*খেলা* *হিমাচল প্রদেশকে হারিয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে তৃতীয় জয় পেল বাংলা*

Khabar kolkata sports Desk: সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে তৃতীয় জয় পেল বাংলা। মঙ্গলবার হায়দরাবাদের জিমখানা মাঠে হিমাচল প্রদেশকে ৮ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে হারাল অভিমন্যু ঈশ্বরনের দল। এদিন বাংলা দলে অভিষেক হল যুবরাজ কেসোয়ানির, তাঁর হাতে দলের ক্যাপ তুলে দেন মহম্মদ শামি।টস জিতে ব্যাট করতে নেমে হিমাচল প্রদেশ ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান তুলেছিল। একান্ত সেন ৫০ বলে ৮৯ ও পুখরাজ মান ৩৬ বলে ৭৯ রান করেন। শাহবাজ আহমেদ ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। মহম্মদ শামি ৪ ওভারে ৩১ ও মুকেশ কুমার ৪ ওভারে ৪১ রান দিয়ে একটি করে উইকেট নেন। আকাশ দীপ ২ ওভারে ৩৫, ঋত্ত্বিক চট্টোপাধ্যায় ৪ ওভারে ৪০ ও প্রদীপ্ত প্রামাণিক ২ ওভারে ২৪ রান দেন, কোনও উইকেট পাননি।জয়ের জন্য ২০৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শতরানের পার্টনারশিপ গড়েন বাংলার দুই ওপেনার অভিষেক পোড়েল ও করণ লাল। ৭.৪ ওভারে দলের ১০৫ রানের মাথায় আউট হন অভিষেক। ৭টি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে তিনি করেন ২৬ বলে ৪১।

করণ টি২০-তে কেরিয়ারের প্রথম শতরান হাঁকালেন এদিন। তিনি ৮টি চার ও ১০টি ছয়ের সাহায্যে ৫০ বলে সর্বাধিক ১১৩ রান করে দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন। তিনিই ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেলেন।অধিনায়ক অভিমন্যু ৮ বলে ৫, যুবরাজ কেসোয়ানি ১৪ বলে ১০, শাহবাজ ১ বলে ০ রানে আউট হন। সুদীপ কুমার ঘরামি ৮ বলে ১৮ ও আকাশ দীপ ৫ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন। মৃদুল সারোচ ২টি উইকেট পান। অর্পিত গুলেরিয়া ও আকাশ বশিষ্ঠ ১টি করে উইকেট নেন। ৪ ম্যাচে বাংলার পয়েন্ট হলো ১২। বৃহস্পতিবার বাংলার পরবর্তী ম্যাচ সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে।

ছবি সৌজন্যে: সিএবি

*ঠাকুরনগরে মিছিল করবে পদ্মশিবির*

নিজস্ব সংবাদদাতা: আগামী ৬ ডিসেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে মিছিল করবে পদ্মশিবির। তাতে শামিল হবেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তৃণমূলের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিল দেখে ভয় পেয়েছে বিজেপি, ভোটার হারানোর আশঙ্কায় পথে নামছে।বিজেপির দাবি, মতুয়াদের ভুল বোঝাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর পদক্ষেপ আদতে মতুয়াবিরোধী বলেও দাবি করে বিজেপি। তাই মমতার মিছিলের পালটা কর্মসূচি ঘোষণা করল দল। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি বিকাশ ঘোষ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর আচরণের প্রতিবাদে ৬ ডিসেম্বর বিকেল ৩ টেয় ঠাকুরনগর হাসপাতাল এলাকা থেকে শুরু হবে মিছিল। শেষ হবে ঠাকুরনগর বাজারে। মিছিলের হাঁটবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য ও বিজেপির জনপ্রিয় নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী।”

*নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে সাড়ে ১৪ বছরে তাঁর সরকারের কাজের খতিয়ান প্রকাশ ,মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের*

ডেস্ক : ২০২৬ এ বাংলায় বিধানসভা ভোট।তবে এসআইআর ইস্যুতে ইতিমধ্যেই বাংলায় যেন ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। এমন আবহে নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বিগত সাড়ে ১৪ বছরে তাঁর সরকারের কাজের খতিয়ান তুলে ধরলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন,"ক্ষমতায় আসার আগে জনগণকে আমরা কী বলেছিলাম, আর এই সময়ে আমরা কী কী কাজ করেছি, সেটা মানুষকে জানানো আমাদের নিজেদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বলে মনে করি। তাই এই রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করা হল।"

২০১১ থেকে ২০২৫, মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আসার পর থেকেই রাজ্যের মানুষের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, কৃষক বন্ধু, পড়ুয়াদের ক্রেডিট কার্ড-সহ মোট ৯৪টি সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প চালু করেছে সরকার। কীভাবে রাজ্যের স্বাস্থ্য, শিক্ষা থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁর সরকারের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ করে চলেছে এদিনের বৈঠকে সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি।

এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে ভিডিও প্রকাশ করে ১৪ বছরে সরকারের 'উন্নয়নের পাঁচালি' তুলে ধরা হয়। উন্নয়নের পাঁচালীর ওপর সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী ইমন চক্রবর্তী। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "আগেকার দিনে সন্ধ্যেয় গ্রামে পাঁচালি পড়া হত। গ্রামের দিকে এখনও হয়তো হয়, হারিয়ে যেতে বসা সেই গৌরবকে ধরে রাখতে এমন পাঁচালির ভাবনা।আগের দিনের গৌরবকে আমরা তুলে এনেছি। বাংলার মনীষীদের ছোঁয়া তাতে থাকছে।"

উন্নয়নের পাঁচালি’ মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, ‘‘২০১১ সালে যখন এসেছিলাম তখনের থেকে এখন অর্থনৈতিক সাফল্য ভাল। ২০১১ সাল থেকে ৫.৩১%, সোশ্যাল সেক্টর ১৪.৪৬% কৃষি ৯% এর বেশি খরচ বেড়েছে। এক কোটি ৭২ লক্ষ মানুষকে দারিদ্রসীমার ওপরে নিয়ে এসেছি। দারিদ্রসীমার বাইরে নিয়ে আসা হয়েছে। রাজ্যে ২ কোটির বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে। ইকনমিক করিডর থেকে আরও ১ লক্ষ লোক চাকরি পাবে। দেউচাতে এক লক্ষ চাকরি হবে৷’’

বৈঠকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়েও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, জিএসটি বাবদ কেন্দ্র রাজ্যেরও টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছে। তারপরও রাজ্যের প্রাপ্য প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা আটকে রয়েছে। তা সত্ত্বেও নিজস্ব উদ্যোগে আমরা কর্মশ্রী, বাংলার বাড়ির মতো প্রকল্পগুলি চালু রেখেছি।আমরা পর পর চারবছর এক নম্বরে ছিলাম। তাই তো ওরা বাংলার টাকা বন্ধ করে রেখেছে।"

একই সঙ্গে কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আশা করব, আমাদের প্রাপ্য টাকাটা দেবেন। ইলেকশন তো চলে এল। আর কবে টাকা দেবেন? ফেব্রুয়ারিতে দেবেন? যাতে কাজ করতে না পারি। তারপর আবার টাকাটা ফেরৎ নিয়ে নেবেন। চালাকিটা আমরাও বুঝি।"

বিএলও ও রাজ্যবাসী-সহ এসআইআর আতঙ্কে অসুস্থ ১৩ জন ভর্তি হাসপাতালে। মঙ্গলবার নবান্ন থেকে তাঁদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “মৃত ২ বিএলওর পরিবার ২ লক্ষ টাকা নিয়েছে। ১ জন বাকি আছে। তাঁরা চাইলে নিয়ে যেতে পারেন। ৩৯ জন রাজ্যবাসীর আতঙ্কে মৃত্যু হয়েছে। ১৩ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বিএলও-সহ। মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। অসুস্থরা পাবেন ১ লক্ষ টাকা।” এরপরই মমতা বলেন, “দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে যদি সাহায্য করা হয় এখন কেন করব না? মনে রাখতে হবে, মেয়েরা সংসার সামলায়, সরকারও।”

সরকারের উন্নয়নের রিপোর্ট প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী এদিন ভোটের আগে বিজেপি ও তার শরীক দলগুলির অর্থসাহায্য দেওয়া নিয়ে বিজেপিকে বিঁধেছেন । বিহারে ভোটের আগে টাকা দেওয়া নিয়ে বলেন, “বিজেপি যেটা দেখানোর জন্য করেছে বিহারে ভোটের আগে ১০ হাজার, পরে বুলডোজার। আমরা বছরে ১২ হাজার টাকা দিই। ৫ বছরে ৬০ হাজার টাকা (শুধু মাত্র জেনারেল কাস্টের জন্য)।”

বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্তা নিয়েও সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ঘরে ফিরে আসা শ্রমিকদের আর্থিক সাহায্য করার পাশাপাশি তাঁদের কর্মশ্রী প্রকল্পের অধীনে কাজ দেওয়া হয়েছে। জুড়ে দেওয়া হয়েছে শ্রমশ্রী ও কর্মশ্রী প্রকল্প। তিনি বলেন, “যাঁদের মারধর, অত্যাচার থেকে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়েছিল, গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অনেককে আবার বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘরে ফিরে আসা সেই ৩১ লক্ষ ৭২ হাজার পরিযায়ী শ্রমিককে ৫ হাজার টাকা করে অর্থ সাহায্য করা হয়েছে। তাঁদের কাজও দেওয়া হয়েছে।”

নবান্ন সভাঘরের এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব-সহ প্রতিটি দফতরের মন্ত্রী, সচিব, আমলা, প্রতিটা জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ।

*শ্যামনগর বিএলও অফিসে বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন জমা বিজেপি পক্ষ থেকে*

নিজস্ব সংবাদদাতা: মঙ্গলবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল বিধানসভার অন্তর্গত শ্যামনগর বিএলও অফিসের সামনে বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন জমা দিলেন বিজেপি নেতা ও কর্মীরা। বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখানোর পর বিএলও অফিসে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়। বিজেপি নেতা বিপ্লব ঘোষ সাংবাদিক দের মুখোমুখি হয়ে জানান," তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিএলও দের উপর ভয় দেখিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। তৃণমূলের কাউন্সিলর বিএলও দের SIR এর ফর্ম তুলতে বারণ করছে। নির্বাচন কমিশনে বলা আছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম তোলার কথা কিন্তু তুলছে না। কিছু বিএলও তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন। এমন কি নির্বাচন কমিশন কোনো হেলদোল নেই। এবং ইতিমধ্যে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ভবিষ্যতে বিজেপি সাধারণ মানুষ কে নিয়ে আন্দোলনে নামা হবে"।

*খেলা* মেয়েদের অনূর্ধ্ব ২৩ টি২০ ট্রফি এলিটের কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলা

Khabar kolkata sports Desk: গ্রুপ পর্বের পাঁচটি ম্যাচ জিতেই মেয়েদের অনূর্ধ্ব ২৩ টি২০ ট্রফি এলিটের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল বাংলা। নাগপুরের ভিসিএ স্টেডিয়ামে সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরকে ৬৬ রানে হারিয়ে।টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলা ১৮.৫ ওভারে ১৩৯ রান তোলে। প্রতিভা মাণ্ডি ৪২ বলে ৪৫, সুস্মিতা গঙ্গোপাধ্যায় ১৬ বলে ২৫, সুজাতা দে ১৭ বলে ২৪ ও রূপাল তিওয়ারি ১৩ বলে ১৪ রান করেন। বাংলার শেষ ৬টি উইকেট পড়ে ৩.১ ওভারের মধ্যে ৮ রানের ব্যবধানে। রুদ্রাক্ষী চিব ও খুশবু আফতাব তিনটি করে উইকেট দখল করেন।

জবাবে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৭৩ রান তোলে জম্মু ও কাশ্মীর। ২৯ বলে সর্বাধিক অপরাজিত ২৩ রান মারিয়া নুরেইনের। অধিনায়ক তিতাস সাধু ৪ ওভারে ১২, পায়েল ভাখারিয়া ১টি মেডেন-সহ ৪ ওভারে ১০ ও পিয়ালি ঘোষ ৩ ওভারে ৭ রানের বিনিময়ে ২টি করে উইকেট নেন। এই জয়ের ফলে ৫ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট (নেট রান রেট ২.৬৪৭) নিয়ে গ্রুপ ডি-র শীর্ষে থেকেই নক-আউট পর্ব নিশ্চিত করল বাংলা।

ছবি সৌজন্যে: সিএবি

*উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে নরকঙ্কাল উদ্ধার*

নিজস্ব সংবাদদাতা, বারাসাত: উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে একটি নতুন বাড়ির ভিত কাটার সময় মাটির নিচে পাওয়া গেল নরকঙ্কাল। খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়। কঙ্কাল দেখতে ভিড় জমান স্থানীয়েরা। খবর দেওয়া হয়েছে পুলিশেও।রবিবার দুপুরে অশোকনগর থানার কল্যাণগড় বাজারের পার্শ্বস্থ স্বামীজি সঙ্ঘ ক্লাবের পাশে ঘটনাটি ঘটে। মাটি খোঁড়ার সময় হঠাৎ দু’টি মাথার খুলি দেখতে পান মিস্ত্রিরা। পরে আরও মাটি খুঁড়তেই উদ্ধার হয় বেশ কয়েকটি হাড়গোড়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোন অশোকনগর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক চিন্তামণি নস্কর-সহ একাধিক পুলিশ কর্তা। খুলি ও হাড়গোড় দেখে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, কঙ্কালগুলি বেশ পুরনো। তবে কবে সেগুলি পোঁতা হয়েছিল, তা জানা যাবে তদন্তের পরেই। আপাতত ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ। কঙ্কালগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।ওই জমির পাশেই থাকেন আশিস মুখোপাধ্যায়। ঘটনাচক্রে, যে জমি থেকে কঙ্কালগুলি উদ্ধার হয়েছে, সেটি তাঁদের আত্মীয়ের। আশিস বলেন, ‘‘এ সবের কিছুই জানতাম না। আগে এখানে আমাদের কাকা বিজন মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি ছিল। আজ মিস্ত্রিরা ডেকে দেখালেন মাথার খুলি আর হাড়গোড় পাওয়া গিয়েছে। দেখে তো মনে হচ্ছে কঙ্কাল অনেক পুরনো।’’ আশিসদের পরিবারের দাবি, দেশ স্বাধীন হওয়ারও আগে থেকে তাঁরা অশোকনগরের ওই এলাকায় থাকতেন। সেখানে যে মাটির তলায় আস্ত নরকঙ্কাল পুঁতে রাখা আছে, ঘুণাক্ষরেও টের পাননি কেউ।

এবিষয়ে এলাকার অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘অশোকনগর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কল্যাণগড়ে সিপিএমের এক সময়ের হার্মাদ বিজন মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির শোওয়ার ঘরের মেঝের নীচে কঙ্কাল পাওয়া গিয়েছে। বিজনেরা এককালে অশোকনগর-হাবড়ার ত্রাস ছিল, আশির দশকে এই এলাকায় এদের কথাই ছিল শেষ কথা।’’ নারায়ণের দাবি, ২০০২ সালেও এক বার এলাকার এক জলের ট্যাঙ্ক থেকে পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘‘আরও না জানি কত কঙ্কাল বিজনের বাড়ির চৌহদ্দি থেকে বেরোবে। এগুলো হয়তো তখনকার কংগ্রেস কর্মীদের দেহ। সিপিএমের সেই কলঙ্কিত ইতিহাস আজ মাটি খুঁড়ে বেরিয়ে আসছে!’’

*আবারও প্রাণঘাতি হামলা চালাতে পারে দুস্কৃতিরা, ব্যারাকপুরের বিজেপি নেতা চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে*

 প্রবীর রায় : উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া ৬ নং গলিতে বাড়ির কাছেই বোমা বিস্ফোরণ, বাড়ির কাছ থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ১০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধারে আতঙ্কিত বিজেপির নেতা প্রিয়াঙ্কু পান্ডে এবং তার পরিবার। রবিবার নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তা ও নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার,এন আই এ, স্বরাস্ট্র দপ্তর ও রাজ্যপালের কাছে চিঠি লিখলেন ওই বিজেপি নেতা।এর আগে তার গাড়িতেই বোমা মেরে এবং গুলি চালিয়ে তাকে খুনের চেস্টা করেছিল দুস্কৃতিরা।আবারও ফের খুনের চক্রান্ত চালাচ্ছে অভিযুক্তরা।তবে ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিং জানান," প্রিয়াঙ্কু পান্ডে উপর এর আগে গুলি-বোমা চালিয়ে খুন করার চেষ্টা করেছিল স্থানীয় এক বিধায়ক এবং তার দলবল। সেই ঘটনায় এন আই এ এর তদন্ত শেষের পথে।এন আই এ ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাই যাতে এন আই এ এই তদন্ত যাতে বানচাল করা যায় তার জন্য আবার ও প্রিয়াংগুকে খুন করার চেষ্টা চালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা।"তবে জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম জানান," কারোর নাম করে কিছু বলবো না।তবে বিজেপি নেতা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে পুলিশ ঠিক ব্যাবস্থা নেবে।"

সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল বাংলা, গুজরাতকে হারাল ৩ উইকেটে

খেলা

Khabar kolkata sports Desk: চলতি সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে টানা দ্বিতীয় জয় ছিনিয়ে নিল বাংলা। শনিবার হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ৭ বল বাকি থাকতে গুজরাতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে।

১২৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে বাংলা জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গেল ১৮.৫ ওভারে, ৭ উইকেট খুইয়ে। শাহবাজ আহমেদ ১৭ বলে ১৯ ও সক্ষম চৌধুরী ৬ বলে ৮ রানে অপরাজিত থাকেন। অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন ৩৪ বলে ৩৪, শাকির হাবিব গান্ধী ১২ বলে ১৮, করণ লাল ১০ বলে ১৭, অভিষেক পোড়েল ১২ বলে ১৪, সুদীপ কুমার ঘরামি ৭ বলে ৪, ঋত্ত্বিক চট্টোপাধ্যায় ৮ বলে ২ ও প্রদীপ্ত প্রামাণিক ৭ বলে ৫ রান করে আউট হন। হেমাঙ্গ প্যাটেল ৪ ওভারে ২৪, হর্ষল প্যাটেল ৪ ওভারে ২৫ ও রবি বিষ্ণোই ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ২টি করে উইকেট নেন।এর আগে, টস জিতে গুজরাতকে ব্যাট করতে পাঠান বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন। চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে দলগত ২৯ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। আগের ম্যাচে শতরানকারী গুজরাত অধিনায়ক উর্বিল প্যাটেলকে সাজঘরে ফেরান সক্ষম চৌধুরী। উর্বিল করেন ১০ বলে ২০। এই ওভারেই উমঙ্গ কুমার (২ বলে ০) সক্ষমের দ্বিতীয় শিকার হন।১০ ওভারের শেষে গুজরাতের স্কোরে ছিল ৫ উইকেটে ৬৫। সেখান থেকে ১৮.৩ ওভারে গুজরাত ১২৭ রানে গুটিয়ে যায়। শেষ পাঁচ উইকেট পড়ে ২৪ রানের ব্যবধানে। ৩০ বলে সর্বাধিক ৩৬ রান করেন বিশাল জয়সওয়াল। সক্ষম চৌধুরী ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে তিন উইকেট পান।মহম্মদ শামি ৩.৩ ওভারে ৩১ রান খরচ করে পেয়েছেন ২টি উইকেট। সায়ন ঘোষ ৩ ওভারে ২৬ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট দখল করেন। ঋত্ত্বিক চট্টোপাধ্যায় ২ ওভারে ১৫ ও করণ লাল ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে একটি করে উইকেট পেয়েছেন।

ছবি সৌজন্যে: সিএবি

*খেলা* *বিশেষ প্রতিবেদন* *১০ম টাটা স্টিল ওয়ার্ল্ড ২৫কে কলকাতার কাউন্টডাউন শুরু*

ডেস্ক: অলিম্পিক পদকজয়ী কেনি বেডনারেক, ফুটবল কিংবদন্তি ভাইচুং ভুটিয়া এবং অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি থাকছেন এই মর্যাদাপূর্ণ ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিক্স গোল্ড লেবেল দৌড়ে দৌড়বিদদের অনুপ্রেরণা যোগানোর জন্যে।

টাটা স্টিল ওয়ার্ল্ড ২৫কে কলকাতার নিবন্ধন অভূতপূর্ব গতিতে বাড়ছে। ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিক্স গোল্ড লেবেল-সম্মানিত এই ২৫ কিমি দৌড়ে কলকাতার অংশগ্রহণ দেখাচ্ছে যে শহরটি কীভাবে দেশের অন্যতম বৃহৎ খেলাধুলার উৎসব হিসেবে দৌড়কে গ্রহণ করেছে। এই ইভেন্টটি শহরের অন্তর্ভুক্তি, ক্ষমতায়ন এবং ঐক্যের চেতনাকে আরও দৃঢ় করে তোলে।

গত ২৬ তারিখে অনুষ্ঠিত উচ্চ-উদ্দীপনার প্রদর্শনী ম্যাচ “ভাইচুং’স ১০”-এর মাধ্যমে শুরু হলো কাউন্টডাউন। ফুটবল আইকন ও রত্ন ভাইচুং ভুটিয়া আনন্দ রান ক্যাটাগরির নিবন্ধিত নয়জন সৌভাগ্যবান অংশগ্রহণকারীর সঙ্গে পাঁচ-জনের একটি প্রাণবন্ত ম্যাচে অংশ নেন। টিএসডাব্লিউ ২৫কে রত্ন শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি রেফারির হুইসেল বাজিয়ে ম্যাচের সূচনা করেন।

এই কমিউনিটি-চালিত ইভেন্টটি দৌড়বিদ, স্পনসর, অংশীদার এবং সেলিব্রিটিদের একত্রিত করে খেলাধুলার আনন্দময় সম্প্রীতি উদযাপন করল।

ভাইচুং ভুটিয়া বলেন,

“‘ভাইচুং’স ১০’-এর নেতৃত্ব দিতে পারা এবং টাটা স্টিল ওয়ার্ল্ড ২৫কে কলকাতার ১০ম বর্ষপূর্তির উদযাপন শুরু করা আমার কাছে গর্বের। আজ যে শক্তি এবং বৈচিত্র্য দেখলাম, তা সত্যিই কলকাতার হৃদয়কে তুলে ধরে। জীবনের নানা স্তরের মানুষকে একত্র হতে দেখে আবারও মনে হলো কেন এই শহরকে ভারতের স্পোর্টিং হার্ট বলা হয়। সকলকে অনুরোধ করছি—নিবন্ধন করুন, অংশ নিন এবং এই স্মরণীয় সংস্করণকে আরও বিশেষ করে তুলুন।”

শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি বলেন,

“আমি সব নারীকে বলতে চাই—কেবল ১৫% নয়, আরও বেশি সংখ্যায় নারীদের অংশগ্রহণ করা উচিত। আমার মনে হয় দৌড় কেবল ফিটনেস বা খেলাধুলার জন্য নয়—নারীদের নিজেদের শক্তি, স্বাধীনতা, স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য দৌড়ে অংশ নেওয়া উচিত।”

টাটা স্টিল-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট – কর্পোরেট সার্ভিসেস, ডি. বি. সুন্দর রমাম বলেন,“টাটা স্টিল ওয়ার্ল্ড ২৫কে কলকাতার ১০ম বর্ষপূর্তিতে রেকর্ড-সৃষ্টিকারী অংশগ্রহণ শহরের প্রাণবন্ত চেতনা এবং মানুষের আবেগকে প্রতিফলিত করে। এই ইভেন্ট শুধু অ্যাথলেটিক দক্ষতা প্রদর্শনই নয়, বরং স্বাস্থ্য ও দৌড়ের আনন্দ উদযাপনে কমিউনিটিকে একত্র করে। সবাইকে আমন্ত্রণ জানাই—এই স্মরণীয় সংস্করণকে আরও অনন্য করে তুলুন।”

সব ক্যাটাগরিতে—২৫কে, ওপেন ১০কে, আনন্দ রান, সিনিয়র সিটিজেনস রান, এবং চ্যাম্পিয়ন্স উইথ ডিজঅ্যাবিলিটি—নিবন্ধন দ্রুত ভরে আসছে। নিবন্ধন বন্ধ হওয়ার আগেই সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে দ্রুত নিবন্ধন করতে: https://tatasteelworld25k.procam.in/

আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাংকের চিফ মার্কেটিং অফিসার, শ্রীপদ শেংদে বলেন,“ম্যারাথন দৌড় এবং আর্থিক সুস্থতা অর্জন—উভয়ের জন্যই পরিকল্পনা এবং নিয়মিততা দরকার। আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাংকে আমাদের কাস্টমার-ফার্স্ট নীতি মানুষকে আর্থিক স্বাধীনতার পথে সহায়তা করে, ঠিক যেমন দৌড়বিদরা ধীরে ধীরে ফিনিশ লাইনের দিকে এগিয়ে যায়। আমরা গর্বিত যে এই আইকনিক ইভেন্টের অংশ হতে পারছি, যা শহরের শক্তি, দৃঢ়তা এবং চেতনাকে উদযাপন করে।”

প্রোক্যাম ইন্টারন্যাশনালের যুগ্ম ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিবেক সিং বলেন,“এই ঐতিহাসিক ১০ম সংস্করণের প্রস্তুতি জোরকদমে চলছে, এবং কলকাতার উদ্দীপনা অসাধারণ। বছর কয়েকের মধ্যে টাটা স্টিল ওয়ার্ল্ড ২৫কে কলকাতা দেশের অন্যতম প্রিয়

অংশগ্রহণমূলক স্পোর্টিং ইভেন্টে পরিণত হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য সবসময় ছিল কমিউনিটিকে সক্রিয় রাখা—এবং আজ কলকাতা সত্যিই একটি রানিং সিটি হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।”

দৌড়বিদদের জন্য বিশেষ আয়োজন ১০ম বর্ষপূর্তিতে অংশগ্রহণকারীদের অভিজ্ঞতা বাড়াতে রয়েছে নানা বিশেষ উদ্যোগ। রেস-পূর্ব ও রেস-পরবর্তী উজ্জ্বল বিনোদন, রুটজুড়ে উচ্চ-শক্তির চিয়ারিং ও মিউজিক জ়োন, দ্রুততম কোর্স সুবিধা—সব মিলিয়ে প্রতিটি ক্যাটাগরির দৌড়বিদদের জন্য থাকবে অনন্য অভিজ্ঞতা।

রান ক্লাবগুলোর ঐক্যবদ্ধ সমর্থন

১২টি রান ক্লাবের ২৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবক রুটে দৌড়বিদদের সহযোগিতা করবেন এবং বিভিন্ন সহায়তা স্টেশন পরিচালনা করবেন।

২৫কে ফিনিশারদের জন্য ‘মেডেল অফ স্টিল’,২৫কে শেষ করা প্রতিটি দৌড়বিদ পাবেন টাটা স্টিলের বিশেষভাবে তৈরি ‘মেডেল অফ স্টিল’। স্টিল মানুষের অন্তর্নিহিত শক্তি, দৃঢ়তা ও ধৈর্যের প্রতীক—চ্যালেঞ্জের সামনে না ভেঙে দাঁড়ানোর প্রতীক।

টেন স্পোর্টসের এক্সক্লুসিভ মার্চেন্ডাইজ

২৫কে এবং ১০কের অংশগ্রহণকারীদের জন্য থাকছে টেন স্পোর্টসের বিশেষ রেসডে মার্চেন্ডাইজ। ২৫কের নিশ্চিত অংশগ্রহণকারীরা রেসডে টি-শার্ট পাবেন এবং ওপেন ১০কের দ্রুততম ১০০০ পুরুষ ও মহিলা পাবেন ফিনিশার টি-শার্ট।

বিজয় দিবস ট্রফি

বিজয় দিবসের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভারতীয় সেনা, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী মোট ৩০টি দলের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। প্রতিটি দল ৩ জন করে দৌড়বিদ পাঠাবে। সম্মিলিত সময়ের ভিত্তিতে বিজয়ী নির্ধারিত হবে।

পুলিশ কাপ

কলকাতা পুলিশের নিরলস প্রচেষ্টাকে সম্মান জানাতে চালু হয়েছে পুলিশ কাপ। ১৭৫টি দল—১৫০টি পুরুষ ও ২৫টি মহিলা দল—১০কে দৌড়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।

গেট অ্যাকটিভ এক্সপো

দৌড়, স্বাস্থ্য ও লাইফস্টাইল সম্পর্কিত সর্বশেষ তথ্য জানার পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের বিব, রেসডে নির্দেশিকা, নিরাপত্তা ও ট্রাফিক নির্দেশিকা সংগ্রহ করতে পারবেন।

ভেন্যু: নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম

তারিখ: ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫।

কৃতজ্ঞতা ও অংশীদাররা

টাটা স্টিল ওয়ার্ল্ড ২৫কে কলকাতা কৃতজ্ঞ—

পশ্চিমবঙ্গ সরকার, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ভারত সরকার, ভারতীয় সেনা – ইস্টার্ন কমান্ড, ক্রীড়া কর্তৃপক্ষ (SAI), অ্যাথলেটিক ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (AFI), কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন, কলকাতা পুলিশ, ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিক্স (WA), AIMS এবং GSC-এর প্রতি।

পার্টনাররা:

টাইটেল স্পনসর – টাটা স্টিল

অ্যাসোসিয়েট স্পনসর – আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাংক

স্পোর্টসওয়্যার পার্টনার – টেন স্পোর্টস

হাইড্রেশন পার্টনার – বিসলারি

এনার্জি ড্রিঙ্ক পার্টনার – ফাস্ট&আপ, রেড বুল

হসপিটালিটি পার্টনার – দ্য ললিত গ্রেট ইস্টার্ন

প্রিন্ট পার্টনার – দ্য টেলিগ্রাফ

রেডিও পার্টনার – ৯৮.৩ মির্চি

টেলিকাস্ট পার্টনার – সনি স্পোর্টস ১

মেডিক্যাল পার্টনার – ফোর্টিস

ফিলানথ্রপি পার্টনার – ইমপ্যাক্ট ৩৬০ ফাউন্ডেশন

এসসিআর ফ্যাসিলিটেটর – ইমোহা

ছবি: প্রোক্যামের সৌজন্যে।

*ব্যারাকপুরে বিজেপির পরিবর্তন যাত্রা*

নিজস্ব সংবাদদাতা: উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে শুক্রবার বিজেপির পক্ষ থেকে একটি মিছিল সংঘঠিত করা হয়। আয়োজক বিজেপি ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার ডাকে এই পরিবর্তন যাত্রা সংগঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং সহ ব্যারাকপুর সাংগঠনিক নেতৃত্ব।

দোরগোড়ায় ২০২৬ এর নির্বাচন। তার মধ্যেই রাজ্যে চলছে এসআইআর।বাংলায় সরকার বদলের ডাক দিচ্ছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যে বাংলায় শুরু হয়েছে সংকল্প যাত্রা। এবার এই সংকল্প যাত্রায় গিয়ে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সুর চড়ালেন, কেন বাংলার ‘লক্ষ্মীরা’ নারায়ণ-হারা?

উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে সংকল্প যাত্রায় সুকান্ত বললেন, “বাংলার সব লক্ষ্মীরা লক্ষ্মীর ভান্ডার পাচ্ছেন। কিন্তু লক্ষ্মীদের কাছে নারায়ণ নেই, নারায়ণ কোথায়?” নিজেই উত্তর দেন, ” নারায়ণ গুজরাটে, ইটের ভাটা ইট চাঁই মাথায় নিয়ে উঠছে, কোথাও ধান লাগাতে গিয়েছে, কোথাও ছোট একটা রোজগারের কাজ করছে! কারণ বাংলায় রোজগার নেই। বাংলার লক্ষ্মীদের নারায়ণছাড়া করেছে তৃণমূল।”এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই বাংলায় মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়েও সওয়াল করেন। সুকান্তর কথায়, “তৃণমূল মেয়েদের সম্মান করতে পারে না। তাই বাংলার মহিলাদের বলছি, আপনাদের নারায়ণ ছাড়া হতে হয়েছে, তৃণমূলকে ভোট দিলে ইজ্জত ছাড়া হতে হবে।” সুকান্ত ডাক দেন, বাংলাকে বাঁচাতে হলে পরিবর্তন করতেই হবে।

ছবি : প্রবীর রায়