রাজ্য সঙ্গীত বলে ঘোষণা ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটিকে

পয়লা বৈশাখকে বাংলা দিবস হিসেবে পালন করার ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। রাজ্য সঙ্গীতও পরিবর্তন করা হল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটিকে রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে ঘোষণা করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

জাতীয় সঙ্গীতের মতো এই রাজ্য সঙ্গীতও গাইতে হবে দাঁড়িয়ে। নির্দেশিকা জারি করে এমনই জানালো রাজ্য সরকার। সমস্ত অনুষ্ঠানে এই নতুন গান গাইতে হবে সকলকে।

নোয়াপাড়া শহর তৃণমূল সভাপতির খুনের ঘটনার ফাইল পুনরায় কেস চালু করার দাবি তৃণমূল বিধায়কের

উত্তর ২৪ পরগনা: ব্যারাকপুরের নোয়াপাড়া থানার অন্তর্গত নোয়াপাড়া শহর তৃণমূল সভাপতি গোপাল মজুমদার খুনের ঘটনার ফাইল পুনরায় কেস চালু করে মূল চক্রী কে গ্রেপ্তারের দাবি জানালেন জগদ্দল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম।এছাড়াও একাধিক খুনের হলুদ ফাইল খোলার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। আর এই ফাইল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে ফের হুঁশিয়ারি জগদ্দল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের।

সরকারি জায়গা দখলদারের উচ্ছেদ অভিযান বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের

এসবি নিউজ ব্যুরো: সরকারি জমি দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ নির্মাণের উচ্ছেদ অভিযান শুরু করল বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত। রবিবার নদীয়ার ফুলিয়ার টাউনশিপ বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে শুরু হয় এই অভিযান। বেশ কয়েকটি সরকারি জায়গায় তৈরি হয়েছিল চার চাকা গাড়ি রাখার টিনের সেড। সেগুলি বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়।

এই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ফুলিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী। এছাড়াও ছিলেন টাউনশিপ পঞ্চায়েতের প্রধান পরিমল রায়। উচ্ছেদ অভিযানের মধ্যে দিয়ে বিজেপি প্রধান বলেন, "সরকারি জায়গা গুলিকে বেআইনিভাবে দখল করে রাখা হয়েছিল। তারা বারংবার নোটিশ করেছিলেন। কিন্তু পঞ্চায়েতের কথা কর্ণপাত করা হয়নি।তাই উচ্ছেদ অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা"।

তবে এই কর্মসূচি এখন থেকে লাগাতার চলবে বলে জানিয়েছেন বিজেপি প্রধান পরিমল রায়। অন্যদিকে পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন, "গায়ের জোরে সরকারি জায়গা দখল করে রাখা যাবে না। আগে যা হবার হয়েছে এখন থেকে এসব দখল বাজি আমরা মেনে নেব না। আমরা আইনের পথে হেঁটে লাগাতার এই অভিযান চালিয়ে যাব।"

বাংলায় বিকল্প রাজনীতি নিয়ে সারা এলাকায় পোস্টারের পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তব বাগচী

কলকাতা: বাংলায় বিকল্প রাজনীতি নিয়ে সারা রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন স্টেশন এবং রাস্তার ধারে পোস্টার পরেছে। সেই পোস্টারে লেখা আছে বাংলায় বিকল্প রাজনীতি চাই। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তব বাগচী বলেন ,"আমি এই কথা বেশ কয়েক মাস আগেই বলেছিলাম ।মানুষ সেটা নিজের মতন করে নিয়েছে। কারণ এক পাতে সবাই খাবে ,আবার একে অপরের নিন্দা করবে এরকম রাজনৈতিক মানুষ চায় না। এতে যদি দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়ে থাকে দল আমাকে বহিস্কার করুক তাতে কোন ক্ষোভ নেই।

একই দেওয়ালে তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিএম এবং কংগ্রেস পোস্টার লাগাবে সেটা আমি দেখব এটা মেনে নেওয়া যায় না। এর চেয়ে মৃত্যুবরণ করা ভালো।" তবে তিনি এও জানান, এই মুহূর্তে তিনি দল ছাড়ার কথা ভাবছেন না তিনি দলকে প্রস্তাব দিয়েছেন মাত্র যে বিষয়টা মানুষ ভালোভাবে নিচ্ছেন না ।

দল যদি তার ভাবনাকে গুরুত্ব দেয়, তাহলে তিনি খুশি হবেন আর দল যদি তাকে বের করে দেয় তাতেও কোন আপত্তি নেই।এদিন ব্যারাকপুরে নিজের বাড়িতে বসে এমনটাই জানালেন আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কৌস্তব বাগচী।

টাকি পর্যটন কেন্দ্রে মানুষের ঢল

উত্তর ২৪ পরগনা: বছরের শেষ দিন সকাল থেকেই বসিরহাটের টাকি পর্যটন কেন্দ্রে মানুষের ঢল নেমেছে । দূর দুরান্ত থেকে মানুষ এসে উপস্থিত হচ্ছেন টাকি ইছামতী নদীর ঘাটে ।

কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসছে । ইছামতী নদীর একদিকে বাংলাদেশ আরেক দিকে ভারতের টাকি । সারাদিন টাকির বিভিন্ন এলাকায় ঘোড়া । এছাড়াও রাজবাড়ী দর্শন, জমিদার বাড়ি , মিনি সুন্দরবন সহ নৌকায় ভ্রমণ । এবং নৌকায় করে বাংলাদেশকে খুব কাছ থেকে দেখা ।এক কথায় বলা যেতে পারে বছরের শেষ দিন আনন্দ লুটে নিচ্ছে পর্যটকরা টাকিতে ।

দুষ্কৃতী দৌড়ত্ব বিলকান্দা পঞ্চায়েতে

উত্তর ২৪ পরগনা: রাতের অন্ধকারে সরস্বতী মূর্তি ভাঙ্গা নিয়ে উত্তেজনা।বিলকান্দা ব্লক ২,লেনিন গড় অঞ্চলের ঘটনা।প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ক্ষতি কুমোরদের।ভাঙ্গা হয় প্রায় ৩৫ টারও বেশি মূর্তি।ঘটনা তদন্তে ঘোলা থানার আইসি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এসে ভেঙে দিয়ে চলে যাচ্ছে কুমরদের বানানো সরস্বতী মূর্তি।এমন ভাবে ভাঙা হচ্ছে সেই মূর্তি জেনো ফের তৈরি করতে অনেক সময় লাগে কুমোরদের।যার কারণে যেমন ছড়িয়েছে এলাকায় চাঞ্চল্য ঠিক তেমনি পড়েছে কুমোরদের পেটে টান।

মূর্তি বানিয়ে দিন কাটে এই কুমোর পাড়ার মানুষজন গুলোর।পুজোর আগে আর্থিক অনটনের মুখে কুমোর পরিবারের সদস্যরা। তবে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য ও সদস্যার।

*বাংলায় বিকল্প বিজেপি, ডবল ইঞ্জিন সরকারই আগামীর ভবিষ্যৎ- শুভেন্দু*

নন্দীগ্রামঃ কোলকাতা থেকে কোচবিহার সর্বত্রই কোস্তভ বাগছির সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরা লেখা পোস্টার আকারে তুলে ধরা। আর সেই প্রসঙ্গ নিয়ে নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বিকল্প বিজেপি, কোস্তভ বাগচি কংগ্রেসের মধ্যে থেকে কংগ্রেসকে লাইনে আনার চেষ্টা করছে। চেস্টা করছে কংগ্রেসকে যাতে লাইনে আনা যায়।কিন্তু আনতে পারবেন না।কারণ কংগ্রেসের মালিক যারা সনিয়া ও রাহুল গান্ধীরা চোর মমতা ও চোর ভাইপোর সাথে চারবার বিরিয়ানি খেয়েছে। তাই ভাই কোস্তভের প্রতি আমার শুভেচ্ছা আছে। তারা যদি লড়তে পারে লড়ুক।

কিন্তু আলটিমেটলি বাংলায় বিকল্প হচ্ছে বিজেপি।কারন কংগ্রেস টেস্টেড আর রিজেক্টটেড, সিপিএম টেস্টেড আর রিজেক্টেড, তৃণমূলও টেস্টেড ও রিজেক্ট হওয়ার পথে। সভাবিকভাবে কোস্তভের উচ্চ শিক্ষিত ছেলেকে আজ নয় কাল, নয় পরশু যদি সরাতে হয় আর পশ্চিম বাংলার অর্থনৈতিক, শিল্প, বেকারত্ব যেভাবে চরম জায়গায় গিয়েছে এতে ডবল ইঞ্জিন সরকার ছাড়া অর্থাৎ কেন্দ্রে যে সরকার আছে রাজ্যে সেই দলের সরকার যদি করতে না পারা যায় তাহলে পশ্চিমবাংলা বাঁচবে না। সিপিএম অর্থনৈতিক ও বেকারত্ব যা করে গিয়েছে তার থেকে অনেক গুন বেশি করে যাচ্ছে চোর মমতার সরকার। তাই কোস্তভ বাগচিকে বলবো আগামী লোকসভা পর্যন্ত দেখতে থাকুন। আবার মোদিজি ৪০০ বেশি আসন নিয়ে আসবে তখন ডবল ইঞ্জিন সরকার করতে গেলে আমাদের সাথে আসতে হবে।

এদিন নন্দীগ্রামে প্রধান মন্ত্রী মনকি বাত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রশ্নের উত্তরে এমনই মন্তব্য করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

তিনি এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলাপরিষদের সভাধিপতি তথা পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিকের আয়কর নিয়ে মন্তব্য প্রকাশ করেন। অভিষেকের মন্তব্যের উত্তর দিতে চাই না। ও কে? কোথায় ছিলো। কিভাবে উঠে আসা সব সকলের জানা। পাশাপাশি উত্তম বারিকের তদন্তের দায়িত্ব ইডির হাতে তুলে দেওয়া হোক বলেও জানান শুভেন্দু।

জানুয়ারিতেই কলকাতা পুলিশের আওতায় ভাঙড়

জানুয়ারিতেই কলকাতা পুলিশের আওতায় আসছে ভাঙড় । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরেই যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করেছে লালবাজার বলে শোনা যাচ্ছে।

নতুন বছরে ভাঙড়ের চার থানাকে কলকাতা পুলিশের আওতায় আনা হবে। এই থানাগুলি হল কাশীপুর, চন্দনেশ্বর, পোলেরহাট ও ভাঙড়।

প্রজাতন্ত্র দিবসে বাংলার ট্যাবলো বাতিল কেন্দ্রের

আগামী ২০২৪ সালের ২৬ জানুয়ারি নিয়ে প্রকাশ্যে এল বড় খবর। ২০২৪ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের পাঠানো ট্যাবলো বাতিল করেছে কেন্দ্র। শুধুমাত্র তাই নয়, পাঞ্জাবেরও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে। এদিকে দুই রাজ্যই বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছে। যদিও এবার সরাসরি জবাব দিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের জন্য ট্যাবলো নির্বাচন নিয়ে বৈষম্যের বিষয়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান যে অভিযোগ করেছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রথম তিন দফা বৈঠকে পাঞ্জাবের ট্যাবলো প্রস্তাব বিবেচনা করা হয়েছিল। তৃতীয় দফার বৈঠকের পরে, এই বছরের ট্যাবলোর বিস্তৃত থিমগুলির সাথে সামঞ্জস্য না করার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি আরও বিবেচনার জন্য পাঞ্জাবের ট্যাবলোটি এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেনি। বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রথম দুই দফা বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো প্রস্তাব বিবেচনা করা হয়েছিল। দ্বিতীয় দফার বৈঠকের পর এ বছরের ট্যাবলোর বিস্তৃত থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য না থাকায় বিশেষজ্ঞ কমিটি পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলোটি আরও বিবেচনার জন্য এগিয়ে নিতে পারেনি।‘

বর্ষবরণের আগেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্তম্ভিত ধুপগুড়িবাসী

এসবি নিউজ ব্যুরো: জলপাইগুড়ির ধুপগুড়িতে খড়ের গাধায় অগ্নিকাণ্ড, ব্যাপক চাঞ্চল্য।শনিবার মধ্যরাতে ধুপগুড়ি পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডে একটি খড়ের গাদায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দমকল বাহিনী আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে অধিকাংশ খড় পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতের অন্ধকারে এলাকার বাসিন্দা কালীপদ বর্মনের বাড়ির পিছনে থাকা খড়ের গাদায় আগুন লাগানো হয়। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।আগুনের দাবদাহ এতটাই ছিল যে আগুন নেভাতে স্থানীয়দের হিমশিম খেতে হয়। পরে তারা দমকল বাহিনীকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দমকল বাহিনী আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।

দমকল বাহিনীর সদস্যরা জানান, তারা আগুন নেভানোর জন্য প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়েছেন। স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে অধিকাংশ খড় পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

ধুপগুড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ বলছে, কে বা কারা এই আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটিয়েছেন তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।