অযোধ্যার রাম মন্দিরের মূল প্রবেশদ্বার ধরম পথেই থাকছে, নদীয়ার কৃষ্ণনগরের এক শিল্পীর অসাধারণ টেরাকোটার কাজ

নদীয়া: আগামী ২২শে জানুয়ারি বহু প্রতীক্ষিত এবং চর্চিত উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন করা হবে। অযোধ্যায় নির্মিত এই রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে ঐ দিন। ইতিমধ্যেই রামনগরীতে জোরদার চলছে তার প্রস্তুতি। চার বেদের সকল শাখার নিয়মিত পাঠ ও যোগ্য মন্দির প্রাঙ্গনে চলছে অবিরাম জানা যায় এই যোগ্য চলবে মন্দির পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত। ইতিমধ্যেই মন্দির নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের পথে। আর এবার অযোধ্যার রাম মন্দিরের বেশ কিছু টেরাকোটার কাজ যাচ্ছে নদিয়ার কৃষ্ণনগর থেকে।

জানা যায় নদীয়ার কৃষ্ণনগরে বাগদী পাড়ার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ মজুমদার পেশায় টেরাকোটা শিল্পী। তিনি তিনবার পেয়েছেন রাজ্য সরকার থেকে পুরস্কার। শুধু রাজ্যেই নয় রাজ্যের বাইরেও একাধিক শিল্পকর্মের জন্য পেয়েছেন তিনি বিশেষ সম্মান। হরিয়ানা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও তার শিল্প কর্মের জন্য দিয়েছেন তাকে যথাযোগ্য সম্মান। আর তিনি তার কাজের যোগ্যতার বসেই এবার অযোধ্যার রাম মন্দিরের বেশ কিছু টেরাকোটার কাজের বরাত পেলেন।সূত্রের খবর অযোধ্যার মন্দিরে যেই প্রবেশপথ রয়েছে তার নাম দেওয়া হয়েছে ধরমপথ। সেই ধর্ম পথেই থাকবে ১০০ টি স্তম্ভ যার মধ্যে ২০০ টি রামায়ণের মুরাল বসানো হবে। টেরাকোটার দেওয়ালে যেই কাজ করা হয় সেটিকেই সাধারণত মুড়াল বলা হয়। ২০০ টি মুরালের মধ্যে ১০০ টির বরাত পেয়েছেন কৃষ্ণনগরের এই শিল্পী। মূলত অযোধ্যার রাম মন্দিরের কর্মকর্তারা দেশের বিখ্যাত শিল্পীদের খোঁজ নিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এরপর টেন্ডারের মাধ্যমেই তিনি এই বরাত পান।

তিনি জানান ২০০ খানা মুরাল লাগানো হবে অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রবেশপথে এক একটি পরিমাপ ২০ ফুট লম্বা এবং চওড়ায় ১০ ফুট। সমগ্র রাজ্যের মধ্যে কৃষ্ণনগরের বিশ্বজিৎ মজুমদারই একমাত্র এই বরাত পান। সেপ্টেম্বর মাসে বরাত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মূলত কাজ শুরু হয়ে যায় এই মুরাল বানানোর। কৃষ্ণনগরে বেলডাঙ্গা মতি সুন্দরী তে রয়েছে তার ষ্টুডিও। সেখানেই ১৭ জন কর্মচারী এবং অযোধ্যার রাম মন্দিরে ১৪ জন কর্মচারী আপাতত দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছেন এই টেরাকোটার মুরালের। কাজ প্রায় শেষের দিকে ইতিমধ্যে দুই চালানে সড়কপথে ট্রাকে করে অযোধ্যার রাম্বুদিরে পাঠানো হয়েছে এই টেরাকোটার কাজ। খুব শীঘ্রই তৃতীয় চালান পাঠানো হবে।

কৃষ্ণনগরের স্বনামধন্য টেরাকোটা শিল্পী বিশ্বজিৎ মজুমদার। মুম্বাই দিল্লি এবং বিভিন্ন রাজ্যে তিনি তার কাজের নিদর্শনের ছাপ ফেলেছেন। গত ২৫ বছর ধরে তিনি এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। পড়াশোনা সম্পন্ন করেই মূলত শখের বসেই এই কাজে আসা যেটি এখন তার পেশায় পরিণত হয়েছে। পরিবারে তেমন কেউ এই পেশার সঙ্গে যুক্ত নয় বলেই জানান শিল্পী।

বহু প্রতীক্ষিত এবং চর্চিত অযোধ্যার রাম মন্দিরে যে কৃষ্ণনগরের ছোঁয়া লাগতে চলেছে আপাতত তাতেই গর্বিত সকল নদীয়াবাসী।

১লা জানুয়ারি থেকে চলবে বালুরঘাট-শিয়ালদহ ট্রেন পরিষেবা, জেনে নিন সময়সূচী

আগামী ১ জানুয়ারি উদ্বোধন হতে চলেছে শিয়ালদহ-বালুরঘাট নয়া ট্রেন। উত্তরবঙ্গ সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের ট্রেন যোগাযোগ ব্যাবস্থায় নতুন উদ্যোগ নিয়েছে রেল মন্ত্রক। আগামী সোমবার বেলা ১২ টায় বালুরঘাট স্টেশন থেকে এই ট্রেনটি প্রথম যাত্রা শুরু করবে । সপ্তাহে ৭ দিনই চলবে শিয়ালদহ-বালুরঘাটের নয়া এই ট্রেনটি। জানা গিয়েছে,ট্রেনটি নৈহাটি, ব্যান্ডেল, নবদ্বীপ ধাম, কাটোয়া, আজিমগঞ্জ, জঙ্গিপুর রোড, নিউ ফরাক্কা, মালদহ টাউন, একালাখি, গাজোল, বুনিয়াদপুর, গঙ্গারামপুর এবং রামপুর স্টেশনে থামবে ।

বালুরঘাট-শিয়ালদহ ট্রেন সময়সূচি সম্পর্কে জানা গিয়েছে, শিয়ালদহ থেকে ট্রেনটি ছাড়বে রাত সাড়ে দশটার সময়। মালদহ পৌঁছবে ভোর ৫.৪০ মিনিটে। সাড়ে আটটায় বালুরঘাট। ডাউন ট্রেনটি বালুরঘাট থেকে সন্ধে সাতটায় ছেড়ে রাত ৯.৪০ মিনিটে মালদহ পৌঁছবে। শিয়ালদহ পৌঁছবে ভোর ৪.২০ মিনিটে।

জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই হবে INDIA জোটের পরবর্তী বৈঠক

নজরে লোকসভা নির্বাচন। আর তারআগেই ফের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের পরবর্তী বৈঠক হতে চলেছে বলা জানা গিয়েছে কংগ্রেসের তরফে। এই বৈঠকে আসন বণ্টন নিয়ে হবে আলোচনা। তবে কবে হবে সেই বৈঠক সেই তারিখ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।সম্প্রতি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে আসন বণ্টনের কাজ শেষ হবে বিরোধী শিবিরের। এরপরেই বৈঠকে বসে কংগ্রেস।

 সম্প্রতি তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হারের পর লোকস্পভা নির্বাচনে আসন বণ্টন নিয়ে তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকলো বিরোধী জোট ইন্ডিয়া। ইন্ডিয়া জোটের প্রধান নেতারা এবারের বৈঠকে থাকবেন বলেই জানা গিয়েছে।  ৫ রাজ্যের ফল ঘোষণার পরই আসন বণ্টন নিয়ে জোর দেওয়া শুরু করেছে কংগ্রেস।

এবার নতুন বছরে ৮-১৭ জানুয়ারি সাগরদ্বীপে গঙ্গাসাগর মেলা অনুষ্ঠিত হবে

অমিত দাস: ২০২৪ এর ৮ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি সাগরদ্বীপে অনুষ্ঠিত হবে গঙ্গাসাগর মেলা। লাখ লাখ মানুষ পুণ্যস্নান করতে আসবেন। আর তাই সেখানে যাতে কোন নিরাপত্তার খামতি না থাকে তাঁর জন্য রাজ্য সরকার সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।আজ আলিপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রশাসনিক সদর দপ্তরে আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলা কে কেন্দ্র করে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আহ্বান করা হয়েছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাপরিষদের সভাধিপতি নীলিমা বিশ্বাস মিস্ত্রীর সভাধিপতিত্বে ও জেলা শাসক সুমিত গুপ্তা সহ উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।

প্রসাশনের পক্ষে জানানো হয়,পূণ্যার্থীদের জন্য এবার ২৫০০ টি সরকারি বাস,২৫০টি বেসরকারি বাস, ৬টি বার্জ, ৩২টি ভেসেল,১০০ টি লঞ্চ ও ২১টি জেটি ব্যবহার করা হবে।লট ৮ ও নামখানা দিয়ে পূণ্যার্থীদের পারাপার করা হবে এছাড়াও গঙ্গাসাগরে আগত পুন্যার্থীদের জন্য থাকছে জলের ৬০ লাখ পাউচ। ৩০০ বেডের হসপিটাল থাকছে। ১০০এর বেশি অ্যাম্বুলেন্স রাখা হচ্ছে।রাখা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স। শোলার ঘরগুলোতে অনেক সময় আগুন লেগে যায় বলে এবার গঙ্গাসাগরে রান্নার অনুমতি নেই।

অতিরিক্ত কুয়াশার জন্য এবারের ভেসেলের সারেঙ্গের সুবিধার্থে বিদেশ থেকে বিশেষ ধরনের আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুরক্ষা জন্য ইসরোর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।৭ টি স্যাটেলাইট ও মেলা প্রাঙ্গণে ১১৫০ টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে।২৪০০ সিভিক ভলেন্টিয়ার সহ ১৪২ টি এনজিও মেলায় মোতায়েন থাকবে।এছাড়া অতিরিক্ত যানবাহনের ব্যবস্থা থাকছে এবার।রেলকে অনুরোধ করা হয়েছে মেলার আগে ও পরে বেশি ট্রেন চালাতে। ১৩ থেকে ১৭ জানুয়ারি বেশি ট্রেন চালাতে হবে।

পাশাপাশি ,মেলার দিনগুলিতে বেশি করে ট্রেন চালানোর জন্য রেলকেও অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রীও। এই প্রসঙ্গে রেলের তরফে এক আধিকারিক জানান, ১২ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত নির্ধারিত ট্রেন ছাড়া আরও ৬৬টি ট্রেন চালানো হবে। তারমধ্যে ১৪, ১৫ ও ১৬ তারিখ ওই রুটে অতিরিক্ত ১৫টি স্পেশাল ট্রেন চালানো হবে।

ছবি: সঞ্জয় হাজরা (খবর কলকাতা)।

*দক্ষিণ ভারতের তিরুপতি বালাজির পুজোয় মেতেছে তমলুকবাসি, চলছে জাঁকজমকপূর্ণ পূজার্চনা*

তমলুক: দক্ষিণের সেই দেবতা তিরুপতি বালাজি পুজোতে মাতলো তমলুকবাসি। তমলুকের তাম্রলিপ্ত টাউন ক্লাবের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় এই পুজোর। তাদের এই পুজো এবছর পঞ্চমতম বর্ষে পা দিলো। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আগত পুরোহিত তাঁর নিজস্ব ভাষায় মন্ত্র উচ্চারনের মধ্য দিয়ে শুরু করেন পুজোর কাজ।

এছাড়াও পুজোর বাদ্যির জন্যও সুদূর দক্ষিণ থেকে এসেছেন সংগীতশিল্পীরা। শুক্রবার সকাল থেকেই তাম্রলিপ্ত ডাউন ক্লাবের বালাজি দেবতার পূজো দেখতে মন্ডপে ভিড় জমান তমলুকবাসি। ভিন রাজ্যের মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে এই পুজো দেখতে পেয়ে খুশি তমলুকবাসিরা।

পূজা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে তমলুক শহর জুড়ে একটি বর্ণনাট্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয় ক্লাবের পক্ষ থেকে। তমলুকের এই বালাজি পূজা উপলক্ষে তাম্রলিপ্ত টাউন ক্লাবের চার দিন ধরে চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

*পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন, অখিল গড়ে শুভেন্দুর তৃণমূল স্তরের কর্মীদের নিয়ে সম্মেলন*

মন্দারমণি: লোকসভা নির্বাচন আসন্ন। তার আগেই দলের নেতা কর্মীদের চাঙ্গা করতে লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বুথ কর্মিদের সম্মেলন শুভেন্দুর। বিকেল নাগাদ রামনগর বিধানসভা এলাকায় শুভেন্দুর সভা অখিল গড়ে। মন্দারমনিতে বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্বেলনের আয়োজন করা হয়েছে ।

উপস্থিত থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কাঁথি লোকসভার বুথ কর্মী সম্মেলন ও যোগদান মেলা রয়েছে।বুথ পিছু -৮জন অংশ নেবে সম্মেলনে।১৯৮২বুথ কাঁথি লোকসভায় বলেই জানা যাচ্ছে। বছরেই শেষ লগ্নে মন্ত্রী অখিল গিরির বিধানসভায় গিয়ে কি কি ভোকাল টনিক দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা কাঁথির সন্তান শুভেন্দু অধিকারী সেটাই দেখার বিষয়। চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি।

বিভিন্ন সভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্র কাঁথি ও তমলুকে বিজেপি তিন লক্ষ্যের বেশি ভোটে জয়লাভ করবে। কিভাবে তা হবে আমার জানা আছে। তা বাস্তবায়ন করতে কর্মীদের কি বার্তা দেন সেটা এখন দেখা অপেক্ষা।

রাজ্যে আসছেন মোহন ভাগবত

আগামীকাল রাজ্যে আসছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত । ৩ দিনের বঙ্গ সফরে আসছেন তিনি। সোমবার বিকেল অবধি রাজ্য থাকবেন আরএসএস প্রধান।

কলকাতায় তাঁর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। সূত্রের খবর, বেশ কিছু বিজেপি নেতা নেতা কর্মীদের সঙ্গে সংঘ প্রধান দেখা করবেন এবং বৈঠক করবেন। রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি আমন্ত্রণ জানাতে পারেন বঙ্গ বিজেপি নেতাদের।

রেশন বন্টন নিয়ে খাদ্য ভবনে বিক্ষোভ

রেশন ডিলারদের বিক্ষোভ খাদ্য ভবনে। রেশন বন্টনের সমস্যার অভিযোগ তুলে এই বিক্ষোভ বলে শোনা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে নতুন বছরে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন রেশন ডিলাররা।

আগামী ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে এই বিক্ষোভ। তবে আজ সকাল থেকে খাদ্য ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন রেশন ডিলাররা।

বিএসএফের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ পাচার হওয়ার আগেই বিএসএফ সেনাজওয়ানদের সক্রিয়তায় ১০ লক্ষ টাকার রুপোর গহনা উদ্ধার

নদীয়া: নদীয়ার মহাখোলা সীমান্তে ৮২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের বিএসএফের জওয়ানরা সীমান্তে পাচারের আগেই ১১ কেজি ৫০০ গ্রাম রুপোর গহনা উদ্ধার করল।এই রুপোর গহনার মূল্য আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকা বলে জানা গেছে । বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে আজ ভোর রাত্রে ঘন কুয়াশার মধ্যে চোরা কারবারিরা।

ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তে তারকাটার কাছাকাছি পৌঁছে গেলে বিএসএফ জওয়ানদের সন্দেহ হয় । বি এস এফ ওই চোরা কার বাড়িদের তাড়া করলে তারা পালিয়ে যায় ব্যাগ ফেলে । সেই ব্যাগ থেকেই উদ্ধার হয় রুপোর গহনা ।

বিক্রি নেই শীতের পোশাক, চিন্তা বাড়ছে ব্যবসায়ীদের

বাঁকুড়াঃ শীত বস্ত্রের পসরা নিয়ে আবারো ফিরে এসেছেন ওঁরা। কিন্তু বড় দিনের আগে থেকেই বাঁকুড়ায় তাপমাত্রার পারদ বাড়তে থাকায় শীত বস্ত্রের চাহিদা নেই। ফলে চরম আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় ভীন রাজ্য থেকে শীতবস্ত্র বিক্রি করতে আসা ব্যবসায়ীরা।

প্রসঙ্গত, প্রতি বছরের মতো এবারও শহরের মাচানতলা এলাকায় জেলা লাইব্রেরী সংলগ্ন রাস্তার পাশে শীতবস্ত্র বিক্রেতাদের পসরা সাজিয়ে বসার অনুমতি দিয়েছে বাঁকুড়া পৌরসভা। এবার মূলতঃ ভীন রাজ্য থেকে আসা ৩০ জন ব্যবসায়ী অস্থায়ী দোকান খুলেছেন। কিন্তু বৃষ্টির পর প্রথম দু'দিন জেলার তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াসের আশে পাশে ঘোরা ফেরা করলেও বড় দিনের আগেই তাপমাত্রার পারদ ফের উর্দ্ধমুখী হতে থাকে। ফলে শীতের আমেজ না থাকায় বিক্রি বাটাও কমতে শুরু করেছে এই ব্যবসায়ীদের।

বিহার থেকে আসা ব্যবসায়ী দীপু মিশ্র বিক্রি না হওয়ার পিছনে 'ঠাণ্ডার আমেজ না থাকা'কে দায়ি করে বলেন, এই মরশুমে বিক্রি বাটা একদম নেই।সাত লক্ষ টাকার শীতবস্ত্র নিয়ে এসেছিলাম। বিক্রির যা অবস্থা লাভ তো দূরের কথা, মূল টাকাটা তোলাই এখন দূস্কর বলে তিনি জানান।

একই কথা বলেন ব্যবসায়ী অসিত গরাই, শুভম্ মুখার্জীরা। তাঁরা বলেন, বাইরে থেকে এসেছিলাম কিছু রোজগারের আশায়। কিন্তু ঠাণ্ডা থাকায় একদমই বিক্রি নেই। গত বছর কিছু হলেও মুনাফা হয়েছিল, এবার সেই আশা নেই। ফলে চরম অর্থিক ক্ষতির বোঝা নিয়েই তাঁদের প্রত্যেককে বাড়ি ফিরতে হবে বলে তাঁরা জানান।

এখন এই ব্যবসায়ীদের একান্ত প্রার্থণা বাঁকুড়ায় বাড়ুক উত্তুরে হাওয়ার দাপট, অনুভূত হোক শীতের আমেজ। তাহলে অন্তত নতুন বছরে কিছু বিক্রি বাটা বাড়বে। আর লাভ না হোক মূল টাকাটাও উঠে আসতে পারে। তাই এখন উত্তুরে হাওয়ার অপেক্ষায় পরিযায়ী এই ব্যবসায়ীরা।