পথ অবরোধে মিড ডে মিল কর্মী ইউনিয়ন

বাঁকুড়াঃ মাসিক ১৮ হাজার টাকা বেতন, সরকারী কর্মীর স্বীকৃতি, পি.এফ, বোনাস প্রদান সহ ১৩ দফা পেশাগত দাবিতে এবার পথ অবরোধে সামিল হলেন এ.আই.ইউ.টি.ইউ.সি সমর্থিত সারা বাংলা মিড ডে মিল কর্মী ইউনিয়নের সদস্যারা। বুধবার ওই সংগঠনের সদস্যারা সারেঙ্গার পিরলগাড়ি মোড়ে বিক্ষোভ মিছিলের পাশাপাশি বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কের উপর ওই জায়গাতেই পথ অবরোধ করেন। এদিনের এই অবরোধে সাময়িকভাবে যানচলাচল ব্যাহত হয়।

ওই সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, মাসিক ১৫০০ টাকা ভাতায় তাঁরা কাজ করেন। কিন্তু প্রতিনিয়ত যেভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ছে তাতে ওই সামান্য টাকায় সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় নিজেদের দাবির সমর্থণে প্রশাসনিক স্তরে আবেদন নিবেদনের পাশাপাশি রাজ্য জুড়ে আন্দোলন কর্মসূচীও তাঁরা শুরু করেছেন। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সংগঠনের তরফে আগামী কর্মসূচীর রুপরেখা তৈরী করতে আগামী ২৯ ডিসেম্বর কলকাতায় কনভেনশনের ডাক দেওয়া হয়েছে। এমনকি দাবি পূরণ না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের পাশাপাশি কর্মবিরতির পথেও তাঁরা যাবেন বলে হুঁশিয়ারী দেন।

প্রশ্ন ফাঁস রুখতে বিশেষ ব্যবস্থা, জানালেন পর্ষদ সভাপতি

বাঁকুড়াঃ 'পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নপত্র বাইরে বেরিয়ে যাওয়া ধরতে এবার মাধ্যমিকের প্রতিটি প্রশ্নপত্রে বিশেষ কোড থাকবে। প্রথম পাতার পাশাপাশি অন্যান্য পাতাতেও তা থাকবে', বাঁকুড়ায় সাংবাদিকদের এই খবর জানালেন পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার শহরের বঙ্গ বিদ্যালয়ে শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক ও স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষা সংক্রান্ত এক সভায় যোগ দিতে বাঁকুড়ায় এসেছিলেন। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি একথা বলেন।

পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন দাবি করেন, 'প্রশ্ন কখনো ফাঁস হয়না, কিছু 'দুষ্টু বাচ্ছা' প্রশ্ন পত্রের ছবি তুলে বাইরে পাঠিয়ে দেয়। এবার কে বা কারা প্রশ্নপত্র বাইরে পাঠালো তা চিহ্নিত করতেই এই কোড ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে যার কাছ থেকে প্রশ্নপত্র বাইরে যাবে চলতি বছরে তার পরীক্ষা 'বাতিল' হবে বলেও তিনি জানান।

স্বাস্থ্য, অগ্নিনির্বাপন, পরিবহন বিষয়ক ম্যাপের ব্যবস্থা এবার থাকছে বলে তিনি জানান। সেই সঙ্গে জঙ্গল লাগোয়া পরীক্ষা কেন্দ্র গুলিতে গুলিতে যাতায়াতের জন্য প্রশাসনের তরফে গাড়ির ব্যবস্থার বিষয়টিও যাতে অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহের দিন পরীক্ষার্থীরা জেনে নিতে পারে তার চেষ্টাও করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

গত বছরের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এবার 'গ্রাফ পেপার' ও ম্যাপ সমস্যার সমাধানে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও পর্ষদ সভাপতি জানান। রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আমি নিশ্চিত এবার আর ওই ধরণের সমস্যা হবেনা। প্রশ্ন যদি থাকে তবে গ্রাফ পেপার ও ম্যাপ প্রশ্নপত্রের প্যাকেটেই থাকবে বলে তিনি জানান।

গঙ্গাসাগর নিয়ে বৈঠকে মমতা

নতুন বছরে ৮-১৭ জানুয়ারি সাগরদ্বীপে আয়োজিত গঙ্গাসাগর মেলায় লাখ লাখ মানুষ পুণ্যস্নান করতে আসবেন। আর তাই সেখানে যাতে কোন নিরাপত্তার খামতি না থাকে তাঁর জন্য রাজ্য সরকার শুরু করেছে প্রস্তুতি। গঙ্গাসাগর নিয়ে বুধবার নবান্নে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন,” গঙ্গাসাগর মেলা আমাদের গর্ব। পৃথিবীর সব থেকে বড় মেলা। ৪০ লক্ষ মানুষ আসে। ১ ঘণ্টা আগে চিড়িয়াখানার সামনে থেকে এলাম। দেখলাম খুব ভিড়। কলকাতা পুলিশ কিছু মাইক্রোফোন ব্যবহার করছে।

ট্রাফিককে আরও ভাল করে দেখতে হবে। পূণ্যার্থীদের জন্য ২২৫০ তো সরকারি বাস, ৩২টি ভেসেল, ১০০ টি লঞ্চ ব্যবহার করা হবে। রেলকে অনুরোধ করব মেলার আগে ও পরে বেশি ট্রেন চালাতে। ১৩ থেকে ১৭ বেশি ট্রেন চালাতে হবে।“

পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানান,’গঙ্গাসাগরে আগত পুন্যার্থীদের জন্য থাকছে জলের ৬০ লাখ পাউচ । ৩০০ বেডের হসপিটাল থাকছে। ১০০ –এর বেশি অ্যাম্বুলেন্স রাখা হচ্ছে। এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স রাখা হচ্ছে। শোলার ঘরগুলোতে অনেক সময় আগুন লেগে যায়।‘ তবে এবার গঙ্গাসাগরে নেই রান্নার অনুমতি নেই।

ভারত বিখ্যাত নাটক "মা মুঝে টেগর বানা দে" মঞ্চস্থ হলো নদীয়ার রানাঘাটে

নদীয়া: দীর্ঘ দিনের একটা সাধ পূরন হলো রানাঘাটবাসীর। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রানাঘাট পৌরসভার প্রাঙ্গণে অভিনিত হলো ভারত বিখ্যাত নাটক "মা মুঝে টেগর বানা দে"।যার শ্রষ্ঠা লাকী জী গুপ্তা।

রানাঘাট শহরের সমস্ত থিয়েটার কর্মী ও সাধারণ মানুষ জড়ো হয়েছিলেন পৌর প্রাঙ্গণে। রানাঘাটের স্থানীয় বাসিন্দারা আজ আবেগ ধরে রাখতে পারেন নি।মানুষের বাধ ভাঙা উচ্ছাস ছিল চোখে পরার মতো। এই প্রসঙ্গে কি জানালেন আমাদের তা শোনাবো আপনাদের।

বড় ডান্স ফ্লোরে চান্স পাওয়াই একমাত্র স্বপ্ন ঘুগনি বিক্রেতা সনতের

নদীয়া: স্বপ্ন সবাই দেখে কিন্তু স্বপ্ন পূরণ করা কঠিন ,কেউ পারে কেউ হাল ছেড়ে দেয়,,,এমনি এক স্বপ্ন পূরণ করতে নিজের জীবনে বড়ো চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে চলেছে, নদীয়ার হরিণঘাটা ব্লকের মাহাতো পাড়ার ২৭বছরের যুবক সনৎ সরকার। তার স্বপ্ন বড়ো শিল্পী হয়ে উঠবে একদিন বড়ো মঞ্চে অনুষ্ঠান করবে।

ছেলে বেলা থেকেই দ্ররিদ্রতার ছায়ায় বড়ো হয়েছে, কোন রকম উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছে। টালির চালায় টিনের বেড়া তার মধ্যে বসবাস, পরিবারের সদস্য বলতে বাবা,মা স্ত্রী ও এক সন্তান। তাদের মুখে দু মুঠো অন্ন তুলে দিতে পাড়ায় পাড়ায় ঘুগনি বিক্রি করে কোন রকম দিন কাটায় সনৎ ।তার ফাঁকে বাড়িতে নাচের অনুশীলন করে।

তার স্বপ্ন অনেক বড়ো শিল্পী হওয়া,স্বামি স্ত্রী দুজনেই বাড়িতে প্যাকটিস করছে ড্যান্স ।এলাকায় ছোটবড় প্রোগ্রামে ডাক পায় কিন্তু তার স্বপ্ন একদিন বড়ো শিল্পী হয়ে ওঠা। প্রতিষ্ঠিত বহু শিল্পী অনেক কষ্ট করে বড়ো হয়েছে,এখন দেখার হরিন ঘাটার ঘুগনি বিক্রি করা সনৎ কবে হয়ে ওঠে বড়ো শিল্পী।কর্ম পরিশ্রম ও প্রচেষ্টা থাকলে বড়ো হওয়া যায়।

নদীয়ার শ্রীধাম শান্তিপুরের বাবলা গোবিন্দপুর শ্রীশ্রী রাধা মাধব জিউ মন্দিরের ৩০ তম মঙ্গল বিজয় মহোৎসবের সূচনা

নদীয়া:ধর্মপ্রাণ নদীয়ার মন্দির নগরী শান্তিপুরের অন্যতম মন্দির শ্রী শ্রী রাধা মাধব জিউ যা স্থানীয়ভাবে শ্রী গোপাল কুঞ্জ নামে পরিচিত। বিগত বছর গুলির মতন এ বছরও তাদের শীতকালীন বাৎসরিক বিজয় মহোৎসব শুরু হয়েছে গতকাল নগর পরিক্রমার মধ্য দিয়ে। চলবে আগামী ১২ই পৌষ ২৯ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত। রামায়ণ গান পরিবেশন, শ্রী ভাগবত পাঠ, গৌর লীলা কীর্তন, হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র নাম যজ্ঞ, অষ্টপ্রহর সন্ধ্যা আরতি নৃত্যানন্দ ভোগ আরাধনা দধিভান্ড ভঞ্জন কুঞ্জ ভঙ্গ এভাবেই এ কদিন নিয়মিত সর্বক্ষণের জন্য চলবে নানান ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান।

উৎসব কমিটির সম্পাদ শ্রী জয়ন্ত চৌধুরী গোবিন্দ দাস জানান, উৎসব কমিটির অন্যতম সদস্য অনন্ত নাথ ও অদ্বৈত বিশ্বাসের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে এ বছর তাদের বাৎসরিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন এলাকার সকল ধর্মপ্রাণ মানুষজন। এই উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত এমনকি রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকেও ভক্তবৃন্দদের সমাগম ঘটেছে।

কলকাতার শ্রীকৃষ্ণ পাল, দিগনগরের নদিয়া বিহারী সম্প্রদায়, রাধা মাধব সম্প্রদায়, কালিরহাটের শ্রী গুরু সেবা-দাসী সম্প্রদায়, বেতনার শ্রী অদ্বৈত সম্প্রদায়, পাঁচপোতার ব্রজ বালিকা সম্প্রদায়, শ্রী শ্রী মহানাম সংকীর্তন এর অংশ গ্রহণ করতে চলেছেন। লীলা কীর্তন এ অংশগ্রহণ করতে চলেছেন শ্রী দুর্বল বিশ্বাস শ্রী হরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস শ্রীচৈতন্য মহন্ত শ্রী শান্তিময় ঘোষ সহ আরো খ্যাতনামা ভক্ত শিল্পীরা। শুধু ধর্ম নয় পরিবেশ রক্ষার জন্য শান্তিপুরের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণে থাকছে বিশেষ আলোচনা সভা।

দুয়ারে ফাঁকা! ভিড় শূন্য পরিষেবা কেন্দ্র পরিদর্শনে এলেন বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী

নদীয়া;রাজ্যের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের পরিষেবা দিতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। দুয়ারে সরকারের কর্মসূচিতে উপকৃত হয়েছেন বহু মানুষ , লক্ষীর ভান্ডার থেকে শুরু করে বার্ধক্য ভাতা সহ একাধিক প্রকল্পে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী বিভিন্ন পঞ্চায়েত থেকে পৌরসভা এলাকায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আবেদন জমা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু দুয়ারের সরকার কর্মসূচি গ্রহণ করলেও দেখা নেই মানুষের, কারণ ইতিমধ্যে সাতবার আয়োজিত দুয়ারী সরকার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তাই সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের আওতায় চলে এসেছেন অধিকাংশ মানুষই । কিন্তু পাশাপাশি একটা সমস্যার কথাও উঠে আসছে , জানা যায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বেশ কয়েকবার কাগজ জমা করলেও পরিষেবা থেকে বঞ্চিত " এ বিষয়ে বেলঘড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃত্তিবাস স্কুলে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে পরিদর্শনে এসে শান্তিপুর বিধানসভার বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী এমনটাই জানালেন আমাদের ।

তিনি বলেন বিভিন্ন পঞ্চায়েত সদস্য সমিতির মেম্বার জেলা পরিষদের সদস্যরা প্রতিনিয়ত নিয়মিত পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছে ঘরে ঘরে। আর তার ফলেই একান্তই কাগজপত্র ত্রুটি সংক্রান্ত কোনো সমস্যা থাকলে তবেই মানুষজন আসছেন দুয়ারে সরকারে। তাই ভিড় কম। তবে কাউন্টার নিয়মিত সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত খোলা থাকছে। কাগজপত্র সংক্রান্ত সমস্যা থাকলেও তা মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে বি ডিও কিংবা বিধায়কের হস্তক্ষেপে।

*তৃণমূল নেতা সুবল মান্নাকে বহিষ্কার তৃণমূলের*

কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা সুবল মান্নাকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দিল তৃণমূল শিবির। তবে তৃণমূলের তরফ থেকে লিখিতভাবে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন সুবল। সম্প্রতি প্রকাশ্য সভায় শিশির অধিকারীকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলেন তিনি।

এছাড়া 'গুরুদেব' বলেও সম্বোধন করেছিলেন তাঁকে। আর এই ঘটনার জেরে শাসক শিবিরে বাড়ে উত্তেজনা। তাই এবার তাঁকে দল থেকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল।

১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু রাহুলের 'ভারত ন্যায় যাত্রা'

১৪ জানুয়ারি থেকে ৬,২০০ কিলোমিটার 'ভারত ন্যায় যাত্রা' শুরু করবেন রাহুল গান্ধী । মণিপুর থেকে মুম্বাই পর্যন্ত হবে 'ভারত ন্যায় যাত্রা'। কর্ণাটক ও তেলেঙ্গানার নির্বাচনে জয়ের পরেই এবার ৬,২০০ কিলোমিটার যাত্রা শুরু করবেন রাহুল ।

রাহুলের এমন যাত্রা এই প্রথম নয় এরআগেও ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ করে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। টানা পাঁচ মাস ধরে ভারত জোড়ো যাত্রা করে কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পায়ে হেঁটে গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা। এই যাত্রার জেরেই কর্ণাটক এবং তেলেঙ্গানায় বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছে কংগ্রেস।

তাই লোকসভা নির্বাচনের আগেই মণিপুর, নাগাল্যান্ড, আসাম, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাট ও মহারাষ্ট্রসহ ১৪টি রাজ্যের ৮৫টি জেলা ঘুরে দেখবেন রাহুল। লোকসভা নির্বাচনের আগে ২০ মার্চ শেষ হবে এই যাত্রা। জানা গিয়েছে এই যাত্রাও পায়ে হেঁটে করবেন রাহুল।

রাতের অন্ধকারে ধানের গাদায় আগুন ধরিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা, পুড়ে গেল ৫ বিঘা জমি সম্পূর্ণ ধান

এসবি নিউজ ব্যুরো: বিজেপি নেতা কর্মীদের ধানের গাদায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের হিরাধরপুর গ্রামে। হিরাধরপুর গ্রামের বাসিন্দা দীপক সিং ও এলাকার রূপচাঁদ সিং। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় দীপক সিংহ এলাকার সক্রিয় বিজেপি কর্মী ও রূপচাঁদ সিংয় দীপকেরই প্রতিবেশী। ও দুই জনের প্রায় ৫ বিঘার জমির ধান খামারে ছিল, আর সেই ধানের গাদায় আগুন লাগালো রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ কেরোসিন তেল ঢেলে ধানের গাদায় আগুন ধরে দেওয়া হয়েছে রাত বারোটা নাগাদ। এমনই অভিযোগ, দীপক ও এলাকার বিজেপি নেতাদের। ইতিমধ্যে পুরো বিষয়টি তারা জানিয়েছেন ক্ষীরপাই পুলিশ ফাঁড়িতে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ক্ষীরপাই ফাঁড়ি পুলিশ। এ বিষয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীরা ক্যামেরার সামনে এখনো মুখ খুলেনি। তবে চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের ব্লক তৃণমূলের সভাপতি, মহাদেব মল্লিক বলেন," পুলিশ তদন্ত করছে বিষয়টি শুনেছি। তবে এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন যোগ নেই।" ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের সাথে দেখা করতে আসলেন, আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি, বিমান ঘোষ। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন তিনি। এমনকি পুলিশ সঠিক তদন্ত করে অভিযুক্তদের চিহ্নিত না করলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।