অক্টোবরে ভাগ্য খুলতে চলেছে তিন রাশির জাতকদের
*জ্যোতিষ কথা*


ডেস্ক: ভারতীয় জ্যোতিষ অতি প্রাচীন শাস্ত্র। এই জ্যোতিষ শাস্ত্র বিশ্বাস করে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থানের প্রভাব প্রত্যক্ষভাবে পরে মানুষের জীবনে। সেই বিচার করেই অক্টোবর মাসকে তিন রাশির জাতকদের কাছে খুবই ‘শুভযোগ’ বলা হচ্ছে।

জ্যোতিষ গণনা বলছে – ৩ অক্টোবর ২০২৪- শনি কুম্ভ রাশিতে রয়েছে। ৩ অক্টোবর, ১২:১০ মিনিটে, এটি রাহুর নক্ষত্রে অর্থাৎ শতভীষা নক্ষত্রে প্রবেশ করবে। ১০ অক্টোবর ২০২৪- বুদ্ধি, যুক্তি এবং বন্ধুত্বের গ্রহ বুধ ১০ অক্টোবর তার রাশি পরিবর্তন করবে। ১৩ অক্টোবর ২০২৪- বিলাসিতা, সম্পদ, সম্পত্তি, খ্যাতি এবং প্রেমের গ্রহ শুক্রের ১৩ অক্টোবর রাশি পরিবর্তন হবে। ২০ অক্টোবর ২০২৪- গ্রহের সেনাপতি মঙ্গল কর্কট রাশিতে প্রবেশ করবে।

এর ফলে –

১) বৃষ রাশির জাতক জাতিকারা অক্টোবরে গ্রহের গোচরে  লাভবান হবেন। কর্মজীবনে অগ্রগতি হবে এবং সমাজে সম্মান থাকবে। দাম্পত্য জীবন সুখের হবে।

২) সিংহ রাশিতে সূর্য, বুধ, শুক্র ও মঙ্গলের বিশেষ আশীর্বাদ থাকতে চলেছে। ব্যবসায় উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে। চাকরিজীবীরা পদোন্নতি পেতে পারেন।

৩) কন্যা রাশির জাতকদের জন্য অক্টোবর মাস বিশেষ হতে পারে। আপনার কেনাকাটার তালিকা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে  আপনার ব্যয়ও বাড়বে তবে আপনি যা চান তা শীঘ্রই পেতে পারেন।

Courtesy by:www.machinnamasta.in
*"থ্রেট কালচারের"-ইতিহাসের পথ ধরেই*

ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডের পরে প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি সহ যেসব অভিযোগ উঠতে শুরু করে, তার মধ্যে একটি হলো ‘থ্রেট কালচার’। অর্থাৎ গুন্ডা বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে হসপিটালের অভ্যন্তরে নানাভাবে তোলাবাজি করা। এটা এখন জলের মতো স্বচ্ছ যে আর জি করে সন্দীপ ঘোষের নেতৃত্বে একটা বিরাট বাহিনী ছিল যারা ‘থ্রেট কালচার’ চালিয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু সত্যিই কি এই কালচারের প্রবক্তা সন্দীপ ঘোষ এবং তার বাহিনী?

এখানেই একবার ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকালে দেখা যাবে, এর জন্ম কিন্তু বাম আমলে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। তৎকালীন বাম সরকার সিদ্ধান্ত নিল, সেখানে এবং এসএসকেএমে ক্যাপিটেশন ফি নিয়ে পড়ুয়া ভর্তি হবে। সরকারি হাসপাতালে এ ভাবে টাকা নিয়ে ভর্তির বিরুদ্ধে গর্জে উঠল ছাত্র সমাজ। শুরু হলো আন্দোলন। অভিযোগ, সেই আন্দোলণে যে ছাত্রনেতারা তৎপর হয়ে উঠেছিলেন,তাদের উপর নেমে এসেছিলো প্রচুর হুমকি। ক্যাপিটেশন ফি-এর বিরুদ্ধে সেই আন্দোলন আজকের মতোই গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। মুখ পুড়েছিল বাম-সরকারের। তবে একথা ঠিক যে, সেটা সীমাবদ্ধ ছিল দু’একটি কলেজের মধ্যে। আর এখন সেই রোগ সংক্রামিত হয়েছে সারা বাংলায়।

থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়ার পরে আর জি করে গঠন করা হয় এক তদন্ত কমিটি, যারা থ্রেট কালচার নিয়ে তদন্ত করছে। প্রথম দিন ১২জনকে তলব করা হলেও, হাজির হলেন মাত্র পাঁচজন। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ১৩জন অধ্যাপকের বিরুদ্ধেও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে আর জি কর রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। অন্যদিকে, মেডিক্যাল কলেজগুলিতে থ্রেট কালচারের অপসংস্কৃতি। শুরু হল অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ। আর তাঁদের দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন আন্দোলরত জুনিয়র ডাক্তাররা। অন্যদিকে, কলকাতার এসএসকেএম, আরজি কর-ই হোক বা শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ। গত কয়েক দিনে, থ্রেট কালচার নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক বক্তব্য, অডিও ক্লিপ সামনে এসেছে। আর গতকাল, আরজি কর মেডিক্যালে হুমকি দেওয়ায় অভিযুক্ত ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এই হাসপাতালেরই বিশেষ তদন্ত কমিটি।

এবার এই থ্রেট কালচারের অভিযোগ আসছে বিভিন্ন জায়গা থেকে – আর এটাও ঠিক সর্বত্র অভিযুক্ত শাসক দলের নেতা কর্মীরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে থ্রেট কালচারের অভিযোগ ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম ও মাস কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছে ছাত্রছাত্রীদের একাংশ।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম ও মাস কমিউনিকেশন বিভাগের প্রাক্তন প্রধান সান্ত্বন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের সিন্ডিকেট চালান ওই অধ্যাপক। এর সঙ্গে নম্বর হেরফের করারও অভিযোগ করা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকি ছাত্রছাত্রীদের ধমকানোর অভিযোগও তুলেছেন আন্দোলনকারীরা।

সামনে এসেছে CESC -র থ্রেট কালচার। বেসরকারি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সিইএসসি-তেও নাকি রয়েছে থ্রেট কালচার! যা নিয়ে মঙ্গলবারই সংবাদমাধ্যমে সরব হয়েছিলেন এক মহিলা। আর বুধবার, প্রকাশ্যে আসা একটি ভিডিয়ো সেই জল্পনা আরও উস্কে দিল। সম্প্রচারিত খবরে সিইএসসি-র এক মহিলা কর্মী দাবি করেন, হুগলি জেলায় কর্মরত থাকাকালীন লাগাতার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সংগঠনের এক নেতার হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। তাঁর দাবি ছিল, ওই তৃণমূল নেতার নাম সমীর পাঁজা। মহিলার দাবি ছিল, সমীর পাঁজার অত্যাচারে অতীষ্ট হয়েই তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন এবং তাদের হস্তক্ষেপে কলকাতার শ্যামবাজার কার্যালয়ে বদলি হয়ে চলে আসেন। কিন্তু, সেখানেও তাঁকে কাজে যোগ দিতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর জন্য সমীর পাঁজার অনুগামীদেরই কাঠগড়ায় তোলেন ওই মহিলা। পাশাপাশি, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। সবটা মিলিয়ে তৃণমূল আমলে ‘থ্রেট কালচার’ শব্দটা বেশ আভিধানিক হয়ে উঠেছে।

Courtesy by: www.machinnamasta.in

ফটো ফিচার খেলা
ফটো ফিচার খেলা
সূর্যের আলো না সাপ্লিমেন্ট, ভিটামিন ডির জন্য কোনটি মানবদেহের পক্ষে ভালো?
*স্বাস্থ্য*



ডেস্ক: ভিটামিন ডি হাড়ের সুস্থতা ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ইদানীং অনেকের দেহেই ভিটামিন ডির ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। ভিটামিন ডির প্রাথমিক উৎস দুটি। ১) সূর্যের আলো ও ২) সাপ্লিমেন্ট।

আরামপ্রিয় জীবনযাত্রা, দীর্ঘক্ষণ অফিস করা ও দিনের বেলা ঘরের মধ্যে থাকা ইত্যাদি কারণে ভিটামিন ডির প্রাকৃতিক উৎস সূর্যের আলোর সঙ্গে মানবদেহের সঠিক সংস্পর্শ হয় না। ভিটামিন ডির চাহিদা সহজে পূরণ করার জন্য তাই বাজারে বিভিন্ন রকম সাপ্লিমেন্ট পাওয়া যায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, সাপ্লিমেন্ট কি রোদের চেয়ে ভালো?

*সূর্যের আলো*

সূর্যের আলোর অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের সংস্পর্শে এসে ত্বকে থাকা কোলেস্টেরল থেকে ভিটামিন ডি তৈরি করে। পরে লিভার ও কিডনিতে প্রক্রিয়াজাত হয়ে ভিটামিন ডি আমাদের দেহে ব্যবহারের উপযোগী হয়। কিন্তু ব্যক্তি, স্থান ও ঋতুভেদে আমাদের শরীরে সূর্যের আলো সমানভাবে লাগানো সম্ভব হয় না। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে সূর্যের আলো প্রবল থাকে।

শুধু এ সময়ের মধ্যে সূর্যের আলো গায়ে লাগালে বেশি পরিমাণে ভিটামিন ডি তৈরি হয়। একই পরিমাণ ভিটামিন ডি তৈরি হওয়ার জন্য শ্বেতবর্ণের চেয়ে গাঢ় বর্ণের লোকদের অপেক্ষাকৃত বেশি সূর্যের আলো দরকার হয়। বয়স্কদের ক্ষেত্রে সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি কম পরিমাণে তৈরি হয়। আবার অনেক উঁচু স্থানে বাস করা লোকেরা শীতকালে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পায় না। এসব সীমাবদ্ধতার কারণেই বাজারে এসেছে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট।

*ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট*

দুই ধরনের সাপ্লিমেন্ট আছে। ভিটামিন ডি২, যা ইস্ট ও ছত্রাক থেকে আসে এবং ভিটামিন ডি৩, যা আমাদের ত্বকে তৈরি হয়। উভয় ধরনের সাপ্লিমেন্ট ভিটামিন ডির মাত্রা বাড়াতে পারলেও সাপ্লিমেন্টে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি৩ ব্যবহৃত হয়।

সাপ্লিমেন্টের মাধ্যমে সহজে বয়স ও লিঙ্গ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সঠিক পরিমাণ ভিটামিন ডি গ্রহণ করা যায়। এ ছাড়া সূর্যের আলো কমবেশি গ্রহণের ঝামেলা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

*সূর্যের আলো, না সাপ্লিমেন্ট?*

সূর্যের আলো ও সাপ্লিমেন্ট দুটোই ভিটামিন ডির প্রয়োজন মেটাতে পারে কিন্তু ব্যক্তিগত অবস্থাভেদে এদের কার্যকারিতা ভিন্ন হতে পারে। যাঁরা সহজেই পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পান, তাঁদের শরীরে প্রাকৃতিকভাবে যে ভিটামিন ডি তৈরি হয়, সেটাই তাঁদের জন্য যথেষ্ট। সে ক্ষেত্রে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টার মধ্যে সাধারণত ১০-৩০ মিনিট সূর্যের আলো গ্রহণ করাই যথেষ্ট। তবে ৩০ মিনিটের বেশি রোদ গায়ে পড়লে ত্বকের ক্যানসারসহ অন্যান্য ক্ষতির আশঙ্কা আছে। সে ক্ষেত্রে ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি।

অন্যদিকে, যাঁরা অফিস কিংবা পরিবেশগত কারণে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পান না কিংবা স্বাস্থ্যগত কারণে সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি তৈরি করতে পারে না, তাঁদের সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করতে হয়। তবে উচ্চমাত্রার সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের ফলে দেহে ভিটামিন ডির আধিক্যজনিত বিষক্রিয়া এবং হাইপারক্যালসেমিয়া, হাড়ে ব্যথা, কিডনিতে পাথর ইত্যাদি মারাত্মক জটিলতা হতে পারে।

এ জন্য সতর্কতা হিসেবে চিকিৎসকের পরামর্শে আগে রক্তে ভিটামিন ডির মাত্রা পরীক্ষা করে পরিমিত পরিমাণে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে হবে। এ ছাড়া সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ রোদ পোহানোর চেয়ে সহজ মনে হলেও সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের জন্য রোগীকে টাকা খরচ করতে হয়। তাই শুধু ওপরের অবস্থাগুলো পর্যালোচনা করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জলদাপাড়ায় হয়ে উঠছে ‘মডেল গ্রাম’


ডেস্ক: রাজ্যের তো বটেই বিশ্বের বহু পর্যটকের একটা অন্যতম আকর্ষণ উত্তরবঙ্গের জলদাপাড়া। এখানকার এক শৃঙ্গ গন্ডার ও অন্যান্য পশুকুল মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দু। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, যে জলদাপাড়া গ্রাম থেকে নাম হয়েছে ওই ‘জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান’, সেই জলদাপাড়া গ্রাম কিন্তু এখনও যথেষ্ট ব্রাত্য। তাই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে ওই জলদাপাড়া গ্রামকেই এবার ‘মডেল গ্রাম’ হিসাবে গড়ে তোলা হচ্ছে, যাতে পর্যটকেরা জাতীয় উদ্যানে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই গ্রামের আদিবাসী জীবনের পরিচয় পেতে পারেন।

ইতিমধ্যে ওই গ্রামে আলিপুরদুয়ার-১ পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে গড়ে উঠেছে একটি সরকারি বাংলো। এবার পুজোর আগেই কলকাতার একটি জার্নালিসম কলেজের পক্ষ থেকে অধ্যাপক ও পড়ুয়াদের একটি দল ২৮-৩০ সেপ্টেম্বর একটি শিক্ষামূলক ভ্রমণে আসছেন। তারা ওই গ্রামে একটি কর্মশালার আয়োজন করবেন। বন ও পর্যটন দপ্তরের আধিকারিকরা ওখানে উপস্থিত থাকবেন।

জলদাপাড়া লজ ওনার্স এসোশিয়েশনের সভাপতি বলেন,’এই কর্মসূচি জলদাপাড়া গ্রামকে মানুষের সামনে নিয়ে আসবে।’ বন ও বন্যপ্রাণীর সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকেরা এই অঞ্চলের আদিবাসী সম্প্রদায় (রাজবংশী, মেচ, রাভা, গারো ইত্যাদি )সম্পর্কেও যথেষ্ট কৌতূহলি। এর মধ্য দিয়ে ওই আদিবাসীদের শিল্প সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটবে।
মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম বেঙ্গালুরু এফ সি ম্যাচ শনিবার

খেলা

আই এস এল

মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম বেঙ্গালুরু এফ সি-এর মধ্যে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ম্যাচটি ২৮ সেপ্টেম্বর (শনিবার) সন্ধ্যা ৭.৩০ এ বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত হবে। এই উপলক্ষ্যে আজ মোহনবাগান মিডিয়া সেন্টারে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের প্রধান কোচ হোসে মোলিনা এবং খেলোয়াড় দিমিত্রি পেত্রতোস সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। কোচ জানালেন যে , 'দল সব দিক থেকেই জেতার জন্যে প্রস্তুতি নিয়েই খেলতে নামবে ওইদিন।' দিমিত্রি'র কথাতেও পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের ছাপ ফুটে উঠলো এদিন।

ছবি:সঞ্জয় হাজরা (খবর কলকাতা)।

ফটো ফিচার খেলা
ফটো ফিচার খেলা
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের
*খেলা*

*# Sports News*


*ডেস্ক* : টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা ঘোষণা করলেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। ভারতের বিপক্ষে কানপুরে টেস্টে মাঠে নামার আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘোষণা করেন সাকিব। আগামী ২১ অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজই তার শেষ খেলা। ক্যারিয়ারের শেষ টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই। ওয়ানডে ক্রিকেট নিয়ে তাঁর পরিকল্পনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান ,তিনি আগামী বছর পাকিস্তানে হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন ট্রফি পর্যন্ত খেলবেন।আজ সাকিবকে আগামী অক্টোবরে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টের খেলা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। সেই প্রশ্নের উত্তরে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কথা বলেন সাকিব। তিনি জানান,‘দেখুন, এখন পর্যন্ত আমি তো অ্যাভেইলেবল। দেশে যেহেতু অনেক পরিস্থিতি আছে, সবকিছু অবশ্যই আমার ওপরে না। আমি বিসিবির সঙ্গে এসব নিয়ে আলোচনা করেছি। তাদের বলা হয়েছে আমার কী পরিকল্পনা। এই সিরিজ আর হোম সিরিজটা আমি ফিল করেছিলাম আমার শেষ সিরিজ হবে, টেস্ট ক্রিকেটে স্পেশালি।’

ছবি সৌজন্যে: গুগল
আনারস – শুধুই উপদেয় নয়, অসাধারণ খাদ্যগুন সম্পন্ন

ডেস্ক:এমনিতেই বলা হয়, দিনের মোট খাদ্যের ৩০ শতাংশ স্যালাড ও ফল খাওয়া উচিত। এই ফলের মধ্যে আনারসের একটা বিশেষ স্থান আছে। আনারস একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর ফল, যা মিষ্টি এবং টক স্বাদের জন্য পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম Ananas comosus. আনারসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে এবং হজমশক্তির উন্নতিতে সাহায্য করে। সতেজতা প্রদানের পাশাপাশি এই ফলটি ত্বক ও চুলের জন্যও উপকারী। আনারস স্যালাড, জুস, স্মুদি এবং মিষ্টিতে ব্যবহৃত হয়। এটি ওজন কমাতেও দারুণ কাজে আসে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞারা বলেন, এতে পাওয়া যায় এনজাইম ব্রোমেলেন, যা হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়। এই ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। আনারস ওজন কমানোর জন্য একটি দুর্দান্ত ফল হিসাবে বিবেচিত হয়। এতে কম ক্যালরি এবং উচ্চ ফাইবার রয়েছে, যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে আসনারসের জুস না করে কামড়ে খাওয়ার উপকার বেশি। তাই মাঝে মাঝে খাদ্য তালিকায় আনারস রাখুন।
মর্ত্যলোকে ব্রহ্মার পুজো প্রচলিত হল না কেন?

ডেস্ক;:বিশ্বের একমাত্র ব্রহ্মা মন্দির আছে রাজস্থানের পুস্করে। আর কোথাও ব্রহ্মা মন্দির নেই, ব্রহ্মার পূজোও হয় না। কিন্তু কেন? এই প্রশ্ন স্বাভাবিক। হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরকে যথাক্রমে সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয়ের অধীশ্বর বলে মনে করা হয়। এই তিন জনের মধ্যে শিবের পূজা ভারতে অত্যন্ত জনপ্রিয়। নানা রূপে বিষ্ণুর পূজাও যথেষ্ট প্রচলিত। কিন্তু ভারতে ব্রহ্মার পূজার চল প্রায় নেই বললেই চলে, ব্রহ্মা মন্দিরও বেশ দুর্লভ। কিন্তু ব্রহ্মা এমন অনাদৃত থেকে গেলেন কেন?

এই নিয়ে ভারতীয় পুরানে আছে এক গল্প। পুরাণে কথিত হয়েছে, ব্রহ্মা যখন সৃষ্টি প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন তখনই নিজের কাজের সুবিধার জন্য এক সুন্দরী নারীকে তৈরি করেন তিনি। শতরূপা, গায়ত্রী, সরস্বতী, সাবিত্রী বা ব্রহ্মাণী নামে পরিচিতা সেই নারীর প্রতি কামাসক্ত হয়ে পড়েন ব্রহ্মা। শতরূপা ব্রহ্মার চোখের আড়াল হওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। তাঁর উপর নজর রাখতে নিজের ঘাড়ের উপর পাঁচদিকে পাঁচটি মাথা তৈরি হয়ে যায় ব্রহ্মার। শতরূপা তখন ব্রহ্মার কামাবেগ থেকে নিজেকে বাঁচাতে নানা পশুর ছদ্মবেশ ধরে পালাতে থাকেন। ব্রহ্মাও একে একে সেইসব পশুর পুরুষ রূপ ধারণ করে শতরূপার পিছু নেন। বলা হয়, এইভাবেই তৈরি হয় জীবকূল। শতরূপা বাঁচতে একটি গুহার ভিতর আশ্রয় নেন। ব্রহ্মা সেই গুহাতেই মিলিত হন শতরূপার সঙ্গে। শতরূপা ছিলেন ব্রহ্মার কন্যা। কিন্তু তাঁর সঙ্গেই মিলিত হন ব্রহ্মা। এই অবৈধ যৌনাচারের অপরাধে শিব ব্রহ্মার পঞ্চম মাথাটি কেটে দেন, এব‌ং অভিশাপ দেন যে, ধরাধামে কেউ ব্রহ্মার পূজা করবে না। আরও একটি কাহিনিতে বলা হচ্ছে, বিষ্ণু ও ব্রহ্মার মধ্যে একবার প্রতিযোগিতা শুরু হয়- কে বেশি শক্তিশালী- তা জানতে। অসত্‍ পথে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সেই প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করার চেষ্টা করেছিলেন ব্রহ্মা। শিব এতে ক্ষুব্ধ হন ও ব্রহ্মাকে অভিশাপ দেন যে, তিনি কোনওদিন পৃথিবীতে পূজিত হবেন না। কারণ যাই হোক, ব্রহ্মা সত্যিই পূজা পান না তেমনভাবে।