*বাজি মামলায় হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাইকোর্ট*
কলকাতা: দীর্ঘ সময় পরে এবছর ফের কলকাতার শহিদ মিনারে বসতে চলেছে বাজি বাজার । বৃহস্পতিবার বাজি সংক্রান্ত একটি মামলায় কোন হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৯ সালের কালীপুজো ও দীপাবলির আগে শেষ বার এই মেলার আয়োজন হয়েছিল কলকাতায়। তারপর কোভিড সংক্রমণের কারণে আর কলকাতার শহিদ মিনারে বাজি বাজার বসেনি। কিন্তু এ বার বাজী বাজারের অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। অনুমতি দিয়েছে কলকাতা পুলিশও। তার মাঝেই এই উৎসবের মরসুমে শব্দবাজি পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে বলে আশঙ্কা করে হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়।
কিন্তু সেই মামলায় বাজী বাজার নিয়ে হস্তক্ষেপ করল না , হাইকোর্টের পুজো অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি পার্থসারথি চ্যাটার্জীর ডিভিশন বেঞ্চ। ৩ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য ও রাজ্য দূষন নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে হলফনামা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তারপরে আবেদনের শুনানি হবে।১৭-১০-২০২৩এক বিজ্ঞপ্তিতে দূষন নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানায়, বাজীর শব্দসীমা ৯০ ডেসিবেল থেকে বাড়িয়ে ১২৫ ডেসিবেল করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় সবুজ মঞ্চ নামে সংগঠন।
শুনানিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আইনজীবী জানান, যে সময় সবুজ বাজি ছিল না সেই সময় শব্দসীমা ৯০ ডেসিবেল ছিল।কিন্তু ২০১৮ থেকে বাজারে সবুজ বাজি এসেছে এবং তার পরে সুপ্রিম কোর্টের গাইড লাইন মেনে শব্দসীমা ১২৫ ডেসিবেল করা হয়েছে। বিচারপতি জানতে চান,সবুজ বাজিতে রূপান্তরিত হলেই কি শব্দ কম - বেশি হয় ?
পর্ষদের আইনজীবী জানান,আগে বিস্ফোরণ স্থল থেকে ৫ মিটারের দূরত্ব ধরে শব্দসীমা ৯০ ডেসিবেল করা হয়েছিল, কিন্তু এখন বিস্ফোরণ স্থল থেকে ৪ মিটারের দূরত্ব ধরে সেটি ১২৫ ডেসিবেল করা হয়েছে।
Nov 02 2023, 19:38