ইউটিউব দেখে বাইকের ইঞ্জিন দিয়ে ৬ বছরের চেষ্টায় বাড়িতেই বানিয়ে ফেললেন প্যারাগ্লাইডার

এসবি নিউজ ব্যুরো: মধ্যবিত্তের আকাশছোঁয়ার গল্প সফল করলেন নদীয়ার পার্থ মন্ডল। বাড়ি নদীয়ার ধানতলা থানার দোলুয়াবাড়ি এলাকায়। বয়স ২৪, পেশায় রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। ছোটবেলা থেকেই শখ ছিল নিজে হাতে এমন কিছু বানিয়ে আকাশে ঘুরে বেড়াবেন।

দীর্ঘ ৬ বছরের চেষ্টায় এমনই যন্ত্র আবিষ্কার করে ফেলেছেন যা দিয়ে ডাঙায়ও চলা যাবে, অন্যদিকে আকাশেও ওড়া যাবে। এক কথায় যাকে বলা হয় প্যারাগ্লাইডার।

৮০ কিলো ওজন ২২৪ সিসির বাইকের ইঞ্জিন দিয়ে তৈরি করে ফেলেছেন এমনই আশ্চর্য আবিষ্কার।

নিজের হাতে তৈরি করা প্যারাগ্লাইডার নিয়ে আকাশেও চক্কর কেটেছেন। এই আশ্চর্য আবিষ্কার দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বসার জায়গা রয়েছে একজনের। কোনরকম প্রশিক্ষণ ছাড়াই এখানেও কর্মকাণ্ড দেখে হতবাক সকলেই। এক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিয়েছেন তার পরেই একটু একটু করে গড়ে ফেলেছেন এমনই অভিনব জিনিস।

পেট্রোল চালিত এই যন্ত্র তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় 2 লাখ টাকা। কিছু যন্ত্র অনলাইনে বাকিটা খোলা বাজার থেকে কিনেছেন। এলাকার যুবকের এই কর্মকাণ্ড দেখে খুশি এলাকাবাসীরা।

বাঁকুড়ার সাথে অস্ট্রেলিয়ার মেলবন্ধন গড়ে তুলল বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়

এসবি নিউজ ব্যুরো: বাঁকুড়ার সাথে অস্ট্রেলিয়ার মেলবন্ধন গড়ে তুলল বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র - ছাত্রীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হল আন্তর্জাতিক সেমিনার। বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্টার ফর অস্ট্রেলিয়ান স্টাডিজের’ অধীনে এখানকার ছাত্র ছাত্রীরা ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার ওপর পড়াশোনা করে। তাই বাঁকুড়ার এই পড়ুয়াদের সাথে অস্ট্রেলিয়ার সেতু বন্ধন গড়ে তুলতে সুদুর অস্ট্রেলিয়া থেকে ছুটে এলেন অধ্যাপক এবং অস্ট্রেলিয়ার বিশিষ্ট পরিবেশ গবেষক তথা এনএনইউ সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল হিস্ট্রির ডিরেক্টর রুথ মর্গান। তাঁর গবেষনা মুলত, অস্ট্রেলিয়া,ব্রিটিশ সাম্রাজ্য এবং ভারত মহাসাগর কেন্দ্রিক।তিনি বাঁকুড়ায় এসে ভারতের ছাত্র- ছাত্রীদের সাথে মত বিনিময়ের সুযোগ পেয়ে আপ্লুত। তিনি মনে করেন বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উদ্যোগ ভারত ও অস্ট্রেলিয়া সাথে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করবে।

অন্যদিকে,বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য গৌতম বুদ্ধ সুরাল জানান,বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অস্ট্রেলিয়ান স্টাডিজ সেন্টারের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া বিষয়ক পড়াশোনার ওপর আগ্রহ বাড়াতেই এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। এবং ছাত্র- ছাত্রীদের ভালো সাড়াও মিলছে।

প্রসঙ্গত,২০২২ সালে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ট্রেলিয়ান স্টাডিজ সেন্টারে সূচনা হয়। তারপর সবে মাত্র একটা বছর কেটেছে। এই অল্প সময়ের মধ্যে যেভাবে অস্ট্রেলিয়ার ওপর পড়াশোনা করার প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের আগ্রহ বাড়ছে তা এই সেন্টারের ক্ষেত্রে বড়ো সফলতা বলে মনে করা হচ্ছে।

বিধায়ক তহবিলের অর্থে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল পেল এক্সরে-ইউএসজি মেশিন

উত্তর ২৪ পরগনা: উন্নত পরিষেবা দেবার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও চিকিৎসক না থাকায় 'রেফার রোগে'র তকমা সেটেছে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের মুকুটে। যদিও ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন কুমার সিং হাসপাতালের হাল ফেরানোর জন্য প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।হাসপাতালের উন্নয়নে একাধিকবার হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে তিনি বৈঠকও করেছেন। কিন্তু কোনও এক অদৃশ্য কারনে বিধায়কের সহযোগিতা নেওয়ার ক্ষেত্রে গড়িমসি করেছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অবশেষে সেই জট কেটেছে। '

বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পে' জনদরদী বিধায়ক পবন কুমার সিং তাঁর বিধায়ক তহবিল থেকে হাসপাতালের উন্নয়নে ২৯.৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেন। ওই টাকায় ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছে এক্সরে ও ইউএসজি মেশিন। হাসপাতালের উন্নয়নের বিষয়ে ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন কুমার সিং বলেন, এখানে রোগীদের চাপ আছে। কিন্তু চিকিৎসক ও সরঞ্জামের অভাবে পরিষেবা ঠিকমতো মিলছে না। তাই জরুরি ভিত্তিতে আসা রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়।

পবন আরও বলেন, জুটমিল অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় মূলতঃ এই হাসপাতালে গরিব মানুষজন চিকিৎসার জন্য আসেন। তাই হাসপাতালে হাসপাতালের পরিষেবা উন্নত করার জন্য তিনি সর্বোতভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন। তার বিধায়ক তহবিলের অর্থে আপাতত এক্সরে ও ইউএসজি মেশিন মিলেছে। কিন্তু হাসপাতালের হাল বদলের জন্য প্রয়োজনে আগামীদিনে তিনি আরও সরঞ্জামও প্রদান করবেন। হাসপাতাল সুপার মিজানুল ইসলাম বলেন, বিধায়ক তহবিলের অর্থে তারা এক্সরে ও ইউএসজি মেশিন পেয়েছেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় আরও কিছু সরঞ্জাম মিললে পরিষেবা আরও ভালো দেওয়া যাবে।

বাঁশের সাঁকো থেকে অবশেষে পাকা সেতু পেতে চলেছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জলপাইগুড়ি খারিজা বেরুবাড়ি ২ ও নগর বেরবাড়ির ঢোলগ্রাম এলাকার বাসিন্দারা

এসবি নিউজ ব্যুরো: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। বাঁশের সাঁকো থেকে অবশেষে প্রায় ৫৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পাকা সেতু পেতে চলেছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জলপাইগুড়ি খারিজা বেরুবাড়ি ২ ও নগর বেরবাড়ির ঢোলগ্রাম এলাকার বাসিন্দারা। মালকানি, বোয়ালমারী নন্দনপুর,নগর বেরুবাড়ি, সাউথ বেরুবাড়ি সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুবিধা হবে এই সেতু মধ্য দিয়ে। খুশির হাওয়া এলাকা জুড়ে।

জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খারুজা বেরুবাড়ি (২) ঢোলোগ্রাম মন্দিরে ১৪০ বছর ধরে বারুণী তথা শ্রাবণী মেলা হয়। এছাড়াও এখানকার যমুনা নদীর উত্তরাস্রোত রয়েছে। ফলে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ পুজো দিতে আসেন। কিন্তু মন্দির যেতে হয় দুর্বল বাঁশের সাকোর উপর দিয়ে। এখানেই সদর পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে তৈরি হবে ব্রীজ। সেই

ব্রীজের কাজের শিলান্যাস হল। উপস্থিত ছিলেন সদর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিনয় কুমার রায়, সদর বিডিও মিহির কর্মকার, SJDA এর সদস্য কৃষ্ণ দাস সহ অনেকে। সদর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিনয় কুমার রায় জানান প্রায় ৫৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে তৈরি হবে ব্রিজটি তৈরি করা হবে।

বিরাটি ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধন করলেন

এসবি নিউজ ব্যুরো: বুধবার বিকেলে বহু প্রতীক্ষিত বিরাটি ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধন সম্পন্ন হল। এদিন হাওড়ায় পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে ভার্চুয়ালি ফায়ার স্টেশন উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বহুদিন ধরে বিরাটি তথা উত্তর দমদমের মানুষের দাবি ছিল ফায়ার স্টেশনের। এই প্রতীক্ষার অবসান হল এদিন।

এদিন বিরাটি ভার্চুয়ালি ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ফায়ার স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য, উত্তর দমদম পুরসভার পুরপ্রধান বিধান বিশ্বাস, জেলাশাসক, দমকল আধিকারিকেরা। প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ফায়ার স্টেশনের নির্মান করা হয়।

রোজ ডে-তে রক্তদান উৎসব: রাজা ও দেবস্মিতার দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন

এসবি নিউজ ব্যুরো: উত্তরবঙ্গের বিশিষ্ট সমাজকর্মী রাজা বৈদ্য ও দেবস্মিতা চক্রবর্তী তাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে 'রক্তদান উৎসব' আয়োজন করেছিলেন। ডুয়ার্সের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র জলদাপাড়ার 'রিসোর্ট এভারেস্ট'-এ এই অনন্য উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়।

রোজ ডে-র বিশেষ দিনটিতে আগ্রার তাজমহল ও কোচবিহারের রাজবাড়ির সামনে 'লাল ভালোবাসা প্রদান'-এর ধারণা নিয়ে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। এই শিবিরে মোট ১৬ জন স্বেচ্ছাসেবী রক্তদাতা অংশগ্রহণ করে রক্তদান করেন। সংগৃহীত রক্ত 'সেন্ট জোনস ব্লাড ব্যাংক'-এ জমা রাখা হয়।শিবির পরিচালনা করে 'ব্লাড ডোনার অর্গানাইজেশন' নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। 'রিসোর্ট এভারেস্ট'-এর পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করা হয়।

রক্তদাতাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে উত্তরীয়, সার্টিফিকেট ও লাল গোলাপ প্রদান করা হয়।

এই অনুষ্ঠানে 'রিসোর্ট এভারেস্ট'-এর কর্ণধার মনোজ বর্মন, রক্তদান শিবিরের উদ্যোক্তা ও 'ব্লাড ডোনার অর্গানাইজেশন'-এর প্রতিষ্ঠাতা রাজা বৈদ্য সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

রক্তদান শিবিরের পাশাপাশি রক্তদাতাদের জন্য বনভোজনের আয়োজনও করা হয়েছিল।এই উদ্যোগের মাধ্যমে রাজা ও দেবস্মিতা রক্তদানের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সমাজের প্রতি তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন।

পেটের মধ্যে এক থোক মৌমাছি

এসবি নিউজ ব্যুরো: পেটের মধ্যে এক থোক মৌমাছি। ভয়ানক এই কাণ্ড দেখে চক্ষু চড়ক গাছ সকলের। সারা গায়ে ছেয়ে গিয়েছে মৌমাছি। শেষ পরিণতি জানলে আরও অবাক হবেন। একটি মৌমাছির কামড় লাগলেই প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে যায়। মৌমাছির ভয়ে দূরে পালায় হাতি থেকে শুরু করে জঙ্গলের রাজা সিংহ। কিন্তু এই মৌমাছিকে যেন কোন এক দৈব বলে বশ মানিয়ে রেখেছেন বাঁকুড়ার এক মধু প্রস্তুতকারক।

স্পাইডার ম্যান, ব্যাট ম্যান এবং অ্যান্ট ম্যানকে টিভির পর্দায় দেখেছেন। রিল নয় রিয়াল লাইফ সুপারহিরো বাঁকুড়ার "বি ম্যান" অর্থাৎ মৌমাছি মানব সুখ মহম্মদ। বাঁকুড়া জেলার ওন্দা ব্লকের চিঙ্গানি গ্রামের বাসিন্দা সুখ মহম্মদ এক দশকের বেশি সময় ধরে ভেঙে আসছেন মৌমাছির চাক। বাঁকুড়া ছাড়াও গোটা রাজ্যে তিনি "বি ম্যান" নামেই পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয় হোক কিংবা বাড়ির সান সেটে, ভয়ানয় মৌমাছির চাক ভাঙতে দূর দূরান্ত থেকে ডাক আসে সুখ মহম্মদের। এখনও পর্যন্ত ৪৫০ বন মৌমাছির কামড় সহ্য করতে পারেন বলেই জানিয়েছেন সুখ মহম্মদ নিজেই।

মৌমাছি চাষ অর্থাৎ এপিকালচার কিভাবে করতে হয় সেটা নিয়ে সাম্প্রতিক বাঁকুড়া সম্মিলনী কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের একটি বিশেষ পাঠ দিতে গিয়ে পেটের মধ্যে অসংখ্য মৌমাছি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেন তিনি। আসে পাশে ছাত্র ছাত্রী ছাড়াও বাচ্চারা এই দৃশ্য দেখে উচ্ছাস শুরু করে। সুখ মহম্মদ জানান, বাঁকুড়ার মূলত ইউক্যালিপটাস, পলাশ এবং তিলের মধু। যার মধ্যে ইউক্যালিপটাস মধুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি।"

মৌমাছির ভূমিকা অপরিসীম এবং মৌমাছির কারণেই হতে পারে কৃষির উন্নয়ন, বললেন সুখ মহম্মদ। এছাড়াও বাঁকুড়ার মধুর গুনগত মান এবং ঘনত্ব সবচেয়ে উৎকৃষ্ট বলেই জানিয়েছেন তিনি। মৌমাছি এবং মধুর সঙ্গে এই যুদ্ধ এবং প্রেমই যেন সুখ মোহাম্মদকে বাঁকুড়ার মৌমাছি মানব বলে সুপ্রতিষ্ঠিত করে তুলেছে।

চায়না ঘুড়ির সুতোয় টাওয়ারের উপর আটকে গেল চিল, উদ্ধার বনদপ্তরের

উত্তর ২৪ পরগনা: ইছাপুরের বাদামতলা সুইটি ভিলার উপর একটি মোবাইল টাওয়ারে ওপর ইন্ডিয়ান ব্লাক টাইট নামক একটি চিল আটকে যায়।স্থানীয় বাসিন্দা সায়ন্তন দাস বনদপ্তর খবর দেয়। পরে রিস্কিউটি টিম এসে চিলটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।তবে তারা বলেন আজকাল প্রচুর ঘুড়ি উড়ছে। যে ঘুড়ির সুতো চায়না সুতো। সেই চায়না সুতো আটকেই এই পরিস্থিতি।

নৈহাটি রেলওয়ে স্টেশনের হকার উচ্ছেদ নিয়ে বিক্ষোভ

উত্তর ২৪ পরগনা: দেশের বিভিন্ন স্টেশন আধুনিকরনের পথে হেঁটেছে রেল কতৃপক্ষ। সেই মর্মে শিয়ালদহ নর্থ ডিভিশনের নৈহাটি রেলওয়ে স্টেশনের হকার উচ্ছেদের কথা জানিয়েছে প্রশাসন। তবে হকাররা চাইছেন আগে তাদের স্থায়ীকরণ করতে হবে। আজ পুনর্বাসন এবং হকারদের স্থায়ীকরণ করার দাবিতে নৈহাটি শহর আইএনটিটিইউসি তরফ থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল করা হল নৈহাটি রেল স্টেশনে। যার নেতৃত্বে ছিলেন নৈহাটি শহর আইএনটিটিইউসি সভাপতির বিষ্ণু অধিকারী এবং স্টেশন সংলগ্ন হকাররা। তারা মিছিল করে নৈহাটি স্টেশন ম্যানেজারের কাছে একটি ডেপুটেশন জমা দেন। দীর্ঘ বেশ কিছুক্ষণ আলাপ আলোচনা করার পর আইএনটিটিইউসির নেতা বিষ্ণু অধিকারী বলেন, "রেল উন্নয়ন করুক এটা আমরা চাই। কিন্তু করে হকার উচ্ছেদ করা যাবে না। হকারদের পুনর্বাসন ও স্থায়ীকরণ করতে হবে। তাদের দাবি পূরণ না হলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।"

বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের দত্তক নেওয়া গ্রাম চকরাম প্রসাদ গ্রামের রাস্তা দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল

এসবি নিউজ ব্যুরো: বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের দত্তক নেওয়া গ্রাম চকরাম প্রসাদ। সেই গ্রামের রাস্তা দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল। ওই গ্রামের প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা তৈরির জন্য বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার নিজস্ব সাংসদ তহবিল থেকে ৫০ লক্ষ টাকা জেলাশাসকের কাছে প্রদান করেন। ২০২৩ সালের মে মাসে ওই অর্থ বরাদ্দ করলেও এখনও সেই বেহাল রাস্তা সংস্কারের কাজে হাত লাগায়নি জেলাপরিষদ। ফলে বেহাল রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে। তাই সোমবার ওই গ্রামের বাসিন্দারা জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশন দিয়েছেন।যা নিয়েই এবার তৃণমূল বিজেপি রাজনৈতিক চাপানোতর শুরু হয়েছে। সুকান্ত মজুমদার সরাসরি তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে। তার অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবেই ওই রাস্তাটির কাজ করতে দিচ্ছে না তৃণমূল নেতারা। গ্রামেরও একাংশ বাসিন্দাদের একই অভিমত। তাদের অভিযোগ, সুকান্ত মজুমদারের দত্তক নেওয়া গ্রাম বলেই রাস্তার কাজ করছে না জেলা পরিষদ। যদিও বা জেলা পরিষদের দাবি, ওই রাস্তার টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে। তবে সুকান্ত মজুমদার এ নিয়ে অযথা রাজনীতি করছে বলেই তৃণমূলের অভিযোগ।

বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যেই সীমান্তবর্তী চকরাম প্রসাদ গ্রাম। সেই গ্রামের যুবক চুড়কা মুর্মুকে নিয়ে রয়েছে ৭১-এর যুদ্ধের নানা ইতিহাস। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে জয়ের পরে চুড়কা মুর্মুর চকরাম প্রসাদ গ্রামকে দত্তক নিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। ২০২৩ এ পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ওই ভাটপাড়া গ্রামপঞ্চায়েত বিজেপি দখল করে। চকরাম প্রসাদ গ্রামের সংসদও বিজেপি জেতে।

এমনকি ওই এলাকায় পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির প্রার্থীও জয়ী হয়। কিন্তু রাস্তার কাজ করতে পারছে না পঞ্চায়েত। ওই রাস্তাটি জেলাপরিষদের হাতে। তাই এলাকাবাসীরারা মনে করছে, সুকান্ত মজুমদারের গ্রাম বলেই কাজ করছে না তৃণমূল তথা জেলা পরিষদ।