বর্ধমান লোকালে চলল গুলি

লোকাল ট্রেনের মধ্যে চললো গুলি। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়াগামী বর্ধমান লোকাল ট্রেনে। জানা যাচ্ছে গুলি চলার সময় ট্রেনে বেশ ভালই ভিড় ছিল। ভিড়ের মধ্যে হঠাত্‍ গুলির আওয়াজে শোরগোল পড়ে যায়। যাত্রীরা হতচকিত হন এবং হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। কেউই বুঝে উঠতে পারছিলেন না চলন্ত ট্রেনে গুলি চালাল কে।

যাত্রীরা এরপর দেখতে পান এক যুবক সিটের কোণে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। হাতের মুঠোয় তখনও রয়েছে বন্দুক। মাথা-কপাল থেকে চুইয়ে পড়ছে রক্ত।এমন ঘটনায় সকলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

জানা যাচ্ছে হাওড়া বর্ধমান লোকাল ট্রেনে নিজের সার্ভিস রিভলবার দিয়ে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন পুলিশ কনস্টেবল। তাঁর পরিচয় জানা গিয়েছে। আত্মঘাতী কনস্টেবলের নাম শুভঙ্কর সাধুখাঁ(৪৪)। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।

মদনের শারীরিক অবস্থার অবনতি

ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি তৃণমূল বিধায়ক মদল মিত্রের। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কাঁধের যেখানে মদন মিত্রের অস্ত্রোপচার হয়েছিল, সেখানে ব্যথা রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ফের আরও একবার খিঁচুনি হয় তৃণমূল বিধায়কের। বর্তমানে তাঁকে চিকিত্‍সকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। গত বুধবার কাঁধে অস্ত্রোপচার হয় মদন মিত্রের।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, অস্ত্রোপচারের পর মদনবাবু জানান, যেখানে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে, সেখানে তাঁর ব্যথা করছে। এরপর রাতের দিকে খিঁচুনি হতে শুরু করে মদনবাবুর। সঙ্গে সঙ্গে চিকিত্‍সকরা তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন ও প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেন।এসএসকেএমের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত স্থিতিশীল রয়েছেন মদন মিত্র। তবে এখনই তিনি যে বিপদমুক্ত, তা বলা যাচ্ছে না।

গত কয়েকদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন মদন মিত্র। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে মদনকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় কাঁধে চোট পান তৃণমূল বিধায়ক। গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার রাতে খিঁচুনি হওয়ায় পড়ে যায় বিধায়ক। পড়ে গিয়ে তাঁর বাঁ কাঁধের হাড় ভেঙে যায়। পরিস্থিতি দেখে চিকিত্‍সকেরা অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছিলেন।সেই মতোই বুধবার তৃণমূল বিধায়কের অস্ত্রোপচার হয়।

সাংসদপদ খারিজ নিয়ে সুপ্রিমে পিছিল মহুয়ার মামলা

তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মহুয়া মৈত্রকে সংসদ থেকে বহিষ্কারের আবেদনের শুনানি ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, মহুয়ার মামলাটি অধ্যয়ন করার জন্য তাদের সময় প্রয়োজন। তাই পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে এই মামলার শুনানির তারিখ।

৩ রা জানুয়ারি মহুয়ার মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে মহুয়ার মামলা নিয়ে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বলেন,’ আমি একেবারেই ফাইলটা একেবারে দেখিনি। আমি এই ফাইলটা খতিয়ে দেখতে চাই। আগামী ৩ জানুয়ারি মামলার শুনানি হতে পারে।‘

বিদ্যালয় নেই বসার জায়গা নেই মিড ডে মিল খাওয়ানোর উপযুক্ত জায়গা তবুও ভোররাত্রি থেকে ভর্তির লাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

নদীয়া:বিদ্যালয়ে নেই বসার জায়গা, নেই মিড ডে মিল খাওয়ানোর জায়গা, কিন্তু তবুও বিদ্যালয়ের ভর্তির জন্য অন্ধকার রাত থেকে লম্বা লাইন । কোনো ঝাঁ চকচকে বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম অথবা কিন্ডারগার্ডেন স্কুল নয়, অতি সাধারণ সরকারি প্রাথমিক বাংলা মাধ্যমে বিদ্যালয়। যেখানে মাঝে মধ্যেই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর ঘাটতি, নানান অভাব অভিযোগ নিয়ে স্কুল ছুট দের বিদ্যালয় ফেরানোর সরকারি উদ্যোগও।

নদীয়ার শান্তিপুর শহরের বাইগাছিপাড়া কৃত্তিবাস প্রাইমারি বিদ্যালয়ে, পাড়ার ছেলেরাই আশঙ্কা প্রকাশ করছে বহিরাগতদের চাপে তাদের ছেলেমেয়েদেরই ভর্তি করার সমস্যা না হয়ে যায় । প্রশান্ত বিশ্বাস জানাচ্ছেন তার বাচ্চা পলাশকে ভর্তি করার জন্য আজ থেকে ছয় দিন আগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অগ্নিশ্বর বসাককে জানতে চেয়েছিলেন তিনি বলেছিলেন আজ সকাল দশটা থেকে ফরম দেয়া হবে। কিন্তু ভোর তিনটা থেকে আশেপাশের পাড়া মানুষজন ভিড় করবেন তা তিনি বুঝতে পারেননি, তাই তিনি প্রধান শিক্ষকের কাছে দাবী করেছেন যাতে পাড়ার ছেলেদের অন্তত ভর্তি করে তারপর বহিরাগতদের ফরম দেওয়া হয়।

সকাল সাড়ে সাতটা র সময় কিছুটা দূর ঢাকা পড়ার থেকে এসে প্রমিলা বিশ্বাস লাইনের ৩৫ তম জায়গা দখল করতে পেরেছেন। ভর্তি নিশ্চিত জেনেও তিনি আগে ভাগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন, কিছুটা দুশ্চিন্তা নিয়ে। তিনি বলেন এই বিদ্যালয়ে নিয়মিত হোম টাস্ক দেওয়া পড়াশোনার খোঁজখবর রাখা বাচ্চাদের জন্মদিন পালন থেকে শুরু করে বিদ্যালয় থেকে পাশ করে অন্য বিদ্যালয় ভর্তি হওয়ার সময় ফেয়ারওয়েল পর্যন্ত দেওয়া হয়। যা অন্য কোন জায়গায় পাওয়া যায় না।আরো বেশ কিছুটা দূরে বাগানিপাড়া থেকে ভোর সাড়ে চারটের সময় এসেছেন আনোয়ার শেখ তিনি বলেন তাদের এলাকাতে প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও সেখানে বাচ্চাদের যথেষ্ট খেয়াল রাখা হয় না। অথচ একটু কষ্ট করে দূরে এখানে আসলে মিড ডে মিলসহ পড়াশোনা এবং শিশুর মানসিক বিকাশ অনেকটাই বৃদ্ধি পায় কারণ তার অপর একটি সন্তান এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছে।

মুক্তার শেখ অবশ্য সকলের মুখে এই বিদ্যালয়ের প্রশংসার কথা শুনে বাড়ির পাশে বাইগাছি সেনপাড়া বিদ্যালয়ের ভর্তির সিদ্ধান্ত বাতিল করে এখানে এসেছেন। রাজিয়া বিবি অন্ধকার থাকতে সাড়ে তিনটের সময় এসে ছিলেন স্কুলের বারান্দাতে সেই কারণেই তিনি প্রথম ফর্ম পেয়ে বাচ্চার ভর্তি সুনির্দিষ্ট করেন।

এরকমই নানান অভিমতের মধ্যে দিয়ে বেনজির দৃষ্টান্ত লক্ষ্য করা যায়। বাইগাছি পাড়া কৃত্তিবাস প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

তবে এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক অগ্নিশ্বর বসাক জানান, যেখানে সরকারি বিদ্যালয় স্কুল ছুটদের ফেরাতে নানান উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে সরকারিভাবে সেখানে , এত মানুষ বিভিন্ন পাড়া থেকে বিদ্যালয়ের উপর ভরসা রেখেছে এটা গর্বের বিষয় তবে। তাদেরকে বিগত দিনেও বারংবার জানিয়েছি, নিজ নিজ এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় ভর্তি হয়ে ছাত্র ছাত্রীর সমতা বজায় রাখা দরকার। কারন আমার বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত ১০ জন শিক্ষক শিক্ষিকা থাকলেও উপযুক্ত বসার ঘর নেই এমনকি মিড ডে মিল খাওয়ানো হয় ক্লাস শেষ হবার পর শ্রেণিকক্ষে। তবে অন্য বিদ্যালয়ে তারা কেন যাচ্ছে না সেটা আমার জানা নেই কিন্তু পরিকাঠামগত ভাবে উন্নয়ন না হয়ে এভাবে ক্রমাগত ছাত্র-ছাত্রীদের কতদিন ভালো পরিষেবা দেওয়া যাবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে স্থানীয়দের দুশ্চিন্তা মুক্ত করে তিনি বলেন ভর্তির ক্ষেত্রে সরকারি বিদ্যালয়ে সীমা না থাকলেও ৭৫ টি ফরম দিতে আমি বাধ্য হয়েছি তবে আশা করি এরই মধ্যে হয়ে যাবে। যদি একান্তই না হয় সে ক্ষেত্রে স্থানীয় দুই কাউন্সিলরের সহযোগিতা নিয়ে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক কে বিষয়টি জানিয়ে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা হয়ে যাবে। তবে পাড়ার ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হবে আগেই।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন দুটি মাত্র ক্লাস ঘরকে মাঝখানে পার্টিশন দিয়ে চারটে ক্লাসরুম বানানো হয়েছে। কিন্তু শিক্ষক শিক্ষিকাদের আন্তরিকতায় মুগ্ধ সকলে তাই এই ভিড়।

শীতের সকালে উৎসবের মেজাজে শুরু হলো অষ্টম দুয়ারে সরকার

নদীয়া:রাজ্য ব্যাপী আবারো আজ থেকে শুরু হল দুয়ারে সরকার। এই নিয়ে অষ্টম দফায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। চলতি বছরের ৩০ ডিসেম্বর কর্মসূচির প্রথমার্ধ হবে। ২-রা জানুয়ারি থেকে দ্বিতীয়ভাগে কাজ শুরু হবে। যা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এবারের কর্মসূচিতে মোট ৩৬ টি পরিষেবা পাওয়া যাবে। কন্যাশ্রী, লক্ষ্মী ভাণ্ডার, বার্ধক্যভাতা, স্বাস্থ্যসাথীর মতো একগুচ্ছ প্রকল্পে সহায়তা পাওয়া যাবে।সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে কেন্দ্র সরকারের নিয়ম মেনে হবে।

দুয়ারে সরকারে যোগ্যরা যাতে সংশাপত্র থেকে বঞ্চিত না হন তা নিশ্চিত করা হবে এবার আরো বেশি করে।প্রসঙ্গত, রবিবার এবং ছুটির দিনে শিবির বন্ধ থাকবে। 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার', 'স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড'-সহ একাধিক প্রকল্পের সুবিধা পেতে এখানে আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে। নতুন করে কোনও প্রকল্প শুরু করতে চাইলে করা যাবে। সমস্ত জেলায় জেলায় বিডিওদের সঙ্গে সমন্বয় রেখএ কাজ করা যাবে। দুর্গম এলাকায় ভ্রাম্যমান শিবিরের সংখ্যা বাড়বে।

গোটা বিষয়টি তদারকি করবেন ৪০ জন আইএএস আধিকারিক। রাজ্য, জেলা ও ব্লক স্তরে মোট ৪৭৩টি কন্ট্রোল রুম খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একটি টোল ফ্রি হেল্প লাইন নম্বর ১৮০০ ৩৪৫ ০১১৭ চালু হয়েছে।

আজ শীতের সকালে উৎসবের মেজাজে নদীয়ার শান্তিপুর রবীন্দ্র বিদ্যাপীঠ বিদ্যালয় সকাল থেকেই ভিড় লক্ষ্য করা যায় বিভিন্ন পরিষেবা গ্রহণ করার জন্য। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন পৌর আধিকারিক কর্মচারীবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগণ। চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ বলেন, এর আগে সাতবার অনুষ্ঠিত দুয়ারে সরকার এবং পুরসভার নিয়মিত পরিষেবায় বেশিরভাগ সমস্যার সমাধান হয়েছে তাই। নতুন বিভাগ গুলি তুলনামূলকভাবে ভিড় থাকলেও অন্যান্য কাউন্টারে খুব একটা ভিড় লক্ষ্য করা যায় না। তবে সরকারি নিয়ম মতনই সকাল দশটা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত প্রত্যেক কাউন্টার খোলা থাকবে। বিগত দুয়ারে সরকারের পর যাদের বয়স ২৫ প্লাস হয়েছে তারাও এবার আবেদন করতে পারবেন একইভাবে বার্ধক্য ভাতার ক্ষেত্রেও ৬০ বছর।

কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও চলছে নাড়া পোড়ানোর কাজ, ধোঁয়ার অস্বস্তিতে নাজেহাল গ্রামবাসী

এসবি নিউজ ব্যুরো: পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশবপুরে বিঘার পর বিঘা জমির নাড়া পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। আর সেই ধোঁয়া থেকেই বাতাসে বাড়ছে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ। একেবারে জনবহুল এলাকার পাশেই চাষের জমিতে চলছে নাড়া পোড়ানোর কাজ। ধোঁয়ার অস্বস্তিতে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে গ্রামের মানুষদের।

কিন্তু কাউকে কিছু বলার নেই। কেউ কিছু বলতে গেলেই জুটবে শাসানি।এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর। তবে প্রশাসনের কোন ভূমিকায় চোখে পড়লো না পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত কেশপুর ব্লকের ৬ নম্বর অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে।

যিনি নাড়া পোড়াচ্ছিলেন প্রথমে তো বুঝে উঠতে পারেননি, তবে ক্যামেরা দেখে দৌড়ে পালিয়ে যান। স্থানীয় সূত্রে খবর উনি খুব বড় মাপের চাষী।তার বাড়ির কাজের লোকের অভিযোগ করেন, প্রায় ২০ থেকে ২৫ বিঘা জমির নাড়া এভাবেই পুড়িয়ে ফেলেছেন মালিক। নাড়া পড়ালে নাকি জমির উর্বরতা বাড়ে।

উনার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ গ্রামের গরিব মানুষেরা যদি ওই খড়কুটো চান, তাও তিনি দিতে চান না অথচ পুড়িয়ে ফেলেন। সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে, প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে কেশপুরে এভাবেই চলছে দিনে দুপুরে দেদার নাড়া পোড়ানোর কাজ।

দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে হাজির জেলাশাসক

বাঁকুড়াঃ এবার অষ্টম পর্যায়ের 'দুয়ারে সরকার' ক্যাম্পে ৩৬ টি পরিষেবা' মিলবে" জানালেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক সিয়াদ এন। শুক্রবার ছাতনার শালডিহা গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশরা হাই স্কুলে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে তিনি একথা বলেন।

প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার আগেই ১৫ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারীর মধ্যে রাজ্য জুড়ে এক লক্ষ দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এদিন কেশরা হাই স্কুল দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে উপস্থিত জেলাশাসক সিয়াদ এন স্থানীয় মানুষ ও উপভোক্তাদের সাথে কথা বলেন।

জেলাশাসক সিয়াদ এন এদিন আরো বলেন, আজ থেকেই অষ্টম পর্যায়ের দুয়ারে সরকার ও পাড়ায় সমাধান কর্মসূচী শুরু হলো। এবার দুয়ারে সরকার ক্যাম্প গুলিতে লক্ষী ভাণ্ডার, স্বাস্থ্য সাথী, রেশন কার্ড, বিনামূল্যে সামাজিক সূরক্ষা মোট সহ ৩৬ টি প্রকল্পের সুযোগ এখান থেকেই মিলবে। এদিনের এই দুয়ারে সরকার প্রকল্প ঘিরে সাধারণ মানুষের ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে বলে তিনি জানান।

*সংসদে হামলার মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গে যোগ তৃণমূল বিধায়কের! দাবি বিজেপির*

সংসদে গতকালের হামলার ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড বলে মনে করা হচ্ছে ললিত ঝা-কে। এবার তাঁকে নিয়েই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার। তিনি একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা লিখেছেন, 'সংসদের হামলার মূলচক্রী ললিত ঝাঁয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ট যোগাযোগ ছিল তৃণমূলের তাপস রায়ের'।

জানা গিয়েছে, ওই ঘটনায় অন্যতম সন্দেহভাজন ললিত ঝা ভাড়া থাকতেন বড়বাজারে। টিভিতে সংসদে স্মোক ক্যান নিয়ে তাণ্ডবের খবর দেখে তাঁকে শনাক্ত করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সংসদ তাণ্ডবে সন্দেহভাজন ললিত ঝা এখন বেপাত্তা। ললিত কলকাতার ২১৮, রবীন্দ্র সরণী-তে একতলার ঘরে ভাড়া থাকতেন।

*কোন রাস্তায় যানজটের আশঙ্কা! জানুন আজকের ট্রাফিক আপডেট*


আজ  ১৫ই ডিসেম্বর এদিন বাড়ি থেকে বেরানোর আগেই জেনে নিন কোন কোন রাস্তা বন্ধ থাকবে। কেমন থাকবে রাস্তাঘাটের অবস্থা ? জানিয়ে দিলো লালাবাজার ট্রাফিক কন্ট্রোল। শুক্রবার শহরে এখনও পর্যন্ত কোথাও কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। 

যানচলাচল স্বাভাবিক আছে।  তবে আজ কোন মিটিং, মিছিল নেই। তাই শুক্রবার শহরের সর্বত্র যান চলাচল স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছে , লালবাজার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম। 

  

*স্বাভাবিকের চেয়ে নামছে তাপমাত্রা, জেনে নিন আজকের আবহাওয়া*


উত্তরবঙ্গ তো বটেই সেই সাথে জাঁকিয়ে শীত পড়েছে পশ্চিমের জেলাগুলিতেও। পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জায়গাতেই কমবেশি পারদ পতন হয়েছে। এমনকি গত দিন দুয়েক ধরে জমিয়ে শীত উপভোগ করছে কলকাতার মানুষজন।

মৌসম ভবনের খবর, কলকাতায় আজ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে। সকালের তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি কম অর্থাৎ ১৫.১ ডিগ্রি। আগামী ২৪ ঘন্টায় তিলোত্তমা নগরীর তাপমাত্রা থাকবে ১৫ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার মানুষজনের এখন ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থা। এইদিন বাঁকুড়া জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রির মত। বেলা বাড়ার সাথে খানিক রোদের আভা দেখা গেলেও সূয্যি মামা অস্ত গেলেই তরতরিয়ে নামছে পারদ মাত্রা। অর্থাৎ জেলাটিতে বেশ জাঁকিয়ে বসেছে শীতের আমেজ।