*৪ ঘন্টা পার! কখন চলবে মেট্রো পরিষেবা? চিন্তায় যাত্রীরা*

দুপুরে ফের থমকে গেল শহরের মেট্রো রেল পরিষেবা। বরানগর ও নোয়াপাড়ার মাঝে থার্ড লাইনে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। আর তার জেরে এদিন অর্থাত্‍ বৃহস্পতিবার দুপুরে ২টো ৫মিনিট থেকেই থমকেছে মেট্রো পরিষেবা।

কবি সুভাষ থেকে দমদমের মধ্যে মেট্রো পরিষেবা চালু রয়েছে। তবে দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বর রুটে মেট্রো পরিষেবা আপাতত বন্ধ। তৃতীয় লাইনে বিদ্যুত্‍ না আসায় ওই অংশে পরিষেবা হোঁচট খেয়েছে। উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহেও পর পর ৩ দিন ব্যস্ত সময়ে থমকে গিয়েছিল মেট্রোর পরিষেবা। এদিন আবারও তা হোঁচট খেল।

মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর ২টো ৫মিনিট নাগাদ বরানগর ও নোয়াপাড়ার মাঝে তৃতীয় লাইনে আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখা গিয়েছিল। সেই সঙ্গে ওই অংশে তৃতীয় লাইনে বিদ্যুত্‍ সরবরাহের ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা যায়। বিদ্যুত্‍ কম যাচ্ছিল লাইনে। যার জেরে ট্রেন চালানোই যাচ্ছিল না। শেষে খবর পেয়েই মেরামতির কাজে হাত দেয় মেট্রো কর্তৃপক্ষ। দুপুর ২টো ২৮ মিনিট থেকে থার্ড লাইনে বিদ্যুত্‍ পরিষেবা বন্ধ রেখে কাজ শুরু হয়। সেই কারণেই এখন কবি সুভাষ থেকে দমদমের মধ্যে মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক থাকলেও দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বর রুটে মেট্রো পরিষেবা আপাতত বন্ধ রয়েছে। মেরামতির পরেই তা আবার চালু করা হবে। তবে ৪ ঘন্টা পার হলেও কখন চলবে মেট্রো তা এখনও অধরাই।

কয়লা পাচারকাণ্ডে কলকাতার ভবানীপুরে দুই জায়গায় ৩ টি ফ্ল্যাটে সিবিআই তল্লাশি

কলকাতা : কয়লা পাচারকাণ্ডে ফের তৎপর সিবিআই। বৃহস্পতিবার কলকাতার ভবানীপুরে দুই জায়গায় ৩ টি ফ্ল্যাটে সিবিআই তল্লাশি চলছে।

এদিন সকাল ১১ টা নাগাদ ভবানীপুর, আসানসোল-সহ ১২ জায়গায় একযোগে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে সিবিআই । অনুপ মাজি ওরফে লালা ঘনিষ্ঠদের ঠিকানায় পৌঁছায় সিবিআই ।

কয়লা মাফিয়া অনুপ মাজি ওরফে লালা একাধিক প্রভাবশালীদের এবং পুলিশ অফিসারদের কাছে টাকা পাঠাতো।যারা এই টাকা নিয়ে যেত অর্থাৎ যাদের মাধ্যমে টাকা পাঠানো হতো তাদের ঠিকানা পৌঁছে যায় সিবিআই।

*নতুন বছরে তারা মায়ের ভক্তদের জন্য সুখবর, খুলে যাচ্ছে দ্বিতীয় তারাপীঠ মন্দিরের দ্বার!*

পাঁশকুড়া: তারাপীঠ বলতে আমরা বীরভূমকে বুঝি। তবে এবার রাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেও গড়ে উঠেছে দ্বিতীয় তারাপীঠ। ভক্তদের সমাগমে বেশ ভালোই চলছিলো। কিন্তু স্থানীয় কিছু সমস্যার কারনে দীর্ঘদিন বন্ধ রাখতে হয়।পুনরায় ইংরেজির নতুন বছরে খুলতে চলেছে রাজ্যের দ্বিতীয় তারাপীঠ মন্দির।

আপনি কি তারা মায়ের ভক্ত! তাহলে আপনার জন্য রয়েছে সুখবর। আবারো ভক্তদের জন্য দ্বিতীয় তারাপীঠ মন্দিরের দ্বার খুলে দেওয়া হচ্ছে। বীরভূমের তারাপীঠ মন্দির ও মা তারার মাহাত্ম্য লোক মুখে মুখে ফেরে। সারা বছরই ভক্তের সমাগম হয় বীরভূমের তারাপীঠ মন্দিরে। কিন্তু অনেকের সময় অভাবে আবার দূরত্বের কারণে তারাপীঠ মন্দিরে যেতে পারেন না। সেইসব মানুষদের জন্য অনেকটাই সুখবর অবিকল তারাপীঠ মন্দিরের মতো দেখতে পাঁশকুড়ার চকগোপাল গ্রামে তৈরি হয়েছে একটি তারা মায়ের মন্দির। আবারো সেই মন্দিরের দ্বার ভক্তদের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে।

পাঁশকুড়ার চকগোপাল গ্রামের দ্বিতীয় তারাপীঠের মন্দির। অবিকল বীরভূমের তারাপীঠ মন্দিরের মতো দেখতে এই মন্দির। ২০২১ সালে এই মন্দিরটির উদ্বোধন হয়। উদ্বোধন হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই ভক্তদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল এই মন্দির। দূর দুরান্ত থেকে ভক্তরা আসতেন মায়ের কাছে।

অল্পদিনের মধ্যেই এই মন্দিরের নাম ছড়িয়ে পড়ে শুধু পূর্ব মেদনীপুর জেলা নয়, পশ্চিম মেদিনীপুর হাওড়া হুগলী সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। ফলে পাঁশকুড়ার প্রত্যন্ত চকগোপাল গ্রাম মায়ের ভক্ত ও দর্শনার্থীদের ভিড়ে রাতারাতি খ্যাতি লাভ করে। মন্দিরের কারণে গ্রামের অর্থনৈতিক উন্নতি শুরু হয়। কিন্তু তারপরে হঠাৎই একদিন মন্দিরে তালা পড়ে।

বেশ কিছু সমস্যার কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মন্দিরে দরজা। অবশেষে সমস্ত সমস্যা কাটিয়ে ইংরেজি নতুন বছর ২০২৪ সালের ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে ভক্তদের জন্য আবারো ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হবে এই মন্দিরের দ্বার। বীরভূমের তারাপীঠের আদলে পাঁশকুড়া চকগোপাল গ্রামের গড়ে উঠেছিল দ্বিতীয় তারাপীঠের মন্দির, ৫১ টি সিঁড়ি ভেঙে মায়ের দর্শন করতে হয়য এই মন্দিরে। মন্দির পরিচালক কমিটি সদস্যরা আশা করছেন, ভক্তদের জন্য এই দ্বিতীয় তারাপীঠ মন্দিরের দ্বার খুলে দেওয়ার পর আবারও ভক্তের সমাগম আগের মতোই হবে। এমনকি মন্দির খ্যাতি লাভ করবে।

পাঁশকুড়া চকগোপাল গ্রামে এই দ্বিতীয় তারাপীঠ মন্দির আগামী দিনের ভক্ত ও দর্শনার্থীদের অন্যতম গন্তব্য হয়ে উঠবে। আগামী দিনে মন্দির ঘিরে নতুন পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠবে এই চকগোপাল গ্রামে বলে অভিমত এলাকাবাসীর।

সাংসদ ভবনে হামলার ঘটনার বাংলার যোগ

উত্তর ২৪ পরগনা: সাংসদ ভবনে হামলার ঘটনার মূল অভিযুক্ত ললিত ঝাঁ।যার খোঁজে ইতিমধ্যে তল্লাশি শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। পুলিশের সূত্র অনুযায়ী উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরের জেঠিয়া নান্না রোড এলাকার বাসিন্দা নীলাক্ষ আইচের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে ললিত ঝাঁ। বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লী পুলিশের এক উচ্চ আধিকারিক কথা বলে নীলাক্ষের সঙ্গে।

জগদ্দলে ভিকি যাদব খুনে ধৃত আরও তিন, উদ্ধার খুনে ব্যবহৃত দুটি বাইক

উত্তর ২৪ পরগনা: চলতি বছরের গত ২১ সেপ্টেম্বর ভর সন্ধেয় জগদ্দলের পুরানী তলাব এলাকায় বাড়ির সামনে খুন হন ভিকি যাদব। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ আগেই অঙ্কিত কুমার সিং ও রাইস আলি নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের ঘটনায় এই দুজনের ভূমিকা ছিল। খুনীদের আশ্রয় দেওয়া এবং রাস্তা চিনিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেওয়া।

এই ঘটনায় পুলিশ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া জানান, ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় মহম্মদ জিশান, পঙ্কজ সিং ওরফে ইমরান আহমেদ ও ইফতিকার আলম ওরফে সনুকে পাকড়াও করা হয়েছে। জিশান ও পঙ্কজ কামারহাটির বাসিন্দা। সনু কলকাতার কাশীপুরের বাসিন্দা।

যদিও পঙ্কজ ইদানিং জগদ্দলে থাকতো। পুলিশ কমিশনার আরও জানান, ভিকি খুনের মূল পরিকল্পনা ছিল পঙ্কজের। হাওড়ার সলপে বসে খুনের ছক কষা হয়েছিল। দুটো বাইকে চেপে ওরা সলপ থেকে জগদ্দলে এসে খুন করে। ফের ওরা বাইক চেপেই সলপে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। খুনে ব্যবহৃত দুটি মোটর বাইক পুলিশ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ কমিশনার আরও জানান, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, মোটর বাইকে চেপে তিনজনকে দেখা গিয়েছিল ঘটনাস্থলে আসতে । সেই বাইকের একদম পিছনে বসেছিল ইফতিকার আলম ওরফে সনু। বাকি দুজন সূর্য সাহা ও অরিন্দম ঘোষ।

সূর্য ও অরিন্দম খোঁজ চলছে। পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়ার দাবি, গত ২২ জুলাই ভাটপাড়া মুকুল খুনে মূল অভিযুক্ত ছিল এই পঙ্কজ। ওই খুনে অভিযুক্ত ইমরান ও অরিন্দম ঘোষ। খুনের মোটিভ নিয়ে এখনও পরিষ্কার নন তদন্তকারীরা। এপ্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার বলেন, ঘটনার নেপথ্যে কেউ আছে কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

৪ জানুয়ারী শুরু হচ্ছে মুকুটমনিপুর মেলা

বাঁকুড়াঃ নতুন বছরের শুরুতেই আগামী ৪ জানুয়ারী শুরু হচ্ছে ঐতিহ্যবাহি মুকুটমনিপুর মেলা। স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির মাঠে এই মেলা চলবে আগামী ৬ জানুয়ারী পর্যন্ত।

প্রসঙ্গত, জল, জঙ্গল আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে 'বাঁকুড়ার রাণী' মুকুটমনিপুরে বছরভর পরিযায়ী পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। তবে শীতের দিন গুলিতে সেই সংখ্যা আরো কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এবার সেই পর্যটকদের কাছে আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে চলেছে মুকুটমনিপুর মেলা, এমনটাই প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।

খাতড়ার মহকুমাশাসক তথা মুকুটমনিপুর উন্নয়ন পর্ষদের নির্বাহী আধিকারিক নেহা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এবারের মেলায় বেশ কিছু চমকের পাশাপাশি আদিবাসী ফ্যাশন শো-র আয়োজন করা হয়েছে। সঙ্গে থাকছে আদিবাসী খাবারের বিশেষ স্টল। এছাড়াও ফ্লাওয়ার শো, আদিবাসী সংস্কৃতিকে তুলে ধরার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক মঞ্চে 'স্টার' আদিবাসী শিল্পীদের অনুষ্ঠান থাকছে। একই সঙ্গে খাতড়া মহকুমা এলাকা ও জেলার হস্তশিল্পকে এই মেলার মাধ্যমে তুলে ধরা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

*সংসদে হামলা নিয়ে সরব কুণাল*

সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনকাণ্ড প্রসঙ্গে এবার বিস্ফোরক দাবি করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ।

তিনি আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, ‘পাসওয়ার্ড দেওয়ার জন্য মহুয়ার সাংসদ পদ বাতিল হয়েছে। তাহলে দুষ্কৃতীদের পাস দেওয়া জন্য সাংসদের সদস্যপদ কেন বাতিল নয়? অধিবেশন চলাকালীন ৩০১ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের ডিউটিতে থাকার কথা। যদিও ১৭৬ জন কাল ডিউটিতে ছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে থাকার নৈতিক অধিকার অমিত শাহের নেই।‘

রেললাইনের পাশের ডোবা থেকে উদ্ধার সদ্যজাতর মৃতদেহ

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবরা থানার শ্রীনগর নগেন্দ্র স্মৃতি সংঘের পাশের ডোবা থেকে উদ্ধার এক সদ্যোজাত শিশুর দেহ। স্থানীয়রাই এদিন লক্ষ্য করেন পাশের ডোবাতে ভেসে উঠেছে একটি সদ্যাতন মৃতদেহ ।তড়িঘড়ি স্থানীয়রা হাবরা থানায় খবর দেন পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে ওই মৃত শিশুটিকে।

এদিন সকাল এগারোটা সাড়ে এগারোটা নাগাদ স্থানীয় রায় প্রথম দেখেন ওই ডোবার মধ্যে কি যেন একটি ভেসে রয়েছে পরে সকলে মিলে ভালোভাবে দেখলে দেখা যায় একটি শোধরাতর মৃতদেহ ভাসছে তড়িঘড়ি হাবরা থানায় খবর দেয়া হয়।

পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাবরা হাসপাতালে পাঠায়। যদিও কারারা এই বাচ্চাটিকে ফেলে গিয়েছে তা কেউই বলতে পারেনা স্থানীয়রা। তবে এই বাচ্চার মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।

ভর সন্ধ্যায় নদিয়া তাহেরপুরে ব্যবসায়িক যুবক খুনের অভিযোগে এক মহিলা সহ মোট চার দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করলো তাহেরপুর থানার পুলিশ

নদীয়া:সন্ধ্যা রাতে বাড়ীতে ঢুকে ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনার অবশেষে রহস্য উন্মোচন করলো তাহেরপুর থানার পুলিশ। খুনের ঘটনা ঘটার 6 দিন পর অবশেষে খুনের ঘটনায় যুক্ত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করলো তাহেরপুর থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, গত শুক্রবার রাতে তাহেরপুর থানার ভাদুরিতে সন্ধ্যা রাতে রাজা ভৌমিক নামের এক ব্যবসায়ীকে বাড়িতে ঢুকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা।

ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ জানতে পারে বিপুল পরিমাণ টাকা বাজারে সুদে খাটাতো ওই ব্যক্তি। আর এর পরই তাহেরপুর পুলিশ এই সূত্র ধরে তদন্ত করে এক মহিলা ও তিন যুবকের সন্ধান পায়। আর এর পরই মঙ্গলবার বর্ধমান থেকে রাসমণি বিশ্বাস নামের এক মহিলা ও তাহেরপুর থেকে সৌরভ মজুমদার নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে। পাশাপাশি বুধবার রাতে হৃদয় মন্ডল নামের এক জনকে মহারাষ্ট্র থেকে ও দেবব্রত বিশ্বাস ওরফে দেবু নামের এক যুবককে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার করে তাহেরপুর পুলিশ।

বৃহস্পতিবার ধৃতদের রানাঘাট আদালতে পাঠিয়েছে তাহেরপুর থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃত দেবব্রত বিশ্বাস ওরফে দেবু স্বীকার করে নিয়েছে রাজা ভৌমিক নামের ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন করেছে। আর তাকে সহযোগিতা করেছে বাকি ধৃতরা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দেবু জানিয়েছে, মৃত রাজা ভৌমিক এর কাছ থেকে 5 লক্ষ টাকা সুদে ধার নিয়েছিল ওই যুবক। সেই টাকার সুদের জন্য চাপ দিচ্ছিল ওই ব্যবসায়ী। আর সেই কারণেই পরিকল্পনা করে ওই ব্যবসায়ীকে খুন করে অভিযুক্তরা।

বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে তাহেরপুর থানায় সাংবাদিক সম্মেলন করে রানাঘাট পুলিশ জেলার SP কুমার সানি রাজ জানান ধৃতদের তদন্তের স্বার্থে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করতে তদন্ত শুরু করেছে তাহেরপুর থানার পুলিশ।

*রেশন দুর্নীতি মামলায় ফের নজরে বাকিবুর*

বাকিবুরের সূত্র ধরেই এগোচ্ছে রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া। এবার হাতে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধান বিক্রির নামে বাকিবুরের ২ স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল সরকারি টাকা। চার্জশিটে এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছে ইডি। বাকিবুরের ২ স্ত্রী ও শ্যালকের বয়ানই হাতিয়ার ইডির।

সেখানে বলা হয়েছে, ‘ধান বিক্রির নামে সরকারি টাকা ঢুকেছিল বাকিবুরের দুই স্ত্রী অনামিকা বিশ্বাস ও হালিমা বেগমের অ্যাকাউন্টে। অনামিকা বিশ্বাসের নামে থাকা একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ঢুকে ৪ কোটি টাকারও বেশি’।

ইডির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, যে ৪ কোটি টাকা ঢুকেছিল, সেটা ধান বিক্রির টাকা ছিল কিনা, তা জানতে চাওয়া হয় অনামিকা বিশ্বাসের কাছে। কিন্তু তার কোনও সদুত্তর মেলেনি। আবার অন্যদিকে, বাকিবুরের শ্যালকের দাবি, ‘তাঁর কোনও চাষের জমি নেই। যে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকত, তা বাকিবুরের নিয়ন্ত্রণে ছিল’। আর এই সব তথ্য থেকেই ইডির সন্দেহ এই টাকা ধান বিক্রির টাকা ছিল না, এই টাকা ছিল সরকারি টাকা। আর এতো টাকা তাঁদের অ্যাকাউন্টে ঢুকল কেন, সেই সন্ধানই এবার চালাচ্ছে ইডি।