শিলিগুড়ি মহকুমার বিধাননগর থেকে উদ্ধার একটি ময়ূর
এসবি নিউজ ব্যুরো: শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধাননগর থেকে উদ্ধার করা হল একটি ময়ূরকে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছাড়লো গোটা এলাকায়। জানা গিয়েছে এদিন এক ব্যক্তি তার বাড়ির ছাদে একটি ময়ূর দেখতে পান। এর পরেই ওই ব্যক্তি ময়ূরটি উদ্ধার করে এবং তড়িঘড়ি খবর দেন পুলিশকে। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পৌঁছায় বিধাননগর থানার পুলিশ। এরপর পুলিশ গিয়ে ময়ূরটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এর পাশাপাশি ,বিধাননগর থানার পুলিশের তরফ থেকে খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরকে। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলেছুটে যায় ঘোষপুকুর রেঞ্জের বনকর্মীরা।এরপর বন কর্মীরা গিয়ে ময়ূরটিকে উদ্ধার করে বনবিভাগে নিয়ে যায়। ঘোষপুকুর রেঞ্জ সূত্রে জানা গিয়েছে উদ্ধার হওয়া ময়ূর টিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে তার আগে শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। তবে কোথা থেকে ময়ূরটি লোকালয়ে এলো তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ও বনদপ্তর।
নাকা চেকিংয়ের নাম করে কাউন্টিং এজেন্টদের হয়রানির চেষ্টার অভিযোগ অর্জুন সিংয়ের

প্রবীর রায়: মঙ্গলবার ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের গণনা হবে রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজে। বিজেপির অভিযোগ, নাকা চেকিংয়ের নাম করে পুলিশ তাঁদের দলীয় কাউন্টিং এজেন্টদের আটকানোর ফন্দি এঁটেছে, যাতে তারা গণনা কেন্দ্রে পৌঁছতে না পারে। আজ নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে টুইট করে পুলিশের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করলেন ব্যারাকপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। তিনি প্রশাসনের ফন্দির বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছেন। এদিন তিনি আরেকটি বিষয়ে টুইট করেন। টুইটে তিনি লেখেন, টিটাগড় পুরসভার পুরপ্রধান কমলেশ সাউ দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন গণনার দিন ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকার মাজারের সামনে ক্যাম্প জমায়েত করতে। তা নিয়েও তিনি নির্বাচন কমিশনকে পদক্ষেপ নিতে বলেন। বীজপুর কেন্দ্রের দুই কাউন্টিং এজেন্ট শান্তনু গাঙ্গুলি ও প্রেম কুমার বাঁশফোরকে রবিবার আটক করেছিল গয়েশপুর আউট পোস্টের পুলিশ। সেই বিষয়েও তিনি টুইট করেন। যদিও সোমবার সকালে পুলিশ ওই দুই কাউন্টিং এজেন্টকে মুক্তি দিয়েছে। সোমবার জগদ্দলের মজদুর ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অর্জুন সিং বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে শাসকদলের তান্ডবে বাড়ি ছাড়া শান্তনু গাঙ্গুলি ও প্রেম কুমার বাঁশফোর। নদিয়ার কল্যাণীতে তাঁরা বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছেন। কিন্তু দুজনের এবার বুথ এজেন্ট হয়েছিলেন।এমনকি তারা কাউন্টিং এজেন্ট হয়েছেন। গণনা কেন্দ্রে ওরা যাতে ঢুকতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রেখে গয়েশপুর আউট পোস্টের পুলিশ ওদেরকে আটক করেছিল। যদিও পরে ব্যক্তিগত বন্ডে ওদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

পর্যটন কেন্দ্র মূর্তিতে সোলার সিস্টেমের স্ট্রীট ল্যাম্প লাগানো হল

এসবি নিউজ ব্যুরো: জলপাইগুড়ি পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম হল ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের মূর্তি পর্যটন কেন্দ্র। গরুমারা জঙ্গল লাগোয়া এই পর্যটন কেন্দ্রে প্রতিবছর প্রচুর পর্যটক আসেন। তবে সন্ধ্যার পর এই পর্যটন কেন্দ্র একপ্রকার অন্ধকারে ডুবে থাকতো, কেননা এতদিন মূর্তিতে স্ট্রীট ল্যাম্প ছিল না। অবশেষে এই পর্যটন কেন্দ্রে সোলার সিস্টেমের স্ট্রীট ল্যাম্প লাগানো হল।আর এতেই খুশি মূর্তির ব্যবসায়ীরা।সোলার সিস্টেমের স্ট্রীট ল্যাম্প হওয়ায় খুশি পরিবেশ প্রেমীরাও। গরুমারা জঙ্গল লাগোয়া হওয়ায় এই পর্যটন কেন্দ্রে জঙ্গল থেকে মাঝেমধ্যেই হাতি সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণীরা চলে আসে।দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবসায়ী সহ স্থানীয় বাসিন্দারা এই এলাকায় আলোর ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছিলেন।অবশেষে মাটিয়ালি বাতাবাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে 'আই লাভ মূর্তি ' ফলকের সামনে লাগানো হয়েছে ওই স্ট্রীট ল্যাম্প । এবিষয়ে চালসার পরিবেশ প্রেমী সুমন চৌধুরী বলেন," সোলার সিস্টেমের স্ট্রীট ল্যাম্প লাগানোর ফলে এলাকায় হাতি বা অন্যান্য বন্যপ্রাণী আসলেও বিদ্যুৎপৃষ্ট হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। সোলার সিস্টেমের স্ট্রীট ল্যাম্প হওয়ায় বন্যপ্রাণীদের কোনো ক্ষতিও হবে না। সেইসাথে  জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় মানুষ বন্যপ্রাণী সংঘাত কমাতে সাইলেন্সার লাগোনোর দাবি জানান তিনি। এমনকি বন্যপ্রাণী প্রবণ এলাকায় পর্যাপ্ত পটকা ও সার্চ লাইট দেওয়ার দরকার বলেও মনে করেন তিনি। এবিষয়ে মাটিয়ালি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হোসেন হাবিবুল হাসান বলেন," মানুষের নিরাপত্তার জন্য এই স্ট্রীট ল্যাম্প লাগানো হয়েছে। তাছাড়া এই স্ট্রীট ল্যাম্প লাগানোর ফলে জঙ্গল থেকে হাতি বা অন্যান্য বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে চলে আসলে তাদের দেখা যাবে।"

লোকনাথ ব্রহ্মচারীর ১৩৪ তম তিরোধান দিবস পালিত হচ্ছে জেলা জুড়ে
এসবি নিউজ ব্যুরো: আজ লোকনাথ ব্রহ্মচারীর ১৩৪ তম তিরোধান দিবস।এই উপলক্ষ্যে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। রাজ্যে সব জেলার পাশাপাশি জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকে লোকনাথ ব্রহ্মচারীর তিরোধান দিবস পালিত হচ্ছে।

এদিন সকাল থেকেই জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের আকারীগছ বানাভাষা আদি লোকনাথ মন্দির কমিটি ও আকারিগছ লোকনাথ মিশনে পুজো শুরু হয়েছে।পুজো দিতে ভিড় জমিয়েছেন ভক্তরা।

এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি জেলার আকারীগছ বানাভাষা আদি লোকনাথ মন্দির কমিটি সম্পাদক ভবতোষ দত্ত বলেন, "বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারীর তিরোধান দিবস উপলক্ষ্যে এক সপ্তাহ থেকে নানা অনুষ্ঠান হচ্ছে।আজ মূল উৎসব। আমাদের পুজো এবছর ৪১ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে।সকাল থেকে স্থানীয়রা ও দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা আসছেন পুজো দিতে।সারাদিন ব্যাপি পুজো ও বাউল গান রয়েছে।এছাড়া এদিন দুঃস্থ ৫০ জনকে বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।পাশাপাশি প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থাও রয়েছে।

অন্যদিকে,আকারিগছ লোকনাথ মিশনের পুজো এবছর ২২ বছরে পদার্পণ করেছে। সকাল থেকেই লোকনাথ বাবার পুজো চলছে।লোকনাথ মিশনের পুজোতে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়েছে।ভক্তদের জন্য প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভরদুপুরে নৈহাটিতে দুই সোনার ব্যবসায়ীর মাথায় পিস্তলের বাট দিয়ে আঘাত করে সোনা লুঠ
প্রবীর রায়: ভরদুপুরে দুই সোনার ব্যবসায়ীর মাথায় পিস্তলের বাট দিয়ে আঘাত করে ব্যাগ-সহ অলংকার লুঠ করে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে নৈহাটির  ১ নম্বর বিজয়নগর এলাকায়। আক্রান্ত দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রশান্ত দাস ও নিমাই ঘোষ দস্তিদার ১ নম্বর বিজয়নগরের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাইকে চেপে অর্ডারি অলংকার ডেলিভারি করতে যাচ্ছিলেন। স্কুলের কাছে পিছন থেকে একটি বাইকে তিন দুষ্কৃতী এসে তাদের বাইকের সামনে দাঁড়ায়। অলংকার থাকা ব্যাগ টেনে নিতে গেলে দুজনে বাধা দেয়। তখনই দুজনকে পিস্তলের বাট দিয়ে আঘাত করা হয়। আক্রান্ত স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রশান্ত দাস জানান, "রাস্তা ফাঁকা ছিল। পিছন থেকে একটা বাইক এসে সামনে দাঁড়ায়। তাঁর কাছ থেকে ব্যাগ টান মারে। নিতে না পেরে তাঁর মাথায় পিস্তলের বাট দিয়ে একজন আঘাত করে। নিমাই দা ব্যাগটা চেপে ধরলে তাঁর মাথায় পিস্তলের বাট দিয়ে সজোরে তিন-চারবার আঘাত করে ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয়।" স্থানীয়রা ছুটে এসে দুজনকে উদ্ধার করে টোটোতে চাপিয়ে নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। নিমাই ঘোষ দস্তিদারের আঘাত গুরুতর। হাসপাতালে চিকিৎসার পর তারা নৈহাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে ছিনতাইবাজদের ধরার চেষ্টা করছে।

২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন শেষ, এবার প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ
এসবি নিউজ ব্যুরো: ভারতের সংবিধান কার্যকর হয় ২৬ জানুয়ারী, ১৯৫০ সালে। নতুন সংবিধানের অধীনে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৫১-১৯৫২ সালে।প্রথম নির্বাচিত সংসদ ১৯৫২ সালের এপ্রিল মাসে শপথ নেয়। এবার অনুষ্ঠিত হল দেশের ১৮তম লোকসভা নির্বাচন।ভোট গণনা হবে ৪জুন। আগামী ১৬ জুন শেষ হচ্ছে চলতি লোকসভার মেয়াদ। ২০১৯ সালে গত লোকসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছিল এনডিএ। প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখলে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও তাঁর থার্ড টার্ম নিয়ে আশাবাদী। অন্যদিকে,এনডিএ-কে  ক্ষমতাচ্যুত করতে বিরোধী দল ঐক্যবদ্ধভাবে তৈরি করেছে ইন্ডিয়া জোট।যেখানে রয়েছে কংগ্রেস ,তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে, বামফ্রন্ট, সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টি (আপ) সহ দেশের ২৮টি বিরোধী রাজনৈতিক দল। এই জোটের চেয়ারপার্সন মল্লিকার্জুন খাড়গে।

গতকাল সারা দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও শেষ হল লোকসভা নির্বাচন ৷রাজ্যে ৪২ কেন্দ্রে ৪৪ দিন ,৭ দফায় ভোট হয়। একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী লড়াই করছেন এবারের নির্বাচনে। তবে এবার উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সন্দেশখালি ঘটনা দেশকে নাড়িয়ে দেওয়া ইস্যুতে রীতিমতো জমজমাট ভোট হয়েছে।

শেষ দফার ভোটে দেশজুড়ে ৭টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ৫৭টি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ করা হয়।এরমধ্যে উত্তরপ্রদেশের ১৩টি আসন, বিহারের ৮টি, হিমাচল প্রদেশের ৪টি, পঞ্জাবের ১৩টি, ওড়িশার ৬টি, ঝাড়খণ্ডের ৩টি ও চণ্ডীগঢ়ে ভোট গ্রহণ হবে।পশ্চিমবঙ্গের ৯টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়েছে।শেষ দফায় দেশজুড়ে হেভিওয়েট প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেসের চরণজিৎ সিং চান্নি, রবিশঙ্কর প্রসাদ, কঙ্গনা রানাউতের মতো হেভিওয়েট প্রার্থীদের ভাগ্য পরীক্ষা হয়।

এবার বাংলার বিজেপিকে বাংলায় ৩০ টি আসন দখলের টার্গেট বেঁধে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷রাজ্যে বারবার প্রচারে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর ডেপুটি ৷অন্যদিকে, রাজ্যের প্রতিটি প্রান্ত চষে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন জনতার দরবারে মার্কশিট পেতে অপেক্ষা ৪ জুনের ৷

২০১৯ এর পর থেকে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল হিসেবে উত্থান হয়েছে বিজেপির ৷ গত লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসন জিতেছিল গেরুয়া শিবির ৷ উত্তরবঙ্গ উজাড় করে পদ্মশিবিরের ভোটবাক্স ভরিয়ে দিয়েছিল ৷ ফলে পশ্চিমবঙ্গে আরও জোরালো ভাবে পদ্ম ফোঁটাতে উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি বাকি আসনেও নজর দিয়েছিল বিজেপি। তবে শেষ মুহূর্তে ‘একলা চলা’র নীতি নেওয়া তৃণমূল মরিয়া একাধিক দুর্নীতি, অভিযোগের হার্ডলস পেরিয়ে রাজ্যে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে চেষ্টা করেছে ৷কিন্ত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এরাজ্যে একাধিক আসনেই জয়ের ‘ফ্যাক্টর’ হতে পারে বাম-কংগ্রেসের আসন সমঝোতাও ৷
২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন শেষ, এবার প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ

এসবি নিউজ ব্যুরো: ভারতের সংবিধান কার্যকর হয় ২৬ জানুয়ারী, ১৯৫০ সালে। নতুন সংবিধানের অধীনে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৫১-১৯৫২ সালে।প্রথম নির্বাচিত সংসদ ১৯৫২ সালের এপ্রিল মাসে শপথ নেয়। এবার অনুষ্ঠিত হল দেশের ১৮তম লোকসভা নির্বাচন।ভোট গণনা হবে ৪জুন। আগামী ১৬ জুন শেষ হচ্ছে চলতি লোকসভার মেয়াদ। ২০১৯ সালে গত লোকসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছিল এনডিএ। প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখলে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও তাঁর থার্ড টার্ম নিয়ে আশাবাদী। অন্যদিকে দিকে, এনডিএ-কে  ক্ষমতাচ্যুত করতে বিরোধী দল ঐক্যবদ্ধভাবে তৈরি হয়েছে ইন্ডিয়া জোট।যেখানে রয়েছে কংগ্রেস ,তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে, বামফ্রন্ট, সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টি (আপ) সহ দেশের ২৮টি বিরোধী রাজনৈতিক দল। এই জোটের চেয়ারপার্সন মল্লিকার্জুন খাড়গে।
গতকাল সারা দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও শেষ হল লোকসভা নির্বাচন ৷রাজ্যে ৪২ কেন্দ্র ৪৪ দিন,৭ দফায় ভোট হয়। একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী লড়াই করছেন এই নির্বাচনে। তবে এবার উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সন্দেশখালি ঘটনা দেশকে নাড়িয়ে দেওয়া ইস্যুতে রীতিমতো জমজমাট ভোট হয়েছে।

শেষ দফার ভোটে দেশজুড়ে ৭টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ৫৭টি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ করা হয়।এরমধ্যে উত্তর প্রদেশের ১৩টি আসন, বিহারের ৮টি, হিমাচল প্রদেশের ৪টি, পঞ্জাবের ১৩টি, ওড়িশার ৬টি, ঝাড়খণ্ডের ৩টি ও চণ্ডীগঢ়ে ভোট গ্রহণ হবে।পশ্চিমবঙ্গের ৯টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়েছে।শেষ দফায় দেশজুড়ে হেভিওয়েট প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেসের চরণজিৎ সিং চান্নি, রবিশঙ্কর প্রসাদ, কঙ্গনা রানাউতের মতো হেভিওয়েট প্রার্থীদের ভাগ্য পরীক্ষা হয়।
এবার বাংলার বিজেপিকে বাংলায় ৩০ টি আসন দখলের টার্গেট বেঁধে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷রাজ্যে বারবার প্রচারে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর ডেপুটি ৷অন্যদিকে, রাজ্যের প্রতিটি প্রান্ত চষে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন জনতার দরবারে মার্কশিট পেতে অপেক্ষা ৪ জুনের ৷
২০১৯ এর পর থেকে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল হিসেবে উত্থান হয়েছে বিজেপির ৷ গত লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসন জিতেছিল গেরুয়া শিবির ৷ উত্তরবঙ্গ উজাড় করে পদ্মশিবিরের ভোটবাক্স ভরিয়ে দিয়ে ছিল ৷ ফলে পশ্চিম বঙ্গে আরও জোরালো ভাবে পদ্ম ফোঁটাতে উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি বাকি আসনেও নজর দিয়েছিল বিজেপি। তবে শেষ মুহূর্তে ‘একলা চলা’র নীতি নেওয়া তৃণমূল মরিয়া একাধিক দুর্নীতি, অভিযোগের হার্ডলস পেরিয়ে রাজ্যে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে চেষ্টা করেছে ৷কিন্ত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এরাজ্যে একাধিক আসনেই জয়ের ‘ফ্যাক্টর’ হতে পারে বাম-কংগ্রেসের আসন সমঝোতাও ৷
বোমাবাজি ভাটপাড়ায়, ভাটপাড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ড রাতের অন্ধকারে পড়ল বোমা

প্রবীর রায়: শনিবার শেষ হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোট।ভোট মিটতে না মিটতেই শনিবার মধ্যরাতে ভাটপাড়ায় অর্জুন সিংহের নির্বাচনী এজেন্টের বাড়ির পাশে বোমা পড়ে। উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।সি সি টিভি ফুটেজে দেখা যায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বোমা পড়ে।ভাটপাড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং ব্যারাকপুর বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের ইলেকশন এজেন্ট প্রিয়াঙ্কু পান্ডের বাড়ির পাশে মাঠের মধ্যে রাতের অন্ধকারে বোমা পড়ল।বিজেপি কর্মী প্রিয়াঙ্কা প্রিয়াঙ্কু পান্ডের অভিযোগ, ভোট গণনা যত এগিয়ে আসছে ভাটপাড়া অঞ্চলে সন্ত্রাস করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও বাড়ির সামনে সিসি ক্যামেরা ফুটেজ ভাটপাড়া থানা পুলিশ সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই  ঘটনায়, ভাটপাড়া থানার পুলিশ কাউকে গ্রেফতার বা আটক করতে পারেনি।

ভোট দিলেন বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার

খবর কলকাতা: ভোট দিলেন বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। শনিবার সকালে দিগবেড়িয়া  অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালযের ২৩২ নম্বর বুথে ভোট দেন কাকলি। সকাল ন'টা নাগাদ ভোট দেন কাকলি। ভোট প্রদান করে আঙ্গুল তুলে দেখান সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের সামনে। ভোট দিয়ে তিনি জানান, 'ভোট মোটামুটি শান্তিপূর্ণ চলছে। এখনো পর্যন্ত এই কেন্দ্রের কোথাও থেকে কোন অভিযোগ তার কাছে আসেনি। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের প্রহরারত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধেও তার কোন অভিযোগ নেই। ভোট দিয়েই অশ্বিনী পল্লীতে একটি শনি ও কালী মন্দিরের পূজো দিলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। ঠাকুরের পাঁ ছুঁয়ে  আশীর্বাদ গ্রহণ করেন তিনি। পরে প্রণামীও দেন তিনি।

ভোট দিলেন বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

খবর কলকাতা: বারাসাত লোকসভার বিধানপার্ক পল্লী উন্নয়ন সমিতির নিজের ভোটকেন্দ্রে ভোট দিলেন বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। এখানে মোট ৪টি বুথ রয়েছে। ১১৫ , ১১৩,১১১ ও ১১২ নম্বর বুথ রয়েছে। ভোট দান করে তিনি অভিযোগ করেন,৩০ নম্বর বুথের তাদের এজেন্ট বাহারউদ্দিনকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তিনি গিয়ে বসিয়ে  দিয়ে এসেছেন।  তিনি বলেন ,এজেন্টের কোন ক্ষতি হলে প্রিসাইডিং অফিসার কে আমরা ছাড়বো না বলে এসেছি। এখন পর্যন্ত বারাসাতে শান্তিপূর্ণ ভোট চলছে বলেই দাবি করেন তিনি।