নির্বাচনী প্রচারে যোগ দিতে কলকাতা বিমানবন্দর বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "পুলিশ সন্দেশখালি বিভিন্ন জায়গায় যারা প্রতিবাদী মহিলা ত
![]()
এসবি নিউজ ব্যুরো: সন্দেশখালিতে মহিলাদের পাহাড়া দেওয়া প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, "পুলিশ সন্দেশখালি বিভিন্ন জায়গায় যারা প্রতিবাদী মহিলা তাদের ভয় দেখিয়ে হোক প্রয়োজনে পয়সা দিয়েই হোক তাদের বক্তব্যকে পরিবর্তন করার জন্য প্রলোভন দেখাচ্ছে। সেই জন্য মহিলারা এইভাবে পাহাড়া দিতে বাধ্য হচ্ছে। কোর্ট তো রায় দিয়েছিল মহিলাদের মধ্যে যেন কনফিডেন্সের অভাব না হয়। তাদের যেন প্রশাসনের উপর আস্থা ফেরে কিন্তু পুলিশ তো উল্টো করছে। আমরা দেখেছি পুলিশ সিভিক ভলেন্টিয়ার পাঠিয়ে বিভিন্ন মহিলাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে যাতে তারা এখন উল্টো বয়ান দেয় এবং পুরোটাই পুলিশের হাত ধরে চিত্রনাট্য রচিত হচ্ছে।"
সন্দেশখালির প্রতিবাদী মহিলা মাম্পি দাসের গ্রেফতারি নিয়ে বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেসের চক্রান্ত এবং তৃণমূল কংগ্রেসের চক্রান্তের ফলেই এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে। এরকম অডিও আসছে বারে বারে আপনারা দেখেছেন, আমাদের মন্ডল সভাপতি পরিষ্কার বলে দিয়েছে আমাদের এই ধরনের কোন বক্তব্য নেই এবং বারবার চেষ্টা করা হচ্ছে সন্দেশখালীর ঘটনা থেকে চোখ ঘোরানোর জন্য সন্দেশখালীর ঘটনা মানুষকে ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য। প্রশ্ন হচ্ছে ৫০০-৬০০ জন এফিডেফিট করছে তাহলে কি এফিডেভিট গুলো ফলস হচ্ছে। পুলিশ একজন মহিলাকে দিয়ে ১৬৪ করিয়েছে তাহলে পুলিশ কেন করালো"।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য বিজেপি এলে লক্ষী ভান্ডার বন্ধ করে দেবে সেই প্রসঙ্গে বলেন, "বিজেপি এলে লক্ষী ভান্ডার এর জায়গা অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার চালু হবে মাসে ৩ হাজার টাকা করে দেওয়ার ব্যবস্থা হবে। তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী ভোট এলেই মিথ্যাশ্রী প্রকল্প চলে অন্য সব প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়। মিথ্যাশ্রী প্রকল্পে তিনি তখন এক নম্বর। আরো এরকম অনেক কিছু বলছে মাছ খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে অতএব ভয়। ভয় দেখিয়ে ভোট নিতে হচ্ছে। তার মানে কি আপনার পজিটিভ কিছু বলার থাকে না। আপনার কাছে বলার মত কাজই নেই। সেই জন্য আপনাকে ভয় দেখাতে হচ্ছে"।
যাদবপুরে বিজেপি দলীয় নেতৃত্বের নির্দলে মনোনয়ন দাখিল করার প্রসঙ্গে বলেন, এই ধরনের কোন তথ্য আমার কাছে নেই। যদি সেটা হয়ে থাকে সেটা পরিকল্পনা মত হয়েছে। ড্যামি প্রার্থী রাখতে হয়, একজনের মনোনয়ন যদি বাতিল হয়ে যায় তখন অন্যজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
তৃণমূলের শিক্ষা ছেলের রাজভবন ঘেরা অভিযান প্রসঙ্গে বলেন, নোংরা রাজনীতি এবং এই ধরনের রাজনীতি একমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই সম্ভব। এবং মুখ্যমন্ত্রী সেটা রাস্তায় নিয়ে আসছেন এবং যেভাবে বলছেন আমি রাজভবনে যাব না। আমি তোমাকে একটি সাধারণ প্রশ্ন করেছিলাম নারায়ণ দত্ত তিওয়ারি কার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতি করেছেন। ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে এখনো পর্যন্ত একজন অবৈধ সন্তান নারায়ণ দত্ত তিওয়ারির। রাজ্যপাল থাকা অবস্থায় রাজভবনে স্কট সার্ভিস ঢুকেছিল সেটা খবর হয়েছিল মিডিয়াতে। আমি প্রশ্ন করছি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাহলে নারায়ন দত্ত তিওয়ারির পাশে কিভাবে বসতেন তিনি।
নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে নাইসা ও এসএসসির কথোপকথন নিয়ে বলেন, সব জানত এসএসসি তো আলাদা কোন অস্তিত্ব নেই, এসএসসি রাজ্য সরকারের সংস্থা রাজ্য সরকারের পরিচালনায় মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে অনুপ্রেরণা সমস্ত কিছু হয়েছে। এর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলে যাওয়া উচিত, এবং ওম প্রকাশ চৌটালা যদি জ্বলে যেতে পারেনতাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জেলে যাবেন।
গতকাল ভাঙরে বোমাবাজি প্রসঙ্গে বলেন, ভাঙ্গরে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থা খারাপ হবে, জামানাত বাজেয়াপ্ত হওয়ার মতো অবস্থা হবে। ভাঙ্গড়কে তৃণমূল কংগ্রেস ভাগাড়ে পরিণত করে দিয়েছে।
মিঠুন চক্রবর্তীর বাংলাকে কাঙাল বলা মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাকে তো কাঙাল বানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী। আগে এক সময় জিডিপিতে ২৬ শতাংশ অংশ ছিল, এখন কত শতাংশ করি তার মানে কি মানুষের অবস্থা খারাপ হয়েছে এখন কাজের জন্য মানুষকে অন্য রাজ্যে যেতে হচ্ছে। আপনার রাজ্যের লোক অন্য রাজ্যে যখন কাজের জন্য যাচ্ছে তার মানে কি কাজ নেই।
বামেদের সঙ্গে আইএসএফের মহম্মদ সেলিমের আইএসএফের দিকে আঙ্গুল তোলা নিয়ে বলেন, বামেদের সঙ্গে আইএসএফের জোট হবে কি হবে না তাদের ব্যাপার। বিষয় হচ্ছে এরা হলো চিয়ার লিডার। খেলছি তো আমরা তৃণমূল। চিয়ার লিডাররা কি পড়ে খেলবে মিনি স্কার্ট পরে নাচবে নাকি শাড়ি পরে নাচবে তাদের ব্যাপার।


এসবি নিউজ ব্যুরো: আগামী ২০ মে অর্থাৎ দেশের পঞ্চম দফায় ভোট হবে উত্তর ২৪ পরগনার অন্যতম লোকসভা কেন্দ্র ব্যারাকপুরে। এবার এখানে তৃণমূল ও বিজেপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। লড়াই ময়দানে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। অন্যদিকে, বিজেপির প্রার্থী বিদায়ী সাংসদ অর্জুন সিং। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন এবারে এই কেন্দ্রে জয় পরাজয় নির্নয় করবে বাম ভোট। একদা এই কেন্দ্রটি সিআইএমের দূর্গ বলা হতো। এবার এই কেন্দ্রে তাদের জোট প্রার্থী দেবদূত ঘোষ।
সৌজন্যে: X
প্রবীর রায়: ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং-কে খুনি দাবি করে ব্যারাকপুর সংসদীয় ক্ষেত্রের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। পোস্টারের নীচে লেখা আছে- "নো ভোট টু মাডারার।" এই পোস্টার নিয়ে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের প্রতিক্রিয়া, "দিদিমণিকে পদত্যাগ করা উচিত। দিদিমণি খুনিকে ২০ বছর বিধায়ক ও ১০ বছর পুরপ্রধান কেন করলো, তা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন বিজেপি প্রার্থী। তাঁর দাবি, এই ধরনের পোস্টার ভোটে কোনও প্রভাব পড়বে না। ভোট আসলেই তাঁকে খুনি আখ্যা দেওয়া হয়।"
এসবি নিউজ ব্যুরো: চলতি বছরের ৭ ই মে খড়দহ থানার অন্তর্গত টিটাগড় পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকনগরে পাপ্পু রাইস মিলের গেটে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে খড়দহ থানার পুলিশ টিটাগড়ের বাসিন্দা ওয়াসিম আক্রম ওরফে আফ্রোজকে গ্রেফতার করেছে। তার কাছ থেকে পুলিশ ৪টি ৭ এম এম পিস্তল এবং ১৮ রাউন্ড গুলিও বাজেয়াপ্ত করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঘোলার ডিসিপি সেন্ট্রালের অফিসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ডিসিপি সেন্ট্রাল শানোয়ানে কুলদীপ সুরেশ জানান,ঘটনার দিন রাত ১১ টা নাগাদ টিটাগড়ের বাসিন্দা ওয়াসিম আক্রম ওরফে আফ্রোজ বিহারের দুই জন দুষ্কৃতীকে নিয়ে একটি বাইকে চেপে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। এরপর তারা পাপ্পু রাইস মিলের গেটে পাঁচ রাউন্ড গুলিও চালিয়েছিল। ডিসিপি সেন্ট্রালের দাবি,আইপিএল বেটিং সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযুক্ত তিনজন বেশ কিছু টাকা খুইয়েছিল। তারা জানতে পারে ওই রাইস মিলের মালিকের টাকা দেবার মতো সামর্থ আছে। তারপরই তারা মিল মালিকের কাছে ২০ লক্ষ্য টাকা দাবি করে। সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় আফ্রোজ বিহারের দুই দুষ্কৃতীকে সঙ্গে নিয়ে টিটাগড়ের বিবেকনগরে ওই মিলের গেটে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল। দুষ্কৃতীদের উদ্যেশ্যে ছিল চমকে ধমকে রাইস মিলের মালিকের কাছ টাকা আদায় করা। ডিসিপি সেন্ট্রাল আরও জানান,আফ্রোজকে পাকড়াও করা গেলেও এখনও অধরা বিহারের দুই দুষ্কৃতী। তাদের খোঁজে জোরদার তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তবে পুলিশের খাতায় এর আগে ধৃত আফ্রোজের কোনরকম অপরাধমুলক কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ নেই। ধৃতকে দশ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকি দুই দুষ্কৃতীর খোঁজ চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি এতগুলো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পিস্তল এবং কার্তুজ আফ্রোজের কাছে কোথা এলো তাও গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ডেস্ক: আম আদমি পার্টি (AAP) পাঞ্জাব লোকসভা নির্বাচনের জন্য 40 জন তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় প্রথমে রয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নাম। একইসঙ্গে আলোচনায় তার স্ত্রী সুনিতা কেজরিওয়ালের নামও রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। এই দুটি ছাড়াপাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান, সত্যেন্দ্র জৈন, রাঘব চাড্ডা, সৌরভ ভরদ্বাজ, সন্দীপ পাঠক, পঙ্কজ গুপ্ত, সঞ্জয় সিং এবং অতীশিকেও তারকা প্রচারক করা হয়েছে। একইসঙ্গে এই তালিকায় রয়েছে জেলবন্দি মনীশ সিসোদিয়ার নামও। সম্পূর্ণ তালিকা দেখুন- একই সময়ে, আমরা আপনাকে বলি যে পাঞ্জাবে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া লোকসভা নির্বাচনের জন্য, বিজেপির প্রনীত কৌর এবং আম আদমি পার্টির কুলদীপ সিং ধালিওয়াল সহ অনেক প্রার্থী সোমবার তাদের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।ফাইল করা হয়েছে। AAP-এর প্রনীত কৌর এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী বলবীর সিং পাতিয়ালা থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, আর AAP-এর কুলদীপ সিং ধলিওয়াল অমৃতসর থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিজেপি প্রার্থী অরবিন্দ খান্না সাংগুর সংসদীয় আসন থেকে মনোনয়ন দাখিল করেছেন, এবং শিরোমনি আকালি দলের (এসএডি) প্রার্থী বিরসা সিং ভালতোহা তারন তারান জেলার খাদুর সাহেব আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ১৪ মে পর্যন্ত মনোনয়নপত্র১৫ মে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় দাখিল করা যাবে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ মে। ১ জুন পাঞ্জাবে ভোট মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়, চার বারের সাংসদ প্রনীত কৌর তার ছেলে রণিন্দর সিং, মেয়ে জয় ইন্দার কৌর এবং বিজেপি নেতাদের সাথেও উপস্থিত ছিলেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে তিনি পাতিয়ালার ঐতিহাসিক বুর্জ বাবা আলা সিং-এ প্রণাম করেন। কৌর 1999 সালের মার্চ মাসে বিজেপিতে যোগ দেন।2004, 2009 এবং 2019 সালে কংগ্রেসের টিকিটে পাতিয়ালা কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তার স্বামী এবং পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই কংগ্রেস গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাকে বরখাস্ত করেছিল। অরবিন্দ খান্না সাংগুর সংসদীয় আসন থেকে মনোনয়ন জমা দেন এবং তার সঙ্গে ছিলেন পাঞ্জাব বিজেপির প্রধান সুনীল জাখর। ১ জুন পাঞ্জাবের ১৩টি লোকসভা আসনে ভোটহবে.
May 15 2024, 15:45
- Whatsapp
- Facebook
- Linkedin
- Google Plus
1- Whatsapp
- Facebook
- Linkedin
- Google Plus
2.8k