*नोबेल पुरस्कार विजेता कैलाश सत्यार्थी ने एडमास दीक्षांत समारोह में स्नातकों को सम्मानित किया*

कोलकाता: एडमास यूनिवर्सिटी ने अपना 7वां दीक्षांत समारोह आयोजित किया, जिसमें 2023 बैच के स्नातकों को डिग्री प्रदान की गई। शुक्रवार को आयोजित समारोह में नोबेल शांति पुरस्कार विजेता कैलाश सत्यार्थी की मौजूदगी रही, जिन्होंने दीक्षांत भाषण दिया। मंच को पद्मश्री वी.एस. चौहान, यूजीसी और एनएएसी के पूर्व अध्यक्ष और ब्रत्य बसु, एमआईसी, उच्च शिक्षा विभाग, पश्चिम बंगाल सरकार ने सुशोभित किया ।

समारोह के दौरान, एडमास विश्वविद्यालय के 1256 छात्रों को नोबेल शांति पुरस्कार विजेता कैलाश सत्यार्थी और विशिष्ट अतिथियों द्वारा स्वर्ण और रजत पदक के साथ-साथ पीएच.डी. डिग्रियाँ प्रदान की गई।

विशेष रूप से, विश्वविद्यालय ने चार प्रतिष्ठित हस्तियों को मानद उपाधि भी प्रदान की, जिन्होंने समाज के विभिन्न क्षेत्रों में महत्वपूर्ण योगदान दिया है। सी.एन. रघुपति, इंफोसिस इंडिया बिजनेस के प्रमुख; मीनू बुधिया, एक प्रसिद्ध मनोचिकित्सक; डॉ. तरूण प्रहराज, एक प्रतिष्ठित हृदय रोग विशेषज्ञ; और गौतम घोष, प्रशंसित फिल्म निर्देशक, इन प्रतिष्ठित पुरस्कारों के प्राप्तकर्ता थे।

2014 में नोबेल शांति पुरस्कार के प्राप्तकर्ता कैलाश सत्यार्थी को बच्चों और युवाओं के दमन के खिलाफ उनके संघर्ष और सभी बच्चों के शिक्षा के अधिकार के लिए संघर्ष के लिए सम्मानित किया गया था। उन्होंने 1980 में बचपन बचाओ आंदोलन की स्थापना की, जो सभी के लिए सामाजिक न्याय, समानता, शिक्षा और शांति के लिए पहले जन आंदोलन की शुरुआत थी।

समित रॉय, चांसलर, एडमास यूनिवर्सिटी ने कहा कि 7वें दीक्षांत समारोह में विश्वविद्यालय के स्नातकों की उपलब्धियों का जश्न मनाने के अवसर पर, सभी को यह ध्यान रखना चाहिए कि ‘शिक्षा’, ‘आशा’ और ‘सशक्तिकरण’ की प्रेरणा है। नोबेल शांति पुरस्कार विजेता कैलाश सत्यार्थी और उल्लेखनीय अतिथियों की उपस्थिति ने ज्ञान और सामाजिक परिवर्तन को बढ़ावा देने की प्रतिबद्धता को बढ़ाया। उन्होंने 2023 की कक्षा के छात्रों को भी बधाई दी।

प्रो. सुरंजन दास, वाइस चांसलर, एडमास यूनिवर्सिटी ने कहा कि एडमास विश्वविद्यालय को बौद्धिक विकास और सकारात्मक प्रभाव के लिए उत्प्रेरक की भूमिका निभाने पर गर्व है। 7वां दीक्षांत समारोह विश्वविद्यालय की उत्कृष्टता के प्रति समर्पण का प्रमाण है। प्रतिष्ठित व्यक्तियों को मानद उपाधि प्रदान करना समाज में महत्वपूर्ण योगदान को पहचानने और उसका जश्न मनाने के लोकाचार को दर्शाता है।

*কলকাতা নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শুরু হতে চলেছে প্রো কাবাডি লীগ*

খেলা

খবর কলকাতা: আগামীকাল থেকে কলকাতা নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শুরু হতে চলেছে প্রো কাবাডি লীগের দশম সংস্করণ। আজ এ বিষয়ে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন বেঙ্গল ওয়ারিয়রস। অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল দলের CEO অপূর্ব গুপ্তা, দলের প্রধান কোচ কে বাস্কারান , অধিনায়ক মানিন্দর সিং এবং দলের অন্যতম খেলোয়াড় শুভম শিন্দে। কোচ কে বাস্কারান জানালেন, " প্রায় চার বছর পর আমরা আবার কলকাতায় এই প্রতিযোগিতায় ফিরেছি।

আমরা চেষ্টা করব আমাদের সেরাটা এই প্রতিযোগিতায় মেলে ধরতে।" দলের অধিনায়ক মানিন্দার বললেন, " প্রত্যেক দলই তো চাই জিততে, আর সেটা যখন নিজের ঘরের মাঠে হয় তখন জেতার খিদেটাও বেড়ে যায়। তাই আমরা আমাদের সেরাটা দিয়ে জেতার চেষ্টা করব।"

ছবি: সঞ্জয় হাজরা (খবর কলকাতা)।

শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে বসে পরীক্ষা দিলেন এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

উত্তর ২৪ পরগনা: শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পরীক্ষা দিলেন এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। অসুস্থ পরীক্ষার্থীর নাম করণ সিং। করণ জগদ্দলের বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণীর ছাত্র। তার পরীক্ষা কেন্দ্র, শ্যামনগরের মূলাজোড় সীতানাথ পাঠশালা।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার পরীক্ষা দেবার পর শারীরিক অসুস্থতার কারণে করনের পরিবার তাকে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়। এরপর বিদ্যালয়, শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক সহ হাসপাতালের তৎপরতায় পরীক্ষার্থীকে হাসপাতালেতেই পরীক্ষা দেবার বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়।

ইউটিউব দেখে বাইকের ইঞ্জিন দিয়ে ৬ বছরের চেষ্টায় বাড়িতেই বানিয়ে ফেললেন প্যারাগ্লাইডার

এসবি নিউজ ব্যুরো: মধ্যবিত্তের আকাশছোঁয়ার গল্প সফল করলেন নদীয়ার পার্থ মন্ডল। বাড়ি নদীয়ার ধানতলা থানার দোলুয়াবাড়ি এলাকায়। বয়স ২৪, পেশায় রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। ছোটবেলা থেকেই শখ ছিল নিজে হাতে এমন কিছু বানিয়ে আকাশে ঘুরে বেড়াবেন।

দীর্ঘ ৬ বছরের চেষ্টায় এমনই যন্ত্র আবিষ্কার করে ফেলেছেন যা দিয়ে ডাঙায়ও চলা যাবে, অন্যদিকে আকাশেও ওড়া যাবে। এক কথায় যাকে বলা হয় প্যারাগ্লাইডার।

৮০ কিলো ওজন ২২৪ সিসির বাইকের ইঞ্জিন দিয়ে তৈরি করে ফেলেছেন এমনই আশ্চর্য আবিষ্কার।

নিজের হাতে তৈরি করা প্যারাগ্লাইডার নিয়ে আকাশেও চক্কর কেটেছেন। এই আশ্চর্য আবিষ্কার দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বসার জায়গা রয়েছে একজনের। কোনরকম প্রশিক্ষণ ছাড়াই এখানেও কর্মকাণ্ড দেখে হতবাক সকলেই। এক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিয়েছেন তার পরেই একটু একটু করে গড়ে ফেলেছেন এমনই অভিনব জিনিস।

পেট্রোল চালিত এই যন্ত্র তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় 2 লাখ টাকা। কিছু যন্ত্র অনলাইনে বাকিটা খোলা বাজার থেকে কিনেছেন। এলাকার যুবকের এই কর্মকাণ্ড দেখে খুশি এলাকাবাসীরা।

বাঁকুড়ার সাথে অস্ট্রেলিয়ার মেলবন্ধন গড়ে তুলল বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়

এসবি নিউজ ব্যুরো: বাঁকুড়ার সাথে অস্ট্রেলিয়ার মেলবন্ধন গড়ে তুলল বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র - ছাত্রীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হল আন্তর্জাতিক সেমিনার। বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্টার ফর অস্ট্রেলিয়ান স্টাডিজের’ অধীনে এখানকার ছাত্র ছাত্রীরা ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার ওপর পড়াশোনা করে। তাই বাঁকুড়ার এই পড়ুয়াদের সাথে অস্ট্রেলিয়ার সেতু বন্ধন গড়ে তুলতে সুদুর অস্ট্রেলিয়া থেকে ছুটে এলেন অধ্যাপক এবং অস্ট্রেলিয়ার বিশিষ্ট পরিবেশ গবেষক তথা এনএনইউ সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল হিস্ট্রির ডিরেক্টর রুথ মর্গান। তাঁর গবেষনা মুলত, অস্ট্রেলিয়া,ব্রিটিশ সাম্রাজ্য এবং ভারত মহাসাগর কেন্দ্রিক।তিনি বাঁকুড়ায় এসে ভারতের ছাত্র- ছাত্রীদের সাথে মত বিনিময়ের সুযোগ পেয়ে আপ্লুত। তিনি মনে করেন বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উদ্যোগ ভারত ও অস্ট্রেলিয়া সাথে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করবে।

অন্যদিকে,বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য গৌতম বুদ্ধ সুরাল জানান,বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অস্ট্রেলিয়ান স্টাডিজ সেন্টারের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া বিষয়ক পড়াশোনার ওপর আগ্রহ বাড়াতেই এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। এবং ছাত্র- ছাত্রীদের ভালো সাড়াও মিলছে।

প্রসঙ্গত,২০২২ সালে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ট্রেলিয়ান স্টাডিজ সেন্টারে সূচনা হয়। তারপর সবে মাত্র একটা বছর কেটেছে। এই অল্প সময়ের মধ্যে যেভাবে অস্ট্রেলিয়ার ওপর পড়াশোনা করার প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের আগ্রহ বাড়ছে তা এই সেন্টারের ক্ষেত্রে বড়ো সফলতা বলে মনে করা হচ্ছে।

বিধায়ক তহবিলের অর্থে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল পেল এক্সরে-ইউএসজি মেশিন

উত্তর ২৪ পরগনা: উন্নত পরিষেবা দেবার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও চিকিৎসক না থাকায় 'রেফার রোগে'র তকমা সেটেছে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের মুকুটে। যদিও ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন কুমার সিং হাসপাতালের হাল ফেরানোর জন্য প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।হাসপাতালের উন্নয়নে একাধিকবার হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে তিনি বৈঠকও করেছেন। কিন্তু কোনও এক অদৃশ্য কারনে বিধায়কের সহযোগিতা নেওয়ার ক্ষেত্রে গড়িমসি করেছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অবশেষে সেই জট কেটেছে। '

বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পে' জনদরদী বিধায়ক পবন কুমার সিং তাঁর বিধায়ক তহবিল থেকে হাসপাতালের উন্নয়নে ২৯.৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেন। ওই টাকায় ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছে এক্সরে ও ইউএসজি মেশিন। হাসপাতালের উন্নয়নের বিষয়ে ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন কুমার সিং বলেন, এখানে রোগীদের চাপ আছে। কিন্তু চিকিৎসক ও সরঞ্জামের অভাবে পরিষেবা ঠিকমতো মিলছে না। তাই জরুরি ভিত্তিতে আসা রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়।

পবন আরও বলেন, জুটমিল অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় মূলতঃ এই হাসপাতালে গরিব মানুষজন চিকিৎসার জন্য আসেন। তাই হাসপাতালে হাসপাতালের পরিষেবা উন্নত করার জন্য তিনি সর্বোতভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন। তার বিধায়ক তহবিলের অর্থে আপাতত এক্সরে ও ইউএসজি মেশিন মিলেছে। কিন্তু হাসপাতালের হাল বদলের জন্য প্রয়োজনে আগামীদিনে তিনি আরও সরঞ্জামও প্রদান করবেন। হাসপাতাল সুপার মিজানুল ইসলাম বলেন, বিধায়ক তহবিলের অর্থে তারা এক্সরে ও ইউএসজি মেশিন পেয়েছেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় আরও কিছু সরঞ্জাম মিললে পরিষেবা আরও ভালো দেওয়া যাবে।

বাঁশের সাঁকো থেকে অবশেষে পাকা সেতু পেতে চলেছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জলপাইগুড়ি খারিজা বেরুবাড়ি ২ ও নগর বেরবাড়ির ঢোলগ্রাম এলাকার বাসিন্দারা

এসবি নিউজ ব্যুরো: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। বাঁশের সাঁকো থেকে অবশেষে প্রায় ৫৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পাকা সেতু পেতে চলেছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জলপাইগুড়ি খারিজা বেরুবাড়ি ২ ও নগর বেরবাড়ির ঢোলগ্রাম এলাকার বাসিন্দারা। মালকানি, বোয়ালমারী নন্দনপুর,নগর বেরুবাড়ি, সাউথ বেরুবাড়ি সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুবিধা হবে এই সেতু মধ্য দিয়ে। খুশির হাওয়া এলাকা জুড়ে।

জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খারুজা বেরুবাড়ি (২) ঢোলোগ্রাম মন্দিরে ১৪০ বছর ধরে বারুণী তথা শ্রাবণী মেলা হয়। এছাড়াও এখানকার যমুনা নদীর উত্তরাস্রোত রয়েছে। ফলে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ পুজো দিতে আসেন। কিন্তু মন্দির যেতে হয় দুর্বল বাঁশের সাকোর উপর দিয়ে। এখানেই সদর পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে তৈরি হবে ব্রীজ। সেই

ব্রীজের কাজের শিলান্যাস হল। উপস্থিত ছিলেন সদর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিনয় কুমার রায়, সদর বিডিও মিহির কর্মকার, SJDA এর সদস্য কৃষ্ণ দাস সহ অনেকে। সদর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিনয় কুমার রায় জানান প্রায় ৫৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে তৈরি হবে ব্রিজটি তৈরি করা হবে।

বিরাটি ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধন করলেন

এসবি নিউজ ব্যুরো: বুধবার বিকেলে বহু প্রতীক্ষিত বিরাটি ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধন সম্পন্ন হল। এদিন হাওড়ায় পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে ভার্চুয়ালি ফায়ার স্টেশন উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বহুদিন ধরে বিরাটি তথা উত্তর দমদমের মানুষের দাবি ছিল ফায়ার স্টেশনের। এই প্রতীক্ষার অবসান হল এদিন।

এদিন বিরাটি ভার্চুয়ালি ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ফায়ার স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য, উত্তর দমদম পুরসভার পুরপ্রধান বিধান বিশ্বাস, জেলাশাসক, দমকল আধিকারিকেরা। প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ফায়ার স্টেশনের নির্মান করা হয়।

রোজ ডে-তে রক্তদান উৎসব: রাজা ও দেবস্মিতার দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন

এসবি নিউজ ব্যুরো: উত্তরবঙ্গের বিশিষ্ট সমাজকর্মী রাজা বৈদ্য ও দেবস্মিতা চক্রবর্তী তাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে 'রক্তদান উৎসব' আয়োজন করেছিলেন। ডুয়ার্সের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র জলদাপাড়ার 'রিসোর্ট এভারেস্ট'-এ এই অনন্য উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়।

রোজ ডে-র বিশেষ দিনটিতে আগ্রার তাজমহল ও কোচবিহারের রাজবাড়ির সামনে 'লাল ভালোবাসা প্রদান'-এর ধারণা নিয়ে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। এই শিবিরে মোট ১৬ জন স্বেচ্ছাসেবী রক্তদাতা অংশগ্রহণ করে রক্তদান করেন। সংগৃহীত রক্ত 'সেন্ট জোনস ব্লাড ব্যাংক'-এ জমা রাখা হয়।শিবির পরিচালনা করে 'ব্লাড ডোনার অর্গানাইজেশন' নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। 'রিসোর্ট এভারেস্ট'-এর পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করা হয়।

রক্তদাতাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে উত্তরীয়, সার্টিফিকেট ও লাল গোলাপ প্রদান করা হয়।

এই অনুষ্ঠানে 'রিসোর্ট এভারেস্ট'-এর কর্ণধার মনোজ বর্মন, রক্তদান শিবিরের উদ্যোক্তা ও 'ব্লাড ডোনার অর্গানাইজেশন'-এর প্রতিষ্ঠাতা রাজা বৈদ্য সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

রক্তদান শিবিরের পাশাপাশি রক্তদাতাদের জন্য বনভোজনের আয়োজনও করা হয়েছিল।এই উদ্যোগের মাধ্যমে রাজা ও দেবস্মিতা রক্তদানের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সমাজের প্রতি তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন।

পেটের মধ্যে এক থোক মৌমাছি

এসবি নিউজ ব্যুরো: পেটের মধ্যে এক থোক মৌমাছি। ভয়ানক এই কাণ্ড দেখে চক্ষু চড়ক গাছ সকলের। সারা গায়ে ছেয়ে গিয়েছে মৌমাছি। শেষ পরিণতি জানলে আরও অবাক হবেন। একটি মৌমাছির কামড় লাগলেই প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে যায়। মৌমাছির ভয়ে দূরে পালায় হাতি থেকে শুরু করে জঙ্গলের রাজা সিংহ। কিন্তু এই মৌমাছিকে যেন কোন এক দৈব বলে বশ মানিয়ে রেখেছেন বাঁকুড়ার এক মধু প্রস্তুতকারক।

স্পাইডার ম্যান, ব্যাট ম্যান এবং অ্যান্ট ম্যানকে টিভির পর্দায় দেখেছেন। রিল নয় রিয়াল লাইফ সুপারহিরো বাঁকুড়ার "বি ম্যান" অর্থাৎ মৌমাছি মানব সুখ মহম্মদ। বাঁকুড়া জেলার ওন্দা ব্লকের চিঙ্গানি গ্রামের বাসিন্দা সুখ মহম্মদ এক দশকের বেশি সময় ধরে ভেঙে আসছেন মৌমাছির চাক। বাঁকুড়া ছাড়াও গোটা রাজ্যে তিনি "বি ম্যান" নামেই পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয় হোক কিংবা বাড়ির সান সেটে, ভয়ানয় মৌমাছির চাক ভাঙতে দূর দূরান্ত থেকে ডাক আসে সুখ মহম্মদের। এখনও পর্যন্ত ৪৫০ বন মৌমাছির কামড় সহ্য করতে পারেন বলেই জানিয়েছেন সুখ মহম্মদ নিজেই।

মৌমাছি চাষ অর্থাৎ এপিকালচার কিভাবে করতে হয় সেটা নিয়ে সাম্প্রতিক বাঁকুড়া সম্মিলনী কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের একটি বিশেষ পাঠ দিতে গিয়ে পেটের মধ্যে অসংখ্য মৌমাছি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেন তিনি। আসে পাশে ছাত্র ছাত্রী ছাড়াও বাচ্চারা এই দৃশ্য দেখে উচ্ছাস শুরু করে। সুখ মহম্মদ জানান, বাঁকুড়ার মূলত ইউক্যালিপটাস, পলাশ এবং তিলের মধু। যার মধ্যে ইউক্যালিপটাস মধুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি।"

মৌমাছির ভূমিকা অপরিসীম এবং মৌমাছির কারণেই হতে পারে কৃষির উন্নয়ন, বললেন সুখ মহম্মদ। এছাড়াও বাঁকুড়ার মধুর গুনগত মান এবং ঘনত্ব সবচেয়ে উৎকৃষ্ট বলেই জানিয়েছেন তিনি। মৌমাছি এবং মধুর সঙ্গে এই যুদ্ধ এবং প্রেমই যেন সুখ মোহাম্মদকে বাঁকুড়ার মৌমাছি মানব বলে সুপ্রতিষ্ঠিত করে তুলেছে।