিয়ে হাসানের ৫ উইকেট প্রথম ইনিংসে।
৯২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বুমরাকে স্লিপে ক্যাচ নিয়ে ভারতকে প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রানে অলআউট করার পাশাপাশি নিজেও ব্যাক টু ব্যাক ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করলেন হাসান। রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৩ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন হাসান। এরপর চেন্নাইয়ে ভারতের প্রথম ইনিংসে ৮৩ রানে নিলেন ৫ উইকেট।৮০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৩৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল ভারত। আজ ১১.২ ওভার টিকেছে তাঁদের ইনিংস। এর মধ্যে ভারতের বাকি ৪ উইকেট তুলে নেওয়ার পথে তাসকিন নিয়েছেন ৩ উইকেট, হাসান ১ উইকেট।

*ছবি সৌজন্যে:এএফপি*
বারাসাত পুরসভার এক কাউন্সিলার সিআইডির হাতে গ্রেফতার

*অঙ্কিত মুখার্জী:* আরজিকর কাণ্ডের মাঝেও ধামাচাপা পড়ল না বারাসাতের কাউন্সিলরের কুকীর্তির অভিযোগ । সূত্রের খবর অনুযায়ী,অতীতে ত্রিপুরার বাসিন্দা  এবং বর্তমানে উত্তর চব্বিশ পরগনার ব্যবসায়ীকে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণের জন্য দু দফায় কিডন্যাপ করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল বারাসাতের এক কাউন্সিলরকে। সূত্রের খবর,ব্যবসায়ী অপহরণের অভিযোগে  ধৃত  কাউন্সিলর বারাসাতের তৃণমূল নেতা মিলন সর্দার। অবশ্য তৃণমূল তাকে অনেকদিন আগেই ত্যাগ করেছে। সিআইডি বৃহস্পতিবার বারাসাতের তার ওয়ার্ড থেকে মিলন সর্দারকে গ্রেফতার করে। তাঁর বাড়ির এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় ।  অভিযোগ, খড়দা থানা এলাকার ব্যবসায়ীকে দু দফায় অপহরণ করে ৯ কোটি টাকা মুক্তিপণ হিসাবে  নেওয়া হয়। সূত্রের খবর,যারা এই অপহরণকারী  দলের সঙ্গে  যুক্ত থাকার বিষয়ে অভিযুক্ত  তার অন্যতম মাথা  বারাসাতের কাউন্সিলর মিলন সর্দার ।অভিযোগ, ব্যবসায়ীকে  কাউন্সিলারের ব্লু প্রিন্ট অনুযায়ী অপহরণ করে বারাসাতে আটকে রাখা হয়েছিল। প্রথম দফায় ৬ কোটি এবং পরের দফায় ৩ কোটি টাকা মুক্তিপণ হিসাবে নেওয়া হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।
কলকাতা ফুটবল লিগে আজ  মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডান
*খেলা*

*#Sports News*


*Khabar kolkata:* কলকাতা ফুটবল লিগে আজ সুপার সিক্সে মুখোমুখি হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডান। এ বারের লিগে এখনও পর্যন্ত ১৪টি ম্যাচ খেলে ১৩টি জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। একটিতে ড্র করেছে তারা।কলকাতা লিগে অপরাজিত লাল-হলুদকে কোনও দলই আটকাতেই পারছে না। ১৪টি ম্যাচে ৪৪টি গোল করেছে তারা। খেয়েছে মাত্র ৫টি গোল।অন্যদিকে,  সুপার সিক্সের তালিকায় মহমেডান রয়েছে সবার শেষে। আজ তারা নৈহাটি স্টেডিয়ামে খেলতে নামবে ইষ্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে। খেলা শুরু বিকেল ৩টে থেকে। এখন দেখার অপেক্ষায় কি তারা পারবে ইস্টবেঙ্গলকে আটকাতে বা হারাতে? কলকাতা ফুটবল লিগ খেলা দেখা যাচ্ছে জি ২৪ ঘণ্টা চ্যানেলে।
চ্যাম্পিয়নস লিগ: হার এড়াল আর্সেনাল, শেষ মুহূর্তে জিতল আতলেতিকো
*খেলা*

*#Sports News*


আতালান্তা ০: ০ আর্সেনাল

আতলেতিকো ২: ১ লিপজিগ

ডেস্ক: চ্যাম্পিয়নস লিগে আর্সেনাল এই বছরের সেরা দলগুলোর অন্যতম। দারুণ ছন্দে আছ দলটি। ইউরোপ লিগ জেতা আতালান্তাও যেকোনো দলের জন্য আতঙ্কের কারণ হতে পারে । চ্যাম্পিয়নস লিগে এই দুই দল মুখোমুখি হওয়ায় দারুণ লড়াই আশা করেছিল ফুটবলপ্রেমীরা।সে আশা অবশ্য একেবারেই পূরণ হয়নি। আতালান্তার মাঠে ম্যাচটি শেষ হয়েছে গোলশূন্য ড্রয়ে। খেলা গোলশূন্য শেষ হওয়ার চেয়ে দুই দলের রক্ষণাত্মক ফুটবলই বেশি হতাশ করেছে দর্শকদের।প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ছিল আর্সেনাল। ৬ মিনিটের মধ্যে অন্তত দুবার আক্রমণে শানায় তারা। যদিও আক্রমণগুলো গোলের জন্য যথেষ্ট ছিল না। শুরুতে আর্সেনাল দাপুটে ফুটবল খেললেও আতালান্তাও একেবারে পিছিয়ে ছিল না।আক্রমণের জবাবগুলো তারা  পাল্টা–আক্রমণে দেয়। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত যে গোল, সেটি পাচ্ছিল না তারাও। অবশ্য দুই দলের খেলাতে আগ্রাসী মনোভাবের অভাবও ছিল স্পষ্ট। আক্রমণের চেয়ে রক্ষণেই যেন বেশি মনোযোগ ছিল দুই দলের। ফলে যে রোমাঞ্চ আশা করা হচ্ছিল, সেটা দেখা যায়নি এদিনের খেলায়।

ছবি সৌজন্যে: রয়টার্স