*ফটো গ্যালারী* *চাকলাধামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়* *ছবি: সৌজন্যে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর, উত্তর ২৪ পরগনা*
চলে গেলেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার প্রবীর মজুমদার
![]()
বছর শেষেই দুঃসংবাদ। চলে গেলেন ইস্টবেঙ্গলের স্বর্ণযুগের অন্যতম সেনানি প্রবীর মজুমদার। বৃহস্পতিবার না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন সত্তরের দশকের লাল-হলুদ রক্ষণের অন্যতম প্রহরী। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। মৃত্যুকালে একমাত্র পুত্র, পুত্রবধূ ও নাতনিকে রেখে গিয়েছেন তিনি। স্বর্ণযুগের অন্যতম ফুটবলারের অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া ইস্টবেঙ্গল শিবিরে।
সত্তর দশকে যে ক’জন ফুটবলার কলকাতা ময়দান কাঁপিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন প্রবীর মজুমদার। ১৯৭২ ও ১৯৭৩ সালে লেফট ব্যাক হিসাবে লাল-হলুদের রক্ষণভাগ আগলে রাখা প্রবীর মজুমদারের খেলার স্মৃতি এখনও ময়দানের প্রবীণদের চোখে ভাসে। ১৯৭২ সালে একটি গোল না খেয়ে কলকাতা লিগ জেতার রেকর্ড করেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই বছরই আইএফএ শিল্ড, বরদোলুই কাপ, ডুরান্ড ও রোভার্সে চ্যাম্পিয়ন হয় লাল-হলুদ শিবির। প্রথম বারের জন্য ত্রিমুকুট জেতে তারা। ১৯৭৩ সালে কলকাতা লিগ, আইএফএ শিল্ড, রোভার্স ও ডিসিএম চ্যাম্পিয়ন হয় ইস্টবেঙ্গল।
*মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে শিল্প শহর হলদিয়ায় দূষণ নিয়ন্ত্রণের ভাবনা শিল্প বাণিজ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি*
![]()
হলদিয়া: রাজ্যের অন্যতম শিল্প তালুক হলদিয়া। সেই হলদিয়ায় দিনে দিনে দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যাপারে একাধিকবার পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা সঠিকভাবে গ্রহন করা হয়নি। এবার মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে দূরা করা হবে বলে জানান শিল্প বাণিজ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি চেয়ারম্যান কানাইচন্দ্র মন্ডল। বৃহস্পতিবার হলদিয়ার বিভিন্ন কারখানা পরিদর্শনের পর হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের অতিথি নিবাস হলদিয়া ভবনে প্রশাসনিক বৈঠিক করেন। সেই বৈঠকে দপ্তরের আধিকারিক, স্থানিয় হলদিয়া মহকুমা শাসক, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিক সহ স্ট্যান্ডিং কমিটির চার সদস্যের প্রতিনিধিদল।
এদিন সাংবাদিকরা শিল্প শহর হলদিয়ার দূষণ নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে কি পরিকল্পনা। স্ট্যান্ডিং কমিটি চেয়ারম্যান কানাইচন্দ্র মন্ডল জানান, হলদিয়ায় দূষণ নিয়ন্ত্রণে মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে। এছাড়াও ড্রেনেজ পরিষেবা বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে বৈঠকে।ড্রেনেজ, পথবাতি সহ বেশকিছু পরিকল্প নেওয়া হয়েছে।
![]()
কংগ্রেসের ১৩৮ তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালন ফারাক্কায়
![]()
এসবি নিউজ ব্যুরো: আজ জাতীয় কংগ্রেসের ১৩৮ তম প্রতিষ্ঠা দিবস । প্রতিষ্ঠা দিবসকে কেন্দ্র করে ফারাক্কা ব্লক জাতীয় কংগ্রেস খোসালপুর ব্রিজের পশ্চিম পাড়ের মোড়ে জাতীয় কংগ্রেসের কর্মী ও নেতৃত্ববৃন্দ উদ্বোধন করলেন সংখ্যালঘু শেলের ব্লক অফিস । জাতীয় কংগ্রেসের গর্বের দিনগুলি বিভিন্ন নেতৃত্ব তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন । কেন জাতীয় কংগ্রেস তৈরি হয়েছিল ? কি উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল ? কংগ্রেস কর্মীদের ভাষায় জাতীয় কংগ্রেস একটি গণতান্ত্রিক দল । এলান অক্টোভিয়ান হিউম থেকে শুরু করে , স্বর্গীয় প্রধানমন্ত্রী নেহেরু , ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী এবং বর্তমান দিলেন নেতৃত্ব রাহুল গান্ধীর কথা তুলে ধরেন । তুলে ধরেন পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান অবস্থা ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বের কথা ।
প্রথমে দলীয় পতাকা উত্তোলন , তারপর অফিসের উদ্বোধন এবং প্রায় ২০০ মিটার পদযাত্রা করে প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করল ফারাক্কা ব্লক জাতীয় কংগ্রেস । আজকের সভায় উপস্থিত ছিলেন মাইনোরিটি শেলের সভাপতি নজরুল ইসলাম , আশরাফ হোসেন , প্রাক্তন সভাপতি আব্দুল বাসির সহ বিভিন্ন অঞ্চলের সভাপতিরা ।
রাত বাড়লেই গ্রামের ভেতর দিয়ে শুরু হচ্ছে বেআইনি পাথর বোঝাই ট্রাক্টরের চলাচল
![]()
এসবি নিউজ ব্যুরো: রাত বাড়লেই গ্রামের ভেতর দিয়ে শুরু হচ্ছে বেআইনিভাবে পাথর বোঝাই ট্রাক্টরের চলাচল। আর তার ফলে ভেঙে যাচ্ছে গ্রামের রাস্তা ,গরিব মানুষের বাড়ির দেওয়াল থেকে শুরু করে স্থানীয় মসজিদের দেওয়াল।
একাধিকবার পুলিশ প্রশাসনকে বেআইনিভাবে গ্রামের ভেতর দিয়ে পাথর বোঝাই ট্রাক্টর চলাচল বন্ধ করার বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ার জন্য অনুরোধ করেও কাজ না হওয়াতে বুধবার রাতে পাথর বোঝায় ট্রাক্টর আটকে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার ভাসাইপাইকর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহেবনগর গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ,ঝাড়খণ্ডের পাকুড়ের বিভিন্ন পাথর খাদান থেকে ছোট ছোট ট্রাক্টরে করে সাহেবনগর গ্রামের রাস্তা দিয়ে এই পাথর মুর্শিদাবাদ জেলাতে নিয়ে আসা হয়। এরপর এই পাথর ধুলিয়ান ডাকবাংলা মোড় এলাকার বিভিন্ন স্থানে জড়ো করে রাখা হয়। পরে সময় মতো ওই পাথর ডাম্পার করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ।
বিক্ষোভরত গ্রামবাসীরা জানান, ইসলামপুর হয়ে সাহেবনগর গ্রামের মধ্য দিয়ে চাঁদপুর বাজারের উপর দিয়ে নিয়মিত চলছে পাথর বোঝাই ট্রাক্টর। বেআইনি এই কাজে পুলিশ প্রশাসনের মদত থাকায় একাধিকবার ট্রাক্টর চালকদেরকে বললেও তারা গ্রামের পথ দিয়ে পাথর বোঝায় গাড়ি নিয়ে যাওয়া বন্ধ করেনি। তার ফলের সমস্যার মধ্যে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। তাদের বক্তব্য -রাজ্য সড়ক বা জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে পাথর বোঝাই লরি বা ট্রাক্টর নিয়ে যাওয়া হলে তা সকলের নজরে পড়ে যাবে। তাই গ্রামীণ রাস্তা ব্যবহার করে এই বেআইনি কাজ করা হচ্ছে।
বুধবার রাত সাড়ে দশটার পর বেশ কয়েকজন ট্রাক্টর চালক গ্রামের রাস্তা দিয়ে পাথর বোঝাই করে ট্রাক্টর নিয়ে যাওয়া শুরু করতেই গ্রামবাসীরা বাধা দেন। আর এর পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকার। গ্রামবাসীরা একাধিক পাথর বোঝার ট্রাক্টর আটকে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকাতে ছুটে আসে সামশেরগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। বেআইনি পাথর বোঝায় ট্রাক্টর চলাচল বন্ধের আশ্বাস দেওয়ার পর অবরোধ তুলে নেন গ্রামবাসীরা।
CAA নিয়ে সরব মমতা
![]()
মাত্র ১ মাসের ব্যবধানে বাংলায় ঘুরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । দুই দফাতেই তিনি বেশ জোরের সঙ্গে জানিয়েছে, ২৪’র ভোটের আগেই CAA লাগু হয়ে যাবে। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে, ২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয়বার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর পাশ হয়েছিল নাগরিক সংশোধনী বিল ২০১৯ যাকে অধিকাংশ মানুষ CAA নামেই চেনেন। এবার তা নিয়েই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দেগঙ্গা থেকে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন,' সবাই নাগরিকত্ব নিয়ে ভাবছেন। আপনারা তো নাগরিকই। নাগরিক না হলে কী স্বাস্থ্যসাথী পেতেন? রেশন পেতেন? লক্ষ্মীর ভান্ডার পেতেন? আপনাদের বার বার ভুল বোঝানো হচ্ছে। আপনারা নাগরিকই। আপনাদের থাকার যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য আমরা পাট্টা দিচ্ছি। নাগরিকত্ব নিয়ে ধর্মের ভাগাভাগির রাজনীতি করছে বিজেপি। CAA একটা ছলনা। ওদের এই ছলনায় ভুলবেন না। প্রতিবার ভোটের সময় ওরা এটা করে। এবারেও করবে। কিন্তু আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে। আপনারা এদেশের নাগরিক। ওদের যদি ওতই প্রয়োজন থাকে তাহলে ডিএমদের দায়িত্ব দিক। ওরাই যা করার করে নেবে। যাকে যা দেওয়ার দিয়ে দেবেন। কিন্তু দেশের নাগরিক কে হবে আর কে হবে না সেটা তোমরা ঠিক করার কে?’
তবে শাহ অবশ্য জানিয়ে গিয়েছেন, ‘CAA বিজেপির অঙ্গীকার। CAA হবেই। কেউ আটকাতে পারবে না।’ এর পাল্টা মমতা এদিন জানিয়ে দিলেন, ‘CAA একটা ছলনা।’
মতুয়া মহাসংঘের উদ্যোগে ধর্মতলায় মহাসমাবেশ
![]()
কলকাতা: পূর্ববঙ্গ থেকে আগত ছিন্নমূল উদ্বাস্তুদের নিঃশর্ত ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের দাবিতে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের উদ্যোগে এবং মমতা বালা ঠাকুরের ডাকে ২৮শে ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ধর্মতলায় মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেই মহাসমাবেশ দল দল লোক যোগদান করেছে।
কংগ্রেসের একা লড়ার ক্ষমতা নেই: সুভাষ
![]()
বাঁকুড়াঃ 'ওদের একা লড়ার সামর্থ্য নেই, ওদেরই ঠিক করতে হবে কাদের সঙ্গে জোট করবে। কোন জোটই টিকবেনা'- কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরীর জোট প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক মন্তব্য প্রসঙ্গে এবার এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার। বৃহস্পতিবার নিজের সাংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিলের অর্থে বাঁকুড়া মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলের নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন। একই সঙ্গে ডাঃ সুভাষ সরকার প্রত্যয়ের সঙ্গে বলেন, 'বিজেপি এবার ভালো করবে'।
ডাঃ সরকার এদিন কেন্দ্রীয় সংস্থা ই.ডি-র ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, 'ই.ডি খুব ভালো কাজ করছে, প্রচুর টাকা উদ্ধার করেছে, ওঁদের তল্লাশীতে আরো টাকা উদ্ধার হতে পারে'।
রাজীব কুমারের ডিজি পদে নিয়োগ ও তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মন্তব্য প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'তৃণমূল সরকার যাঁদের প্রতি আস্থা রাখেন তাঁদের প্রতি ওই দলের অনেকের আস্থা নেই। তাহলে মানুষের আস্থা থাকবে কি করে বলেও প্রশ্ন তোলেন।
এদিন স্থানীয় সাংসদ হিসেবে নিজের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের অর্থে বাঁকুড়া মিউনিপ্যাল হাই স্কুলের নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাঁকে পাশে পেয়ে খুশী সংশ্লিষ্ট সকলেই।
মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এদিন থেকেই গ্রন্থাগার কক্ষ ও পাঠকক্ষের কাজ শুরু হলো। এই কাজের জন্য প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আগামী চার মাসের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে তাঁরা আশাপ্রকাশ করছেন।
চাকলায় লোকনাথ বাবার মন্দির উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর
![]()
উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার চাকলায় লোকনাথ বাবার মন্দির ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্যের ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই অনুযায়ী শুরু হয় সংস্কারের কাজ। এদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার চাকলার লোকনাথ মন্দিরের সেই সব নবনির্মিত নির্মাণের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর মূল মন্দিরে গিয়ে পুজো দেনও তিনি।
মন্দির সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য প্রায় ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল রাজ্য সরকার। সেই টাকাতেই গোটা মন্দির ঢেলে সাজানো হয়েছে। প্রতিদিন চাকলাধামে হাজার হাজার মানুষের ভিড় হয়। মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন এই মন্দিরটি সংস্কার করে ডিসেম্বরের মধ্যেই উদ্বোধন করতে। সেই মোতাবেক কাজও শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গত দু'মাস ধরে পর্যটন দফতর জোরকদমে কাজ শেষ করে।
Dec 28 2023, 17:59
- Whatsapp
- Facebook
- Linkedin
- Google Plus
0- Whatsapp
- Facebook
- Linkedin
- Google Plus
0.6k