*পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ*


বাঁকুড়াঃ পানীয় জল ও রাস্তার দাবিতে এবার গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় মানুষ। শুক্রবার বাঁকুড়ার মানকানালী গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।

  বিক্ষোভকারী ধানশিমূল গ্রামের মানুষের অভিযোগ, গ্রামের রাস্তা দীর্ঘদিন বেহাল, অসংখ্যবার আবেদন নিবেদন করার পরেও ওই রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগী হয়নি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত। এমনকি গ্রামের কাওকে না জানিয়ে 'রাতের অন্ধকারে ঠাকুর থানে'র পরিবর্তে অন্য এক জায়গায় নলকূপ বসানো হয়েছে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পঞ্চায়েতে পৌঁছায় বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ।

 এক্ষেত্রে প্রধান বিবেকানন্দ পালের সাফাই দায়িত্ব পাওয়ার চার মাসের মধ্যে রাস্তা সংস্কার সম্ভব নয়। তবে গ্রামের মানুষের দাবিকে মান্যতা দিয়ে প্রস্তাবিত জায়গাতেই নলকূপ খনন করা হবে বলে তিনি জানান।

  ওই ঘটনার পিছনে প্রধান ও পঞ্চায়েত আধিকারিকদের দায়ি করেছেন বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল কমিটির সদস্য অনিল ঘোষ। তিনি বলেন, যে ঠিকাদার সেই আবার আমাদের দলের ব্লক কমিটির সদস্য। ফলে ওই সদস্য-ঠিকাদার প্রধানকে চালনা করছেন। এই বিষয়ে তাদের সঙ্গে প্রধান কোন রকম আলোচনা করেননি বলে তিনি দাবি করেন।

*শুভেন্দু অধিকারী কুমিরের কান্না কাঁদছে: কুণাল*


কুণাল ঘোষ টুইটারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে এক হাত নেন। তিনি টুইটারে লেখেন, 'শুভেন্দু অধিকারী কুমিরের কান্না কাঁদছে। আমরা ভুলে যাইনি, বিজেপি শাসিত রাজ্যে কীভাবে প্রতিবাদকারীদের বুলডোজ চালানো হয়েছিল। কীভাবে সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রকাশ্যে লঙ্ঘন করা হয়েছে এবং আইনি বাধাগুলিকে ইচ্ছামতো বাইপাস করা হয়েছে। তাহলে গণতন্ত্র কি বিপন্ন নয়?'

টুইটে শুভেন্দু বলেন,'পুলিশের উপস্থিতি শুভেন্দু অধিকারীর স্পষ্ট আপত্তিতে সন্দেহ হয়। তাঁর আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে গুরুতর সন্দেহের জন্ম দেয়। তিনি কি নবান্নের বাইরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পরিকল্পনা করেছিলেন? তার প্রতিবাদ গণতন্ত্র রক্ষার জন্য কম এবং আখ্যানকে হেরফের করার জন্য একটি কল্পিত কাজ বলে মনে হয়!'

মালদহে এক স্কুল শিক্ষিকাকে গাছের ডাল ভেঙে মারধর ঘটনায় হাত ভাঙলো শিক্ষিকার

এসবি নিউজ ব্যুরো; স্কুল শিক্ষিকার অভব্য আচরন গাছের ডাল ভেঙে মারধর।ঘটনায় আহত শিক্ষিকা গুরুত্বর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন মালদহ শহরের এক বেসরকারী হাসপাতালে।ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হবিবপুর থানার চকসাপুর এলাকায়।এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে হবিবপুর থানায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,ওই আহত শিক্ষিকার নাম তিশিতা কুন্ডু (৩১)। বাড়ি মালদা ইংরেজবাজার থানার বি এস রোডে। আহত শিক্ষিকা হব্বিপুর থানার চকসাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।

অভিযুক্তর নাম সত্যজিৎ রায়।২০১৭ সালে শিক্ষিকা চকসা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এরপর থেকে স্থানীয় সত্য রায় নামে এক ব্যাক্তি শিক্ষিকার ওপর নজর রাখতেন এবং উত্যক্ত করতেন। যদিও তাকে এই বিষয়ে বলা হলে তিনি আর কিছু বলতেন না। এদিন ও প্রতিদিনের মত সকালে শহর থেকে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন শিক্ষিকা। এরপর হব্বিপুর এলাকায় স্কুলে যাচ্ছিলেন জমির আল দিয়ে। যাওয়ার পথে জমিতে জুতো খুলে দূরে পরে যায়। সেখানে জমিতে কাজ করছিলেন সত্য। ওই শিক্ষিকা তাকে জুতে দিতে বলায় সত্য শিক্ষিকার ওপর চড়াও হয়। এরপর গাছের ডাল ভেঙে মারধর শুরু করে। ঘটনা দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে আসতেই অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। গুরুত্বর আহত ওই শিক্ষিকা উদ্ধার করে স্থানীয় বুলবুলচন্ডি আর এন রায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।

বুলবুলচন্ডী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকেরা প্রাথমিক চিকিৎসার পর মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থানান্তরিত করেন। বর্তমানে শহরের এক বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসসাধীন।এই বিষয়ে হাবিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে আহত শিক্ষিকার পরিবার।কেন এইভাবে গাছের ডাল দিয়ে শিক্ষিকাকে বেধরক মারধর করা হল, তা পরিষ্কার হয়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

৮০০ গ্রাম থেকে ২ কেজি একটি বেগুনের ওজন

 এসবি নিউজ ব্যুরো: রাজ্যের মধ্যে মালদহে চাষ হয় বড় বেগুনের।এক একটি বেগুনের ওজন হয় ৮০০ গ্রাম থেকে ২ কেজি পর্যন্ত।তবে মালদহের সব জায়গাতে পাবেন না এই বেগুন। পুখুরিয়ার রাজাপুরে মূলত চাষ হয় এই বেগুন। এছাড়াও ওই গ্রামের পার্শ্ববর্তী পুরাতন মালদহের মহিষবাথানী , গাজোল ব্লকের পান্ডুয়া এলাকায় কিছু পরিমাণ জমিতে চাষ হয়। এই বেগুনের নাম নবাবগঞ্জের বেগুন। এই প্রজাতির বেগুন আর অন্য কোথাও চাষ হয় না। এই এলাকার কৃষকেরাই চাষ করেন। প্রতিবছর কৃষকেরা বেগুনের বীজ সংরক্ষণ করে রাখেন। পরবর্তীতে সেই বীজ বোনেন কৃষকেরা নিজেই।

এই প্রজাতির বেগুনের বীজ কোথাও কিনতেও পাওয়া যায় না। প্রাচীন কাল থেকেই এই বেগুনের চাষ হয়ে আসছে মালদহে এমনটাই দাবি কৃষকদের। একসময় মহানন্দা নদীর তীরে নবাবগঞ্জে বিশাল হাট বসত। কৃষকেরা ওই হাটেই এই বিশাল বেগুন বিক্রি করতেন। হাটের নাম অনুসারেই এই বেগুনের খ্যাতি। তাই এই বেগুনের নাম নবাবগঞ্জের বেগুন। এখনো এই নামেই পরিচিতি বিশাল এই বেগুনের।বর্তমানে বিশাল আকারের এই বেগুনের দাম ১০০ টাকা কেজি। মালদহ শহরের বাজারে পাওয়া যায়। একটি বেগুনের ওজন অনেক আবার দামও বেশি তাই সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে এখন এই বেগুন।

মালদহ জেলায় উদ্যান পালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ জেলার ৩টি ব্লকের বেশ কিছু গ্রাম মিলিয়ে প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে এই বেগুন বর্তমানে চাষ হচ্ছে। ধীরে ধীরে এই বেগুনের ওজন অনেকটাই কম হচ্ছে। কারণ গতানুগতিক চাষের ফলে। ৮০০ গ্রাম থেকে ২ কেজি পর্যন্ত হয় একটি বেগুনের ওজন। এই বেগুন গুলিতে বীজ থাকে প্রায় ৫০ গ্রাম। অন্য কোথাও এই বেগুন চাষ না হওয়ার কারণ, মাটির উর্বরতা আবহাওয়া। মূলত শীতকালেই পাওয়া যায় এই বেগুন।

*নবদ্বীপ শহর তৃণমুল ছাত্র পরিষদের সহ সভাপতির বিরুদ্ধে শীলতাহানীর অভিযোগ ঐ কলেজেরই ছাত্রী তৃনমুল ছাত্র পরিষদের কালচারাল সেক্রেটারিকে*


নদীয়া:

নবদ্বীপ তৃণমুল ছাত্র পরিষদের সহ সভাপতি শ্যামসুন্দর দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ নবদ্বীপ বিদ্যাসাগর কলেজের এক ছাত্রীর , তিনি আবার ঐ কলেজেরই তৃণমুল ছাত্র পরিষদের কালচারাল সেক্রেটারি । ঘটনাটি নদিয়ার নবদ্বীপের ।

অভিযোগ নবদ্বীপ শহর তৃণমুল ছাত্র পরিষদের সহ সভাপতি শ্যাম সুন্দর দাস বেশ কয়েকদিন ধরেই নবদ্বীপ বিদ্যাসাগর কলেজের এক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে উতক্ত করতো এরপর ঐ কলেজেরই এক ছাত্র রঘুনাথ দাস কে দিয়ে ঐ ছাত্রীকে প্রস্তাব দেওয়া হয় তৃণমুল ছাত্র পরিষদের রাধা বাজারের পার্টি অফিসে দেখা করতে । অভিযোগ এরপর ঐ ছাত্রী পার্টি অফিসে দেখা করতে গেলে পার্টি অফিসের ভিতরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে জোর করে শীলতাহানি করে । এরপর সেখান থেকে কোনো মতে বেরিয়ে বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সকলকে জানায় এবং নবদ্বীপ থানা সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দায়ের করে ।

ঐ ছাত্রী অভিযোগ করে শুধু সেই নয় কলেজে নতুন কোনো মেয়ে আসলেই তাদের কেও এই একি রকম ভাবে হেনস্তা করে এই তৃণমুল ছাত্র পরিষদের দাদারা ।

*নির্মীয়মান বাড়ির মাটি চাপা পড়ে মৃত এক নির্মাণ শ্রমিক, আহত ২ শ্রমিক*


নদীয়া:

নাকাশিপাড়ায় নির্মীয়মান বাড়ির মাটির দেওয়াল ভেঙে চাপা পড়ে মৃত্যু হলো এক নির্মাণ শ্রমিকের। এই ঘটনায় আরো দুজন শ্রমিক গুরুতর জখম হয়েছেন। মৃতের নাম সুকুমার বারুই। এদিন দুপুরে নাকাশিপাড়ার বেথুয়াডহরীর স্টেশন পাড়ার বাসিন্দা তুষার মণ্ডলের বাড়িতে কাজ করছিলেন তারা। হটাৎ একটি দেওয়াল ভেঙে পড়ে চাপা পড়েন তারা। তড়িঘড়ি তাদের উদ্ধার করে বেথুয়াডহরী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে গোটা এলাকায়।

*৮০০ গ্রাম থেকে ২ কেজি একটি বেগুনের ওজন*


 এসবি নিউজ ব্যুরো: রাজ্যের মধ্যে মালদহে চাষ হয় বড় বেগুনের।এক একটি বেগুনের ওজন হয় ৮০০ গ্রাম থেকে ২ কেজি পর্যন্ত।তবে মালদহের সব জায়গাতে পাবেন না এই বেগুন। পুখুরিয়ার রাজাপুরে মূলত চাষ হয় এই বেগুন। এছাড়াও ওই গ্রামের পার্শ্ববর্তী পুরাতন মালদহের মহিষবাথানী , গাজোল ব্লকের পান্ডুয়া এলাকায় কিছু পরিমাণ জমিতে চাষ হয়। এই বেগুনের নাম নবাবগঞ্জের বেগুন। 

এই প্রজাতির বেগুন আর অন্য কোথাও চাষ হয় না। এই এলাকার কৃষকেরাই চাষ করেন। প্রতিবছর কৃষকেরা বেগুনের বীজ সংরক্ষণ করে রাখেন। পরবর্তীতে সেই বীজ বোনেন কৃষকেরা নিজেই। এই প্রজাতির বেগুনের বীজ কোথাও কিনতেও পাওয়া যায় না। প্রাচীন কাল থেকেই এই বেগুনের চাষ হয়ে আসছে মালদহে এমনটাই দাবি কৃষকদের। একসময় মহানন্দা নদীর তীরে নবাবগঞ্জে বিশাল হাট বসত। কৃষকেরা ওই হাটেই এই বিশাল বেগুন বিক্রি করতেন। হাটের নাম অনুসারেই এই বেগুনের খ্যাতি।

তাই এই বেগুনের নাম নবাবগঞ্জের বেগুন। এখনো এই নামেই পরিচিতি বিশাল এই বেগুনের।বর্তমানে বিশাল আকারের এই বেগুনের দাম ১০০ টাকা কেজি। মালদহ শহরের বাজারে পাওয়া যায়। একটি বেগুনের ওজন অনেক আবার দামও বেশি তাই সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে এখন এই বেগুন।

মালদহ জেলায় উদ্যান পালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ জেলার ৩টি ব্লকের বেশ কিছু গ্রাম মিলিয়ে প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে এই বেগুন বর্তমানে চাষ হচ্ছে। ধীরে ধীরে এই বেগুনের ওজন অনেকটাই কম হচ্ছে। কারণ গতানুগতিক চাষের ফলে। ৮০০ গ্রাম থেকে ২ কেজি পর্যন্ত হয় একটি বেগুনের ওজন। এই বেগুন গুলিতে বীজ থাকে প্রায় ৫০ গ্রাম। অন্য কোথাও এই বেগুন চাষ না হওয়ার কারণ, মাটির উর্বরতা আবহাওয়া। মূলত শীতকালেই পাওয়া যায় এই বেগুন।

*মালদহে এক স্কুল শিক্ষিকাকে গাছের ডাল ভেঙে মারধর ঘটনায় হাত ভাঙলো শিক্ষিকার*


 এসবি নিউজ ব্যুরো; স্কুল শিক্ষিকার অভব্য আচরন গাছের ডাল ভেঙে মারধর।ঘটনায় আহত শিক্ষিকা গুরুত্বর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন মালদহ শহরের এক বেসরকারী হাসপাতালে।ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হবিবপুর থানার চকসাপুর এলাকায়।এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে হবিবপুর থানায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,ওই আহত শিক্ষিকার নাম তিশিতা কুন্ডু (৩১)। বাড়ি মালদা ইংরেজবাজার থানার বি এস রোডে। আহত শিক্ষিকা হব্বিপুর থানার চকসাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। অভিযুক্তর নাম সত্যজিৎ রায়।২০১৭ সালে শিক্ষিকা চকসা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এরপর থেকে স্থানীয় সত্য রায় নামে এক ব্যাক্তি শিক্ষিকার ওপর নজর রাখতেন এবং উত্যক্ত করতেন। যদিও তাকে এই বিষয়ে বলা হলে তিনি আর কিছু বলতেন না। এদিন ও প্রতিদিনের মত সকালে শহর থেকে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন শিক্ষিকা। এরপর হব্বিপুর এলাকায় স্কুলে যাচ্ছিলেন জমির আল দিয়ে।

যাওয়ার পথে জমিতে জুতো খুলে দূরে পরে যায়। সেখানে জমিতে কাজ করছিলেন সত্য। ওই শিক্ষিকা তাকে জুতে দিতে বলায় সত্য শিক্ষিকার ওপর চড়াও হয়। এরপর গাছের ডাল ভেঙে মারধর শুরু করে। ঘটনা দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে আসতেই অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। গুরুত্বর আহত ওই শিক্ষিকা উদ্ধার করে স্থানীয় বুলবুলচন্ডি আর এন রায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। 

বুলবুলচন্ডী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকেরা প্রাথমিক চিকিৎসার পর মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থানান্তরিত করেন। বর্তমানে শহরের এক বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসসাধীন।এই বিষয়ে হাবিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে আহত শিক্ষিকার পরিবার।কেন এইভাবে গাছের ডাল দিয়ে শিক্ষিকাকে বেধরক মারধর করা হল, তা পরিষ্কার হয়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

সরকারি কর্মচারীদের নবান্নের বাসস্ট্যান্ডের অবস্থান একদিন কমিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট

কলকাতা: মহার্ঘ্য ভাতা নিয়ে নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের নবান্নের বাসস্ট্যান্ডের অবস্থান একদিন কমিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ২৪ ডিসেম্বরের পরিবর্তে শনিবার ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ধর্ণার অনুমতি পেয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। শনিবার পর্যন্ত আন্দোলনের সময় কমিয়ে এই নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতি টি এস শিবাগননম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।

বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। সেই মামলায় এই নির্দেশ। বৃহস্পতিবার শর্তসাপেক্ষে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চকে ধর্নায় বসার অনুমতি দেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। সিঙ্গল বেঞ্চ ২২-২৪ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত ধর্ণার অনুমতি দেয়।

শর্ত ছিল, ৩০০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। এই শর্তে অনুমতি দেন বিচারপতি মান্থা। এদিন আদালতে রাজ্য বলে, মধ্যরাত থেকে ধর্না চলছে। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করেছেন। যদিও আদালতকে জানানো হয়, এতে আন্দোলনকারীরা খুশি নন। এর পরেই আন্দোলনকারীদের আদালত বলে,শনিবার অবধি করুন, বিকাল ৪টে পর্যন্ত করুন।

সরকারী মেলার মাঠে উড়লো তৃণমূলের প্রতীক

বাঁকুড়াঃ ৩৬ তম বিষ্ণুপুর মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আকাশে উড়লো শাসক তৃণমূলের লোগো। আর এই ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী থাকলেন ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হাজারো হাজারো মানুষ। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাঁকুড়ার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক থেকে অন্যান্য সরকারী আধিকারিকদের উপস্থিতিতেই সম্পূর্ণ সরকারী অর্থ ব্যায়ে এই মেলায় সুকৌশলে শাসক দলের প্রচার করা হয়েছে বলে অনেকে অভিযোগ করছেন।

একই সঙ্গে রাজ্যে পালাবদলের পর থেকে বিষ্ণুপুর মেলা সহ অন্যান্য সরকারী অনুষ্ঠানে বিরোধী জনপ্রতিনিধিদের ডাক না পেলেও 'দলবদলু' বিধায়কদের উপস্থিতির অভিযোগ তো আছেই। এবারের মেলাতেও তার অন্যথা হয়নি। কোন বিরোধী বিধায়ক-সাংসদ বিষ্ণুপুর মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না পেলেও বিষ্ণুপুর ও কোতুলপুরের 'দলবদলু' বিধায়ক তন্ময় ঘোষ ও হরকালী প্রতিহারকে 'মঞ্চ আলো করে' বসে থাকতে দেখা গেছে। এমনকি সরকারী আমন্ত্রণ পত্রেও তাঁদের নাম ছিল বলে খবর।

তৃণমূলের লোগো মেলার মাঠে ওড়ানো হয়েছে স্বীকার করেছেন ওই কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারী সংস্থার কর্মী নিজেই। অনুপম মাহাতো নামে ওই কর্মী বলেন, ইউ.এস.এ থেকে আমাদের কোম্পানীর তরফে এই মেশিন আনা হয়েছে। এদিন মেলার উদ্বোধনী 'ফ্লাইং লোগো' হিসেবে 'বিষ্ণুপুর মেলা ও তৃণমূলের লোগো' আকাশে ওড়ানো হয়েছে বলে তিনি স্পষ্টতই স্বীকার করেন।

পুরো বিষয়টি শাসক দলের 'নির্লজ্জতার পরিচয়', দাবি বিজেপির। দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার মুখপাত্র দেবপ্রিয় বিশ্বাসের দাবি, 'সরকারী টাকায় মোচ্ছব হচ্ছে', এখন সরকার আর তৃণমূল সমার্থক। এখন বিষ্ণুপুর মেলায় তৃণমূলের লোগো উড়ছে ক'দিন পর ওই দলটাই হাওয়ায় উড়ে যাবে বলে তিনি দাবি করেন।

এবিষয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখানো বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ন'দিন ধরে সরকারী ব্যবস্থাপনায় মেলা চলছে। তৃণমূলের লোগো যদি আকাশে ওড়ানো তা ঠিক নয় স্বীকার করেও বিষয়টি তাঁর জানা নেই দাবি করেই দায় এড়িয়েছেন এই 'দলবদলু' বিধায়ক।