সন্ত্রাসবাদ রুখতে সুন্দরবনের সুরক্ষা নিয়ে নয়া পরিকল্পনা বিএসএফের

সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ অঞ্চলকে সুরক্ষিত রাখতে বিএসএফের তরফ থেকে নেওয়া হল উদ্যোগ। চোরাচালান ও অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সুন্দরবনকে রক্ষা করতে বিএসএফের তরফে ১,১০০ জনেরও বেশি কর্মীকে রাখা হবে । শুধু তাই নয় সুন্দরবনকে রক্ষা করতে প্রায় ৪০ টি ড্রোনের একটি স্কোয়াড্রন এবং অল-টেরেন ভেহিকেল (এটিভি) রয়েছে। জানা গিয়েছে, কলকাতায় অবস্থিত সীমান্ত বাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড এই পরিকল্পনার ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করেছে ।

তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে এই ব্লুপ্রিন্ট পরিকল্পনা। সুন্দরবন ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের একটি কৌশলগত ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। তাই জটিল অরণ্য ও নদীতীরবর্তী এলাকাটি সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের আন্তঃসীমান্ত অনুপ্রবেশের জন্য ব্যবহার করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই ওই অঞ্চলকে নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত বিএসএফরা। বর্তমানে বিএসএফ প্রায় ৫০টি ছোট-বড় স্পিডবোট ও জাহাজের বহর নিয়ে সুন্দরবন এলাকায় টহল দিচ্ছে। জাহাজগুলোকে বলা হয় ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট (বিওপি)।

বর্তমানে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে ভারতের পূর্ব দিকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পুরো ৪,০৯৬ কিলোমিটার পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ২,২১৬.৭ কিলোমিটার পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত। এই ২,২১৬.৭ কিলোমিটারের মধ্যে ৩০০ কিলোমিটার সুন্দরবনের নদী সীমানা। বিএসএফটহল দল বর্তমানে সুন্দরবনে প্রতিনিয়ত চলাচলকারী ভাসমান জাহাজগুলিতে করে পরিদর্শন করছে। একথায় সুন্দরবনকে রক্ষা করতে তৎপর বিএসএফ বাহিনীরা।

তারাপীঠ মন্দির কমিটির তরফে বিশেষ নির্দেশিকা জারি,নো সেলফি

 এসবি নিউজ ব্যুরো: পর্যটক থেকে পূজারী সকলকেই এবার থেকে তারাপীঠ মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম মানতে হবে।তারাপীঠ মা তারা মন্দিরে এসে মায়ের পূজো দেওয়ার পর মায়ের সাথে একটা ছবি তোলার ইচ্ছে সকলেরই থাকে। কিন্তু আগামীকাল থেকে সেই ইচ্ছায় ঘাটা পড়তে চলেছে দর্শনার্থীদের।

তারাপীঠ তারামাতা সেবাইত সংঘ এবং মন্দির কমিটির তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে মা তারার গর্ভগৃহে ছবি তোলা এবং মায়ের সঙ্গে ছবি তোলা (সেলফি) সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এছাড়াও কোন সহকারি পূজারী ও দর্শনার্থীদের স্মার্টফোন নিয়ে মন্দির চত্বরে প্রবেশ করা যাবে না।ছবি তুলতে তুলতে কোন পূজারি অথবা দর্শনার্থী গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে পারবেন না।

*কমরেড বাসুদেব আচারিয়ার স্মরণ সভা*

এসবি নিউজ ব্যুরো: প্রয়াত কমরেড বাসুদেব আচারিয়ার স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হল পুরুলিয়ায়। এদিন এই সভায় বক্তব্য রাখেন রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সূর্যকান্ত মিশ্র ও সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি । সাংবাদিক সম্মেলনে সীতারাম ইয়েচুরি বলেন , "INDIA জোটে তারা আছেন । কিন্তু রাজ্যের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাজ্যের আলাদা আলাদা জোট হবে ।আবার পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবে বামফ্রন্ট। সঙ্গে সঙ্গে সংসদ হামলার ঘটনায় বিজেপিকে তীব্র নিশানা করে বলেন, '' যার অনুমতি পত্র নিয়ে সংসদ ভবনে যে সকল ব্যক্তি ঢুকে গ্যালারি থেকে ঝাঁপ দিয়ে রঙ্গিন গ্যাস ফাঠানো হয়েছিল ।সেই সংসদ বিজেপির হওয়ায়‌ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কিন্তু যারা প্রশ্ন তুলেছিল তাদেরকেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে।"

তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলায় ভাঙলো বুকের পাঁজর বিজেপি কর্মীর

 এসবি নিউজ ব্যুরো: ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি ব্লকের অন্তর্গত মাগুরমারি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝাড় মাগুরমাড়ির পাইকার পাড়া এলাকায়। অভিযোগ এদিন বিজেপি কর্মী এফাজুদ্দিন বাড়ির কাজের জন্য শ্রমিক ডাকতে যায় বাড়ির পাশেই কিছুটা দূরে। সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী মহম্মদ আজাদ ও মহম্মদ রাজু ,দুই ব্যাক্তি অতর্কিত বিজেপি কর্মীর উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। মাটিতে ফেলে চলে বেধড়ক মারধর। চলে লাথি, চর, ঘুসি, এতেই গুরুতর আহত হন বিজেপি কর্মী।

খবর পেয়ে আহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যায় ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর রেফার করা হয় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। কর্তব্যরত চিকিৎসকের প্রাথমিক অনুমান বুকের পাঁজর ভেঙে থাকতে পারে। ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধূপগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ জানাবেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানান।

পাস দেওয়া বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক কেন্দ্রীয় সরকার, সংসদ ভবনে হামলার প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে তোপ অরূপ রায়ের

 এসবি নিউজ ব্যুরো: সংসদ ভবনে আক্রমণের ২২ বছর পূর্তির দিনেই ফের লোকসভা চলাকালীন হামলার ঘটনা ঘটে। আর এই হামলার দায় কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপির বলেই দাবি করলেন বাণিজ্যিক খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যান পালন মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন,' যে বিজেপি সাংসদ এদেরকে সাংসদ ভবনে ঢোকার জন্য পাস দিয়েছিলো, তার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার কড়া ব্যবস্থা নিক।

আমরা এই ঘটনাতে সরাসরি বিজেপিকেই দায়ী করছি। ওই সাংসদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।" এছাড়াও মহুয়া মৈত্র এমন কোন কাজ করেন নি যার জন্য তার সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া হল। আসলে মহুয়া স্পষ্টবাদী তাই তাকে কেন্দ্রীয় সরকার ভয় পায়। সে আবার তার লোকসভা কেন্দ্র থেকে দ্বিগুন ভোটে জয়ী হয়ে আসবে।'

এছাড়াও তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে সাংসদ ভবন কাণ্ডের মূল চক্রান্তকারী ললিতের ছবি প্রসঙ্গে মন্ত্রী দাবি করেন,' এখন সবার হাতেই ক্যামেরাযুক্ত মোবাইল ফোন থাকে। কেউ যখন খুশি ছবি তুলতেই পারে, এটা বলা যায় না। যদিও সাংসদ ভবনের নিরাপত্তা আরও শক্তপোক্ত হওয়া উচিৎ ছিল। যে কেউ হাতে স্মোক বোম্ব নিয়ে ঢুকে পড়ছে। আমি তো এটাও শুনেছি তাদের নিজেদের গায়ে আগুন জ্বালানোর পরিকল্পনাও ছিল।' পাশাপাশি, বিজেপি শিবিরের তোলা তৃণমূল মানেই চোর স্লোগানকে কটাক্ষ করে মন্ত্রী বলেন,' দেশবাসী জানে কারা চোর।'

আজকের ম্যারাথনের কিছু মুহূর্ত ছবি ধরা পড়েছে আমাদের *চিত্রগ্রাহক: সঞ্জয় হাজরা (খবর কলকাতা)* ক্যামেরায়
অকাল নিম্নচাপ কেটে গেলেও তার জেরে বর্তমানে ক্ষতির মুখে নদীয়ার ফুল চাষিরা

নদীয়া:নদীয়ার ধানতলা থানা এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে চাষের জমি। আর এখানে অধিকাংশ চাষীরা চাষ করেন ফুল। ফুল চাষের উপরই তাদের জীবিকা নির্ভরশীল। এই সমস্ত এলাকায় গাঁদা,রজনীগন্ধা, গেদুওলাশ,চন্দ্রমল্লিকা, গোলাপ,সহ বিভিন্ন রকমের ফুল চাষ করা হয়। এখান থেকেই ফুল পাড়ি দেয় দিল্লি, গুজরাট,আসাম,কুচবিহার, শিলিগুড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায়।

চাষিরা ফুল নিয়ে বিক্রি করতে আসেন নদীয়ার ধানতলা নোকারি ফুলের বাজারে। রানাঘাট স্টেশন থেকে কয়েক কিলোমিটার ভিতরেই ধানতলা নোকারী ফুলের বাজার। স্বাভাবিকভাবেই কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতারা আসেন ফুল কিনতে। এছাড়াও বিভিন্ন জেলা ছাড়িয়ে রাজ্য থেকেও ক্রেতা অর্ডার দিয়ে যাচ্ছেন ফুলের। আর সেই ফুল প্যাকিং হয়ে পৌঁছে যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়।

তবে এবছর ঠান্ডা কিছুটা দেরিতে পড়লেও সেভাবে সমস্যায় পড়তে হয়নি ফুল চাষীদের। চাষীদের কথায় এ বছর তারা সেভাবে দামও পাচ্ছেন না ফুলের। অন্যদিকে অকাল নিম্নচাপ বৃষ্টির জেরে ফুল গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এছাড়া বৃষ্টির কারণে ফুলের কালার নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যার ফলে ফুলের দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। আর তাই ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে ফুল চাষীদের।

*কোলাঘাটে সুন্দরী প্রতিযোগিতা,মহিলাদের উন্মাদনা*

কোলাঘাট: রাজ্যের আটটি জেলার প্রায় শতাধিক মেকআপ আর্টিস্ট তাদের সাজানো মডেলদের মঞ্চে উপস্থাপিত করেন।

প্রতিযোগিতা হয় ব্রাইডাল, ক্রিয়েটিভ এবং রেট্রো লুক এই তিনটি বিভাগে। সব বিভাগ মিলে মোট ষোলোজনকে স্বর্ণ ও রৌপ্য অলঙ্কার, শাড়ি, স্মারক এবং ট্রফি প্রদান করে পুরস্কৃত করা হয়। মেকআপ আর্টিস্টদের শিল্প ভাবনায়, সাজস্বজ্জার বৈচিত্র্যে এবং ঝলমলে উপস্থাপনায় উপস্থিত দর্শকবৃন্দ মুগ্ধ হন

উৎসব কমিটির পক্ষে বিউটিসিয়ান সোমা বেরা জানান রূপচর্চা এখন বৃহৎ শীল্পে পরিণত হয়েছে। সেই শিল্প এবং শিল্পীদের সম্মান জানাতে এই আয়োজন। এই আয়োজন ঘিরে আগ্রহী দর্শকদের ভিড় হয়েছিল উল্লেখযোগ্য।

উল্লেখ্য , হরেকরকম অনুষ্ঠান, প্রতিযোগিতা, প্রর্দশনী এবং গ্রামীণ মেলার আয়োজন সমৃদ্ধ কোলাঘাট উৎসবের আজ ই ছিল উৎসবের সমাপ্তি দিন।

খাস কলকাতায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

নোনাপুকুর এলাকার একটি বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ করে ভয়াবহ আগুন লেগে যায়। সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে। বাড়ি থেকে গলগল করে বের হচ্ছে কালো ধোঁয়া। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন দমকল কর্মীরা।

মনে করা হচ্ছে আগুন লাগার জেরে এখনও বেশ কয়েকজন ওখানে আটকে পড়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোন প্রাণহানির খবর পাওয়া যায় নি। কী করে এই আগুন লাগলো তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।

কলকাতায় ১১ তম টাটা স্টিল কলকাতা 25k ম্যারাথন

খেলা

কলকাতা: রবিবার সকালেই শুরু হয় ১১ তম টাটা ম্যারাথন । ভোর রাত থেকে রেড রোডে জমায়েত হন মানুষজন। এদিনের অনুষ্ঠানে শুরুতে উপস্থিত ছিলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, কলকাতা পুর পারিষদ তথা বিধায়ক দেবাশীস কুমার। সকলের মত স্বাস্থ্য সচেতনতা সবসময় প্রয়োজন, আগামী দিনে এই কর্মসূচি আরও বেশি হোক বলেই মনে করছেন তারা।এদিন, সাংবাদিকদের সামনে রাজ্যপাল বোস বলেছেন, “ভারত দৌড়চ্ছে, কলকাতা দৌড়চ্ছে, বাংলা দৌড়চ্ছে, পুরো পৃথিবী দৌড়চ্ছে। আমরা সকলে দৌড়চ্ছি একতা, শান্তি,সম্প্রিতীর জন্য।” রাজ্যপালের কথায়, রাজনীতি খেলাধুলার মধ্যে প্রবেশ করলে গন্ডগোল বাধে। তাই সকলের মধ্যে ‘স্পোর্টসম্যান’ স্পিরিট থাকা প্রয়োজনীয়। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, “শরীর স্বাস্থ্য ভাল না থাকলে কোনও কাজ ভাল হয় না। এখানে যাঁরা প্রতিযোগী তাঁরা সবাই প্রথম হবেন এমন কোনও ব্যাপার নেই। কিন্তু অংশ গ্রহণ করাই বড় ব্যাপার। একদিন দৌড়লে হবে না, রোজ দৌড়তে হবে।" প্রচুর সাধারণ মানুষ এদিনের এই ম্যারাথনে যোগদান করেন। ভারতীয় দের মধ্যে ছেলে ও মেয়েদের বিভাগে জয়ী হন