*আজকের রাশিফল ১৭ই এপ্রিল (সোমবার)*


মেষ রাশি: আর্থিক দিক থেকে আজকের দিনটি খুব একটা সুবিধের নয়। তাই, অযথা অর্থব্যয় থেকে আজ বিরত থাকুন। শারীরিক দিক থেকে আজ সতর্ক থাকতে হবে।

বৃষ রাশি: বাড়িতে আজ অতিথিদের আগমন ঘটবে। পাশাপাশি, তাঁদের সাথে দুর্দান্ত সময়ও কাটবে। আপনি আজ আপনার কোনো সমস্যার কথা পরিবারের সদস্যদের জানাতে পারেন।

মিথুন রাশি: আর্থিক দিক থেকে আজকের দিনটি নিঃসন্দেহে ভালো। তবে, অযথা অর্থব্যয় থেকে আজ বিরত থাকুন। আপনার সন্দেহপ্রবণ মানসিকতাকে আজ দূরে সরিয়ে রাখুন।

কর্কট রাশি: এই রাশির বিবাহিত ব্যক্তিরা আজ তাঁদের শ্বশুরবাড়ির কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য পেতে পারেন। আপনার শরীর আজ সুস্থ থাকবে।

সিংহ রাশি: রাত্রে অফিস থেকে বাড়িতে ফেরার সময়ে আজ আপনার সাবধানে গাড়ি চালানো উচিত। কোথাও অর্থ বিনিয়োগের জন্য আজকের দিনটি ভালো।

কন্যা রাশি: আপনার কোনো বড় কৃতিত্বে আজ আপনার পরিবারের সদস্যরা খুশি এবং গর্বিত হবেন। আপনি আজ অবসর যাপনের আনন্দ উপভোগ করতে পাতুলা রাশি জীবনকে স্থায়ীভাবে একটি নির্দিষ্ট দিশায় সচল রাখতে আপনার জীবনশৈলী পরিবর্তন করার চেষ্টা করুন। আজ আপনি আপনার জীবনে দীর্ঘসময় ধরে চলা কোনো উত্তেজনা এবং মানসিক চাপ থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন।

বৃশ্চিক রাশি: আপনার মধ্যে আজ ভরপুর আত্মবিশ্বাস বজায় থাকবে। তাই, এই দিনটিকে কাজে লাগান। আর্থিক দিক থেকেও আজকের দিনটি নিঃসন্দেহে ভালো।

ধনু রাশি: আর্থিক লেনদেন আজ নিরবিচ্ছিন্নভাবে সারা দিন যাবৎ চলবে এবং দিনের শেষে আপনি যথেষ্ট পরিমানে অর্থ সঞ্চয় করতে সক্ষম হবেন। আপনি আজ কোনো সামাজিক কাজকর্ম এবং দান-ধ্যানের মাধ্যমে সময় অতিবাহিত করবেন।

মকর রাশি: আপনি আজ আপনার স্ত্রীর সাথে আর্থিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন এবং ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ের পরিকল্পনাও করতে পারেন। প্রতিটি কাজ আজ মাথা ঠান্ডা রেখে করার চেষ্টা করুন।

কুম্ভ রাশি: পরিবারের কোনো গোপন খবর জানতে পেরে আপনি আজ অবাক হয়ে যাবেন। সাফল্য অর্জনের জন্য আজ থেকেই সঠিকভাবে পরিশ্রম শুরু করুন। আর্থিক দিক থেকে আজ অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।

মীন রাশি: কোনো প্রতিবেশীর সাথে ঝগড়ার কারণে আপনার মেজাজ আজ খারাপ হয়ে যেতে পারে। আপনি আজ কোনো সৃষ্টিশীল কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়তে পারেন। প্রেমের জন্য আজকের দিনটি ভালো।

*হাসপাতালে ভর্তি শুভেন্দু অধিকারী*


হাসপাতালে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি পটাশপুরের বিজেপি নেতা তাপস মাঝি।

তার সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করার বেশ কিছু ছবি ট্যুইট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার সন্ধ্যায় একটি অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় তার ওপর তৃণমূল বাহিনী হামলা চলায় বলে দবি করা হয়েছে ট্যুইট বার্তায়। শুভেন্দু এও উল্লেখ করেছেন যে গত এক বছরে এই নিয়ে তিনবার হামলা করা হল তার ওপর। আক্রান্ত বিজেপি নেতার দিকে পুলিশ সাহায্যের হাত বাড়ায়নি বলে সুর চড়িয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। অভিযোগ, পুলিশের তরফে কোনো সাহায্য মেলেনি। আক্রান্ত বিজেপি নেতাকে কলকাতায় নিয়ে আসেন দলেরই কর্মীরা। জখম কর্মীর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন শুভেন্দু। সেই সঙ্গে হামলার কথা উল্লেখ করে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করার পরামর্শ দেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

*गर्मी की लहर के कारण कल से गरमी की छुट्टी, मुख्यमंत्री ने की घोषणा*


प्रदेश के लोग भीषण गर्मी से बेहाल हैं । पहले ही पारा 40 डिग्री सेल्सियस तक पहुंच चुका है। उस पर लू बरस रही है। ऐसे में घर से बाहर निकलना मुश्किल हो गया है. और इन्हीं बातों को सोचते हुए मुख्यमंत्री ममता बनर्जी ने रविवार को एक बड़ा ऐलान किया।

उन्होंने सोमवार से राज्य के सभी सरकारी स्कूलों, कॉलेजों और विश्वविद्यालयों के दरवाजे बंद करने की घोषणा की। यह अवकाश शनिवार तक रहेगा।राज्य सरकार की ओर से जल्द ही अधिसूचना जारी की जाएगी।

ईद को लेकर शनिवार को सभी सरकारी शिक्षण संस्थान बंद रहेंगे। नतीजतन, पूरे हफ्ते छुट्टी है। मुख्यमंत्री ने निजी शिक्षण संस्थानों को भी छुट्टी देने का अनुरोध किया।

*তাপপ্রবাহের জেরে আগামিকাল থেকে পড়ছে গরমের ছুটি, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর*

প্রচন্ড গরমে নাজেহাল রাজ্যবাসী। ইতিমধ্যেই তাপমাত্রার পারদ পৌঁছিয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। তার ওপর বইছে লু। এই পরিস্থিতিতে বাড়ির বাইরে বেরনো মুশকিল হয়ে পড়েছে। আর এসব কথা ভেবেই রবিবার বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার থেকেই রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা বন্ধ করার ঘোষণা করলেন তিনি। শনিবার পর্যন্ত চলবে এই ছুটি।শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে রাজ্য সরকারের তরফে। শনিবার ঈদের জন্য বন্ধ থাকবে সমস্ত সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে পুরো সপ্তাহটাই ছুটি থাকছে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলিকেও ছুটি দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

*সভা থেকে অমিত শাহকে আক্রমণ করলেন ফিরহাদ হাকিম*

সিউড়ির সভা থেকে গরু পাচার মামলা নিয়ে সুর চড়ালেন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম। সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের ওপর দায় চাপিয়ে তিনি বলেন, ''বিএসএফ অনুপ্রবেশকারী ঢোকালে তার দায় আপনার।গরুর টাকা নিয়েছে উত্তর প্রদেশের বিজেপি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আর বিএসএফের রক্ষাকর্তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।''

*বাংলায় এনকাউন্টারে মেরে ফেলা হয় না! সুর চড়ালেন ফিরহাদ*

আতিক আহমেদের মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে বীরভূমের সভা থেকে সুর চড়ালেন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম। বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, ''উত্তরপ্রদেশের মতো বাংলায় এনতাউন্টারে মেরে ফেলা হয় না।'' প্রসঙ্গত, তিহার জেলে গরু পাচার মামলায় বন্দি বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

তার গড়ে সভা করে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রবিবার পাল্টা সভা করছে তৃণমূল। অনুব্রতর গড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধ নীতির প্রতিবাদে এই সভার দায়িত্ব ফিরহাদ হাকিমকে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই যোগী রাজ্যে এনকাউন্টার নিয়ে এক হাত নিলেন তিনি।

*বইছে লু, ঝরছে ঘাম! জেনে নিন আজকের আবহাওয়া*


‘লু’-র দাপট আর রোদের তেজে জ্বলছে পশ্চিমবঙ্গ। ৪২ ডিগ্রিতে পানাগড়। ৪১ ছুঁয়ে ফেলেছে বাঁকুড়া, বর্ধমান, সল্টলেক। সাত বছর পর গ্রীষ্মের শুরুতেই চল্লিশে কলকাতা।আপাতত সোমবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা। আরও লম্বা হতে পারে গরমের ইনিংস।

বৃষ্টির কোনও আশা নেই, এমনই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতরের । রবিবার রাজ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৪১.৯ °সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ৩১.৫° সেলসিয়াস। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে ৪৩ ডিগ্রি ছুঁই-ছুঁই।

*আজকের রাশিফল ১৬ই এপ্রিল (রবিবার) *


মেষ: সুসংবাদ পাবেন। পরিবারের কোনো সদস্য সাফল্য লাভ করবেন।লেনদেনের সময় সতর্ক থাকুন। ঋণের টাকা ফিরে পাবেন।

বৃষ: সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবেন। ব্যবসার পরিস্থিতি ভালো থাকবে। বয়স্কদের স্বাস্থ্যে ওঠানামা থাকতে পারে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দিন কাটাবেন। আত্মীয়দের পক্ষ থেকে সুসংবাদ পাবেন।

মিথুন: তরুণ-তরুণীদের ক্যারিয়ার অগ্রসর হবে। ব্যবসার পরিস্থিতি ঠিক থাকবে। বন্ধু বা আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা হতে পারে। অধিকাংশ দায়িত্ব পূর্ণ করতে পারবেন।

কর্কট: ব্যবসায় সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। অফিসে সহকর্মীর সহযোগিতা লাভ করবেন। কারো কথায় কষ্ট পেতে পারেন। কথাবার্তার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন।

সিংহ: জীবনসঙ্গীর সাহায্য লাভ করবেন। লোন সংক্রান্ত কাজ পূর্ণ হবে। ব্যবসা বাড়ানোর কথা চিন্তা-ভাবনা করবেন। সামাজিক দায়িত্ব লাভ করবেন।

কন্যা: সহজেই কাজ পূর্ণ করবেন। দাম্পত্য জীবন ভালো কাটবে। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কে মাধুর্য বাড়বে। অবিবাহিতরা বিয়ের প্রস্তাব পেতে পারেন।

তুলা: পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতা লাভ করবেন। পড়ুয়াদের সমস্যা দূর হবে। বিশেষজ্ঞদের সাহায্য লাভ করবেন। জমি সংক্রান্ত বিবাদের সমাধান হবে। অপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যয় করবেন না।

বৃশ্চিক: আর্থিক লাভ হতে পারে। বিরোধীরা শান্ত থাকবে। অফিসের দায়িত্ব পূর্ণ করবেন। অনেক দিন পর পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হতে পারে।

ধনু: ব্যবসা ভালো চলবে। লেনদেনের সময় সম্পূর্ণ তথ্য যাচাই করে নিন। স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। পড়ুয়াদের অধিক পরিশ্রম করতে রবে।

মকর: আর্থিক সমস্যা দূর হবে। চাকরিজীবীরা পদোন্নতির সংবাদ পেতে পারেন। দাম্পত্য জীবনে আনন্দ থাকবে। নতুন কাজ শুরু করতে পারেন।

কুম্ভ: আর্থিক পরিস্থিতি ভালো থাকবে। কোনো দায়িত্ব পূরণে আলস্য করবেন না। অহেতুক কোনো বিবাদে জড়াবেন না। প্রায় সব কাজ পুরো হবে।

মীন: সামাজিক দায়িত্ব লাভ করতে পারেন। মানসম্মান বাড়বে। বিরোধীদের থেকে সতর্ক থাকুন। অসহায় ব্যক্তির সাহায্য করবেন।

*গোপাল দলপতির বাড়িতে ফের সিবিআই হানা*


নিজেকে 'সুবোধ' বলে দাবি করলেও ইডি-র নজরে ছিলেন গোপাল দলপতি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গোপাল দলপতির বিরুদ্ধে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য রয়েছে ইডি-র চার্জশিটে। এবার তাঁর পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালাল সিবিআই।

বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনেই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের কণ্ঠে শোনা গিয়েছিল গোপাল দলপতির দ্বিতীয় স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। যদিও সেই সময় হৈমন্তীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন গোপাল। তাঁর দাবি ছিল, হৈমন্তী এই বিষয়ে কিছু জানেন না। একইসঙ্গে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হতে চলেছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

*বিশেষ নিবন্ধ* নববর্ষ, নতুন ধানের মত


ড. অরবিন্দ শীট

রবীন্দ্রনাথের আগমনী গান ‘এসো হে বৈশাখ এসো হে, এসো হে’-এর মাধ্যমে নতুন বর্ষকে বরণ করা হয়।বাংলার ছয়টি ঋতুর মধ্যে দিয়ে দুটি করে বারোটি মাস আবর্তিত হয়। নতুন বছরের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ…….. নববর্ষ বলে বরণ করে নেওয়া হয় এ দিনটিকে। নতুন সব জিনিসেরই আলাদা একটা বৈচিত্র্য আছে। নববর্ষ আসে তারুণ্যের প্রদীপ্ত প্রদীপ হাতে নিয়ে। আমাদের জীবনে ঐতিহ্যপূর্ণ এই দিনটি বছরের অন্য সব দিন থেকে সম্পূর্ণ আলাদাভাবে ধরা দেয়।

খাজনা আদায়ে সুবিধার জন্য মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তিনি মূলত প্রাচীন বর্ষপঞ্জিতে সংস্কার আনার আদেশ দেন। সম্রাটের আদেশে রাজকীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সেন এবং আরবি হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম প্রবর্তন করেন।

আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন শুরু হয়। তখন প্রত্যেককে বাংলা চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে বাধ্য থাকত। এর পর দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে ভূমির মালিকরা নিজ নিজ অঞ্চলের অধিবাসীদেরকে মিষ্টান্ন দ্বারা আপ্যায়ন করতেন।

ইংরেজি ক্যালেন্ডারের ১৪ বা ১৫ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পয়লা বৈশাখ হিসেবে পালিত হয়। জর্জিয়ান ক্যালেন্ডারের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় বাংলা নববর্ষ পালিত হয়।

বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন বৈশাখ। কৃষিভিত্তিক আমাদের এই দেশের সব আনন্দ উৎসবের নিবিড় যোগ রয়েছে ফসলের সঙ্গে। আমাদের নববর্ষের সাথেও সম্পৃক্ত রয়েছে ফসল বোনার আনুষ্ঠানিকতা। চৈত্র মাসে ফসল বুনলে ফলনের দিক থেকে ভালো হয় না এমন ধারণার বশবর্তী হয়ে বাংলার কৃষক সমাজ বৈশাখ মাসে ফসল বোনার সূচনা করে। তাছাড়া পহেলা বৈশাখে বাঙালিরা অতীতের সুখ-দুঃখ ভুলে নতুনের আহ্বানে সাড়া দেয়। নতুনকে গ্রহণ করার জন্য উদ্দীপ্ত হয়। তাই পহেলা বৈশাখকে নববর্ষ বলা হয়।

বর্তমানে নগরজীবনে নগর-সংস্কৃতির আদলে অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে নববর্ষ উদযাপিত হয়। পয়লা বৈশাখের প্রভাতে উদীয়মান সূর্যকে স্বাগত জানানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় নববর্ষের উৎসব। এ সময় নতুন সূর্যকে প্রত্যক্ষ করতে উদ্যানের বা লেকের ধারে ভোরবেলা নগরবাসীরা সমবেত হয়। নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করে। এদিন সাধারণত সকল শ্রেণীর এবং সকল বয়সের মানুষ ঐতিহ্যবাহী বাঙালি পোশাক পরিধান করে।

বাংলা নববর্ষ ও চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে উপজাতীয়দের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয়-সামাজিক উৎসব ‘বৈসাবি’ আনন্দমুখর পরিবেশে পালিত হয়। এটি পাহাড়িদের সবচেয়ে বড় উৎসব। এ উৎসবকে চাকমারা ‘বিজু’, মারমারা ‘সাংগ্রাই’ এবং ত্রিপুরারা ‘বৈসুক’ বলে আখ্যা দিলেও গোটা পার্বত্য এলাকায় তা ‘বৈসাবি’ নামে পরিচিত।

আমাদের জাতীয় চেতনা অর্থাৎ বাঙালি সত্তার সঙ্গে পহেলা বৈশাখের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। বাঙালি সমাজ-সংস্কৃতির অস্থিমজ্জার সঙ্গে একাকার হয়ে আছে বাংলা নববর্ষের মাহাত্ম। রূপকথার জিয়ন কাঠির মর্মস্পর্শে দূরীভূত হয় পুরানো দিনের সকল জরাজীর্ণতা। নতুনের ছোঁয়ায় রঙিন হয়ে ওঠে বাঙালির ক্লান্ত-শ্রান্ত জীবন। প্রতিবছর এ দিনটি আমাদের সামনে হাজির হয় নতুনের বার্তা- আশার আলো নিয়ে। তাই জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের কাছেই দিনটি হয়ে উঠে উৎসবমুখর।

পহেলা বৈশাখ-ই একমাত্র উৎসব যা কোনো ধর্ম বা গোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি গোটা জাতির তথা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অখণ্ড বাঙালি জাতির উৎসব। পহেলা বৈশাখের অনুষঙ্গে দেশের সকল মানুষ একই সময় অভিন্ন আনন্দ-অনুভূতিতে উদ্বেল হয়ে পড়ে। তারা নিজেদের মনে করে এক অখণ্ড সত্তা রূপে। ফলে জাতিগত সংহতি ও ঐক্য সুদৃঢ় হয়ে মানুষে মানুষে, ধর্মে ধর্মে, বর্ণে বর্ণে দূরত্ব কমে আসে। নববর্ষ পরিণত হয় একটি সার্বজনীন অনুষ্ঠানে।

আজ নববর্ষের এই শুভক্ষণে, আসুন, কবিকণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে আমরা বলি, “যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাবো সব জঞ্জাল, এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার”।