"রাজনৈতিক স্বার্থে, নির্বাচনে জেতার লক্ষ্যে সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষদের ব্যবহার করা হচ্ছে"- দিলীপ ঘোষ

এসবি নিউজ ব্যুরো: শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওবিস সংরক্ষণ আইন বাতিল প্রসঙ্গে বর্ধমান জেলা বিজেপি কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপ ঘোষ বলেন, "মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওবিসি সংরক্ষণ আইন বাতিল করেছে। ৫ লক্ষ ত্রুটিপূর্ণ সার্টিফিকেট বাতিল করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এটা একটা রাজনৈতিক পদক্ষেপ ছিল তৃণমূল সরকারের। অনেক বড় একটা দুর্নীতি,যার বিরুদ্ধে আমরা লড়ছিলাম।

২০১০ সালে থেকে রাজনৈত উদ্দেশ্যে সিপিআইএম এই প্রক্রিয়া শুরু করেছিল, তৃণমূল সেটাকে বাড়িয়েছে।বাংলার সমাজে  মহিলাদের অসম্মান, অত্যাচার রাজনৈতিক হিংসা সিপিএমের আমলেও ছিল, এখনও চলছে। কেবল রাজনৈতিক স্বার্থে নির্বাচন জেতার লক্ষ্যে সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষদের ব্যবহার করা হচ্ছে। সিপিআইএমের সমস্ত অপকর্ম তৃণমূল সরকার বিশ বৃক্ষে জল দিয়ে বাড়িয়েছে। সুকুমার মাহাতো একজন কুড়মি সম্প্রদায়ের ভক্ত মানুষ বলে আমরা জানি। কিন্তু এস টি সার্টিফিকেট পেয়ে তিনি বিধায়ক হয়েছেন।"

ভোটের আগের দিন বিজেপির পতাকা ও ফেস্টুন ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বাঁকুড়ার গ্রামে
এসবি নিউজ ব্যুরো: বিজেপির প্রচারমূলক পোস্টার ও ফেস্টুন ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল বাঁকুড়া সদর থানার ঝরিয়া গ্রামে। গতকাল রাতে কেউ বা কারা গ্রামে টাঙানো বিজেপির পতাকা ও ফেস্টুন ছিঁড়ে দেয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃনমূলের পাল্টা দাবী ভোটের আগে পালে হাওয়া লাগাতে বিজেপি কর্মীরা নিজেরাই এইসব কান্ড করেছে।

রাত পেরোলেই বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন। তার আগের দিনই বাঁকুড়ার ঝরিয়া গ্রামে বিজেপির পতাকা ও ফেস্টুন ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের ঝরিয়া গ্রামে। স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের দাবী গত কয়েকদিন ধরেই রাতে ঝরিয়া গ্রামে তৃনমূল কর্মীরা মদ খেয়ে তান্ডব চালাচ্ছে। অভিযোগ গতকাল রাতে তান্ডব চালানোর সময় তৃনমূলের দুস্কৃতিরা গ্রামে টাঙিয়ে রাখা বিজেপির পতাকা ও ফেস্টুন ছিঁড়ে দেয়। বিজেপি নেতৃত্বের দাবী ভোটে পরাজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরেই  তৃনমূল কর্মীরা এই কান্ড করেছে। তৃনমূল অভিযোগ অস্বীকার করে এই ঘটনার দায় চাপিয়েছে বিজেপির কাঁধেই।
ওবিসি নিয়ে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে বরখাস্ত করার দাবি অর্জুন সিংয়ের
প্রবীর রায়: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১০ সালের পরবর্তী রাজ্য সরকারের দেওয়া সমস্ত ওবিসি শংসাপত্র বাতিল। প্রকাশ্য জনসভার মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এই রায় মানবো না। আদালতে অবমাননার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন ব্যারাকপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। শুক্রবার জগদ্দলের মজদুর ভবনে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে অর্জুন সিং বলেন," আদালতের রায়কে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু একজন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আদালতের রায় মানছি না বলতে পারেন না। বিচার ব্যবস্থাকে উনি চ্যালেঞ্জ করছেন। ওনাকে বরখাস্ত করা উচিত"।
বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং কে প্রাণে মেরে ফেরার হুমকি ফোনে, অভিযোগ ওড়ালো তৃণমূল
*প্রবীর রায়:* গতকাল সকালে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং এর কাছে একটা ফোন আসে। এর পরিপেক্ষিতে অর্জুন সিং বলেন," মমতা ব্যানার্জি ,অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ,পার্থ ভৌমিকরা সব পারে। তবে আমাকে বলে মারাটা খুব কঠিন ব্যাপার আছে। নিকেতন বর্মা ডাকনাম ছোটু, বাবার নাম অনুপ বর্মা। যে নাম্বারটি থেকে ফোন করা হয়, সেই নাম্বারটি ট্র্যাক করা হয়েছে। পুলিশকে বিষয়টা জানানো হয়েছে এফ আই আর দায়ের হয়েছে। পুলিশ কিছুই করেনি আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি এই ছেলেটি ড্রাগের ব্যবসা করে।

যতক্ষণ ওপরওয়াল আমাকে না মারবে, ততক্ষণ আমাকে মারা কঠিন। কার ইন্সট্রাকশনে এটা হয়েছে আমি জানি। যে ফোন থেকে ফোন টি করা হয়েছিল সাথে সাথে সেই নাম্বারটি ডিলিটও করে দেওয়া হয়। কিন্তু অর্জুন সিং সেই নাম্বারটিকে অন্য ফোনে ট্রান্সফার করে নিয়েছিল সাথে সাথে।

তাই যিনি ফোনে হুমকি দিয়েছিলেন তার নাম জানতে পেরেছেন  বলে দাবি অর্জুন সিং এর। অন্যদিকে, জগদ্দলের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম দাবি সম্পূর্ণ খবরটা ভিত্তিহীন। আমাদের প্রশাসন যথেষ্ট সজাগ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে বাংলায় বিজেপি প্রার্থীর কিছু হবে না।

ঝাড়গ্রাম ও মেদিনীপুরের ষষ্ঠ দফায় ভোট,ভোট কর্মীরা রওনা দিচ্ছেন ভোট কেন্দ্রে

এসবি নিউজ ব্যুরো:রাত পোহালেই সারা দেশে ষষ্ঠ দফার লোকসভা নির্বাচন। আগামীকাল পশ্চিমবঙ্গে ভোট গ্রহণ করা হবে ৮ লোকসভা কেন্দ্রের।এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রটি।২০১৯ এ এই কেন্দ্রে জয় পায় বিজেপি। এবার এই কেন্দ্রের মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১৩ জন। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে মোট ১৩ জন প্রার্থী, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রার্থীরা হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কালিপদ সরেন, বিজেপির ডাক্তার প্রণত টুডু , সিপিএম দলের সোনামণি টুডু।ঝাড়গ্রাম লোকসভার ৭ টি  বিধানসভা কেন্দ্র হল ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম, গোপীবল্লভপুর, ঝাড়গ্রাম, বিনপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনি ও  গড়বেতা এবং পুরুলিয়া জেলার বান্দোয়ান। এই ৭ টি বিধানসভা নিয়ে গঠিত ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্র। মোট ভোটার ১৭ লক্ষ ৭৭ হাজার ৩৩৭ জন, তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ লক্ষ ৮৯ হাজার ১২ জন, মহিলা ভোটার ৮ লক্ষ ৮৮ হাজার ৩৩৫ জন ,তৃতীয় লিঙ্গ ২০ জন। মোট ভোট গ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে ২০১৮টি। ঝাড়গ্রাম জেলার ৪টি বিধানসভার জন্য ১৩৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। তবে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে ঝাড়গ্রাম লোকসভার ৭ টি বিধানসভার প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে।আজ তাই সকাল সকাল বিভিন্ন জায়গার ডিসিআরসি সেন্টার গুলিতে ভোট কর্মীদের ভিড় রয়েছে। এখান থেকে তারা নির্দিষ্ট পোলিং স্টেশনে পৌঁছে যাবে। কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে DC কেন্দ্র ইভিএম বিতরণের কাজ।  শনিবার সকাল ৭টা থেকে শুরু হবে ভোট গ্রহণ, চলবে সন্ধ্যা ছটা পর্যন্ত। তবে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হওয়ার আশঙ্কায় জেলা শাসকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। প্রতিটি বুথে আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে, বুথের সামনে জল জমে গেলে দ্রুততার সঙ্গে সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে এবং ত্রিপলের ব্যবস্থা রাখতে হবে । ঝড় বৃষ্টির হলে যাতে  ভোটারদের কোন অসুবিধার  মধ্যে পড়তে না হয় সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আগাম গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের মুখ্য সচিব প্রতিটি জেলার জেলা শাসকদের এই নির্দেশ দিয়েছেন।

অন্যদিকে, ষষ্ঠ দফার লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল, মেদিনীপুর সহ জঙ্গলমহলের জেলায় রয়েছে ভোট। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত  কেশপুর বিধানসভার ডিসিআরসি হয়েছে কেশপুর সুকুমার সেনগুপ্ত মহাবিদ্যালয়ে। শনিবার সকাল থেকেই শুরু হবে ভোট উৎসব, তার আগের দিন অর্থাৎ শুক্রবার সকাল থেকেই দেখতে পাওয়া গেল কেশপুর সুকুমার সেনগুপ্ত মহাবিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন বুথে বুথে যাওয়ার জন্য ডিসিআরসিতে ভোট কর্মীদের লাইন।

বাংলাদেশের সাংসদ খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ২,আততায়ীদের ব্যবহারকারী ২ টি গাড়ি উদ্ধার

এসবি নিউজ ব্যুরো: বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়েছে ১ বাংলাদেশীকে। জিয়াদ নামে ওই ব্যক্তিকে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থেকে আটক করেছে সিআইডি। জিয়াদই আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও এমপি আনারের বন্ধু আক্তারুজ্জামান শাহীনের সহযোগী বলে জানা গিয়েছে।

বৃহস্পতিবার ২৩ বছর বয়সী জিয়াদকে আটক করা হয়। আটকের সময় জিহাদের পরনে ছিল সাদা গেঞ্জি এবং খয়েরি রঙের প্যান্ট। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এমপি আনারের লাশ উদ্ধার করতে চান তদন্তকারী কর্মকর্তারা। এমপি আনারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর তিনি মধ্য কলকাতায় লুকিয়ে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু বুধবার খুনের ঘটনার সামনে আসার পরেই বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল সে। সিআইডি সূত্রে খবর, এমপি আনার হত্যাকাণ্ডকে সফল করতেই অবৈধভাবে ভারতে এসেছিল এই জিয়াদ। গত ৩০ এপ্রিল ভারতে প্রবেশের পর তিনি মুম্বাই চলে যান। কিন্তু এমপি আনার যখন গত ১২ মে কলকাতার বরানগরের মন্ডলপাড়ায় পূর্ব পরিচিত গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন, তার আগেই জিয়াদ ফের মুম্বাই থেকে কলকাতায় চলে আসে। পুলিশ সূত্রে খবর, ১৩ মে নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনের ফ্ল্যাটেই শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় আনোয়ারুল আজিমকে।জিয়াদের দায়িত্ব ছিল ওই লাশের টুকরোকে বিভিন্ন জায়গায় সরিয়ে দেওয়ার। কারণ ওই আবাসনের নির্দিষ্ট ফ্ল্যাট থেকে বেশকিছু প্লাস্টিক ব্যাগ পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ওই ব্যাগ গুলোতে করেই দেহাংশ ভরে তা লাগেজে করে বাইরে ফেলা হয়েছে।পাশাপাশি, ওই একই ঘটনায় জুবের নামে ক্যাব চালককেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে সিআইডি। ইতিমধ্যেই তার গাড়িটিকেও আটক করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার ভোর রাতে আটক করা হয়েছে সাদা রঙের ওই মারুতি গাড়িটিকে। জানা গেছে, গত ৩০ এপ্রিল অনলাইন রেন্টালের মাধ্যমে সেই গাড়ি ভাড়া করে আততায়ীরা। গত ১২ মে ভারতে আসে সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনার। তিনি ওঠেন বরানগরের পূর্ব পরিচিত গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে। পরদিন ১৩ মে চিকিৎসা করাতে যাবেন বলে গোপালের বাড়ি থেকে বের হন সাংসদ। কিন্তু ওইদিন রাতেই নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনের বহুতল আবাসনে তাকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পরে ওই সাদা রঙের ক্যাব গাড়ি করে প্রথম পর্যায়ে আজিম আনারের লাশের অংশ ফ্ল্যাট থেকে বের করা হয় একটি সুটকেসের মধ্যে করে।জিজ্ঞাসাবাদে ওই সাদা গাড়ির চালক জানিয়েছে, ১৪ মে এক নারী ও দুই ব্যক্তিকে সুটকেস সহ অ্যাক্সিস শপিং মলের সামনে নামায়। অন্যদিকে সিআইডি সিসিভিটি ফুটেজ দেখে জানতে পেরেছে অ্যাক্সিস শপিং মলে নামানোর আগে নজরুল তীর্থর কাছে গাড়িটি ১৫ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিল। সেই সময় দেহাংশ কোথায় ফেলা হবে সেই নিয়েই মিটিং হয় গাড়ির মধ্যে। তাদের সেই আলোচনা শুনতে পারেন গাড়ি চালক। এমনটাই জানতে পরে সিআইডি কর্মকর্তারা। এরপর তাদের অ্যাক্সিস শপিং মলের সামনে নামিয়ে দেয় চালক। ফলে সিআইডি মনে করে চালক অনেক কিছুই জানে যা সে বলছে না। তদন্তের স্বার্থে ওই চালককে আটক করেছে পুলিশ।ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের সাংসদের খুনের ঘটনা নিয়ে স্থানীয় নিউটাউন থানায় একটি খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনায় ব্যবহৃত আরও একটি গাড়িকে আটক করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় নিউটাউন থানার সামনে এনে গাড়ির ভেতর থেকে আলামত সংগ্রহ করে ফরেনসিক টিম। জানা গেছে গাড়ির মালিক তার গাড়িটি ভাড়ায় ব্যবহার করতে দিয়েছিল। গাড়ির মালিককে নিউটাউন থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তদন্তে নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে গোয়েন্দাদের হাতে। এমপি আনারকে নির্মমভাবে হত্যার নেপথ্যে স্বর্ণ চোরাচালানের বিপুল অর্থ ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। নিউটাউনের ওই ফ্ল্যাটের ভাড়াটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী বাংলাদেশী আক্তারুজ্জামান শাহীন নিজেও একজন স্বর্ণ চোরাচালানকারী। এমপি আনোয়ারুল আজিমের বিরুদ্ধেও স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগ রয়েছে। কলকাতায় শাহীন ও আজিমের যৌথ ব্যবসাও রয়েছে বলে জানা যায়। জানা গেছে, এমপি আনারকে হত্যার জন্য পাঁচ কোটি টাকা দিতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী বাংলাদেশী আক্তারুজ্জামান শাহীন। হত্যাকাণ্ডের আগে তাকে কিছু টাকা পরিশোধ করা হয়। বাকি টাকা দেওয়ার কথা ছিল হত্যাকাণ্ডের পর।এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল তারই ছোটবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার আক্তারুজ্জামান শাহীন। এই হত্যার পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আরেক বন্ধু ও চরমপন্থি নেতা আমানুল্লাহ আমানকে।কলকাতায় বসে হত্যার চূড়ান্ত ছক এঁকে বাংলাদেশে চলে আসে শাহীন। পরে আমানসহ ছয় জন মিলে এমপি আজিমকে প্রথমে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। পরে লাশ কেটে টুকরো টুকরো করে ট্রলিব্যাগের মাধ্যমে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ফেলে দেয়।
বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যায়, গত ৩০ এপ্রিল আক্তারুজ্জামান শাহীন আমানুল্লাহ আমান ও সিলিস্তা রহমান নামে নিজের এক বান্ধবীকে নিয়ে কলকাতা যান।সেখানে আগে থেকেই ভাড়া করে রাখা নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনের ফ্ল্যাটে ওঠেন তারা।কলকাতায় আরও আগে থেকেই অবস্থান করছিল শাহীনের দুই সহযোগী সিয়াম ও জিহাদ। সেখানে বসে তারা এমপি আনারকে হত্যার পরিকল্পনা করে।হত্যার পুরো দায়িত্ব আমানকে বুঝিয়ে দিয়ে ১০ মে দেশে চলে যান শাহীন। পরিকল্পনা অনুযায়ী আমান বাংলাদেশ থেকে আরও দুই ভাড়াটে কিলারকে নিয়ে যায় কলকাতায়। ফয়সাল আলী শাজী ও মোস্তাফিজুর রহমান নামে দুই ভাড়াটে খুনি কলকাতায় গিয়ে আমানের সঙ্গে যোগ দেয়। কলকাতার ১০ নম্বর সদর স্ট্রিটে 'হোটেল প্লাজা'য় একটি ঘর ভাড়া নেয় ফয়সাল আলী সাজি ও মোস্তাফিজুর রহমান। ওই হোটেলের ১২এ রুমে ২ মে থেকে ১৩ মে ছিলেন। হোটেলের রেজিষ্টারেও তার উল্লেখ আছে। এমপি আনার যে ১২ মে কলকাতায় যাবেন তা আগে থেকেই জানতো শাহীন। সেই মতো তাকে হত্যার জন্য তার সঙ্গীদের সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলেন শাহীন। গত ১২ মে দর্শনা-গেদে সীমান্ত দিয়ে কলকাতায় যান এমপি আনার। প্রথম দিন তিনি তার পরিচিত গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে থাকেন। পরদিন ১৩ মে কৌশলে এমপি আনারকে নিউ টাউনের সেই ফ্ল্যাটে ডেকে নিয়ে যায় হত্যাকারীরা। বিকালের দিকে এমপি আনার সঞ্জীবা গার্ডেনের সেই ফ্ল্যাটে যায়। এরপর আমান তার সহযোগী ফয়সাল, মোস্তাফিজ, সিয়াম ও জিহাদ মিলে এমপিকে খুন করে। এসময় তারা এমপির কাছে শাহীনের পাওনা টাকা পরিশোধের কথাও বলে। বিষয়টি নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে সবাই মিলে আনারকে জাপটে ধরে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর শাহীনকে ফোন করে বিষয়টি জানায় আমানকে।
মহারাষ্ট্রের ডম্বিভলিতে কারখানায় বিস্ফোরণ,মৃত ৪ ও আহত ৫৬ জন
#thane_chemical_factory_blast



এ এন আই: মহারাষ্ট্রের ডম্বিভালিতে একটি কারখানায় বয়লার ফেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই দুর্ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বয়লারের বিস্ফোরণ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে আশেপাশের ভবন ও বাইরে পার্ক করা যানবাহনের কাঁচে ফাটল দেখা দেয়। বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগে এ পর্যন্ত ৩০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে এবং ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।হয়েছে. থানের MIDC এলাকার ফেজ 2-এ অবস্থিত ওমেগা কেমিক্যাল ফ্যাক্টরিতে এই বিস্ফোরণ ঘটে। অনেক কর্মচারী যখন কারখানার ভেতরে কাজ করছিলেন তখন কারখানার ভেতরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বয়লারে কারিগরি ত্রুটির কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানা গেছে। এত বড় বিস্ফোরণ ও আগুনের খবর তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার ব্রিগেড ও পুলিশকে দেওয়া হয়। পুলিশ ও ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন অনেক মানুষ এখনও কারখানার ভেতরে।আটকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বর্তমানে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ চলছে। *আটজন বরখাস্ত* দিল্লিতে এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস। বর্তমানে দিল্লিতে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ত ফড়নবিস। তিনি বলেন, “ডম্বিভালি এমআইডিসিতে আমুদান কেমিক্যাল কোম্পানিতে বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনা দুঃখজনক। বরখাস্ত করা হয়েছে ৮ জনকে। আহতদের চিকিৎসার জন্যব্যবস্থা করা হয়েছে এবং এনডিআরএফ এবং ফায়ার ব্রিগেড দলকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।”
লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে, ভারতের সাথে PoK-এর একীকরণের বিষয়ে আলোচনা তীব্রতর হয়েছে, প্রশ্ন তৃতীয়বারের মতো বিজেপির প্রত্যাবর্তন থেকে কি কোন সমাধা
#pok_will_part_of_india_bjp_claims


এ এন আই: ভারত সরকার যেভাবে 370 ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীর ও লাদাখের দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করেছে, ঠিক একইভাবে পরবর্তী ধাপে পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরকে (পিওকে) ভারতের সঙ্গে একীভূত করার আলোচনা গতি পাচ্ছে। বিশেষ করে লোকসভা নির্বাচনের এই পরিবেশে বিজেপির অনেক বড় নেতা এ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।হয়। সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, পিওকে ভারতের একটি অংশ এবং আমরা এটি গ্রহণ করবো। বিদেশমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্কর বলছেন, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর অর্থাৎ পিওকে ভারতের একটি অংশ এবং সবসময়ই থাকবে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বাসের মতো নেতারাও পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে ক্রমাগত বক্তব্য দিচ্ছেন এখন পাকিস্তানের পক্ষে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরকে বাঁচানো কঠিন হবে।দেখবেন, নির্বাচনের পর মোদিজি তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে দেখবেন পাক-অধিকৃত কাশ্মীরও ভারতের অংশ হয়ে যাবে। বিজেপি নেতাদের এইসব বক্তব্যের পর প্রশ্ন উঠছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে একীভূত করতে ভারত কী পদক্ষেপ নিয়েছে? দেশের নরেন্দ্র মোদি সরকার সেদিকেই চেষ্টা শুরু করেছে। ভারতের সংসদএ বিষয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে। 2014 সালের আগে কংগ্রেস সরকারগুলি এই বিষয়ে নীরবতা বজায় রেখেছিল, কিন্তু আজকের মোদী সরকার গত 10 বছর ধরে এই বিষয়ে ক্রমাগত আক্রমণাত্মক অবস্থান গ্রহণ করছে। এই কারণেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে তাঁর সমস্ত নেতারা 'এবার 400 পার হবে... পিওকে আমাদের' স্লোগান তুলে এক কণ্ঠে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। একই সঙ্গে পিওকে নিয়ে সরকারের ভবিষ্যত পদক্ষেপের বিষয়ে।ইতিমধ্যেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং তার মতামত জানিয়েছেন। এই প্রশ্নে সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-এর সঙ্গে বিশেষ কথোপকথনে রাজনাথ সিং বলেছিলেন, পিওকে আমাদের ছিল, আছে এবং থাকবে। আমি মনে করি তার অবস্থা ভবিষ্যতে আসবে না। পিওকে-র লোকেরা নিজেরাই এগিয়ে আসবে এবং দাবি করবে যে তারা ভারতের সাথে যেতে চায়। জম্মু ও কাশ্মীরের যেভাবে উন্নয়ন হচ্ছে এবং যেভাবে আন্তর্জাতিক বিশ্বে ভারতের মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে ভারতের মর্যাদাআমাদের দেশের অর্থনীতি এত দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে যে আজ আমরা বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি দেশে পৌঁছেছি, যা আগে ছিল ১১তম অবস্থানে। রাজনাথ সিংয়ের এই বক্তব্য এমন সময় এসেছে যখন পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে, আসলে পাকিস্তান থেকেই আওয়াজ উঠছে যে, কাশ্মীর কখনোই পাকিস্তান হতে চায় না -অধিকৃত কাশ্মীর নিজেদের স্বাধীনতারদাবি করছে। গত ১০ বছরে সেখানকার জনগণ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও পুলিশের বিরুদ্ধে আগ্রাসী অবস্থান গ্রহণ করেছে। আগে সন্ত্রাসী শিবিরের কারণে লোকজন কম সোচ্চার ছিল। কিন্তু ভারত সীমান্তের ওপারে ক্যাম্পগুলো ধ্বংস করলে সেখানকার মানুষের মনোবল বেড়ে যায়। এখন পরিস্থিতি এমন যে PoK তে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও ক্ষোভ চরমে পৌঁছেছে পাকিস্তান সরকার পিওকেতে চলমান সহিংস বিক্ষোভে।
বিজেপি সম্পর্কে  ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের ভবিষ্যদ্বাণী
#prashant_kishor_on_bjp


এসবি নিউজ ব্যুরো: সারা দেশ জুড়ে চলছে লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই পাঁচ দফার ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন আরও বাকি দুই দফায় ভোট। নির্বাচনের মধ্যেই বিজেপির আসন নিয়ে নানা দাবি করা হচ্ছে। এদিকে নির্বাচন বিশ্লেষক প্রশান্ত কিশোরের বক্তব্য আলোচনায় রয়েছে। প্রশান্ত অনেক নিউজ চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন, যার মধ্যে তার অনেক দাবি প্রবণতা রয়েছে।প্রশান্ত কিশোর দাবি করেছেন, এবারও কেন্দ্রে ক্ষমতা দখল করবে বিজেপি। বিজেপি কতটি আসনে জিতছে তাও দাবি করেছেন তিনি।
*বিজেপি কতটি আসন জিতছে* নির্বাচনী কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের তরফে বলা হয়েছে, বিজেপি ৩৭০-এ পৌঁছবে না, তবে আসন সংখ্যা ৩০৩-এর উপরে থাকবে। এর পিছনে কারণ জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে কোনও ক্ষমতাবিরোধী তরঙ্গ নেই। সেখানে নিজেইরাজনৈতিক বিশ্লেষক যোগেন্দ্র যাদব পিকে-র দাবি খণ্ডন করে বলেছেন যে এটা মোটেও সম্ভব নয়। যোগেন্দ্র যাদব বলেছিলেন যে আমি আমার 35 বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি যে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না এবং কমপক্ষে 50 টির বেশি আসন হারাবে।
*ট্রোলারদের জবাব দিলেন প্রশান্ত কিশোর*
বিজেপির জয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করে ট্রোলড হচ্ছেন প্রশান্ত কিশোর। তবে এখন আছে প্রশান্ত কিশোরX-এ ট্রলারদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন। প্রশান্ত কিশোর এক্স-এ লিখেছেন, পানি পান করা ভালো, কারণ এটি মন এবং শরীর উভয়ই হাইড্রেটেড রাখে। যারা এই নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আমার মূল্যায়নে ক্ষুব্ধ। তাদের 4 জুন তাদের সাথে প্রচুর জল রাখতে হবে।" তার পোস্টের শেষে, প্রশান্ত কিশোর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ভবিষ্যদ্বাণীও মনে করিয়ে দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, মনে রাখবেন, 2 মে, 2021 এবং পশ্চিমবঙ্গবাংলা। *প্রশান্ত কিশোরের ভবিষ্যদ্বাণী* আসলে, এই সময়ে প্রশান্ত কিশোর বলেছিলেন যে বিজেপি বাংলায় দ্বিগুণ অঙ্কও পার করতে পারবে না। আসুন আমরা আপনাকে বলি যে প্রশান্ত কিশোর দেশের একজন সুপরিচিত নির্বাচনী কৌশলবিদ। 2014 সালে, প্রশান্ত কিশোর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী কৌশল পরিচালনার দায়িত্বও নিয়েছিলেন। এর পর জেডিইউ-এর সহ-সভাপতি হন তিনি। কখনও সমাজবাদী পার্টির পক্ষে আবার কখনও বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে।তারা কাজটি করেছে। বর্তমানে প্রশান্ত কিশোর পায়ে হেঁটে বিহারে ভ্রমণ করছেন। তিনি বলেন, আপাতত তিনি রাজনীতিতে পা দেবেন না। বিহারে পদযাত্রার পর তিনি জনগণের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্তে পৌঁছাবেন। এটি লক্ষণীয় যে 2019 লোকসভা নির্বাচনে, বিজেপি 303টি আসন জিতেছিল এবং এনডিএ 350 চিহ্ন অতিক্রম করেছিল। বিজেপি নেতারা একটানা ৪০০ আসন পার করার কথা বলছেন।
ছত্তিশগড়ে আবারও নকশালদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান, এনকাউন্টারে মৃত্যু ৭ মাওবাদীর
#seven_naxalites_killed_in_encounter


এ এন আই: বৃহস্পতিবার ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় একটি বড় নকশাল হামলা নস্যাৎ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। জেলার নারায়ণপুরের সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা কর্মী ও নকশালদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে, যাতে ৭ জন নকশাল নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। নারায়ণপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) প্রভাত কুমার জানান, "সকাল ১১টার দিকে এনকাউন্টার শুরু হয়।নিরাপত্তা কর্মীদের একটি যৌথ দল নকশাল বিরোধী অভিযানে নেমেছিল। তিনি জানান, নিজেকে ঘিরে থাকতে দেখে নকশালরা দফায় দফায় গুলি চালাতে শুরু করে। প্রভাত কুমার প্রতিশোধে সাত নকশাল নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন, নিরাপত্তা কর্মীদের একটি যৌথ দল নকশাল বিরোধী অভিযানে বেরিয়েছিল। ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডস, বস্তার ফাইটারস এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, দান্তেওয়াড়া, নারায়ণপুর এবং বস্তার জেলার রাজ্য পুলিশ এই অভিযানে জড়িত ছিল।এখনও পর্যন্ত, এনকাউন্টার সাইট থেকে সাতটি নকশালবাদীর মৃতদেহ ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনার সাথে, রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে পৃথক সংঘর্ষে এই বছর এ পর্যন্ত 112 জন নকশাল নিহত হয়েছে। এর আগে 10 মে বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে 12 জন নকশাল নিহত হয়। একই সময়ে, 30 এপ্রিল, নারায়ণপুর এবং কাঙ্কের জেলার সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে এনকাউন্টারে তিন মহিলা সহ 10 জন নকশাল নিহত হয়।এছাড়াও 16 এপ্রিল কাঙ্কের জেলায় একটি এনকাউন্টারে নিরাপত্তা বাহিনী 29 জন নকশালকে হত্যা করেছিল।