*তাপপ্রবাহের জেরে আগামিকাল থেকে পড়ছে গরমের ছুটি, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর*

প্রচন্ড গরমে নাজেহাল রাজ্যবাসী। ইতিমধ্যেই তাপমাত্রার পারদ পৌঁছিয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। তার ওপর বইছে লু। এই পরিস্থিতিতে বাড়ির বাইরে বেরনো মুশকিল হয়ে পড়েছে। আর এসব কথা ভেবেই রবিবার বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার থেকেই রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা বন্ধ করার ঘোষণা করলেন তিনি। শনিবার পর্যন্ত চলবে এই ছুটি।শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে রাজ্য সরকারের তরফে। শনিবার ঈদের জন্য বন্ধ থাকবে সমস্ত সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে পুরো সপ্তাহটাই ছুটি থাকছে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলিকেও ছুটি দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

*সভা থেকে অমিত শাহকে আক্রমণ করলেন ফিরহাদ হাকিম*

সিউড়ির সভা থেকে গরু পাচার মামলা নিয়ে সুর চড়ালেন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম। সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের ওপর দায় চাপিয়ে তিনি বলেন, ''বিএসএফ অনুপ্রবেশকারী ঢোকালে তার দায় আপনার।গরুর টাকা নিয়েছে উত্তর প্রদেশের বিজেপি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আর বিএসএফের রক্ষাকর্তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।''

*বাংলায় এনকাউন্টারে মেরে ফেলা হয় না! সুর চড়ালেন ফিরহাদ*

আতিক আহমেদের মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে বীরভূমের সভা থেকে সুর চড়ালেন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম। বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, ''উত্তরপ্রদেশের মতো বাংলায় এনতাউন্টারে মেরে ফেলা হয় না।'' প্রসঙ্গত, তিহার জেলে গরু পাচার মামলায় বন্দি বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

তার গড়ে সভা করে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রবিবার পাল্টা সভা করছে তৃণমূল। অনুব্রতর গড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধ নীতির প্রতিবাদে এই সভার দায়িত্ব ফিরহাদ হাকিমকে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই যোগী রাজ্যে এনকাউন্টার নিয়ে এক হাত নিলেন তিনি।

*বইছে লু, ঝরছে ঘাম! জেনে নিন আজকের আবহাওয়া*


‘লু’-র দাপট আর রোদের তেজে জ্বলছে পশ্চিমবঙ্গ। ৪২ ডিগ্রিতে পানাগড়। ৪১ ছুঁয়ে ফেলেছে বাঁকুড়া, বর্ধমান, সল্টলেক। সাত বছর পর গ্রীষ্মের শুরুতেই চল্লিশে কলকাতা।আপাতত সোমবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা। আরও লম্বা হতে পারে গরমের ইনিংস।

বৃষ্টির কোনও আশা নেই, এমনই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতরের । রবিবার রাজ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৪১.৯ °সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ৩১.৫° সেলসিয়াস। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে ৪৩ ডিগ্রি ছুঁই-ছুঁই।

*আজকের রাশিফল ১৬ই এপ্রিল (রবিবার) *


মেষ: সুসংবাদ পাবেন। পরিবারের কোনো সদস্য সাফল্য লাভ করবেন।লেনদেনের সময় সতর্ক থাকুন। ঋণের টাকা ফিরে পাবেন।

বৃষ: সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবেন। ব্যবসার পরিস্থিতি ভালো থাকবে। বয়স্কদের স্বাস্থ্যে ওঠানামা থাকতে পারে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দিন কাটাবেন। আত্মীয়দের পক্ষ থেকে সুসংবাদ পাবেন।

মিথুন: তরুণ-তরুণীদের ক্যারিয়ার অগ্রসর হবে। ব্যবসার পরিস্থিতি ঠিক থাকবে। বন্ধু বা আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা হতে পারে। অধিকাংশ দায়িত্ব পূর্ণ করতে পারবেন।

কর্কট: ব্যবসায় সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। অফিসে সহকর্মীর সহযোগিতা লাভ করবেন। কারো কথায় কষ্ট পেতে পারেন। কথাবার্তার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন।

সিংহ: জীবনসঙ্গীর সাহায্য লাভ করবেন। লোন সংক্রান্ত কাজ পূর্ণ হবে। ব্যবসা বাড়ানোর কথা চিন্তা-ভাবনা করবেন। সামাজিক দায়িত্ব লাভ করবেন।

কন্যা: সহজেই কাজ পূর্ণ করবেন। দাম্পত্য জীবন ভালো কাটবে। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কে মাধুর্য বাড়বে। অবিবাহিতরা বিয়ের প্রস্তাব পেতে পারেন।

তুলা: পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতা লাভ করবেন। পড়ুয়াদের সমস্যা দূর হবে। বিশেষজ্ঞদের সাহায্য লাভ করবেন। জমি সংক্রান্ত বিবাদের সমাধান হবে। অপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যয় করবেন না।

বৃশ্চিক: আর্থিক লাভ হতে পারে। বিরোধীরা শান্ত থাকবে। অফিসের দায়িত্ব পূর্ণ করবেন। অনেক দিন পর পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হতে পারে।

ধনু: ব্যবসা ভালো চলবে। লেনদেনের সময় সম্পূর্ণ তথ্য যাচাই করে নিন। স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। পড়ুয়াদের অধিক পরিশ্রম করতে রবে।

মকর: আর্থিক সমস্যা দূর হবে। চাকরিজীবীরা পদোন্নতির সংবাদ পেতে পারেন। দাম্পত্য জীবনে আনন্দ থাকবে। নতুন কাজ শুরু করতে পারেন।

কুম্ভ: আর্থিক পরিস্থিতি ভালো থাকবে। কোনো দায়িত্ব পূরণে আলস্য করবেন না। অহেতুক কোনো বিবাদে জড়াবেন না। প্রায় সব কাজ পুরো হবে।

মীন: সামাজিক দায়িত্ব লাভ করতে পারেন। মানসম্মান বাড়বে। বিরোধীদের থেকে সতর্ক থাকুন। অসহায় ব্যক্তির সাহায্য করবেন।

*গোপাল দলপতির বাড়িতে ফের সিবিআই হানা*


নিজেকে 'সুবোধ' বলে দাবি করলেও ইডি-র নজরে ছিলেন গোপাল দলপতি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গোপাল দলপতির বিরুদ্ধে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য রয়েছে ইডি-র চার্জশিটে। এবার তাঁর পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালাল সিবিআই।

বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনেই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের কণ্ঠে শোনা গিয়েছিল গোপাল দলপতির দ্বিতীয় স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। যদিও সেই সময় হৈমন্তীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন গোপাল। তাঁর দাবি ছিল, হৈমন্তী এই বিষয়ে কিছু জানেন না। একইসঙ্গে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হতে চলেছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

*বিশেষ নিবন্ধ* নববর্ষ, নতুন ধানের মত


ড. অরবিন্দ শীট

রবীন্দ্রনাথের আগমনী গান ‘এসো হে বৈশাখ এসো হে, এসো হে’-এর মাধ্যমে নতুন বর্ষকে বরণ করা হয়।বাংলার ছয়টি ঋতুর মধ্যে দিয়ে দুটি করে বারোটি মাস আবর্তিত হয়। নতুন বছরের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ…….. নববর্ষ বলে বরণ করে নেওয়া হয় এ দিনটিকে। নতুন সব জিনিসেরই আলাদা একটা বৈচিত্র্য আছে। নববর্ষ আসে তারুণ্যের প্রদীপ্ত প্রদীপ হাতে নিয়ে। আমাদের জীবনে ঐতিহ্যপূর্ণ এই দিনটি বছরের অন্য সব দিন থেকে সম্পূর্ণ আলাদাভাবে ধরা দেয়।

খাজনা আদায়ে সুবিধার জন্য মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তিনি মূলত প্রাচীন বর্ষপঞ্জিতে সংস্কার আনার আদেশ দেন। সম্রাটের আদেশে রাজকীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সেন এবং আরবি হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম প্রবর্তন করেন।

আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন শুরু হয়। তখন প্রত্যেককে বাংলা চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে বাধ্য থাকত। এর পর দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে ভূমির মালিকরা নিজ নিজ অঞ্চলের অধিবাসীদেরকে মিষ্টান্ন দ্বারা আপ্যায়ন করতেন।

ইংরেজি ক্যালেন্ডারের ১৪ বা ১৫ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পয়লা বৈশাখ হিসেবে পালিত হয়। জর্জিয়ান ক্যালেন্ডারের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় বাংলা নববর্ষ পালিত হয়।

বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন বৈশাখ। কৃষিভিত্তিক আমাদের এই দেশের সব আনন্দ উৎসবের নিবিড় যোগ রয়েছে ফসলের সঙ্গে। আমাদের নববর্ষের সাথেও সম্পৃক্ত রয়েছে ফসল বোনার আনুষ্ঠানিকতা। চৈত্র মাসে ফসল বুনলে ফলনের দিক থেকে ভালো হয় না এমন ধারণার বশবর্তী হয়ে বাংলার কৃষক সমাজ বৈশাখ মাসে ফসল বোনার সূচনা করে। তাছাড়া পহেলা বৈশাখে বাঙালিরা অতীতের সুখ-দুঃখ ভুলে নতুনের আহ্বানে সাড়া দেয়। নতুনকে গ্রহণ করার জন্য উদ্দীপ্ত হয়। তাই পহেলা বৈশাখকে নববর্ষ বলা হয়।

বর্তমানে নগরজীবনে নগর-সংস্কৃতির আদলে অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে নববর্ষ উদযাপিত হয়। পয়লা বৈশাখের প্রভাতে উদীয়মান সূর্যকে স্বাগত জানানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় নববর্ষের উৎসব। এ সময় নতুন সূর্যকে প্রত্যক্ষ করতে উদ্যানের বা লেকের ধারে ভোরবেলা নগরবাসীরা সমবেত হয়। নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করে। এদিন সাধারণত সকল শ্রেণীর এবং সকল বয়সের মানুষ ঐতিহ্যবাহী বাঙালি পোশাক পরিধান করে।

বাংলা নববর্ষ ও চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে উপজাতীয়দের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয়-সামাজিক উৎসব ‘বৈসাবি’ আনন্দমুখর পরিবেশে পালিত হয়। এটি পাহাড়িদের সবচেয়ে বড় উৎসব। এ উৎসবকে চাকমারা ‘বিজু’, মারমারা ‘সাংগ্রাই’ এবং ত্রিপুরারা ‘বৈসুক’ বলে আখ্যা দিলেও গোটা পার্বত্য এলাকায় তা ‘বৈসাবি’ নামে পরিচিত।

আমাদের জাতীয় চেতনা অর্থাৎ বাঙালি সত্তার সঙ্গে পহেলা বৈশাখের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। বাঙালি সমাজ-সংস্কৃতির অস্থিমজ্জার সঙ্গে একাকার হয়ে আছে বাংলা নববর্ষের মাহাত্ম। রূপকথার জিয়ন কাঠির মর্মস্পর্শে দূরীভূত হয় পুরানো দিনের সকল জরাজীর্ণতা। নতুনের ছোঁয়ায় রঙিন হয়ে ওঠে বাঙালির ক্লান্ত-শ্রান্ত জীবন। প্রতিবছর এ দিনটি আমাদের সামনে হাজির হয় নতুনের বার্তা- আশার আলো নিয়ে। তাই জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের কাছেই দিনটি হয়ে উঠে উৎসবমুখর।

পহেলা বৈশাখ-ই একমাত্র উৎসব যা কোনো ধর্ম বা গোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি গোটা জাতির তথা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অখণ্ড বাঙালি জাতির উৎসব। পহেলা বৈশাখের অনুষঙ্গে দেশের সকল মানুষ একই সময় অভিন্ন আনন্দ-অনুভূতিতে উদ্বেল হয়ে পড়ে। তারা নিজেদের মনে করে এক অখণ্ড সত্তা রূপে। ফলে জাতিগত সংহতি ও ঐক্য সুদৃঢ় হয়ে মানুষে মানুষে, ধর্মে ধর্মে, বর্ণে বর্ণে দূরত্ব কমে আসে। নববর্ষ পরিণত হয় একটি সার্বজনীন অনুষ্ঠানে।

আজ নববর্ষের এই শুভক্ষণে, আসুন, কবিকণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে আমরা বলি, “যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাবো সব জঞ্জাল, এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার”।

*বাসের ভাড়া অপরিবর্তি থাকবে ঘোষণা হাইকোর্টের*


বেসরকারি বাসে উঠলেই কোনও যাত্রীর থেকে ন্যূনতম দশ টাকা ভাড়া আর নেওয়া যাবে না। কলকাতা হাইকোর্টের কড়া নির্দেশ, সরকার যতদিন না ভাড়া বাড়ানোর নতুন বিজ্ঞপ্তি দিচ্ছে, ততদিন পুরোনো হারেই অর্থাৎ ন্যূনতম হিসেবে সাত টাকা ভাড়াই নিতে হবে বাসগুলিকে।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ২০১৮ সালে যে ভাড়া সরকার নির্ধারণ করেছিল, সেই ভাড়াই নিতে হবে বেসরকারি বাস ও মিনিবাসগুলিকে। কোথাও বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পেলে পরিবহণ দপ্তরকে পদক্ষেপ করতে হবে সেই বাসের বিরুদ্ধে।

*তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিভাস অধিকারীর বাড়িতে সিবিআই হানা*


এবার বিভাস অধিকারীর বাড়িতে সিবিআই। সূত্রের খবর, নববর্ষের সকালে বিভাসের বীরভূমের নলহাটির বাড়িতে হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি দল। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। শনিবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার-সহ একটি দল নলহাটির কৃষ্ণপুরে বিভাসের বাড়িতে হানা দেয়। সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে বিভাসের আশ্রমেও যায় সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, বাড়িতেই রয়েছেন বিভাস। সিআরপিএফ নিয়ে চলছে তল্লাশি। বিভাস নলহাটি-২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি।

শুধু নলহাটিতেই নয়, কলকাতার ঠিকানাতেও পৌঁছে গিয়েছে সিবিআই। শিয়ালদহের ডাক্তার কার্তিক বোস স্ট্রিট। সেখানে বিভাসের ফ্ল্যাট। সেই ফ্ল্যাটে সিবিআই তল্লাশি চলছে। সেখানেই বিভাসের বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সিটি অফিস রয়েছে।

*জানেন আজকের দিনকে কেন হালখাতা উৎসব বলে*


বাঙালি ঐতিহ্যর এক সুপ্রাচীন এবং গৌরবমণ্ডিত অধ্যায় নববর্ষ। কালের যাত্রাপথ ধরেই উদযাপন এবং রীতিপালনের প্রথা চলে আসছে। আর এই পয়লা বৈশাখের অন্যতম অনুসঙ্গ- হালখাতা। যদিও এ যে কেবল বাঙালিরই তা নয়। এতে ছোঁয়া রয়েছে নবাবি ইতিহাসেরও। যদিও এখন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফিকে হয়েছে হালের হালখাতা। এ কথা অবশ্য বলে গিয়েছিলেন, কালীপ্রসন্ন সিংহই। তাঁর ‘হুতোম প্যাঁচার নকশা’য় তিনি লিখেছিলেন, নতুন খাতাওয়ালারাই নতুন বৎসরের মান রাখেন।

নতুন হিসেবের সূচনার পাশাপাশি হালখাতার আলাদা একটি ইতিহাস রয়েছে। ‘হাল’ শব্দটি সংস্কৃত এবং ফরাসি– উভয় ভাষা থেকে আসলেও অর্থগত দিক থেকে এর ভিন্নতা রয়েছে। সংস্কৃত শব্দ ‘হাল‍’ এর অর্থ ‘লাঙল‍’। অন্যদিকে, ফারসি শব্দ 'হাল‍’ এর অর্থ হচ্ছে ‘নতুন‍’। বাঙালি সমাজে ‘হালখাতা‍‍’র ক্ষেত্রে এই দুটো অর্থই প্রাসঙ্গিক। তবে ইতিহাস অনুযায়ী, লাঙলের ব্যবহার শেখার পর মানুষ স্থায়ী বসতি গড়ে তোলে। লাঙলের ব্যবহার শেখার পর‌ই কৃষিজাত দ্রব্য বিনিময়ের প্রথাও শুরুও হয়। লাঙল দিয়ে চাষের ফলে উৎপন্ন দ্রব্য বিনিময়ের হিসেব যে বিশেষ খাতায় লিখে রাখা হত, সেই খাতার‌ই নাম ছিল ‍‍`হালখাতা‍‍`।