টাটা স্টিল ওয়ার্ল্ড ২৫ কে কলকাতা
নিজস্ব প্রতিনিধি: কর্পোরেট সংস্থা, ব্যক্তিগত উদ্যোগ, দৌড়বিদ ও ৪০টি এনজিও মিলিয়ে টাটা স্টিল ওয়ার্ল্ড ২৫কে কলকাতায় সংগৃহীত হল  ৩২.১২ লক্ষ টাকা।সংগৃহীত এই তহবিল ১২টিরও বেশি সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যয় করা হবে, যা সমাজে অর্থবহ প্রভাব ফেলবে।"টাটা স্টিল ওয়ার্ল্ড ২৫কে" কলকাতার ঐতিহাসিক ১০ম সংস্করণের রেস উইক শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই দৌড় একঘেয়েমিকে রীতিতে এবং পার্থক্যকে উত্তরাধিকারতে রূপান্তরিত করেছে, পূর্ব ভারতের উদীয়মান সূর্য হিসেবে নিজের অবস্থান দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করেছে। ৪৩টি এনজিও, ২৬ জনের বেশি ব্যক্তিগত ফান্ডরেইজার এবং ১০টি কর্পোরেট সংস্থার সহায়তায়, হাজার হাজার দাতার অংশগ্রহণে, টাটা স্টিল ওয়ার্ল্ড ২৫কে কলকাতা এখনও পর্যন্ত দাতব্য খাতে ৩২.১২ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেছে। এই সংস্করণের ফান্ডরেইজিং চলবে ৩ জানুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত।
ইমপ্যাক্ট৩৬০ ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বে, যা এই ইভেন্টের ফিলান্থ্রপি পার্টনার, একটি ‘কারণ-নিরপেক্ষ’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগকে সমর্থন করে আসছে। এই প্ল্যাটফর্ম ব্যক্তি, তরুণ সমাজসেবী ও কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে বৃহত্তর সামাজিক পরিবর্তনের অংশ হতে অনুপ্রাণিত করে এবং এনজিওগুলিকে বাস্তব প্রভাব তৈরিতে সক্ষম করে।২০১৪ সাল থেকে এই প্ল্যাটফর্ম উত্তর-পূর্ব ও পূর্ব ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করা ৭৫টিরও বেশি এনজিওকে সহায়তা করে ৪.৭০ কোটিরও বেশি টাকা সংগ্রহ করেছে, যার ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। এই উত্তরাধিকার কেবল পদক বা ব্যক্তিগত সাফল্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি এক দশকের সামাজিক পরিবর্তন, উদারতার বিস্তার, উন্নততর সম্প্রদায় গঠন এবং গর্বের অনুভূতি তৈরি করেছে। এই আন্দোলন বিশ্ব দূরত্ব দৌড়ের মানচিত্রে কলকাতার নাম খোদাই করেছে।এই সংস্করণের ফিলান্থ্রপি ড্রাইভ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে ইমপ্যাক্ট৩৬০ ফাউন্ডেশনের সিইও দেবাশিস রায় চৌধুরী বলেন,“এই বছর টিএসডব্লিউ২৫কে ‘এক দশকের পার্থক্য’ উদযাপন করছে—বয়স ও সক্ষমতার ঊর্ধ্বে উঠে
অংশগ্রহণমূলক ক্রীড়ার পক্ষে দশ বছরের অঙ্গীকার এবং একই সঙ্গে দাতব্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সামাজিক উদ্যোগে ব্যাপক অংশগ্রহণে অনুপ্রেরণা। ফিলান্থ্রপি পার্টনার হিসেবে কর্পোরেট, সামাজিক সংগঠন, রানার্স ক্লাব ও ব্যক্তিগত দাতাদের অসাধারণ সমর্থনে আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। একসঙ্গে আমরা আগের কয়েক বছরের অবদানকেও ছাড়িয়ে গেছি, যা এই আন্দোলনের পেছনের সম্মিলিত আবেগকে প্রতিফলিত করে।”

ছবি সৌজন্যে: আয়োজক সংস্থা।
বসিরহাটের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আবারও প্রাণ ফেরালো নাটকের উৎসব
নিজস্ব সংবাদদাতা,বসিরহাট : বসিরহাটের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আবারও প্রাণ ফেরাল নাটকের উৎসব। শহরের ঐতিহ্যবাহী রবীন্দ্রভবনে বসিরহাট মহকুমা নাট‍্য উৎসব '২৫ এর শুভ সূচনা হলো জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে। উৎসবের সূচনা করেন পশ্চিমবঙ্গ নাট্য অ্যাকাডেমীর সদস্যা অর্পিতা ঘোষ। শিল্পী, সংস্কৃতিপ্রেমী ও নাট্যকর্মীদের উপস্থিতিতে প্রথম দিন থেকেই উৎসবমুখর হয়ে ওঠে রবীন্দ্রভবন চত্বর।
বসিরহাট পৌরসভার সৌজন্যে এবং উত্তর ২৪ পরগণা জেলা আরটিএ সদস্য সুরজিৎ মিত্র বাদলের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত এই এক সপ্তাহব্যাপী নাট্য উৎসব শুধু শহরকেন্দ্রিক নয়, বরং গোটা জেলার নাট্যচর্চাকে এক মঞ্চে এনে দাঁড় করিয়েছে। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চল ন্যাজাট, কালিনগর ও হাড়োয়া থেকে শুরু করে সীমান্তবর্তী স্বরূপনগর ও কাটিয়াহাটের পাশাপাশি শহর বসিরহাট, টাকি ও বাদুড়িয়া সহ জেলার নানা প্রান্ত থেকে মোট ২০টি নাট্য দল অংশগ্রহণ করছে এই উৎসবে। ফলে গ্রাম ও শহরের নাট্যধারার এক অনন্য মেলবন্ধন তৈরি হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অর্পিতা ঘোষ বলেন, "নাটক শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, সমাজের দর্পণ। আজকের সময়ে এই ধরনের মহকুমা স্তরের নাট্য উৎসব নতুন প্রজন্মকে থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত করতে বড় ভূমিকা নেবে।" তার কথায় উঠে আসে গ্রামবাংলার নাট্যচর্চাকে মূলস্রোতে আনার গুরুত্ব। এই নাট্য উৎসবের সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছেন বসিরহাট পৌরসভার পৌরমাতা অদিতি মিত্র রায়চৌধুরী। আয়োজকদের তরফে জানানো হয়, বসিরহাটকে সাংস্কৃতিক মানচিত্রে আরও উজ্জ্বল করে তুলতেই এই ধরনের উদ্যোগ ধারাবাহিকভাবে নেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় একের পর এক নাট্যপ্রদর্শনী দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়ের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
উৎসবের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হিসেবে নজর কেড়েছে নৈহাটি ব্রাত্যজনের প্রযোজনা 'আনন্দ'। এই নাটকে অভিনয় করেছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক। রাজনীতির ব্যস্ততার মাঝেও তার মঞ্চে উপস্থিতি দর্শকদের মধ্যে বাড়তি আগ্রহ তৈরি করে। শক্তিশালী অভিনয়, ভাবনার গভীরতা ও মঞ্চসজ্জার মাধ্যমে নাটকটি দর্শকমনে গভীর ছাপ ফেলেছে।
সব মিলিয়ে বসিরহাট মহকুমার নাটক উৎসব '২৫ শুধু একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়, বরং বসিরহাটের নাট্যকর্মীদের মিলনমেলা হয়ে উঠেছে। এক সপ্তাহ ধরে চলা এই উৎসবের মাধ্যমে নাটকের ভাষায় উঠে আসছে সমাজ, মানুষ ও সময়ের নানা গল্প। যা বসিরহাটের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করছে।
আগামীদিনে বাংলায় চপ, ঘুঘনি খাওয়ার লোক থাকবে না- অর্জুন সিং
*প্রবীর রায়:* বাংলায় চাকরি নেই। শিল্পতালুক শ্মশানে পরিণত হয়েছে। বাংলা ছেড়ে যেভাবে হিন্দুরা ভিন যাচ্ছে পলায়ন করছে, তাতে আগামীদিনে চপ, ঘুঘনি খাওয়ার লোক থাকবে না। শুক্রবার দুপুরে কাঁকিনাড়ার ফলহারি বাবা মন্দিরের কাছে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরে হাজির হয়ে এমনটাই বললেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। এদিন তিনি বলেন, "কাঁকনাড়ার পেপার মিল বহু বছর ধরে বন্ধ। ধুঁকছে কাঁকিনাড়া জুটমিল-সহ অন্যান্য মিলগুলো।" প্রসঙ্গত, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলায় বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন করা হচ্ছে। অথচ এখনও পর্যন্ত একটাও শিল্প গড়ে ওঠেনি। এপ্রসঙ্গে প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, সম্মেলনের জন্য নিজের আত্মীয় স্বজনদের ঠিকাদারি দেওয়া হয়। সম্মেলনের আয়োজরা সবাই মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে দুটো পত্রিকা অফিস ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগানো হয়েছে। এপ্রসঙ্গে বিজেপি নেতা অর্জুন সিং বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু নিধন চলছে। ওদেশে হিন্দু নিধন রুখতে কেন্দ্রীয় সরকারকে হস্তক্ষেপ করা উচিত। এদিনের রক্তদান শিবিরে হাজির ছিলেন বিজেপির ব্যারাকপুর জেলার সম্পাদক সোহন প্রসাদ চৌধুরী, জেলার এক্সিকিউটিভ সদস্য সঞ্জয় সিং ও সন্তোষ রায়, ভাটপাড়া-২ মন্ডল সভাপতি সুরজ কুমার সিং, প্রাক্তন কাউন্সিলর পল্লবী কুন্ডু, ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি উমেশ রায়,টুম্পা বিশ্বাস, রিতা চক্রবর্তী, শতাব্দী দে রায় প্রমুখ।
*মঙ্গল পান্ডে মিলিটারি ট্রেনিং এরিয়াতে ইস্টার্ন কমান্ডের বিজয় দিবস উদযাপন*
*Khabar kolkata News Desk* : আজ ব্যারাকপুরের মঙ্গল পান্ডে মিলিটারি ট্রেনিং এরিয়াতে ইস্টার্ন কমান্ডের নেতৃত্বে বিজয় দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে মিলিটারি ট্যাটু প্রদর্শিত হল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টান কমান্ডের জেনারেল অফিসার কম্যান্ডিং ইন চিফ তথা পরম বিশিষ্ট সেবা মেডেল, উত্তম যুদ্ধ সেবা মেডেল, অতি বিশিষ্ট সেবা মেডেল ও সেনা মেডেল সম্মানে সম্মানিত  লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাম চন্দর তিওয়ারি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মণিপুরের গভর্নর, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিনিধি সহ বিশিষ্ট অতিথিরা। ১৯৭১ সালের ভারত-বাংলাদেশ যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার ক্ষেত্রে যে মুখ্য ভূমিকা ভারতীয় সেনাবাহিনী নিয়েছিল, সেই কথাকে স্মরণ রেখেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফ থেকে এই বিজয় দিবসের আয়োজন করা হয় প্রতিবছরই। সেনাবাহিনীর বিভিন্ন বিভাগের সেনানীরা তাঁদের কর্ম কুশলীর প্রদর্শনীর দ্বারা অনুষ্ঠানকে রঙিন করে তোলেন। এরমধ্যে শিখ ও মারাঠি রেজিমেন্টের নৃত্যের পাশাপাশি ঘোড় সাওয়ারদের ঘোড়ার পিঠে চেপে নানান কৌশল প্রদর্শন ছিল তারিফ যোগ্য। পাশাপাশি, ভারতীয় সেনাবাহিনীর এভিয়েশন গ্রুপ নানান ধরনের হেলিকপ্টার দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কৌশল প্রদর্শন করেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল আপৎকালীন পরিস্থিতিতে শত্রুর মোকাবিলা করা, আহতদের দ্রুত স্থানান্তরিত করা, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কম সময়ের মধ্যে প্যারা ট্রুপিং করে সেনাদের নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দেওয়া সহ নানান পদ্ধতির প্রদর্শন। শীতের মিঠে কড়া রোদে এই প্রদর্শনী দেখতে দর্শকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

*ছবি: সঞ্জয় হাজরা* ।
যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হাইকোর্টে

*নিজস্ব প্রতিনিধি:* কলকাতার বিবেকানন্দ যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল বেশ কয়েকটি জনস্বার্থ মামলা। বিষয়টি ঘিরে প্রশাসনিক স্তরে যেমন তৎপরতা বেড়েছে, তেমনই আইনি ময়দানেও শুরু হয়েছে জোরদার টানাপোড়েন। ঘটনার গুরুত্ব ও জনস্বার্থের প্রশ্নে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীরা। সোমবার মামলার জন্য আবেদন করেন আইনজীবী বিল্লদল ভট্টাচার্য। তার আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা দায়েরের অনুমতি দেয়। আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই মামলাটি আজ, মঙ্গলবার শুনানির জন্য উঠতে পারে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। ভাঙচুরের ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার একটি সিট গঠন করেছে। প্রশাসনের দাবি, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও দোষীদের চিহ্নিত করতেই এই বিশেষ তদন্তকারী দল। তবে এই সিট গঠন নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রাজ্য সরকারের গঠিত সিটকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে দ্বারস্থ হয়েছেন আইনজীবী সব্যসাচী চ্যাটার্জি। তাঁর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তদন্ত প্রক্রিয়া ও সিট গঠনের যৌক্তিকতা খতিয়ে দেখা জরুরি। সেই কারণেই এই বিষয়টি সরাসরি আদালতের নজরে আনা। আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই মামলাটিরও শুনানি চলতি সপ্তাহের মধ্যেই হতে পারে। শুনানি হবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীর দাবি ওইদিনের দর্শকদের টিকিটের দাম ফেরত দেওয়া হোক ও আদালতের নজরদারিতে তদন্ত হোক।অপর এক আইনজীবী মৈনাক ঘোষাল ঘটনায় সিবিআই ও ইডি তদন্ত চেয়েছেন।পাশাপাশি টিকিটের মূল্য ফেরতের আবেদন। যুবভারতীর মেরামত যেন আয়োজক সংস্থার অর্থে করা হয় তার আবেদন।আদালতের নজরদারিতে তদন্তের আবেদন
रणक्षेत्र कोलकाता का युवा भारती स्पोर्ट्स कॉम्प्लेक्स
डेस्क: लियोनेल मेसी, रोड्रिगो डी पॉल, लुइस सुआरेज़ शनिवार सुबह कोलकाता पहुंचे। कोलकाता के खेल प्रेमियों का जोश साफ दिख रहा था। लेकिन मेसी को एक मिनट के लिए भी न देख पाने के बाद युवा भारती स्पोर्ट्स एरिना लगभग बैटलफील्ड में बदल गया। मेसी को लाने की मुख्य पहल सतुद्रु दत्ता ने की थी। लेकिन बहुत ज़्यादा मिसमैनेजमेंट के कारण युवा भारती पूरी तरह से थक गया था। और इसी मिसमैनेजमेंट के कारण सतुद्रु को गिरफ्तार कर लिया गया। लियोनेल मेसी को शहर छोड़ते ही गिरफ्तार कर लिया गया। सतुद्रु एयरपोर्ट पर मेसी को छोड़ने गए थे। उन्हें वहीं से गिरफ्तार कर लिया गया। राज्य पुलिस के DG राजीव कुमार ने भी भरोसा दिलाया कि दोषियों के खिलाफ कानूनी कार्रवाई की जाएगी। उन्होंने यह भी बताया कि घटना की पूरी जांच की जाएगी। उन्होंने कहा कि दर्शकों को उनके टिकट के पैसे वापस किए जाने चाहिए।
मुख्यमंत्री ममता बनर्जी ने इस घटना पर दुख जताया। ममता बनर्जी ने अपने X हैंडल पर लिखा, "साल्ट लेक स्टेडियम में बहुत ज़्यादा गड़बड़ी देखी गई है। मैं बहुत सदमे में हूँ और हैरान हूँ। मैं भी हज़ारों खेल प्रेमियों और सपोर्टर्स के साथ अपने प्यारे फुटबॉलर लियोनेल मेसी की एक झलक पाने की उम्मीद में स्टेडियम के लिए निकली थी। मैं इस बुरी घटना के लिए लियोनेल मेसी समेत सभी खेल प्रेमियों और उनके फैंस से दिल से माफी मांगती हूँ।" राज्य सरकार ने इस घटना में कलकत्ता हाई कोर्ट के पूर्व जज असीम रॉय की अगुवाई में एक जांच कमेटी बनाई है। कमेटी में राज्य के चीफ सेक्रेटरी और होम सेक्रेटरी शामिल हैं। ोटो कर्टसी: गौतम घोष और संजय हाजरा।
রণক্ষেত্র কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন
ডেস্ক: শনিবার সকালে কলকাতায় এসেছিলেন লিওনেল মেসি, রদ্রিগো দি পল, লুই সুয়ারেজ়রা। এনিয়ে কলকাতার ক্রীড়া প্রেমীদের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু মেসিকে এক মিনিটের জন্যও দেখতে না পেয়ে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন কার্যত পরিণত হল রণক্ষেত্রে।মেসিকে আনার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন শতদ্রু দত্ত। কিন্তু চূড়ান্ত অব্যবস্থায় জ্বলে ওঠে যুবভারতী। আর এই মিসম্যানেজমেন্টের কারণেই গ্রেপ্তার করা হল শতদ্রুকে। লিওনেল মেসি শহর ছাড়তেই গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।এয়ারপোর্টে মেসিদের ছাড়তে গিয়েছিলেন শতদ্রু। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে।তার মন্তব্য ,দর্শকদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া উচিত।
এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এক্স হ্যান্ডেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, “সল্টলেক স্টেডিয়ামে চূড়ান্ত অব্যবস্থা দেখা গিয়েছে। আমি গভীরভাবে মর্মাহত ও বিস্মিত। প্রিয় ফুটবলার লিওনেল মেসির এক ঝলক দেখার আশায় হাজার হাজার ক্রীড়াপ্রেমী ও সমর্থকের সঙ্গে আমিও স্টেডিয়ামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। এই অনভিপ্রেত ঘটনার জন্য লিওনেল মেসি-সহ সকল ক্রীড়াপ্রেমী ও তাঁর অনুরাগীদের কাছে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।”এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অসীম রায়ের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিব। বি সৌজন্যে: গৌতম ঘোষ ও সঞ্জয় হাজরা।
সেবাশ্রয় নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক

নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী জানুয়ারিতে ডায়মন্ড হারবার মডেলের মতো ব্যারাকপুর সংসদ এলাকায় শুরু হতে চলেছে সেবাশ্রয় স্বাস্থ্য শিবির। শুক্রবার সেবাশ্রয় নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক আয়োজিত হল দমদম ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয় টিটাগড় টাটা গেটে।এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নৈহাটি বিধানসভার বিধায়ক সনৎ দে, উত্তর ব্যারাকপুর পৌরসভার উপ- পৌর প্রধান শ্রীপর্ণা রায়,টিটাগড় পৌরসভার প্রাক্তন পৌর প্রধান প্রশান্ত চৌধুরী সহ অন্যান্য তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।

ছবি:প্রবীর রায়
অশোকনগরে চাকরি মেলার উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিনিধি: আইটিআই কলেজ, বৃত্তিমূলক প্রতিষ্ঠান এবং পিবিএসএসডি-র স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদানের জন্য, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের টিইটি এবং এসডি বিভাগের উদ্যোগে, সরকারি বাণীপুর মহিলা আইটিআই কর্তৃক ডিসেম্বর ২০২৫-এ একটি চাকরি মেলার আয়োজন করা হয়েছে।আজ অশোকনগরের নেতাজি শতবর্ষী কলেজে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় ১৩ জন নিয়োগকর্তা অংশগ্রহণ করেছিলেন। আইটিআই-এর ৬৬ জন আবেদনকারী, ভিটিসির ৫৩ জন আবেদনকারী, পিবিএসএসডি-র ১০৯ জন প্রার্থী চাকরি মেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা শাসক (টি অ্যান্ড স্কিল)কাজল কুমার রায়,তারক মণ্ডল (ডব্লিউবিসিএস এক্সি.) জেলা নোডাল অফিসার, উত্তর ২৪ পরগনা উৎকর্ষ বাংলা, পল্লব পাল, ডিআইসিও, উত্তর ২৪ পরগনা, কুন্তল ঘোষ, অধ্যক্ষ আইটিআই বাণীপুর,বাদল চন্দ্র মণ্ডল, ছোটজাগুলিয়ার অধ্যক্ষ আইটিআই প্রমুখ। মেলায় ২২৮ জন অংশগ্রহণকারী চাকরি মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন।৮১ জন প্রার্থীকে নির্বাচিত করা হয়েছে এবং ৪৯ জন প্রার্থীকে চাকরি মেলার দিন নিয়োগকর্তার কাছ থেকে অফার লেটার দেওয়া হয়েছে।৪২ সংখ্যক প্রার্থীকে নির্বাচনের পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
*চিংড়িহাটা মেট্রোর জট কাটাতে  বৈঠকে যোগ দেওয়ার দিনক্ষণ বেধে দিল আদালত*
*নিজস্ব প্রতিনিধি:* কলকাতার চিংড়িহাটা মেট্রো নিয়ে জট কাটাতে আরও কঠোর হল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার কেন্দ্র, রাজ্য-সহ এই মামলায় যুক্ত সব পক্ষকে বৈঠকে যোগ দেওয়ার দিনক্ষণও বেধে দিল আদালত। সেই অনুযায়ী আগামী বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় মেট্রো ভবনে ওই বৈঠকে বসতে হবে। এমনই নির্দেশ দিল হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত উপস্থিত থাকবেন ওই বৈঠকে। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ বলে, জনগণের স্বার্থের কথা ভেবে সমস্যার সমাধানে এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। এই বৈঠকের উপস্থিত কারা থাকবেন তার তালিকা রাজ্য, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ, আরভিএনএল তাদের প্রতিনিধিদের নাম আদালতে জমা করেছে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর ফের এই মামলার শুনানি। সেদিন বৈঠকের রিপোর্ট জমা করতে হবে আদালতে।প্রসঙ্গত, চিংড়িঘাটা এলাকায় ৩৬৬ মিটার অংশ জোড়া না গেলে অরেঞ্জ লাইনের কাজ শেষ হবে না। কয়েকদিন আগে সংসদে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই কাজ থমকে থাকার জন্য রাজ্যের অসহযোগিতার কথা বলেন। তার আগে হাইকোর্টের নির্দেশে সব পক্ষ বৈঠকে বসেছিল গত ৯ সেপ্টেম্বর। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, উৎসবের মরশুম মিটে গেলে নভেম্বরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে শুক্র থেকে রবিবার রাতে কাজ শেষ করবে আরভিএনএল। সিদ্ধান্তে সায় দিয়েছিল হাইকোর্টও। তারপরও সেই কাজ হয়নি। আগের শুনানিতে রাজ্যের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল হাইকোর্ট। এখন দেখার, আগামী বুধবারের বৈঠকে চিংড়িঘাটায় মেট্রোর কাজ নিয়ে কোনও সমাধান সূত্র বেরোয় কি না।