বিমানবন্দরে কিডন্যাপিং কাণ্ডের মূল পাণ্ডাকে হরিয়ানা থেকে গ্রেফতার করল বিধাননগর পুলিশ

কলকাতা : ২০২২ সালে কিডনাপিং হরিয়ানার বাসিন্দা অভিযোগ করেন তার ছেলে কিডন্যাপিং হয় এয়ারপোর্ট থেকে। এরপরে তদন্ত নেমে ওই ব্যক্তির ছেলের সাথে আরও ৯ জনকে নিউটাউন থেকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে ১১জনকে গ্রেফতার করা হয়। ১৭ তারিখ ঘটনার মূল চক্রীকে হরিয়ানার পানিপথ থেকে গ্রেফতার করা হয়।নাম প্রাভিন কুমার।

বিদেশে চাকরি দেওয়ার নামে দেশের বিভিন্নপ্রান্তের যুবকদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে তাদের কলকাতা বিমানবন্দর থেকে নকল বোডিং পাস বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করত। কলকাতা বিমানবন্দরে সেই নকল বোডিং পাস ধরা পড়লে ওই যুবকদের নিয়ে নিউটাউনে একটি জায়গায় বন্ধ করে রাখাতো। সেখান থেকে ওই যুবকদের বাড়িতে ফোন করে আরও টাকা চাওয়া হত। হরিয়ানার বাসিন্দা এরপরেই বিধাননগর এন এস সিবিআই থানায় অভিযোগ করেন।

এরপরে নিউটাউন থেকে অপহৃতদের উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন জায়গায় থেকে ১১জনকে গ্রেফতার করে। এরপর গত ১৭তারিখ হরিয়ানার পানিপথের সেওয়া গ্রাম থেকে এই ঘটনার মূল পাণ্ডা প্রাভিন কুমারকে গ্রেফতার করা হয়। তারপরে তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে হরিয়ানা থেকে রাজ্যে নিয়ে আসা হয়। তাকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে ৭দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৪এ, ৩৬৫, ৪২০, ১২০বি ধারায় মামলা রুজু করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত প্রাভিন হরিয়ানার গ্যাংস্টার মনোজ বাবার মূল সহযোগী। এই দুস্কৃতিকে গ্রেফতার করতে বেশ কয়েকবার তল্লাশি অভিযান চালানো হয় শেষমেশ সফল হয় বিধাননগর পুলিশের এন এস সিবিআই থানার পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে হরিয়ানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

সংসদ হামলায় গ্রেপ্তার ললিত ঝাঁর তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করছে কলকাতা পুলিশ, জানালেন কলকাতার নগরপাল

কলকাতা: সংসদ হামলায় গ্রেপ্তার ললিত ঝাঁর তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করছে কলকাতা পুলিশ, জানালেন কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল।ললিত ঝাঁ দীর্ঘদিন বৈধ নথি ছাড়াই কলকাতায়। কীভাবে? এবিষয়ে কি কলকাতা পুলিশ কোনো তদন্ত করছে? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,এই ব্যাপারে আমরা নজর রাখছি। তদন্তকারীদের সঙ্গে আমরা সহযোগিতা করছি। আর যা যা প্রয়োজন, সেবিষয়েও সহযোগিতা করা হবে।

সংসদ হানার পর রাজ্য বিধানসভার নিরাপত্তা নিয়ে তিনি বলেন, আমরা খুব এলার্ট। নিরাপত্তা নিয়ে সবসময় আমরা রিভিউ করি। শুধু বিধানসভা নয়, নবান্ন, মহাকরণ, হাইকোর্ট সহ সমস্ত গুরুত্বপূর্ন জায়গায় আমাদের স্পেশাল ব্রাঞ্চ থেকে রিজার্ভ ফোর্স, লোকাল পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত সমন্বয় রেখে কাজ করে সারা বছর। প্রতিটা ঘটনা আমাদের নতুন কিছু শেখায়। সংসদ হানায় কলকাতা যোগের ঘটনা আমাদের কাছে এক নতুন অভিজ্ঞতা। সেটা মাথায় রেখে চলব আমরা।

আমাদের শহর অত্যন্ত নিরাপদ শহর। ক্রাইম রেট কম। কলকাতার সুনাম আছে। আমরা নানা পরিকল্পনার মাধ্যমে অনভিপ্রেত ঘটনা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। বড়দিন ও বর্ষবরণে পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যাবস্থা থাকবে।

INDIA জোট বৈঠকে আসন রফা নিয়ে জোট শরীকদের নমনীয় হওয়ার নির্দেশ কংগ্রেসের

প্রথম বৈঠক হয়েছিল পাটনায়। তার পর বৈঠক হয় বেঙ্গালুরু এবং মুম্বইয়ে। চতুর্থ বারের জন্য বৈঠকের আসর বসল দিল্লিতে। দেশে তৈরি হওয়া বিজেপি বিরোধী জোট INDIA'র চতুর্থ সেই বৈঠক এখন চলছে দিল্লির অশোকা হোটেলে। সেই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা দেশ। কেননা এই বৈঠকেই ২৪'র ভোটযুদ্ধে জোট শরিকদের মধ্যে আসন রফা নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।

তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সংযুক্ত জনতা দলের নীতিশ কুমার, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব এরা সকলেই চেয়েছিলেন সেপ্টেম্বর মাসেই এই আসন রফার সূত্র বার করে নিতে। কিন্তু তখন তা কানে দেয়নি কংগ্রেস। এখন ৩ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে হেরে তাঁদের আর দর কষাকষির জায়গা নেই। আর তাই এদিনের বৈঠকে তাঁরা আসন রফা নিয়ে জোট শরিকদের নমনীয়তার ইঙ্গিতই দিল কংগ্রেস ।

জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটের আগে এই INDIA জোটের বৈঠকেই বিরোধী দলগুলির মধ্যে আসন রফার বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে। তিন রাজ্যের ভোটে কংগ্রেসের শোচনীয় পরাজয় এবং ব্যর্থতা নিয়ে শরিক দলগুলি জোটের নেতৃত্বে হাত শিবিরকে মানবে না কি, নিজেদের দাবিদাওয়া তুলে ধরবে, তা-ও এই বৈঠক থেকেই অনেকটা স্পষ্ট হবে। তবে তৃণমূলের মতো দলগুলি অনেক দিন ধরেই দাবি করে আসছে যে, যে রাজ্যে যে দল শক্তিশালী, সেই দলের নেতৃত্বে জোট হোক। তবে কেরল, পঞ্জাব কিংবা পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে, যে খানে শরিক দলগুলি রাজ্যস্তরে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, সেখানে জোট নির্বিঘ্নে হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। মমতা অবশ্য আগেই বাংলা নিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর দরজা খোলা। তিনি আলোচনার জন্য প্রস্তুত বাম ও কংগ্রেস উভয়ের সঙ্গেই। সেই সঙ্গে কৌশলে কংগ্রেসকে মমতা এও জানিয়ে দিয়েছেন যে, বাংলায় কংগ্রেসের মাত্র দু'টি আসন জেতা রয়েছে। তাই তিনি ২টির বেশি আসন কংগ্রেসকে ছাড়তে পারবে না। বামেরা অবশ্য মমতা বা তৃণমূলের সঙ্গে জোট না গড়ারই পক্ষপাতী।

তবে সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন INDIA জোটের বৈঠকে তিন রাজ্যে বিধানসভা ভোটে বিজেপির কাছে হারের পরে 'একলা চলো' নীতি থেকে সরে আসার বার্তা দিয়েছে কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, আসন রফা নিয়েও তাঁরা শরিক দলগুলিকে নমনীয় হওয়ারই ইঙ্গিত দিয়েছে। আগামী লোকসভা ভোটে বিভিন্ন রাজ্যে সহযোগী দলগুলির সঙ্গে আসন সমঝোতার লক্ষ্যে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গড়ার কথা ঘোষণা করেছে কংগ্রেস।

সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ওরফে কালীঘাটের কাকুর জামিন মামলার শুনানি কলকাতা হাইকোর্টে

কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ওরফে কালীঘাটের কাকুর জামিন মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টে। মঙ্গলবার মামলার শুনানি হয় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। মামলার শুনানি তে ইডির আইনজীবী দাবি করেন এস এস কে এম হাসপাতালকে আমরা বিন্দুমাত্র বিশ্বাস করিনা।

কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে বারবার বাধা সৃষ্টি করছে এস এস কে এম।শেষ চারমাস ধরে আমরা কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে পারিনি।১৪ জুলাই কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করার অনুমতি পায় ইডি বলে আদালতে জানায় আইনজীবী।চলতি বছরের ৩০ মে গ্রেফতার হন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তাদের দাবি শুধুমাত্র স্ট্রেস ছাড়া তার আর কোন সমস্যা তার নেই।

এরপর আদালত সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবীকে ইডিকে মেডিক্যাল রিপোর্ট দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। ইডি আরও দাবি করে ১৭ ই জুলাই থেকেই সুজয়কৃষ্ণ হাসপাতালেই আছেন।

এদিন সুজয়কৃষ্ণের স্বাস্থ্য নিয়ে এস এস কে এম হাসপাতালের সুপারের রিপোর্ট তলব করে আদালত।মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৫ ই জানুয়ারি দুপুর ২ টোয়।

*প্রাক্তনীরা তো বটেই শিক্ষক-শিক্ষিকা এমনকি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরাও বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দিলো রক্ত*


নদীয়া: 

রক্তদান শিবির এখন আর আগের মতন প্রতিকূলতার মতো পরিস্থিতিতে নেই। সরকারি বেসরকারি সামাজিক সংগঠন এমনকি সচেতন সুনাগরিকদের প্রচেষ্টায় এখন প্রায় সকলেই সচেতন। তাই রক্তের অভাবে মৃত্যুর হারও কমেছে অনেক। তবে নতুন ভোটারের মতন নতুন রক্ত দেওয়ার অভিজ্ঞতা ও আলাদা। বিশেষ করে স্কুলে পড়া ছাত্রছাত্রীদের।  

আজ নদীয়ার শান্তিপুর এম এন উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আগে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্কুলের মধ্যেই আয়োজন করে রক্তদান শিবিরের। যেখানে প্রাক্তনীরা বটেই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা শিক্ষা কর্মী থেকে শুরু করে অন্যান্য বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও আমন্ত্রিত হিসেবে এসে দিয়ে গেলেন রক্ত।  

বয়সজনিত কারণে বেশিরভাগ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীর ইচ্ছা থাকলেও এ মহান উদ্যোগে দাতা হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পারেনা।

তবে সে বাধাও অতিক্রান্ত হয়েছে আজ এম এন উচ্চ বিদ্যালয় এর রক্তদান শিবিরে , দেবজিৎ সেন দীপঙ্কর বিশ্বাসদের মতন দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়া ছাত্ররা আগামী উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য পড়াশুনায় রয়েছে ব্যস্ত কিন্তু বিদ্যালয়ে প্রাক্তনী হয়ে যাওয়ার আগে এ সুযোগ হাতছাড়া করেনি তারা। 

দেবজিত সেন বলে, স্কুলের বন্ধুরাই সামাজিক দায়িত্ব পূরণে মানুষের পাশে থাকার জন্য একটি সংগঠন গড়ে তুলেছে। তাই এ ধরনের নানা সামাজিক কর্মকান্ড বছরে মাঝেমধ্যে অনুষ্ঠিত হলেও রক্তদাতা হিসেবে ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে মাত্র কয়েক মাস আগে। তবে প্রথম রক্ত দিতে পেরে খুব আনন্দিত। 

অন্যদিকে দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়া অপর এক ছাত্র দীপঙ্কর বিশ্বাস জানায়, সম্প্রতি কয়েক মাস আগে বিদ্যালয়ের সার্ধশতবর্ষ পালনের সময় রক্তদানের বিভিন্ন রকম আয়োজন করলেও দাতা হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পারেনি বয়স জনিত কারণে। এবারে সেই ইচ্ছা পূরণ হলো। বিদ্যালয়ে প্রাক্তনী হওয়ার আগে রক্ত দিতে পেরে খুশি অন্যরাও। সপ্তম শ্রেণীতে পড়া চন্দন পাটোয়ারী অবশ্য রক্ত দেওয়ার উপযুক্ত বয়স হতে ঢের দেরি কিন্তু অন্যান্য রক্তদাতাদের সেবা- শুশ্রুষা করতে পেরে খুব খুশি। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পলাশ সাধুখাঁ জানান, বিদ্যালয়ে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করার পর ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে দিয়ে তাদের অভিভাবকদেরও সচেতন করা যায়। তার থেকেও বড় কথা আগামী প্রজন্মকে প্রস্তুত করা যায় রক্তদাতা হিসেবে। নবদ্বীপ ব্লাড ব্যাংক থেকে আগত প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যেই ৩০ জনের রক্ত সংগ্রহ করেছে। তবে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৫০ জন যা পূরণ হয়ে যাবে অল্প সময়ের মধ্যেই। এরপর বিকালে বিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আচরণ এবং উপস্থিতি সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক দক্ষতার জন্য পুরস্কৃত করা হবে ছাত্রছাত্রীদের।

*ভরদুপুরে মাদক দিয়ে সোনার গহনা ছিনতাই তমলুকের হাসপাতাল মোড়ে*


তমলুক : একদম ভরদুপুরে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে মাদকজাতীয় দ্রব্য শুকিয়ে একদম পুলিশের নাকের ডগায় এক মহিলার সোনার গহনা ছিনতাই করলো একদল দুষ্কৃতী।মহিলার বাড়ি তমলুকের ভান্ডারবেরিয়া গ্রামে।নাম আরতি মল্লিক।পেশায় সবজি ব্যবসায়ী এই মহিলা তমলুকের মেছো বাজারে সবজি বিক্রি করেন।সবজি বিক্রি করে তমলুকের হাসপাতাল মোড়ে নামেন ট্রেকার থেকে।আর তখনি এক অপরিচিত তাকে এসে টাকার ব্যাগ কুড়িয়ে পাওয়ার কথা বললে তিনি সামনেই ট্রাফিক পুলিশ এর চৌকিতে জমা করতে বলেন, পেছনে আর একজন এসে বলেন তার টাকার ব্যাগ হারিয়ে গেছে, তার পেছনে আরো একজন তাকে বলেন কুড়িয়ে পাওয়া টাকা ভাগ্ করে নেওয়ার জন্যে, রাজি না হওয়ায় তার নাকে একটি মাদকের শিশি ধরলে নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন আরতি দেবী, তাকে রাস্তার ধারে নিয়ে গিয়ে তার হাত থেকে সোনার বালা খুলে নেয় ছিনতাইকারীরা।নেশা মুক্ত হতেই সামনেই কর্তবরত ট্রাফিক ও সিভিককে বিষয়টি জানান। ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কে তমলুক বাসি

সরকারি অর্থে সোলার চালিত পাম্প দিয়ে গ্রামে করা হয়েছে পানীয়জল সরবরাহের ব্যবস্থা কিন্তু তা অকেজো

এসবি নিউজ ব্যুরো: সরকারি অর্থে সোলার চালিত পাম্প দিয়ে গ্রামে ব্যবস্থা করা হয়েছিল পানীয়জল সরবরাহের। কিন্তু তা অকেজো। কল আছে জল নেই। ভরসা এখন শুধু সেই হাত পাম্পের টিউবওয়েল। পুরুলিয়ার মানবাজার এক নম্বর ব্লকের ডাহা গ্রাম। জঙ্গলমহল ঘেসা এই গ্রামে জল সমস্যা মেটাতে ডিপ বোরিং করে গ্রামের ৫ টি জায়গাতে বসানো হয়েছে সোলার চালিত পাম্প। সেই পাম্প গুলির ৪ টি বর্তমানে অকেজো।

গ্রামের মানুষের অভিযোগ নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার সহ নিয়ম না মেনে কলের গভীরতা কম করার কারনে জল উঠছে না বোরিং গুলি থেকে। বাধ্য হয়ে তাই তাদের পান করতে হচ্ছে টিউবওয়েলের জল। বিরোধীদের অভিযোগ সঠিক ভাবে সরকারি টাকা খরচ করলে দুটি বোরিং এর জলই যথেষ্ট এই গ্রামের জন্য। বিজেপি তুলছে শাসকের কাটমানি প্রসঙ্গ।

শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্যা স্বীকার করেছেন গ্রামের জল সমস্যার কথা। তিনিও চাইছেন সমস্যার সমাধান হোক।

কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে কেনই বা মাত্র একটি গ্রামের ভূগর্ভে এতগুলি খনন কার্য? অত্যাধুনিক যন্ত্রের মান কি তাহলে নিম্নমানের ছিল? নাকি বিরোধীদের অভিযোগই সত্যি। প্রশ্ন রয়েছে অনেক উত্তর তবু অধরা।

বনেই আয়োজন এক শত গোপালের বনভোজন

এসবি নিউজ ব্যুরো: শীত পড়তেই বনভোজনের উৎসবে মুখর হয়ে ওঠে গোটা বাংলা । শীতকাল মানেই নতুন চাল আর গুড়ের পিঠে পায়েস , কমলালেবু আর হ্যাঁ অবশ্যই চড়ুইভাতি। তবে এত মানুষের কথা কিন্তু দেবদেবীরাও এর বাইরে নয়। বিশেষত গোপাল তাদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ এবং গৃহস্থের বাড়ির সন্তান সম। এমনও বহু ভক্তদের বাড়ি আছে যেখানে তারা কোথাও গেলেও সাথে করে নিয়ে যান ধাতব গোপালকে। কখনোই তালা বন্দী অবস্থায় তাকে রাখেন না। শিশু অবস্থায় অন্য শিশুদের সঙ্গে মেলামেশা একান্তই প্রয়োজন ।

সেই কথা ভেবেই প্রতিবছর শীতকালে শান্তিপুর নৃসিংহপুর মেথির ডাঙ্গা পাম্পের ঘাট কলাবাগানে সমগ্র শান্তিপুরের সীতানাথ অর্থাৎ অদ্বৈত আচার্যের ভক্তবৃন্দ এই আয়োজন করে থাকেন। যেখানে আশেপাশের এলাকার সমস্ত গোপাল সেবাইতরা তাদের গোপালকে নিয়ে উপস্থিত হন বনভোজনে। সংখ্যাটা প্রায় ২ শতাধিকেরও বেশি। সাথে অবশ্যই তাদের সেবাইত এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও আছেন। তাদের সকলের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে অন্ন অর্থাৎ সাদা ভাত, মুগের ডাল, শীতকালীন সবরকম আনাজ দিয়ে একটি তরকারি, পায়েস নতুন গুড়ের রসগোল্লা।

তবে যাদের জন্য মূল আয়োজন অর্থাৎ আরাধ্য দেবতা গোপাল তাদের জন্য থাকছে কমলালেবু সহ শীতকালীন সব রকম ফলমূল, শীতকালীন সকল রবিশস্য এবং আনাজের প্রায় ১৭ টি নানান রকম পদ ,পুষ্পান্ন পরমান্ন সহ পিঠে পায়েস সহ নানা প্রকারের মিষ্টান্ন, সবমিলে ৫৬ ভোগ।

ভক্তরা শীতবস্ত্র পরিয়ে গোপালকে সাথে নিয়ে কাটাবেন সারাদিন।

উদ্যোক্তারা অবশ্য শুধু ধর্মীয় বিষয় নয় পরিবেশ রক্ষায় নানান রকম সামাজিক বার্তা দিয়েছেন মেলা প্রবেশের মাঠে প্রবেশের প্রধান পথে।

*পূর্ব মেদিনীপুর জেলাশাসক দপ্তরে পশ্চিমবঙ্গ প্রতিবন্ধী ঐক্যমঞ্চের ডেপুটেশন*

তমলুক: অন্তদয় যোজনা- আবাস যোজনায় প্রতিবন্ধীদের অন্তর্ভুক্তিকরণ, মানবিক ভাতা বাড়ানো, বাসে হয়রানি বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে আজ পশ্চিমবঙ্গ প্রতিবন্ধী ঐক্যমঞ্চের পক্ষ থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাশাসক দপ্তরে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। সংগঠনের রাজ্য যুগ্ম আহ্বায়ক সৈকত কুমার কর এবং জেলা আহ্বায়ক সুব্রত ভৌমিকের নেতৃত্বে প্রতিবন্ধীরা নিমতৌড়ি বাস স্ট্যান্ড থেকে জেলাশাসক দপ্তরে মিছিল করে যায়।

সেখানে বিক্ষোভ সভা করে এবং জেলা শাসককে স্মারকলিপি প্রদান করে। সৈকত বাবু বলেন রাজ্যজুড়ে প্রতিবন্ধীদের নানান দাবি নিয়ে বিশেষত মর্যাদার সাথে বাঁচার দাবি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ প্রতিবন্ধী ঐক্যমঞ্চ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আজকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাসকের কাছে আমরা প্রতিবন্ধীদের জীবনের মৌলিক সমস্যা গুলো নিয়ে অভিযোগ জানাচ্ছি। ব্যবস্থা না গ্রহণ হলে আরো সংগঠিত বৃহত্তর আন্দোলন হবে।

DYFI'র ইনসাফ যাত্রা


উত্তর ২৪ পরগনা: গত ৩রা নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া DYFI'র ইনসাফ যাত্রা আনুমানিক ২৬০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে আজ পৌঁছালো পানিহাটিতে। বেকার যুবকদের একাধিক দাবিকে সামনে রেখে DYFI'র ইনসাফ যাত্রা শেষ হবে আগামী ৭ই জানুয়ারি ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের সভার মধ্যে দিয়ে। ইনসাফ যাত্রা উপলক্ষ্যে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের উৎসাহ উন্মাদনা ছিল চূড়ান্ত। ইনসাফ যাত্রার নেতৃত্ব দিচ্ছেন DYFI সর্বভারতীয় সম্পাদিকা মিনাক্ষী মুখার্জী সহ রাজ্যের একাধিক নেতৃত্ব।