आमजन को जागरूक करने और शिक्षित बेरोजगारों को स्वरोजगार की स्थापना के लिए एक दिवसीय जागरूकता कार्यक्रम का आयोजन*
सुलतानपुर,उ0प्र0 खादी तथा ग्रामोद्योग बोर्ड ग्रामोद्योगिक इकाईयों की स्थापना के लिए आमजन को जागरूक करने और शिक्षित बेरोजगारों को स्वरोजगार की स्थापना के लिए एक दिवसीय जागरूकता कार्यक्रम का आयोजन पंचायत भवन कुड़वार परिसर में किया गया। ग्रामोद्योग जागरूकता श्रृंखला के तहत स्वयं सहायता समूह की महिलाओं के बीच आयोजित कार्यक्रम में जिला ग्रामोद्योग अधिकारी राम सुरेश यादव ने कहा कि ग्रामीण क्षेत्र में स्वरोजगार को बढ़ावा देने में ग्रामोद्योग विभाग की योजनाओं की महत्वपूर्ण भूमिका है। विभागीय योजनाओं के तहत शिक्षित बेरोजगार युवा अपना उद्यम स्थापित कर राष्ट्र की प्रगति में योगदान कर सकते है। कार्यक्रम की संयोजिका श्रीमती रजनीबाला एवं स्थानीय जन शिक्षण संस्थान के कार्यक्रम अधिकारी श्री रजनीश ने अपने उद्बोधन में जागरूकता कार्यक्रम को उपयोगी व प्रेरणास्पद बताते हुए कहा कि इससे समाज के अन्तिम व्यक्ति के उत्थान में सहायता मिलेगी। उल्लेखनीय है कि ग्रामोद्योग योजनाओं विशेषतः प्रधानमंत्री रोजगार सृजन कार्यक्रम, मुख्यमंत्री ग्रामोद्योग एवं मुख्यमंत्री माटीकला रोजगार योजनाओं और टूल किट्स वितरण के विषय में आमजन विशेष कर युवाओं को प्रेरित करने के उद्देश्य से जागरूकता कार्यक्रमों का आयोजन जनपद में किया जा रहा है। उक्त जागरूकता कार्यक्रमों में विशेषतः कुशल शिक्षित और जिज्ञासु युवाओं को प्राथमिकता के आधार पर आमंत्रित कर विभागीय योजनाओं और शासकीय सहायता की जानकारी प्रदान की जा रही है। कार्यक्रम में विषय विशेषज्ञों आशुतोष मिश्र एवं विभागीय सहायक अनिल कुमार पाण्डेय ने खादी एवं ग्रामोद्योग क्षेत्र के विशिष्ट उत्पाद और कलात्मक नवाचार की जानकारी प्रदान की। इस अवसर पर राम प्रकाश पाल, मनोज कुमार एवं शिवकेश आदि व्यवस्था में लगे रहे।
কাটল না কলকাতার চিংড়িঘাটা মেট্রোর জট
নিজস্ব প্রতিনিধি: আজও কাটল না চিংড়িঘাটা মেট্রোর জট। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে দ্বিতীয় বৈঠকের পরেও মিলল না রফাসূত্র।আদালতের নির্দেশে ১৭ ডিসেম্বর হয় বৈঠক।আরভিএনএল এর আইনজীবীর দাবি,২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের কোনো এক সময় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।রাজ্যের সওয়াল,দশকের পর দশক ধরে কাজ চলছে। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে আরভিএনএল এর অসুবিধা কোথায় ? আরভিএনএল দাবি,মাত্র তিন দিন রাত ১০ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করলেই আমাদের কাজ শেষ হয়ে যাবে। এদিন  ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি পার্থ সারথী সেনের ডিভিশন বেঞ্চের রাজ্যকে নির্দেশ জানুয়ারি মাসে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব কিনা আগামী সোমবার জানান। তবে এদিন বৈঠকে নিজে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। আজ তিনি জানান যে তিনি বৈঠকে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি।
টাটা স্টিল ওয়ার্ল্ড ২৫ কে কলকাতা
নিজস্ব প্রতিনিধি: কর্পোরেট সংস্থা, ব্যক্তিগত উদ্যোগ, দৌড়বিদ ও ৪০টি এনজিও মিলিয়ে টাটা স্টিল ওয়ার্ল্ড ২৫কে কলকাতায় সংগৃহীত হল  ৩২.১২ লক্ষ টাকা।সংগৃহীত এই তহবিল ১২টিরও বেশি সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যয় করা হবে, যা সমাজে অর্থবহ প্রভাব ফেলবে।"টাটা স্টিল ওয়ার্ল্ড ২৫কে" কলকাতার ঐতিহাসিক ১০ম সংস্করণের রেস উইক শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই দৌড় একঘেয়েমিকে রীতিতে এবং পার্থক্যকে উত্তরাধিকারতে রূপান্তরিত করেছে, পূর্ব ভারতের উদীয়মান সূর্য হিসেবে নিজের অবস্থান দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করেছে। ৪৩টি এনজিও, ২৬ জনের বেশি ব্যক্তিগত ফান্ডরেইজার এবং ১০টি কর্পোরেট সংস্থার সহায়তায়, হাজার হাজার দাতার অংশগ্রহণে, টাটা স্টিল ওয়ার্ল্ড ২৫কে কলকাতা এখনও পর্যন্ত দাতব্য খাতে ৩২.১২ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেছে। এই সংস্করণের ফান্ডরেইজিং চলবে ৩ জানুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত।
ইমপ্যাক্ট৩৬০ ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বে, যা এই ইভেন্টের ফিলান্থ্রপি পার্টনার, একটি ‘কারণ-নিরপেক্ষ’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগকে সমর্থন করে আসছে। এই প্ল্যাটফর্ম ব্যক্তি, তরুণ সমাজসেবী ও কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে বৃহত্তর সামাজিক পরিবর্তনের অংশ হতে অনুপ্রাণিত করে এবং এনজিওগুলিকে বাস্তব প্রভাব তৈরিতে সক্ষম করে।২০১৪ সাল থেকে এই প্ল্যাটফর্ম উত্তর-পূর্ব ও পূর্ব ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করা ৭৫টিরও বেশি এনজিওকে সহায়তা করে ৪.৭০ কোটিরও বেশি টাকা সংগ্রহ করেছে, যার ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। এই উত্তরাধিকার কেবল পদক বা ব্যক্তিগত সাফল্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি এক দশকের সামাজিক পরিবর্তন, উদারতার বিস্তার, উন্নততর সম্প্রদায় গঠন এবং গর্বের অনুভূতি তৈরি করেছে। এই আন্দোলন বিশ্ব দূরত্ব দৌড়ের মানচিত্রে কলকাতার নাম খোদাই করেছে।এই সংস্করণের ফিলান্থ্রপি ড্রাইভ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে ইমপ্যাক্ট৩৬০ ফাউন্ডেশনের সিইও দেবাশিস রায় চৌধুরী বলেন,“এই বছর টিএসডব্লিউ২৫কে ‘এক দশকের পার্থক্য’ উদযাপন করছে—বয়স ও সক্ষমতার ঊর্ধ্বে উঠে
অংশগ্রহণমূলক ক্রীড়ার পক্ষে দশ বছরের অঙ্গীকার এবং একই সঙ্গে দাতব্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সামাজিক উদ্যোগে ব্যাপক অংশগ্রহণে অনুপ্রেরণা। ফিলান্থ্রপি পার্টনার হিসেবে কর্পোরেট, সামাজিক সংগঠন, রানার্স ক্লাব ও ব্যক্তিগত দাতাদের অসাধারণ সমর্থনে আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। একসঙ্গে আমরা আগের কয়েক বছরের অবদানকেও ছাড়িয়ে গেছি, যা এই আন্দোলনের পেছনের সম্মিলিত আবেগকে প্রতিফলিত করে।”

ছবি সৌজন্যে: আয়োজক সংস্থা।
বসিরহাটের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আবারও প্রাণ ফেরালো নাটকের উৎসব
নিজস্ব সংবাদদাতা,বসিরহাট : বসিরহাটের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আবারও প্রাণ ফেরাল নাটকের উৎসব। শহরের ঐতিহ্যবাহী রবীন্দ্রভবনে বসিরহাট মহকুমা নাট‍্য উৎসব '২৫ এর শুভ সূচনা হলো জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে। উৎসবের সূচনা করেন পশ্চিমবঙ্গ নাট্য অ্যাকাডেমীর সদস্যা অর্পিতা ঘোষ। শিল্পী, সংস্কৃতিপ্রেমী ও নাট্যকর্মীদের উপস্থিতিতে প্রথম দিন থেকেই উৎসবমুখর হয়ে ওঠে রবীন্দ্রভবন চত্বর।
বসিরহাট পৌরসভার সৌজন্যে এবং উত্তর ২৪ পরগণা জেলা আরটিএ সদস্য সুরজিৎ মিত্র বাদলের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত এই এক সপ্তাহব্যাপী নাট্য উৎসব শুধু শহরকেন্দ্রিক নয়, বরং গোটা জেলার নাট্যচর্চাকে এক মঞ্চে এনে দাঁড় করিয়েছে। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চল ন্যাজাট, কালিনগর ও হাড়োয়া থেকে শুরু করে সীমান্তবর্তী স্বরূপনগর ও কাটিয়াহাটের পাশাপাশি শহর বসিরহাট, টাকি ও বাদুড়িয়া সহ জেলার নানা প্রান্ত থেকে মোট ২০টি নাট্য দল অংশগ্রহণ করছে এই উৎসবে। ফলে গ্রাম ও শহরের নাট্যধারার এক অনন্য মেলবন্ধন তৈরি হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অর্পিতা ঘোষ বলেন, "নাটক শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, সমাজের দর্পণ। আজকের সময়ে এই ধরনের মহকুমা স্তরের নাট্য উৎসব নতুন প্রজন্মকে থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত করতে বড় ভূমিকা নেবে।" তার কথায় উঠে আসে গ্রামবাংলার নাট্যচর্চাকে মূলস্রোতে আনার গুরুত্ব। এই নাট্য উৎসবের সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছেন বসিরহাট পৌরসভার পৌরমাতা অদিতি মিত্র রায়চৌধুরী। আয়োজকদের তরফে জানানো হয়, বসিরহাটকে সাংস্কৃতিক মানচিত্রে আরও উজ্জ্বল করে তুলতেই এই ধরনের উদ্যোগ ধারাবাহিকভাবে নেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় একের পর এক নাট্যপ্রদর্শনী দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়ের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
উৎসবের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হিসেবে নজর কেড়েছে নৈহাটি ব্রাত্যজনের প্রযোজনা 'আনন্দ'। এই নাটকে অভিনয় করেছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক। রাজনীতির ব্যস্ততার মাঝেও তার মঞ্চে উপস্থিতি দর্শকদের মধ্যে বাড়তি আগ্রহ তৈরি করে। শক্তিশালী অভিনয়, ভাবনার গভীরতা ও মঞ্চসজ্জার মাধ্যমে নাটকটি দর্শকমনে গভীর ছাপ ফেলেছে।
সব মিলিয়ে বসিরহাট মহকুমার নাটক উৎসব '২৫ শুধু একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়, বরং বসিরহাটের নাট্যকর্মীদের মিলনমেলা হয়ে উঠেছে। এক সপ্তাহ ধরে চলা এই উৎসবের মাধ্যমে নাটকের ভাষায় উঠে আসছে সমাজ, মানুষ ও সময়ের নানা গল্প। যা বসিরহাটের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করছে।
আগামীদিনে বাংলায় চপ, ঘুঘনি খাওয়ার লোক থাকবে না- অর্জুন সিং
*প্রবীর রায়:* বাংলায় চাকরি নেই। শিল্পতালুক শ্মশানে পরিণত হয়েছে। বাংলা ছেড়ে যেভাবে হিন্দুরা ভিন যাচ্ছে পলায়ন করছে, তাতে আগামীদিনে চপ, ঘুঘনি খাওয়ার লোক থাকবে না। শুক্রবার দুপুরে কাঁকিনাড়ার ফলহারি বাবা মন্দিরের কাছে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরে হাজির হয়ে এমনটাই বললেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। এদিন তিনি বলেন, "কাঁকনাড়ার পেপার মিল বহু বছর ধরে বন্ধ। ধুঁকছে কাঁকিনাড়া জুটমিল-সহ অন্যান্য মিলগুলো।" প্রসঙ্গত, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলায় বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন করা হচ্ছে। অথচ এখনও পর্যন্ত একটাও শিল্প গড়ে ওঠেনি। এপ্রসঙ্গে প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, সম্মেলনের জন্য নিজের আত্মীয় স্বজনদের ঠিকাদারি দেওয়া হয়। সম্মেলনের আয়োজরা সবাই মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে দুটো পত্রিকা অফিস ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগানো হয়েছে। এপ্রসঙ্গে বিজেপি নেতা অর্জুন সিং বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু নিধন চলছে। ওদেশে হিন্দু নিধন রুখতে কেন্দ্রীয় সরকারকে হস্তক্ষেপ করা উচিত। এদিনের রক্তদান শিবিরে হাজির ছিলেন বিজেপির ব্যারাকপুর জেলার সম্পাদক সোহন প্রসাদ চৌধুরী, জেলার এক্সিকিউটিভ সদস্য সঞ্জয় সিং ও সন্তোষ রায়, ভাটপাড়া-২ মন্ডল সভাপতি সুরজ কুমার সিং, প্রাক্তন কাউন্সিলর পল্লবী কুন্ডু, ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি উমেশ রায়,টুম্পা বিশ্বাস, রিতা চক্রবর্তী, শতাব্দী দে রায় প্রমুখ।
एच जेड बी आरोग्यम अस्पताल में निःशुल्क मेगा ब्रेन, स्पाइन एवं नस रोग जांच शिविर का आयोजन

हजारीबाग जिले के प्रतिष्ठित एच जेड बी आरोग्यम अस्पताल द्वारा जनस्वास्थ्य के प्रति अपनी सतत प्रतिबद्धता को आगे बढ़ाते हुए आगामी 21 दिसंबर दिन रविवार को अस्पताल परिसर में निःशुल्क मेगा ब्रेन (मस्तिष्क), स्पाइन एवं नस रोग जांच शिविर का आयोजन किया जा रहा है। यह शिविर सुबह 11 बजे से दोपहर 2 बजे तक संचालित होगा। इस शिविर में रांची के प्रख्यात न्यूरोसर्जन डॉ. विकास कुमार एवं डॉ. आर. के. सिंह द्वारा मरीजों की विशेषज्ञ जांच कर उन्हें आवश्यक चिकित्सकीय परामर्श दिया जाएगा। शिविर के दौरान लगातार या तेज सिरदर्द, चक्कर आना, मिर्गी (दौरे पड़ना), ब्रेन ट्यूमर, दिमाग में खून का थक्का, सिर में चोट के बाद उत्पन्न समस्याएं, लकवा (पैरालिसिस), आंख, मुंह अथवा चेहरे के लकवे जैसी गंभीर बीमारियों की जांच की जाएगी। इसके साथ ही गर्दन दर्द, गर्दन हिलाने में कठिनाई, कमर एवं पीठ दर्द, रीढ़ से संबंधित रोग, स्लिप डिस्क, स्पाइनल इंजरी, हाथ-पैर में झनझनाहट या कमजोरी, नस दबने की समस्या, कंधा, घुटना एवं जोड़ों का दर्द, दो हड्डियों के बीच नस दबने से उत्पन्न परेशानी तथा बच्चों में जन्मजात लकवा एवं मानसिक विकास में कमी जैसी समस्याओं का भी विशेषज्ञ परामर्श उपलब्ध कराया जाएगा।

अस्पताल के निदेशक हर्ष अजमेरा ने बताया कि एच जेड बी आरोग्यम अस्पताल द्वारा इस प्रकार के निःशुल्क विशेषज्ञ जांच शिविर समय-समय पर आयोजित किए जाते हैं, ताकि जिले के लोग अपने स्वास्थ्य के प्रति जागरूक रहें और गंभीर बीमारियों की समय रहते पहचान हो सके। उन्होंने कहा कि न्यूरो एवं स्पाइन से जुड़ी बीमारियों में प्रारंभिक जांच अत्यंत आवश्यक है। वहीं अस्पताल की प्रशासक जया सिंह ने कहा कि आमजन में अब भी ब्रेन और नस संबंधी रोगों को लेकर जागरूकता की कमी है इस शिविर का उद्देश्य लोगों को सही समय पर विशेषज्ञ सलाह उपलब्ध कराकर उन्हें बेहतर स्वास्थ्य की दिशा में आगे बढ़ाना है। अस्पताल प्रबंधन ने जिले एवं आसपास के क्षेत्रों के नागरिकों से अपील की है कि वे अधिक से अधिक संख्या में पहुंचकर इस निःशुल्क मेगा जांच शिविर का लाभ उठाएं। पंजीकरण एवं अधिक जानकारी के लिए 7319942219, 7319942220 एवं 7319942210 पर संपर्क किया जा सकता है।

कड़ाके की ठंड में मानवता की जीत: हजारीबाग के समाजसेवी बने गरीबों के मसीहा

हजारीबाग जिले में पिछले कुछ दिनों से तापमान में भारी गिरावट दर्ज की गई है। कड़ाके की ठंड और शीतलहर ने जनजीवन को बुरी तरह प्रभावित किया है। शाम ढलते ही सड़कों पर सन्नाटा पसर जाता है, और सबसे ज्यादा मार उन गरीब और बेसहारा लोगों पर पड़ रही है जिनके पास सिर छुपाने की सही जगह या पर्याप्त गर्म कपड़े नहीं हैं।

गरीबों की बढ़ी मुश्किलें - ठिठुरन भरी इस ठंड में सड़कों के किनारे और खुले आसमान के नीचे रात गुजारने वाले मजदूरों और रिक्शा चालकों के लिए रातें काफी कष्टदायक हो गई हैं।

समाजसेवियों ने बढ़ाया मदद का हाथ - समाजसेवी और सामाजिक संस्थाएं मदद के लिए आगे आई हैं। हजारीबाग के विभिन्न चौक-चौराहों और झुग्गी-झोपड़ियों में मानवता की मिसाल देखने को मिल रही है:

कंबल वितरण: कई युवा संगठनों और प्रतिष्ठित समाजसेवियों द्वारा देर रात घूम-घूम कर फुटपाथ पर सो रहे लोगों को कंबल और गर्म कपड़े बांटे जा रहे हैं।

अलाव की व्यवस्था: शहर के मुख्य स्थानों जैसे बस स्टैंड, रेलवे स्टेशन और सदर अस्पताल के बाहर समाजसेवियों द्वारा अलाव (आग) जलाने की व्यवस्था की गई है, ताकि राहगीरों और जरूरतमंदों को कुछ राहत मिल सके।

लोगों से अपील है कि "ठंड अभी और बढ़ेगी, ऐसे में समाज के संपन्न लोगों को आगे आकर अपने आस-पास के जरूरतमंदों की मदद करनी चाहिए। आपका एक पुराना गर्म कपड़ा किसी की जान बचा ससकता है।"

टिकौला शुगर मिल ने किया सत्र 2025–26 का गन्ना मूल्य भुगतान
बहसुमा/मेरठ। टिकौला शुगर मिल द्वारा सत्र 2025–26 के अंतर्गत किसानों को गन्ना मूल्य का भुगतान कर दिया गया है। शुगर मिल के अधिशासी अध्यक्ष हिमांशु कुमार मंगलम ने जानकारी देते हुए बताया कि मिल द्वारा 6 दिसंबर 2025 से 12 दिसंबर 2025 तक किसानों से खरीदे गए गन्ने का संपूर्ण भुगतान किया गया है। इस अवधि में कुल 32 करोड़ 13 लाख रुपये की राशि सीधे किसानों के बैंक खातों में भेजी गई है, जिससे क्षेत्र के किसानों में संतोष और प्रसन्नता का माहौल है।

अधिशासी अध्यक्ष ने बताया कि गन्ना मूल्य का भुगतान पारदर्शी व्यवस्था के तहत सीधे बैंक खातों में भेजा गया है, जिससे किसानों को किसी प्रकार की असुविधा न हो। उन्होंने किसानों से अनुरोध किया कि वे अपने संबंधित बैंकों से भुगतान की पुष्टि कर लें।

शुगर मिल प्रबंधन ने किसानों से यह भी अपील की है कि वे चीनी मिल को केवल साफ-सुथरा, ताजा तथा जड़-पत्ती, मिट्टी और हरे अगोले से रहित गन्ने की ही आपूर्ति करें। यदि पर्चियों से अधिक गन्ना उपलब्ध हो तो किसान चीनी मिल अथवा गन्ना विकास परिषद से संपर्क कर अतिरिक्त सट्टा आवश्यकता अनुसार करा सकते हैं।

इसके साथ ही किसानों से अपना बेसिक कोटा पूर्ण करने तथा टिकौला शुगर मिल में गन्ना आपूर्ति बढ़ाने का आग्रह किया गया है, ताकि किसान इनामी व उपहार योजनाओं का अधिकतम लाभ उठा सकें। गन्ना मूल्य भुगतान होने से क्षेत्रीय किसानों को बड़ी राहत मिली है।
अनामिका शुक्ला मामले में एसटीएफ की प्रारम्भिक रिपोर्ट दाखिल,हाईकोर्ट के आदेश पर हुई जांच
अनामिका के नाम पर गंभीर अनियमितता हुई रिपोर्ट में खुलासा

गोंडा।जिले के बहुचर्चित अनामिका शुक्ला प्रकरण में यूपी एसटीएफ ने लखनऊ उच्च न्यायालय में अपनी प्रारम्भिक रिपोर्ट दाखिल कर दिया है।रिपोर्ट में फर्जीवाड़े की पुष्टि करते हुए कहा गया है कि अनामिका शुक्ला के मामले में कई गंभीर अनियमितताएं हुई हैं।एसटीएफ ने कोर्ट को बताया कि मामले की जांच के दौरान विधालय के प्रबंधक और संबंधित अधिकारी सहयोग नहीं कर रहे हैं।एसटीएफ ने हाईकोर्ट में स्पष्ट किया है कि नगर कोतवाली में दर्ज मुकदमे को निरस्त करने के लिए आरोपियों की ओर से दाखिल याचिका पूरी तरह से बलहीन है और इसे न्यायहित में खारिज किया जाना चाहिए।जांच एजेंसी के मुताबिक पूरे प्रकरण की विवेचना और साक्ष्य संकलन की कार्रवाई अभी जारी है।अनामिका शुक्ला की याचिका को छोड़कर बाकी आरोपियों की याचिकाओं को निरस्त करने की कोर्ट से मांग की गई है।यूपी एसटीएफ के जांच अधिकारी सौरभ मिश्रा ने अपनी रिपोर्ट में बताया कि वर्ष 2017 से जनवरी 2025 तक अनामिका शुक्ला को नियमित रूप से वेतन का भुगतान किया गया।वेतन संशोधन से जुड़े मांग पत्र पर विद्यालय से वित्त एवं लेखा विभाग को भेजे जाते थे।जिस पर विद्यालय प्रबंधक, प्रधानाचार्य और अन्य संबंधित अधिकारियों के हस्ताक्षर पाये गये हैं।जांच के दौरान जुलाई 2022 से दिसंबर 2022,फरवरी 2023 से जुलाई 2023,जनवरी 2024 से जुलाई 2024,अगस्त 2024 से नवंबर 2024 और जनवरी 2025 तक के वेतन संशोधन प्रपत्र एसटीएफ को मिले हैं।इन सभी दस्तावेजों पर संबंधित लोगों के हस्ताक्षर मौजूद हैं।विद्यालय के प्रबंधक दिग्विजय नाथ पांडेय को 20 अगस्त 2025 से 8 दिसंबर 2025 के मध्य छह बार नोटिस जारी कर व्यक्तिगत रूप से जांच में शामिल होने के लिए कहा गया परन्तु उन्होंने न तो जांच में सहयोग किया और न ही अनामिका शुक्ला की नियुक्ति से जुड़े अभिलेख उपलब्ध कराए।हालांकि 14 अगस्त को दिग्विजय नाथ पांडेय यूपी एसटीएफ की अयोध्या इकाई के कार्यालय में उपस्थित होकर बयान दर्ज करवा चुके हैं लेकिन अभी तक नियुक्ति से संबंधित कोई पत्रावली नहीं सौंपी गई है।जांच अधिकारी ने कोर्ट को बताया कि प्रबंधक से अनामिका शुक्ला के नियुक्ति से संबंधित विज्ञापन, प्रबंध समिति का प्रस्ताव,बेसिक शिक्षा अधिकारी को भेजा गया अनुमोदन पत्र,प्रथम वेतन भुगतान से जुड़ा लेख पत्र,उपस्थिति पंजिका और अन्य आवश्यक दस्तावेज मांगे गये थे परन्तु इनमें से कोई भी अभिलेख उपलब्ध नहीं कराया गया।एसटीएफ ने हाईकोर्ट से अनुरोध किया है कि विवेचना और साक्ष्य संकलन के लिए न्यायोचित समय प्रदान किया जाये तथा साथ ही आरोपियों द्वारा मुकदमा निरस्त कराने के लिए दाखिल याचिका को बलहीन बताते हुए न्यायहित में खारिज किये जाने की मांग की है।यहाँ यह स्पष्ट करना आवश्यक है कि निलंबित जिला बेसिक शिक्षा अधिकारी अतुल कुमार तिवारी,तत्कालीन वित्त एवं लेखाधिकारी सिद्धार्थ दीक्षित,बेसिक शिक्षा विभाग के पटल लिपिक सुधीर कुमार सिंह,वित्त एवं लेखा विभाग के पटल लिपिक अनुपम कुमार पाण्डेय,अनामिका शुक्ला,विद्यालय प्रबंधक दिग्विजय नाथ पांडेय और प्रधानाचार्य उमेश चंद्र तिवारी ने लखनऊ हाईकोर्ट में याचिका दाखिल कर नगर कोतवाली में दर्ज मुकदमे को गलत बताते हुए निरस्त करने की मांग की थी।इस पूरे मामले की जांच हाईकोर्ट के आदेश पर यूपी एसटीएफ कर रही है।
जौनपुर में काकोरी कांड के क्रांतिकारियों को दी गई श्रद्धांजली
जौनपुर। आजादी आंदोलन के गैर समझौतावादी धारा के महान क्रांतिकारी व काकोरी-ऐक्शन के अमर शहीद - रामप्रसाद बिस्मिल, अशफ़ाक उल्ला खां, रोशन सिंह व राजेंद्र नाथ लाहिड़ी के शहादत दिवस के अवसर पर काकोरी-ऐक्शन शताब्दी वर्ष आयोजन समिति जौनपुर  की ओर से 19दिसम्बर 2025 को श्री आर पी कालेज आफ फार्मेसी खजुरन, बदलापुर, जौनपुर में कार्यक्रम आयोजित किया गया। काकोरी ऐक्शन की घटना का 100 वर्ष पूरा होने पर हमें उस गौरवशाली संघर्ष की याद दिलाता है। हिंदुस्तान रिपब्लिकन आर्मी (HRA) का उद्देश्य एक ऐसा गणतांत्रिक आजाद भारत बनाना था जिसमें हर एक इंसान के लिए जरूरी शिक्षा, स्वास्थ्य, रोजगार, सुरक्षा व आवास की जरूरतें पूरी हो पायें। देश में अमन-चैन, भाईचारा रहे व धर्म-जाति और क्षेत्र के नाम पर कोई बंटवारा न हो। बाद में भगतसिंह व उनके साथियों ने हिन्दुस्तान में समाजवादी समाज की स्थापना करना उन्होंने अपना लक्ष्य घोषित किया था। इसीलिए क्रांतिकारी संगठन- हिन्दुस्तान रिपब्लिकन एसोसिएशन (HRA) में "सोशलिस्ट" शब्द जोड़कर संगठन का नया नाम "हिन्दुस्तान सोशलिस्ट रिपब्लिकन एसोसिएशन (HSRA)" बनाया। जिसका कमान्डर-इन-चीफ महान क्रांतिकारी चंद्रशेखर आज़ाद को चुना गया। HSRA ने अपने घोषणापत्र में स्पष्ट कहा - "भारतीय पूँजीपति भारतीय लोगों को धोखा देकर विदेशी पूँजीपति से विश्वासघात की कीमत के रूप में सरकार में कुछ हिस्सा प्राप्त करना चाहते हैं। इसी कारण मेहनतकश की तमाम आशाएँ अब सिर्फ समाजवाद पर टिकी हैं और सिर्फ यही पूर्ण स्वराज्य और सब भेदभाव ख़त्म करने में सहायक साबित हो सकता है। देश का भविष्य नौजवानों के सहारे है। वही धरती के बेटे हैं।" भगतसिंह ने आजादी के मायने के बारे में कहा था -  "आजादी के मायने यह नहीं होते कि सत्ता गोरे हाथों से काले हाथों में आ जाए, यह तो सत्ता का हस्तांतरण हुआ। असली आजादी तो तब आएगी जब वह आदमी, जो खेतों में अन्न उपजाता है, भूखा नहीं सोये। वह आदमी, जो कपड़े बुनता है, नंगा नहीं रहे। वह आदमी, जो मकान बनाता है, स्वयं बेघर नहीं रहे।" यही सपना लेकर काकोरी के क्रांतिकारी शहीद हुए। लेकिन यह दुःखद है कि आजादी के 77 वर्ष बाद और काकोरी एक्शन के 100 वर्ष पूरे होने पर भी हम देश को क्रांतिकारियों के सपनों के विपरीत एक अलग ही स्थिति में पाते हैं। शिक्षा, स्वास्थ्य, रोजगार आम आदमी से दूर होते जा रहे हैं, अमीर और गरीब की खाई लगातार बढ़ती जा रही है। देश के सामाजिक, सांस्कृतिक व साम्प्रदायिक सौहार्द में नफरत का जहर घोला जा रहा है। काकोरी की घटना ने जहाँ बिस्मिल-अशफाक की बेजोड़ दोस्ती व एक दूसरे के प्रति अटूट विश्वास का उदाहरण प्रस्तुत किया। वहीं इसके विपरीत आज हिन्दू-मुस्लिम सौहार्द को खत्म किया जा रहा है। दूसरी तरफ बेरोजगारी, भ्रष्टाचार, महंगाई व अशिक्षा तेजी से बढ़ रही है। अंत में कार्यक्रम की अध्यक्षता कर रहे भानुप्रकाश यादव द्वारा सभी शहीदों को नमन किया गया तथा कार्यक्रम में सम्मिलित सभी नागरिक गण का आभार प्रकट किया गया।कालेज के छात्र-छात्राओं के साथ विद्यालय परिवार के सभी सदस्यगण के साथ क्षेत्र के  श्री-देवव्रत निषाद, अनुष्का शुक्ला,विजय प्रकाश गुप्ता, शेखर गुप्ता, इदरीश अब्बासी, अपर्णा शुक्ला, संजय सिंह, अमन सिंह, भानुप्रकाश यादव, विशाल गौतम,बबलू सिंह, शेषना श्रीवास्तव, नंदिनीनाथ, कृष्ण चंद्र शुक्ल, और अरविन्द गुप्ता सहित अन्य गणमान्य जन उपस्थित रहे।
आमजन को जागरूक करने और शिक्षित बेरोजगारों को स्वरोजगार की स्थापना के लिए एक दिवसीय जागरूकता कार्यक्रम का आयोजन*
सुलतानपुर,उ0प्र0 खादी तथा ग्रामोद्योग बोर्ड ग्रामोद्योगिक इकाईयों की स्थापना के लिए आमजन को जागरूक करने और शिक्षित बेरोजगारों को स्वरोजगार की स्थापना के लिए एक दिवसीय जागरूकता कार्यक्रम का आयोजन पंचायत भवन कुड़वार परिसर में किया गया। ग्रामोद्योग जागरूकता श्रृंखला के तहत स्वयं सहायता समूह की महिलाओं के बीच आयोजित कार्यक्रम में जिला ग्रामोद्योग अधिकारी राम सुरेश यादव ने कहा कि ग्रामीण क्षेत्र में स्वरोजगार को बढ़ावा देने में ग्रामोद्योग विभाग की योजनाओं की महत्वपूर्ण भूमिका है। विभागीय योजनाओं के तहत शिक्षित बेरोजगार युवा अपना उद्यम स्थापित कर राष्ट्र की प्रगति में योगदान कर सकते है। कार्यक्रम की संयोजिका श्रीमती रजनीबाला एवं स्थानीय जन शिक्षण संस्थान के कार्यक्रम अधिकारी श्री रजनीश ने अपने उद्बोधन में जागरूकता कार्यक्रम को उपयोगी व प्रेरणास्पद बताते हुए कहा कि इससे समाज के अन्तिम व्यक्ति के उत्थान में सहायता मिलेगी। उल्लेखनीय है कि ग्रामोद्योग योजनाओं विशेषतः प्रधानमंत्री रोजगार सृजन कार्यक्रम, मुख्यमंत्री ग्रामोद्योग एवं मुख्यमंत्री माटीकला रोजगार योजनाओं और टूल किट्स वितरण के विषय में आमजन विशेष कर युवाओं को प्रेरित करने के उद्देश्य से जागरूकता कार्यक्रमों का आयोजन जनपद में किया जा रहा है। उक्त जागरूकता कार्यक्रमों में विशेषतः कुशल शिक्षित और जिज्ञासु युवाओं को प्राथमिकता के आधार पर आमंत्रित कर विभागीय योजनाओं और शासकीय सहायता की जानकारी प्रदान की जा रही है। कार्यक्रम में विषय विशेषज्ञों आशुतोष मिश्र एवं विभागीय सहायक अनिल कुमार पाण्डेय ने खादी एवं ग्रामोद्योग क्षेत्र के विशिष्ट उत्पाद और कलात्मक नवाचार की जानकारी प्रदान की। इस अवसर पर राम प्रकाश पाल, मनोज कुमार एवं शिवकेश आदि व्यवस्था में लगे रहे।
কাটল না কলকাতার চিংড়িঘাটা মেট্রোর জট
নিজস্ব প্রতিনিধি: আজও কাটল না চিংড়িঘাটা মেট্রোর জট। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে দ্বিতীয় বৈঠকের পরেও মিলল না রফাসূত্র।আদালতের নির্দেশে ১৭ ডিসেম্বর হয় বৈঠক।আরভিএনএল এর আইনজীবীর দাবি,২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের কোনো এক সময় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।রাজ্যের সওয়াল,দশকের পর দশক ধরে কাজ চলছে। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে আরভিএনএল এর অসুবিধা কোথায় ? আরভিএনএল দাবি,মাত্র তিন দিন রাত ১০ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করলেই আমাদের কাজ শেষ হয়ে যাবে। এদিন  ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি পার্থ সারথী সেনের ডিভিশন বেঞ্চের রাজ্যকে নির্দেশ জানুয়ারি মাসে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব কিনা আগামী সোমবার জানান। তবে এদিন বৈঠকে নিজে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। আজ তিনি জানান যে তিনি বৈঠকে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি।
টাটা স্টিল ওয়ার্ল্ড ২৫ কে কলকাতা
নিজস্ব প্রতিনিধি: কর্পোরেট সংস্থা, ব্যক্তিগত উদ্যোগ, দৌড়বিদ ও ৪০টি এনজিও মিলিয়ে টাটা স্টিল ওয়ার্ল্ড ২৫কে কলকাতায় সংগৃহীত হল  ৩২.১২ লক্ষ টাকা।সংগৃহীত এই তহবিল ১২টিরও বেশি সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যয় করা হবে, যা সমাজে অর্থবহ প্রভাব ফেলবে।"টাটা স্টিল ওয়ার্ল্ড ২৫কে" কলকাতার ঐতিহাসিক ১০ম সংস্করণের রেস উইক শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই দৌড় একঘেয়েমিকে রীতিতে এবং পার্থক্যকে উত্তরাধিকারতে রূপান্তরিত করেছে, পূর্ব ভারতের উদীয়মান সূর্য হিসেবে নিজের অবস্থান দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করেছে। ৪৩টি এনজিও, ২৬ জনের বেশি ব্যক্তিগত ফান্ডরেইজার এবং ১০টি কর্পোরেট সংস্থার সহায়তায়, হাজার হাজার দাতার অংশগ্রহণে, টাটা স্টিল ওয়ার্ল্ড ২৫কে কলকাতা এখনও পর্যন্ত দাতব্য খাতে ৩২.১২ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেছে। এই সংস্করণের ফান্ডরেইজিং চলবে ৩ জানুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত।
ইমপ্যাক্ট৩৬০ ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বে, যা এই ইভেন্টের ফিলান্থ্রপি পার্টনার, একটি ‘কারণ-নিরপেক্ষ’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগকে সমর্থন করে আসছে। এই প্ল্যাটফর্ম ব্যক্তি, তরুণ সমাজসেবী ও কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে বৃহত্তর সামাজিক পরিবর্তনের অংশ হতে অনুপ্রাণিত করে এবং এনজিওগুলিকে বাস্তব প্রভাব তৈরিতে সক্ষম করে।২০১৪ সাল থেকে এই প্ল্যাটফর্ম উত্তর-পূর্ব ও পূর্ব ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করা ৭৫টিরও বেশি এনজিওকে সহায়তা করে ৪.৭০ কোটিরও বেশি টাকা সংগ্রহ করেছে, যার ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। এই উত্তরাধিকার কেবল পদক বা ব্যক্তিগত সাফল্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি এক দশকের সামাজিক পরিবর্তন, উদারতার বিস্তার, উন্নততর সম্প্রদায় গঠন এবং গর্বের অনুভূতি তৈরি করেছে। এই আন্দোলন বিশ্ব দূরত্ব দৌড়ের মানচিত্রে কলকাতার নাম খোদাই করেছে।এই সংস্করণের ফিলান্থ্রপি ড্রাইভ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে ইমপ্যাক্ট৩৬০ ফাউন্ডেশনের সিইও দেবাশিস রায় চৌধুরী বলেন,“এই বছর টিএসডব্লিউ২৫কে ‘এক দশকের পার্থক্য’ উদযাপন করছে—বয়স ও সক্ষমতার ঊর্ধ্বে উঠে
অংশগ্রহণমূলক ক্রীড়ার পক্ষে দশ বছরের অঙ্গীকার এবং একই সঙ্গে দাতব্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সামাজিক উদ্যোগে ব্যাপক অংশগ্রহণে অনুপ্রেরণা। ফিলান্থ্রপি পার্টনার হিসেবে কর্পোরেট, সামাজিক সংগঠন, রানার্স ক্লাব ও ব্যক্তিগত দাতাদের অসাধারণ সমর্থনে আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। একসঙ্গে আমরা আগের কয়েক বছরের অবদানকেও ছাড়িয়ে গেছি, যা এই আন্দোলনের পেছনের সম্মিলিত আবেগকে প্রতিফলিত করে।”

ছবি সৌজন্যে: আয়োজক সংস্থা।
বসিরহাটের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আবারও প্রাণ ফেরালো নাটকের উৎসব
নিজস্ব সংবাদদাতা,বসিরহাট : বসিরহাটের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আবারও প্রাণ ফেরাল নাটকের উৎসব। শহরের ঐতিহ্যবাহী রবীন্দ্রভবনে বসিরহাট মহকুমা নাট‍্য উৎসব '২৫ এর শুভ সূচনা হলো জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে। উৎসবের সূচনা করেন পশ্চিমবঙ্গ নাট্য অ্যাকাডেমীর সদস্যা অর্পিতা ঘোষ। শিল্পী, সংস্কৃতিপ্রেমী ও নাট্যকর্মীদের উপস্থিতিতে প্রথম দিন থেকেই উৎসবমুখর হয়ে ওঠে রবীন্দ্রভবন চত্বর।
বসিরহাট পৌরসভার সৌজন্যে এবং উত্তর ২৪ পরগণা জেলা আরটিএ সদস্য সুরজিৎ মিত্র বাদলের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত এই এক সপ্তাহব্যাপী নাট্য উৎসব শুধু শহরকেন্দ্রিক নয়, বরং গোটা জেলার নাট্যচর্চাকে এক মঞ্চে এনে দাঁড় করিয়েছে। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চল ন্যাজাট, কালিনগর ও হাড়োয়া থেকে শুরু করে সীমান্তবর্তী স্বরূপনগর ও কাটিয়াহাটের পাশাপাশি শহর বসিরহাট, টাকি ও বাদুড়িয়া সহ জেলার নানা প্রান্ত থেকে মোট ২০টি নাট্য দল অংশগ্রহণ করছে এই উৎসবে। ফলে গ্রাম ও শহরের নাট্যধারার এক অনন্য মেলবন্ধন তৈরি হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অর্পিতা ঘোষ বলেন, "নাটক শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, সমাজের দর্পণ। আজকের সময়ে এই ধরনের মহকুমা স্তরের নাট্য উৎসব নতুন প্রজন্মকে থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত করতে বড় ভূমিকা নেবে।" তার কথায় উঠে আসে গ্রামবাংলার নাট্যচর্চাকে মূলস্রোতে আনার গুরুত্ব। এই নাট্য উৎসবের সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছেন বসিরহাট পৌরসভার পৌরমাতা অদিতি মিত্র রায়চৌধুরী। আয়োজকদের তরফে জানানো হয়, বসিরহাটকে সাংস্কৃতিক মানচিত্রে আরও উজ্জ্বল করে তুলতেই এই ধরনের উদ্যোগ ধারাবাহিকভাবে নেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় একের পর এক নাট্যপ্রদর্শনী দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়ের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
উৎসবের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হিসেবে নজর কেড়েছে নৈহাটি ব্রাত্যজনের প্রযোজনা 'আনন্দ'। এই নাটকে অভিনয় করেছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক। রাজনীতির ব্যস্ততার মাঝেও তার মঞ্চে উপস্থিতি দর্শকদের মধ্যে বাড়তি আগ্রহ তৈরি করে। শক্তিশালী অভিনয়, ভাবনার গভীরতা ও মঞ্চসজ্জার মাধ্যমে নাটকটি দর্শকমনে গভীর ছাপ ফেলেছে।
সব মিলিয়ে বসিরহাট মহকুমার নাটক উৎসব '২৫ শুধু একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়, বরং বসিরহাটের নাট্যকর্মীদের মিলনমেলা হয়ে উঠেছে। এক সপ্তাহ ধরে চলা এই উৎসবের মাধ্যমে নাটকের ভাষায় উঠে আসছে সমাজ, মানুষ ও সময়ের নানা গল্প। যা বসিরহাটের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করছে।
আগামীদিনে বাংলায় চপ, ঘুঘনি খাওয়ার লোক থাকবে না- অর্জুন সিং
*প্রবীর রায়:* বাংলায় চাকরি নেই। শিল্পতালুক শ্মশানে পরিণত হয়েছে। বাংলা ছেড়ে যেভাবে হিন্দুরা ভিন যাচ্ছে পলায়ন করছে, তাতে আগামীদিনে চপ, ঘুঘনি খাওয়ার লোক থাকবে না। শুক্রবার দুপুরে কাঁকিনাড়ার ফলহারি বাবা মন্দিরের কাছে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরে হাজির হয়ে এমনটাই বললেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। এদিন তিনি বলেন, "কাঁকনাড়ার পেপার মিল বহু বছর ধরে বন্ধ। ধুঁকছে কাঁকিনাড়া জুটমিল-সহ অন্যান্য মিলগুলো।" প্রসঙ্গত, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলায় বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন করা হচ্ছে। অথচ এখনও পর্যন্ত একটাও শিল্প গড়ে ওঠেনি। এপ্রসঙ্গে প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, সম্মেলনের জন্য নিজের আত্মীয় স্বজনদের ঠিকাদারি দেওয়া হয়। সম্মেলনের আয়োজরা সবাই মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে দুটো পত্রিকা অফিস ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগানো হয়েছে। এপ্রসঙ্গে বিজেপি নেতা অর্জুন সিং বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু নিধন চলছে। ওদেশে হিন্দু নিধন রুখতে কেন্দ্রীয় সরকারকে হস্তক্ষেপ করা উচিত। এদিনের রক্তদান শিবিরে হাজির ছিলেন বিজেপির ব্যারাকপুর জেলার সম্পাদক সোহন প্রসাদ চৌধুরী, জেলার এক্সিকিউটিভ সদস্য সঞ্জয় সিং ও সন্তোষ রায়, ভাটপাড়া-২ মন্ডল সভাপতি সুরজ কুমার সিং, প্রাক্তন কাউন্সিলর পল্লবী কুন্ডু, ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি উমেশ রায়,টুম্পা বিশ্বাস, রিতা চক্রবর্তী, শতাব্দী দে রায় প্রমুখ।
एच जेड बी आरोग्यम अस्पताल में निःशुल्क मेगा ब्रेन, स्पाइन एवं नस रोग जांच शिविर का आयोजन

हजारीबाग जिले के प्रतिष्ठित एच जेड बी आरोग्यम अस्पताल द्वारा जनस्वास्थ्य के प्रति अपनी सतत प्रतिबद्धता को आगे बढ़ाते हुए आगामी 21 दिसंबर दिन रविवार को अस्पताल परिसर में निःशुल्क मेगा ब्रेन (मस्तिष्क), स्पाइन एवं नस रोग जांच शिविर का आयोजन किया जा रहा है। यह शिविर सुबह 11 बजे से दोपहर 2 बजे तक संचालित होगा। इस शिविर में रांची के प्रख्यात न्यूरोसर्जन डॉ. विकास कुमार एवं डॉ. आर. के. सिंह द्वारा मरीजों की विशेषज्ञ जांच कर उन्हें आवश्यक चिकित्सकीय परामर्श दिया जाएगा। शिविर के दौरान लगातार या तेज सिरदर्द, चक्कर आना, मिर्गी (दौरे पड़ना), ब्रेन ट्यूमर, दिमाग में खून का थक्का, सिर में चोट के बाद उत्पन्न समस्याएं, लकवा (पैरालिसिस), आंख, मुंह अथवा चेहरे के लकवे जैसी गंभीर बीमारियों की जांच की जाएगी। इसके साथ ही गर्दन दर्द, गर्दन हिलाने में कठिनाई, कमर एवं पीठ दर्द, रीढ़ से संबंधित रोग, स्लिप डिस्क, स्पाइनल इंजरी, हाथ-पैर में झनझनाहट या कमजोरी, नस दबने की समस्या, कंधा, घुटना एवं जोड़ों का दर्द, दो हड्डियों के बीच नस दबने से उत्पन्न परेशानी तथा बच्चों में जन्मजात लकवा एवं मानसिक विकास में कमी जैसी समस्याओं का भी विशेषज्ञ परामर्श उपलब्ध कराया जाएगा।

अस्पताल के निदेशक हर्ष अजमेरा ने बताया कि एच जेड बी आरोग्यम अस्पताल द्वारा इस प्रकार के निःशुल्क विशेषज्ञ जांच शिविर समय-समय पर आयोजित किए जाते हैं, ताकि जिले के लोग अपने स्वास्थ्य के प्रति जागरूक रहें और गंभीर बीमारियों की समय रहते पहचान हो सके। उन्होंने कहा कि न्यूरो एवं स्पाइन से जुड़ी बीमारियों में प्रारंभिक जांच अत्यंत आवश्यक है। वहीं अस्पताल की प्रशासक जया सिंह ने कहा कि आमजन में अब भी ब्रेन और नस संबंधी रोगों को लेकर जागरूकता की कमी है इस शिविर का उद्देश्य लोगों को सही समय पर विशेषज्ञ सलाह उपलब्ध कराकर उन्हें बेहतर स्वास्थ्य की दिशा में आगे बढ़ाना है। अस्पताल प्रबंधन ने जिले एवं आसपास के क्षेत्रों के नागरिकों से अपील की है कि वे अधिक से अधिक संख्या में पहुंचकर इस निःशुल्क मेगा जांच शिविर का लाभ उठाएं। पंजीकरण एवं अधिक जानकारी के लिए 7319942219, 7319942220 एवं 7319942210 पर संपर्क किया जा सकता है।

कड़ाके की ठंड में मानवता की जीत: हजारीबाग के समाजसेवी बने गरीबों के मसीहा

हजारीबाग जिले में पिछले कुछ दिनों से तापमान में भारी गिरावट दर्ज की गई है। कड़ाके की ठंड और शीतलहर ने जनजीवन को बुरी तरह प्रभावित किया है। शाम ढलते ही सड़कों पर सन्नाटा पसर जाता है, और सबसे ज्यादा मार उन गरीब और बेसहारा लोगों पर पड़ रही है जिनके पास सिर छुपाने की सही जगह या पर्याप्त गर्म कपड़े नहीं हैं।

गरीबों की बढ़ी मुश्किलें - ठिठुरन भरी इस ठंड में सड़कों के किनारे और खुले आसमान के नीचे रात गुजारने वाले मजदूरों और रिक्शा चालकों के लिए रातें काफी कष्टदायक हो गई हैं।

समाजसेवियों ने बढ़ाया मदद का हाथ - समाजसेवी और सामाजिक संस्थाएं मदद के लिए आगे आई हैं। हजारीबाग के विभिन्न चौक-चौराहों और झुग्गी-झोपड़ियों में मानवता की मिसाल देखने को मिल रही है:

कंबल वितरण: कई युवा संगठनों और प्रतिष्ठित समाजसेवियों द्वारा देर रात घूम-घूम कर फुटपाथ पर सो रहे लोगों को कंबल और गर्म कपड़े बांटे जा रहे हैं।

अलाव की व्यवस्था: शहर के मुख्य स्थानों जैसे बस स्टैंड, रेलवे स्टेशन और सदर अस्पताल के बाहर समाजसेवियों द्वारा अलाव (आग) जलाने की व्यवस्था की गई है, ताकि राहगीरों और जरूरतमंदों को कुछ राहत मिल सके।

लोगों से अपील है कि "ठंड अभी और बढ़ेगी, ऐसे में समाज के संपन्न लोगों को आगे आकर अपने आस-पास के जरूरतमंदों की मदद करनी चाहिए। आपका एक पुराना गर्म कपड़ा किसी की जान बचा ससकता है।"

टिकौला शुगर मिल ने किया सत्र 2025–26 का गन्ना मूल्य भुगतान
बहसुमा/मेरठ। टिकौला शुगर मिल द्वारा सत्र 2025–26 के अंतर्गत किसानों को गन्ना मूल्य का भुगतान कर दिया गया है। शुगर मिल के अधिशासी अध्यक्ष हिमांशु कुमार मंगलम ने जानकारी देते हुए बताया कि मिल द्वारा 6 दिसंबर 2025 से 12 दिसंबर 2025 तक किसानों से खरीदे गए गन्ने का संपूर्ण भुगतान किया गया है। इस अवधि में कुल 32 करोड़ 13 लाख रुपये की राशि सीधे किसानों के बैंक खातों में भेजी गई है, जिससे क्षेत्र के किसानों में संतोष और प्रसन्नता का माहौल है।

अधिशासी अध्यक्ष ने बताया कि गन्ना मूल्य का भुगतान पारदर्शी व्यवस्था के तहत सीधे बैंक खातों में भेजा गया है, जिससे किसानों को किसी प्रकार की असुविधा न हो। उन्होंने किसानों से अनुरोध किया कि वे अपने संबंधित बैंकों से भुगतान की पुष्टि कर लें।

शुगर मिल प्रबंधन ने किसानों से यह भी अपील की है कि वे चीनी मिल को केवल साफ-सुथरा, ताजा तथा जड़-पत्ती, मिट्टी और हरे अगोले से रहित गन्ने की ही आपूर्ति करें। यदि पर्चियों से अधिक गन्ना उपलब्ध हो तो किसान चीनी मिल अथवा गन्ना विकास परिषद से संपर्क कर अतिरिक्त सट्टा आवश्यकता अनुसार करा सकते हैं।

इसके साथ ही किसानों से अपना बेसिक कोटा पूर्ण करने तथा टिकौला शुगर मिल में गन्ना आपूर्ति बढ़ाने का आग्रह किया गया है, ताकि किसान इनामी व उपहार योजनाओं का अधिकतम लाभ उठा सकें। गन्ना मूल्य भुगतान होने से क्षेत्रीय किसानों को बड़ी राहत मिली है।
अनामिका शुक्ला मामले में एसटीएफ की प्रारम्भिक रिपोर्ट दाखिल,हाईकोर्ट के आदेश पर हुई जांच
अनामिका के नाम पर गंभीर अनियमितता हुई रिपोर्ट में खुलासा

गोंडा।जिले के बहुचर्चित अनामिका शुक्ला प्रकरण में यूपी एसटीएफ ने लखनऊ उच्च न्यायालय में अपनी प्रारम्भिक रिपोर्ट दाखिल कर दिया है।रिपोर्ट में फर्जीवाड़े की पुष्टि करते हुए कहा गया है कि अनामिका शुक्ला के मामले में कई गंभीर अनियमितताएं हुई हैं।एसटीएफ ने कोर्ट को बताया कि मामले की जांच के दौरान विधालय के प्रबंधक और संबंधित अधिकारी सहयोग नहीं कर रहे हैं।एसटीएफ ने हाईकोर्ट में स्पष्ट किया है कि नगर कोतवाली में दर्ज मुकदमे को निरस्त करने के लिए आरोपियों की ओर से दाखिल याचिका पूरी तरह से बलहीन है और इसे न्यायहित में खारिज किया जाना चाहिए।जांच एजेंसी के मुताबिक पूरे प्रकरण की विवेचना और साक्ष्य संकलन की कार्रवाई अभी जारी है।अनामिका शुक्ला की याचिका को छोड़कर बाकी आरोपियों की याचिकाओं को निरस्त करने की कोर्ट से मांग की गई है।यूपी एसटीएफ के जांच अधिकारी सौरभ मिश्रा ने अपनी रिपोर्ट में बताया कि वर्ष 2017 से जनवरी 2025 तक अनामिका शुक्ला को नियमित रूप से वेतन का भुगतान किया गया।वेतन संशोधन से जुड़े मांग पत्र पर विद्यालय से वित्त एवं लेखा विभाग को भेजे जाते थे।जिस पर विद्यालय प्रबंधक, प्रधानाचार्य और अन्य संबंधित अधिकारियों के हस्ताक्षर पाये गये हैं।जांच के दौरान जुलाई 2022 से दिसंबर 2022,फरवरी 2023 से जुलाई 2023,जनवरी 2024 से जुलाई 2024,अगस्त 2024 से नवंबर 2024 और जनवरी 2025 तक के वेतन संशोधन प्रपत्र एसटीएफ को मिले हैं।इन सभी दस्तावेजों पर संबंधित लोगों के हस्ताक्षर मौजूद हैं।विद्यालय के प्रबंधक दिग्विजय नाथ पांडेय को 20 अगस्त 2025 से 8 दिसंबर 2025 के मध्य छह बार नोटिस जारी कर व्यक्तिगत रूप से जांच में शामिल होने के लिए कहा गया परन्तु उन्होंने न तो जांच में सहयोग किया और न ही अनामिका शुक्ला की नियुक्ति से जुड़े अभिलेख उपलब्ध कराए।हालांकि 14 अगस्त को दिग्विजय नाथ पांडेय यूपी एसटीएफ की अयोध्या इकाई के कार्यालय में उपस्थित होकर बयान दर्ज करवा चुके हैं लेकिन अभी तक नियुक्ति से संबंधित कोई पत्रावली नहीं सौंपी गई है।जांच अधिकारी ने कोर्ट को बताया कि प्रबंधक से अनामिका शुक्ला के नियुक्ति से संबंधित विज्ञापन, प्रबंध समिति का प्रस्ताव,बेसिक शिक्षा अधिकारी को भेजा गया अनुमोदन पत्र,प्रथम वेतन भुगतान से जुड़ा लेख पत्र,उपस्थिति पंजिका और अन्य आवश्यक दस्तावेज मांगे गये थे परन्तु इनमें से कोई भी अभिलेख उपलब्ध नहीं कराया गया।एसटीएफ ने हाईकोर्ट से अनुरोध किया है कि विवेचना और साक्ष्य संकलन के लिए न्यायोचित समय प्रदान किया जाये तथा साथ ही आरोपियों द्वारा मुकदमा निरस्त कराने के लिए दाखिल याचिका को बलहीन बताते हुए न्यायहित में खारिज किये जाने की मांग की है।यहाँ यह स्पष्ट करना आवश्यक है कि निलंबित जिला बेसिक शिक्षा अधिकारी अतुल कुमार तिवारी,तत्कालीन वित्त एवं लेखाधिकारी सिद्धार्थ दीक्षित,बेसिक शिक्षा विभाग के पटल लिपिक सुधीर कुमार सिंह,वित्त एवं लेखा विभाग के पटल लिपिक अनुपम कुमार पाण्डेय,अनामिका शुक्ला,विद्यालय प्रबंधक दिग्विजय नाथ पांडेय और प्रधानाचार्य उमेश चंद्र तिवारी ने लखनऊ हाईकोर्ट में याचिका दाखिल कर नगर कोतवाली में दर्ज मुकदमे को गलत बताते हुए निरस्त करने की मांग की थी।इस पूरे मामले की जांच हाईकोर्ट के आदेश पर यूपी एसटीएफ कर रही है।
जौनपुर में काकोरी कांड के क्रांतिकारियों को दी गई श्रद्धांजली
जौनपुर। आजादी आंदोलन के गैर समझौतावादी धारा के महान क्रांतिकारी व काकोरी-ऐक्शन के अमर शहीद - रामप्रसाद बिस्मिल, अशफ़ाक उल्ला खां, रोशन सिंह व राजेंद्र नाथ लाहिड़ी के शहादत दिवस के अवसर पर काकोरी-ऐक्शन शताब्दी वर्ष आयोजन समिति जौनपुर  की ओर से 19दिसम्बर 2025 को श्री आर पी कालेज आफ फार्मेसी खजुरन, बदलापुर, जौनपुर में कार्यक्रम आयोजित किया गया। काकोरी ऐक्शन की घटना का 100 वर्ष पूरा होने पर हमें उस गौरवशाली संघर्ष की याद दिलाता है। हिंदुस्तान रिपब्लिकन आर्मी (HRA) का उद्देश्य एक ऐसा गणतांत्रिक आजाद भारत बनाना था जिसमें हर एक इंसान के लिए जरूरी शिक्षा, स्वास्थ्य, रोजगार, सुरक्षा व आवास की जरूरतें पूरी हो पायें। देश में अमन-चैन, भाईचारा रहे व धर्म-जाति और क्षेत्र के नाम पर कोई बंटवारा न हो। बाद में भगतसिंह व उनके साथियों ने हिन्दुस्तान में समाजवादी समाज की स्थापना करना उन्होंने अपना लक्ष्य घोषित किया था। इसीलिए क्रांतिकारी संगठन- हिन्दुस्तान रिपब्लिकन एसोसिएशन (HRA) में "सोशलिस्ट" शब्द जोड़कर संगठन का नया नाम "हिन्दुस्तान सोशलिस्ट रिपब्लिकन एसोसिएशन (HSRA)" बनाया। जिसका कमान्डर-इन-चीफ महान क्रांतिकारी चंद्रशेखर आज़ाद को चुना गया। HSRA ने अपने घोषणापत्र में स्पष्ट कहा - "भारतीय पूँजीपति भारतीय लोगों को धोखा देकर विदेशी पूँजीपति से विश्वासघात की कीमत के रूप में सरकार में कुछ हिस्सा प्राप्त करना चाहते हैं। इसी कारण मेहनतकश की तमाम आशाएँ अब सिर्फ समाजवाद पर टिकी हैं और सिर्फ यही पूर्ण स्वराज्य और सब भेदभाव ख़त्म करने में सहायक साबित हो सकता है। देश का भविष्य नौजवानों के सहारे है। वही धरती के बेटे हैं।" भगतसिंह ने आजादी के मायने के बारे में कहा था -  "आजादी के मायने यह नहीं होते कि सत्ता गोरे हाथों से काले हाथों में आ जाए, यह तो सत्ता का हस्तांतरण हुआ। असली आजादी तो तब आएगी जब वह आदमी, जो खेतों में अन्न उपजाता है, भूखा नहीं सोये। वह आदमी, जो कपड़े बुनता है, नंगा नहीं रहे। वह आदमी, जो मकान बनाता है, स्वयं बेघर नहीं रहे।" यही सपना लेकर काकोरी के क्रांतिकारी शहीद हुए। लेकिन यह दुःखद है कि आजादी के 77 वर्ष बाद और काकोरी एक्शन के 100 वर्ष पूरे होने पर भी हम देश को क्रांतिकारियों के सपनों के विपरीत एक अलग ही स्थिति में पाते हैं। शिक्षा, स्वास्थ्य, रोजगार आम आदमी से दूर होते जा रहे हैं, अमीर और गरीब की खाई लगातार बढ़ती जा रही है। देश के सामाजिक, सांस्कृतिक व साम्प्रदायिक सौहार्द में नफरत का जहर घोला जा रहा है। काकोरी की घटना ने जहाँ बिस्मिल-अशफाक की बेजोड़ दोस्ती व एक दूसरे के प्रति अटूट विश्वास का उदाहरण प्रस्तुत किया। वहीं इसके विपरीत आज हिन्दू-मुस्लिम सौहार्द को खत्म किया जा रहा है। दूसरी तरफ बेरोजगारी, भ्रष्टाचार, महंगाई व अशिक्षा तेजी से बढ़ रही है। अंत में कार्यक्रम की अध्यक्षता कर रहे भानुप्रकाश यादव द्वारा सभी शहीदों को नमन किया गया तथा कार्यक्रम में सम्मिलित सभी नागरिक गण का आभार प्रकट किया गया।कालेज के छात्र-छात्राओं के साथ विद्यालय परिवार के सभी सदस्यगण के साथ क्षेत्र के  श्री-देवव्रत निषाद, अनुष्का शुक्ला,विजय प्रकाश गुप्ता, शेखर गुप्ता, इदरीश अब्बासी, अपर्णा शुक्ला, संजय सिंह, अमन सिंह, भानुप्रकाश यादव, विशाल गौतम,बबलू सिंह, शेषना श्रीवास्तव, नंदिनीनाथ, कृष्ण चंद्र शुक्ल, और अरविन्द गुप्ता सहित अन्य गणमान्य जन उपस्थित रहे।