Jul 27 2022, 17:59
কাঁথিতে শুভেন্দুর পুজো মণ্ডপের খুঁটি এবং ব্যানার উধাওকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা
কাঁথিঃ রাজ্য জুড়ে চলছে ইডি আধিকারিকদের অভিযান। তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও বান্ধবী অর্পিতার ফ্ল্যাটে ভেতর থেকে টাকা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চরম বিপাকে পড়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই টাকা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে একাধিক রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেস সরব হয়েছে।
এরই মাঝে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপি নেতা সৌমেন্দু অধিকারী পরিচালিত ক্লাবের মণ্ডপের খুঁটি এবং ব্যানার উধাও করা অভিযোগ উঠল অধিকারী পাড়া কাঁথির করকুলিতে। এই অভিযোগ অবশ্যই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে।
কয়েকদিন আগে রথের দিন ঘটা করে এই পুজো করার জন্য খুঁটি পুজো করেছিলেন বিশেষ অতিথি তমলুকের (তৃণমূল সাংসদ)শিশির অধিকারীর সেজ ছেলে দিব্যেন্দু অধিকারী।
যদিও ক্লাবের স্থায়ী সভাপতি নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু আধিকারী। এবং সম্পাদক প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সৌমেন্দু অধিকারী ও বটে।গত কাল রাতে ক্লাবের মঙ্গলঘট ও মণ্ডপের খুঁটি,ব্যানার উধাও খবর ছড়িয়ে পড়তে চাঞ্চল্য ছড়ায়। জানাজানি হতেই খবর
পেয়ে তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী ঘটনা স্থলে সরেজামিনে দেখতে যান। প্রতিবেশীরা সহ ক্লাবের কর্মকর্তা গণ শাসকদলের দিকের অভিযোগের আঙ্গুল তুলে সরব হয়েছেন। অভিযোগ কাউন্সিলর অমুগামীদের দিকেও।
এ বিষয়ে সাংসদ বলেন, মায়ের পুজো জন্য খুঁটি পুজো করা হয়েছিল। আমরা বাঙালি ,হিন্দু ও সনাতনী সভ্যতায় বিশ্বাসী। ভারত সরকারের অনুমতি ক্রমে এই পুজো আমরা করছি। বিগত ৪০ বছর ধরে এই পুজো হয়ে আসছে। গত কয়েকদিন ধরে এলাকা উত্তপ্ত করার প্রয়াস করছে কেউ কেউ বলেও ওনার অভিযোগ।যারা এর পেছনে রয়েছে তারা পুজো কে নিয়ে রাজনীতি করতে চায় তারা কি ধরণের রাজনীতি করেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমি জড়িয়ে আমি তৃণমূল,শিশির বাবু এত দিন জড়িয়ে ছিলেন তিনি কংগ্রেস পরে তৃণমূল এখনো তৃণমূলের আছেন। কাঁথির পুলিশের প্রতি ভরসা নেই তাই ভারত সরকার কে আবেদন করবো জমি প্রটেক্ট করার উপযুক্ত ব্যাবস্থা নেওয়ার। পুজোর সাথে রাজনীতি যদি কেউ যোগ করে তা হলে নোংরা মানসিকতার পরিচয় দেবে।"
"ওপর দিকের জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি ও কাঁথি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি বলেন, আমরা পুজো নিয়ে রাজনীতি করিনা ওটা আমাদের কালচার নয়। সর্ব ধর্ম নিয়ে আমাদের সভ্যতার বিকাশ তাই আমাদের নেত্রী বলেন ধর্ম যে যার উৎসব সবার। বিরোধী দল নেতা হোক বা ওনার ভাই যেই হোক এই পুজো উদ্দোগতা তাতে কিছু আসে যায় না। ওরা আর আগে নিজেদের লোক দিয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়ে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছিলো।
পরে প্রমান হয়েছে কে করিয়েছিল। আসলে প্রচারের আলোয় আসতে চাইছেন ঐ বাড়িতে যারা থাকেন তারা একাধিক চুরি সহ মামলা চলছে ওদের নামে ফলে ঐ সব থেকে নজর ঘোরানই লক্ষ্যে। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে কাঁথির পুলিশ কে বলবো শুধু ঐ পুজো নয় সব কটি বড় পুজোর দিকে যেন সমান নজর থাকে ওনাদের। আর ওনাদের দিকে ওঠা সব অভিযোগ সম্পূর্ণ খারিজ ও করেন সুপ্রকাশ বাবু।

Jul 28 2022, 09:48