মিরিকের পাহাড়ে শিলাবৃষ্টি সুখিয়া-সীমানা অঞ্চলে

এসবি নিউজ ব্যুরো: আচমকাই পারদ পতন পাহাড়ে। বুধবার তাপমাত্রা কমে গিয়ে শিলাবৃষ্টি হয় সুখিয়া-সীমানা অঞ্চলে। যা মিরিক থেকে ২৬.৪ কিলোমিটার দূরে। একধাক্কায় তাপমাত্রা অনেকটা কমে যাওয়ায় তুষারপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে দার্জিলিং পাহাড়েও। অন্যদিকে, কালিম্পং-এও ইতিমধ্যে তাপমাত্রার পতন হয়েছে। পাশাপাশি বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টিও হচ্ছে পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায়।

আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। দার্জিলিংয়ের উঁচু এলাকায় হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের পাঁচ জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। আপাতত ঠান্ডা থাকবে। তবে রাতের তাপমাত্রা বাড়ার আশঙ্কা নেই। স্বাভাবিকের নীচে থাকবে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে দায়ের করা একাধিক মামলার তদন্ত নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ কলকাতা হাইকোর্টের

কলকাতা: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে দায়ের করা একাধিক মামলার তদন্ত নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলো কলকাতা হাইকোর্ট। শান্তিনিকেতন থানা দায়ের হাওয়া পাঁচটি মামলার তদন্ত করছে। বিরক্ত বিচারপতির নির্দেশ, তাঁর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। এমনকি আদালতের নির্দেশ ছাড়া চার্জশিট বা কোন মামলার ফাইনাল রিপোর্টও দেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

পুলিশের আচরণে বিরক্ত বিচারপতির মন্তব্য, রবীন্দ্রনাথ জীবিত থাকলে আপনারা তাকেও অভিযুক্ত করে দিতেন। সম্প্রতি বিদ্যুৎ চক্রবর্তী চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেখানে রবীন্দ্রনাথের লেখা প্রসঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার কথা ছিল।

চিঠি দেখে বিচারপতির প্রশ্ন, সেটায় ধর্তব্য যোগ্য অপরাধ কি আছে। রাজ্য জানায় সেটা তদন্ত করে দেখতে হবে। তখন বিচারপতি বলেন, তার মানে আপনারা আগে ধারা যোগ করে দেন পরে তদন্ত করে দেখেন আদৌ ধর্তব্যযোগ্য কি না। ভাগ্যিস রবীন্দ্রনাথ জীবিত নেই। কি যে করতেন, তাকেও অভিযুক্ত করে দিতেন।

বিচারপতি বলেন, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন এর মানে এই নয় যে সেই চিঠিতে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা লাগতে পারে বা গুজব থেকে অশান্তি ছড়াতে পারে। বিচারপতি এই মামলায় আগামী ১১ জানুয়ারি রায় শোনাবেন বলে জানিয়ে দেন। বিদ্যুৎ-এর বিরুদ্ধে ওপর একটি মামলায় অভিযোগ করা হয় যে তিনি টোটো চালককে টোটো চালাতে বাধা দিয়েছেন।

এই অভিযোগ শুনে বিচারপতির মন্তব্য, এই সব অভিযোগ করে আপনারা রাজ্য সরকারকে অপমান করছেন। বিশ্বাস করি না রাজ্যের উচ্চ পদস্থ কেউ এগুলো আপনাদের করতে নির্দেশ দিতে পারে বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি।

সংসদ ভবনে হামলার বর্ষপূর্তিতে ফের লোকসভার গ্যালারি থেকে ঝাঁপ দুই দর্শকের

শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন আচমকাই সেখানে ঢুকে পড়ে দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, কাঁদানে গ্যাসের গোলা নিয়ে সংসদে ঢুকে পড়ে ওই দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। অধিবেশন চলাকালীন আচমকা গ্যালারি থেকে সরাসরি ওয়েলে লাফ মারে তারা। এরপরই তীব্র আতঙ্ক ছড়ায় সাংসদদের মধ্যে। ইতিমধ্যেই লোকসভার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে । পাশাপাশি সাংসদরা লোকসভা থেকে বেরিয়ে আসা শুরু করেছেন । শুনানি দুপুর ২টা পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে লোকসভার অধিবেশন।

পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু যখন লোকসভায় বক্তব্য রাখছিলেন, তখন ওই দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি সংসদ ভবনে ঢুকে পড়েন। ইতিমধ্যেই সেই দুই জন ব্যক্তিকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে । কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদাম্বরম বলেন, ‘প্রায় ২০ বছর বয়সী ওই দুই ব্যক্তি হলুদ রঙের গ্যাস জাতীয় পদার্থ সভায় ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন। এক বেঞ্চ থেকে অন্য বেঞ্চে লাফিয়ে লাফিয়ে ধোঁয়া ছড়াচ্ছিলেন তাঁরা। তারা কিছু স্লোগান দিচ্ছিল।‘২২ বছর আগে সংসদে হামলার স্মৃতি ফিরিয়ে দিয়েছে বুধবারের ঘটনা। এর আগে ২০০১ সালে সংসদে জঙ্গি হামলা হয়েছিল। দীর্ঘ ২২ বছর পর, একই দিনে, ফের আতঙ্ক ছড়াল সংসদের অন্দরে।

তবে এদিন কী করে লোকসভায় এমন ঘটতে পারে, সেই প্রশ্ন তুলে নিরাপত্তার গাফিলতির অভিযোগ উঠছে । ইতিমধ্যেই এই পুরো ঘটনাটি নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত ।

*রামনগরের ক্ষীরপালে দিন দুপুরে চুরি নগদ টাকা সহ সোনার গহনা লোপাট*

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর বিধানসভার রামনগর-২ ব্লকের তালগাছাড়ি -২ পঞ্চায়েতের ক্ষীরপাল বুথে গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সুধাংশু শেখর করের বাড়িতে দিনের বেলায় চুরি হয়ে গেল নগদ টাকা সহ সোনার গহনা।

পরিবারের সূত্রে জানা যায় সুধাংশু শেখর করে ছেলে কর্মসূত্রে অন্য রাজ্যে থাকেন, আর তার দিদি এবং মা রামনগরের ঠিকরায় আধার কার্ড লিংকের জন্য সকাল আটটার সময় বেরিয়ে যান, কাজ শেষ করে রাত্রি যখন আটটার সময় বাড়ি ঢোকেন, আর তখন দেখেন বাড়ির চিরেকাঠার দরজা ভাঙ্গা এবং বাড়ির ভিতরে যেসব কাগজপত্র ছিল, বাক্স ছিল, সব ছাদের উপরে এবং দেখেন বাড়িতে যে রাখা হয়েছিল নগদ টাকা এবং সোনার গহনা কোন কিছু নেই, তখন তিনি বুঝতে পারেন যে তার বাড়ি চুরি হয়ে গেছে।

পাশাপাশি এলাকাবাসী কে জিজ্ঞাসা করায় বলে আমরা কোন কিছুই জানিনা, কে বা কারা কখন চুরি করল তাও এখন জানা যায়নি এবং দেখা যায় বাড়িতে আলমারি ভাঙ্গা অবস্থায় আছে বিভিন্ন প্রকার জিনিসপত্র ভাঙ্গা অবস্থায় আছে এলোমেলো অবস্থায় আছে, আরো একটি চুরির ঘটনা ঘটে গেল রামনগরের উপর।

পুরো ঘটনাটি মান্দারমনি কোস্টাল থানায় লিখিত চুরির অভিযোগ দায়ের করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে, ঘটনাস্থলে মান্দারমনি কোস্টাল থানার পুলিশ, পুরো ঘটনাটিকে তদন্ত করার চেষ্টা করছে যদিও এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।।

প্লাটফর্ম চত্বরে ভেঙে পড়ল জলের ট্যাঙ্ক, মৃত ৩

বড়সড় বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটল বর্ধমান স্টেশনে। দুই ও তিন নম্বর প্লাটফর্মের মাঝে ভেঙে পড়ল জলের ট্যাঙ্ক। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এখন পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।আহত হয়েছেন অন্তত ২৭ জন।

এদিন দুপুর ১২টা ৮ মিনিট নাগাদ বর্ধমান স্টেশনের দুই ও তিন নম্বর প্লাটফর্মের মাঝে প্লাস্টিকের শেডের ওপর ভেঙে পড়ল জলের ট্যাঙ্ক। ট্যাঙ্কটি যখন ভেঙে পড়ে তখন প্লাটফর্মের শেডের নীচে বেশ কয়েকজন যাত্রী অপেক্ষায় ছিলেন। আচমকা ট্যাঙ্কটি ভেঙে পড়ায় হকচকিয়ে যান অনেক যাত্রী। কিছু বুঝে ওঠার আগে প্লাস্টিকের শেড ভেঙে পড়ে বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হন। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্ধমান শাখায় রেল চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে। ২ ও ৩ নম্বর প্লাটফর্মে ট্রেন চলাচল সায়য়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। রেলের তরফে ঘটনাস্থলে ইঞ্জিনিয়ারদের পাঠানো হয়েছে।স্টেশনের মধ্যে এভাবে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ায় রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। যখন এই জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ে তখন সেই ট্যাঙ্কটি জলে ভর্তি ছিল।জল ভর্তি ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ায় বিপাকে পড়েন যাত্রীরা।এর আগেও বর্ধমান স্টেশনের মূল ফটকের একাংশ ভেঙে পড়েছিল। সেই সময়ও কয়েকজন আহত হয়েছিলেন। কয়েক বছরের মাথায় ফের বর্ধমান স্টেশনে দুর্ঘটনা ঘটায় রেলের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।

কৃষি ক্ষেত্রে সরকারী ক্ষতি পূরণ চেয়ে আন্দোলনে বিজেপি

বাঁকুড়াঃ সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সিমলাপাল ব্লক এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষিজীবি মানুষের সরকারী ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নামলো বিজেপি। বুধবার ওই দাবিতে বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কের উপর সিমলাপাল স্কুল মোড়ে 'প্রতিকী' পথ অবরোধ শেষে মিছিল করে স্থানীয় ব্লক অফিসে পৌঁছান বিজেপি নেতা কর্মীরা। পরে তাঁদের এক প্রতিনিধি দল বিডিও-র কাছে গিয়ে দাবিপত্র তুলে দেন। এদিনের এই কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিপত্তারণ সেন, দলের তালডাংরা মণ্ডল-৩ সভাপতি আলোক মহান্তী, তালডাংরা মণ্ডল-৪ সভাপতি আলোক বিকাশ হোতা প্রমুখ।

বিজেপি নেতৃত্বের তরফে দাবি করা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ঘূর্ণিঝড় 'মিগজাউমে'র জেরে অতি বৃষ্টির ফলে সিমলাপাল ব্লক এলাকার বিঘার পর বিঘা ধান নষ্ট হয়েছে। একই সঙ্গে আলু চাষেও ক্ষতির পরিমান যথেষ্ট। এই অবস্থায় কৃষি নির্ভর সিমলাপালের মানুষের সরকারী ক্ষতিপূরণ ছাড়া কোনমতেই ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। তাই কৃষি ও কৃষকের স্বার্থে তাঁরা দলীয়ভাবে আন্দোলনে নেমেছেন। অবিলম্বে দাবি পূরণ না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলেও তাঁরা জানিয়েছেন।

দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিতে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছালেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার

কলকাতা: সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল পড়ুয়াদের টাকায় মামলা লড়ছে সেই প্রসঙ্গে বললেন, বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে মামলা লড়াই সেটা কিভাবে হবে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক করবে। পড়ুয়ারা যখন টাকা দেয় সেই টাকায় উপাচার্য বা রেজিস্টার মামলা লড়েন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মামলা লড়ছেন সেটটি কি তার পৈতৃক টাকা নাকি জনগণের টাকায় লড়ছেন? এতে বিতর্কের কি আছে বুঝতে পারছিনা।

রাজ্যের মানুষের টাকায় রাজ্য সরকারের মামলা লড়া যদি ঠিক নয় তাহলে এক্ষেত্রে কেন ঠিক হবে? এই প্রসঙ্গে বলেন, জনগণের টাকায় রাজ্য সরকার মামলা লড়বে এটাই স্বাভাবিক। সব বিষয়ে কেন মামলা করবেন বিরোধীদলকে সভা করতে দেব না তার জন্য কেন মামলা হবে যদি মামলা হয় তাহলে রাজের স্বার্থের জন্য মামলা হোক। তৃণমূলের স্বার্থের জন্য মামলা তো জনগণের টাকায় করা উচিত নয়। রাজ্যপাল নিজের কোন পদ বাড়ানোর জন্য বা মাইনে বাড়ানোর জন্য লড়ছেনা বা অন্য কাউকে আটকোনো করার জন্য লড়ছে না। রাজ্যপাল লড়ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য। সুপ্রিম কোর্ট বলে দিয়েছে, আর তো কোন কথা হবে না সুপ্রিম কোর্ট বলে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য উপাচার্য নিয়োগ করবে।

লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে বলেন, তৃণমূল ভেতরের অবস্থা ভালো না ইন্টারনাল স্বাস্থ্য অত্যন্ত খারাপ। এ লড়াই ভাগ বাটোয়ারা লড়াই। লড়াই খুব সহজে থামবে না, খুনখুনি পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছাবে। অনেক জায়গায় পৌঁছছে। আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেস দলটাই থাকবে না অপেক্ষা করুন কয়েক বছর তৃণমূল কংগ্রেস বলে কিছু থাকবে না।

২০ তারিখ মোদী মমতা সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী দেখা করতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী সময় চেয়েছেন। যে কোন মুখ্যমন্ত্রী দেখা করতে চাইলেই প্রধানমন্ত্রী সময় দেবেন। এটা প্রটোকল। পশ্চিমবঙ্গে এটা মানা হয় না। সংবিধানকে কে কিভাবে মানবে সেটা তার ব্যাপার।

শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীকে নিয়ে সৌগত রায় মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী কেন মানবেন? কার্তিক ব্যানার্জি তো স্বাধীনতা সংগ্রামী। ব্যানার্জি পরিবারে কেউ আছে কিনা দেখুন সেই সময় তারা স্বাধীনতা সংগ্রামী হবে। আমার পরিবার আপনার পরিবার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী এরা কিছু করেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার পরিবার মিলে বাংলাকে স্বাধীন করে দিয়েছিল।

রাজ্যের রাস্তার বেহাল অবস্থা নিয়ে বলেন, আমি মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করবো তার এক ভাইপোর পাহাড়ে বিয়ে হওয়াতে তিনি সেখানে গেলেন রাস্তাঘাট ঠিক হল। আমি চাইবো মুখ্যমন্ত্রী এরকম আরো অনেক ভাইপো থাকুক তারা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিয়ে করুক তাহলে রাস্তাগুলো ঠিক হয়ে যাবে। আরো কিছু ভাইপো বানান তাহলে ভালো হবে।

রেশন দুর্নীতি মামলা ইডির চার্জশিট প্রসঙ্গে বলেন, ইডির চার্জশিটে ১০০ কোটির দুর্নীতির যে কথা বলা হয়েছে আমার মনে হয় তার থেকে অনেক বেশি। তদন্তের গতি প্রকৃতি আগামী দিনে প্রমাণ করবে এই দুর্নীতি হাজার কোটির কমে হবে না। বিপুল পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে এবং সব চোরদের জেলে যাওয়া উচিত। যাদের আমার চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি সে বাকিবুর রহমান হোক বা বালু মল্লিক হোন না কেন এরা শুধু ছোটখাটো লোক, এদের উপরে আরো মাথা আছে। বালু মল্লিকের এত সাহস নেই যে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে না জানিয়ে এত বড় ঘোটালা করে ফেলবেন, চুরি করে ফেলবেন।

কলকাতা পুরসভায় মাইনে না হওয়া প্রসঙ্গে বলেন, কলকাতা পৌরসভার বেতন দিতেও যদি কেন্দ্র সরকারের টাকার প্রয়োজন হয় তাহলে সেই রাজ্য সরকারকে স্টেপ ডাউন করা উচিত। একটা কর্পোরেশনের এবং সেটা রাজধানীর কর্পোরেশন তার যদি মাইনে না দিতে পারেন এরকম অপদার্থ সরকার থাকার থেকে না থাকা ভালো।

খাস কলকাতায় পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন কনস্টেবল

ফের বেপরোয়া লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক পুলিশ কনস্টেবলের। নাইট ডিউটি করে ফিরছিলেন ওই কনস্টেবল। তখনই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত কনস্টেবলের নাম অভিজিত্‍ চক্রবর্তী।

বাইকে করে অভিজিত্‍বাবু যখন রাজা দীনেন্দ্র স্ট্রিট ও বিবেকানন্দ রোডের সংযোগস্থলে আসেন, তখন উল্টোদিক থেকে আসা একটি মালবোঝাই লরি তাঁকে ধাক্কা মারে। লরি চাকা অভিজিত্‍বাবুর মাথার ওপর দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে ওই পুলিশ কনস্টেবলের। পুলিশ এখনও ধাতক লরিটিকে ধরতে পারেনি। ধাতক লরিটির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

ICU থেকে কেবিনে স্থানান্তরিত হলেন কালীঘাটের কাকু

আইসিইউ থেকে বের করা হল কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতেই বের করে আনা হয়েছে সুজয়কৃষ্ণকে। এখন কেবিনেই রাখা হয়েছে তাঁকে। সুজয়কৃষ্ণের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তবে কালীঘাটের কাকুর সুস্থতা এখনই আশ্বস্ত করতে পারছে ইডিকে।

হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, এখনই কালীঘাটের কাকুর অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির প্রয়োজন নেই। তিন সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ। ১১৩ দিন ধরে এসএসকেএম হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছেন তিনি। ইডি সূত্রে খবর, কালীঘাটের কাকুকে এবার এসএসকেএম থেকে বার করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। কিন্তু আদালতের নির্দেশ ছাড়া সেই কাজ সম্ভব নয়। ইডি আধিকারিকরা এই বিষয়ে এবার আইনি পরামর্শ নিতে শুরু করেছেন। সুজয়কৃষ্ণকে এসএসকেএম থেকে বের করে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায় কিনা, ভেবে দেখছেন ইডি আধিকারিকরা।

উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীত মামলায় কালীঘাটের কাকুর কন্ঠস্বরের নমুনা এখনও সংগ্রহ করতে পারেনি ইডি আধিকারিকরা। হাসপাতালে সুজয়কৃষ্ণ বার বার অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেই কাজ সম্ভব হয়নি কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের। গত শুক্রবার কালীঘাটের কাকুকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি সেরে ফেলেছিল ইডি। সেইমতো এসএসকেএমে পৌঁছে গিয়েছিল অ্যাম্বলেন্সও। কিন্ত সুজয়কৃষ্ণকে হাসপাতাল থেকে বের করা সম্ভব হয়নি।

পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণ সাতসকালে চা বাগানে ঘোরাফেরা করছে হাতি

এসবি নিউজ ব্যুরো: জঙ্গলে বেড়াতে গিয়ে বন্য প্রাণী কেনা চায়।পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণ সাতসকালে চা বাগানে ঘোরাফেরা করছে হাতি। খবর চাউর হতেই হাতি দেখতে মানুষের ভিড় উপচে পরলো। ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের বাতাবাড়ি চা বাগানের ঘটনা।

এদিন সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত হাতিটি চা বাগানে ঘোরাফেরা করে। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের তারায় হাতিটি সংলগ্ন খরিয়ার বন্দর জঙ্গলে চলে যায়। জানা যায়, মঙ্গলবার গভীর রাতে হাতিটি চা বাগানে ঢুকে পড়ে। এরপর হাতিটি রাতভর বাগানের বিভিন্ন শ্রমিক মহল্লায় ঘুরে বেড়ায়। বুধবার সকালে বাগানের লোকজন বাগানের ১৫ নম্বর সেকশনে হাতিটিকে ঘোরাফেরা করতে দেখে।

হাতিটি দীর্ঘক্ষণ বাগানের এদিক ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। পরে হাতিটি বাগানের হাসপাতালের পাশ দিয়ে চলে যায় খড়িয়ার জঙ্গলে। এর আগেও চা বাগানে হাতি ঢুকে বহু ঘর বাড়ি ভেঙ্গেছে। চালসা রেঞ্জার প্রকাশ থাপা বলেন, "জঙ্গলে হাতি থাকার বিষয়টি খুনিয়া স্কোয়াডকে জানানো হয়েছে। চালসা রেঞ্জের বনকর্মীরাও হাতিটির উপরে নজর রাখছে।"