*আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ৪২ জন প্রার্থী তালিকা*

এসবি নিউজ ব্যুরো:

কোচবিহার: জগদীশচন্দ্র বাসুনিয়া

আলিপুরদুয়ার: প্রকাশচিক বরাইক

জলপাইগুড়ি: নির্মলচন্দ্র রায়

দার্জিলিং: গোপাল লামা

রায়গঞ্জ: কৃষ্ণ কল্যাণী

বালুরঘাট: বিপ্লব মিত্র

মালদহ উত্তর: প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় (প্রাক্তন আমলা)

মালদহ দক্ষিণ: শেহনেওয়াজ আলি রেহান

জঙ্গীপুর: খলিলুর রহমান

বহরমপুর: ইউসুফ পাঠান

মুর্শিদাবাদ: আবু তাহের খান

কৃষ্ণনগর: মহুয়া মৈত্র

রানাঘাট: মুকুটমণি অধিকারী

বনগাঁ: বিশ্বজিৎ দাস

ব্যারাকপুর: পার্থ ভৌমিক

দমদম: সৌগত রায়

বারাসত: কাকলি ঘোষ দস্তিদার

বসিরহাট: হাজি নুরুল ইসলাম

জয়নগর: প্রতিমা মণ্ডল

মথুরাপুর: বাপি হালদার

ডায়মন্ড হারবার: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

যাদবপুর: সায়নী ঘোষ

কলকাতা দক্ষিণ: মালা রায়

কলকাতা উত্তর: সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

হাওড়া: প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়

উলুবেড়িয়া: সাজদা আহমেদ

শ্রীরামপুর: কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়

হুগলি: রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়

আরামবাগ: মিতালি বাঘ

তমলুক: দেবাংশু ভট্টাচার্য

কাঁথি: উত্তম বারিক

ঘাটাল: দীপক অধিকারী (দেব)

ঝাড়গ্রাম: কালীপদ সরেন

মেদিনীপুর: জুন মালিয়া

পুরুলিয়া: শান্তিরাম মাহাতো

বাঁকুড়া: অরূপ চক্রবর্তী

বর্ধমান পূর্ব: শর্মিলা সরকার

বর্ধমান-দুর্গাপুর: কীর্তি আজাদ

আসানসোল: শত্রুঘ্ন সিন্‌হা

বোলপুর: অসিত মাল

বীরভূম: শতাব্দী রায়

বিষ্ণুপুর: সুজাতা মণ্ডল খাঁ

গ্রাম গঞ্জে ঘুরে স্কুলছুটদের পাঠ দেওয়ার জন্য উদ্ভোধন অত্যাধুনিক পাঠশালা

এসবি নিউজ ব্যুরো : কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা লোকসভা নির্বাচনের বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের উদ্যোগে আজ থেকে বাঁকুড়ায় শুরু হল মোবাইল পাঠশালা। অত্যাধুনিক সাজে সজ্জিত এই পাঠশালা গ্রামে গ্রামে ঘুরে স্কুলছুটদের প্রাথমিকের পাঠ দেবে।

প্রয়োজনে স্কুলছুটদের ফের স্কুলের পড়াশোনার ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলবে। সম্প্রতি একাধিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এ রাজ্যের মধ্যে বাঁকুড়া জেলায় স্কুলছুটের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি হচ্ছে। বহু পড়ুয়া প্রাথমিকের পাঠ শেষ করার আগেই গিয়ে জুটছে কাজে। এই পরিস্থিতিতে শুধু রাজ্যের শিক্ষা দফতর নয়, কেন্দ্রীয় শিক্ষা দফতরও তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। স্কুলছুটের সেই সংখ্যায় এবার রাশ টানতে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের উদ্যোগে চালু হল মোবাইল পাঠশালা।

মোবাইল এই পাঠশালায় শুধু বইয়ের পড়া নয়, অডিও ভিস্যুয়াল ব্যাবস্থার মাধ্যমে অত্যাধুনিক পাঠ দানও করা হবে পড়ুয়াদের। একটি সরকার অধিগৃহীত কেন্দ্র সরকারী সংস্থার অর্থ সাহায্যে ও সেবা ভারতী নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহায়তায় গ্রামে গ্রামে ঘুরে এই মোবাইল পাঠশালা গ্রামে গ্রামে এই পাঠদানের কাজ করবে বলে জানানো হয়েছে।

*কবিতা*


"কেমন আছি আমি"

গোপাল মাঝি

কেন রুদ্র মূর্তি ধরে

শাসিয়ে গেলে তুমি,

একবার কি ভেবে দেখলে

কেমন আছি আমি?

অনেক প্রশ্ন করে গেলে

উত্তর কি দেবো,

সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে

যেদিন চোখ মুদিব' |

এমন দিন ছিলনা আগে

মোদের এ' জীবনে,

মনের কথা বলতে পারতাম

আমরা তো দু' জনে |

হঠাৎ করে বিছানা ছাড়

হয়ে কেন গেল,

আমার প্রশ্নের উত্তরটা কি

তুমিই একবার বল |

রাতের বেলা বিছানায় শুয়ে

ঘুমাতে না পারি,

কেমন করে বাঁচি বল

প্রশ্ন করি তারই |

সন্দেহ রোগ বেসেছে বাঁসা

মনে যে তোমার,

বকছো তুমি আবোল -তাবোল

বয়স বাড়ারও পর |

নাক ডাকার শব্দে যদি

ঘর -বাড়ী কাঁপে,

কান দু'টি চেপেও কি

ঘুমাতে কেউ পারে?

চেষ্টা করলে সারান সম্ভব

এমন ধরণ রোগ,

সবাই আমরা ফিরে পাবো

আসবে মাহেন্দ্র যোগ |

ফের হাতির হামলায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির

এসবি নিউজ ব্যুরো : ফের হাতির হামলায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির।ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার উত্তর বনবিভাগের অন্তরে বড়জোড়া রেঞ্জের শ্যামপুর গ্রামে। শনিবার পুকুরে যাওয়ার সময় জঙ্গল থেকে খাবার খুঁজে বেরিয়ে আসা বুনো হাতির মুখোমুখি পড়ে যান ওই ব্যাক্তি। নাগালে পেয়ে ওই ব্যাক্তিকে পা দিয়ে থেঁতলে মারে ওই উন্মত্ত হাতিটি। বনদপ্তর সূত্রে খবর মৃত ওই ব্যক্তির নাম কালিপদ বাউরী(৫৯)।

ঘটনার পরেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ক্ষোভে ফুটছেন এলাকার মানুষজন।অভিযোগ গত প্রায় এক বছর ধরে একটি বুনো হাতির দল ওই এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে রয়েছিল। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন এই দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ হাতি ফেরত যায় পশ্চিম মেদিনীপুর।

বনদপ্তর সূত্রে খবর তারপরেও বেশ কয়েকটি দলছুট হাতি এই এলাকায় রয়ে গিয়েছে। শ্যামপুর,ডাকাইসিনি, পাবয়া জঙ্গলে ঘোরাফেরা করছিল হাতিগুলি।এদিন একটি বুনো হাতি শ্যামপুরের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে ঢুকে পড়ে। সেই সময় ওই পৌঢ় হাতিটির মুখোমুখি পড়ে যান।পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ।ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

নৈহাটি বিধানসভার কাঁপা চাকলায় বিধায়ক ও প্রধানের নামে পড়লো পোস্টার
*উত্তর ২৪ পরগনা:* নৈহাটি বিধানসভার কাঁপা চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাল্লাদহ শিমূলতলা বিল পাড় এলাকায় শাসকদলের বিধায়ক ও প্রধানের নামে পড়ল পোস্টার। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে সেই পোস্টার ঘিরে যথেষ্ট অস্বস্তিতে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা দেখেন রাস্তার ধারে লাইট পোস্টে ও বড় বড় গাছে লাগানো রয়েছে পোস্টার। সৌজন্যে কাঁপা চাকলা নাগরিকবৃন্দ।

পোস্টের উল্লেখ, কাঁপার ডিফেন্স এবং এয়ার ফোর্সের মেইন গেটের ১০০ ফুটের মধ্যে পাঁচ বিঘা আয়তনের পুকুর বুঝিয়ে ইমারত গড়ে উঠেছে। সেই পুকুর ভরাটের কাটমনির টাকা নাকি স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রীর কাছে। পৌঁছে দিয়েছেন পুরপ্রধান রবি নিয়োগী। যদিও এই পোস্টার নিয়ে কাঁপা চাকলা পঞ্চায়েতের কৃষি দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ নয়ন মন্ডল বলেন, "এটা বিজেপির চক্রান্ত। রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে পোস্টার মারা হয়েছে।"

নয়ন বাবুর দাবি, লোকসভা নির্বাচনের আগে দলকে কালিমালিপ্ত করতে বিজেপির লোকজন এসব করছে। যদিও বিজেপির নৈহাটি-৩ মন্ডল সভাপতি সুকুমার দাস বলেন, "এই পোস্টার মারার ঘটনায় বিজেপির কেউ জড়িত নয়। এখানে তৃণমূলের দুটো লবি আছে। একটা লবি পুকুর ভরাট, তোলাবাজি করে কামাচ্ছে। আরেকটা লবি কামাতে পারছে না। সুতরাং ওদের গোষ্ঠী কাজিয়ার জেরেই কাঁপা চাকলায় পোস্টার পড়েছে।"

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে আসানসোল জেলা হাসপাতালে বিশেষ অনুষ্ঠান
*এসবি নিউজ ব্যুরো:* আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে আসানসোল জেলা হাসপাতালে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ।এই অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক এস পন্যবলম এবং জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক মোহাম্মদ ইউনুস। এদিন জেলা শাসকের উপস্থিতিতে মহিলা পুলিশ হাসপাতালের নার্স এবং মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রদীপ প্রজনন করে অনুষ্ঠানে শুভ ঘোষণা করেন।

এরপর এক অনাথ আশ্রমের মহিলার আবাসিকরা, সংগীত পরিবেশন করে।জেলাশাসক বলেন," যুগের সাথে সাথে মহিলারা নিজেদের স্বনির্ভর করে তুলেছে। সামরিক ক্ষেত্রেও মহিলাদের ভূমিকা অগ্রগণ্য এছাড়াও বিজ্ঞান জগত থেকে শুরু করে কর্পোরেট জগতেও মহিলাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বর্তমানে মহিলাদের নিরাপত্তা জনিত আইন কঠোর থেকে কঠোর হয়েছে।"

জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মোঃ ইউনুস বলেন," নির্যাতিত মহিলাদের চিকিৎসার জন্য ওয়ান স্টপ সেন্টার করা হয়েছে। শুধু তাই নয় মহিলাদের যদি কোন অভিযোগ করার থাকে তার জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।"
ডায়মন্ড সিটি নর্থ ব্লক ২৮ -৪সি পঙ্কজ আগরওয়ালের ফ্ল্যাটের চার তলায় ইডি হানা

এসবি নিউজ ব্যুরো: প্রসন্ন রায় ঘনিষ্ঠ চার্টার্ড অ্যাকাউটেন্ট পঙ্কজ আগরওয়ালের বাড়িতে ইডির আধিকারিকরা। সঙ্গে ডাটা রিকভার সরঞ্জাম নিয়ে পঙ্কজ আগরওয়ালের বাড়িতে ঢুকলেন তারা। মূলত শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইডি-র হাতে গ্রেফতার প্রসন্ন রায়ের সঙ্গে এই চার্টার্ড অ্যাকাউন্টন্টের কি যোগাযোগ এবং প্রসন্ন রায়ের মতো তিনিও কি মিডিল ম্যানের কাজ করতো কিনা এই সমস্ত বিষয় জানার চেষ্টা করছেন ইডি আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, এই পঙ্কজ আগরওয়ালের ফ্ল্যাট থেকে বেশ কিছু ইলেকট্রনিক্স এভিডেন্স পাওয়া গিয়েছে। সেই তথ্যই যাচাই করতে ডাটা রিকোভার সিস্টেম নিয়ে আসা হয়েছে।
ভারতবর্ষের মধ্যে সবথেকে মোটা শিবলিঙ্গ ,মোটা বাবা নামে পরিচিতি
এসবি নিউজ ব্যুরো: আগামীকাল শিবরাত্রি।তাই দেশ সহ রাজ্যজুড়ে সেজে উঠেছে শিব মন্দিরগুলি।তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাবা বর্ধমানেশ্বর শিবলিঙ্গ মন্দির। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,১৯৭২ এ বর্ধমান শহরের আলমগঞ্জ এলাকায় একটি পুকুর খোঁড়ার কাজ চলছিল। শ্রমিকেরা যখন শাবল-গাঁইতি দিয়ে মাটি কাটছিলেন সেই সময় তাঁরা একটা শব্দ শুনতে পান ৷ সেই শব্দ ছিল কোনও পাথরের উপরে আঘাত করলে যেমন হয় সেইরকম ৷ এরপর তাঁরা সচেতনভাবে মাটি খোঁড়ার কাজ চালিয়ে গেলে উঠে আসে বিশালাকার একটি শিবলিঙ্গ । যার উচ্চতা প্রায় ৬ ফুটের বেশি, ওজন ১৩ টনের বেশি।ব্যাস প্রায় ৬ ফুট ও গৌরী পট্টের পরিধি প্রায় ১৮ ফুট । এরপর ক্রেনের সাহায্যে সেই শিবলিঙ্গ তোলা হয়।শাবল,গাঁইতির আঘাতে শিবলিঙ্গের গায়ে যদিও অনেক ক্ষত হয়। সেদিন ছিল ১১ অগস্ট।বাংলায় তারিখ ছিল ২৫ শে শ্রাবণ।ইতিহাসবিদেরা বলছেন, এটা দ্বাদশ শতকের নিদর্শন।এমনকী ইতিহাস প্রসিদ্ধ কণিষ্কও এই শিবলিঙ্গের পুজো করতেন বলে কথিত আছে। দুধ ও গঙ্গাজল দিয়ে নিত্য পুজো করা হলেও শিবরাত্রির সময় ও শ্রাবণ মাসে আবির্ভাব তিথিতে এখানে মেলা বসে। শ্রাবণ মাসে বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষজন জল ঢালতে আসেন। অনেকে আবার কাটোয়ার গঙ্গা থেকে বাঁকে করে জল ভরে হাঁটা পথে।বর্ধমানেশ্বরে আসেন জল ঢালতে ।
মন্দিরের পেছনেই আছে দুধ পুকুর । সেখান থেকেও জল নিয়ে জল ঢালা হয়। প্রসিদ্ধ এই বর্ধমানেশ্বর মন্দিরে যাবেন কীভাবে ? বর্ধমান স্টেশনে নেমে টাউন সার্ভিস বাসে চেপে সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে বিবেকানন্দ কলেজ মোড়ে নামতে হবে। সেখান থেকে টোটো করে দুই কিলোমিটার গেলেই মিলবে আলমগঞ্জের বর্ধমানেশ্বর। কিংবা বর্ধমান স্টেশনে নেমে টোটো পাওয়া যায় বর্ধমানেশ্বর যাওয়ার ৷
গোঘাটের এক মহিলা ফুটবলারের কথা
*এসবি নিউজ ব্যুরো:* হুগলির  গোঘাটের এক মহিলা ফুটবলার সঙ্গীতা রায়।গ্রাম্য পরিবেশে গড়ে ওঠা ছোট থেকে তার নিজের জীবনকে ফুটবলের সাথে জড়িয়ে গিয়েছে সে।এখন শুধু গ্রামের মাঠেই নয় ভিনরাজ্যে ফুটবলে খেলে বাজিমাৎ করছে হুগলির সঙ্গীতা। সে বাংলা থেকে মহিলা ফুটবল লীগে সুযোগ পেয়েছে। ত্রিপুরায় ফুটবল লীগে সেরা গোলদাতা হিসাবে সোনার পদক পেয়েছে। এই ফুটবল ঘিরে ছোট থেকে সঙ্গীতার একাধিক সেরা শিরোপার নজির রয়েছে। যেমন নিজে খেলে তেমনই অন্যদের আগামী দিনে যাতে হাজারো সঙ্গীতা ফুটবলার গড়ে ওঠে নিজেই ছোটদের কোচিং দিচ্ছে। তার বাড়ি আরামবাগ মহকুমার গোঘাটের  মাধবপুর গ্রামে। সঙ্গীতা দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা এক সাধারণ মেয়ে। তার বাড়িতে মা বাবা ছাড়াও পরিবারে রয়েছে পাঁচ বোনে সঙ্গীতা হল ছোট্ট । সে ছোট্টবেলা থেকেই ফুটবল খেলার পাশাপাশি পড়াশোনাতেও মেধাবী বর্তমানে গোঘাটের গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয় পাঠরত সামনে বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসবে।প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে তার এই সাফল্যে বেজায় খুশি মহকুমার সাধারণ মানুষজন।সংগীতা ছোট্টবেলা থেকে ফুটবল খেলার জন্য কোচিং নিয়েছিল। সে প্রতিদিনই আরামবাগের বিশালক্ষী মাতা মহিলা কোচিং ক্যাম্পে প্র্যাকটিস চালিয়ে যেত। আর ওখান থেকে আস্তে আস্তে বিভিন্ন জায়গায় ফুটবল ক্লাবে খেলার সুযোগ করে দিত এই কোচিং ক্যাম্প। এর আগে বিভিন্ন জায়গায় সঙ্গীতা ফুটবলে বাজিমাত করে এসেছে। মহিলা কোচিং ক্যাম্প থেকে গুজরাটে এবং ছত্রিশগড়ে ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছিল সে।
৫০০ বছরের প্রাচীন পঁচেটেগড় রাজবাড়ীর পঞ্চেশ্বর শিব মন্দিরের  নানা ইতিহাস ও অলৌকিক ঘটনা

এসবি নিউজ ব্যুরো: মাটির ঢিপির ওপর গরুর বাঁট থেকে ঝরে পড়তো দুধ।আর সেই ঢিপি খনন করতেই উঠে আসে শিবলিঙ্গ । মেদিনীপুরে ৫০০ বছরের প্রাচীন পঁচেটেগড় রাজবাড়ীর পঞ্চেশ্বর শিব মন্দির নিয়ে রয়েছে নানা ইতিহাস ও অলৌকিক ঘটনা।পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ২ নং ব্লকের
পঁচেটগড় রাজবাড়ির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ওড়িষ্যার আটঘর এলাকার বাসিন্দা আদি পুরুষ কালামুরারি দাস মহাপাত্র। তিনি ওড়িশার জগন্নাথ দেবের সামনে নিত্যদিন সঙ্গীত পরিবেশন করতেন। সেই সঙ্গীতেই মুগ্ধ হয়ে রাজা তাকে মন্দির পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। মন্দিরের পাশে পেয়েছিলেন জমি সেই জমিতে জগন্নাথ দেবের নিত্য সেবার জন্য তুলশি চাষ করতেন । পরবর্তী সময় জাহাঙ্গীর এর নজরে পড়ে যান। তাকে বাংলা, বিহার ও তাম্রলিপ্ত বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেন মোঘল সম্রাট। কাজটি তিনি সূচারুভাবে করতে প্রথমে পটাশপুর এলাকার খাঁড় কল‍্যানপুরে বসবাস  করতেন তিনি। সেই সময় রাজা কালু মুরারির মোহন তাররাজকর্মচারিদের থেকে জানতে পারেন ওই এলাকার কোনো এক গভীর জঙ্গলের নির্জন এক জায়গায় উচু এক মাটির ঢিপির ওপর প্রতিদিন কিছু গরু গিয়ে দাড়ায়। তারপর গরুগুলির বাট থেকে দুধ ঝরে পরে মাটির ঢিপির ওপর। অলৌকিক এই ঘটনা শুনে রাজা কালুমুরারি নির্দেশ দেন ওই জঙ্গল কেটে পরিস্কার করতে। তারপর রাজা নিজে দাড়িয়ে থেকে ওই মাটির ঢিপি খনন করেন। খনন করার সময় মাটির নিচে পরবর্তী সময়ে উদ্ধার হয় শিবলিঙ্গ। খনন কাজের সময় আঘাত লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিবলিঙ্গটি। আঘাত লেগে ভেঙ্গে যায় এই ঘটনায় চিন্তায় পড়েন রাজা মহাশয়। ডাক পড়ে রাজপুরোহিতের। রাজপুরোহিতের নির্দেশে শিবলিঙ্গের চারপাশে বেনারস থেকে এনে আরো চারটি শিবলিঙ্গ বসানো হয় ।ঐ শিবলিঙ্গ দিয়েই কালামুরারি দাস মহাপাত্র তৈরি করেন পঞ্চেশ্বর মন্দির। ধিরে ধিরে পঞ্চেশ্বর নামটি প্রচার হতে থাকে। পঞ্চেশ্বর থেকেই আজ পঁচেট গ্রামের নাম করণ হয় পঁচেট।এখানেই তিনি তৈরি করেন পঁচেটগড় রাজবাড়ি। রাজবাড়ীর রাজারা শৈবে পরিণত হন শক্তি আরাধনায় শিবের পুজো করতেন। পরবর্তিকালে শ্রী চৈতন্যদেব যখন পটাশপুর হয়ে পুরী গিয়েছিলেন তখন জমিদার বাড়ির সদস্যরা শৈব থেকে বৈষ্ণব ধর্মে দীক্ষা নেন। পরে জমিদার বাড়ির কুলদেবতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন কিশোররাই জিউ। যাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর কার্ত্তিক পূর্নিমা থেকে শুরু হয় রাস উৎসব।এছাড়াও রাজবাড়ীতে রয়েছে নারায়ন জিউ মন্দির ও শিতলা মন্দির।পঁচেটগড় রাজবাড়ীর এই শিব মন্দিরে শিব চর্তু্দশীতে জল ঢালতে আশে এলাকার অসংখ্য মানুষ। কথিত আছে এই এলাকায় অনাবৃষ্টি দেখা দিলে ,বৃষ্টি না হলে এই শিব মন্দিরে ১০৮ টি বেলপাতা সহকারে পুজো দিয়ে ১০৮ কশলি জল ঢালা হয় যার  ফলে তৎকালীন বৃষ্টি নেমে আসে।
এই মন্দির ঘিরে বসছে এবছর ১০ দিনের মেলা।