শুভেন্দু অধিকারীর কনভয় দেখে ১০০ দিনের কাজের টাকা দাবি চা শ্রমিকদের প্রতিবাদ বিক্ষোভ






এসবি নিউজ ব্যুরো: জলপাইগুড়ির ডুয়ার্সের চা বলয়ে চা শ্রমিকদের সভায় আসার পথে চা শ্রমিকদের দাবির মুখে পড়লেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়। শুভেন্দু অধিকারীর কনভয় লক্ষ্য করে চা বাগানের শ্রমিকরা ১০০ দিনের কাজের টাকা দাবি করলেন। শনিবার ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের চালসায় চা শ্রমিকদের সভায় যোগদানের জন্য আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিকে সভা শুরুর আগেই ১৭ নং জাতীয় সড়কের পাশে সোনগাছি চা বাগান মোড়ে চা বাগানের শতাধিক শ্রমিক ১০০ দিনের জবকার্ড হাতে নিয়ে দাড়িয়ে পড়েন। জবকার্ড হাতে নিয়ে ১০০ দিনের কাজের টাকা পাওয়ার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। চা বাগানের শ্রমিকদের দাবি প্রায় দুই বছর ধরে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ রয়েছে ।পাশাপাশি ,যা কাজ হয়েছে তারও টাকা পাননি তারা। সেই কারণে তারা বিরোধী দলনেতার কনভয় লক্ষ্য করে ১০০ দিনের কাজের টাকার দাবি জানালেন। তবে দ্রুতগতিতে সভাস্থলের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে যায় শুভেন্দুর কনভয়।

ললিত ঝাঁকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য শুভেন্দুর

আজ ডুয়ার্সে সভা রয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তাঁর আগে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছালেন শুভেন্দু। আর সেখান থেকেই ললিত ঝাঁ প্রসঙ্গ টেনে এনে তৃণমূলকে একহাত নিলেন তিনি।

এদিন বিমানবন্দর থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ললিত ঝাঁ-র শুধু একটি ছবি নেই তৃণমূল নেতাদের সাথে। টিএমসি নেতা, বিধায়ক, কাউন্সিলরদের সাথে অনেক ছবি এবং ভিডিও রয়েছে তাঁর। তিনি টিএমসি যুব শাখার পরিচিত মুখ। আমি যখন তৃণমূলের যুব সভাপতি ছিলাম, ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার ভাগ্নেকে দিল্লি থেকে নিয়ে এসেছিলেন।

তার পরে, যুব তৃণমূল গঠিত হয়েছিল। ললিত ঝাঁ ছিলেন যুব তৃণমূলের নেতা। তিনি এখনও তৃণমূলের সাথেই রয়েছেন”। এর সাথেই শুভেন্দু উল্লেখ করেন এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য তিনি দিল্লি পুলিশের হাতে তুলে দেবেন। তাতেই প্রমাণ হয়ে যাবে সবটা।

নদীতীর ভাঙন প্রতিরোধে প্রকল্পের শিলান্যাস কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রীর

নদীয়া:নদিয়া জেলার কল্যাণী ব্লকের সরাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীপুর ঘাটে হুগলি নদীর তীরে ভাঙন প্রতিরোধের শিলান্যাস করলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। শনিবার এই শিলান্যাস অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চাকদার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ ও বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল।

শিলান্যাস শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জাহাজ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্যোগী হয়েছেন হুগলি নদী সংস্কারের। এরাজ্যে হলদিয়া থেকে ফারাক্কা অবধি প্রায় ৭০০ কোটি টাকার প্রকল্প বরাদ্দ হয়েছে পলিমাটি কাটার। কল্যাণীর এই ভাঙন প্রতিরোধে বরাদ্দ ১৩ কোটি টাকা।

এই পুরো প্রকল্পের কাজের টেন্ডার হয়ে গেছে। সাকশন পদ্ধতিতে এই কাজ হবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর তিনি বলেন, নদীতীরের মাটি চুরির ঘটনার অভিযোগ পেলেও প্রমাণ পাইনি। আপনারা প্রমাণ দিলে ব্যবস্থা নেবো। নদীর বালি চুরি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এতে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের হাত রয়েছে।

*দুয়ারে সরকার ক্যাম্প পরিদর্শনে প্রশাসনের কর্তারা*

মহিষাদল: অষ্টম দফা দুয়ারে সরকার শুরু হয়েছে ১৫ ই ডিসেম্বর থেকে চলবে আগামী ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার গ্রাম পঞ্চায়েত গ্রাম পঞ্চায়েতে চলছে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প। সেই ক্যাম্প থেকে এলাকার মানুষ তাদের সরকারি সুযোগ সুবিধে গুলি গ্রহন করেছে।

অষ্টম দফা দুয়ারে সরকারের দ্বিতীয় দিনে ক্যাম্প পরিদর্শন করেনে প্রশাসনিক কর্তারা। এদিন মহিষাদল ব্লকের লক্ষ্যা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের দুয়ারে সরকার ক্যাম্প পরিদর্শন করেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক ( জেলা পরিষদ) অনির্বাণ কোলে, সেই সাথে উপস্থিত মহিষাদলের বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তী, বিডিও বরুনাশীষ সরকার, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিউলি দাস, জেলা পরিষদের সদস্যা- সীমা মাইতি, লক্ষ্যা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুদর্শন মাইতি সহ অন্যান্য।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ২০২১ সালে নির্বাচনের আগে ঘোষনা করেছিলেন তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলে সাধারণ মানুষকে সরকারের কাছে যেতে হবে না সরকার সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাবে। সেই মতো দুয়ারে সরকার কর্মসূচি গ্রহন করে সাধারণ মানুষকে সরকারি পরিষেবা প্রদান করে চলেছে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন সেই নির্বাচনের আগে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা প্রদান খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।

এদিন প্রশাসনিক কর্তারা ক্যাম্পে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের তৈরি জিনিসপত্র খতিয়ে দেখেন।ক্যাম্পে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পেয়ে খুশি এলাকার মানুষ।

২৪ জানুয়ারি জাতীয় ভোটার দিবস পালনের আগে নতুন ভোটারদের নিয়ে সম্প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতা নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে

নদীয়া :ভারতবর্ষ পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ। এই দেশে গণতান্ত্রিক হারে নির্বাচনী প্রক্রিয়া চালানো যথেষ্ট কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তবে সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করে প্রত্যেক বারেই নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। তবে সব জায়গায় যে স্বাভাবিক ও সুস্থ ভাবেই নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় তা অবশ্য প্রশ্ন সাপেক্ষ। তবে সমস্ত রকম ঝামেলা ঝঞ্ঝাট কাটিয়ে নির্বাচন কমিশন সম্পন্ন করেন ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া।

কিভাবে পরিচালন করা হয় এই ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া এবং ভোটদানের প্রক্রিয়া সম্পর্কেও প্রাপ্তবয়স্কদের মোটামুটি সকলেরই জানা, তবে প্রত্যেক বছরেই যেসব কিশোর কিশোরীরা ১৮ বছর সম্পূর্ণ করে তাদের নাম ভোটের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। লোকসভা ভোট আসন্ন। এবছরও ১৮ বছর সম্পূর্ণ হওয়া একাধিক কিশোর কিশোরীদের নাম নথিভুক্ত করা হবে ভোটের তালিকায়। এই সমস্ত বেশিরভাগ কিশোর কিশোরীদের ভোট দান এবং ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ার সম্পর্কে অনেক কিছুই থাকে অজানা।

আর সেই কারণেই এখন নির্বাচনী আধিকারিক, পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২৪ জানুয়ারি পালন করা হয় জাতীয় ভোটার দিবস। আর সেই দিবস উদযাপন করার আগেই ১৮ বছর বয়সী নতুন ভোটারদের নিয়ে নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ খেলার মাঠে আয়োজন করা হয় বিভিন্ন সম্প্রীতি ম্যাচ এবং একাধিক শিল্পকলার প্রতিযোগিতা।

জাতীয় ভোটার দিবস পালন করার আগে নতুন ভোটারদের নিয়ে তারই প্রস্তুতিপর্ব চলছে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে। বেশকিছু কুইজ প্রতিযোগিতা অঙ্কন প্রতিযোগিতা ও প্রবন্ধ লেখার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এই অনুষ্ঠান চালানো হয়। এছাড়াও থাকে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ফুটবল ম্যাচ। নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ অজয় স্মৃতি অ্যাথলেটিক ক্লাব চন্দননগর ব্রহ্ম ডাঙ্গা ক্লাবের বন্ধুত্বপূর্ণ ফুটবল ম্যাচের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। খেলা শেষে বিজয়ী ব্রহ্ম ডাঙ্গা ক্লাব ও অজয় স্মৃতি ক্লাবকে কৃষ্ণগঞ্জ এর বিডিও সৌগত সাহা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কাকলি দাস পুরস্কার তুলে দেন। যদিও বিজয়ী ক্লাব জেলা প্রতিযোগিতা তে অংশগ্রহণ করবে বলে জানা যায়।

জাতীয় ভোটার দিবস পালন এবং তার আগে এই সমস্ত প্রস্তুতি পর্বে নতুন ভোটারদের ভোট গ্রহণ এবং নিজের ভোট দান সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান প্রাপ্ত হবে এমনটাই মনে করছেন অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা।

অনলাইনে সরকারি ওয়েবসাইটে সার্ভারের গন্ডগোল বেশিরভাগ সময়ে লিংক না থাকার কারণে ধান বিক্রিতে অসুবিধা কৃষকদের

নদীয়া: অনলাইনে সরকারি ওয়েবসাইটে সার্ভারের গন্ডগোল বেশিরভাগ সময়ে লিংক না থাকার কারণে ধান বিক্রিতে অসুবিধা কৃষকদের। সূত্র মারফত জানা যায় খাদ্য ও সরবরাহ দফতর থেকে গত ১ নভেম্বর ২০২৩ থেকে ২০২৩ - ২৪ এর মরশুমের ধান কেনা শুরু হয়েছে। এই সমস্ত ধান গুলি মূলত প্রাথমিক কৃষি সমবায় সমিতি, প্রাথমিক কৃষি বিপণন সমিতি, স্ব-নির্ভর গোষ্ঠী, এফ পি ও/ এফ্ পি সি, ল্যাম্পস বিভাগ গুলি কিনছে। এই সমস্ত ধানের মূল্য সরাসরি চলে যাবে কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে। ফলে লোকাল বাজারে বিক্রি করার চেয়ে তুলনামূলক বেশি লাভবান হবেন ধান চাষীরা। তবে এর মাঝেই শুরু হল বিপত্তি।

কৃষকদের ধান উৎপাদন করা হয়ে যাওয়ার পর সেই সমস্ত ধান সরকারি আওতায় এনে বিক্রি করতে হলে তাদের সরকারি ওয়েবসাইটে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করাতে হবে।

বেশকিছু ধান চাষীদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে সেই ওয়েবসাইটের পোর্টালে সার্ভারের গন্ডগোল থাকায় বেশিরভাগ সময়ই লিংক থাকছে না। এবং সেই কারণেই ধান বিক্রয় করার জন্য নিজেদের নাম অনলাইনে নথিভুক্ত করাতে বিলম্ব হচ্ছে বেশ কয়েকদিন।

শংকর হালদার নামে এক ধান চাষী আমাদের জানান, "গত ১৬-১৭ দিন ধরে সার্ভার ডাউন রয়েছে। আমি তিন দিন এসে অফিসে ঘুরে গেলেও আশানুরূপ কোনও সুরাহা মেলেনি। একদিন নটা থেকে বারোটা পর্যন্ত ছিলাম তাতেও কোনও ফল মেলেনি। লিংকের প্রবলেমের জন্য ধান বিক্রি করা যাচ্ছে না।

সরকারি আওতায় নিজেদের কষ্ট করে উপার্জিত ধান চাষীরা বিক্রি করে স্থানীয় বাজারের থেকে কিছুটা হলেও বেশি মুনাফা অর্জন করবেন বলে সেই আশা থাকলেও মূলত ওয়েবসাইটের গন্ডগোল থাকায় নাম নথিভুক্ত করতে বেশ কয়েকদিন বিলম্ব হওয়ায় কার্যত দুশ্চিন্তায় রয়েছেন চাষীরা।

রাস্তা পারাপার করা বৃদ্ধকে বাঁচাতে গিয়ে মোটর সাইকেলের সাথে অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষ দুজন ট্রান্সফার গুরুতর আহত আরো চার

নদীয়া:নদীয়ার শান্তিপুর বাগআচড়ায় আজ সকালে ঘটে গেল এক ভয়ানক পথ দুর্ঘটনা। শান্তিপুর স্টেশন সংলগ্ন অটোস্ট্যান্ড থেকে ভালুকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সকাল ৭ টা নাগাদ। অন্যদিকে গয়েশপুর থেকে মোটরসাইকেলে এক আরোহী সহ চালক আসছিলেন শান্তিপুরের দিকে মাঝখানে বাগআঁচড়া ফুটবল খেলার মাঠের কাছাকাছি একজন বৃদ্ধ রাস্তা পার হচ্ছিলেন তাকে বাঁচাতে গিয়ে মূলত মোটরসাইকেল এর সাথে অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

ঘটনাস্থলেই কাত হয়ে পড়ে যায় অটো অন্যদিকে মোটরসাইকেল চালক এবং আরোহী দুজনের ছিটকে পড়েন বেশ কিছুটা দূরে। ওই অটোতে থাকা চারজন যাত্রী গুরুতর আঘাত পান, মোটর সাইকেলে থাকা দুজনেও।

এলাকাবাসী এবং পথ চলতি মানুষজন তাদের প্রত্যেককে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে সাথে সাথে অটোচালক দীপঙ্কর বিশ্বাস মটর সাইকেল চালক সরাব আলী শেখ এবং এক মহিলা যাত্রীকে গুরুতর আঘাতের জন্য ট্রান্সফার করা হয় কৃষ্ণনগর শক্তি নগর হাসপাতাল।

নবমিতা ঢালী, ছায়া সাহা, সুভদ্রা দাস দের ভর্তি রাখা হয় শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালেই। ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে পৌঁছায় শান্তিপুর থানা পুলিশ।

রাতের অন্ধকারে দোকানে দুষ্কৃতীরা লাগালো আগুন! পুড়ে ছাই সবকিছু , সর্বশান্ত ব্যবসায়ী

নদীয়া :নদীয়ার কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত জোয়ানিয়া গোয়ালপাড়া টিয়াবালি ব্রিজের কাছে পার্শ্ববর্তী রায়পাড়ার রাকেশ বাগ বিগত চার বছর আগে একটি দোকান করেছিলেন যা দিয়ে তার পরিবারের 4 সদস্যের মুখে দুবেলা জুটতো দুটো ভাত। সে সময় অবশ্যই ওই এলাকায় ওই একটি দোকানেই ছিল যদিও পরবর্তীতে আরও দুটো দোকান হয়। তবে সেই অর্থে শত্রুতা কারোর সাথেই ছিল না বলে তারা জানান।

গতকাল ওই এলাকায় একটি নাম যজ্ঞ অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাকেশবাগের ভাই দেবা বাগ রাত বারোটার সময়ও দেখেছে তাদের দোকান ঠিকঠাক রয়েছে। কিন্তু আজ ভোর আনুমানিক পাঁচটা নাগাদ পথ চলতি এক পরিচিত ব্যক্তি ফোন করে জানাই তাদের দোকান আগুনে ভোশীভূত। রাকেশ এবং তার ভাই দোকানে গিয়ে দেখে টিনের ছাউনি এবং দেওয়াল ভেতরে আনুমানিক প্রায় কুড়ি হাজার টাকার খাদ্য দ্রব্য সমস্ত পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

কোতোয়ালি থানায় মৌখিকভাবে জানালেও লিখিত অভিযোগ জমা করা হবে বলেই জানায় রাকেশ। তবে পরিবার নিয়ে এই মুহূর্তে কিভাবে সংসার খরচ জোগাড় করবেন তাই নিয়েই দুশ্চিন্তায় রয়েছে সে। তবে পুলিশের কাছে আবেদন জানাবে রাতের অন্ধকারে এভাবে সর্বনাশ করা দুষ্কৃতী যেন সাজা পায়। তবে গত মহালয়ার আগেও এই দোকান থেকে ১৫ হাজার টাকা খাদ্যদ্রব্য চুরি হয়ে যায় বলেই তিনি জানিয়েছেন। তবে বহিরাগত কেউ নয় এটা থেকে স্পষ্ট।

পৌষমাস শুরুর হওয়ার দিনই হালিশহরের শ্রী শ্রী রামপ্রসাদ স্মৃতি মন্দিরের কালী মন্দিরে পুজো দিলেন ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ

উত্তর ২৪ পরগনা: পৌষমাস শুরুর হওয়ার প্রথম শনিবারে সাতসকালে উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরের শ্রী শ্রী রামপ্রসাদ স্মৃতি মন্দিরের কালী মন্দিরে পুজো দিলেন ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ অর্জুন সিং। মায়ের মন্দিরে পুজো দিয়ে মন্দিরে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেন। গোটা মন্দিরটি পরিদর্শন করার পর সংসদ অর্জুন সিং বলেন, 'এই মন্দিরটিকে নিয়ে কিছু করার চিন্তাভাবনা আমার দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে।

আজ মন্দির কমিটির সদস্যরা মন্দিরটিকে আরোও ভালো করে সংস্কার করার ব্যাপারে অনুরোধ জানিয়েছেন। আমি ওনাদের আশ্বাস দিয়েছি মন্দির সংস্কারের বিষয়ে যা যা দরকার সেই বিষয়ে আমি সাহায্য করতে প্রস্তুত। পুজো দেওয়ার পরে মন্দির গেটের সামনে দুঃস্থ অসহায় মানুষদের হাতে নতুন কম্বল তুলে দিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ।

সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের জন্য দায়ী মোদি, দাবি রাহুলের

সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দায়ী করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নীতির কারণে বেকারত্বকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন,’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীতির কারণে দেশের নাগরিকরা কর্মসংস্থান পাচ্ছেন না। বেকারত্বের কারণেই নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে।‘ শনিবার এক কনফারেন্সে এমনটাই দাবি করেন রাহুল গান্ধী। পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ইস্যুতে মোদী সরকারের নীতিকে তুলোধোনা করেছেন তিনি।

সংসদে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি বলেন,’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শুধু মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। এই ঘটনা নিয়ে সংসদে কেন তিনি কোন মন্তব্য করলেন না ।‘প্রসঙ্গত, ১৩ ডিসেম্বর লোকসভায় নিরাপত্তা লঙ্ঘন নিয়ে সংসদের উভয় কক্ষে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিরোধীরা উভয়কক্ষে লোকসভার নিরাপত্তা নিয়ে স্লোগান দেয় এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতি দাবি করেন। শুধু তাই নয় শাহের পদত্যাগও দাবি করা হয়।