*জঙ্গলের রাস্তায় হাতি, বন্ধ থাকলো সাফারি, ক্ষোভ পর্যটকদের*

এসবি নিউজ ব্যুরো: শীত পড়তে শুরু করেছে ।স্বাভাবিকভাবেই ডুয়ার্সে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। আর অন্যান্য দিনের মতোই এদিনও বিকেলে গরুমারা গেট দিয়ে যাত্রাপ্রসাদের সাফারির জন্য বেরিয়ে ছিলেন পর্যটকরা। গরুমারা গেট দিয়ে যাত্রাপ্রসাদের প্রবেশের সময় ছিল বিকেল তিনটা। কিন্তু বিকেল তিনটা থেকে গরুমারা গেটে আটকে রাখা হয় সাফারিতে থাকা পর্যটকদের জন্য। গরুমারা গেটে থাকা বনকর্মীদের কাছে পর্যটকরা জানতে চান কি কারণে সাফারি দেরি হচ্ছে।

পর্যটকদের দাবি বনকর্মীরা এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। যে কারণে বনকর্মীদের সঙ্গে এক প্রকার বচসা শুরু হয়ে যায় পর্যটকদের। বনকর্মীরা প্রায় এক ঘন্টা পর পর্যটকদের চাপড়ামারীতে সাফারির কথা বলেন পর্যটকদের। এদিকে ততক্ষণে অনেকটা দেরী হয়ে যাওয়ায় চাপড়ামারিতে সাফারি করতে চায়না পর্যটকরা। ঘটনায় আরো উত্তেজিত হয়ে পড়ে পর্যটকরা । টাকা দিয়ে টিকিট কেটে এবং সাফারিতে বেড়িয়েও সাফারি করতে না পারায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন পর্যটকরা। পরবর্তীতে গরুমারা গেটে দায়িত্বে থাকা বনকর্মীরা পর্যটকদের জানায়, জঙ্গলের রাস্তায় একটি হাতি মস্তিতে রয়েছে তাই এ সময়ে পর্যটকদের প্রবেশ বিপদজনক হতে পারে যেকারণে আজকে সাফারি হবে না । পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে আসেন গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও দ্ধিজপ্রতিম সেন। তিনি এসে পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পর্যটকদের বোঝান যে এ সময় কোনোভাবেই যাত্রাপ্রাসাদের সাফারি সম্ভব নয়। যেকোনো সময় মস্তিতে থাকা হাতিটি আক্রমণ করতে পারে।

তাছাড়া এরপাশেই গতকালও একজনকে হাতি মেরে ফেলেছে। তাই আপনাদের নিরাপত্তা স্বার্থেই আজকের সাফারি বন্ধ থাকবে। এরপর ডিএফও পর্যটকদের বলেন, যদি মস্তিতে থাকা হাতিটি সড়ে যায় তাহলে প্রয়োজনে আপনাদের কালকে এখানে সকালে জঙ্গলে সাফারি করানো হবে বা আপনারা যদি অনেকে টিকিটের দাম ফেরৎ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এমনকি অন্য জায়গায় সাফারিতে যেতে চাইলেও ব্যবস্থা করা হবে।

*তিন বিধানসভা কেন্দ্রের এই জয় নজিরবিহীন: মোদী*


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী এবং মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে এগিয়ে থাকায় দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে পৌঁছেছেন। 

বিজেপি সদর দফতরে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, "আজকের জয় ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন। 'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ'-এর আইডিয়া আজ জিতেছে। আজ আত্মনির্ভর ভারতের সংকল্পের জয় হয়েছে, বঞ্চিতদের অগ্রাধিকারের ধারণার জয় হয়েছে, দেশের উন্নয়নের জন্য রাজ্যগুলোর উন্নয়নের ধারণার জয় হয়েছে।"

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন, "এই নির্বাচনে জাতপাতের ভিত্তিতে দেশকে বিভক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমি বলতে থাকি যে আমার কাছে চারটি জাত গুরুত্বপূর্ণ - নারী শক্তি, যুব শক্তি, কিসান এবং গরিব পরিবার।"

*দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা জনসমর্থন পেয়েছি: মোদী*


তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভের পর দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে পৌছিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার সেখান থেকেই দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেন তিনি। মোদী বলেন,"দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপির লড়াইয়ে প্রচুর জনসমর্থন মিলছে। ভোটাররা জানিয়ে দিচ্ছেন, দুর্নীতিগ্রস্তদের পাশে তাঁরা নেই। কেন্দ্রীয় এজেন্সিদের যাঁরা দুর্নাম করেন, তাঁদের পাশে মানুষ নেই।"

পাশাপাশি উন্নয়ন প্রকল্প নিয়েও মুখ খুললেন মোদী। তিনি বলেন, "ভারতের কোনও নাগরিক আমাদের উন্নয়নযাত্রায় পিছিয়ে পড়বেন না। সবার জন্য সরকার। সবার জন্য উন্নয়ন। যেখানে বিশ্বাস খতম হয়, সেখানে মোদীর গ্যারান্টি শুরু হয়। " মোদী এও জানান, আজকের এই জয়ে আমাদের দায়িত্ব আরোও বেড়ে গেল। 

প্রসঙ্গত, যখন কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিয়ে বারংবার সরব হয়েছে বিরোধী শিবির। তাদের দাবি, কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বিরোধী শিবিরকে দমাতে পারবে না গেরুয়া শিবির। তবে, এদিনের নির্বাচনে পদ্মের বিপুল জয়ে খানিকটা চাপে পড়ছে বিরোধী শিবিরের একাংশ।

জয়ের দোরগোড়ায় পৌছিয়েছে BJP: জে পি নাড্ডা

তিন বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া ঝড়। এবার তা নিয়েই ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতি জে পি নাড্ডা। তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী মোদি 'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস অর সবকা প্রয়াস' ধারণা এগিয়ে চলছে। এক নয়, একের পর এক ভোটে জয়ের দোরগোড়ায় বিজেপিকে পৌঁছে দিয়েছেন মোদী।"

কংগ্রেসকে আক্রমণ করে নাড্ডা বলেন, "ওবিসিকে গালি দেওয়া মানে প্রধানমন্ত্রীকেই গালি দেওয়া। পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মানুষকে অপমান করা।" তবে এদিনের বক্তব্যের শেষে ৩ বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ের জন্য দলীয় আধিকারিকদের শুভেচ্ছা জানালেন নাড্ডা।

পরাজয়ের পর পদত্যাগপত্র জমা দিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী

নির্বাচনে পরাজয়ের পর রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট রাজ্যপাল কালরাজ মিশ্রের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। জানা গিয়েছে,বিজেপি ১০৪ টি আসন জিতেছে এবং বর্তমানে ১১ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।

কল্যাণীতে এক বিজেপি কর্মী কে নির্মম অত্যাচার করার প্রতিবাদে এবং শাস্তির দাবিতে শান্তিপুরে দক্ষিণ জেলা বিজেপি যুব মোর্চার রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে

নদীয়া:কল্যাণীতে গত দুদিন আগে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব মিহির বিশ্বাসের ওপর নির্মম আক্রমণ নেমে এসেছিলো। সে বিষয়ে স্থানীয় বিজেপির নেতৃত্ব জানান তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী নির্মমভাবে তাকে হত্যা করতে উদ্ধত হয় শুধুমাত্র বিরোধীদল করার জন্য। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ একাধিক নেতৃত্ব পরিবারের সাথে কথা বলে এবং স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বর সাথে কথা বলে।

সেই মোতাবেক একটি অভিযোগ পত্র দায়ের করা হয়। কিন্তু মূল দোষীদের আড়াল করছে পুলিশ প্রশাসন এমনই অভিযোগ তুলে গতকাল এবং আজ ভারতীয় জনতা পার্টি যুব মোর্চার পক্ষ থেকে দফায় দফায় নদীয়ার বিভিন্ন এলাকায়, রাস্তায় জ্বালিয়ে পথ অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল ধিক্কার সভা প্রতিবাদ মিছিল আয়োজন করে।

আজ নদিয়া জেলার শান্তিপুর ডাকঘর মোড়ে এমনই এক প্রতিবাদী বিক্ষোভ সভায় রাস্তায় আগুন জালিয়ে প্রতিবাদ করা হয় বেশ খানিকক্ষণ অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয় শহরের মূল রাজপথ।

নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি যুব মোর্চা সভাপতি সুকান্ত বিশ্বাস, এই বিক্ষোভ সভার নেতৃত্ব দেন, উপস্থিত ছিলেন পুরসভার 2 কাউন্সিলর মহানন্দ বিশ্বাস এবং বলরাম ঘোষ, শান্তিপুরের বিভিন্ন যুব মোর্চা নেতৃত্ব সহ ছাত্র শ্রমিক মহিলা সহ বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। অবরোধ প্রায় আধঘন্টা চলার পর শান্তিপুর থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী এসে তাদের সাথে কথা বলেন এবং যান চলাচল স্বাভাবিক করেন। বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি সুকান্ত বিশ্বাস বলেন, তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীরা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে বিভিন্ন দিকে সন্ত্রাস চালাচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দল করার কারণে, আর তারই বার্তা হিসেবে আজ নদীয়ার শান্তিপুরে এই প্রতিবাদ।

এখানকার পুলিশ প্রশাসন কেউ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোন বিজেপি কর্মী সমর্থক কে হেনস্থা অথবা অপমানজনক মন্তব্য কিংবা মারধর করা হলে যুব মোর্চার হাজার হাজার সদস্যরা ছেড়ে কথা বলবেনা। অন্যদিকে কল্যাণীর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দোষীদের শাস্তির দাবি করেছে শান্তিপুরের যুব মোর্চার সদস্যরা এই বার্তা যেন তারা ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তৃপক্ষকে।

কেন্দ্রীয় সরকারের বাংলাকে বঞ্চনার প্রতিবাদে মহামিছিল রামপুরহাটে

এসবি নিউজ ব্যুরো: ১০০ দিনের বকেয়া টাকা,আবাস যোজনার বকেয়া টাকা কেন্দ্রীয় সরকারের বাংলাক দিচ্ছে না।এই বঞ্চনার প্রতিবাদে মহামিছিল অনুষ্ঠিত হল রামপুরহাট শহর দলীয় কার্যালয় থেকে রামপুরহাট জুড়ে একটি মহা মিছিল করা হয়। মিছিলটি শহর পরিক্রমা করে পাঁচ মাথা মোড়ে শেষ হয় । রামপুরহাট শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সৈনিকরা নিজ নিজ ওয়ার্ডের থেকে এসে মিছিলে যোগদান করেন।

মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক তথা বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান আশীষ ব্যানার্জি ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিবহন দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ ও আরো অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।

সমাজকল্যাণ দপ্তরের সহযোগিতায় প্রতিবন্ধকতা যুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে আন্তর্জাতিক দিবস পালন

এসবি নিউজ ব্যুরো: উত্তর দিনাজপুর জেলা সমাজ কল্যাণ দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় নারী ও শিশু বিকাশ এবং সমাজকল্যাণ দপ্তরের সহযোগিতায় প্রতিবন্ধকতা যুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে আন্তর্জাতিক দিবস পালন করা হল রবিবার। রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় অবস্থিত সূর্যোদয় হোম ফর ডিফ অ্যান্ড ডাম্ফ এ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) মানস কুমার মন্ডল, রায়গঞ্জ পৌরসভার পৌরপ্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের নাচ ,গান সহ বিভিন্ন সংস্কৃতি কার্যকলাপের মধ্যে দিয়ে দিনটিকে উদযাপন করা হয়। এই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষগুলির ভালো থাকা ও সুস্থতা কামনা করে প্রশাসনের তরফ থেকে তাদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক মানস কুমার মন্ডল।

4 State poll results trends

এসবি নিউজ ব্যুরো: মধ্য প্রদেশ , রাজস্থান , ছত্তীসগঢ় ও তেলেঙ্গানায় বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গননা শুরু হয়েছে সকাল ৮ থেকে।

প্রাথমিক পর্যায়ে:

রাজস্থান.... বিজেপি 115, কংগ্রেস 70 , BSP 2 othe 12

ছত্তীসগঢ়....বিজেপি 56, কংগ্রেস 34

তেলেঙ্গানায়..... কংগ্রেস 69,বি আর এস 39 BJP 9 MIM 6, Other 1

মধ্য প্রদেশ.....বিজেপি 165, কংগ্রেস 64 other 1

*চার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পরই টুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী*

তিন রাজ্যে পদ্ম ফুটলেও তেলেঙ্গানা অধরা থেকে গেল বিজেপির। এদিকে এই নিয়ে এবার বড় দাবি করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ।

তিনি আজ এক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘তেলেঙ্গানায় আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আপনাদের সমর্থনের জন্য অনেক ধন্যবাদ। বিগত কয়েক বছর ধরে, আমাদের সমর্থন ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই প্রবণতা অদূর ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। তেলেঙ্গানার সঙ্গে আমাদের বন্ধন অটুট থাকবে এবং আমরা জনগণের জন্য কাজ করে যাবো। আমি প্রতিটি বিজেপি কর্মীর অপরিসীম প্রচেষ্টার প্রশংসা করছি।‘

প্রধানমন্ত্রী টুইটে আরও লেখেন, "মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ের নির্বাচনের ফলাফল দেখায় যে ভারতের মানুষের কেবল সুশাসন ও উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাস রয়েছে।তাদের বিশ্বাস বিজেপির উপর। আমি এই সমস্ত রাজ্যের পরিবারের সদস্যদের, বিশেষত মা, বোন, কন্যা এবং আমাদের তরুণ ভোটারদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই বিজেপির প্রতি তাদের ভালবাসা, বিশ্বাস এবং আশীর্বাদ বর্ষণ করার জন্য।“