লোকসভার শীতকালীন অধিবেশন থেকে ২ বিরোধী সাংসদ সাসপেন্ড

শীতকালীন অধিবেশনে ফের সাসপেন্ড করা হল দুই জন সাংসদকে। অসদাচরণের অভিযোগে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে আরও দুই বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করল লোকসভার স্পিকার । দুই সদস্য থমাস চাঝিকাদান ও এএম আরিফ কেরালার বাসিন্দা। চাঝিকাদান কেরালা কংগ্রেস (মণি) এবং এএম আরিফ সিপিএমের সদস্য। শীতকালীন অধিবেশন শেষ হবে ২২ ডিসেম্বর শুক্রবার। তারআগেই মোট ১৪৩ জন সাংসদ লোকসভা থেকে সাসপেন্ড হলেন। এর মধ্যে লোকসভার সাংসদ ৯৭ জন।

গত ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া শীতকালীন অধিবেশনে ১৪ ডিসেম্বর ১৪ জন, সোমবার ৭৮ জন, মঙ্গলবার ৪৯ জন এবং আজ আরও দু'জন সংসদ সদস্যকে সাসপেন্ড করা হয়। গত ১৩ ডিসেম্বর লোকসভার নিরাপত্তা এড়িয়ে ২ জন অধিবেশন চলাকালীন সময় ঢুকে পড়ে। তাঁরা ক্যানিস্টার থেকে রঙিন ধোঁয়া বের করে লোকসভার মধ্যে। আর নিয়েই শুরু হয় তরজা । এরপর থেকেই সংসদের দুটি কক্ষে চলে লাগাতার বিরোধীদের বিক্ষোভ।তাদের দাবি, সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘন নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সংসদে ভাষণ দিতে হবে। সেই দাবির জেরেই একের পর এক সাংসদ লোকসভা এবং রাজ্য সভা থেকে সাসপেন্ড হচ্ছেন।

SSKM এর বিরুদ্ধে জোড়া জনস্বার্থ মামলা

এবার এসএসকেএম হাসপাতালের বিরুদ্ধে জোড়া জনস্বার্থ মামলা। বিভিন্ন দুর্নীতিতে যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে এই এসএসকেএম হাসপাতাল, অভিযোগ মামলায়। এই সমস্ত ব্যক্তিদের জন্য হাসপাতালে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে, উঠল অভিযোগ।

সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের চিকিৎসা কেন এসএসকেএম হাসপাতালে হবে আর কেন জোকা ইএসআই হাসপাতালে হবে না, এই প্রশ্ন তুলে মামলা। আগামী সপ্তাহে মামলার শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।

*স্বাস্থ্য সাথী নয়,ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভালো চিকিৎসা পরিষেবার দাবি গ্রামীণ চিকিৎসকদের*

মহিষাদল: বাংলার সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প চালু করা হয়েছে। সেই প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ভালো স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়ার ঘোষনা রাজ্য সরকার করলেও ঠিকঠাক সেই পরিষেবা সাধারণ মানুষ পাচ্ছে না। এমনই ভুরি ভুরি অভিযোগ সামনে আসছে। রাজ্য সরকার প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা খরচ করলেও সাধারণ মানুষ ঠিকঠাক পরিষেবা পাচ্ছে না। তাই স্বাস্থ্য সাথীর পরিষেবা নয় ব্লক স্তরে ভালো স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা করার আবেদন গ্রামীণ চিকিৎসক সংগঠনের।

বুধবার মহিষাদল রবীন্দ্র পাঠাগারে প্রোগ্রেসিভ মেডিক্যাল প্র‍্যাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে ষষ্ঠী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে রাজ্য, জেলা ও ব্লকের গ্রামীণ চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা, প্রাক্তন সাংসদ, হেলথ স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য চিকিৎসক তরুন মন্ডল, সংগঠনের জেলা সম্পাদক রামচন্দ্র সাঁতরা, মহিষাদল ব্লক ইউনিটের সভাপতি নীলকন্ঠ মাইতি, সম্পাদক শংকর দোলাই সহ অন্যান্যরা।

এদিন সংগঠনের জেলা সম্পাদক রামচন্দ্র সাঁতরা জানান, ১৯৮২ সাল থেকে এই সংগঠনের প্রতিনিধি প্রান্তিক এলাকার মানুষদের রাতে ভিতে চিকিসা পরিষেবা প্রদান করে চলেছে। তাদের সঠিক প্রশিক্ষণ ও সঠিক তালিকা তৈরি জন্য ২০১৫ সালে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিলাম। তালিকা তৈরি করা হলেও তা সঠিক ভাবে করা হয়নি পাশাপাশি সঠিক স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়নি। আমরা চাই যারা এই ধরনের চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে চলেছে গ্রামীণ এলাকায় তাদের প্রশিক্ষন দিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবার সাথে যুক্ত করা হোক। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা খরচ না করে ব্লকে ব্লকে উন্নতমানের চিকিৎসা পরিষেবা সাধারণ মানুষের জন্য করা হোক।

বর্তমান সময়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যে জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে তাতে করে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উচিত গ্রামীণ চিকিৎসার সাথে মানুষজনদের প্রশিক্ষন দিয়ে তাদের স্বাস্থ্য পরিষেবার সাথে যুক্ত করা।তবেই বাংলায় স্বাস্থ্য পরিষেবার পরিবর্তন ঘটতে পারে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে না দিয়ে সরকারিভাবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর জোর দেওয়া হোক।

আবারও ভেজাল ঘি উদ্ধার শান্তিপুরে, ফুলিয়া বুইচা থেকে 350 কেজি ঘি সহ গ্রেফতার 2 ঘি ব্যবসায়ী

নদীয়া:আবারও ভেজাল ঘি উদ্ধার ফুলিয়ায়। এবার 300 কেজি ভেজাল ঘি সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করলো শান্তিপুর থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেলে শান্তিপুর থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায় ফুলিয়া এলাকায় নকল ঘি তৈরি করে বিক্রি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।

আর এর পরই শান্তিপুর পুলিশ ফুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফুলিয়া বুইচা এলাকার একটি ঘি কারখানায় হানা দিয়ে 300 কেজি নকল ঘি বাজেয়াপ্ত করে। ঘটনায় স্বপন ঘোষ ও সুব্রত পাল নামের দুই ঘি ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে শান্তিপুর থানা। বুধবার ধৃতদের রানাঘাট আদালতে পাঠিয়েছে শান্তিপুর পুলিশ।

*রবিনসন স্ট্রিটের ঘটনার ছায়া এবার তমলুকে, মারা যাওয়ার পরেও ঘর বন্ধ রেখে মৃত বাবার পাশে শুয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে।*

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার তাম্রলিপ্ত পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে পদুমবসান এলাকায় এক বাড়িতে থাকতেন ভোলানাথ দে নামে ৮০ বছরের বৃদ্ধ(কৃষি দপ্তরের প্রাক্তন কর্মী) ও তার মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলা মান্তু দে বয়স ৩৫। গত মঙ্গলবার থেকে ওই মহিলা ভেতর থেকে দরজা বন্ধ রাখায় বাড়িতে আশা কাজের মহিলা ভেতরে ঢুকতে পারেনি।

প্রতিদিন বারবার দরজা ধাক্কা দিয়ে ও চিৎকার করে ডাকার পরেও ভেতর থেকে দরজা খোলেনি ওই মহিলা। এরপর প্রতিবেশীরা খবর দেয় স্থানীয় কাউন্সিলরকে এবং খবর দেওয়া হয় তমলুক থানায়। বুধবার সকালে তমলুক থানার পুলিশ এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে দেখা যায় ওই মহিলা তার বাবাকে ধরে শুয়ে থাকে। দীর্ঘদিন না খাওয়ার ফলে ওই বয়স্ক বৃদ্ধ মারা যায় এবং ওই মহিলা শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে।

তমলুক থানার পুলিশ উদ্ধার করে মৃতদেহকে ময়নাতদন্তের জন্য এবং তাঁর মেয়ে কে তাম্রলিপ্ত গভমেন্ট মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে চিকিৎসার জন্য। ঘটনার খবর দেওয়া হয় মৃত বৃদ্ধের স্ত্রী ও ছোট মেয়েকে। তবে দীর্ঘদিন বাড়ির দরজা বন্ধ থাকার পরেও মৃত বৃদ্ধর স্ত্রী ও ছোট মেয়ে কেন কোন খোঁজখবর নেননি তাঁদের সেই প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যাচ্ছে।

কাজের দাবিতে আন্দোলনে আপদ মিত্ররা

বাঁকুড়াঃ 'কাজ চাই কাজ দাও, নইলে মোদের বিষদাও' স্লোগান তুলে বাঁকুড়া জেলা শাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভে সামিল হলেন 'ওয়েস্ট বেঙ্গল ডিজাস্টার ম্যানেজম্যান্ট এণ্ড আপদ মিত্র একতা মঞ্চের সদস্যরা। বুধবার ওই সংগঠনের সদস্যরা প্ল্যাকার্ড ফেস্টুন হাতে 'অবিলম্বে সরকারী যেকোন দপ্তরে কাজের সুযোগ দেওয়া' ও 'কীট' দেওয়ার দাবি জানিয়ে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান।

ওয়েস্ট বেঙ্গল ডিজাস্টার ম্যানেজম্যান্ট এণ্ড আপদ মিত্র একতা মঞ্চ, বাঁকুড়া জেলা কমিটির তরফে বলা হয়েছে, গত ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে প্রশিক্ষণ শেষ হয়। তারপর এক বছর কেটে গেলেও কেউ কাজের সুযোগ পায়নি। একাধিকবার পূর্বতন জেলাশাসক থেকে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে দরবার করলেও কাজ হয়নি। এই অবস্থায় তাঁরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান।

এদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচী অংশ নেওয়া ওয়েস্ট বেঙ্গল ডিজাস্টার ম্যানেজম্যান্ট এণ্ড আপদ মিত্র একতা মঞ্চে জেলা সম্পাদক উত্তম গিরি, সদস্যা ডালিয়া ব্যানার্জীরা বলেন, বাঁকুড়া জেলায় ৩০০ জনকে আপদমিত্র প্রকল্পে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু প্রশিক্ষণ শেষে এক বছর পরেও কোন কাজের সুযোগ নেই। পার্শ্ববর্ত্তী জেলা গুলিতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরা কাজ পাচ্ছেন। এই অবস্থায় দাবি পূরণ না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলে জানান

বেআইনি ভাবে ভারতে প্রবেশ করার সময় হাসখালির কাঁকড়াঝোড় থেকে BSF এর হাতে গ্রেফতার ১ বাংলাদেশী

নদীয়া:বাংলাদেশ থেকে বেআইনি ভাবে ভারতে প্রবেশ করার সময় BSF এর হাতে গ্রেফতার এক বাংলাদেশি ব্যক্তিকে বুধবার আনুমানিক 1 30 নাগাদ রানাঘাট আদালতে তুললো হাসখালি থানার পুলিশ।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে হাসখালি থানার কাঁকড়াঝোড় এলাকায় টহল দেওয়ার সময় BSF জওয়ানরা খেয়াল করেন বাংলাদেশের দিক থেকে এক ব্যক্তি ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে। আর এর পরই BSF কর্মীরা ওই ব্যক্তিকে আটক করে।

বাংলাদেশের ট্যাংরাখাল এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি তার ভারতে প্রবেশের কোনো বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি। আর এর পরই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে হাসখালি পুলিশ এর হাতে তুলে দেয় BSF। বুধবার ধৃতকে রানাঘাট আদালতে তুলেছে হাসখালি থানার পুলিশ।

কেন্দ্রের টাকা নষ্ট করেছে রাজ্য সরকার: শুভেন্দু

নবান্নে আজ নেই মুখ্যমন্ত্রী কারণ তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বঞ্চনা ইস্যুতে কথা বলতে দিল্লি গিয়েছেন। সেই ফাঁকেই নবান্নে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের খতিয়ান নিয়ে প্রবেশ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর বাইরে বেরিয়ে এসে সেই সম্পর্কে কথা বললেন শুভেন্দু নিজেই। বলেন যে জানিয়ে তিনি আসেননি কারণ এর আগে একাধিকবার নবান্নে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন তাঁরা কিন্তু কোনোবারই অনুমতি দেওয়া হয়নি।

দাবি করেন, কেন্দ্রের টাকা নষ্ট করেছে রাজ্য সরকার। বাংলার জনগণকে বঞ্চিত করছে রাজ্য সরকার। বিজেপির সমর্থক হলে বিভিন্ন প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করা হয়। প্রশাসনিক সভায় বিজেপি বিধায়কদের নাকি ডাকা হয় না। দিল্লিতে নাটক করতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা, নিশানা শুভেন্দুর। অর্থাৎ বঞ্চনার পাল্টা বঞ্চনার জবাব দিলেন বিজেপি নেতা।

আচমকাই নবান্নে শুভেন্দু

বিধানসভা থেকে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষ করে সোজা নবান্নের ভেতর পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এবং বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। গাড়ি নিয়ে তিনি এই মুহূর্তে নবান্নের ভেতর রয়েছে এবং তাঁর সঙ্গে রয়েছেন আরো কিছু বিধায়ক।

কার সঙ্গে বৈঠক করছেন অথবা কেন দেখা করছেন কিংবা কী পদক্ষেপ তিনি গ্রহণ করতে চলেছেন সে বিষয়ে এখনই কিছু খোলসা করতে চাননি বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন যে নবান্ন থেকে বেরিয়ে এসে তিনি নিজেই সব কিছু জানাবেন। এদিকে এখন দিল্লিতে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান! ধর্মের সাথে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের শান্তিপুর পেলো স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংক

নদীয়া : ধর্মপ্রাণ নদীয়ার মন্দির নগরী শান্তিপুর। শিক্ষায় দীক্ষায় বহু প্রাচীনকাল থেকেই বিশ্বের দরবারে প্রশংসিত ভাঙ্গারাস তাঁত শাড়ি সহ আরো বেশ কিছু বিষয়ে জনপ্রিয়। তবে স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ের পর থেকে বহু প্রাচীন শহর সেই অর্থে যোগাযোগ কিংবা পরিকাঠামো খুব বেশি উন্নয়ন লক্ষ্য করা যায়নি এযাবৎকাল। সম্প্রতি গতবছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শান্তিপুরে এসে হেরিটেজ ঘোষণার পর থেকে জেলা প্রশাসন জেলা পরিষদ মহকুমা শাসক ব্লক অফিস পুরসভা বিধায়কের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে পর্যটন সংক্রান্ত শহর সাজিয়ে তোলার এবং যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে নানান পরিকল্পনা।

তবে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রূপদানের পরিকল্পনা অবশ্য ধারাবাহিকতা । তবে এর পেছনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামীর আবেদনের কথা সকলের জানা। তবে এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের জোরালো আবেদনও অস্বীকার করা যায় না ।

তবে নদিয়া জেলা ব্যাপী সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের মত অনুযায়ী শান্তিপুরে রক্তদান শিবিরের সংখ্যা জেলার মধ্যে অন্যতম। প্রায় সারা বছরই সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এমনকি সচেতন নাগরিকরা পরিবার সদস্যদের জন্মদিন বিবাহ কিংবা যেকোনো শুভ অনুষ্ঠান অথবা পরিবার সদস্যর মৃত্যুর স্মৃতি হিসেবে রক্তদানের অনুষ্ঠান করিয়ে থাকেন মাঝেমধ্যেই। সেক্ষেত্রে কাছাকাছি বলতে নবদ্বীপ অথবা কৃষ্ণনগর ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্ত সংগ্রহ দলকে আসতে হয় শান্তিপুরে। আবার শান্তিপুরের মানুষের রক্তের প্রয়োজনে ছুটে যেতে হয় সেখানেই। তবে এবার সে দুর্ভোগের পরিসমাপ্তি ঘটলো।

শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ব্লাড কালেকশন ইউনিট চালুর জন্য পুরাতন একটি ভবন সংস্কার এবং নতুন র্নির্মাণকার্যের কাজ শুরু হল আজ থেকে। শুভ সূচনায় উপস্থিত ছিলেন, শান্তিপুরের বিধায়ক তথা শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল এবং রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ব্রজ কিশোর গোস্বামীগোস্বামী, হাসপাতাল সুপারিন্টেন্ট ডক্টর তারক বর্মন সহ হাসপাতালে বিভিন্ন আধিকারিকগণ।

সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায় নদীয়া জেলার মধ্যে মহকুমা হাসপাতাল হিসেবে রানাঘাট জেলা সদর হিসেবে কৃষ্ণনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল হিসাবে তেহটটো এবং নবদ্বীপে এই ব্লাড ব্যাংক থাকলেও বিগত বেশ কয়েক বছরের মধ্যে শান্তিপুরে এই প্রথম অনুমোদন।

তবে তিনটি পর্যায়ের মধ্য দিয়ে সম্পূর্ণ কাজ শেষ হতে প্রায় লেগে যেতে পারে এক বছর। নির্মাণকার্যের জন্য ব্যয় বরাদ্দ ৬০ লক্ষ টাকার কাজ শুরু হল আজ থেকে এরপর বিদ্যুৎ তারপর বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং উন্নত যন্ত্রপাতি এবং উপকরণ এভাবেই পর্যায়ক্রমে চলবে বেশ কয়েকটি ধাপ। তবে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের অধীনস্থ হলেও বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। এই জন্য আসবেন বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মী ডাক্তারও। তবে শুধু ব্লাড ব্যাংক নয় একই সাথে সদ্যজাত শিশুদের দশটি এসএনসিইউ বেডের পরিকাঠামো এবং লেবার রুম এক্সটেনশন।

হাসপাতাল সুপার ডক্টর তারক বর্মন বলেন, এর আগেও এস এনসি ইউ একটি বেড এবং ব্লাড স্টোরেজ ইউনিট হিসেবে অন্য ব্লাড ব্যাংক থেকে অল্প সংখ্যক ব্লাড প্যাকেট রেডি রাখা হতো অপারেশনের প্রয়োজন ভিত্তিক। তবে এবার শিশুদের এস এন সি ইউ দশটি বেড এবং সম্পূর্ণ পরিকাঠামগতভাবে ব্লাড ব্যাংক চালু হলে উপকৃত হবে বহু মানুষ।

অনেকেই তাদের প্রয়োজন মতন রক্ত দিয়ে যেতে পারবেন হাসপাতালে এসেই, অন্যদিকে রক্ত গ্রহীতা তাদের পরিবার সদস্যদের যেকোনো এক ইউনিট রক্তের বদলে পেয়ে যাবেন তার প্রয়োজন ভিত্তিক গ্রুপের রক্ত। রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী বলেন, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল বলতে বোঝায় সমস্ত বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকা,পরিকাঠামগত উন্নয়ন এবং পরিষেবা যা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। তবে সমগ্র প্রক্রিয়া সমস্ত হতে লাগবে বেশ কিছু সময়।

রক্তদানের শিবির হিসাবে শান্তিপুরের বিপুল সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং সমাজের সকল স্তরের শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন রক্তদাতাদের শুভেচ্ছা জানান তিনি। জানান এখন থেকে তাদের আর কষ্ট করতে হবে না শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় সংগৃহীত হবে যেকোনো রক্তদানের আয়োজন। তবে শুধু শান্তিপুর নয় ব্লাড ব্যাংকের ওপর অধিকার আশেপাশের বিভিন্ন জেলারও। রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী বিভিন্ন ব্লাড ব্যাংক প্রয়োজন ভিত্তিক আদান প্রদান চলতে থাকবে।