লোকসভার আগেই দীঘায় উদ্বোধন হতে পারে জগন্নাথ মন্দির

সম্প্রতি ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠের গীতাপাঠের অনুষ্ঠান ঘিরে তুঙ্গে ওঠে রাজনৈতিক তর্জা। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই গীতাপাঠ ঘিরেই যত রাজনীতি। এবার লক্ষ কণ্ঠ বনাম দশ হাজার কণ্ঠের লড়াই। সৌজন্যে তৃণমূল।

রাজ্যের কারামন্ত্রী তথা রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে পর্যটন কেন্দ্র দীঘায় গড়ে তোলা হচ্ছে জগন্নাথ মন্দির ধাম। লোকসভা ভোটের আগে আগামী এপ্রিল মাসেই তার উদ্বোধন হতে পারে। মন্ত্রী অখিল গিরি জানিয়েছেন, দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের সূচনায় ব্রাহ্মণদের নিয়ে বসবে গীতাপাঠের আসর। সেখানেই অংশগ্রহণ করবেন ১০ হাজার মানুষ। সনাতন সংগঠন গুলিকেই সমর্থন জানাবে তৃণমূল। চন্ডীপাঠের বদলে গীতাপাঠ হবে মন্দিরের সূচনায়।

স্বাভাবিক ভাবেই বোঝা যাচ্ছে, এবারের লোকসভা নির্বাচনে যতকাণ্ড গীতাপাঠেই!

ফের শ্রমিক- মালিক অসন্তোষ জেরে বন্ধ হল শিল্পাঞ্চলের আরেকটি জুটমিল

উত্তর ২৪ পরগনা: ফের শ্রমিক- মালিক অসন্তোষ জেরে বন্ধ হল শিল্পাঞ্চলের আরেকটি জুটমিল।বুধবার সকাল থেকেই বন্ধ হয়ে গেল জগদ্দলের অ্যাংলো ইন্ডিয়া জুট মিল। যার জেরে কর্মহীন হয়ে পড়লেন প্রায় ৩ হাজার শ্রমিক।মিল কর্তৃপক্ষ তরফে এখনো পর্যন্ত মিল বন্ধের কোন নোটিশ দেওয়া হয়নি। তবে ওই মিলের শ্রমিকরা জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই শ্রমিকদের ওপর জুলুম বাজি করছে মিল কর্তৃপক্ষ।

মাত্রা অতিরিক্ত কাজের চাপ দেওয়া হচ্ছে। তাদের গুরুতর অভিযোগ, জোর করে অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। যার জেরে চরম সমস্যায় পড়েছেন মিল শ্রমিকরা। মিল বন্ধ হওয়ার পর যাতে কোনো অপ্রতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয় তাই জন্য মিল গেটে মোতায়ন করা হয়েছিল ভাটপাড়া থানার পুলিশ বাহিনীকে।

পাপ্পুর গ্রেপ্তারি মামলায় উচ্চ আদালতে যাবার চিন্তা-ভাবনা চলছে বললেন সাংসদ অর্জুন সিং

উত্তর ২৪ পরগনা: পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত শেষে বুধবার ফের পাপ্পুকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়েছিল। দুপক্ষের সওয়াল জবাব শেষে এদিন বিচারক পাপ্পুকে ৭দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এদিন আদালতে দাঁড়িয়ে সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, পাপ্পুর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পুলিশ আদালতে জমা দিতে পারেনি।

তাদের আইনি লড়াই জারি থাকবে। তাদের আইনের ওপর আস্থা আছে। মুখ্যমন্ত্রীর ওপর তাঁর আস্থা আছে। তবে ন্যায় বিচারের জন্য তিনি উচ্চ আদালতে যাবার চিন্তা-ভাবনা করছেন। অপরদিকে পাপ্পুর আইনজীবী রাকেশ সিং বলেন, ৯ দিনের পুলিশি হেফাজত চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিচারক ৭দিনের পুলিশি হেফাজত ধার্য করেছেন। রাজেশ বাবু আরও বলেন, পাপ্পুর বিরুদ্ধে পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য প্রমাণ জমা দিতে পারেনি। পরিকল্পনা মাফিক পাপ্পুকে ফাঁসানো হয়েছে তা আগামীদিনে প্রমাণ হয়ে যাবে।

পথ অবরোধে মিড ডে মিল কর্মী ইউনিয়ন

বাঁকুড়াঃ মাসিক ১৮ হাজার টাকা বেতন, সরকারী কর্মীর স্বীকৃতি, পি.এফ, বোনাস প্রদান সহ ১৩ দফা পেশাগত দাবিতে এবার পথ অবরোধে সামিল হলেন এ.আই.ইউ.টি.ইউ.সি সমর্থিত সারা বাংলা মিড ডে মিল কর্মী ইউনিয়নের সদস্যারা। বুধবার ওই সংগঠনের সদস্যারা সারেঙ্গার পিরলগাড়ি মোড়ে বিক্ষোভ মিছিলের পাশাপাশি বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কের উপর ওই জায়গাতেই পথ অবরোধ করেন। এদিনের এই অবরোধে সাময়িকভাবে যানচলাচল ব্যাহত হয়।

ওই সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, মাসিক ১৫০০ টাকা ভাতায় তাঁরা কাজ করেন। কিন্তু প্রতিনিয়ত যেভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ছে তাতে ওই সামান্য টাকায় সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় নিজেদের দাবির সমর্থণে প্রশাসনিক স্তরে আবেদন নিবেদনের পাশাপাশি রাজ্য জুড়ে আন্দোলন কর্মসূচীও তাঁরা শুরু করেছেন। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সংগঠনের তরফে আগামী কর্মসূচীর রুপরেখা তৈরী করতে আগামী ২৯ ডিসেম্বর কলকাতায় কনভেনশনের ডাক দেওয়া হয়েছে। এমনকি দাবি পূরণ না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের পাশাপাশি কর্মবিরতির পথেও তাঁরা যাবেন বলে হুঁশিয়ারী দেন।

প্রশ্ন ফাঁস রুখতে বিশেষ ব্যবস্থা, জানালেন পর্ষদ সভাপতি

বাঁকুড়াঃ 'পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নপত্র বাইরে বেরিয়ে যাওয়া ধরতে এবার মাধ্যমিকের প্রতিটি প্রশ্নপত্রে বিশেষ কোড থাকবে। প্রথম পাতার পাশাপাশি অন্যান্য পাতাতেও তা থাকবে', বাঁকুড়ায় সাংবাদিকদের এই খবর জানালেন পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার শহরের বঙ্গ বিদ্যালয়ে শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক ও স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষা সংক্রান্ত এক সভায় যোগ দিতে বাঁকুড়ায় এসেছিলেন। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি একথা বলেন।

পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন দাবি করেন, 'প্রশ্ন কখনো ফাঁস হয়না, কিছু 'দুষ্টু বাচ্ছা' প্রশ্ন পত্রের ছবি তুলে বাইরে পাঠিয়ে দেয়। এবার কে বা কারা প্রশ্নপত্র বাইরে পাঠালো তা চিহ্নিত করতেই এই কোড ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে যার কাছ থেকে প্রশ্নপত্র বাইরে যাবে চলতি বছরে তার পরীক্ষা 'বাতিল' হবে বলেও তিনি জানান।

স্বাস্থ্য, অগ্নিনির্বাপন, পরিবহন বিষয়ক ম্যাপের ব্যবস্থা এবার থাকছে বলে তিনি জানান। সেই সঙ্গে জঙ্গল লাগোয়া পরীক্ষা কেন্দ্র গুলিতে গুলিতে যাতায়াতের জন্য প্রশাসনের তরফে গাড়ির ব্যবস্থার বিষয়টিও যাতে অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহের দিন পরীক্ষার্থীরা জেনে নিতে পারে তার চেষ্টাও করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

গত বছরের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এবার 'গ্রাফ পেপার' ও ম্যাপ সমস্যার সমাধানে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও পর্ষদ সভাপতি জানান। রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আমি নিশ্চিত এবার আর ওই ধরণের সমস্যা হবেনা। প্রশ্ন যদি থাকে তবে গ্রাফ পেপার ও ম্যাপ প্রশ্নপত্রের প্যাকেটেই থাকবে বলে তিনি জানান।

গঙ্গাসাগর নিয়ে বৈঠকে মমতা

নতুন বছরে ৮-১৭ জানুয়ারি সাগরদ্বীপে আয়োজিত গঙ্গাসাগর মেলায় লাখ লাখ মানুষ পুণ্যস্নান করতে আসবেন। আর তাই সেখানে যাতে কোন নিরাপত্তার খামতি না থাকে তাঁর জন্য রাজ্য সরকার শুরু করেছে প্রস্তুতি। গঙ্গাসাগর নিয়ে বুধবার নবান্নে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন,” গঙ্গাসাগর মেলা আমাদের গর্ব। পৃথিবীর সব থেকে বড় মেলা। ৪০ লক্ষ মানুষ আসে। ১ ঘণ্টা আগে চিড়িয়াখানার সামনে থেকে এলাম। দেখলাম খুব ভিড়। কলকাতা পুলিশ কিছু মাইক্রোফোন ব্যবহার করছে।

ট্রাফিককে আরও ভাল করে দেখতে হবে। পূণ্যার্থীদের জন্য ২২৫০ তো সরকারি বাস, ৩২টি ভেসেল, ১০০ টি লঞ্চ ব্যবহার করা হবে। রেলকে অনুরোধ করব মেলার আগে ও পরে বেশি ট্রেন চালাতে। ১৩ থেকে ১৭ বেশি ট্রেন চালাতে হবে।“

পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানান,’গঙ্গাসাগরে আগত পুন্যার্থীদের জন্য থাকছে জলের ৬০ লাখ পাউচ । ৩০০ বেডের হসপিটাল থাকছে। ১০০ –এর বেশি অ্যাম্বুলেন্স রাখা হচ্ছে। এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স রাখা হচ্ছে। শোলার ঘরগুলোতে অনেক সময় আগুন লেগে যায়।‘ তবে এবার গঙ্গাসাগরে নেই রান্নার অনুমতি নেই।

ভারত বিখ্যাত নাটক "মা মুঝে টেগর বানা দে" মঞ্চস্থ হলো নদীয়ার রানাঘাটে

নদীয়া: দীর্ঘ দিনের একটা সাধ পূরন হলো রানাঘাটবাসীর। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রানাঘাট পৌরসভার প্রাঙ্গণে অভিনিত হলো ভারত বিখ্যাত নাটক "মা মুঝে টেগর বানা দে"।যার শ্রষ্ঠা লাকী জী গুপ্তা।

রানাঘাট শহরের সমস্ত থিয়েটার কর্মী ও সাধারণ মানুষ জড়ো হয়েছিলেন পৌর প্রাঙ্গণে। রানাঘাটের স্থানীয় বাসিন্দারা আজ আবেগ ধরে রাখতে পারেন নি।মানুষের বাধ ভাঙা উচ্ছাস ছিল চোখে পরার মতো। এই প্রসঙ্গে কি জানালেন আমাদের তা শোনাবো আপনাদের।

বড় ডান্স ফ্লোরে চান্স পাওয়াই একমাত্র স্বপ্ন ঘুগনি বিক্রেতা সনতের

নদীয়া: স্বপ্ন সবাই দেখে কিন্তু স্বপ্ন পূরণ করা কঠিন ,কেউ পারে কেউ হাল ছেড়ে দেয়,,,এমনি এক স্বপ্ন পূরণ করতে নিজের জীবনে বড়ো চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে চলেছে, নদীয়ার হরিণঘাটা ব্লকের মাহাতো পাড়ার ২৭বছরের যুবক সনৎ সরকার। তার স্বপ্ন বড়ো শিল্পী হয়ে উঠবে একদিন বড়ো মঞ্চে অনুষ্ঠান করবে।

ছেলে বেলা থেকেই দ্ররিদ্রতার ছায়ায় বড়ো হয়েছে, কোন রকম উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছে। টালির চালায় টিনের বেড়া তার মধ্যে বসবাস, পরিবারের সদস্য বলতে বাবা,মা স্ত্রী ও এক সন্তান। তাদের মুখে দু মুঠো অন্ন তুলে দিতে পাড়ায় পাড়ায় ঘুগনি বিক্রি করে কোন রকম দিন কাটায় সনৎ ।তার ফাঁকে বাড়িতে নাচের অনুশীলন করে।

তার স্বপ্ন অনেক বড়ো শিল্পী হওয়া,স্বামি স্ত্রী দুজনেই বাড়িতে প্যাকটিস করছে ড্যান্স ।এলাকায় ছোটবড় প্রোগ্রামে ডাক পায় কিন্তু তার স্বপ্ন একদিন বড়ো শিল্পী হয়ে ওঠা। প্রতিষ্ঠিত বহু শিল্পী অনেক কষ্ট করে বড়ো হয়েছে,এখন দেখার হরিন ঘাটার ঘুগনি বিক্রি করা সনৎ কবে হয়ে ওঠে বড়ো শিল্পী।কর্ম পরিশ্রম ও প্রচেষ্টা থাকলে বড়ো হওয়া যায়।

নদীয়ার শ্রীধাম শান্তিপুরের বাবলা গোবিন্দপুর শ্রীশ্রী রাধা মাধব জিউ মন্দিরের ৩০ তম মঙ্গল বিজয় মহোৎসবের সূচনা

নদীয়া:ধর্মপ্রাণ নদীয়ার মন্দির নগরী শান্তিপুরের অন্যতম মন্দির শ্রী শ্রী রাধা মাধব জিউ যা স্থানীয়ভাবে শ্রী গোপাল কুঞ্জ নামে পরিচিত। বিগত বছর গুলির মতন এ বছরও তাদের শীতকালীন বাৎসরিক বিজয় মহোৎসব শুরু হয়েছে গতকাল নগর পরিক্রমার মধ্য দিয়ে। চলবে আগামী ১২ই পৌষ ২৯ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত। রামায়ণ গান পরিবেশন, শ্রী ভাগবত পাঠ, গৌর লীলা কীর্তন, হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র নাম যজ্ঞ, অষ্টপ্রহর সন্ধ্যা আরতি নৃত্যানন্দ ভোগ আরাধনা দধিভান্ড ভঞ্জন কুঞ্জ ভঙ্গ এভাবেই এ কদিন নিয়মিত সর্বক্ষণের জন্য চলবে নানান ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান।

উৎসব কমিটির সম্পাদ শ্রী জয়ন্ত চৌধুরী গোবিন্দ দাস জানান, উৎসব কমিটির অন্যতম সদস্য অনন্ত নাথ ও অদ্বৈত বিশ্বাসের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে এ বছর তাদের বাৎসরিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন এলাকার সকল ধর্মপ্রাণ মানুষজন। এই উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত এমনকি রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকেও ভক্তবৃন্দদের সমাগম ঘটেছে।

কলকাতার শ্রীকৃষ্ণ পাল, দিগনগরের নদিয়া বিহারী সম্প্রদায়, রাধা মাধব সম্প্রদায়, কালিরহাটের শ্রী গুরু সেবা-দাসী সম্প্রদায়, বেতনার শ্রী অদ্বৈত সম্প্রদায়, পাঁচপোতার ব্রজ বালিকা সম্প্রদায়, শ্রী শ্রী মহানাম সংকীর্তন এর অংশ গ্রহণ করতে চলেছেন। লীলা কীর্তন এ অংশগ্রহণ করতে চলেছেন শ্রী দুর্বল বিশ্বাস শ্রী হরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস শ্রীচৈতন্য মহন্ত শ্রী শান্তিময় ঘোষ সহ আরো খ্যাতনামা ভক্ত শিল্পীরা। শুধু ধর্ম নয় পরিবেশ রক্ষার জন্য শান্তিপুরের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণে থাকছে বিশেষ আলোচনা সভা।

দুয়ারে ফাঁকা! ভিড় শূন্য পরিষেবা কেন্দ্র পরিদর্শনে এলেন বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী

নদীয়া;রাজ্যের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের পরিষেবা দিতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। দুয়ারে সরকারের কর্মসূচিতে উপকৃত হয়েছেন বহু মানুষ , লক্ষীর ভান্ডার থেকে শুরু করে বার্ধক্য ভাতা সহ একাধিক প্রকল্পে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী বিভিন্ন পঞ্চায়েত থেকে পৌরসভা এলাকায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আবেদন জমা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু দুয়ারের সরকার কর্মসূচি গ্রহণ করলেও দেখা নেই মানুষের, কারণ ইতিমধ্যে সাতবার আয়োজিত দুয়ারী সরকার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তাই সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের আওতায় চলে এসেছেন অধিকাংশ মানুষই । কিন্তু পাশাপাশি একটা সমস্যার কথাও উঠে আসছে , জানা যায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বেশ কয়েকবার কাগজ জমা করলেও পরিষেবা থেকে বঞ্চিত " এ বিষয়ে বেলঘড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃত্তিবাস স্কুলে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে পরিদর্শনে এসে শান্তিপুর বিধানসভার বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী এমনটাই জানালেন আমাদের ।

তিনি বলেন বিভিন্ন পঞ্চায়েত সদস্য সমিতির মেম্বার জেলা পরিষদের সদস্যরা প্রতিনিয়ত নিয়মিত পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছে ঘরে ঘরে। আর তার ফলেই একান্তই কাগজপত্র ত্রুটি সংক্রান্ত কোনো সমস্যা থাকলে তবেই মানুষজন আসছেন দুয়ারে সরকারে। তাই ভিড় কম। তবে কাউন্টার নিয়মিত সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত খোলা থাকছে। কাগজপত্র সংক্রান্ত সমস্যা থাকলেও তা মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে বি ডিও কিংবা বিধায়কের হস্তক্ষেপে।