জাতি বিন্যাসের সমীকরণ কে সামনে রেখে মোদীজীর ৭১ জন মন্ত্রী শপথ
#Narendra_Modi_Swearing_Ceremony_Know_Jati_Equation
এ এন আই: জাতি বিন্যাসের সমীকরণ কে সামনে রেখে মোদীজীর ৭১ জন মন্ত্রী শপথ নিলেন ।এর মধ্যে ২৭ জন ওবিসি এবং ১০ জন এসসি ভুক্ত। টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদি। মোদির পাশাপাশি ৭১ জন সাংসদও মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। এই ৭১ মন্ত্রীর মধ্যে ৩০ জন পূর্ণমন্ত্রী, ৫ জন স্বতন্ত্র দায়িত্বে এবং ৩৬ জন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। এর পাশাপাশি ১৮ জন সিনিয়র নেতাকেও মোদি মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হয়েছে। দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও মোদি সরকারে যোগ দিয়েছেন। এছাড়াও এনডিএ জোটের অনেক সিনিয়র নেতাকেও মন্ত্রী করা হয়েছে। জাতপাতের সমীকরণ মাথায় রেখেই মন্ত্রিসভা ভাগ করেছে বিজেপি। এখানে জেনে নিন কোন মন্ত্রীরা কোন শ্রেণীর, উচ্চ বর্ণ- অমিত শাহ, এস জয়শঙ্কর, মনসুখ মান্ডাভিয়া, রাজনাথ সিং, জিতিন প্রসাদ,জয়ন্ত চৌধুরী, ধর্মেন্দ্র প্রধান, রবনীত বিট্টু, নীতিন গড়কড়ি, পীযূষ গয়াল, মনোহর লাল খট্টর, জিতেন্দ্র সিং, গজেন্দ সিং শেখাওয়াত, সঞ্জয় শেঠ, রাম মোহন নাইডু, সুকান্ত মজুমদার, প্রহ্লাদ যোশি, জেপি নাড্ডা, গিরিরাজ সিং, গিরিরাজ সিং, লামা লাউ দুবে অন্তর্ভুক্ত ।ওবিসি- সিআর পাটিল, পঙ্কজ চৌধুরী, অনুপ্রিয়া প্যাটেল, বিএল ভার্মা, রক্ষা খাডসে, প্রতাপ রাও যাদব, শিবরাজ সিং চৌহান, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, রাও ইন্দ্রজিৎ সিং, কৃষ্ণপালগুর্জার, ভূপেন্দ্র যাদব, ভগীরথ চৌধুরী, অন্নপূর্ণা দেবী, শোভা করন্দলাজে, এইচডি কুমারস্বামী, নিত্যানন্দ রাই,শান্তনু ঠাকুর। দলিত শ্রেণীভুক্ত এসপি বাঘেল, কমলেশ পাসওয়ান, অজয় তমতা, রামদাস আঠাওয়ালে, বীরেন্দ্র কুমার,  অর্জুন রাম মেঘওয়াল, চিরাগ পাসওয়ান, জিতন রাম মাঞ্জি, রামনাথ ঠাকুর অন্তর্ভুক্ত।

*এবার দেখে নেওয়া যাক, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এনডিএ-র কোন দল থেকে ক’জন মন্ত্রী হলেন –
*
বিজেপি – ৬১

তেলেগু দেশম পার্টি: ২

জনতা দল (ইউনাইটেড): ২

লোক জনশক্তি পার্টি: ১

জনতা দল (ধর্মনিরপেক্ষ): ১

শিবসেনা: ১

রিপাবলিকান পার্টি অব ইন্ডিয়া (অটওয়ালে): ১

রাষ্ট্রীয় লোকদল: ১

আপনা দল: ১

হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা: ১
দিল্লির মসনদে তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদী, সঙ্গে তার মন্ত্রী পারিষদ
#Narendra_modi_swearing_in_ceremony

এসবি নিউজ ব্যুরো:  টানা তৃতীয়বারের জন্য দিল্লির মসনদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান। এদিন এরপর শপথ নেন রাজনাথ সিং ও অমিত শাহ। অমিত শাহের পর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু নীতিন গড়করি ও জেপি নাড্ডাকে শপথবাক্য পাঠ করান। এছাড়াও শপথ নিলেন গত মন্ত্রী সভার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।তার পর এস. জয়শঙ্কর শপথ নেন। তার আগে শপথ নিয়েছিলেন শিবরাজ সিং চৌহান। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, যিনি মধ্যপ্রদেশে বিজেপির পতাকা তুলেছিলেন, তিনি প্রথমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন। শিবরাজের পরে, আর একজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রে মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন।হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর পদ ও গোপনীয়তার শপথ নিয়েছেন। শিবরাজ ও মনোহর লাল খট্টরের পর কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীও পদ ও গোপনীয়তার শপথ নিয়েছেন। কুমারস্বামী দুবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। এবার তিনি কর্ণাটকের মান্ডিয়া আসনে জিতে এমপি হয়েছেন। ভোক্কালিগা ভোট ব্যাঙ্কে কুমারস্বামীর দখল শক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তার পর শপথ নেন পীযূষ গোয়েলওঅর্থনৈতিক বিষয়ে তার ভালো দখল বলে মনে করা হয়, বিগত সরকারে তিনি বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ছিলেন। এবার পীযূষ গোয়েল মুম্বাই উত্তর থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছেন। ধর্মেন্দ্র প্রধান, যিনি মোদী 2.0-এ ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন, আবারও মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন, আগের মোদী মন্ত্রিসভায়, ধর্মেন্দ্র প্রধান শিক্ষা, দক্ষতা ও উন্নয়ন মন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন। হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা এবং পূর্ব বিহারকেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাঞ্জি এবং জেডিইউ নেতা লালন সিং।
হিমাচল প্রদেশের মাউন্ট ইন্দ্রাসন ও  মাউন্ট দেও টিব্বা শিখর আরোহণের উদ্দেশ্যে রওনা কলকাতার দল
*#Sports Event*

খবর কলকাতা: গতকাল কলকাতা থেকে হিমালয়ান অ্যাসোসিয়েশনের ১২ সদস্যের একটি দল হিমাচল প্রদেশের মাউন্ট ইন্দ্রাসন (৬২২১ মিটার) ও মাউন্ট দেও টিব্বা শিখর (৬০০১ মিটার) আরোহণের উদ্দেশ্যে রওনা দিল। উল্লেখ্য, এই একই শিখর অভিযানে গত ৩১ শে মে হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট মাউনটেনিয়ার্স অ্যান্ড টেকার্স এ্যসোসিয়েশন এর একটি দল ইতিমধ্যেই রওনা দিয়েছে। দুই দলেই রয়েছে মাউন্ট এভারেস্ট সহ হিমালয়ের একাধিক শৃঙ্গ আরোহন সফলতার সাথে আরোহণকারী অভিজ্ঞ পর্বতারোহীদের। পাশাপাশি, নবীন পর্বতারোহীদের উজ্বল উপস্থিতি। বাংলা থেকে এই ধরনের হিমালয়ের দুর্গম শৃঙ্গ অভিযানের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে বাংলার প্রবীণ ও নবীন পর্বতারোহীরা। ছবি: সঞ্জয় হাজরা।
অম্বুবাচীর  (Ambubachi) উপাখ্যান

গুয়াহাটির (Guahati) কামাখ্যা মন্দিরে দেবীর কোনও মূর্তি নেই। এখানে সতীর (Sati) যোনি পড়েছিল। তাই এখানে দেবী সতীর যোনির পুজোর বিধান রয়েছে। প্রতিবছর জুন মাসে দেবী সতী রজস্বলা হন। এই সময়কালই অম্বুবাচী (Ambubachi) নামে পরিচিত। তিন দিন মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে। পরে বিশেষ পুজোর মাধ্যমে কপাট খোলা হবে। আবার এ সময়ে প্রসাদ হিসেবে একটি লাল ভেজা কাপড় দেওয়া হয়। দেবীর রজস্বলা হওয়ার আগে সেই স্থানে সাদা কাপড় বিছিয়ে দেওয়া হয়। পরে সেটি লাল রঙের হয়। এই পোশাককে অম্বুবাচী বস্ত্র বলা হয়। শাস্ত্র মতে এখানে আগত ভক্তদের ওপর দেবীর আশীর্বাদ থাকে। শ্রদ্ধা-ভক্তি-সহ সতীর পুজো করলে ব্যক্তির সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয়।

সকলের বিশ্বাস, এই সময় ঋতুমতী হন মাতা বসুন্ধরা। সেই উপলক্ষ্যে নানা নিয়ম পালন করা হয় দেশ জুড়ে। ঋতুমতী হলে মেয়েদের সন্তানধারণের ক্ষমতা জন্মায়। তেমনই এই অম্বুবাচীর পরই পৃথিবী শস্যশ্যামলা হয়ে ওঠে বসুন্ধরা। আষাঢ় মাসে মৃগশিরা নক্ষত্রের তৃতীয় পদ শেষ হলে মাসের চতুর্থ পদে পড়লেই শুরু হয় অম্বুবাচী। তিনদিন চলে সেই পর্যায়। এই সময় মাটি কর্ষণ বন্ধ থাকে। দেবী মূর্তি ঢাকা থাকে কাপড়ে। এই তিনদিন পুজোও বন্ধ থাকে অনেক মন্দিরে।

মাটির উপরে এই কদিন আগুন জ্বালিয়ে রান্না করেন না সন্ন্যাসী, ব্রহ্মচারী ও বিধবা মহিলারা। যাঁরা অম্বুবাচী কঠোরভাবে পালন করেন, তাঁরা এই তিন দিন খেয়ে থাকেন শুধু ফল-মিষ্টি। এই তিনদিন কোনও শুভ কাজ করা হয় না। ২২ জুন (৭ আষাঢ়) থেকে শুরু হবে। এরপর থেকে ৩ দিন চলে ২৫ জুন (১০ আষাঢ়) শেষ হবে এই পর্যায়।

তন্ত্র সাধনার অন্যতম সিদ্ধস্থান আসামের (Assam) গুয়াহাটির কামাখ্যা মন্দির। ৫১ শক্তিপীঠের মধ্যে অন্যতম হল এই কামাখ্যা মন্দির। এখানে সতীর অঙ্গ পড়েছিল। কামাখ্যা মন্দিরে এলে কেউ খালি হাতে যায় না। নিজের ভক্তদের সমস্ত মনস্কামনা পূরণ করেন কামাখ্যা দেবী। সারা বছর এই মন্দির খোলা থাকলেও অম্বুবাচীর সময়ে কামাখ্যা মন্দির (Kamakhya) বন্ধ থাকে। হিন্দু ধর্ম শাস্ত্রে অম্বুবাচীর বিশেষ মাহাত্ম্য স্বীকৃত। চলতি বছর ২২ জুন থেকে অম্বুবাচী শুরু হবে। শেষ হবে ২৫ জুন। অম্বুবাচী উপলক্ষ্যে কামাখ্যা মন্দিরে একটি মেলা আয়োজিত হয়। কামাখ্যা মন্দিরের মাহাত্ম্য, কী এই অম্বুবাচী, এর ধর্মীয় মাহাত্ম্য সম্পর্তে আলোচনা করা হল এখানে।

*অনেকের বিশ্বাস ,*

অম্বুবাচীর সময়টুকু বিধবা মহিলারা তিন দিন ধরে ব্রত রাখেন।
অম্বুবাচীর আগের দিন রান্না করা খাবার তাঁরা তিন দিন ধরে খেতে পারেন।
তবে তিন দিনের পুরনো খাবার খাওয়া তো সম্ভব নয়, তাই অনেকেই ফলমূল খেয়ে কাটিয়ে দেন সময়টা।
তিন দিন তারা কোন গরম খাবার খান না। 
এই সময় দেবীপুজো করা হয় না।
অম্বুবাচীর সময় হাল ধরা, গৃহ প্রবেশ, বিবাহ ইত্যাদি শুভ কাজ করা নিষিদ্ধ থাকে
দেবীর মুখ ঢেকে রাখা হয়।

মন্দির থেকে এই সময় লাল তরল নিঃসৃত হয় বলে বিশ্বাস
ওড়িশায় এই পার্বণকে  ‘রজ উৎসব’ বলা হয়। সতীপীঠ কামাক্ষ্যায় এই উৎসব বড় করে পালিত হয়। কথিত আছে, এই সময় মন্দির থেকে লাল তরল নিঃসৃত হয়। দেবীর ঋতুকাল সমাগত মনে করে উৎসব পালিত হয় তখন। 
অম্বুবাচী মেলা আমেটি বা তান্ত্রিক উর্বরতা উৎসব নামেও পরিচিত এবং এটি চার দিনের মেলা (মেলা)। এটি পূর্বাঞ্চলে প্রচলিত তান্ত্রিক শক্তি সাধনার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ভারত এবং থেকে তান্ত্রিক সাধুদের সমাবেশের কারণে বিখ্যাত ভারত এবং বিদেশে। এই চার দিনেই কিছু তান্ত্রিক বাবা জনসমক্ষে হাজির হন। তান্ত্রিক সন্ন্যাসীরা মিডিয়া ও বিদেশীদেরও আকৃষ্ট করে। এবং তান্ত্রিক বাবারা অসংখ্য অনন্য আচার-অনুষ্ঠান এবং ব্যায়াম করে তাদের ছবি তোলা হয় এবং সারা বিশ্বের পত্রিকা ও সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। তান্ত্রিক, অঘোরী এবং সাধুরা এই সময়কালে হবন, আচার, গান এবং নাচ করে। তান্ত্রিক সাধুদের সাথে দেখা করতে এবং তাদের আশীর্বাদ নিতে দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন। এছাড়া গ্রামীণ কারুশিল্প মেলার জন্যও উৎসবটি প্রসিদ্ধ।

এটি ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয় যে দেবী কামাখ্যা অম্বুবাচীর দিনগুলিতে তার বার্ষিক মাসিক চক্রের মধ্য দিয়ে যান। মন্দির তিন দিন বন্ধ থাকে – মাসিকের সময়কাল।চতুর্থ দিনে মন্দিরের বাইরে বিপুল সংখ্যক মানুষ অপেক্ষা করে, কখন মন্দির খোলা হবে। এই সময়ে কামাখ্যা মন্দিরে সারা দেশের সন্ন্যাসী এবং পাণ্ডারা সমবেত হয়।এই অঞ্চলের অনেক মন্দির তিন দিন বন্ধ থাকে। এই তিন দিনে জমি চাষ করা বা মাটি কাটা নিষিদ্ধ।

মন্দিরটি যখন আবার খুলে যায় তখন বিপুল সংখ্যক ভক্তরা উন্মত্ত ভিড় করেন যখন মন্দিরটি অনন্য ‘প্রসাদ’ গ্রহণ করে যা ছোট ছোট কাপড়ের টুকরো, যা দেবী কামাখ্যার ঋতুস্রাবের তরল দ্বারা অনুমিতভাবে আর্দ্র। এটি অত্যন্ত শুভ এবং শক্তিশালী বলে মনে করা হয়।

*অম্বুবাচীর দিনক্ষণ*

২২ জুন অর্থাৎ ৭ ই আষাঢ় সন্ধ্যা ৬ টা ৩১ মিনিটে পড়ছে অম্বুবাচীর (Ambubachi 2024) তিথি। আর তা শেষ হবে ১০ আষাঢ় অর্থাৎ ২৫ মে রাত ১ টা গতে। প্রসঙ্গত, এই অম্বুবাচী তিথিতে কামাখ্যা মন্দিরে বিশেষ পুজো পালিত হয়। এই সময় শুভ কাজ করা নিষিদ্ধ থাকে। করা হয় না কৃষিকাজ। এই সময় ব্রহ্মচারী, বিধবা, যোগী পুরুষকরা ফলাহার করে থাকেন, আগুনে রান্না কিছু তাঁরা খান না। এই রীতি পালনের নেপথ্যে রয়েছে একটি বিশ্বাস।

বিশ্বাস রয়েছে, আষাঢ় মাসের মৃগশিরা নক্ষত্রের চতুর্থপদে ঋতুমতী হন ধরিত্রী। পৃথিবীকে ধরিত্রী মাতা রূপে সম্বোধন করে শাস্ত্র মতে এই ৩ দিন কোনও মাটি খুঁড়ে চাষাবাদের কাজ হয় না। যেহেতু ঋতুমতী মহিলারাই কেবল সন্তান ধারণ করতে পারেন, তাই মনে করা হয় অম্বুবাচীর পর ধরিত্রীও সেই রূপেই আরও শস্য শ্যামলা হয়ে ওঠেন। এই বিশ্বাস থেকে ৩ দিন দেবী মন্দিরে ঢাকা থাকে দেবীর মূর্তি। অম্বুবাচী (Ambubachi) কাটলে শুরু হয় পুজো, মঙ্গলানুষ্ঠান। অন্যদিকে, ধরিত্রীর উপর কাঠ চাপিয়ে আগুন ধরিয়ে এই সময় করা রান্নার পদ মুখে নেননা বহু যোগী পুরুষ, সন্ন্যাসী, বৈধব্যে থাকা মহিলারা।

*দেবী অম্বুবাচীর অঙ্গবস্ত্র –*

দেবী দ্বারা পরিহিত রক্তমাখা কাপড়
অম্বুবাচীর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল অত্যন্ত সম্মানিত অঙ্গবস্ত্র বা রক্তবস্ত্র, প্রথম তিন দিন মন্দিরের পীঠস্থান ঢেকে রাখার জন্য ব্যবহৃত লাল কাপড়ের টুকরো।

প্রচুর পরিমাণে ভক্তরা একটি কাপড়ের টুকরো পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করে যা কারও শরীরে বেঁধে রাখলে এটি খুব শুভ এবং উপকারী বলে বিশ্বাস করা হয়।

*কামাখ্যা মন্দির*

গুয়াহাটির (Ghuahati) কামাখ্যা মন্দিরে দেবীর কোনও মূর্তি নেই। এখানে সতীর (Sati) যোনি পড়েছিল। তাই এখানে দেবী সতীর যোনির পুজোর বিধান রয়েছে। প্রতিবছর জুন মাসে দেবী সতী রজস্বলা হন। এই সময়কালই অম্বুবাচী (Ambubachi) নামে পরিচিত। তিন দিন মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে। পরে বিশেষ পুজোর মাধ্যমে কপাট খোলা হবে। আবার এ সময়ে প্রসাদ হিসেবে একটি লাল ভেজা কাপড় দেওয়া হয়। দেবীর রজস্বলা হওয়ার আগে সেই স্থানে সাদা কাপড় বিছিয়ে দেওয়া হয়। পরে সেটি লাল রঙের হয়। এই যে পোশাককে অম্বুবাচী বস্ত্র বলা হয়। শাস্ত্র মতে এখানে আগত ভক্তদের ওপর দেবীর আশীর্বাদ থাকে। শ্রদ্ধা-ভক্তি-সহ সতীর পুজো করলে ব্যক্তির সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয়। ( Collected).
দিল্লি গেলেন তৃণমূলের দুই সাংসদ
খবর কলকাতা: দিল্লি গেলেন তৃণমূল দুই নব নির্বাচিত সাংসদ।এরা হলেন বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ হাজি নুরুল ইসলাম।
দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিতে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছলেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং
প্রবীর রায়: কলকাতা বিমানবন্দরে অর্জুন সিং বলেন, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দল থেকে ডাক পেয়েছি তাই দিল্লি যাচ্ছি। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে তিনি বলেন, "জোর করে ভোট করানো হয়েছে। অবজারভার গুলো বিক্রি হয়ে গিয়েছিল, অনেকগুলো বিষয় রয়েছে।" বর্ষীয়ান নেতাদের মন্তব্য নিয়ে বলেন, আমি এটা বিশ্বাস করিনা। দলের কর্মীরা যথেষ্ট  কাজ করেছে। তারা যেটা বলছেন, সেটা পাবলিক যদি না বলাই উচিত। আমি কি করতে পেরেছি?। ইলেকশন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে সারা বাংলার মানুষ স্পষ্ট ভাবে দেখেছে। সেটা নিয়ে না বলে, দলের মধ্যে দলের কথা বলা উচিত। ফিরহাদ হাকিমের টেম্পোরারি শপথ মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন," ভালো আছেন উনি ওয়েট করুন। উনি থাকবেন কি থাকবেন না, মোদীজি থাকবেন। উনি কবে ভেতরে যাবেন সেটা নিয়ে চিন্তা করুন, আমাদের নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।"
ব্যক্তিগত সফরে দিল্লি গেলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম

খবর কলকাতা: ব্যক্তিগত সফরে দিল্লি রওনা দিতে কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
বিমানবন্দর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আজ নরেন্দ্র মোদির শপথকে টেম্পোরারি শপথ বলে কটাক্ষ করেন।বিজেপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ে বলেন, "মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ না থাকলে নির্বাচন জেতা যায় না।ভোট মানুষ দেয় না। মানুষ বিজেপিকে বাংলা সহ গোটা দেশে প্রত্যাখ্যান করেছে।বিজেপি যতই লাফাক নিট ফল শূন্য। এরপরে যত নির্বাচন আসবে দেখবেন বিজেপি শূন্য হয়ে যাচ্ছে। সরকার আরো ক্রাইসিসে পড়বে। মমতা ব্যানার্জি যেটা বলেছেন আল্টিমেটলি ইন্ডিয়া সরকার গড়বে"।
সরকারের টিকে থাকা প্রসঙ্গে বলেন, ওদের মেয়াদ খুব কম। একটু অ্যাডভান্টেজ আছে বলে লাফালাফি করছে। আল্টিমেটলি মানুষ প্রত্যাখ্যান করছে বিজেপিকে।
আজ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে বলেন, টেম্পোরারি শপথ।
দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
খবর কলকাতা: আজকের প্রধানমন্ত্রী শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কিনা সে প্রসঙ্গে বলেন, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাচ্ছি না। সাংসদদের রেজিস্ট্রেশন করতে আজ শেষ দিন তাই যাচ্ছি। কালকে আমাকে ফোন করেছিল পার্লামেন্টারি অ্যাফেয়ার মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী আসার জন্য। কিন্তু আমাদের দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাবে না, সেখানে কি করে যাই।তার নেতৃত্বে এবার দল পার্লামেন্টে চলবে সে প্রসঙ্গে বলেন, আমি আজকে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছি না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে দিচ্ছি। ছয় বারের সাংসদ আমি। পশ্চিমবঙ্গে আমার থেকে বেশিবারের সাংসদ আর কেউ নেই।
নতুন সরকার প্রসঙ্গে বলেন, নতুন সরকারের হাল ভবিষ্যৎ সবই অনিশ্চয়তার মধ্যে। এরা দেশকে কতদিন অটুট ভাবে সরকার উপহার দিতে পারবে সেই নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আমাদের নেত্রী। এই সরকারের থেকে আমাদের কোনো প্রত্যাশা নেই।
শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি গেলেন  বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ

খবর কলকাতা: আজ অষ্টাদশ লোকসভা গঠনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। সেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি যাওয়ার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌছলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা বর্ধমান দূর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। এদিন বিমানবন্দরে তিনি বলেন, "শপথ অনুষ্ঠানের যোগ দিতে আমন্ত্রণ পেয়েছি সেখানে যাচ্ছি। এছাড়াও দিল্লির বাস ভবনে বেশকিছু মালপত্র আছে সেগুলো খালি করতে হবে। সেই জন্যই যাওয়া।"

বিগত দিনে তার নানান মন্তব্য সে গুলো দিল্লি নেতৃত্বকে জানাবেন সে প্রসঙ্গে বলেন  যা বলার বলা বলে দিয়েছি।
বকেয়া ট্যাক্স আদায়ে কড়া পদক্ষেপ মালদহের ইংরেজবাজার পৌরসভার, নতুন ট্যাক্স নিয়ে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী মহল
এসবি নিউজ ব্যুরো: লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ এর ফলাফল ঘোষণার পর বকেয়া ট্যাক্স আদায়ে কড়া পদক্ষেপ নিল মালদহূ ইংরেজবাজার পৌরসভার। নতুন ট্যাক্স নিয়ে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী মহল। প্রায় ৩০ কোটি টাকার ট্যাক্স বাকি পৌরসভার। কমার্শিয়াল ট্যাক্স, রেসিডেন্সিয়াল ট্যাক্স, সেন্ট্রাল ট্যাক্স সহ বিভিন্ন ট্যাক্সের বকেয়া তুলতে কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে ইংরেজবাজার পৌরসভা। ইতিমধ্যে নোটিশ জারি করা হয়েছেপৌরসভার পক্ষ থেকে। ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী বলেন, "বহুদিন ধরে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ট্যাক্স বকেয়া রয়েছে। বকেয়া তুলতে পৌরসভার পক্ষ থেকে নোটিশ জারি করা হচ্ছে"।ইংরেজবাজার পৌরসভার বিরোধী কাউন্সিলর অম্লান ভাদুরি বলেন," পৌরসভার প্রচুর টাকার ট্যাক্স বকেয়া রয়েছে। পৌরসভার কর্মীসহ অন্যান্য খরচ ওই টাকা দিয়ে চলে। সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে পৌরসভা। তবে ভোট ফলাফল ঘোষণার পর নোটিশ জারি না করলেই ভালো হতো। অন্যদিকে, মালদহ মার্চেন্টস চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু বলেন, "সত্যিই প্রচুর টাকা বকেয়া রয়েছে পৌরসভার। কমার্শিয়াল ট্যাক্স সহ বিভিন্ন ট্যাক্স বকেয়া রয়েছে। ইতিমধ্যে পৌরসভার পক্ষ থেকে চিঠি করা হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীদের একটু সময় নিয়ে চিঠি দিলে ভালো হতো।"তার মতে এতে ব্যবসায়ীদের উপর হঠাৎ করে নতুন ট্যাক্স চাপোনোই সমস্যায় পড়বে ব্যবসায়ীরা।