*শুরু আই.পি.এল। মেদিনীপুর অরবিন্দ স্টেডিয়ামে ফ্যান পার্ক*

খবর কলকাতা: বাঙালির সেরা খেলা ফুটবল হলেও, বর্তমানে ক্রিকেটে মজেছে বাঙালিরাও। বি.সি.সি.আই ও আই.পি.এলের উদ্যোগে এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শহরের মেদিনীপুর অরবিন্দ স্টেডিয়ামে গড়ে তোলা হচ্ছে ফ্যান পার্ক। ২৩ মার্চ শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে কে.কে.আর ভার্সেস সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ম্যাচ।

ম্যাচটি মেদিনীপুর শহরবাসী অরবিন্দ স্টেডিয়ামে বসেই উপভোগ করতে পারবেন বলেই জানা গেছে। অরবিন্দ স্টেডিয়ামে একটি জরুরি বৈঠকেও বসেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্তারা। এবার, মেদিনীপুর শহরের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে আগামী ২৩ ও ২৪ মার্চ অর্থাৎ শনিবার ও রবিবার এই ফ্যান পার্কের মাধ্যমে আইপিএলের ম্যাচ প্রদর্শিত করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

তৃণমূল পঞ্চায়েত উপপ্রধান কে গুলি করে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত গৌতম দাস

উত্তর ২৪ পরগনা: উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগর থানার গুমা ১ নম্বর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিজন দাস খুনের ২৪ দিন পর গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত বসিরহাটে পালিয়ে ছিল পুলিশ সূত্রে এমনটাই খবর। ইলেকট্রনিক ডিভাইসের সাপোর্ট নিয়ে বারাসাত জেলা পুলিশ গতকাল রাতে তাকে বসিরহাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। আজ অভিযুক্ত গৌতম দাস কে বারাসাত আদালতে তোলা হয়।পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য,গত ২৬ ফ্রেব্রুয়ারি রাত্রিবেলা বিজন দাস তাঁর দলেরই এক সমর্থকের বাড়িতে ছিলেন। সেখানে নিমন্ত্রণ ছিল তাঁর। খাওয়া দাওয়ার পর নিচের ঘরে একা শুয়েছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গৌতম দাস নামে স্থানীয় এক জমি ব্যবসায়ী সহ কয়েকজনের সঙ্গে তাঁর কোনও একটি বিষয় নিয়ে বচসা বাধে। অভিযোগ, এই তর্কাতর্কির মধ্যেই বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে। বিজনবাবুর মাথা ও কানে গুলি লাগে।দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসাত হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় অশোকনগর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে।

জঙ্গলমহলে রুটমার্চ কেন্দ্রীয় বাহিনীর ও জেলা পুলিশের

এসবি নিউজ ব্যুরো: জঙ্গলমহলে রুটমার্চ কেন্দ্রীয় বাহিনীর ও জেলা পুলিশের। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মত ঝাড়গ্রামেও রুটমার্চ শুরু করল জেলা পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘোষণা হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ, তার আগেই জঙ্গলমহলের সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করতে ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকার কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল শুরু হয়ে গিয়েছে। ঝাড়গ্রামের বেলিয়াবেড়া থানার লাদনগেড়িয়া, খাড়বান্দি, নিশ্চিন্তা সহ বিভিন্ন এলাকায় চলছে কেন্দ্রীয় বাহিনী রুট মার্চ সাথে রয়েছেন ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের বেলিয়াবেড়া থানার ওসি হৃষিকেশ সাহু, সার্কেল ইন্সপেক্টর দেবাশিস ঘোষ, জেলা পুলিশের ডিএসপি সহ জেলা পুলিশের অন্যান্য আধিকারিকরা।

এদিন সিআরপিএফ এর সাথে জেলা পুলিশের আধিকারিকরা এলাকায় ঘুরেন এবং মানুষের সাথে কথা বলেন। সাধারণ মানুষদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে জেলা পুলিশের আধিকারিক পৌঁছে গিয়ে সাধারণ মানুষদের জিজ্ঞাসা করছে কোনরকম অশান্তি বা বিশৃঙ্খলা এই এলাকায় হচ্ছে কিনা। ভোটধানে বাধা থাকবে না অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। টহল দেওয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী ও জেলা পুলিশ।

মহাসমারহে চলছে শান্তিপুর অদ্বৈত পাঠে ঈশ্বর পুরিপাদের তিরোধান উৎসব, হাজার হাজার ভক্ত বৃন্দদের সাথে হরিনাম সংকীর্তনা মেতে উঠলেন বিদেশি ভক্তবৃন্দরা

এসবি নিউজ ব্যুরো: অদ্বৈত আচার্যের গুরুদেব ছিলেন শ্রীমৎ মাধবেন্দ্রপুরী মহারাজ, ঈশ্বরপুরী পাদ হলেন মাধবেন্দ্রপুরী মহারাজের প্রথম শীষ্য।ঈশ্বর পরিবারের শীষ্য ছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। তাই শ্রীচৈতন্যদেবের পরম গুরু ঈশ্বরপুরিপাদেদের তিরোধান তিথি উৎসব প্রতিবছরের মতো এবছরও মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে নদীয়ার শান্তিপুর বাবলা অদ্বৈত পাঠ অঙ্গনে।

জানা যায় এই উৎসব প্রথম সূচনা করেছিলেন অদ্বৈত আচার্য, এবং সেই উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং চৈতন্য মহাপ্রভু। তিনি শান্তিপুরে সেদিনকে অবস্থানও করেছিলেন।তাই তিনি এই উৎসব প্রসঙ্গে বরদান করে বলেছিলেন, এই উৎসবে যে সমস্ত ভক্তরা এসে প্রসাদ গ্রহণ করবে ,তারা গোবিন্দ প্রেমে মাতোয়ারা হয়ে উঠবেন। ভাগবত অনুসারে আজকের এই বিশেষ তিথিতে কোন ব্যক্তি অদ্বৈত পাঠে বসে প্রসাদ গ্রহণ করলেই তিনি গোবিন্দ প্রেমে মাতোয়ারা হয়ে উঠবেন। যদিও এই অনুষ্ঠান পুরোপুরি পরিচালনা করে ইসকন মায়াপুর। মায়াপুর ইসকনের একাধিক ভক্তবৃন্দ উপস্থিত হয় এদিনের এই উৎসবে ।

খবর বহু বিদেশি পর্যটক এদিন উপস্থিত হয়েছেন অদৈত্য পাঠ অঙ্গনে শকরছেন নিজে হাতে প্রসাদ বিতরণ ।চলছে হরে কৃষ্ণ নাম গান। যদিও এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এলাকা তথা রাজ্যের বহু প্রান্ত থেকে ভক্তগণের জমায়েত হয়েছে এই অদ্বৈত পাঠে। যদিও ইসকন সূত্রে খবর ৫০ হাজার ভক্তের জন্য খিচুড়ি এবং চাটনি প্রসাদের ব্যবস্থা করেছে ইসকন। রাত্রির আটটা পর্যন্ত চলবে প্রসাদ বিতরণ। তার সাথে চলবে অদ্বৈত আচার্য এবং ঈশ্বর পুরিপাদের বিশেষ পূজা ,আরতি এবং ভাগবত পাঠ। এদিন এই অনুষ্ঠানে এসে বিদেশি ভক্তরা জানান, তারা অত্যন্ত খুশি এরকম এক সুন্দর মনোরম পরিবেশে এসে কৃষ্ণ নাম জপ করতে পেরে। তবে এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শান্তিপুর বিধানসভার বিধায়ক তথা অদ্বৈত আচার্যের বংশধর ডক্টর ব্রজ কিশোর গোস্বামী।

তিনি জানান, এদিনের এই অনুষ্ঠান বহু বছর ধরে হয়ে আসছে। মানুষ এখানে এসে নাম গানে মত্ত হয়ে প্রসাদ গ্রহণ করে। কারণ এখানে প্রসাদ গ্রহণ করলে গোবিন্দ ভাব জাগ্রত হয় মানুষের ।যদিও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ জগন্নাথ সরকার, সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। যদিও এই উৎসবকে কেন্দ্র করে রানাঘাট পুলিশ জেলা বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর ৫০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে মেলা চত্বরে ।যদিও আজকের এই অনুষ্ঠানে সরজমিনে উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাল্টু হালদার ,এসডিপিও শৈলজা দাস, শান্তিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুব্রত মালাকার এবং শান্তিপুর থানার সি আই সহ একাধিক পুলিশ আধিকারিকরা ।যদিও পুলিশি নিরাপত্তা সম্পর্কে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লালটু হালদার জানান ,বিগতদিনে বহুবার এই মেলাতে চুরি ছিনতাই এর ঘটনা ঘটেছে তাই আগাম ব্যবস্থা হিসাবে প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে ,যাতে কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।

জয় নিয়ে একশো শতাংশ আশাবাদী মথুরাপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী বাপি হালদার

এসবি নিউজ ব্যুরো: ঘোষণা হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের এবারের তৃণমূলের প্রার্থী নতুন মুখ সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাপি হালদার।

আজ কুলপি বিধানসভার বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার কে সঙ্গে নিয়ে কুলপি ব্লকের চন্ডিপুর বাজার থেকে ঢোলাহাট বাজার পর্যন্ত বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রার মধ্য দিয়ে লোকসভা নির্বাচনী প্রচার সারলেন।

ঢাকের বাজনা সহযোগে হাজার হাজার তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতিতে কুলপি ব্লকের চন্ডিপুর বাজার থেকে ঢোলাহাট বাজার পর্যন্ত পায়ে হেঁটে ভোট প্রচার সারলেন তিনি। তিনি জানালেন,রাজ্যে ৪২ টি আসনেই তৃণমূলের প্রার্থীরাই জয়লাভ করবে। এই নিয়ে চ্যালেঞ্জ বাপি হালদারের।

সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট থাকলে সেই ছাত্রীকে স্কুল থেকে বার করে দেওয়া হবে, এমনই সিদ্ধান্ত নিল বারাসাতের এক স্কুলের

উত্তর ২৪ পরগনা: সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট থাকলে সেই ছাত্রীকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হবে। এমনই সিদ্ধান্ত নিল উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের কালীকৃষ্ণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী সেনগুপ্ত পড়ুয়াদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জানান, "ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও এক্স হ্যান্ডেল-সহ ৩ ধরনের সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও ছাত্রীর কোনও অ্যাকাউন্ট থাকবে না। এই কথা অমান্য করলে বিদ্যালয় থেকে ওই ছাত্রীকে বের করে দেওয়া হবে"।

প্রধান শিক্ষিকার এই নির্দেশ জানার পরেই ওই স্কুলের ছাত্রীদের মধ্যে আলোড়ন পড়ে যায়। ছাত্রীদের একটা বড় অংশই অবশ্য এই ব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকার পাশে দাঁড়িয়েছে। হোয়াটস-অ্যাপ গ্রুপে প্রধান শিক্ষিকার এই নির্দেশ পাওয়ার পরেই যাদের অ্যাকাউন্ট ছিল, তারা তড়িঘড়ি অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দেয়। ক্লাস নাইনের এক ছাত্রী বলে, "ঠিক কাজ করেছেন বড়দি। আমাদের মতো ছোট বয়সে কারও সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট থাকা উচিৎ নয়।"

তবে ছাত্রীদের অভিভাবকরাও স্কুলের এই নির্দেশে খুশি। তাঁরা জানান , "এমন নির্দেশ খুবই জরুরি ছিল। ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগে কোনও সোশ্যাল মিডিয়াতেই কারও অ্যাকাউন্ট খোলা উচিৎ নয়। স্কুলে পড়ার বয়সে কারও কোনও ম্যাচিওরিটি থাকে না। ভুল পথে যাওয়ার সমস্ত সম্ভাবনা থাকে। ছোটদের ভালর কথা ভেবে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাকে স্বাগত জানাচ্ছি।"

কালীকৃষ্ণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী সেনগুপ্ত বলেন, "যা করেছি আমার মেয়েদের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা ভেবে করেছি। তবে এটা আমার একার সিদ্ধান্ত নয়, এটা স্কুলের পরিচালক সমিতির সাথে কথা বলেই করা হয়েছে।"

নৈহাটীর বড়মা মন্দিরে পুজো দিলেন আসানসোলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি

উত্তর ২৪ পরগনা: অর্জুন সিং বিজেপিতে ছিলেন,বাধ্য হয়েই তৃণমূলে গিয়েছিলেন। কিন্তু অর্জুনদার হৃদয় বিজেপিতেই রয়েছে।বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটীর বড়মার মন্দিরে এসে বললেন আসানসোলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি।

বৃহস্পতিবার সকালে নৈহাটীর বড়মা মন্দিরে তিনি একা পুজো দিতে আসেন। মায়ের মন্দিরের সামনে দাড়িয়ে সকলের মঙ্গল চেয়ে শান্তি কামনা করলেন। এরপর জিতেন্দ্র তেওয়ারি আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার সম্পর্কে দাবি করেন, "আসানসোলের মানুষকে উনি চেনেন না। গত আড়াই বছরে আসানসোল হাসপাতালের সুপারের নাম, কলেজের প্রিন্সিপাল কে এমনকি সেখানকার তৃণমূলের ব্লক সভাপতিদের নাম উনি জানেন না।

এবার আসানসোলের মানুষ ঠিক করবে কাকে জেতাবেন"। জিতেন্দ্র তেওয়ারির ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিককে নিয়ে মন্তব্য, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যে কেউ প্রার্থী হতেই পারেন।

যেভাবে বেআইনি বহুতল বাড়ছে, মেদিনীপুরের অবস্থাও হবে গার্ডেনরিচের মতো,ফেসবুকে বিস্ফোরক পোস্ট কংগ্রেস কাউন্সিলরের


*এসবি নিউজ ব্যুরো:* কলকাতার গার্ডেনরিচে বেআইনি বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে হয়েছে ১০। বেআইনি নির্মাণের বিষয়টি স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে কলকাতা কর্পোরেশন থেকে রাজ্য সরকারের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের তরফে। অন্যদিকে, এই ঘটনার পরই মেদিনীপুর পৌরসভার একমাত্র কংগ্রেস কাউন্সিলর মহঃ সাইফুল ফেসবুকে বিস্ফোরক পোস্ট করেছেন।

সাইফুল লিখেছেন, "যেভাবে বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে মেদিনীপুরে, একদিন গার্ডেনরিচ হতে বাধ্য।পৌরপিতা সৌমেন খানের বদান্যতায়।" সম্প্রতি মেদিনীপুর সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জেলা শহর মেদিনীপুরে বহুতল-নির্মাণ সম্পর্কে 'কড়া' পর্যবেক্ষণ রেখেছিলেন।গত ৪ মার্চ সার্কিট হাউসের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মেদিনীপুর পৌরসভার পৌরপিতা সৌমেন খানকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মেদিনীপুরে বহুতল নির্মানে লাগাম টানতে বলেছিলেন।

তিনি বলেছিলেন, "কোনোভাবেই মেদিনীপুর শহরে যেন ৬-৭ তলার বেশি বহুতলের অনুমতি না দেওয়া হয়।" এদিন, গার্ডেনরিচের ঘটনার পর ফের একবার পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শহর মেদিনীপুরে বেআইনি - নির্মাণের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে এলো। খোদ পৌরসভার কাউন্সিলরই এজন্য দায়ী করলেন পৌরপ্রধানকে।

এবিষয়ে কটাক্ষ করে জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাস বলেছেন, "এসব শুধু আই-ওয়াশ। আজ নয়, বহুদিন আগেই মেদিনীপুর শহরে বহুতল নির্মাণ নিয়ে আমরা আন্দোলন করেছি। শহরবাসীর সামনে বিষয়টি তুলে ধরেছি। এজন্য পুরসভা থেকে শাসকদলের নেতা-নেত্রীরা সকলেই দায়ী। আসলে এই বহুতল নির্মাণের কাটমানি হয়তো পৌরপিতা, বিধায়ক হয়ে তৃণমূলের একেবারে শীর্ষ স্তরে বা স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও পৌঁছে যায়, তাই কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়না।"

অন্যদিকে গার্ডেনরিচের ঘটনার পরই মেদিনীপুরের পৌরপ্রধান সৌমেন খান জানিয়েছেন, "প্রতিটি বহুতল নির্মাণ সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ বা নির্মাণকারীদের নোটিশ পাঠিয়েছি। সমস্ত কিছু যদি ঠিকঠাক না থাকে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা নোটিশের একটি কপি মহকুমাশাসক মধুমিতা মুখার্জি ম্যাডামকেও পাঠিয়েছি।"
২৫ বছর পর আন্তর্জাতিক গলফ প্রতিযোগিতার আসর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে কলকাতার রয়্যাল ক্যালকাটা গলফ ক্লাবে

খবর কলকাতা : ইউরোপীয় চ্যালেঞ্জ ট্যুর, টাটা স্টিল প্রফেশনাল গল্ফ টুর অফ ইন্ডিয়া (পিজিটিআই) এবং রয়্যাল কলকাতা গলফ ক্লাব (আরসিজিসি) যৌথভাবে কলকাতা চ্যালেঞ্জ চালু করেছে।

দ্য চ্যালেঞ্জ ট্যুর এবং দ্য টাটা স্টিল পিজিটিআই দ্বারা সহ-অনুমোদিত,টুর্নামেন্টে একটি পুরস্কার মূল্য ইউএস ডলার ৩০০,০০০ এবং এটি চ্যালেঞ্জ ট্যুরের দুই সপ্তাহ ব্যাপী ভারতীয় পর্বের দ্বিতীয় ইভেন্ট।

২১ থেকে ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ তারিখে কলকাতার ঐতিহাসিক আরসিজিসি-তে অনুষ্ঠিত এই ইভেন্টটি ২৫ বছরের দীর্ঘ ব্যবধানে-এর পর কলকাতা এবং আরসিজিসি-তে একটি আন্তর্জাতিক ইভেন্টের প্রত্যাবর্তনকে চিহ্নিত করবে।

ভারতীয় দলের নেতৃত্ব দেবেন অভিজ্ঞ অর্জুন অটওয়াল এবং অলিম্পিয়ান এসএসপি চৌরাসিয়া, দুজনেই তাদের ঘরের মাঠে খেলবেন। মজার বিষয় হল, পিজিএ ট্যুর এবং তিনবারের ডিপি ওয়ার্ল্ড ট্যুর বিজয়ী অর্জুন অটওয়াল ১৯৯৯ সালের ইন্ডিয়ান ওপেন আরসিজিসি-তে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ইভেন্ট জিতেছিলেন। চারবার ডিপি ওয়ার্ল্ড ট্যুর বিজয়ী এসএসপি চৌরাসিয়া ১৯৯৯ ইন্ডিয়ান ওপেনে যুগ্ম রানার আপ ছিলেন।

মাঠের অন্যান্য ভারতীয় তারকাদের মধ্যে রয়েছে ডিপি ওয়ার্ল্ড ট্যুর বিজয়ী গগনজিৎ ভুল্লার, চ্যালেঞ্জ ট্যুর বিজয়ী এবং ২০২৩ টাটা স্টিল পিজিটিআই র‍্যাঙ্কিং চ্যাম্পিয়ন ওম প্রকাশ চৌহান, বর্তমান টাটা স্টিল পিজিটিআই র‍্যাঙ্কিং লিডার মনু গন্ডাস, রশিদ খান, অলিম্পিয়ান উদয়ন মানে, যুবরাজ সিং সান্ধু এবং চিক্কারাঙ্গাপ্পা করণদীপ কোচারের মতো কিছু নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এই ইভেন্টে চ্যালেঞ্জ ট্যুরের প্রধান নামগুলির মধ্যে রয়েছে রোড টু মালোর্কা র‍্যাঙ্কিং লিডার সুইডেনের মিকেল লিন্ডবার্গ, সুইডেনের বর্জন অ্যাকেসন, ফ্রান্সের মার্টিন কুবরা, ইংল্যান্ডের জন প্যারি এবং ডেনমার্কের লুকাস বিজেরেগার্ড।

মিঃ গৌরব ঘোষ, ক্যাপ্টেন, আরসিজিসি, বলেন, “আমরা ২৫ বছর পর আরসিজিসি-তে একটি আন্তর্জাতিক ইভেন্ট কলকাতা চ্যালেঞ্জের আয়োজন করতে পেরে গর্বিত। আমরা সকল বিদেশী এবং পিজিটিআই খেলোয়াড়দের স্বাগত জানাই।”

চ্যালেঞ্জ ট্যুরের ডিরেক্টর জেমি হজেস বলেন, “চ্যালেঞ্জ ট্যুরের ইতিহাসে প্রথমবার কলকাতায় আসাটা দারুণ। দিল্লিতে একটি চমৎকার সপ্তাহের পর, দেশে আমাদের টানা দ্বিতীয় ইভেন্টের জন্য এখানে ফিরে আসতে পেরে এবং পিজিটিআই-তে আমাদের বন্ধুদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পেরে আমরা আনন্দিত।

“রয়্যাল ক্যালকাটা গল্ফ ক্লাবের ঐতিহাসিক ভেন্যু পিজিটিআই এবং ইউরোপের সেরা গল্ফ প্রতিভা দের মধ্যে চার দিনের প্রতিযোগিতার জন্য উপযুক্ত স্থান।

“এই ইভেন্টগুলি আমাদের মৌসুমের প্রথম দিকে আমাদের সদস্যদের জন্য খেলার সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ যখন ইউরোপের বেশিরভাগ জায়গায় খেলা আমাদের পক্ষে কঠিন। এটি একটি উত্তেজনাপূর্ণ সপ্তাহ হতে চলেছে।”

মিঃ উত্তম সিং মুন্ডি, সিইও, পিজিটিআই, বলেন, “কলকাতা চ্যালেঞ্জ চালু করার জন্য আমাদের সাথে অংশীদারিত্ব করার জন্য আমরা চ্যালেঞ্জ ট্যুর এবং আরসিজিসিকে ধন্যবাদ জানাই। কলকাতার গল্ফ অনুরাগীদের জন্য উত্তেজনা লক্ষণীয় কারণ একটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট ১৯৯৯ সালের পর প্রথমবারের মতো ক্রীড়াপ্রেমী শহর এবং ভারতীয় গল্ফের ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্র ও নার্সারি গুলোর মধ্যে একটি মর্যাদাপূর্ণ আরসিজিসি-তে ফিরে এসেছে ৷ আমরা আত্মবিশ্বাসী যে এই ইভেন্টটি আরসিজিসি কে আন্তর্জাতিক ইভেন্টগুলির জন্য একটি প্রধান ভেন্যু হিসাবে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

“পিজিটিআই থেকে শীর্ষস্থানীয় নামগুলির পাশাপাশি ভারতীয় গ্রেট অর্জুন অটওয়াল এবং এসএসপি চৌরাসিয়া মাঠের অংশ হিসাবে একটি শক্তিশালী ভারতীয় উপস্থিতি থাকবে। চ্যালেঞ্জ ট্যুরের উত্তেজনাপূর্ণ দুই সপ্তাহের ভারতীয় সুইংয়ের এই দ্বিতীয় পর্বে ভারতীয় খেলোয়াড়দের প্রভাব ফেলতে দেখার জন্য আমরা উন্মুখ। আমরা খেলোয়াড়দের মঙ্গল কামনা করি।”

বিশ্ব-বিখ্যাত রয়্যাল কলকাতা গলফ ক্লাব (আরসিজিসি), স্নেহে 'রয়্যাল' নামে পরিচিত, ইতিহাসে ঠাসা, কারণ এটি ১৮২৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের বাইরের প্রাচীনতম গল্ফ ক্লাব। এটিকে ব্যাপকভাবে দেশে গেমের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং ভারতীয় মাটিতে ভারতীয় ওপেন এবং অল-ইন্ডিয়া অ্যামেচার চ্যাম্পিয়নশিপ সহ কয়েকটি সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে। ৭০১৪-গজ কোর্সে লং হিটার এবং ফাউল শটকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়। জলের বিপদের নিছক সংখ্যা এই কোর্সটি মাস্টার করার জন্য একটি বাস্তব চ্যালেঞ্জ করে তোলে।হাইলাইটস ফিল্ডটি ভারতীয় তারকা অর্জুন অটওয়াল, এসএসপি চৌরাসিয়া, গগনজিৎ ভূল্লার, ওম প্রকাশ চৌহান, মনু গন্ডাস, রশিদ খান এবং চ্যালেঞ্জ ট্যুর তারকা মিকেল লিন্ডবার্গ, বর্জন অ্যাকশন, মার্টিন কুবরা, জন প্যারি, লুকাস বিজেরেগার্ড উপস্থিত থাকবেন।

ছবি: সঞ্জয় হাজরা (খবর কলকাতা)।

*লোকসভা নির্বাচনে জনসংযোগে বেরিয়ে রান্না করলেন বিজেপি প্রার্থী লকেট,লড়াই*
*এসবি নিউজ ব্যুরো:* আজ হুগলির পোলবা রাজহাট পঞ্চায়েত এলাকায় ভোট প্রচারে যান লকেট চ্যাটার্জি। সেখানে গ্রামের মানুষের সাথে জনসংযোগ করেন। রাজহাট এলাকায় ওলাবিবি তলায় মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা করেন বিজেপি প্রার্থী।প্রতি বছর এই সময় রাজহাট ওলাবিবি তলায় অনুষ্ঠিত হয় রান্না পুজো উৎসব। বহু প্রাচীন কাল থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এই উৎসব। সেখানে জমায়েত হয় বহু মানুষের।

রীতি অনুযায়ী গ্রামের মানুষ এদিন ওলাবিবি তলায় রান্না করেন এবং সেখানেই খাওয়া দাওয়া করেন। ওলা বিবিতলা থেকে প্রার্থনা করে বেরিয়ে সেখানেই গ্রামের মানুষের সাথে রান্নায় হাত লাগান লকেট। সেখানে লকেটকে দেখতে ভিড় জমান সাধারণ মানুষ। ছেলে মেয়েদের আবদারে তাদের সাথে সেলফিও তোলেন বিজেপির তারকা প্রার্থী।